আতর পর্ব-২ শেষ পর্ব

0
1956

রহস্যগল্প #আতর দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব

আমি ভয় পেয়ে জোরে জোরে কয়েকবার সিমির নাম ধরে ডাকলাম, সিমি এই সিমি? কি করছ এতো রাতে? ছুরি হাতে কেন?
সিমি মনে হলো আমার ডাক শুনতে পেল না । দেখে মনে হচ্ছে ঘুমের ঘোর কাটে নি ঠিক মতো। বলল, তোমার পারফিউমের ঘ্রাণটা খুব সুন্দর সোহেল।

আমি বিস্মিত হয়ে বললাম, কি বলছ আবোল তাবোল, আমি পারফিউম মাখি না অনেকদিন।

সিমি কোন কথা বলল না। আমার দিকে তাকিয়ে থেকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে লাগল বিছানা ঘুরে।

আমি লাফিয়ে উঠে একটা বালিশ ছুঁড়ে মারলাম সিমির দিকে । অনেক জোরে লাগল বালিশটা সিমির মুখে। মুখ অন্যদিকে ঘুরে গেল। এরপর সে যখন আমার দিকে ঘুরল চোখ মুখ স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

অবাক হয়ে বলল, কি ব্যাপার সোহেল, লাইট জ্বালানো কেন?

আমি বললাম, সেটা তো আমারও কথা। তুমি এতো রাতে লাইট জ্বালিয়ে হাতে ছুরি নিয়ে কি করছ?

সিমি তার হাতে ধরা চাকুটার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকল। তারপর সেটা সে রান্না ঘরে রেখে এসে বিছানায় বসে কেঁদে ফেলল। আমি তাড়াতাড়ি এগিয়ে এসে তার মাথায় হাত রাখলাম।

কি হলো কাঁদছ কেন? কি আশ্চর্য।

সিমি আমার দিকে তাকাল। বলল, রাতে আতরের তীব্র ঘ্রানে তার ঘুম ভেঙ্গে গেছে এরপর লাইট জ্বালিয়ে দেখে আমার শরীর থেকে আতরের ঘ্রাণ আসছে। তারপর সে একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছে। আর কি কি করেছে তার মনে নেই। এখন নিজের হাতে চাকু দেখে তার ভয় লাগছে।

আমি ব্যপারটা উড়িয়ে দিয়ে তাকে সান্ত্বনা দিলাম। এই সামান্য ঘটনাকে এতো গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই।

পরদিন আফিসে বসে আমি রাতের কথা ভাবছিলাম। সিমিকে সাহস দেয়ার জন্য আমি ঘটনা সামান্য বললেও আমি ভয় পেয়েছি সন্দেহ নেই। এই আতর ওয়ালা আমার মনের উপর এমন প্রভাব ফেলে গেছে যে আমার আশেপাশের সবার উপর সেই প্রভাব ছড়িয়ে গেছে। ব্যাটা সাইকিক ধরনের মানুষ বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু সামান্য এক আতরওয়ালার কাছে হেরে গেলে তো চলবে না।

এরমধ্যে অফিসে রহমত ভাইয়ের সঙ্গে থাকে এমন একজন লোক ঢুকল। ঢুকেই বলল, স্যার সালাম। আতর তো ভালই লাগাইছেন, ঘ্রান বাইর হইছে ভালো। শুনেন ভাইয়ে পাঠাইছে আমারে। ভাই আপনেরে বলছে হেড অফিসে কথা বলে স্পন্সরশিপের ব্যবস্থা করতে। এলাকার ভালো কাজে যদি আগায় না আসেন তাইলে এলাকায় ব্যবসা করবেন কেমনে?

