অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_৩০

গল্পের_নাম : অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_৩০ ( #crazy_for_you )
লেখনিতে :#মিমি_মুসকান

নিশান নিশি’র সামনে হাঁটু‌ গেড়ে বসে। নিশি তাকিয়ে আছে নিশানের দিকে। নিশান একটা লাল গোলাপ নিশি’র সামনে ধরে বলতে শুরু করে….

– জান পাখি। ভালোবাসা কি জানি না কিন্তু যখন তোমায় প্রথম দেখেছিলাম তখন এক অজানা অনুভূতি হয়েছিল আমার। তখন আমি সেই অনুভূতি’র মানে বুঝি নি। পরে যখন তোমাকে একটি বার দেখার জন্য ছটফট করতাম তখন বুঝেছি আমি ভালোবেসে ফেলেছি তোমায়। তোমার ওই ঘন চুলের গন্ধ আমায় পাগল করে তুলতো, তোমার মুখের হাসি আমার সকল কষ্ট দূর করার জন্য যথেষ্ট। ( থেমে ) আমি বোঝাতে পারবো না তোমায় আমি কতোটা ভালোবাসি তোমায়। আমি জানি তুমি আমাকে ঘৃনা করো। আর সেটার ও যথেষ্ট কারন আছে। তোমার সাথে আমি যা করেছি ঠিক করি নি কিন্তু জান পাখি তুমি একবার ভাবো কতটা ভালোবাসলে একটা মানুষ এতোটা নিচে নামতে পারে। তোমাকে পাবার জন্য আমি সব করেছি। আমার প্রথম আর শেষ ভালোবাসা তুমি। তোমার সাথে যা কিছু করেছি তার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি। প্লিজ জান পাখি ক্ষমা করে দাও আমায়। একটি বার ভালোবাসো আমায়। ( মুচকি হেসে ) জান পাখি অসম্ভব ভালোবাসি তোমায়,‌ আমার আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা তুমি। ফিরিয়ে দিও না আজ আমায় প্লিজ.. প্লিজ জান পাখি। কিছু চাইনা তোমার কাছে শুধু একটু ভালোবাসা ছাড়া। অনেক ভালোবাসি তোমায় অনেক…
I love you jan pakhi.

নিশি দাঁড়িয়ে নিশানের প্রত্যেক টা কথা শুনলো। নিশান এখনো তার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আছে হাতে ফুল নিয়ে। অনেক আশা তার চোখে মুখে ভেসে ওঠছে। নিশি চোখ টা বন্ধ করল। তখনই বিয়ের সব ঘটনা ওর সামনে ভেসে ওঠলো। ভেসে ওঠলো ওই দিন বৃষ্টিতে জিসান কে তার কাছ থেকে কেড়ে নেবার কথা। নিশি চোখ মেলে তাকিয়ে নিশানের সামনে দাঁড়িয়ে বলল…

“নিশি : I just hate you. ঘৃনা করি আমি আপনকে, শুধু ঘৃনা।‌আর এই ঘৃনা কখনো ভালোবাসায় পরিনত হবে না
( জোরে চিৎকার করে বলে )
.
নিশি কথায় নিশানের মুখের হাসি নিমিষেই উধাও হয়ে গেল। নিশান নিশি’র প্রত্যেকটা কথা নিশানের বুকে গিয়ে গাধল। খুব কষ্ট পেলো নিশান। তাও মুখে একটা মুচকি হাসি দিয়ে নিশি’র সামনে দাঁড়িয়ে বলল..

