অস্তিত্বে_চাই_তোমার_ছোঁয়া পর্ব_৯

অস্তিত্বে_চাই_তোমার_ছোঁয়া পর্ব_৯
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)

১৪.
অস্বস্তিকর দশায় পড়ে গেল ইফদিয়ার। সম্মুখে রবিউল সাহেব দাঁড়িয়ে আছেন। কানে শুনতে পেলেন কোনো মেয়ের কাঁচের চুড়ির আওয়াজ। বুঝতে সক্ষম হলেন কোনো মেয়ে নিশ্চিত দাঁড়িয়ে অস্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। দরজা আলগা খুলে অনুরক্ত কণ্ঠে বলেন,

‘কে তুমি মামুনি!’

দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়া ইফদিয়ার আমতা আমতা করে বলে,

‘আ আঙ্কেল আ আমি যায়াজ ভাইয়ের কাছে প্রাইভেট পড়তে এসেছি।’

নিজের কথায় বোকা বনে গেল। শেষমেষ মিথ্যে বলে দিল। কিই বা করবে এ সুযোগটা লুফে নেওয়ার জন্যে বাসার ভেতর প্রবেশ করতে পারবে। রবিউল সাহেব আশ্চর্য হয়ে বললেন,

‘কিন্তু যায়াজ নামের কেউ নেই আমার বাসায়।’

অক্ষিজোড়া আপনাপানি ডিম্বাকার হয়ে গেল ইফদিয়ার। সে ‘যায়াজ’ নামটা যাবিয়াজ কে ভালোবেসে ডাকে। সেখানে পুরুপুরি যাবিয়াজ এর বাবার সামনে কিনা বলে ফেলল। ভেবেই ভিজা গলায় ঢোক গিলল। মুচকি হাসার ভান করে বলে,

‘আঙ্কেল স্যারের নাম এভারেস্টের মত বড়। ওতো বড় ডাকতে পারি না। অতঃপর নাম ছোট করে ফেললাম হেহে।’

ব্যবলাকান্তের মত হেসে ফেলায় নিজে লজ্জা পেল ইফদিয়ার। রবিউল সাহেব মেয়েটিকে বিনা দেখে শুধু অনুভবে বুঝতে পারলেন। যে মেয়েটি ভীষণ চঞ্চল,সাবলিল ও প্রাণবন্ত। কথার মধ্যে অনন্য মাধুয্যতা পেয়েছেন। তার চেয়ে বড় কথা মেয়েটির কণ্ঠধ্বনি আর হাসির শব্দ যেন গভীর সম্পর্কের কারো সঙ্গে মিলে। ভাবতেও যেন রবিউল সাহেবের হৃদয়ের দলা নেড়ে উঠে। পরম আবেশে ইফদিয়ার মাথায় নিজের হাত বুলিয়ে দিল। আকস্মিক হাত বুলানো দেখে স্তদ্ধ হয়ে পড়ে সে। কখনো বাবার ভালোবাসা পায় নি। এমনকি ‘বাবা’ শব্দটির সঙ্গে সে পরিচয় হয়নি। শুধু বাবা আছে বলে সেই বাবার নামের শব্দটি বহন করে যাচ্ছে। রবিউল সাহেব কি করছেন বুঝতে পেরে হাত সরিয়ে নিলেন। ইতস্ততঃ হয়ে চোখের কালো চশমা সরিয়ে চোখ চুলকালেন। হয়ত ময়লা পড়েছে ভেবে ইফদিয়ার স্বাভাবিক দাঁড়িয়ে রইল। বাসার চৌকাঠ হতে ভেতরের দিকে দৃষ্টিকোণ রাখছে। অক্ষিদ্বয় যে প্রিয় মানুষের সান্নিধ্য পাওয়ার লোভে প্রখর হয়ে পড়েছে। অথচ রবিউল সাহেব নিজের চোখে আসা অনাকাঙ্ক্ষিত অশ্রু কালো ফ্রেমের চশমার গোপন হতে মুছে নিলেন। ইফদিয়ার কে দুঃখী কণ্ঠে বলেন,

