অল্প থেকে গল্প🍁.পর্ব:১৪

0
1099

অল্প থেকে গল্প🍁
অরিত্রিকা আহানা
পর্ব:১৪

ছবি চলে গেলে শুদ্ধ আরেকমগ কফি বানিয়ে নিলো।কফি নিয়ে ভেতরে ঢুকতেই দেখলো উপল মলিন মুখে খাটে বসে আছে।
শুদ্ধ ওকে কফির মগ বাড়িয়ে দিয়ে কাউচে বসলো।কফিতে চুমুক দিয়ে হাসিমুখে বলল,
—এবার বলো!কি হয়েছে তোমার? ভাবির সাথে ঝগড়া?
উপল হাসলো।খুবই নিস্তেজ,নিষ্প্রাণ হাসি!দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,
—অনু কেন দিনদিন এমন হয়ে যাচ্ছে শুদ্ধ?
—কি নিয়ে ঝগড়া?
উপলের চেহারা হঠাৎ কঠিন হয়ে উঠলো।ক্রুদ্ধ গলায় বলল,
— বাচ্চা একটা মেয়ের সাথে ওর কিসের এত শত্রুতা আমার মাথায় আসে না? মেয়ে কি আমার একার?ওরও তো মেয়ে? রাতে মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে নীল হয়ে যায়।ও ফিরেও তাকায় না।আমি কোলে নিয়ে সারারাত বারান্দায় হাঁটি।সারাদিন অফিস করে এসে যদি দেখি মেয়ে ভেজা বিছানায় শুয়ে আছে কার সহ্য হবে তুই বল? কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেয় না।
শুদ্ধ কফিতে আরেক চুমুক দিয়ে বলল,
—কফি ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে ভাইয়া?
উপল কফির মগটা তুলে নিলো,কিন্তু চুমুক দিলো না।তার খেতে ইচ্ছে করছে না।
—আমরা সবাই খুব খামখেয়ালি ভাইয়া!
—মানে?
—ঘরে নতুন অতিথি এসেছে তাকে নিয়েই আমরা সবাই কনসার্ন।ভাবির দিকে কতটা নজর দিয়েছি? তুমি তো জানো ভাবির অবস্থা কত ক্রিটিক্যাল ছিলো?ভাবির প্রতি আমরা কি ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছি?
—কিন্তু আমি কি করেছি?
—তুমি কিছুই করো নি ভাইয়া।এটাই সবচেয়ে বড় ভুল।তুমি কেবল অনুপলাকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলে!অনুপলার যেমন যত্নের প্রয়োজন, এই সময় ভাবির কিন্তু আলাদা যত্নের প্রয়োজন।
—আমরা কি ওর প্রতি অবহেলা করেছি?
— শোনো ভাইয়া, ডেলিভারির পরে মায়েদের শরীরে হরমোনাল ইমব্যালেন্স হয়!এর ফলে কোন কোন ক্ষেত্রে মায়েদের আচরনে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে!যেমন ধরো,অকারণে মেজাজ খিটখিটে, কান্না করা,বাচ্চার প্রতি অনীহা ছাড়াও সুইসাইডাল টেনডেন্সি ক্রিয়েট করে! অনেক সময় ডিপ্রেশন এত মারাত্মক আকার ধারণ করে যার ফলে বাচ্চাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলে।মেডিকেলের ভাষায় আমরা এই সমস্যাটাকে বলি পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন!
উপল কিছুটা নরম হয়েছে।চিন্তিত মুখে বলল,
—ও কি আর ভালো হবে না?
—কেন হবে না? এই সমস্যা টা সাময়িক যদি না আমরা অবহেলা করি।ভাবি ভাবছে পরিবারে তার গুরুত্ব কমে গেছে! কিন্তু আসলে তো এমনটা না?আমরা সবাই ভাবিকে ভীষণ ভালোবাসি!ভাবিকে সেটা বোঝাতে হবে।উই হ্যাভ টু এস্যিউর হার দ্যাট সি ইজ ভেরি ইম্পরট্যান্ট টু আস!
—ও কি সেটা জানে না?
— তুমি এখনো ভাবিকে দোষ দিচ্ছো ভাইয়া!ভাবির সমস্যাটা মানসিক সেটা তোমাকে বুঝতে হবে।একটা ট্রমার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে ভাবি।এইসময় পরিবারের সাপোর্ট খুবই প্রয়োজন!
—আমার করণীয় কি?
—অনুপলার পাশাপাশি ভাবিকে বেশি বেশি করে গুরুত্ব দাও।প্রয়োজনে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে ভাবিকে সময় দাও।ভাবির এখন যা অবস্থা, শী শুড বি কেয়ারড!এইমুহূর্তে ভাবির সবচেয়ে বেশি তোমাকে প্রয়োজন! প্রেগন্যান্সির কারুণে ভাবির হয়ত কিছু শারীরিক পরিবর্তন হয়েছে এগুলো খুব সিম্পল!এগুলো নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই!এইসব যুক্তিহীন চিন্তাভাবনা গুলো ভাবির মাথা থেকে বের করতে হবে।তাই কালকে দুপুরে তুমি ভাবিকে নিয়ে মেডিকেলে চলে এসো আমার পরিচিত একজন সাইকিয়েট্রিস্ট আছে।দেখিয়ে দেবো।
উপলের বুঝতে অসুবিধে হলো না শুদ্ধ কি ইঙ্গিত দিচ্ছে।শুদ্ধ না থেমেই বলল,
—এন্ড মোস্ট ইম্পরট্যান্টলি ভাবির ভালো ঘুমের প্রয়োজন!সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবে!
উপল ইতস্তত করে বলল,
—তোর ভাবি যদি সাইকিয়েট্রিস্ট এর কাছে যেতে না চায়?
—সমস্যা নেই।আমি কথা বলে নেবো।