“নিশান : তোমার সেই ঘৃনা কেই ভালোবাসি আমি জান পাখি…
নিশি আর দাঁড়ালো না। দৌড়ে কাঁদতে কাঁদতে নিচে চলে আসল। নিশান ফুল টা হাতে মুঠো করে ধরে চোখ বন্ধ করে নিলো। নিশি’র থেকে এটা আশা করেছিলো নিশান তবুও মনে কোথাও হ্যাঁ এর আশা টা করেছিলো সে। ভেবেছিলো হয়তো বা কোথাও নিশি একটু হলেও তাকে ভালোবেসেছে কিন্তু তার ধারনা ভুল করে দিলো নিশি।

চোখের কোনে পানি এসে পরলো নিশানের। হাত দিয়া মুছে নিলো সেটা। মনে পরল নিশি দৌড়ে নিচে গেছে। এবার সেও দৌড়ে নিচে চলে আসল। কিন্তু নিচে এসে যা দেখল তাতে নিশানের রাগ আরো বেড়ে গেলো। নিশি আর জিসান একসাথে। নিশান কে তারা দেখে নি। নিশান আড়াল থেকে দাঁড়িয়ে নিশি আর জিসানের কথা শুনতে লাগল…

“জিসান : নিশি এটা ডির্ভোস পেপার

“নিশি : কি বলছিস এইসব…

“জিসান : কেন‌ কি সমস্যা তোর। ভালোবেসে ফেললি নাকি

“নিশি : জিসান..

“জিসান : দেখ আমি তোর আর আরিফা’র সব কথা শুনেছি। সব জানি, তোরা নাম মাত্র স্বামী স্ত্রী। কোনো সম্পর্ক নেই তোদের মাঝে। তাহলে সমস্যা টা কোথায়। ডির্ভোস দিয়ে দে ভাইয়া কে

“নিশি : জিসান এটা হয় না

“জিসান : কেন হয় না নিশি.. ( নিশি’র হাত ধরে ) নিশি খুব ভালোবাসি তোকে। তোকে বিশ্বাস করি আমি। আমি জানি তুই সব কিছু মেনে নিবি না। তাহলে…

“নিশি : ( হাত সরিয়ে ) আমি বিবাহিত জিসান। যেভাবে’ই হোক না কেন বিয়েটা হয়েছে আমার। আমি এখন অন্য কারো স্ত্রী।

“জিসান : এইজন্যই তো বলছি। তুই ডির্ভোস পেপার এ সাইন টা করে দে। আমি তারপর দেখছি কি করতে পারি। যেভাবেই হোক না কেন আমি আলাদা করবো তোদের।

“নিশি : জিসা….

“জিসান : আর কোনো কথা না। ( পেপার নিশি’র হাতে দিয়ে ) আশায় থাকবো তোর প্লিজ… ভালোবাসি তোকে!

“নিশি : ( পেপার এর দিকে তাকিয়ে থাকে )
.
জিসান পেপার দিয়েই চলে যায়। নিশানের রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে। সে পাশে থাকা একটা গ্লাস হাত দিয়ে জোরে ধরে ভেঙ্গে ফেলে। কাঁচের টুকরো ঢুকে যায় নিশানের হাতে। রক্ত পরছে হাত দিয়ে। কিন্তু তার মন মানছে না কিছুতেই। মাথায় একটাই কথা ঘুরপাক খাচ্ছে জান পাখি চলে যাবে তাকে ছেড়ে চলে যাবে।

