আঁধারে ঢাকা ভোর পর্ব-১৬

0
1221

#আঁধারে_ঢাকা_ভোর
#অধ্যায়_ষোলো
প্রজ্ঞা জামান দৃঢ়তা

তুষারের দিকে একবার তাকিয়ে আভা বলতে শুরু করল, “কুমিল্লার স্বপ্নপুর গ্রাম। এক দম্পত্তির বিয়ের দশ বছর পরও সন্তান হলো না। তারা এটা নিয়ে খুব কষ্ট পেতেন। প্রায় কান্নাকাটি করতেন ভদ্রমহিলা, পৃথিবীর সবকিছুর বিনিময়ে একটা সন্তান চাইতেন। তাই ব্যাকুলতা দেখে হয়তো মহান আল্লাহর দয়া হলো।

একদিন গভীর রাতে তাদের বাড়ির পেছন থেকে একটা বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পেলেন। বাচ্চাটার কান্নায় ভদ্রলোক বেরিয়ে গিয়ে দেখলেন ময়লার ঝুড়িতে কাপড়ে মোড়ানো বাচ্চাটা কান্না করছে। একটা কুকুর ঘেঁউ-ঘেঁউ করছে, আরেকটি কুকুর ঝুড়িতে মুখ দিয়ে বাচ্চাটাকে কাছে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে, কিন্তু ঝুড়িটি গর্ত হওয়ায়
নাগাল পাচ্ছে না। হঠাৎ সেই কুকুরের শব্দ শুনতেই বাচ্চাটার কান্না থেমে গেল।

ভদ্রলোক এগিয়ে গিয়ে কোনোকিছু না ভেবেই বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নিলেন। একটা কাপড়ের দলা থেকে বাচ্চাটা পিটপিট করে তাকিয়ে দেখছে তাকে। ছোট্ট ছোট্ট হাতগুলো কাপড় থেকে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভদ্রলোকের কী যেন হলো বাচ্চাটাকে পরম আবেশে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। হয়তো গত দশ বছর ধরে যে সুখ খুঁজে বেড়িয়েছেন সে সুখ পেয়েছেন! তার চোখদুটো চকচক করছিল, মনে হচ্ছিল কোনো স্বর্ণের খনি পেয়েছেন।

গভীর নিশুতিরাত। চারপাশ নিস্তব্ধতা চেয়ে আছে। জনমানবশূন্য চারপাশটায় আবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে তাড়াতাড়ি করে বাড়িতে গিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিলেন। উনার স্ত্রী স্বামীর কোলে বাচ্চা দেখে অবাক হন। ব্যতিব্যস্ত হয়ে উদ্বিগ্ন গলায় বললেন, “এটা কার বাচ্চা কোথায় থেকে নিয়ে আসছো?”

ভদ্রলোক চওড়া হেসে বললেন, “আমাদের কান্না আল্লাহ শুনেছেন, তাই আমাদের জন্য সন্তান পাঠিয়ে দিয়েছেন। দেখো নয়তো এত সুন্দর একটা বাচ্চা কেউ ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিয়ে যাবে কেন!”

তুষার অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আভার দিকে। এসব কেন বলছে তাকে! আভা একটু দম নিয়ে আবার বলল,

” বাচ্চাটাকে কীভাবে পেলেন স্ত্রীকে সবটা খুলে বললেন তিনি। ভদ্রমহিলার চোখ সুখে ভিজে আসছিল, স্বামীর কোল থেকে কাঁপা কাঁপা হাতে বাচ্চাটাকে টেনে নিলেন। বুকের সাথে জড়িয়ে রাখলেন অনেকটা সময়। পরম সুখে সেই দম্পতি সেদিন কেঁদেছিলেন। তাদের অন্ধকার জীবনে আলো নিয়ে এসেছে বাচ্চা মেয়েটা। তাই তার যত্নের অভাব হলো না। গ্রামের মানুষ যাতে জানতে না পারে মেয়েটাকে কুড়িয়ে পেয়েছে বা কারো অবৈধ সন্তান তাই ভদ্রলোক স্ত্রীকে তার বোনের বাসায় পাঠিয়ে দেন।

তার বোনও তখন প্রেগন্যান্ট ছিলেন। সব তো আল্লাহর ইচ্ছায় অনুযায়ীই হয়, তার বোন সেদিন রাতেই একটা মৃত সন্তান জন্ম দিয়ে মারা যান। সে রাতে চুপিচুপি হাসপাতাল থেকে মৃত সন্তানকে এনে রাতের আঁধারে কবর দিয়ে দেন। ভদ্রলোক বোনের জামাতাকে অনুরোধ করেন সবাইকে যেন বলা হয় তাদের কুড়িয়ে পাওয়া বাচ্চাটাকেই জন্ম দিয়েছেন তার মৃত বোন। সেদিন তার বোনের জামাতা কথা দেন তিনি কাউকে কোনোদিন আজকের এই গোপন কথা বলবেন না। এই কথাটা তার সাথে কবরে যাবে। তার কথা শুনে দম্পতি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন।

