অস্তিত্বের খোজে পর্বঃ ৪৫(শেষপর্ব)

1
3313

অস্তিত্বের খোজে
নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ৪৫ (শেষপর্ব)



– শুভ্র জান্নাতকে অনেকক্ষন আদর করল আর পরী শুভ্রর পাশে বসে ছিল ফ্লোরে। শুভ্র জান্নাতকে পরীর কাছে দিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে গোসল সেরে রুমে এসে চেঞ্জ করে জান্নাতকে নিয়ে শুয়ে পড়ল। কয়েকদিন হল ভাল করে ঘুমাইনি তাই ওর ঘুম প্রয়োজন।

– পরী!

– শুভ্রর ডাকে পরী বেডে এসে বসল। কিছু লাগবে তোমার?

– আমার পাশে শুয়ে পড়। যতক্ষন ঘুমাব ততক্ষন পাশে থাকবা কোথাও যাবা না।

– পরী শুভ্রর পাশে সুয়ে পড়ল। শুভ্র জান্নাতকে বুকের ভিতর নিয়ে সুয়ে আছে আর পরী পিছন দিক থেকে শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে আছে। কমপ্লিট পরিবার।


– শুভ্র গভীর ঘুমে মগ্ন তাই পরী উঠে বাহিরে এসে দেখে অনিতা কাঁদছে সোফায় বসে।

– মা! প্লিজ কান্না করেন না। অর্পিতা তো বেশিভাগ সময় এখানেই থাকবে। কালই তো আবার চলে আসবে।

– কিন্তু অনিতা কেঁদেই চলছে। পরী শেষে ওকে ওর রুমে নিয়ে গিয়ে বলল মা! আপনি কয়েকদিন থেকে ঘুমান নি তাই ঘুমিয়ে পড়ুন।

– অনিতা সুয়ে আছে আর পরী মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে একসময় অনিতা ঘুমিয়ে পড়ে।

– আমি মাঝে মাঝে শুভ্রকে এসে দেখে যাচ্ছি ওর ঘুম ভাঙ্গছে কিনা! কারন শুভ্র ঘুম থেকে উঠে আমাকে না দেখলে আমায় আর আস্ত রাখবেনা। জান্নাত ও শুভ্রর সাথে ঘুমাচ্ছে।


– নিদ্রা আপু এসে আমাকে ডেকে নিয়ে গেল তার রুমে। কৌশিকদা ও রুমে আছে।

– পরী! দেখতো ড্রেসগুলো কেমন হইছে?

– ৫ টা ড্রেস একই রকমের। শুধু একটা জান্নাতের মাপে। আপু আমরা কি বৌ ভাতে এগুলো পড়ব?

– বাহ্ তুমি বড় হয়ে গেছ দেখছি। একদম ধরে ফেলছো। আমি আর তোমার দাদা মিলে চুজ করছি। পড়বে তো?

– কেন পড়ব না আপু অবশ্যই পড়ব।



– ড্রেসগুলো নিয়ে রুমে এসে দেখি শুভ্র উঠে বসে আছে। ও নিষেধ করেছে রুম থেকে বের হইতে তবুও বের হয়ছি। ♥আল্লাহ্♥ উঠে পড়েছে ও….

– কই গিয়েছিলা! তোমায় নিষেধ করছিলাম না?

– মা কাঁদছিল তাই মার কাছে গিয়েছিলাম। আপু এগুলো ড্রেস দিল কাল পড়ার জন্য।

– মিথ্যা একদম বলবি না। রুম থেকে আগেই বের হয়ে গেছিস তারপর মাকে পাইছিস। আমাকে কি তোর পছন্দ নাহ্ যে আমার কাছে একটু থাকতেও তোর মন চায়না?

– কি বল সব। তুমি ঘুমাচ্ছিলা আর আমি জেগে থেকে নড়াচড়া করছিলাম তাই উঠে পড়ছি। যাতে তোমার ঘুম না ভেঙ্গে যায়।

– শুভ্র আর কিছু না বলে ওযু করে এসে যোহরের সালাত আদায় করে আবার সুয়ে পড়ল।

– দুপুরের খাবার খাবা না!

– শুভ্রর কোন জবাব না পেয়ে পরী জান্নাতকে নিয়ে নিচে গেল। সবাই টেবিলে বসে আছে শুধু অর্পিতা আর শুভ্র ছাড়া। আমি জান্নাতকে খাওয়ায় দিচ্ছি।

– পরী! শুভ্র কই?( অনিতা)

– ঘুমাচ্ছে মা। পরে খেয়ে নিবে।

– আচ্ছা ঘুমাক তুমি খেয়ে নাও।

– জান্নাত হঠাৎ কান্না করে ওঠে। আমি ওকে নিয়ে উঠে আসলাম।

– শুভ্র আসরের আযানের অনেকক্ষন পরে উঠে নামায পড়ে জান্নাতকে নিয়ে বাহিরে চলে গেল। খাবার অবদি খেল না। ধুর আমার সাথে কথাও অবদি বললনা।