“নিশান : না এটা হতে পারে না। জান পাখি আমায় ছেড়ে যেতে পারে না আমি পারবোনা জান পাখি’কে ছাড়া থাকতে পারবোনা। কিছু করতে হবে আমায়। কিছু করতে হবে না হলে হারিয়ে ফেলবো আমি জান পাখি কে। হারিয়ে ফেলবো…
.
নিশান তাড়াহুড়ো করে কাউকে ফোন করলো। তারপর নিশি’র কাছে গেলো। এদিকে নিশি রুমে এসে ভাবছে কি করবে।
“নিশি : কি করবো আমি। কি করে বোঝাবো জিসান কে। নাহ আর যাই হোক ডির্ভোস দিবো না আমি নিশান কে। এটা হয় না। ( পেপার গুলো হাতে নিয়ে ) কাল দিয়ে দেবো এগুলো জিসানকে। বোঝাবো জিসানকে। নিশান কে মেনে নেবো না কিন্তু তাই বলে ছেড়ে দেবো না। কারন উনি ছাড়বেন না আমাকে। আমি জানি…
.
আলমারিতে পেপার গুলো রেখে পাশে তাকিয়ে দেখল নিশান দরজায় হেলান দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। চুল গুলো অগোছালো। স্যুটের বোতাম খোলা। শার্টের হাতা গুলো এলোমেলো। নিশি’র হঠাৎ করেই চোখ পরল নিশানের হাতে। রক্ত বের হচ্ছে। নিশি দৌড়ে নিশানের কাছে গেলো। ওর হাত ধরে বলতে লাগল…

“নিশি : ক…কি হয়েছে। আপনার হাত কাটল কিভাবে

“নিশান : ( মুচকি হেসে নিশি’র গালে হাত রেখে ) কিছু না জান পাখি! কেটে গেছে একটু।

“নিশি : একটু না অনেকখানি। আপনি আসুন আমার সাথে..
.
নিশি নিশান কে বিছানায় বসিয়ে ফার্স্ট এইড বক্স এনে নিশানের হাত ব্যান্ডেজ করতে থাকে। নিশান নিশি’র দিকে তাকিয়ে থাকে। নিশি হাত ব্যান্ডেজ করে নিশানের দিকে তাকিয়ে বলে…

“নিশি : ঘৃনা করি আপনাকে তাই বলে মনুষ্যত্ব ভুলে যাই নি। মানবতার খাতিরে করলাম এগুলো…
বলেই নিশি ওঠে যেতে লাগলে নিশান অন্য হাত দিয়ে নিশি’র হাত ধরে বলে…

“নিশান : আমার সাথে চলো!

“নিশি : কোথায়?
.
নিশান জবাব না দিয়ে নিশি”র হাত শক্ত করে ধরে। তারপর নিশিকে নিয়ে নিচে নামতে থাকে। বসার ঘরে সবাই বসে ছিলো। নিশান আর নিশি কে দেখে বাবা মা দুজনেই জিঙ্গেস কিন্তু নিশান উওর না দিয়ে হন হন করে নিশি কে নিয়ে বের হয়ে আসে। নিশান কে এভাবে বের হতে দেখে জিসান বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়।

নিশান নিশি কে জোর করে গাড়ি তে বসিয়ে দেয়। নিশি জিজ্ঞেস করতে থাকে কিন্তু কোন লাভ হয় না। নিশান গাড়িতে বসে নিশি র সিটবেল বেঁধে তারপর নিজের সিটবেল বেঁধে গাড়ি র্স্টাট দেয়। অনেকক্ষণ ধরেই ড্রাইভ করতে থাকে।‌নিশি আশপাশ দেখছে। হঠাৎ করেই চেনা চেনা লাগছে জায়গাটা। নিশি বুঝতে পারে নিশান কোথায় যাচ্ছে। ভয়ে নিশি’র গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। নিশি নিশানের দিকে তাকায়। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব রেগে আছে। নিশি মনে মনে বলতে থাকে”নিশি আজ তো তুই শেষ”।

নিশান গাড়ি একটা বাড়ির‌ সামনে।‌নিশি বাড়িটার দিকে তাকিয়ে আছে। নিশানের বাড়ি এইটা যেটাই আগে তারা থাকতো। নিশান এখানে এনেছে এর মানে নিশ্চয়ই কিছু হতে চলেছে। নিশান গাড়ি থেকে নেমে নিশি’র গাড়ির দরজা খুলে….