কিছুদিন পর বাচ্চাটাকে নিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন৷ সবাই জানে বাচ্চাটা তার বোনের মেয়ে।
বাবা-মা হয়ে তারা প্রয়োজনের অধিক ভালবাসা দিতে লাগলেন মেয়েটাকে। খুব সুন্দর ভাবে দেড় বছর কেটে গেল। একটা পরিপূর্ণ পরিবার নিয়ে সুখেই দিন কাটাতে লাগল তাদের।

হঠাৎ একদিন আল্লাহর অশেষ রহমতে ভদ্রমহিলা বুঝতে পারলেন তিনি মা হতে চলেছেন। সেই কী খুশি! ভদ্রলোক ভাবলেন কুড়িয়ে পাওয়া বাচ্চাটাকে নিয়ে আসায় আল্লাহ তাদের দিকে রহমত দিয়েছেন। তাই মেয়েটাকে আরও যত্ন করা শুরু করলেন। তার স্ত্রী দিনদিন অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় বাচ্চাটাকে তেমন একটা সময় দিতে পারেন না। তাই দেড় বছরের বাচ্চাটা বাবার পিছু পিছু দৌঁড়াতো, মায়ের কাছে গেলে তিনি ধমক দিতেন। মেয়েটার বাবা ভাবতো হয়তো গর্ভবতী তাই এমন হচ্ছে। ছোট্ট মেয়েটাকে নিজের কাছে রাখার চেষ্টা করতেন সবসময়। এর মধ্যে ভদ্রমহিলার একটা ছেলে হয়।

সেই থেকে তিনি কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েটাকে ধীরে ধীরে দূরে সরিয়ে দিলেন। নিজের সন্তানকে পেলে অন্যের সন্তানকে তিনি কেন ভালবাসবেন? প্রায় গায়ে হাত তুলতেন। আস্তে আস্তে বাচ্চা মেয়েটার একমাত্র আশ্রয়স্থান হয়ে উঠল তার বাবা। সারাক্ষণ বাবার পিছু পিছু লেগে থাকতো। ভদ্রলোকও বুঝেছিলেন যে নিজের সন্তান পেয়ে তার স্ত্রী পালিত মেয়েটাকে আলাদা করে দিয়েছেন নিজের থেকে।

এটা নিয়ে তিনি স্ত্রীকে বুঝাতে গেলে ঝগড়া হয় দুজনের মধ্যে। এভাবে আরও দূরত্ব বেড়ে যায় মা মেয়ের মধ্যে। তারপর যখন তার দ্বিতীয় সন্তান একটা মেয়ে হলো তখন তো পালিত মেয়েটা চক্ষুশূল হয়ে উঠল তার কাছে। এভাবেই মায়ের অনাদর-অবহেলায় বড় হতে লাগল মেয়েটা। তারপর সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো সমাজ। গায়ের রঙ কালো বলে প্রতিবেশী হতে আত্মীয় স্বজন সবাই তাকে কটাক্ষ করে কথা বলে।”

আভা থামল, পানির বোতল থেকে কয়েক চুমুক পানি খেল। বলল,

“জানেন? কেউ কাজে যাওয়ার সময় মেয়েটাকে দেখলে বলত এই কুৎসিত অশুভ মেয়েকে দেখে যাচ্ছি, আজ আর কোনো কাজে ভালো কিছু হবে না!

বাবার সাথে যখন জামা কিনতে যেত দোকানদার বলতো, “এই নেন আপা লাল জামা, কালো মেয়েদের লাল জামায় খুব ভালো মানায়।” সব জায়গায় তাকে স্বরণ করিয়ে দেয়া হতো সে কালো!

বাড়ি থেকে বের হলে সে একই কথা কালো মেয়েটা! স্কুলে কেউ পাশে বসতে চাইত না। পরিবারে মায়ের সাথে সাথে ছোট বোনটাও তার সাথে খারাপ ব্যবহার করত। তবে ছোট ভাইটা তাকে খুব ভালোবাসতো।

এভাবেই মানুষের বঞ্চনা,অবজ্ঞাকে পেছনে ফেলে তার দিন চলে যেতে লাগল। যখন নিজেকে গড়ে তুলে শক্ত মানুষ হিসেবে ঠিক তখনই আবার একটা দমকা হাওয়া এসে তার মেরুদণ্ডই ভেঙে দেয়।