– রাত ১০ টার পর বাসায় আসল শুভ্র। জান্নাত ঘুমিয়ে গেছে। এসেই জান্নাতকে সুয়ে দিয়ে ফ্রেস হয়ে নিচে খাবার খেতে গেল।

– পরীও ওর পিছে পিছে গেল। সবাই মিলে খাবার খেয়ে যে যার রুমে চলে গেল। কিন্তু পরী ছাদে চলে গেল।

– দোলনায় বসে আকাশের দিকে চেয়ে আছে পরী। চাঁদটা পুরো দমে স্নিগ্ধ আলো ছড়াচ্ছে। এমন সময় শুভ্র এসে পাশে বসল।

– তুমি আমার কথা কেন শুননা। রাতে একা ছাদে আসতে নিষেধ করিনি!

– পরী দোলনার উপর পা তুলে শুভের কোলে মাথা দিয়ে সুয়ে বলল…… শুভ্র মিতালি কে?

– সেদিন রাতে তাহলে সব কথা শুনছো?

– হুম,,,,,,

– আমার মামাতো দিদি হয়। আমার থেকে ১ বছর বয়সে বড়। কিন্তু আমাকে প্রচন্ড ভালবাসত। এখনও হয়ত ভালবাসে। আমার বড় হওয়া স্বত্তেও সে আমাকে বিয়ে করতে চাইছিল।
একপর্যায়ে প্রচন্ড পাগলামি শুরু করে দেয়। আমি যখন ঐ বাসা থেকে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেই তখন মিতালীদি অনেক গুলো ঘুমের মেডিসিন খায় আর হাতের শিরা কেটে ফেলে।

– এত্ত ভালবাসত তোমাকে ঐ আপুটি?

– হুম। শেষে এক সপ্তাহ হসপিটালে থেকে বাসায় এনে সাথে সাথে বিয়ে দেয় দিদি কে। অনেকটা জোড় করেই বিয়ে দেয়। তার একটা মেয়ে আছে।

– ঐ বাসার লোকেরা কিছু বলেনি তোমাকে?

– নাহ্,,,,, আমি প্রথমে অবাক হয়েছিলাম আমাকে কেন কিছু বললনা। এখন বেশ বুঝতে পারি আমাকে কেন কিছু বলে নি তারা। মিতালীদি বিয়ের কিছুদিন পর বর কে ছেড়ে চলে আসে একবারে। পরে আবার তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অনেক চমৎকার দেখতে উনি হয়ত এই জন্য বর আবার তাকে নিছে।

শেষে আমার স্টাডি কমপ্লিট হওয়ার সাথে সাথেই চলে আসি। এখন ওনার খবর আর জানিনা। শুভ্র ওর সম্পর্কে আরও অনেক কথা বলল।
পরী! তুমি কি ঘুমিয়ে গেছ?

– পরীর কোন আর উত্তর না পেয়ে শুভ্র ওকে কোলে করে রুমে চলে আসে। পরীকে সুয়ে দিয়ে ওর কপালে কিস করে শুভ্র ল্যাপটপ নিয়ে বসে পরে।


– আজকে অর্পিতার বৌভাত প্লাস শুভ্রর কনর্সাট। পরী গোসল সেরে এসে দেখে শুভ্র রেডী হচ্ছে।

– ঐ টা পড় না। আপু আমাদের জন্য মাচিং করে এই ড্রেস দিছে বলেই পরী ড্রেস এনে শুভ্রর হাতে দেয়।

– শুভ কিছু না বলে ড্রেসটা পাল্টিয়ে নেয়। এদিকে পরী চুল গুলো ভালকরে মুছে ওর ড্রেস হাতে নিতেই শুভ্র এসে পরীর কোমড়ে হাত দিল। পরী শিউরে উঠল।

– শুভ্র কিছু না বলে পরীর ঘাড়ে কয়েকটা কিস করল। পরী শুভ্রকে জড়িয়ে ধরতেই শুভ্র বাধা দিল। এখন না পরে বলেই শুভ্র রেডী হয়ে রুম থেকে বের হল।

– পরী ড্রেসটা পড়ে রেডী হয়ে নিদ্রার কাছে গেল। কৌশিক জান্নাতকে নিয়ে বাহিরে দাড়িয়ে আছে। এরা ২ ভাই একই রকম ড্রেস পড়েছে এমন কি জান্নাত ও।


– আমরা বাসার সবাই রওনা দিলাম। শুধু মা বাদে। শুভ্রর পাশে বসে ওর গায়ে হেলান দিয়ে বসে আছি। আর শুভ্র জান্নাতকে নিয়ে বসে আছে। এই প্রথম পুরো পরিবার নিয়ে কোথাও যাচ্ছি আমি।