‘মামুনি যাবিয়াজ বাবা বাসায় নেই। সেই যে বেরিয়ে হয়েছে দেড় ঘণ্টা হবে।’

কথাটি শুনে রমণীর মুখটা মলিন হয়ে গেল। নিম্র কণ্ঠে ‘আচ্ছা’ বলে বিদায় নিচ্ছিল। সেই মুহূর্তে উচ্চ ধ্বনি তার কানে ভেসে আসে। পিছে ঘুরে দেখে রবিউল সাহেব গলা চেপে ধরে জোরে জোরে কাশি দিচ্ছেন। উনাকে বেশ দূর্বল, আতঙ্ক আর অস্বাভাবিক দেখাচ্ছে। যা লক্ষ করে ভীষণ ভয় পেল ইফদিয়ার। চট জলদি পা ফেলে বাসায় প্রবেশ করে রবিউলকে ধরে সোফায় বসিয়ে দিল। কিন্তু রবিউল সাহেবের গলার কাশি থামছে না। অকারণে কেশে যাচ্ছেন। ইফদিয়ার মাথায় বুদ্ধি এলো। সে ডাইনিং টেবিল আছে কিনা খুঁজছে। পরক্ষণে পেয়েও যায়। সেখানে গিয়ে দেখে টেবিলে ভাতের প্লেট এটোঁ রাখা। তার মানে এই খাবারটা খাচ্ছিলেন তিনি। অন্য প্লেটে হাত ধুয়ে একটি বাটিতে একমুঠো ভাত নিল।
ভাত কে হাতের মুঠে চেপে চেপে টেনিস বলের মতো বানিয়ে বাটি নিয়ে রবিউল সাহেবের কাছে এলো। তিনি এখনো গলায় হাত রেখে কাশি দিচ্ছেন। ইফদিয়ার ব্যতিব্যস্ত কণ্ঠে বলে,

‘আঙ্কেল এই ধরেন টেনিস ভাত। মুখে পুরে নেন। কিন্তু চাবাবেন না সোজাসুজি গিলে নেন। দেখবেন কাঁটা নেমে যাবে।’

রবিউল সাহেব আগপিছ না ভেবে হাতে ভাতের মুঠো পেয়ে গিলে ফেললেন। এভাবে তিনবার গিলার পর সিদ্ধি করতে পেরে স্নেহময়ী গলায় বলেন,

‘ধন্যবাদ মামুনি। আজ একটুর জন্যে মরণ হতে চলেছিল।’

‘এমন বলবেন না আঙ্কেল। আপনি আমার বাবার বয়সী। কেমনে আপনার মরণ হতে দেখতাম!’

‘কিন্তু মামুনি তুমি বুঝলে কি করে আমার গলায় মাছ আঁটকে গেছে।’

‘ওহ আঙ্কেল ডাইনিং টেবিলে আপনার এঁটো খাবার রাখা দেখলাম। সেখানে ইলিশ মাছের ভর্তা আর ইলিশ মাছের ভাজি রাখা দেখে বুঝতে পারলাম। গলায় বোধ হয় কাঁটা আঁটকে গেছে।’

‘বাহ! চমৎকার পর্যবেক্ষক তুমি।’

‘হেহে এজন্য ডিটেক্টিভের মত আপনার ছেলেকে পাহাড়া দেই হুম!’

‘এ্যাঁ কি বললে!’

থতমত দৃষ্টি রাখে ইফদিয়ার। দাঁত দিয়ে জিভ কেটে অপ্রস্তুত ভঙ্গিমায় বলে,

‘আহ আপনার ছেলে বিবিধ বুদ্ধির অধিকারী।’

‘কি বলছো মামুনি! তোমার মতে তাকে বুদ্ধিবান লাগে। আমার তো যাবিয়াজকে এটম বোমক গাধা লাগে।’

ইফদিয়ার সংকোচিত দৃষ্টিতে অবাককর গলায় বলে,

‘কেনো আঙ্কেল আপনার ছেলের প্রতি উদাসীনতা কাজ করে !’

