আনকোরা পর্ব-৩৩

0
1607

#আনকোরা
#রূবাইবা_মেহউইশ
৩৩.

“দিহান অনেক হয়েছে এবার আর তোকে আমি যেতে দিবো না। চৈতীকে ছেড়ে কোথায় যাবি বল তো!”

দিলশাদের বিড়বিড় করা কথাগুলোতে চৈতীর ঘুম ভেঙে গেছে। সুইটিও নড়াচড়া করছে তারও বোধহয় ঘুম হালকা হয়ে গেছে। দিলশাদের জেদের কারণেই রাতে চৈতীর সাথে তাকে ঘুমাতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চৈতী এখনো সুস্থ নয় সেই দিলশাদ নিজেও মানসিক ভারসাম্যহীন। ভয়েই সুইটি এসে শুয়েছে তাদের পাশে। চাঁদ নিজের ঘরে থাকলেও প্রায় প্রতি ঘন্টায়ই সে জেগে যাচ্ছে। এসে এসে দরজার পাশে ঘুরে গেছে। ভোরের দিকে এসে হঠাৎ দিলশাদ দিহানের নাম নিয়ে বিড়বিড় করছে। ঘরের জানালা খোলা থাকায় বাইরে থেকে ঠান্ডা বাতাস হু হু করে ঘরে ঢুকছে। আকাশটা এখন ধূসর মেঘে ছেয়ে আছে। ভোরের আলোয় অন্ধকার ফিকে হয়ে গেলেও ঘরটা অন্ধকারই লাগছে। চৈতী ফুপির পাশে বসে নির্নিমেষ চোখে তাকিয়ে আছে। তার স্মৃতির পাতা ধোঁয়াশা সে বারবার মনে করার চেষ্টা করছে এই মানুষটা তার কে! হঠাৎ মনে পড়লো রাতে মা বলেছিলো এটা তার বড় ফুপি। হাসপাতালে থাকতেই সে বাবাকে চিনেছে। বাবা যখন তার পাশে বসে মাথায় হাত বুলায় তখন তার ভালো লাগে খুব। মনে হয় বাবাই তার সবচেয়ে আপন। আবার মা যখন পাশে বসে মনে হয় মায়ের চেয়ে আপন আর কেউ নেই। কিন্তু এখন এই ফুপিকে খুব আপন লাগছে। তবে তার সবচেয়ে বেশি যে মানুষটাকে দেখে মনে কৌতূহল জেগেছিলো তা হলো দিশান ভাই। মা বলেছিলো উনি এই ফুপির ছেলে। কিন্তু তার মুখটা দেখার পর থেকেই কিছু একটা মনে হচ্ছে কিন্তু সেই মনে হওয়াটা কি!