অর্পিতার শশুড় বাসায় গেলাম। অনেক সুন্দর করে বাসা সাজানো হয়েছে। রনকের পরিবার এসে আমাদের কে আপ্যায়ন করল। পুরো বাসা ভরতি মেহমান।

আমি আর আপু অর্পিতার কাছে গেলাম। অর্পিতাকে বেশ দেখাচ্ছে। আমাকে আর নিদ্রা আপুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগল অর্পিতা।

– হেই পরী! কেমন আছো? ( আকিক)

– পরী কোন কথা না বলে একদম শুভ্রর কাছে চলে যায়। আকিক আর কিছু বলার সাহস পায়নি।
অনেক আনন্দ মজা হৈচৈ করে আসরের টাইমে আমরা অর্পিতাকে বাসায় নিয়ে আসি।


– রাত ৯ টায় শুভ্রর কনসাট শুরু হবে। আমাদের বাসার সামনে যে বিশাল একটা মাঠ আছে সেখানেই আয়োজন করা হয়েছে। আমার সেখানে যাওয়া নিষেধ তাই আমি বাদে বাসার সবাই চলে গেলে। অর্পিতার শশুড় বাড়ীর লোকেরাও।


– আমি ছাদের উপর দাড়িয়ে থেকে দেখছি। এখান থেকে পুরো কনসার্ট দেখা যাচ্ছে। শুভ্র প্রপোশনাল সিঙ্গার না তবুও অনেক শ্রোতা দেখে অবাক হয়ে গেছি। শুভ্র শিল্পী হলে বেশ নাম করত। শুধু শুভ্র না ওর আরও কয়েকজন ফ্রেন্ডও গান করে।

– পরী! শুভ্রদার গান শোনার জন্য বুঝি দাড়িয়ে আছো?

– পরী চমকে পিছন দিকে তাকাল।

– শুভ্র জান্নাত কে নিয়ে সবার উদ্দেশ্য বলল এটা আমার প্রিন্সেস সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।

– দাদা মেয়েকে শুধু না বউদি কেও দেখতে চাই আমরা কথা টি অনেকেই বলে উঠল।

– আপাতত আমাকে আর আমার মেয়েকেই আপনারা দেখেন। শুভ্র জান্নাতকে কৌশিকের কাছে দিয়ে গান শুরু করল।


– বিকাশ তুমি বলেই পরী ভয়ে চুপসে গেল।

– ভয় পাইছো! হুম আমাকে ভয় পাওয়ারই উচিত তোমার বলেই বিকাশ কাছে আসল। তোমার জন্য শুভ্রদা আমাকে সেদিন অনেক মেরেছিল এবং সবার সামনে অপমান করেছিল। আমি শুধু এতটা বছর ধরে সময় খুজছি আর রাগ জমা করে রেখেছি। আজ তোমার এমন হাল করব যে শুভ্রদা তোমাকে দেখে শিউরে যাবে।

– বিকাশ পরীকে ছুতেই পরী একটা থাপ্পড় মারে বিকাশকে। আমি তোমার বউদি হই তাই একদম নোংরামি কথা কিভাবে বল তুমি!

– বিকাশ পরীর থাপ্পড়ে এতটাই রেগে যায় যে পরীর চুল ধরে টেনে এনে চিলি কোঠা রুমের দেয়ালে একটা আছাড় মারে।

– পরী তাল সামলাতে না পেরে ধপ করে পড়ে যায়। বিকাশ প্লিজ আমার ক্ষতি করনা। পরীর মাথা দিয়ে রক্ত বেয়ে ঘাড় দিয়ে নেমে পড়ছে।

– আমার সাথে লাগা! বলেই পরীকে আবার টেনে হিচড়ে তুলেই কয়েকটা থাপ্পড় দিল বিকাশ।

– পরী একটা ফুলের টবের উপর পরে যায়। পরী উঠেই ফুলের টব তুলেই বিকাশের দিকে ছুড়ে মারে।

– টবটি বিকাশের পায়ে লাগে। বিকাশ বসে পড়ল পা ধরে।

– পরী আবার পড়ে যায়। নিজের ব্যালেন্স রাখতে পারছেনা। শেষে অনেক কষ্টে চিলেকোঠা রুমের শিকল খুলে একটা কাঠের ছোট বাটাম বের করে এনে বিকাশকে ফটাফট মারতে থাকে। আমার গায়ে হাত দিস! তোর সাহস কি করে হয় আমার গায়ে হাত দেওয়া? তোর মত কত্ত হারামিকে এই হাত দিয়ে সোজা করছি আর তুইতো চুনোপুঁটি বলেই আরও কয়েকটা বারি দিল পরী।

– বিকাশ যেহেতু ছেলে মানুষ তাই সহজেই সব সামলে নিয়ে উঠে পরীর হাত থেকে বাটাম কেড়ে নিয়েই গায়ের শক্তি দিয়ে একটা চড় মারল পরীকে।

– পরীর এবার পৃথিবীটা অন্ধকার হয়ে আসল। পরী পরে গিয়ে শুধু বলল ♥আল্লাহ্♥ আমার মানসম্মান টা রেখ।