“নিশান : জান পাখি নামো।

“নিশি : ( চুপ চাপ বসে থাকে নামে না )

“নিশান : জান পাখি…

“নিশি : ( পাগল নাকি আমি নামবো। এখানে এনেছে আমাকে নিশ্চয়ই মারবে। আমি যাবো না এই বাড়িতে ).
.
নিশান হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে কপালটা হালকা ঘসে। তারপর হুট করেই এসে নিশি কে কোলে তুলে নেয়। নিশি তো চোখ বড় বড় করে নিশানের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু নিশান সেখানে পাত্তা দেয় না। সে সোজা নিশি কে নিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকে।

বাড়ির ভেতরে ঢোকতেই সব কাজের লোক আর গার্ড এসে হাজির হয়। নিশান সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে…

“নিশান : তোমরা সবাই এখন চলে যাও আর দুদিন পর কাজে আসবে। আর হ্যাঁ বাইরে থেকে লক করে যাবে ঠিক আছে!

বলেই নিশি কে সিঁড়িতে ওঠতে থাকে। নিশি ভয়ে হাত-পা কাঁপতে থাকে।
“নিশি : সবাইকে চলে যেতে কেন বললো। মারবে নাকি আমায়। ( মনে মনে )
.
নিশি রুমে ঢুকে আরেক দফা অবাক হয় কারন পুরো রুম মোমবাতি আর ফুল দিয়ে সাজানো। বিছানায় ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে আছে। নিশান এসে নিশিকে বিছানায় বসিয়ে দেয়। নিশি সাথে সাথে দাঁড়িয়ে যায়। নিশান হাঁটতে থাকে আর স্যুট খুলতে থাকে। নিশি নিশানের পিছু পিছু হাঁটছে আর জিঙ্গেস করছে
– আমরা এখানে কেন? কি হচ্ছে এইসব। আপনি আমাকে এখানে নিয়ে আসলেন কেন।

নিশান কোনো উওর দেয় না। সে স্যুট টা খুলে সোফায় রাখে। তারপর নিশির দিকে ফিরে আগাতে থাকে আর শার্টের বোতাম খুলতে থাকে। নিশি নিশানের এমন আগানোতে পিছুতে থাকে। নিশানের শার্টের বোতাম খুলায় নিশি ভয় পেয়ে যায়।

নিশি পিছুতে পিছুতে একসময় খাটের কোনায় সাথে বাড়ি খায়। নিশি থেমে গেছে কিন্তু নিশান তাও আগাচ্ছে। নিশান শার্ট টা খুলে মেঝেতে ছুড়ে মারে। নিশি নিশানের চোখ দেখে বুঝতে পারে নিশান কি করতে চলেছে। নিশান কে আর সে থামাতে পারবে না। নিশান এসে নিশি’র সামনে দাঁড়ায়। নিশি’র গালে হাত রেখে বলে…

নিশান : সরি জান পাখি…
বলেই নিশিকে বিছানায় ফেলে দেয়। নিশি’র শাড়ির আঁচল সরিয়ে ফেলে নিশির ওপর নিজের সমস্ত ভার দিয়ে দেয়। নিশি’র ঘাড়ে মুখ গুজে দেয়। নিশানের সমস্ত নিঃশ্বাস নিশি’র ঘাড়ে পরতে থাকে। নিশি চোখ বন্ধ করে নেয়। নিশান নিশি’র ঘাড়ে একটা ডিপ কিস করে তারপর নিশি’র কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলতে থাকে…

– ভালোবাসি জান পাখি…
❤️
❤️

মাঝরাতে….
নিশি’র চোখে ঘুম নেই। সারা শরীর ব্যাথা করছে। নিশান তার সাথে এমন কিছু করবে ভাবতে পারে নি সে। নিশানের প্রতি তার ঘৃনা আরো বেড়ে যায়। নিশি তাকিয়ে দেখে নিশান তার পেটে মাথা রেখে দু হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ঘুমাচ্ছে। তার খালি পিঠ টা দেখা যাচ্ছে। নিশি চোখ দুটো বন্ধ করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