চৈতীর সুস্থতা অনেকটা এগিয়ে গেছে। সে মোটামুটি ভাবে সবাইকেই চিনতে পারছে। কিন্তু তার সমস্যা একটাই হচ্ছে সে কে কি হয় সম্পর্কটা ঠিকঠাক ধরতে পারছে না। আবার কিছু কিছু ঘটনাও সে অস্পষ্ট মনে করতে পারছে। এইতো দুদিন আগেই সে হঠাৎ ঐশীকে দেখে বলল ঐশীর বিয়েতে নাকি একটুও মজা করতে পারেনি। তার মুখে এমন কথা শুনে সুইটি আর ঐশী দুজনেই উৎসুক হয়ে জানতে চাইলো আর কি করতে পারেনি! অনেক ভাবলো কিন্তু চৈতী তেমন কিছুই বলতে পারেনি। আজকাল সে অনেক কথাই বলে আর তার সব কথাতেই কেমন যেন একটা অগোছালো ভাব। কখনো কখনো দিহান ভাই কোথায়, দাদু কোথায় বলেও সে প্রশ্ন করে। হতাশ হয় চাঁদ এই প্রশ্নগুলো শুনে পরক্ষণেই মনে হয় থাক সে ভুলেই। দিহান কিংবা তার সন্তানের কথা মনে পড়লে প্রতিক্রিয়া কেমন হবে ভাবতেই ভয় লাগে। চৈতীর সুস্থতা সবচেয়ে বেশি যার ওপর প্রভাব ফেলল সেই মানুষটা দিলশাদ। তার পাগলামোতে অনেকটা ঔষধ হয়ে দাঁড়িয়েছে চৈতীর সুস্থতা। যেই ট্রমা থেকে ডাক্তারি ট্রিটমেন্টেও বের হতে পারছিলো না তা যেন চৈতীর সুস্থতাই করছে। জীবনের খেয়া কখন কোথায় উল্টে যাবে কখন তা তীরে এসে ঠেকবে এতো শুধুই পরম করুণাময় জানে। চৈতীর সুস্থতা তার সবাইকে চিনতে পারা তার আপনজনদের জন্য আনন্দের শুধুই একটা মানুষ ব্যতিত। চৈতী সুস্থ হচ্ছে আর অভিনব খন্দকার হারিয়ে যাচ্ছে তার আশপাশ থেকে। হাসপাতালের বেডে অচেতন চৈতীর পাশে যে মানুষটা ছায়ার মত পাশে ছিলো সেই মানুষটা অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে চৈতী সুস্থ হতেই। চাঁদ, সুইটি, দিশান প্রত্যেকেই কৃতজ্ঞতার হাসিতে সেই মানুষটাকে আপন ভেবে কাছে ডাকলেও আজকাল মানুষটা আসে না। চৈতীকে দেশে আনার প্রায় মাস খানেক পর অভি নিজেই একদিন রাতে এসে হাজির হলো চাঁদখানের বাড়িতে। রাত তখন এগারোটা কি তারও বেশি। বাইরে তুমুল বৃষ্টি সেই সাথে ঝড়ও হচ্ছিলো। নিজের গাড়ি করেই এসেছে ছেলেটা তবুও গেইটের বাইরে গাড়ি রেখে বাড়ির ভেতরে আসতে গিয়েই অনেকটা ভিজে গেছে। ভেজা চুলের পানি ঝাড়তে ঝাড়তেই সে এসে দাঁড়িয়েছিলো চৈতীর ঘরের সামনে। চৈতী তখনও ঘুমায়নি। চাঁদ পুরনো কোন ছবির এলবাম নিয়ে চৈতীকে নিজেদের পুরনো ছবি দেখাচ্ছিলেন। অভিকে চৈতীর ঘরের দিকে পাঠিয়ে সুইটি রান্না ঘরে ঢুকলো কফি বানাতে। ঝড়ের তান্ডবে বাইরে বড় বড় গাছগুলোও তখন মড়মড় আওয়াজ তুলে নড়ছে যেন এখুনি ভেঙে পড়বে ডালগুলো। অভি দরজার কাছে এসে আজও থেমে গেল সেদিনের মত৷ আজও সে এক পলক তাকিয়েই চোখ সরিয়ে নিলো চৈতীর মুখের ওপর থেকে৷ শুকনো, কালসিটে পড়া মুখাবয়ব সাদা বাতির আলোয়ও দেখতেই বুকটা কেঁপে উঠল। এতোটা যন্ত্রণা কেন হয় চৈতীর মুখের দিকে তাকালে তা অভি জানে না। শুধু জানে ও মুখের দর্শনে তার হৃদয় ভাঙে ভরাবর্ষায় ভাঙা নদীর কূলের মত। এ ভাঙনে তার সব হারিয়ে যায় ক্ষণে ক্ষণে। যাকে ভালোবাসে তাকে না পাওয়ার চেয়েও দ্বিগুণ কষ্ট বুঝি তার এমন আঁচরকাটা মুখ দেখলেই হয়! এ কেমন অনুভূতি তার! তবে কি সে চৈতীর রুপে আকৃষ্ট ছিলো! চৈতী ছবির এলবাম দেখতে দেখতেই বাবাকে হাজারটা প্রশ্ন করছে আর চাঁদও তার সকল প্রশ্নের জবাব দিয়ে চলছে। ছোট্ট চৈতীকে যা দিতে পারেনি এই চৈতীকে সে তাই দিচ্ছে। তার ‘সময়’! ছোট্ট চৈতী তো সবসময়ই চাইতো বাবা তাকে সময় দিক, বাবা তার পাশে থাকুক। থাকছে বাবা তার পাশে এখন অফুরন্ত সময় নিয়ে কিন্তু এই সময় কি চৈতীর কাম্য ছিলো!