‘না রে মামুনি আর কত বছর একা নাতী-নাতনীর ডাক না শুনে থাকব। একে তো চোখের জ্যোতি নেই। তারপর দাদা ডাক না শুনার বেদনা। বুড়ো হয়ে গেলাম। ছেলেকে বারংবার বলেছি বিয়ে করে নিতে। একটা বউমা থাকলে আমারও সুবিধা গল্প করার মতন মানুষ পাবো। সেখানে নাতী নাতনী আসলে তো কথাই নেই।’

ইফদিয়ার শুনে স্বাভাবিক রইলেও। তার ভেতরটা মুচোড় দিচ্ছে। কেননা সে প্রথম থেকে ভেবে এসেছিল রবিউল সাহেব দেখতে পান। দেখার পরই হয়ত সাবলীল ভাষায় কথা বলছেন। বাবার মত মানুষটার যে চোখের জ্যোতি নেই শুনতেই ক্লেশকর রোগের কবলে পড়ে। সংযত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এই বাবা আর তার বাবার মধ্যে পার্থক্য খুঁজার চেষ্টা করে। উত্তর পেল এই বাবা হলো আল্লাহর তৈরি উদারচিত্ত হৃদপিন্ডে গড়া এক মানব। অন্যদিকে আহসান নামক বাবাটা হলো আল্লাহর তৈরি এমন মানব যা শয়তানের প্ররোচনায় দ্বীনপথ ভুলে গিয়ে কুকর্মে লিপ্ত হয়েছে। সত্যি আল্লাহ সবাইকে পূর্ণভাবে সব মেলায় না। অনেকের ভাগ্য এমন হয় যে তারা পুরু পরিবার পাই তবে কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি ছুটে যায়। হয়ত সেই কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি হারানোর ছিল তাই হারিয়ে যায় জীবন থেকে। হঠাৎ রবিউল সাহেবের সাড়ায় দেন ফেরে ইফদিয়ার। হরবরিয়ে খেয়াল করে বেলা ৩টা শেষ হবার উপক্রম। আসরের আযান শুরু হবে। সে এখনো যাবিয়াজের বাসায় ব্যাপারটা ভালো দেখায় না।
রবিউল সাহেবের কথার পিঠে সাবলীল কণ্ঠে বলে,

‘আঙ্কেল আজ আছি। ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।’

রবিউল সাহেব পুনরায় নিজের হাতের স্পর্শ মাথায় রাখলেন ইফদিয়ার। হাত বুলিয়ে বলেন,

‘সুখী হউ মামুনি সাবধানে বাড়ি যেও আর দুঃখিত আমার ছেলেটা না থাকায় তোমার কথা জানাতে পারলাম না। আল্লাহ হাফেজ।’

ইফদিয়ার সালাম বিনিময় করে বেরিয়ে গেল। মাঝপথে হেঁটে যাচ্ছে। রাস্তায় অগণিত ছেলেমেয়ে হাঁটাচলা করছে। কিছু ধার্মিক মেয়েও হেঁটে যাচ্ছে। তবে তাদের দেখে কোনকালে ধার্মিক মনে হচ্ছে না। কারণ তাদের পরণের বোরকা শরীরের সঙ্গে ফিট করা। অথাৎ শরীরের প্রতিটা অঙ্গ বোরকার উপরে দৃশ্যপট হচ্ছে। মুখে নেকাপ পরেছে তাও কপাল আর নাকের ডগা পর্যন্ত উম্মুক্ত। তাদের দেখে কয়েকজন ছেলে শিষ বাজাচ্ছে। ঐ মেয়েগুলো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যাচ্ছে।
অথচ সে যাচ্ছে তার উপর কারো নজর নেই। ভেবেই মুচকি হাসি দিল। কারণ তার পরণের ফ্রক হচ্ছে মোটা,ঢিলেঢালা। যার কারণে শরীরের কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দৃশ্যমান হচ্ছে না। ঘন নীল রঙের হিজাব দিয়ে চোখ-কপাল-নাক আবৃত করে রেখেছে। দূর পথে হেঁটে এসে হাঁপিয়ে গেল। সেদিনের ঘটনা মনে পড়ে যায়।