সকালে….
নিশি ঘুম থেকে উঠে দেখে নিশান তার পাশে শুয়ে আছে। নিশি বিছানা ছেড়ে উঠে যেতে নিলে কিসের সাথে যেন টান খায়। নিশি ঘুরে দেখে নিশান তার শাড়ির আঁচল নিজের হাতে বেঁধে আছে।

“নিশান : কোথায় যাচ্ছো

“নিশি : ফ্রেশ হতে…( দাঁতে দাঁত চেপে )

“নিশান : ওহ্ ( বলে আঁচল টা খুলে দিল )
.
নিশি ওয়াসরুমে এসে দেওয়ালে’র সাথে মিশে দাঁড়ালো। খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে তার। শাওয়ার টা অন করে তার নিচে দাঁড়িয়ে কাঁদতে লাগলো। কাঁদতে কাঁদতে একসময় নিচে বসে পরলো।

অনেকক্ষণ হয়েছে নিশি ফ্রেশ হতে গেছে। এখনও আসছে না তাই নিশান ওঠে ওয়াসরুমে’র দিকে গেলো। তাকিয়ে দেখে ওয়াসরুম এর দরজা খোলা। নিশান তাকিয়ে দেখে নিশি শাওয়ার অন করে তার নিচে বসে কাঁদছে। নিশানের রাগ ওঠে গেলো। সে নিশিকে কোলে তুলে নিলো।

হুট করেই কেউ কোলে নেওয়ায় ভয় পেয়ে গেলো নিশি। তাকিয়ে দেখে নিশান। কাঁদতে কাঁদতে নিশি’র চোখ ফুলে লাল হয়ে আছে। নিশান নিশি কে বেডে রেখে রাগি গলায় বলল..

– কি করছিলে তুমি এতোক্ষণ এখানে। এভাবে এতোক্ষণ শাওয়ার এর নিচে বসে ছিলে কেন জ্বর আসলে কি হতো হুম আর কাঁদছিলে কেন কি হয়েছে?

“নিশি : ( এখনও কাঁদছে কোনো কথা বলে না )

“নিশান : কান্না বন্ধ করো

“নিশি : ( কাঁদছে )

“নিশান : কান্না বন্ধ করো নিশি ( ধমকে )

“নিশি : ( নিশানের ধমকে লাফিয়ে ওঠে। কান্না বন্ধ করে বিছানার চাদর আকড়ে ধরে)

“নিশান : ( নিজেকে শান্ত করে নিশি’র সামনে হাঁটু গেড়ে বসে ) জান পাখি…

“নিশি : ( নিশান কে সামনে বসতে দেখে পিছুতে থাকে )

“নিশান : ( নিশি ভয় পেয়েছে দেখে নিশি’র গালে হাত রেখে ) ভয় পেয়ো না জান পাখি! সরি আমি আর বকবো না তোমায় ( বলেই নিশি’র কপালে আলতো করে চুমু দেয় )

“নিশি : ( কিছুক্ষণ এর জন্য শান্ত হয় )

“নিশান : ( বেড থেকে উঠে একটা শাড়ি এনে নিশি’র সামনে দিয়ে ) ঠান্ডা লেগে যাবে চেন্জ করে নাও আমি আসছি।
.
বলেই নিশান অন্য রুমে গিয়ে ফ্রেশ হতে নেয়। নিশি চেন্জ করে বিছানায় গুটি মেরে বসে থাকে। কিছুক্ষণ পর নিশান খাবার নিয়ে আসে। নিশি সামনে বসে খাবার নিশি’র মুখে তুলে ধরে। নিশি চুপচাপ খেয়ে নে কাল রাত থেকে কিছু খায় নি। অনেক ক্ষিদে পেয়েছে তার। নিশান মুচকি হেসে নিশি কে খাইয়ে দিতে থাকে।

চলবে….
আগের পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/396262488762196/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here