– বিকাশ চিল্লায় বলল তোর ভয় নেই! একটা ছেলের গায়ে হাত দিস? দারা তোর এমন হাল করব নিজে কল্পনাও করতে পারবিনা বলেই শার্ট খুলতে লাগল।

– পরী গায়ে একদম শক্তি পাচ্ছেনা। বিকাশের শার্ট খোলা শুধু দেখেই যাচ্ছে। শুভ্রের চেহারাটা চোখের আগে ভাসতেই পরী কোনমতে উঠে পরে বিকাশ কে ধাক্কা দিয়ে চিলেকোঠা রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়।

– বিকাশ ভাবতেই পারেনি পরী আবার উঠে দাড়াবে। বিকাশ গিয়ে দরজায় লাথি মারতে থাকে আর বলে দরজা খোল বলছি। আজ যদি দরজাও ভাঙ্গতে হয় সেটাও ভেঙ্গে তোকে বের করে আনব। বাসায় কেউ নেই রিলাক্সে কাজ করব।

– ♥আল্লাহ্♥ দয়া কর আমার উপর বলেই পরী সেন্সলেস হয়ে পরে যায়।

– রাত ১০ টা পার হয়ে গেছে এর মধ্য। তাই নিতাই আর বিমলা ফিরে আসে বাসায়।

– বিকাশ অনেক লাথি মারে কিন্তু দরজা আর ভাঙ্গতে না পেরে নিচে নেমে দেখে নিতাই আর বিমলা বাসায় চলে আসছে। এবার বিকাশ ভয় পেয়ে যায়। তাই জলদি বাসা থেকে বের হয় অনেক কষ্টে।

– প্রায় রাত ১ টা বাজে। নিশু শেষে একটা গান গেয়ে অনুষ্টান শেষ করে দিল।

– সবাই বাসায় চলে আসে। শুভ্র সবাইকে বিদায় দিয়ে জান্নাতকে নিয়ে ২ টায় বাসায় আসে।

– পুরো বাসা ভরা মেহমান। অর্পিতার শশুড় বাড়ীর লোকজন এসেছে। তাদের কে সামলাতে পরীর খোজ কেউ নেওয়ার সময় পায়নি।

– শুভ্র যখন বাসায় আসে তখন যে যার রুমে সুয়ে পড়েছে। শুভ্র রুমে এসে দেখে পরী নাই। জান্নাতকে সুয়ে দিয়ে পরীকে কয়েক বার ডাক দিল। কিন্তু রিপ্লাই নাই।

শুভ্র বেলকুনি, বাথরুমে দেখে রুম থেকে বের হইল। সবাই ঘুমিয়ে পড়ছে হয়ত। পরীতো কারো রুমে যায়নি তাহলে গেল কই। শুভ্রের বুকের ভিতর ধক ধক করতে শুরু করল। শুভ্র দৌড়ে ছাদে গেল। সেখানেও নেই। কিন্তু ফুলের টব ভাঙ্গা দেখে ছাদে লাইট জ্বালিয়ে দেখল রক্ত পরে আছে আর চিলেকোঠা রুম অবদি রক্ত। পরী বলে চিলেকোঠা রুমের দরজা ধাক্কাতে লাগল শুভ্র। পরী তুমি ঠিক আছো! কিন্তু দরজা খোলার নাম নাই।

– শুভ্র দৌড়ে নিচে গিয়ে কৌশিক কে ডেকে আনে। কৌশিক জেগেই ছিল তাই শুভ্রর এক ডাকেই কাজ হয়।

কৌশিক আর শুভ্র গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে দড়জায় কয়েকবার ধাক্কা দিতেই দরজা ভেঙ্গে যায়। রুমে লাইট দিয়ে দেখে পরী একটু দুরে পরে আছে।

শুভ্র দৌড়ে গিয়ে পরীকে কোলে নিয়ে নিচে নামল। কৌশিকও পিছে পিছে এল।

– শুভ্র এটা কি করে হল। ওকে কেউ আক্রমন করেছে। নিজেকে সেভ করতেই ওখানে গিয়ে দরজা আটকে দিয়েছে।(কৌশিক)

– শুভ্র কথা বলতে পারছেনা। বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে অনেকটা।শুভ্র পরীর চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে দিতেই পরীর সেন্স ফিরে আসে। চোখ মেলে শুধু শুভ্রকে দেখছে কিন্তু কথা বলতে পারছেনা পরী। প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে ওর। শুভ্র পরীকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরল।

– পরীকে চেঞ্জ করে দিয়ে তারপর ধীরেসুস্থে শোন কি হয়েছিল বলেই কৌশিক চলে যায় রুম থেকে।

– শুভ্র পরীকে চেঞ্জ করে দিয়ে কপালের কাটা অংশ ড্রেসিং করে সব কমপ্লিট করে বলল রাতে কিছু খেয়েছ পরী!

