আঁধারের_গায়ে_গায়ে পর্ব ৩

আঁধারের_গায়ে_গায়ে
তমসা_চক্রবর্তী

পর্ব-৩

।।৮।।

অনেকক্ষন ধরে মিলিকে হিমাংশু রায়ের বডিটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সনাক্ত করতে দেখে ভুবন বাবু এবার কিছুটা অধৈর্য্য হয়ে পড়লেন।কিছুটা বিরক্ত হয়েই উজানকে বললেন,

-“আপনি তো নিজের চোখেই বডিটা চেক করলেন স্যার।আমার কথাটা একটু শুনুন! আমরা এখানে শুধু শুধুই সময় নষ্ট করছি স্যার।এটা একটা ক্লিয়ার কেস অফ হার্ট অ্যাটাক।আর তাছাড়া ফরেনসিক..”,

ভুবন তালুকদারকে কথাটুকু শেষ করার অবকাশ না দিয়েই মিলি ডেডবডি থেকে চোখ সরিয়ে বলল,

-“মিস্টার তালুকদার হিমাংশু বাবুর মৃত্যুটা হার্ট অ্যাটাকে হলেও ইটস নট আ কেস অফ ন্যাচারাল ডেথ।৯৯% ইটস আ মার্ডার।আর ..”!!

প্রচন্ড বিরক্ত ভুবন তালুকদার এবার মিলির মুখের কথা ছিনিয়ে নিয়ে বললেন,

-“কি যা তা বলছেন!ডাক্তার চেকআপ করে বলছেন মানুষটা হার্ট ফেইলিওরের কারনে মারা গেছেন।আর আপনি বলছেন এটা মার্ডার। আপনি কি ডাক্তারের থেকেও বেশি বোঝেন নাকি ম্যাডাম”!!

ভুবন তালুকদারের ব্যাঙ্গাত্মক স্বর আর চোখে মুখে ফুটে ওঠা অবিশ্বাস মিলির চোখ এড়ালো না। ক্ষুব্ধ উজান ওনাকে কিছু বলতে উদ্যত হলে মিলি চোখের ইশারায় উজানকে থামিয়ে দিয়ে ভুবন তালুকদারের দিকে এগিয়ে গেল। ওনার চোখে চোখ রেখে ঠান্ডা অথচ ধারালো কন্ঠে বলল,

-“ডাক্তারের থেকে বেশি জানি কি না সে দ্বন্ধে আমি যেতে চাই না মিস্টার তালুকদার। কিন্তু নিজের অর্জিত শিক্ষাটুকুকে আমি ভীষনভাবে সম্মান করি।আসলে কি বলুন তো, পড়াশোনার বাইরেও না অনেকে রকমের কাঠখড় পুড়িয়ে তবে আজ আমি এই জায়গায় পৌঁছেছি।আর হয়ত এই কারণেই আপনাদের গোয়েন্দা দমন শাখাও আজ পর্যন্ত আমার জ্ঞানের ওপর যথেষ্ট আস্থা রেখে এসেছে। তাই আপনার যদি একান্তই আমাকে এই তদন্তে অনুপযোগী বলে মনে হয় আপনি প্লিজ প্রধান স্যারকে না হয় সেটা জানিয়ে দেবেন । আমাকে যেহেতু এখানে প্রধান স্যার পাঠিয়েছেন তাই এখন আমাকে প্লিজ আমার কাজটা করতে দিন”!!

ভুবন তালুকদারের দমে যাওয়া চেহারাটার দিকে একঝলক দেখে নিয়ে উজানের দিকে তাকালো
মিলি।

-“উজান, এটাকে মার্ডার বলার আমার কাছে যথেষ্ট কারণ আছে। ভালো করে হিমাংশু বাবুর মুখটা দেখ। মুখে স্ট্রাগেলের লেশমাত্র নেই। সাধারনত পুরুষ মানুষের হার্ট অ্যাটাক হলে বুকে প্রচন্ড পেইন হয়।যদি ঘুমের মধ্যেও যদি কারুর হার্ট অ্যাটাক হয়, তার ঘুম শুধু ভেঙেই যাবেনা সে নিজেকে বাঁচানোর একটা মরিয়া চেষ্টা করবেই। কিন্তু হিমাংশু বাবুর মুখে সেই চেষ্টার কোনো ছাপই নেই। আমার মনে হয় হিমাংশু বাবুর রেগুলার ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর অভ্যাস ছিল। ওনার ডেস্কে ঘুমের ওষুধের শিশি রাখা আছে। আমার ধারণা হত্যাকারী সেই সুযোগটাই নিয়েছে।

দ্বিতীয়ত, হিমাংশু বাবুর হাতটা ভাল করে দেখ”!

