আঁধারের_গায়ে_গায়ে তমসা_চক্রবর্তী পর্ব-১

আঁধারের_গায়ে_গায়ে
তমসা_চক্রবর্তী
পর্ব-১

“আমি কুশল সিংহ,পিতা অরিন্দম সিংহ,বাড়ি মানিকতলা,থানা মানিকতলা, জেলা- কলকাতা।তারিখ-১৫/০৭/২০১৯

আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আমি আমার তিন বন্ধুর সঙ্গে বাইপাস লাগোয়া শের-ই-কলকাতা ধাবায় যাই নিজের জন্মদিন পালন করতে। ঘন্টা দুয়েক পর যখন ধাবা থেকে বেরিয়ে আসি তখন দেখি আমার বাইকটা কোথাও নেই।
বাইকটা কালো রঙের ইয়ামাহা এফ জেড এস মডেল ছিল।অনেকক্ষন আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করার পরেও যখন বাইকের হদিশ পেলাম না তখন বাধ্য হয়েই থানার দারস্থ হয়েছি।আশা রাখছি পুলিশ আমার বাইকটি অনুসন্ধানের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে”!!

সামনে বসা বছর চব্বিশের যুবকের কমপ্লেনটা ভালো করে পড়ার পর সেকশন ৩৭৯ IPC তে চুরির অভিযোগ রুজু করলেন সার্ভে পার্ক থানার এস আই অভিজিৎ মজুমদার।সইসাবুদের পালা মিটিয়ে এফ আই আরের খাতাটা বন্ধ করার পর অভিজিৎ বাবু কুশলকে বলেন,

-“দেখুন কুশলবাবু,এখন প্রায় রাত সাড়ে এগারোটা বাজতে চলেছে। আপনি এখন বাড়ি যান। এই অঞ্চলে পুলিশের যত খবরি আছে আমি এখনই তাদের খবর দিচ্ছি।আর কাল সকাল থেকেই পুলিশ তার নিয়ম মাফিক তদন্তও শুরু করে দেবে।কোনো খবর পেলেই আপনাকে খবর দেওয়া হবে”!!

দিশেহারার কুশল মাথা নিচু করে প্রায় কাঁদো কাঁদো গলায় সাব ইন্সপেক্টর মজুমদারকে প্রশ্ন করে,

-“গাড়িটা কি আর পাওয়া যাবেনা স্যার!!সেই মাধ্যমিক দেওয়ার পর থেকে স্বপ্ন ছিল একটা স্পোর্টি লুক বাইক কিনবো। কিন্তু বাবার পক্ষে একটা ছোট বেসরকারি চাকরি করে, আমাদের দুই ভাইবোনের পড়াশোনা সামলে, সংসার চালিয়ে বাইক কেনার সামর্থ্য ছিল না।মাস আটেক আগে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে আমি একটা ভাল কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার পর একটু একটু করে টাকা জমিয়ে ৫০% ডাউন পেমেন্ট আর বাকিটা ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে আগের মাসেই কিনেছিলাম বাইকটা।প্রায় এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা দাম পড়েছিল।এখন কি করব বলুন তো স্যার”!!

নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা অভিজিৎ মজুমদার নিজের পরিশ্রমের জোরে আজ এতটা পথ পেরিয়ে, মোটামুটি একটা সচ্ছল জীবনে পা রেখেছেন।তাই সেইরকমই একটা পরিবারে থেকে, নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করার পর নিজের সখ পূরণ করতে পারাটা যে নিতান্তই সোজা কাজ নয় তা উনি ভালোই বোঝেন। তাই কুশলের কথাগুলো শোনার পর ছেলেটার ওপর খানিকটা মায়াই হলো সাব ইন্সপেক্টর মজুমদারের। কোথাও যেন কুশলের মধ্যে নিজের যৌবনের একটা ঝলক দেখতে পাচ্ছিলেন। তাই কুশলকে খানিকটা আশ্বস্ত করে বললেন,