উপল মনে মনে অনুতপ্ত বোধ করছে।সত্যিই তো অনুর প্রতি সে কতটা দায়িত্ব পালন করেছে? কর্তব্যের খাতিরে খাওয়া দাওয়ার খোঁজ হয়ত নিয়েছে!কিন্তু মনের দিক থেকে অনুকে সে কতটুকু দিতে পেরেছে?বেশিরভাগ সময়ই অনুপলাকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলো!অনু হাতে নখের আঁচড় দেখেও না দেখার ভান করে থেকেছে সে।অনুর রাগের মুহূর্তে উলটো রাগ দেখিয়েছে ! ঘাত-প্রতিঘাতের দ্বন্দ্বে নিজেদের সম্পর্কটা কখন যে এত জটিল আকার ধারন করেছে খেয়ালই করে নি!
—ভাইয়া?
—হু?
—মন খারাপ করার কিছু নেই।তুমি না জেনে ভুল করেছো!প্রেগন্যান্সির সময় যেমন একজন মায়ের যত্নের প্রয়োজন সন্তান প্রসবের পরেও তেমনি যত্নের প্রয়োজন!অনেকেই এইব্যাপার গুলো জানে না।তাই নিউজপেপার খুললেই অনেক ক্ষেত্রে আমরা মায়ের হাতে নবজাতকের মৃত্যু,মায়ের সুইসাইড করার খবরগুলো পাই!

সকালবেলা অনু চুপচাপ বারান্দায় বসে ছিলো।উপল খোশমেজাজে আছে। অফিস থেকে ছুটি নিয়েছে।অনুকে বারান্দায় বসে থাকতে দেখে চুপচাপ অনুর পাশে গিয়ে বসলো।অনু টের পায় নি।একমনে কি যেন ভাবছে সে?
—কি ভাবছো?
অনু ফিরে তাকালো কিন্তু কোন জবাব দিলো না।উপল অনুর দুইহাতের মাঝখানে ওর ডানহাতটা রাখলো।আজকে অনেক দিন পর অনুর মুখের দিকে ভালোবাসা দৃষ্টিতে তাকালো সে।চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে অনুর।এলোমেলো চুল,চোখে পানি টলমল!
—অনু?…এই অনু?
—কি বলবে বলো?
—চলো নাশতা করবে?
—আমার ক্ষিদে নেই!
—না থাকলেও খেতে হবে!
—তোমার কথামত হবে? আমি যখন বলেছি আমার খিদে নেই তারমানে নেই!
রাগে গজগজ করতে করতে বারান্দা থেকে উঠে গেলো অনু।তারপর উপলকে অবাক করে দিয়ে ডাইনিং এ খেতে বসে গেলো।যেই উপল ওর সঙ্গে খেতে বসলো ওমনি খাবার রেখে উঠে গেলো।
উপল বোকার মতন হেসে অনুর পেছন পেছন উঠে গেলো।লজ্জায় তার মাথাকাটা যাচ্ছে!আনোয়ারা বেগম টেবিলে বসে ছিলেন!