তার মা তাকে না জানিয়ে বিয়ে ঠিক করে ফেলেন, রাতারাতি বিয়ে হয়েও যায় বড়লোকের এক সুদর্শন ছেলের সাথে। কালো বলে সেখানেও অবহেলিত হলো সে। সুদর্শন স্বামী তাকে স্ত্রী হিসেবে মেনেই নিল না। প্রতিদিন মদ খেয়ে এসে পড়ে থাকত, প্রয়োজনে মাঝে মাঝে কাছে ডাকত মেয়েটাকে। কিছুদিন যেতেই মেয়েটা জানতে পারে তার স্বামী শুধু নেশাই করে না, পরনারীতেও আসক্ত। এসব বিষয়ে স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে সে তার গায়ে হাত তুলে। গায়ের রঙ নিয়ে কটুকথা শোনায়। এমন অনেক অপমানের পর মেয়েটার ডিভোর্স হয়ে যায়।”

চুপ করে আভা সমুদ্রের দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে রইল। তারপর বলল,

” ডিভোর্সের পর তার পথ আরও বেশি কঠিন হয়ে যায়। তার মা আরও কথা শোনাতে থাকেন। নানা সংগ্রামের মাঝে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে চান্স পায়। তারপর থেকে এই মেয়েটা একাই চলতে শিখে যায়। সে চায় না তার অন্ধকার জীবনে এসে কারো জীবনে সমস্যা তৈরি হোক। আভা তুষারের দিকে তাকিয়ে চোখে চোখ রেখে বলল, ”এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন। মেয়েটা কে?”

তুষার চুপ করে তার দিকে তাকিয়ে রইল।

তার চুপ থাকা দেখে আভা বলল, “জানেন আমার বাবা-মা কেউই জানেই না যে, আমি সব সত্য জানি! আসলে সবটা জানার পরও আমি তাদের বুঝতে দেইনি আমি জানি। যদি আমি বলতাম তবে আমার বাবা ভেঙে পড়তেন। জীবনে যে একজন মানুষ আমাকে সারাক্ষণ আগলে রেখেছেন তার মনে কষ্ট দিতে আমি চাইনি।”

তুষার বলল, ” তবে জানলে কী করে তুমি?”

“সেদিন আমার ডিভোর্সের কথা উঠতেই মা-বাবার ঝগড়ার সময় রেগে গিয়ে মা কঠিন সত্যি কথাগুলো বলেছিলেন। আমি সব শুনেও না শোনার ভান করে চলে আসি সেখান থেকে।”

একটা নীরব যন্ত্রণা তুষারের চোখে মুখে ভেসে ওঠল। সে কিছুটা সময় চুপ করে রইল। অনেকক্ষণ আগেই সে বুঝতে পেরেছে মেয়েটি আভা! কথাগুলো বলে হাঁপিয়ে উঠেছে সে। কিছুটা সময় কেটে গেল চুপচাপ।

তুষারের নীরবতা দেখে শ্লেষের হাসি হেসে সে বলল, “ভালবাসা জানালা দিয়ে পালিয়ে গেল? আসলে কালো মেয়েদের ভালবাসার কথা গল্পে মানায়। যখন গায়ের রঙের সাথে ডিভোর্স এবং অবৈধ শব্দগুলো জুড়ে যায়, তখন তো তার দিকে ফিরেই তাকানো যায় না। তাই না মিঃ মেহেরাব তুষার?”

তুষার তখনও কিছু বলল না। চুপ করে পলকহীনভাবে তাকিয়ে রইলো তার দিকে।

আভা বাঁকা হেসে বলল, “চলুন তবে ফেরা যাক?”

কথাটা বলেই উঠে যেতে লাগলেই তুষার তার হাত ধরে ফেলে। আভা চকিতেই ফিরে তাকায় তার দিকে। ব্যথাতুর দুটো চোখে তার বিষন্নতা বিরাজ করছে। তাই সে চাইছে তার কাছ থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পালিয়ে যেতে।

তুষার হাতটা ছেড়ে দিয়ে বলল, “সরি! হাত ধরে না থামালে তুমি চলে যেতে চাইতে।”

” বলুন, কেন থামালেন?”

” বিয়ে করবে আমায় অরনী?”

আভা বড়-বড় চোখে তার দিকে তাকাল। দেয়ালে যেমন একটা কথা বারবার প্রতিধ্বনি হয়, ঠিক তেমনি তার কানে তুষারের বলা বাক্যটি বারংবার বাজতে লাগল। মুহূর্তের জন্য নিজেকে বড্ড দূর্বল মনে হলো।

মনে হলো এর চেয়ে সুন্দর কথা বুঝি আর হয় না। এমন প্রগাঢ় মায়া পৃথিবীর কোনো বাক্যে থাকতেই পারে না। অনেকটা সময় সে চুপ করে রইল, চেয়েও কিছুই বলতে পারল না। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের আবেগকে যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষীণ গলায় বলল, “আমাকে বাসায় যেতে হবে।”