-“আসলে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই এই অঞ্চলে বাইক চুরির কেস বেশ বেড়ে গেছে।তাই ইতিমধ্যেই আমরা আমাদের সব সোর্স অ্যাকটিভ করেই রেখেছি। কাল আমি নিজে ওই ধাবায় গিয়ে তদন্ত শুরু করব।এত চিন্তা করবেন না! আমরা আপনাকে বাইকটা ফিরে দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
তবে যদি ফেরত না পান..”,

সাব ইন্সপেক্টর মজুমদার কথাটা শেষ করার আগেই ওনার চোখ পড়ল কুশলের চোখদুটোর ওপর।ছেলেটার চোখে এক তীব্র যন্ত্রনার ছায়া।

-“না না.. প্লিজ, আমার কথা শুনে আশাহত হবেন না।আমি শুধু বলতে চাইছি মনকে শক্ত করুন।অনেক সময় কি হয় জানেন তো, বাইক চুরির পর ওরা পার্টসগুলো আলাদা করে বিক্রি করে দেয়।যদি সেরকম কিছু হয়েও থাকে তাহলেও চিন্তার কোনো কারন নেই কুশলবাবু। ইন দ্যাট কেস, আপনি যাতে কোনো অর্থনৈতিক সমস্যায় না পড়েন সেই ব্যবস্থা আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করে দেব। আপনার ইনসিওরেন্সের ক্লিয়ারেন্স পেপার যাতে কোনোভাবেই না আটকায় সেইদিকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে নজর রাখব,ঠিক আছে!!অনেক রাত হয়েছে। আপনি এবার বাড়ি ফিরে যান।আমি যথা সম্ভব চেষ্টা করব যাতে আপনার বাইকটা উদ্ধার করা যায়”!!

সাব ইন্সপেক্টর অভিজিৎ মজুমদার কথাগুলো শেষ করতেই কুশল শুকনো মুখে ওনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে থানা থেকে বেরিয়ে গেলে ওর গমন পথের দিকে তাকিয়ে একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন অভিজিৎ বাবু।

‘সব ক্ষতি কি আর অর্থ দিয়ে পূরণ হয়!!ছেলেটার মনের মধ্যে এইমুহুর্তে হারানোর যে যন্ত্রনা আছড়ে পড়েছে তার মেরামতি করা কি আর অর্থের দ্বারা সম্ভব!!বাড়ির লোকজন যদি এখন এই খারাপ সময়ে ওর পাশে থাকে তাহলে হয়ত ছেলেটা তাড়াতাড়িই এই খারাপ সময় কাটিয়ে উঠবে।নচেৎ কে জানে কি হবে’!!

অগোছালো চিন্তার মধ্যেই নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়লেন সাব ইন্সপেক্টর অভিজিৎ মজুমদার।পাশের টেবিলে বসা কনস্টেবলের দিকে তাকিয়ে বললেন,

-“চললাম সামন্ত।কাল আবার মর্নিং ডিউটি আছে”!

-“কাল কি স্যার সকালে ধাবা হয়ে আসবেন”!!

এতক্ষন ধরে চুপ করে বাইক চুরির ঘটনাটা শুনতে থাকা কনস্টেবল সামন্তের প্রশ্নের জবাবে একটু ভেবে উত্তর দিলেন অভিজিৎ মজুমদার।

-“না। ওত সকালে ধাবায় গিয়ে কোনো কাজ হবে না বুঝলে!!তার থেকে বরং ওই দশটা নাগাদ একবার ঢুঁ মেরে আসব।দেখি কতদূর কি করতে পারি”!!

।।২।।

সেন বাড়ির উঁচু পাঁচিল টপকে দক্ষিনের একটা নির্দিষ্ট ঘরের জানলার সামনে পৌঁছাল কার্তিক।ঘরের ভিতর তখন জানলার দিকে পিছন ফিরে বসে একমনে ল্যাপটপে কাজ করে চলেছে হিমাংশু।

-“আমি এসেছি”!!