আনোয়ারা বেগম কিছুই বললেন না।শুদ্ধ সকালে উনার ঘরে গেছিলো।ফজর নামাজ পড়ছিলেন তিনি।নামাজ শেষে যা বলার উনাকে বলে দিয়েছেন শুদ্ধ।সব শুনে অনুকে নিয়ে তিনিও বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন!

—ছাড়ো আমাকে।আমার কাউকে লাগবে না।আমি এখন ফেলনা হয়ে গেছি!
ক্ষোভে চেঁচিয়ে উঠলো অনু।উপল তাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে।ছাড়া পাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ রকমের ধস্তাধস্তি করছে অনু।তবে শক্তিতে উপলের সাথে পেরে উঠলো না।ছাড়া না পেলেও মুখে যা আসছে তাই বলে যাচ্ছে উপলকে।কিছুক্ষন পর ক্লান্ত হয়ে এলিয়ে পড়লো।একপরই উপলকে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে উঠলো।ওর এমন অবস্থা দেখে উপলেরও কষ্ট হচ্ছে!কি পরিমান ডিপ্রেশনে থাকলে একটা মানুষ এমন অদ্ভুত আচরণ করতে পারে? অনুকে যেভাবেই হোক সুস্থ করে তুলবে সে!

আনোয়ারা বেগমের নির্দেশ মত ছবি ওদের ঘরে নাশতা দিতে এসেছিলো।উপল অনুকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় দেখে পড়িমরি করে বেরিয়ে এলো।দরজায় নক না করে ঢোকার পরিনতি হাড়েহাড়ে টের পেয়েছে সে।ইসশ কি লজ্জা লাগছে,ভাগ্যিস ওরা টের পায় নি।মনে মনে নিজেকে নিজে গাল দিলো সে,
—তোর বুদ্ধি জীবনেও হবে না ছবি।তুই একটা বোকা, গাধা!
শুদ্ধ কলেজের জন্য বেরোচ্ছিলো।ছবিকে বিড়বিড় করতে দেখে মুচকি হেসে বলল,
—ঠিক বলেছো!তুমি হচ্ছো একেবারে আন্তজার্তিক স্বীকৃত প্রাপ্ত বোকা!
ছবি রিয়েকশন দেওয়ারও সু্যোগ পেলো না।তার আগেই শুদ্ধ বেরিয়ে গেছে।

বিছানায় অনুপলা কাঁদছে।আজকে উপল ধরলো না।চুপচাপ অনুকে জড়িয়ে ধরে বসে রইলো সে।প্রথমে কিছুক্ষন অনু কোন হোলদোল দেখালো না।একটুপর ছটফট শুরু করে দিয়ে বলল,
—তোমার মেয়ে কাঁদছে!
—কাঁদুক!মেয়েতো আমার একার নয়?
অনু বিরক্ত চোখে তাকালো।তেতে উঠে বলল,
—ছাড়ো আমাকে!
উপল ছেড়ে দিলো।ভেবেছিলো অনু গিয়ে মেয়েকে।কিন্তু অনু এবারও ওকে হতাশ করলো।ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলো সে।উপল হতাশ হয়ে মেয়েকে কোলে নিয়ে আদর দিলো।
—তোর আম্মু খুব পঁচা!তোর বাবাকে কষ্ট দেয়!তুই বড় হলে ভালো করে বকে দিবি ঠিক আছে?
অনুপলা মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে গোলগোল চোখে চেয়ে আছে উপলের দিকে।উপল হেসে উঠে বলল,
—বেশি বকিস না আবার? কেঁদে ফেলবে!

বাসায় অনুর একটাই কাজ,বারান্দায় বসে থাকা!বাসার যাবতীয় কাজকর্ম ছবি আর আনোয়ারা বেগমই সামলান।বুয়া এসে ধোয়ামোছা করে দিয়ে যায়!
দুপুরের দিকে আনোয়ারা বেগম তেলের কৌটা নিয়ে অনুর ঘরে গেলেন।বারান্দায় ওর পাশে মোড়া টেনে বসে বললেন,
—এদিকে আসো বউমা চুলে তেল দিয়ে দেই!
উপল খাটের ওপর বসে ছিলো।কৃতজ্ঞতা সূচক দৃষ্টিতে মায়ের দিকে তাকালো।তবে ভয়ও পেলো।অনু উনার সাথে না আবার কোন বেয়াদবি করে বসে।
আনোয়ারা বেগম হাতের তালুতে তেল ঢেলে নিতে অনুর চুলে লাগিয়ে দিলেন।অনু চুপচাপ শান্ত ভাবে বসে রইলো।
তেল দেওয়া শেষে বেনী করে দিলেন।পুরোটা সময়ই অনু চুপচাপ বসে রইলো।আনোয়ারা বেগম বারান্দায় বসেই গলাচড়িয়ে ছবিকে ডাক দিলেন।ছবি পড়া ফেলে একছুটে দৌঁড়ে এলো।
—জ্বী আন্টি?..কিছু লাগবে?
—এখানে বসো!
ছবি ভয়ে ভয়ে উনার সামনে এসে বসলো।ছবির চুলেও তেল লাগিয়ে দিলেন।তারসাথে আচ্ছামত ঝাড়ি!ছবির কানে সেসব ঢুকছে না।আনোয়ারা বেগমের কড়া কথাগুলো ওর কাছে মধুরতম মনে হচ্ছে!