– বিকাশ খুব খারাপ শুভ্র। আমাকে বলেই শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল পরী।

– শুভ্র সব কিছু বুঝতে পেরে বলল আমরা এ বিষয়ে কাল কথা বলব বলেই কিছু মেডিসিন খাওয়াই দিয়ে পরীকে সুয়ে দিল। হয়ত কিছুক্ষন পরই পরী ঘুমিয়ে যাবে। কারন ঘুমের মেডিসিন ও দিছে শুভ্র পরীকে।

– পরী শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে কেঁপেই যাাচ্ছে। শুভ্র শক্ত করে পরীকে জড়িয়ে ধরে রয়েছে বুকের সাথে। শুভ্রের ও কয়েক ফোটা পানি চোখ দিয়ে বেয়ে পড়ল। একটু পরই পরী ঘুমিয়ে পড়ে।

– ঐ রাতেই শুভ্র কৌশিককে নিয়ে বিকাশের বাসায় যায়। কৌশিক ওর মাসীকে কল দিতেই দরজা খুলে দেয়। বিকাশ ভাবছিল রাতে রিক্স নাই কাল সকালে বাসা থেকে চলে যাব। তারপর অনেকদিন লাপাতা থাকলে এমনি সব ভুলে যাবে। কিন্তু শুভ্রকে চেনার ওর অনেক বাঁকি ছিল।

– শুভ্র সোজা বিকাশের রুমে গিয়ে নক করে। কিন্তু দরজা খোলেনা।

এই এত্তরাতে তোরা আসছিস! বাসার সবাই ঠিক আছেতো? আজকেই তো চলে আসলাম তোদের বাসা থেকে এর মধ্য কি হল! ( মাসি)

– আরও কয়েকবার নক করার পর বিকাশের বউ দরজা খুলে দিতেই শুভ্র রুমের ভিতর ঢুকে দেখে বিকাশ ঘুমাচ্ছে। শুভ্র বিকাশের কলার ধরে টেনেহিচড়ে রুম থেকে বের করল। সবার সামনে ফটাফট কয়েকটা থাপ্পড় মাড়ল।

– শুভ্র ওকে মারছিস কেন বলেই বিকাশের মা চিৎকার দিয়ে ওঠে। বাসার সব মানুষ হাজির।

– শুভ্র কারো কথা শুনছেনা মনে হয় বিকাশকে আজ মেরেই ফেলবে। কৌশিক সহ সবাই শুভ্রকে টেনে নিয়ে যেতেই শুভ্র আবার এসে বিকাশের বুকে লাথি মারে। বিকাশ তো পরে যায় ধপ করে। কোন সাহসে তুই পরীর গায়ে হাত দিছিস । তোর একবারও ভয় হয়নি আমি তোর কি হাল করব বলে আবার চড় থাপ্পড় দিতে শুরু করল। তোর লাইফ টাই আমি হেল করে দিব দাড়া বলেই শুভ্র পুলিশকে কল দিল।

– এবার বিকাশ শুভ্রর পা জড়িয়ে ধরল। দাদা এবারের মত মাফ করে দাও। জিবনে এই কাজ আর করবনা। আমার ভুল হয়ে গেছে দাদা। আমায় এত্ত বড় শাস্তি দিও না।


– পরীও তোকে নিশ্চয় এভাবেই অনুরোধ করছিল তুই শুনেছিলি? ওর যদি কিছু হয়ে যেত তাহলে ওকে আমি কই পেতাম।


– দাদা দয়া কর আমায় আমি জিবনে এই মুখ দেখাবোনা। রাগে বশিভুত হয়ে কাজ টা করেছি।আর করবোনা।তবুও মাফ করে দাও বলে বিকাশ কাঁদতে লাগল।


– মাফ! কিসের মাফ? তোকে বলিনি ২য় বার এই কাজ করবিনা আবার একই ভুল কেন করলি বলেই থাপ্পড় দিতে শুরু করল শুভ্র ।


– কৌশিক এসে শুভ্রকে ধরে বলল এভাবে মারলে তো ও মরে যাবে ছাড় ওকে। যা করবে এবার পুলিশ করবে।

– কিসের পুলিশ ওকে আমি আজ মেরেই ফেলব। ওর সাহস কি করে হয় আমার পরীর গায়ে হাত দেওয়া। ওর কোন মাফ নাই। আগের বার যদি ওকে ছেড়ে না দিতাম তাহলে এমন কাজ করার আর ২য় বার সুযোগ পেতনা।


– এবার বিকাশের মা শুভ্রর পা জড়িয়ে ধরে বলে শুভ্র মাফ করে দে বাবা। আমি কথা দিচ্ছি ও ভুলেও তোদের সীমানায় যাবেনা।