কার্তিকের মৃদুস্বর শুনে বিদুৎগতিতে পিছন ফিরে তাকাল হিমাংশু। কার্তিককে দেখে কিছুটা নিশ্চিন্ত হলেও পরমুহূর্তেই কপাল কুঁচকে প্রশ্ন করল,

-“আবার এখানে কেন এসেছ!! তোমার কথা মতো সবই তো দিয়ে দিয়েছি”!!

-“তা দিয়েছেন।তবে আমার হাতটা যে বড়ই খরচের স্যার। সব ফুটিয়ে ফেলেছি”!!

কার্তিকের কথায় রীতিমত বিরক্ত হিমাংশু।

-“সব ফুটিয়ে ফেলেছ তো আমি কি করব”!!

-“আপনিই তো করবেন স্যার। আপনার এত কাজ করে দিলাম!টাকা না পেলে সেই সব কাজের হিসেব যে প্রমান সহ সঠিক জায়গায় পৌঁছে যাবে স্যার”!!

দাঁত বের করে খ্যাঁকখ্যাঁক করে কার্তিককে হাসতে দেখে সারা শরীরটা জ্বলে উঠলো হিমাংশুর। কিন্তু নিজের রাগের ওপর কোনরকমে সংযম রেখে উত্তর দিল,

-“বেশ।কাল তোমাকে লাখ খানেক টাকা দিয়ে দেব। কিন্তু এটাই শেষ।আর যেন তোমার মুখ আমি কখনো না দেখি”!!

-“আপনি বহুত বড়ে দিলবালা লোক আছেন স্যার।কথা দিলাম এবার টাকা পেলে এই এলাকায় আর দেখতে পাবেন না আমাকে”।

নিজের কথা শেষ করেই আবার পাঁচিল টপকে চম্পট দিল কার্তিক।জানলার দিকে তাকিয়ে চিন্তিত মুখে হিমাংশু ভাবতে থাকে, কার্তিকের একটা কিছু ব্যবস্থা করতেই হবে। কিন্তু আজ এত ঘুম পাচ্ছে কেন!! উফ্,আগে এক কাপ কফি খাই, তারপর না হয় ভাবা যাবে। জানলার কাছে থেকে ফিরে এসে কফি বানানোর আগেই ঘুমে ঢলে পড়ল হিমাংশু।

।।৩।।

পরেরদিন মর্নিং ডিউটি জয়েন করে এলাকায় এক রাউন্ড পেট্রলিং সেড়ে নিয়ে সকাল দশটা নাগাদ কনস্টেবল সামন্তকে নিয়ে শের ই কলকাতা ধাবায় পৌঁছালেন সাব ইন্সপেক্টর অভিজিৎ মজুমদার।ধাবার কোনো কর্মচারী মারফত পুলিশ আসার সংবাদ পেয়েই মালিক চরনদাস কাপুর কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে সেখানে উপস্থিত হলেন।

-“কি বেপার স্যার। আপনারা সোকাল সোকাল”!!

-“কি করব বলুন মিস্টার কাপুর, তদন্তের যে সকাল সন্ধ্যা বলে আলাদা করে কিছু হয়না”!

অভিজিৎ মজুমদারের পুলিশ সুলভ গাম্ভীর্যে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে নিলেন মিস্টার চরণদাস কাপুর।ধাবায় তখনো খুব বেশি ভিড় না থাকলেও একটা বড় টেবিলে বসে জনা পনেরো মানুষ প্রাতঃরাশে ব্যস্ত।সেই দিকে নজর পড়তেই মিস্টার কাপুর সাব ইন্সপেক্টর মজুমদারকে অনুরোধ করলেন।

-“যদি কোন আসুবিধা না হয়, তাহোলে প্লিজ আপনারা হামার কেবিনে আসুন। ওখানেই কতা বোলা যাবে”!!

-“বেশ চলুন”!!