কথার শেষে মিলি নিজের হাতের আতশ কাঁচটা উজানের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে, চোখের ইশারায় উজানকে হিমাংশু রায়ের হাতের একটা নির্দিষ্ট জায়গা পর্যবেক্ষনের জন্য অনুরোধ করল।

-“মাই গুডনেস! এটা তো একটা নিডল মার্ক”!!

আতশ কাঁচ দিয়ে হিমাংশু রায়ের হাতের নির্দিষ্ট জায়গাটা ভালো করে পর্যবেক্ষন করতেই উজানের মুখের শিরায় উপশিরায় উত্তেজনার ছাপ ফুটে উঠল।

-“19 to 22 gauge niddle mark. হিমাংশু বাবুর ঘুমের সুযোগ নিয়ে এমন কিছু একটা ইনজেক্ট করা হয়েছে যাতে..”!!

মিলির মুখে চিন্তার ছাপ দেখে অরণ্য প্রশ্ন করল,

-“যাতে কি”!!

মুহূর্ত খানেক অরণ্যের মুখের দিকে ভাবলেশহীন ভাবে তাকিয়ে থাকার পর মিলি বলে,

-“নাহ্, তেমন কিছু নয়। মিস্টার তালুকদার, আপনি প্লিজ বডি ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করে আমাদের সাথে বাইরে আসুন।এই কেসের প্রাথমিক সমাধান সুত্রগুলো কিন্তু এই ঘরের বাইরে পাবেন।।

।।৯।।

সেন বাড়ির সদর দরজা বাইরের লনে পৌঁছে মিলি উজানের উদ্দেশ্যে বলল,

-“আমি একটু আগেই বাইরেটা এক রাউন্ড ঘুরে দেখেছি।একটা জিনিস লক্ষ্য করেছ উজান, এই বাড়িটার বাউন্ডারি ওয়ালটা বেশ উঁচু। তারমানে নরম্যালি কোনো অযাচিত মানুষ পাঁচিল টপকে এই বাড়িতে ঢুকতে পারবেনা। কিন্তু কাল রাতে কোনো একজন এই বাড়িতে অবশ্যই এসেছিল। হয়ত হিমাংশু বাবুর হত্যাকারী,হয়ত বা অন্য কেউ”!!

-“মা..মানে!!কি বলতে চাইছেন ম্যাডাম!এত উঁচু পাঁচিল টপকে কেউ ভিতরে এসে হিমাংশু রায়কে হত্যা করে চলে গেল!অথচ বাড়ির এতগুলো লোক কেউই কিছু টের পেল না”!!

মিলির কথাগুলো ঠিক মনে ধরল না ভুবন তালুকদারের। কিন্তু নিজের শব্দ চয়নে এবার উনি যথেষ্ট সংযমী।

-“আই অ্যাম নট সিওর অ্যাবাউট যে এসেছিল সেই হিমাংশু বাবুর হত্যাকারী, কিন্তু কাল রাত সাড়ে দশটার পর কেউ না কেউ অবশ্যই এসেছিল হিমাংশু বাবুর সাথে দেখা করতে”!!

-“কিন্তু তুই এতটা শিওর হচ্ছিস কি করে”!!

অরণ্যের প্রশ্নের জবাবে মিলি সবাইকে বাড়ির পিছনের দিকে নিয়ে এল।সেখান থেকে পাঁচিলের একটা ভাঙা অংশের দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলল,

-“আমার ধারণা শুভেন্দু বাবু এদিকটায় একটা গেট বানানোর কথা ভেবেছিলেন আর সেই জন্যই পাঁচিল ভাঙার কাজটা শুরু করেছিলেন।আর এই পাঁচিলের ভাঙা অংশের সুযোগ নিয়েই কাল রাতে কেউ বাড়িতে ঢুকেছিল”!!

-“কিন্তু কেউ ঢুকেছিল এটা আপনি এতো শিওর হয়ে কিভাবে বলছেন!!আর ওই টাইম সম্পর্কেই বা এত স্যাংগুইন কিভাবে হচ্ছেন ম্যাডাম”!!

ভুবন বাবুর চোখে মুখে এখন আর বিরক্তির ছাপ নেই।তার পরিবর্তে মুখমন্ডলের শিরায় উপশিরায় ফুটে উঠেছে একরাশ কৌতুহল। ভুবন তালুকদারের মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল মিলি।

-“ভুবন বাবু, কাল রাত আটটার পর থেকে গোটা কলকাতা শহর প্রবল বর্ষণমুখর হয়ে উঠেছিল, ভুলে গেলেন নাকি!!ঘন্টা দুই আড়াই কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছিল।অত বৃষ্টির মধ্যে যদি কেউ এখানে আসত তাহলে মাটিতে তার পায়ের ছাপ থাকত কি? বৃষ্টির জলে সব ছাপ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যেত।

কিন্তু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন, পাঁচিলের ভাঙা অংশের সামনে থেকে হিমাংশু বাবুর ঘরের জানালা পর্যন্ত আততায়ীর পায়ের ছাপ এখনো স্পষ্ট। আমার ধারণা আততায়ী বৃষ্টি কমার পরেই এসেছিল,ওই ধরুন সাড়ে দশটা এগারোটা নাগাদ।তবে হিমাংশু বাবুর ময়নাতদন্তের রিপোর্টটা পাওয়ার পরই আপনাকে একজ্যাক্ট টাইমটা বলতে পারব”!!