লোকটা প্রায় হুমকির স্বরে কথা বলে চলে গেল। অথচ কিছুদিন আগেই রহমত ভাই দলবল নিয়ে এসে বলে গেল স্পন্সরশিপ লাগবে না। তাহলে এখন কেন এই হুমকি? আতরের সাথে কি এর কোন সম্পর্ক আছে? দশদিন পর আতর লাগানো হয়নি বলে কি উলটো ফল দিচ্ছে এখন?

নাহ। আমার নিজেরই মাথা নষ্ট হবে এবার, নাকি মাথা ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে সেটাও জানা দরকার। আমার সাহায্য দরকার। মনে পড়ল আমার স্কুলের বন্ধু শামিনের কথা। সাইকোলজিস্ট হিসেবে সে বেশ ভালো করছে। প্রয়োজনে সাইকোথেরাপিও দিতে পারে।
আমি শামিনকে ফোন দিয়ে সব খুলে বললাম।

ঘটনা শুনে শামিন বলল, সোহেল তোর সম্পর্কে দেখি আমার ধারনা পাল্টাতে হবে। আমাদের স্কুলের সবচেয়ে ট্যালেন্টেড ছেলেটাকে একটা চাষাভুষা টাইপ লোক এসে নাকানি চুবানি খাইয়ে গেল … ছি ছি। ওই লোক তোর মনের উপর এতোখানি প্রভাব কিভাবে বিস্তার করল? তুই কি এতোই দুর্বল হয়ে গেছিস?

আমি বললাম, আমি এতো কথা শুনতে চাই না। আজ তোর সাথে দেখা হওয়া দরকার। আরো কথা আছে।

শামিন বলল, আজ আমার অফ ডে। তুই অফিসে থাক আমি আসতেছি। ভালো কথা কাচ্চির অর্ডার দে, কাচ্চি খাব।
.

শামিন আমার রুমে ঢুকেই বলল, বাহ তোর রুম তো চমৎকার সাজানো। আগে খেয়াল করিনি।
তারপর নাক কুঁচকে বলল, কই তোর কাছ থেকে কোন আতরের ঘ্রান তো আমি পাচ্ছি না।

আমি কথা বলতে যাচ্ছিলাম। শামিন বলল, উঁহু আমি সব পরে শুনব। কাচ্চি খাব আগে, আনছিস?

আমি মাথা ঝাঁকালাম। সে না বললেও কাচ্চি আনাতাম আমি। শামিন কাচ্চি পাগল মানুষ। তাকে খুশি করার একটাই উপায় কাচ্চি খাওয়াও।

খাওয়া শেষ করে শামিন একটা চেয়ারে হেলান দিয়ে আয়েস করে বসল। বলল, শোন দোস্ত, মাইন্ড গেম কি জিনিস সেটা তো তুই ভালো করেই জানিস। ওই লোকের কথাবার্তা তুই অবিশ্বাস করাতে সে তোর সাথে এক ধরনের মাইন্ড ট্রিক্স করেছে। তোর মনের উপর প্রভাব বিস্তার করে তোকে কষ্ট দেয়া ছাড়া আর কোন কারনা নাই। এই ধরনের কিছু মানুষ আছে এখনও। এরা অশিক্ষিত কিন্তু মানুষের মনের উপর প্রভাব বিস্তার করার নানা ধরনের ট্রিক্স জানে, অনেকদিন ধরে চর্চা করে এরা প্রায় নিখুঁত হয়ে গেছে। চিন্তা করিস না আমি তোকে এর মধ্যে থেকে বের করব।

–বুঝলাম কিন্তু এতো কিছু যে ঘটে গেল এর ব্যখ্যা কি?

শামিন একটু হাসল। যা ঘটছে সবই ন্যাচারাল। এমনিতেই ঘটত। যেহেতু তুই ওই লোকের দ্বারা প্রভাবিত। তোর সাবকন্সাশ মাইন্ডে সে একটা মেসেজ দিয়ে রেখেছে সে কারনে তুই ভাবছিস এই সবই ওই আতরের জন্য।

কিন্তু ওই আতরের গন্ধ। ওইটা অনেকে পাচ্ছে কিভাবে?