অতীত…

যাবিয়াজের ধমকে লাফিয়ে উঠে ইফদিয়ার। নিজের বুকের উপরে কয়েকবার ফুঁ দিয়ে বলে,

‘ঐ শশ্নান ঘরের ভূত এমনে কেউ চিল্লাই।’

‘কোল পাইছো বলে আয়েশে ঘুমাচ্ছো। নামনো কোল থেকে। লজ্জা করে না ছেলের কোলে পড়ে থাকতে।’

‘ও আল্লাহ লজ্জা কিসের নিজের হবু জামাই এর কোলে উঠতে।’

‘ইউ।’

‘লাভ ইউ বলবা যে সোনা। কবে যে বলবে বলদ।’

‘হেই ইউ আমি বলদ হলে তুমি গাভী।’

‘ওকে ইউ আর মাই কাউ।’

যাবিয়াজ নামিয়ে দিল। জোর করে হলেও কেননা গাড়ির কাছে চলে এসেছে। কিছুক্ষণ পর স্কুল ভার্সিটি ছুটি হয়ে যাবে। কেউ দেখলে আবার কেলেঙ্কারি লাগিয়ে দিবে। ইফদিয়ার যুবকের চৌপাশ নজর বুলানো দেখে সেও দৃষ্টি দিল। দশা করুণ হবে ধারণা করে দাঁড়িয়ে যায়। যুবকের পাশ কেটে হাঁটার ব্যর্থ চেষ্টা করতে গেলে যাবিয়াজ বিনাবাক্যে জোর করে গাড়িতে বসিয়ে দিল। রমণী টু শব্দ পর্যন্ত করল না। ভাবল বেশি বিরক্ত করা হয়ে যাবে। গাড়ি বাসা পর্যন্ত আসা অব্দি দুজনের মধ্যে নিরবতা কেটেছে।
বাসায় এসে ইসমাইল এর সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিয়ে ছিল। কোমরে কেমনে ব্যথা পেয়েছ জিজ্ঞাসা করলে ওয়াশরুমে পড়েছে বলে জানিয়ে দিল। ফলে ভাইয়ের দেওয়া মলম ব্যবহার করে কোমরটাও দারুণ বেদনামুক্ত হয়েছে।

১৫.

ভাবনার বিচ্ছেদ কাটিয়ে পার্কের বেঞ্চে বসে পড়ে। আজ যাবিয়াজ কে খুব দেখার ইচ্ছে জেগে ছিল। কারণ সে স্কুলে যায় নি এই ধরে দুদিন। যার ফলে যাবিয়াজকেও দেখার সুযোগ পায় নি। কোমরের ব্যথা কমে গেলেও কাল থেকে স্কুলে যাবে। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
আকস্মিক কেউ ‘পুচকি ভাবি’ বলায় ঘাবড়ে গেল ইফদিয়ার। পাশে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে সুশ্রী এক রমণী। জগিং সুট পরে আছে। ঘার্মাক্ত মুখের মধ্যে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় হাঁপাচ্ছে। আফসোস সে চিনতে না পারায় বলে,

‘জ্বি আপু বুঝলাম না আমি ভাবি!’