অভিনব দূর থেকেই দেখছিলো চৈতীকে। চাঁদ প্রশ্ন করলো, “পড়াশোনা করবে আবার চৈতী?”

চৈতী তার বাবার কথার জবাব দিতেই যাচ্ছিলো তখনি তার চোখ পড়ে দরজায়। পর্দার ফাঁকে চোখে পড়ছে একটা মুখ। সম্পূর্ণ নয় একপাশ দেখা যাচ্ছে, খোঁচা দাঁড়ি, এলোমেলো ভেজা চুল। এক মুহুর্তের জন্য চৈতী থমকে গিয়ে আবার ডেকে উঠলো, “দিহান ভাই!”

কলিজাটা ধ্বক করে উঠলো চাঁদ খানের। সে তড়িৎ গতিতে ফিরে তাকালো চৈতীর দৃষ্টি অনুসরণ করে। ‘দিহান!’

“কোথায় দিহান?”
প্রশ্ন করলো চাঁদ।

চৈতী নিষ্পলক তাকিয়ে রইলো দরজার দিকে৷ কেউ নেই সেখানে কিন্তু তার মনে হলো সে মাত্রই কাউকে দেখেছে। কিন্তু দিহানকে দেখেছে কিনা জানে না। ভ্রম হয় তার আজকাল হতে পারে এটাও ভ্রম। কালও যখন তার কাউন্সিলিং হচ্ছিলো তখনও নাকি সে দিহানের কথা বলেছে ডাক্তারকে৷ কিন্তু দিহানের মুখ সে স্পষ্ট মনে করতে পারে না।

“কাল রাতভর কোথায় ছিলে?”

বাড়িতে ঢুকতেই অনামিকা প্রশ্ন করলো অভিনবকে। অভি কাল রাতে সেই ঝড়বৃষ্টিতেই বেরিয়ে এসেছিলো চৈতীদের বাড়ি থেকে। সে চেয়েছিলো কাল চৈতীর মুখোমুখি হবে। খুব কাছ থেকে দেখে দু চারটা কথাও বলবে। কিন্তু চৈতী যখন তাকে আবছা দেখেই দিহানের নাম ধরে ডেকেছে তখন আর তার মনটা টিকলো না। সে এই ঝড়ের মধ্যেই কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে এসেছিলো। গাড়িতেই সে অনেকটা সময় থম মেরে বসে ছিলো। “দিহান, দিহান, দিহান শুধুই দিহান!”

ওই মানুষটা চলে গিয়ে সবাইকে নিজের মুরিদ বানিয়ে গেল। কেন চলে গেল সে! তার থাকাটাই তো জরুরি ছিলো। অভিনব নিজেই নিজেকে প্রবোধ দিলো কেন সে ভাবে দিহানকে নিয়ে। সে কে! চৈতীর জীবন নিয়ে তার এত ভাবনা কিসের? কেউ না সে চৈতীর জীবনে আর দিহান! চৈতীর জীবনের সবচেয়ে কাছের পুরুষ দিহান। হোক সে মৃত তবুও চৈতীর জীবনে দিহানই সবকিছু৷ সারারাত মনের বিষাদে ডুবে আর বাড়ি ফেরা হয়নি অভিনবের। খুব শীগ্রই সে এ দেশ ছেড়ে চলে যাবে। অনেক দূর যাবে যেখানে গেলে তাকে শুনতে হবে না দিহান নামটা। যেখানে গিয়ে সে চাইলেও আর ফিরতে পারবে না চৈতীকে এক পলক দেখতে। ভালোই তো ছিলো সে ভিনদেশে। কেন সেদিন শুনতে হলো চৈতীর জীবনের দুঃসহ ঘটনা! আর তাইতো সে পাগলের মত ছুটে এসেছিলো এ দেশে৷ মায়ের প্রশ্নের জবাবে সে উত্তর না দিয়ে এগিয়ে এলো মায়ের কাছে। অনামিকা একটা কাঠের চেয়ারে বসে চা হাতে পুরনো পত্রিকায় নজর বুলাচ্ছিলেন। অভি এসে আচামকা তার পায়ের কাছে বসে পড়লো। ছেলের এমন কান্ডে হতবাক অনামিকা চায়ের কাপটা পাশেই টেবিলে রেখে অভির মাথায় হাত রাখলেন।