শামিন বলল, আতরের গন্ধ আমিও তোর কাছ থেকে দুই একবার পেয়েছি এই রুমে ঢোকার পর। আমি কি কোন অস্বাভাবিক আচরন করেছি সেজন্য তোর সাথে? করিনি। অন্যরাও করেনি । বাকিরা তোর কাছ থেকে আতরের ঘ্রান পেয়েছে তাই সেটা বলেছে। নিশ্চয়ই সবাই ঘ্রান পেয়েছে কিন্তু সবাই সেটা বলেনি , দুই একজন বলেছে। যারা বলেছে তাদের আচরন তারপর থেকেই তোর অস্বাভাবিক লেগেছে। দেখ এজন্যই আমি প্রথমে বলেছি যে আমি কোন ঘ্রান পাচ্ছি না। যাতে তুই আমার আচরনে অস্বাভাবিকতা খুঁজতে শুরু না করিস।
সে একটু থেমে বলল, তবে ভাবীর কাল রাতের আচরনটা একটু বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে আমার। এর দুইটা কারন হতে পারে, এক ভাবীর স্লিপ ওয়াকিং এর অভ্যাস আছে যেটা তুই জানিস না, কাল সেটাই হয়েছে, হাতে কাকতালীয় ভাবে ছুরি ছিল, হয়ত স্লিপ ওয়াক করে রান্না ঘরে চলে গিয়েছিল সেখান থেকে ছুরি আনমনে হাতে নিয়েছে। অথবা ভাবীও ওই আতরওয়ালা দিয়ে প্রভাবিত, তোর কাছ থেকে শুনে শুনেই হতে পারে, তার মনের উপর বড় প্রভাব পড়েছে এর। এটার সম্ভাবনাই বেশী যেহেতু ভাবী বলেছে সে ঘুম ভেঙ্গে তোর শরীর থেকে আতরের তীব্র ঘ্রান পাচ্ছিল।

আমি বললাম, কিন্তু আতরের ঘ্রান কোত্থেকে আসবে। ঐ লোক তো আমার শরীরে আতর না দিয়েই বলেছে দিয়েছি।

শামিন বলল, আতর সম্ভবত ওই লোকই লাগিয়ে দিয়েছে, তুই টের পাস নি। এটাও একটা ট্রিক্স। আচ্ছা তোর রুমে সিসি ক্যামেরার কাভারেজ আছে?

আমার রুমের বাইরে একটা ক্যামেরা আছে। গ্লাসের পার্টিশনের ভেতর দিয়ে ওই ক্যামেরা আমার রুমের কিছু অংশ কাভার করে। ওইদিন ঠিক কি করেছিল লোকটা সেটা হয়ত ক্যামেরায় দেখা যাবে।

আমি শামিনের সঙ্গে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করতে বসলাম। সিসি ক্যামেরার ভালো ফুটেজ পাওয়া গেল। লোকটা ওইদিন আমার সাথে কথা বলছে সেটা দেখা যাচ্ছে। দেখলাম আমি কথা বলছি লোকটার সাথে, ক্যামেরায় আমাকে দেখা যাচ্ছে লোকটা উলটো দিকে বসা, ক্যামেরার দিকে পেছন ফিরে। যাওয়ার জন্য লোকটা চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াল, আমিও উঠে দাঁড়িয়েছি, আমি আশ্চর্য হয়ে দেখলাম লোকটা হাতে ধরা আতরের শিশি থেকে একটু আতর নিয়ে আমার কাঁধে ঘষে দিল।

এরপর সে যে কাজট করল সেটা আরোও অদ্ভুত, ঘুরে সিসি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসল। যেন সে জানত সিসি ক্যামেরায় রেকর্ডিং হচ্ছে এবং এই রেকর্ড আমরা পরে দেখব।