‘না রহিমা খালাম্মা তোমার ভাবি।’

‘এটা আবার কে।’

‘ধুর ছাতা তোমাকে উদ্দেশ্য করে ডাকছি।’

‘কি যে বলো না আপু। আমি অবিবাহিত বালিকা। কিশোরী বলতে পারো বিয়ে করার সময় হয়নি।’

‘আহা বিয়ে করার সময় হয়নি। বরঞ্চ পিরিত করে বেড়াও।’

বড়জোড় জটকা খেল ইফদিয়ার। চট করে বোকার মত প্রশ্ন করে।

‘কার সঙ্গে পিরিত করলাম আপু! এটা কোথাও ভাইরাল হয়েছে। বিশ্বাস করো আপু এক জীবনে যাবিয়াজ সোনা ছাড়া কারো লগে পিরিত মারার স্বপ্নও দেখি নাই।’

শ্রেয়িতা ইফদিয়ার বেক্কলপূর্ণ কথায় হেসে ফেলে।
সে জগিং করে বিকালবেলায়। পার্কে অন্য মেয়ে একলা বেঞ্চে বসে থাকায় সেও বসে পড়ে। যেহেতু ছেলে-বৃদ্ধরা বাকি বেঞ্চ দখল করে রেখেছে। সেহেতু অচেনা ধার্মিক মেয়ের পাশে বসে পানি পান করে। পরবর্তীতে খেয়াল করে স্বয়ং যাবিয়াজের লাভকুমারী ইফদিয়ার বসা।
পার্কে দারুণ পরিচয় হলো দুজনের। শ্রেয়িতা বয়সে বড় হওয়ায় ইফদিয়ার ‘শ্রেয়িপ্পি’ বলে সমব্ধন করে। শ্রেয়িতা বারণ করলেও শুনে নি। পরন্তু সেও জবাবদিহি করে ইফদিয়ারকে ‘ইফুডল’ বলে ডাকবে। ইফদিয়ার সম্মতি দিল। সে হেসে শ্রেয়িতা কে বলে,

‘আপু চলো না আমার বাসায়। আমার বাসা এইতো ৪নং গলির মোড়ে। এখান থেকে আর ৫ মিনিট হাঁটলে বাসায় পৌঁছে যাবো।’

শ্রেয়িতা নাকচ করে দেওয়ায় মন খারাপ হলো তার। যা পর্যবেক্ষণ করে সে উঠে দাঁড়িয়ে বলে,

‘চলো একটা দৌড় হয়েই যাক। ৫ মিনিট এর পৌঁছানোকে ১ মিনিটে শেষ করে দেয়।’

খুশি হয়ে ইফদিয়ার আর শ্রেয়িতা দৌড় লাগায়। শ্রেয়িতা জোরে যেতে চেয়েছিল অন্যথায় যায় নি। কারণ ইফদিয়ার বোরকা পরিহিত ছিল। যার ফলে সে হোঁচট খেতে পারে ভাবে আস্তে ধীরে দৌড়ায়। ইফদিয়ার ব্যাপারটা সহজ করে দিয়ে শ্রেয়িতার হাত ধরে বাসায় প্রবেশ করে।
ইফদিয়ার শ্রেয়িতাকে নিজের রুমে নিয়ে গিয়ে আম্মার একটা শাড়ি দিয়ে বলে,

‘আপু ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি নাস্তা দেবো খেয়ে যাবে প্লিজ প্লিজ।’

শ্রেয়িতার ক্লান্ত লাগছিল। তাই না করে নি। ওয়াশরুমে শাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে।

ইসমাইল চেম্বার থেকে বাসায় এসে দেখে দরজা ভিজানো। ঢুকে দেখে কিচেন থেকে মুরগীর রোস্টের ঘ্রাণ ভেসে আসছে। ঘ্রাণ শুকে বুঝতে পারল তার ‘ইফুপাখি’ বোনটা ভীষণ খুশি আজ। সে যেদিন খুশি হয় সেদিনই ভালো রান্না করে। অন্যান্য সময় ভেজিটেবল নিয়ে রান্না চালিয়ে দেয়। বোন কাজে ব্যস্ত হওয়ায় ভাইকে খেয়াল করে নি। ইসমাইল ছন্দবেশী হয়ে রুমে চলে এলো। মৃদু হাসি দিয়ে যেই ফিরল তৎক্ষণাৎ গগনবিদারী চিৎকার দিল।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here