কথা বলতে বলতেই মিলি লক্ষ্য করল ভুবন তালুকদারের চোখে মুখে খানিকটা ইতস্ততভাব ফুটে উঠেছে। কিছুটা কিন্তু কিন্তু করলেও শেষমেশ ভুবন বাবু মিলির কাছে এসে বললেন,

-“আই অ্যাম এক্সট্রিমলি সরি ম্যাডাম। আমি সত্যি আপনাকে ভীষন ভুল বুঝেছিলাম। হয়ত মনে মনে আপনার যোগ্যতার সামনে একটা প্রশ্ন চিহ্নও বসিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এইটুকু সময়ে আপনি যা করে দেখালেন, তাতে নিজেকে নেহাতই একজন অপদার্থ পুলিশকর্মী বলে মনে হচ্ছে। চোখের সামনে এত তথ্য,এত সূত্র অথচ কিছুই দেখতে পেলাম না।আসলে কি জানেন তো ম্যাডা…..”,

নিজের কথাটা শেষ করতে পারলেন না ভুবন তালুকদার।তার আগেই বাউন্ডারি ওয়ালের বাইরে থেকে বেশ কিছু মানুষের উত্তেজিত কন্ঠস্বর ভেসে এল।ভুবন তালুকদার সবাইকে নিয়েই আততায়ীর পায়ের ছাপ বাঁচিয়ে খুব সাবধানে পাঁচিলের ভাঙা অংশের দিকে এগিয়ে এলেন।

।।১০।।

সেন বাড়ির ভাঙা পাঁচিলের ডানদিক ধরে একটু এগিয়ে গেলেই রাস্তার অন্যপ্রান্তে সারি দিয়ে চারচাকা গাড়িগুলো পার্ক করা আছে। উত্তর কলকাতার ঘিঞ্জি এলাকায় যদিও এটা খুবই সাধারণ একটা দৃশ্য।এই অঞ্চলের বেশিরভাগই পুরনো দিনের বাড়ি হওয়ার কারণে গ্যারেজের বন্দোবস্ত নেই।তাই বাড়ির সামনেই সবাই গাড়ি রাখতে অভ্যস্ত।

সেই প্রচলিত গাড়ি পার্কিং এলাকাতেই একটা জটলা এইমুহুর্তের চিৎকার চেঁচামেচির উৎস।ওসি ভুবন তালুকদার জটলার কাছে এগিয়ে এসে সবাইকে সরিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করলেন,

-“কি ব্যাপার!!কি হচ্ছে এখানে!!এত চেঁচামেচি কিসের”!!

পুলিশ দেখে জটলার মধ্যে থেকে একজন মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক বেড়িয়ে এসে কাঁদো কাঁদো মুখে ভুবন তালুকদারকে বললেন,

-” সর্বনাশ হয়ে গেছে স্যার। দু’মাসও হয়নি পুরনো স্যান্ট্রো গাড়িটা এক্সচেঞ্জ করে নতুন আই টয়েন্টি কিনেছিলাম।কাল রাতেও ওই গাড়িতে অফিস থেকে বাড়ি ফিরেছিলাম।আজ সকাল থেকে বাড়ির কাজে একটু ব্যস্ত ছিলাম বলে এদিকে সেভাবে চোখ পড়েনি।আর তাছাড়া আজ অফিসেও একটু দেরিতে যাওয়ার কথা ছিল।তাই এগারোটা নাগাদ বেরিয়ে ছিলাম। কিন্তু এখানে এসে দেখি আমার গাড়িটা নেই”!!

-“নেই মানে!! একটা চারচাকা গাড়ি উধাও হয়ে গেল”!!

-“হ্যাঁ স্যার, সেরকমই তো ব্যাপার”!!

ভদ্রলোক অতিকষ্টে কষ্টগুলো নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখলেন। ওনার কথাগুলো মন দিয়ে শোনার পর, মিলি এগিয়ে এসে ভদ্রলোককে প্রশ্ন করল,

-“আপনার নামটা একটু বলবেন”!!

মিলির মুখের দিকে অসহায়ভাবে তাকালেন ভদ্রলোক।

-“আমার নাম রূপাঞ্জন দাসগুপ্ত। কিন্তু আপনি”!!

-“আমি অহনা, অহনা গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর।ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড মিস্টার দাসগুপ্ত, আমি আপনাকে কয়েকটা প্রশ্ন করতে চাই”!!