আমি এতো বিস্মিত হলাম যে কিছুক্ষণ কোন কথা মুখে এলো না। শামিনও দেখলাম একটু শকড হয়ে গেছে।

সে একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল, এই লোক তো মারাত্মক চালু দোস্ত। তোর উপর যে প্রভাব বিস্তার করেছে সেটা এমনি এমনি করেনি। সে জানত যে আমরা ক্যামেরা দেখে সেদিনের ঘটনা বোঝার চেস্টা করব তাই ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসল। তবে একটা ব্যাপার পরিষ্কার হলো যে সে তোর কাঁধে সত্যি সত্যি আতর লাগিয়ে দিয়েছিল ওইদিন। নিশ্চয়ই তোকে সাময়িকভাবে হিপনটাইজ করে নিয়েছিল। তুই বুঝতে পারিসনি। তাহলে সবাই যে আতরের ঘ্রান পাচ্ছে এটার ব্যখ্যা সহজ হয়ে গেল। অতিলৌকিক কিছু না। এখন এটা তো পরিষ্কার যে সে এই কাজটা করেছে তোকে মানসিক চাপে ফেলার জন্য আর ওই চাপের কারনেই তুই স্বাভাবিক ভাবে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে অলৌকিক কেরামতি ভাবছিস।

শামিনের ব্যখ্যা শুনে আমার আত্মবিশ্বাস ফিরে আসল। বুঝতে পারলাম ওর সবগুলো কথাই ঠিক। ওই লোকটা আসলেই দারুন চালাক, কিছুটা হিপনোটিজম জানে । আমাকে বোকা বানিয়ে আমার সাথে খেলছে।

শামিন আমার দিকে তাকিয়ে বলল, তোর দিকে তাকিয়ে ভালো লাগছে এখন, বোঝা যাচ্ছে ব্যাটার চালাকি তুই বুঝতে পেরেছিস। ওই লোকের প্রভাবও কেটে গেছে তাহলে। ভেরি গুড। এখন আমি যাই।

সে উঠতে যাচ্ছিল, এর মধ্যে একটা লোক ঢুকল আমার রুমে। তাকে দেখে আমরা দুইজনই চমকে গেলাম।

সেই আতরওয়ালা।

আমার সামনে দাঁড়িয়ে আতরওয়ালা বলল, স্যার আমার কথা বিশ্বাস হইছে আপনার? দেখছেন আতরের কেরামতি? এখন আমারে একটা লকার দেন। আগামী বিশদিন আরোও দুইবার আতর লাগায় দিব আপনেরে, ভাগ্য খুলে যাবে আপনার।

শামিন বলল, তোমার আসলে অনেক সাহস। তুমি আমার বন্ধুর গাঁয়ে তার অনুমতি ছাড়া আতর লাগিয়ে মজা করেছ এতোদিন, আবার এসেছ লকার চাইতে? ব্ল্যাকমেইল না?

আতরওয়ালা ঘুরে শামিনের দিকে তাকিয়ে বলল, ও আপনি, স্যারের বন্ধু বুঝি! আমি তো স্যারকে শুধু আতরের কেরামতি দেখাইছি আর কিছু না। সে তো নিজেই দেখছে, আমি কিছু করি নাই তো।

শামিন ঠান্ডা গলায় বলল, তুমি এই সব বুজরুকি কাজ কারবার দূরে গিয়ে কর। অন্তত আমাদের সাথে না।

আমি বললাম, শুনেন ভাই আমার বন্ধু শামিন অনেক বড় মাপের সাইকোথেরাপিস্ট, হিপনোটিজম ওর কাছে ডালভাত। এইখানে চালিয়াতি খাটবে না। আপনি প্লীজ চলে যান।

লোকটা বিস্মিত হল বা হওয়ার ভান করে বলল, হিপনোটিজম কি?

আমি বললাম, আপনি আমার সাথে যা করছেন তার থেকেই আরাক কাঠি উপরে। ইচ্ছা করলে শামিন আপনাকে ঘুম পড়িয়ে দিতে পারে জানেন?