ধাবার দোতলায় একটা মাঝারি মাপের ঘরকে ছিমছামভাবে সাজিয়ে কেবিনের আকার দিয়েছেন মিস্টার চরণদাস কাপুর।কেবিনে পৌঁছে নির্দিষ্ট সোফায় সাব ইন্সপেক্টর মজুমদার আর কনস্টেবল সামন্তকে বসতে দিয়ে ওনাদের সামনের চেয়ারে বসলেন মিস্টার কাপুর।

-“এবার বলেন স্যার।হামি আপনাদের জন্য কি করতে পারি”!!

-“আপনার ধাবার বাইরে থেকে কাল একটা নতুন বাইক চুরি হয়েছে মিস্টার কাপুর।আপনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবেন”!!

-“চুরি”!!

আকাশ থেকে পড়লেন মিস্টার কাপুর। তারপর নিজেকে একটু সামলে নিয়ে বললেন,

-“হাসোলে কাল রাতে হামার এক বন্ধু বাড়িতে দাওয়াত থাকায় আমি সাম ছ’বাজে ধাবা থেকে বেরিয়ে যাই।তারপর আজ এই আধা ঘোন্টা আগে এলাম।তাই হামি কিছুই জানি না”।

সাব ইন্সপেক্টর মজুমদারের থেকে পুরো ঘটনাটা শুনে মিস্টার কাপুর তার ধাবার এক পুরোনো কর্মচারীকে ডেকে পাঠালেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বছর পঞ্চাশের লোকটি কেবিনে এসে উপস্থিত হলে অভিজিৎ বাবু ওনাকে প্রশ্ন করেন,

-“কাল চুরির সময় আপনি ধাবায় ছিলেন”!!

-“আজ্ঞে,ছিলাম স্যার।ওই ছেলেটি মানে যার বাইক চুরি হয়েছিল আর তার বন্ধুদের সাথে আমি আর সহদেবও আশেপাশের সব জায়গাতেই বাইক খুঁজেছিলাম। কিন্তু কোথাও যখন পাওয়া গেল না তখন আমিই ওদের বলি থানায় কমপ্লেন করতে”!!

-“সে না হয় বুঝলাম। কিন্তু আপনাদের পার্কিং লট থেকে সিকিউরিটির চোখ এড়িয়ে একটা গাড়ি হাওয়া হয়ে গেল”!!

ম্যানেজার টাইপের লোকটি কোনো উত্তর দেওয়ার আগেই মিস্টার কাপুর বলে উঠলেন,

-“হামাদের তো কোনো পার্কিং লটের বেবোস্থাই নেই স্যার।ওই সামনের ফাঁকা জায়গাটাতে সবাই গাড়ি রাখে ঠিকই। কিন্তু উটা তো কর্পোরেশনের জায়গা আছে।গেটের বাইরে নো পার্কিং বোর্ডও লাগানো আছে স্যার। কিন্তু যারা বাইক নিয়ে আসে তারা তবুও ইদিক ওদিক করে গাড়ি পার্ক করে দেয়।আব রোজ এতো এতো বাইক আসে।তারা যদি আগে কর্পোরেশনের পার্কিংয়ে গাড়ি পার্ক না কোরে তার দোষ কি হামার আছে স্যার”!!

অকাট্য যুক্তি। কিছু বলার নেই। একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে সাব ইন্সপেক্টর মজুমদার আবার প্রশ্ন করলেন,

-“সিসিটিভি ক্যামেরা আছে আপনাদের এখানে”!!

-“হাঁ স্যার।চারঠো আছে”!!

-“বেশ কাল বিকেল থেকে সব সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের চাই”!!

-“নিশ্চই স্যার”!

তারপরই ম্যানেজারের দিকে ঘুরে ওনাকে নির্দেশ দিলেন,

-“দত্তবাবু,কালকা সারা ফুটেজ স্যারকে দিয়ে দিবেন”!!