“আগে আমার উত্তর দাও অরনী?” তুষার কাতর নয়নে তাকিয়ে বলল।

“এটা হয় না।”

“কেন হয় না? আমি সবকিছু জানার পর তোমাকে আরও বেশি ভালবাসি। তোমার সমস্ত জীবন সম্পর্কে শুনে বুঝতে পারছি তুমি কতটা কষ্ট সহ্য করেছ। এতদিন আমি তোমায় ভালবাসতাম। আজ তোমার প্রতি সম্মান হাজার গুণে বেড়ে গেছে। এখন আর তোমাকে ছাড়া সম্ভব নয়! আমি তোমার সব দুঃখ কষ্টকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে চাই। তোমার সমস্ত শূন্যতাকে আমি পরিপূর্ণতায় রূপ দিতে চাই। তোমার সব যন্ত্রণাকে শোষণ করে নিতে চাই নিজের ভেতরে। প্লিজ অরনী আমাকে ফিরিয়ে দিও না। প্লিজ আমাকে একটা সুযোগ দাও।”

“এসব মোহ কয়দিন পরে সব কেটে যাবে। কিছুদিন পর ব্যাংকে জব করবেন। সেখানে অনেকের সাথে আলাপ হবে। আমাকে ভুলে যেতে বেশি সময় লাগার কথা না।”

তুষার আভার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পূর্ণ দৃষ্টিতে চোখে চোখ রেখে বলল, “আমি তোমাকে প্রেম করতে বলছি না অরনী! বিয়ে করতে বলছি। এরপরও তোমার সন্দেহ আছে?”

তার অশান্ত দুটো চোখে জল চিকচিক করছে। পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের মতো তার হৃদয়ে বয়ে যাচ্ছে যন্ত্রণার সাগর। আভা স্পষ্ট তার নয়নে সে ব্যথা দেখতে পেল। আর দেখল গভীর ভালবাসা! প্রগাঢ় মায়া! যা উপেক্ষা করার কোনো পথ বোধহয় এই পৃথিবীর কোনো নারীর নেই।

তুষার কাতর গলায় বলল, ” ভালোবাসি অরনী! খুব,,,!” আর কিছু বলার আগেই তার রক্তাভ ঠোঁটের উপর হাত দিয়ে চুপ করিয়ে দিয়ে আভা সম্মোহিতের মতো বলল, “চুপ! একদম চুপ, আর কিছু বলবেন না। আমি আর কিছু শুনতে পারব না।”

তুষার চুপ করে গেল। ঘোরগ্রস্ত চোখে তাকিয়ে রইল তার জীবনের সেই আরাধ্য নারীর দিকে। হরিনীর মতো ডাগর কালো দুটো আঁখি যা তাকে ঘায়েল করেছে।

আভা ঠোঁট টিপে হেসে বলল, “আমি আগে প্রেম করতে চাই বিয়ে নয়।”

তুষারের ঠোঁট দুটো আপনা আপনি প্রশস্ত হলো। একফাঁলি সুখ তার ভেতরটাকে আচ্ছন্ন করে ফেলল। মনে হলো সে স্বপ্ন দেখছে! আভা তার ভালবাসা স্বীকার করছে এটা ভাবতেই তার হৃদয় তীব্র সুখে অবশ হয়ে যাচ্ছে। মনে হলো এই বুঝি সুখের অসুখে সে মরেই যাবে। বুঝতে পারল আভাও তাকে আগে থেকেই ভালোবাসে। অতীত জীবনের জন্য এতদিন নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিল!

সে প্রিয়তমার হাতটা নিজের বুকের উপর রেখে বলল, “দেখো কেমন বুক ধড়ফড় করছে! অসহ্য তৃপ্তিতে নিজেকে পাগল মনে হচ্ছে। আজ আমি শান্তিতে ঘুমাতে পারব।”

আভা হাতটা টেনে নিয়ে মৃদু হেসে বলল, “সন্ধ্যা নেমে এসেছে বাসায় যাব কখন?”

দুজনে বাইকের দিকে এগিয়ে গেল। আভা তুষারের কাঁধে হাত দিয়ে বসল। এখন অন্যরকম একটা লজ্জা তাকে ঘিরে ধরেছে। বাতাসে তার সামনে থাকা চুলগুলো উড়ছে, কানের কাছে গুজেও দিচ্ছে, কিন্তু অবাধ্য চুল বারবার বেরিয়ে আসছে। তুষার বাইকের আয়নায় দৃশ্যটা দেখে হাসছে। তার ভালো লাগছে চুলের এমন অবাধ্যতা দেখে।

ইনশাআল্লাহ চলবে

প্রিয়, পাঠক আপনাদের ভালো লাগা, মন্দ লাগা জানাবেন। ছোট্ট করে হলেও জানাবেন।

ধন্যবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here