-“হ্যাঁ সে আপনি করতেই পারেন। কিন্তু আমার গাড়িটা..”!!

রূপাঞ্জন বাবুর মুখের কথা কেড়ে নিয়ে মিলি বলল,

-“দেখুন মিস্টার দাসগুপ্ত, আপনাকে সাহায্য করার জন্যই কিছু প্রশ্ন করাটা ভীষন জরুরী”!!

-“আচ্ছা ঠিক আছে বলুন কি জানতে চান”!!

খানিকটা অসন্তুষ্ট হলেও মিলির প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হলেন মিস্টার দাসগুপ্ত।

-“কাল শেষবার কখন আপনি গাড়িটা দেখেছিলেন”!!

-“কাল অফিস থেকে ফিরেছিলাম অ্যারাউন্ড দশটা নাগাদ। তখন আসলে বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টি পড়ছিল, তাই গাড়িটা আর কভারটা করা হয়নি। ভেবেছিলাম আজ অফিস গিয়ে পাশের গ্যারেজের ছেলেটাকে বলব গাড়িটাকে একটু ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে। কিন্তু সকালেই তো এই কান্ড”!!

-“হম্! ভুবন বাবু আপনি একটা কাজ করুন, মিস্টার দাসগুপ্তকে একজন কনস্টেবলের সাথে থানায় পাঠিয়ে দিন।একটা এফ আই আর হওয়াটা প্রয়োজন”!!

ভুবন তালুকদারকে কথাগুলো বলে মিলি রূপাঞ্জন দাসগুপ্তকে আশ্বস্ত করে বলল,

“চিন্তা করবেন না মিস্টার দাসগুপ্ত, এভরিথিং উইল বি শর্টেট”!!

মিলির কথামতই একজন কনস্টেবলের সাথে মিস্টার দাসগুপ্তকে থানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে ভুবন তালুকদার কাঁচুমাচু মুখে মিলির পাশে এসে নিচু গলায় বললেন,

-“এক মার্ডার কেসেই রক্ষে নেই ম্যাডাম, আপনি আবার গাড়ি চুরির তদন্তও ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেন”!!

-“আর রাম আর সুগ্রীব যদি একই সুতোয় বাঁধা হয় তাহলে যে আপনার ডবল ক্রেডিট ভুবন বাবু!!সেটাও ভাবুন”!!

মুচকি হেসে ভুবন তালুকদারকে উত্তর দিল মিলি।তবে এবার ভুবন তালুকদারের সাথে উজান আর অরণ্যও যারপরনাই বিস্মিত হল।

-“একসুতোয় বাঁধা মানে”!!

-“আসুন আমর সাথে”!!

সবাইকে নিয়ে পার্কিংয়ের জটলা থেকে সেন বাড়ির ভাঙা পাঁচিলের দিকে একটু সরে এসে হাতের ইশারায় খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা একটা বাইক দেখিয়ে মিলি বলে,

“আমি এসে থেকে দেখছি বাইকটা এখানেই দাঁড় করানো”!!

-“নারে মিলি, সকাল থেকে নয়”!!

বাইকটার কাছে গিয়ে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষন করতে করতে মিলির কথায় ব্যাঘাত ঘটাল অরণ্য।

-“আমার অনুমান যদি খুব ভুল না হয় তবে এই বাইকটা কাল রাত থেকে এখানেই দাঁড় করানো আছে। সিটটা দেখ!! ড্রাইভিং সিট বাদ দিয়ে বাকি পুরোটাই বৃষ্টির কারণে ভিজে গিয়েছিল।এখনো কাদা জলের শুকনো দাগ আছে দেখ। আর চাকাগুলোও তো পুরো কাদায় মাখামাখি হয়ে আছে।তারমানে কাল রাতে বৃষ্টির মধ্যে কেউ বাইকটা চালিয়ে এখানে এসেছিল”!!

-“ছেলে কিন্তু ফাটিয়ে দিয়েছে উজান!!দিনে দিনে তোমার সহকারীটি কিন্তু প্রখর বুদ্ধিমান হয়ে উঠছে”!!

অরণ্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মিলির কথার প্রেক্ষিতে উজানও অরণ্যের পিঠ চাপড়ে বলল,

-“ব্রাভো, দারুন অবজারভেশন অরণ্য।এবার বাকি কাজটাও সেরে ফেল।আমরা ততক্ষন একটু বাড়ির লোকজনের সাথে কথাবার্তাটা সেরে ফেলি”!!

-“ঠিক আছে স্যার।আমি এদিকটা মিটিয়ে আপনাদের জয়েন করছি”!!

অরণ্য ওখান থেকে বিদায় নিলে উজান, ভুবন তালুকদার আর মিলিকে নিয়ে সেন বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here