অভিজিৎ মজুমদার আর সময় নষ্ট না করে আগেরদিনের ফুটেজগুলো নিয়ে ধাবা থেকে বেরিয়ে এলেন।

।।৪।।

স্নান সেরে বাথরুম থেকে বেরনোর আগেই বেডরুম থেকে সুরেলা ধ্বনিতে মিলির মোবাইল ফোনটা নিজের অস্তিত্বের জানান দিল। চটজলদি বাথরুম থেকে বেরিয়ে বেডরুমে পৌঁছে দেখে টেবিলের ওপর তখনও একাকীই কেঁদে চলেছে তার সাধের মুঠোফোনটি।স্পর্শ পর্দায় আঙুল ছুঁইয়ে যন্ত্রটা কানে ধরতেই অন্যপ্রান্ত থেকে উজানের অস্থির গলাটা ভেসে এল।

-“উফ্, কখন থেকে ফোন করছি। ফোনটা ধরছো না কেন”!!

-“সকাল সকাল না গুড মর্নিং,না হাই হ্যালো একেবারে কৈফিয়ত!!তাহলে তো উজান রায় নিশ্চিতভাবে কোনো জটিল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে”!!

চরম উত্তেজনা, উদ্বিগ্নতা বা দুশ্চিন্তার মুহূর্তেও কথার যাদুতে উত্তজনাকে প্রশমিত করে শরীরের এ্যড্রেনালিন ক্ষরণ বন্ধ করে দেওয়ার খেলায় মিলির জুড়ি মেলা ভার। উদ্বিগ্নতা ভুলে মৃদু হেসে উজান বলে উঠলো,

-“পি এইচ ডি’টা ফরেনসিক সায়েন্সে না করে হিউম্যান সাইকোলজিতে করো।ওতে তোমার প্রসপেক্ট অনেক বেশি।বুঝলে ম্যাডাম”!!

-“তা এসিপি উজান রায় কি সকাল সকাল আমাকে পি এইচ ডি’র সাবজেক্ট পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার জন্য এত অস্থির হয়ে ফোন করেছিলেন নাকি”!!

মিলির মশকরায় বিশেষ পাত্তা না দিয়ে আবার কাজের কথায় ফিরে এলো উজান।

-“একবার আমার সাথে বেরতে পারবে”!!

-“তুমি কোথায় নিয়ে যেতে চাইছো তার ওপর ডিপেন্ড করছে।এখন তুমি যদি বল..”!!

ইচ্ছে থাকলেও মিলির সাথে এই মুহূর্তে বেশি কথা বলার মতো সময় নেই উজানের কাছে।

-“প্লিজ মিলি, তাড়াতাড়ি রেডি হও। পনেরো কুড়ি মিনিটের মধ্যে তোমায় বাড়ি থেকে পিক করছি”!!

নিজের কথা শেষ হতেই মিলিকে আর কিছু বলার অবকাশ না দিয়ে ফোনটা কেটে দিল উজান। ফোনটা রেখে মিলি মুচকি হেসে বেশ উঁচু গলায় মিনতি দির উদ্দেশ্য বলল,

-“মিনতি দি ব্রেকফাস্ট রেডি কর। উজান আসছে।বেরতে হবে”!!

#ক্রমশ

ষষ্ঠ পর্বের লিংক
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=210247223978623&id=100210334982313

পঞ্চম পর্বের লিংক
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=208138894189456&id=100210334982313

চতুর্থ পর্বের লিংক
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=205384481131564&id=100210334982313

তৃতীয় পর্বের লিংক
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=203195284683817&id=100210334982313

দ্বিতীয় পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/100210334982313/posts/200196634983682/

প্রথম পর্বের লিংক

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=197994485203897&id=100210334982313
**ছবি সংগৃহীত**
© আমার ভিনদেশী তারা-amar bhindeshi tara-কলমে তমসা চক্রবর্তী
#AmarBhindeshiTara
#TamosaChakraborty
# ভালো লাগলে লেখিকার নাম সহ শেয়ার করুন 🙏।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here