লোকটা বলল, তাই না তো। কই দেখি পারলে আমাকে ঘুম পড়ান তো।

বিরাট চ্যলাঞ্জ। আমি বলতে চাচ্ছিলাম চাইলেই কাউকে হুটহাট ঘুম পড়ানো যায় না, কিছু প্রস্তুতির ব্যাপার আছে।
কিন্তু শামিন আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, ওই সোফায় বস। আমি তোমাকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘুম পড়িয়ে দেব।

ওই লোক গোবেচারার মত সোফায় গিয়ে বসল। শামিনের তার সামনে বসে নানা কথা বলে কারিকুরি করতে লাগল।

আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না সে শামিন এই লোককে ঘুম পড়াতে পারবে, কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যে লোকটা সত্যি সত্যি ঘুমিয়ে পড়ল। তার নাক ডাকতে লাগল।

আমি বললাম, সে তো সত্যি সত্যি ঘুমিয়ে গেছে রে শামিন, নাক ডাকার অভিনয় করা সম্ভব না।

শামিন বিজয়ীর হাসি হেসে বলল, এই লোক আসলে খুবই নীচু মানের হিপনোটিজম পারে। তোকে দুর্বল দেখে তোর উপর প্রয়োগ করে গেছে। এখন দেখ নিজেই কুপোকাত।

কিছক্ষণ পর শামিম আগে থেকেই ঠিক করে রাখা কমান্ড বলে লোকটাকে ঘুম থেকে জাগালো। লোকটা ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল, স্যার দারুন দেখালেন। সত্যিই ঘুমিয়ে গেছিলাম। কিন্তু স্যার এই বিদ্যা আমি জানি না, আমি তো শুধু আতরের কেরামতি জানি। আপনাদের আতর মাখিয়ে দিয়েছি, আমি শুধু ওইটুক পারি।
এরপর সে মাথা নীচু করে চলে গেল।

আমরা হাসলাম। শামিনের মতো একজন এক্সপার্ট সাইকোথেরাপিস্টের সাথে যে সে কুলায় উঠতে পারবে না সেটাই স্বাভাবিক।

হঠাৎ আমি বললাম, আচ্ছা শামিন ওই লোক বলল আপনাদের আতর মাখিয়ে দিয়েছি, ও তো শুধু আমাকে আতর মাখিয়েছে।

–আরে ধুর ! তুই এখনো আতর নিয়ে আছিস। ও ভুল করে বলছে ওই কথা। আমাকে কখন আতর দেবে, সে নিজেই ঘুমে ছিল।

আমরা আবার হাসলাম মন খুলে।
.

ওই রাতে ঘুমিয়েছি। গভীর রাতে মোবাইলের শব্দে ঘুম ভাংগল। শামিনের ফোন।
আমি রিসিভ করলাম, হ্যালো শামিন, এতো রাতে?

ওই পাশ থেকে ভয়ার্ত গলা শোনা গেল শামিনের , দোস্ত তোর ভাবি বলছে আমার গাঁ থেকে নাকি আতরের তীব্র গন্ধ আসছে। সে একটু আগে আমার গলা টিপে ধরেছিল। অনেক কষ্টে তাকে সরিয়েছি।

–বলিস কি?
— ঠিকিই শুনছিস। লোকটা আমার শরীরে নিশ্চয়ই কোনো ফাঁকে আতর লাগিয়েছে। হয় আমি পাগল হয়ে গেছি না হলে সত্যিই ওই আতরের কিছু কেরামতি আছে।

দেশের প্রখ্যাত একজন সাইকোলজিস্ট কাম সাইকোথেরাপিস্টের কথা শুনে আমি স্তদ্ধ হয়ে বসে থাকলাম।

(শেষ)

লেখক ঃ খোন্দকার মেহেদী হাসান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here