– শুভ্র চট করে বসে পড়ে। মাসি কি করছেন আমার পায়ে কেন হাত দিছেন!
শুভ্র ওর মাসির কথা আর ফেলতে পারেনা। কৌশিককে নিয়ে চলে আসে বাসায় । সেদিন আর ঘটনাটি আর কেউ জানল না।


– অর্পিতার শশুড় বাড়ির লোকেরা বাসা থেকে গেলে তারপর ঘটনা গুলো সবাইকে বলে শুভ্র। এভাবে আরও কিছু মাস কেটে যায়। রনক একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার তাই বেশি ভাগ সময় দেশের বাহিরে থাকতে হয়। তাই অর্পিতা মায়ের বাসায় আছে।



– শুভ্র অনিলের কথায় আমেরিকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু অনিল আর যায়না।

– শুভ্র আমাকে ভুলে যাবিনা তো বাবা বলেই শুভ্র জড়িয়ে ধরে কান্না করে অনিতা।

– মা আমি ওখানে যাবনা। কিন্তু কিছুদিন পর হজ্বে যাব।

– না না মাধুরী দিদির হক আগে তোর উপর। ফিরে আসবি তো আবার?

– মা বললাম তো আমি যাবনা। তুমি আমার সব বলে অনিতার কপালে চুমা খায় শুভ্র।

– নিশ্চয় যাবি। গিয়ে কিন্তু রেগুলার কল দিবি। একদিন কল না দিলে আমি কিন্তু মরে যাব।

– এরকম কথা কেন বল তুমি বলেই অনিতাকে কোলে করে ওর রুমে এনে দরজাটা লাগিয়ে দেয়।
খাটে বসে দিয়ে অনিতার পায়ের নিচে শুভ্র বসে বলল মা! কেন এমন কথা বল। আমার কষ্ট হয়তো।

– অনিতা শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষন কাঁদল। সেদিন নিজের হাতে শুভ্রকে খেয়ে দিল। আমি কিন্তু তোর জন্য অপেক্ষায় থাকব। হজ্ব থেকে সোজা বাসায় আসবি।

– অবেশেষে অনিতার অনুমিত নিয়ে পরী আর জান্নাতকে নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি দেয় শুভ্র।


– শুভ্রকে দেখে অর্নব আর আশা কেঁদে ফেলে। আজ শুভ্র তার অস্তিত্বের খোজেই এত দুর এসেছে এবার। পরীর মাথায় কিছু ঢুকছেনা। কারন এদের সম্পর্কে সে কিছুই জানেনা।


– ওদের হিন্দু রিতিতেই বরন করল বাসার সবাই। পরী শুধু শুভ্রকে দেখছে। শুভ্রর চোখ ছলছল করছে।

– সবার সাথে পরীকে পরিচয় করে দিল শুভ্র। পরী দেখ এটা আমার সেই আঙ্কেল যিনি প্রফেসার হয়েও আমাকে ফ্রেন্ডের মত সময় দিছেন সব সময়। বিশাল যৌথ পরিবার। সবার খুব মিল। এত্ত সুন্দর ভাবে অতিথি আপ্যায়ন কোন পরিবার করে সেটা এখানে না আসলে পরী জানতই না। জান্নাতকে খুজে পাওয়ায় দায়। সবাই ওকে দেখে অবাক হচ্ছে সাথে প্রচুর আদরও করছে।

– শুভ্রকে মাধুরীর রুমেই এই প্রথম থাকতে দেওয়া হয়।
রুমে মাধুরীর অনেক ছবি। তবে একটা ছবিতে ওর বাবাও রয়েছে।

– শুভ্র উনি কে! আর বাবা তার সাথে কেন?

– তোমার আর একটা শাশুড়ি ছিলেন উনি। আমার জন্মদাত্রী মা। মাধুরী মা।

– এটাই মা! তাইতো বলি বাবা জান্নাতের নাম মাধুরী কেন রেখেছে আর সেদিন কেন ওভাবে আমায় বকা দিছে।

– মাধুরী মার মত তুমি হইছো শুভ্র। অনেক মিল আছে তোমাদের ২ জনের ভিতর।অনেক সুন্দর এই মা টা ছিল তাইনা?

– হুম বলেই শুভ্র সুয়ে পড়ে শুভ্র। পরী অনেক খুটে খুটে সব পিক দেখে ওর শাশুড়ির। শাশুড়ি মা আমার অনেক আধুনিক আর স্মার্ট ছিল। উনি বেঁচে থাকলে কি শুভ্রর সাথে আমাকে মেনে নিত! উমহ্ শুভ্র তো ওর মায়ের মত স্বাভাবের তাহলে মাও নিশ্চয় আরো ভাল ছিল। মেনেই নিত বলে পরী শুভ্রের পাশে সুয়ে পড়ল।

– পরদিন সকালে অর্নব শুভ্রকে নিয়ে একটা জায়গায় যায়।
শুভ্র! এটা তোমার মায়ের কবর। তোমার মা শুধু তোমার জন্য নিজের শরীর অবদি পুরতে নিষেধ করেছে। বড় হয়ে যাতে তুমি তোমার মাকে খুজে পাও এই জন্য। আমার মনে হয় তোমার মেয়ের মধ্য মাধুরীর আবার জন্ম হয়েছে।