সপ্তাহ খানেকের মধ্যে অনু কিছুটা স্বাভাবিক হলো।শুদ্ধ ভীষণ ব্যস্ত!সকালে বেরোয় রাতে ফেরে।কলেজে প্রফ চলছে,তাই নিয়েই ব্যস্ত সে!
রাতে খাবার পর উপল মেয়ের কাছে বসে আছে।অনু টিভি দেখছে।বিছানায় অনুপলা হাতপাঁ ছড়িয়ে আপন মনে হাসছে।মাঝে মাঝে কাঁইকুঁই করে উঠছে!
উপল আলতো করে মেয়ের নাকের ডগা টেনে দিয়ে বলল,
—বাবাকে দেখে হাসা হচ্ছে? আবার হাসে?একদম মায়ের মত পাঁজি!..দুষ্টু!
অনু ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো।উপল মেয়ের পাশ থেকে উঠে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো।অনু হঠাৎ টিভি বন্ধ করে মেয়ের পাশে এসে বসলো।কি সুন্দর হাতপাঁ ছড়িয়ে হাসছে!তুলতুলে হাতদুটো ওর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে,’মাম্মাম্মাম’ বলছে।অনু মেয়েকে কোলে তুলে নিলো।সাদা ধবধবে ফর্সা শরীরটা তুলোর মত নরম!চেহারায় কি পরিমান মায়া!আনোয়ারা বেগম সেদিন বলছিলেন অনুপলা বড় হলে নাকি হুবহু অনুর মত হবে!
মেয়েকে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে উঠলো অনু।অনুপলা দুআঙ্গুল দিয়ে ওর চুল টেনে ধরে আছে।মেয়ের গালে অজস্র চুমু খেলো সে।সন্তানের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হলো মা!অথচ ভুলভাল কতসব জিনিস মাথায় ঢুকিয়ে মেয়েটার কত অযত্ন করেছে সে!যার এতসুন্দর ফুটফুটে একটা বাচ্চা আছে তার আর কি চাই? মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ডুঁকরে উঠলো অনু।অনুশোচনায় বুকটা পুড়ে যাচ্ছে!
—আমি তোর পঁচা মা!আমি তোকে অনেক কষ্ট দিয়েছি মা।তুই আমাকে ক্ষমা করে দে!
মাথার ওপর কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে মুখ তুললো,উপল হাসিমুখে চেয়ে আছে।অনু মেয়েকে বিছানায় শুইয়ে দিলো।উপলের কোমর জড়িয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে বলল,
—আমার কি হয়েছিলো উপল ? আমি কেন এমন হয়ে গিয়েছিলাম।নিজের ওপর ঘৃণা হচ্ছে।আমি মা হয়ে কীভাবে এমন করলাম?
—কিচ্ছু হয় নি তোমার!
—আমি খুব খারাপ মা!খুব!খুব!খুব!
উপল অনু মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিলো।অনু বিরামহীন ভাবে কেঁদে চলেছে।
—আমি তোমাদের সবাইকে অনেক কষ্ট দিয়েছি!আমার মেয়েটাকে আমি…
—-শশসস!
পুরো কথা শেষ করতে পারলো না অনু,তারআগেই উপল ওর ঠোঁটে আঙ্গুল রেখে চুপ করিয়ে দিলো।অনু সুস্থ হয়ে গেছেই এটাই ওর জন্য অনেক।অনুর কপালে চুমু একে দিয়ে বলল,
—নো মোর ক্রায়িং!ইট ওয়াজ অল আ নাইটমেয়ার!দুঃস্বপ্ন ছিলো ভেবে নাও!..দেখো তোমার মেয়ে কি সুন্দর হাসছে?
বাস্তবিকই অনুপলা হাসছিলো।সে কি বুঝেছে কে জানে?
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here