– শুভ্র আর কিছু না বলে মায়ের কবর জিয়ারত করে। শুভ্র ভাল করে জানে কবর জিয়ারত করা যাবেনা অন্য ধর্মের তবুও মন মানেনি। তাই ও যত কিছু দোয়া কালেমা শিখেছে সব গুলো অনেকক্ষন দাড়িয়ে পড়ল। কবরের পাশে দাড়িয়ে অনেক কান্না করল নিশব্দে। শুভ্রর কান্না দেখে অর্নব চুপ করে আছে। এত জিবন ও শুধু একা কেঁদেছে এই কবরের পাশে দাড়িয়ে। শেষে মায়ের জন্য দোয়া করে বাসায় ফিরল শুভ্র ওর নানুর সাথে। কয়েকটা দিন বেশ কাটলো ওদের। পরীকে নিয়ে অনেক জায়গা ঘুরে দেখাল শুভ্র। অনেক ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করল। মেয়ে ফ্রেন্ডরা যখন শুভ্রকে জড়িয়ে ধরছে তখন পরী রাগে ফুলে উঠছে। বাসায় এসে শুভ্রকে গোসল করিয়ে তার পর বেডে জায়গা দেয় পরী।


– শুভ্র একদিন আশার সঙ্গে বসে গল্প করছিল। এমন সময় মিতালী দৌড়ে এসে শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে ওর দিদুনের সামনে এবং কয়েকটা কিস করল।

– শুভ্রতো চমকে উঠল মিতালী কে দেখে। শুভ্র ২ হাত পিছে গিয়ে বলল দিদি কি করছেন এসব।
আশাও মিতালী কে ধমক দিয়ে বলল লাজ লজ্জা কি সব খাইছিস?

– মিতালী কোন কথা না শুনে বলল শুভ্র তুমি এতদিন হয়ে গেল এসেছো একবারও জানানোর প্রয়োজন বোধ করনি? মিতালী কান্না করতে করতে আবার শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে বলল আমি তোমাকে এখনও ভালবাসি শুভ্র। কত কষ্ট হয় তোমাকে ছেড়ে থাকতে। কেন তুমি বোঝনা,,,,,,

– আশা রুম থেকে বের হয়ে অর্নব আর মিতালীর বাবাকে ডাকতে গেল।

– পরীও শুভ্রকে ডাকতে রুমে ঢুকতেই দেখে একটা মেয়ে শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে কিস করছে। সেটা দেখে ও রেগে গিয়ে এসে মিতালীকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।
এই মেয়ে আপনি আমার শুভ্রর গায়ে হাত দেন কিভাবে।

– মিতালী তোহ্ ভিষন রেগে গিয়ে পরীকে একটা চড় মেরে বলল এটা কে শুভ্র?( মিতালী)

– শুভ্রও বেশ অবাক হয়ে যায় মিতালীর কান্ড দেখে।দিদি কি করছেন এসব। ও আমার ওয়াইফ। আপনি কিভাবে এত্ত নিচু কাজ করলেন। এমন তো আপনি ছিলেন না!

– মিতালী ভাল করে পরীকে দেখে ভদ্র ভাষায় অপমান করতে লাগল । শুভ্র কিছু বলতেও পারছেনা। পরীকে মিতালী নিজের সাথে তুলনা করে যা ইচ্ছা তাই বলতে লাগল। আমার কাছ থেকে শুভ্রকে ছাড়ানোর তুমি কে! নিজের কোয়ালিটি দেখছো,,,,,, ওর যোগ্য তুমি?



– শেষে পরী একটাই কথা বলল ” আপনার কাছে রাজপ্রাসাদ থাকতে পারে,,,,, সৌন্দর্য, ঔশোর্য থাকতে পারে কিন্তু আমার কাছে শুভ্র নামে একটা মহামূল্যবান রাজা আছে তাই রাজপ্রসাদ বা অন্য কিছুর আমার প্রয়োজন নেই” বলেই চলে আসে নিজের রুমে।

– মিতালীর ছবির দিকে তাকিয়ে পরী কান্না করতে করতে বলল দেখছেন মা! আপনার ছেলে কতবড় বেয়াদপ একটা কথার প্রতিবাদ করলনা। জঘন্য খারাপ একটা মানুষ আপনার ছেলে। খুব কষ্ট দিছে আমাকে আজকে। বজ্জাত, ইতর, খাটাস্ বলে নানা রকম গালি দিতে লাগল পরী শুভ্রকে। পরী কেঁদেই চলছে।

– শুভ্র দরজার বাহিরে থেকে সব শুনে বলল আজ বাঘিনী ক্ষেপে গেছে। ঠান্ডা করতে যে কি খড়কাঠ আমাকে পোড়াতে হবে ♥আল্লাহ্♥ ভাল জানে।

আমি বেয়াদপ! বলে শুভ্র রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিল। শুভ্র পরীর একদম কাছে এসে দাড়াল এবং নিজের শার্টটা খুলে ফেলে দিল।

– পরী কোন কথা বলছেনা। শুধু কেঁদেই চলছে। এই একদম আমার কাছে আসবেনা অসভ্য একটা।

– আমি বিয়াদপ আবার অসভ্যও তো তাহলে অসভ্যতামি করেই ফেলি। কি বল পরী বলেই শুভ্র পরীর শাড়ীটা খুলে ফেলল।

– এই একদম কিন্তু আমাকে পটাতে আসবেনা। তুমি খুব খারাপ। শুধু খারাপ নও একদম নষ্ট খারাপও বটে।

– আর কোন গালি থাকলে দিতে পারো পরী! আজ তোমার জন্য সব মাফ বলেই পরীকে বুকে টেনে নেয় শুভ্র।

– আমায় ছাড়ো বলছি বলেই পরী নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করল। কিন্তু শুভ্রর শক্তির কাছে ও কিছুতেই পারল না। শেষে শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল পরী। মিতালী কেন তোমাকে ছুবে বলেই পরী পাগলের মত শুভ্রর বুকে কিস করতে লাগল। আমার শুভ্রকে ছোয়া! আমি না ঐ হাত ভেঙ্গে দিব। ও জানেনা এই শরীর আর মনের উপর এক মাত্র পরীর অধিকার। কেন বোঝেনা ওরা। শুভ্রকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে পরী ফিকরে কাঁদতে থাকে।

– শুভ্র পরীর কোমড় ধরে একটু উপরে তুলে ঠোটে কিস করে বলল ঘটনা গুলো অনা কাংক্ষিত ভাবে ঘটে গেছে তাই বাদ দাও সব।

– কিসের বাদ! ও জানেনা তুমি বিবাহিত বলেই শুভ্রর কাছে থেকে নিজেকে ছাড়াতে ব্যাস্ত হয়ে গেল পরী।


– এত্ত ছটফট করছো কেন জান! আজ তোমাকে বাচ্চা দিব। আমার আরও একটা মেয়ে চাই। ২ টা মা দরকার আমার।

– একটার ঝামেলা সইতে পারছিনা আরও একটা! কখনও না। আশা বাদ দিয়ে দাও হুম।

– তোকে তো আমি আবার একটা আমার সন্তান দিবই বলে শুভ্র পরীকে সম্পূর্ন গ্রাস করে ফেলে। পুরো শরীরে শুভ্রর কিস পরী কে সম্পূর্ন পাগল করে দেয়।
২ জনেই পরিপূর্নর দিকে এগিয়ে যায়।


– শুভ্র পরীকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে সুয়ে আছে।
পরী! এবার আমাদের সম্পূর্ন জিবন পাল্টানোর সময় চলে এসেছে। এখন থেকে তোমাকে সম্পূর্ন পর্দার ভিতর থাকতে হবে।

– সব সময় থাকতে হবে বলে পরী শুভ্রর বুকে কিস করল।

– হুম,,,,,, পরীর রুপ, শরীর সব কিছু শুভ্রর জন্য তাই ফুল পর্দা। আর আজ থেকে আমিও সিগারেট ছেড়ে দিব বলেই পরীর বুকে কিস করল শুভ্র।

আরও ২ দিন পর সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পরী আর জান্নাতকে নিয়ে শুভ্র হজ্বের পথে রওনা দিল। দেশে ফিরে নিজেদের মত সুন্দর করে জিবন গোছাবে ওরা।এভাবেই সুখে ও শান্তিতে থাকুক ওদের জিবন এটাই কামনা।

_____সমাপ্ত

বিদ্রঃ আজ থেকে লেখক আর পাঠকের মধ্য এখানেই সম্পর্ক স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে গেল। আমি জানিনা আর লিখতে পারব কিনা কোন গল্প। কিছু পাঠক আমার লেখা নিয়ে অনেক প্রশ্ন করেছিল গল্পটি কি আমার লেখা না কপি করা। এই জেদ নিয়েই গল্পটি ইচ্ছা করে এত্ত বড় করেছি। পাঠক ছাড়া লেখকের কোন দাম নাই তাই প্রতিটা পাঠককে আমি অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি এবং ভালবাসি। সব পাঠকদের আমার আত্ত্বার ভিতর থেকে ভালবাসা জানাই। আমার কোন ভুলত্রুটি হলে দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। পুরো গল্পটি কেমন হয়েছে প্লিজ সবাই জানাবেন। কমেন্ট পড়তে আমি খুব ভালবাসি।

1 COMMENT

  1. অনেক সুন্দর গল্প পড়ে খুব ভালো লাগল
    এই নিয়ে ষোল বার পড়লাম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here