“কি হয়েছে অভিনব?”

দু হাতে মায়ের পা জড়িয়ে ধরলো অভি৷ মাথাটা মায়ের কোলের ওপর রেখেই নিঃশব্দে চোখের জল ফেলতে লাগলো।

“এ্যাই অভিনব কি হয়েছে?”

“আমি খুব দূরে চলে গেলে তোমরা কি খুব কষ্ট পাবে আম্মু?”

ছেলের মুখে এমন কথা শুনে বুকটা ছ্যাৎ করে উঠলো অনামিকার।

“কি হয়েছে বাবা এমন কথা বলছিস কেন?”

“অনেক চেষ্টা করেছি আম্মু আমি পারছি না। কিছুতেই পারছি না চৈতীকে ভুলে থাকতে। দূর থেকে ভালোবাসলেও যে এতোটা যন্ত্রণা হয়, এতোটা দগ্ধ হয় হৃদয়টা আমি জানতাম না। আমি কেন তাকেই ভালোবাসলাম আম্মু যে আমার জন্য নিষিদ্ধ!”

অনামিকা নির্বাক; কি বলছে এসব অভিনব! সে তো রোজ বলতো ভুল বুঝছো আম্মু। চৈতীকে সুস্থ করতে সব করবো তাই বলে ভেবো না আমি তাকে পাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যাবো। অথচ আজ এই ছেলে চৈতীর জন্যই কাঁদছে। বিচলিত হচ্ছে অনামিকা কি বলবে সে ছেলেকে! অভিনবের বাবার আজ ছুটি। তিনি মাত্রই ঘুম থেকে উঠে নিচে আসছিলেন নাশতা করবেন বলে। সিঁড়ি গোড়ায় দাঁড়িয়েই সবটা দেখে উল্টো পায়ে ঘরে গেলেন। স্ত্রীর জেদ আর সন্তানের আবেগ দুটোই নিঃশব্দে তাকে হজম করতে হবে। স্ত্রী কেন তিনি নিজেও হয়তো কখনো চাইবেন না ছেলের পাশে চৈতীকে দেখতে। আর না ছেলের আবেগে জর্জরিত হৃদয়ের কান্না দেখতে। অভিনবের আবেগের বয়স নয় এটা তবুও ছেলেটা হঠাৎই প্রেমের জালে জড়িয়ে গেল। অথচ যার জন্য মরিয়া সেই মেয়েটির জীবনে অভিনব অচেনা, অজানা এক মানুষ।

জৈষ্ঠ্যমাস ; রোদের তেজ প্রখর। ঘরে পাকা আমের দারুণ মিষ্টি ঘ্রাণ নাকে লাগছে চৈতীর। সেই সাথে ভর দুপুরে ঘুমের টান বারবার হাই তুলছে। কিন্তু খুব করে মন চাইছে পাকা আমের জুস বানাতে। সে আজকাল যেকোন কাজ করতেই কেমন উতলা হয়ে যায়। তার কাজ করতে মন চায় ঘরের, সংসারের। কিন্তু মা তাকে রান্নাঘরের আশেপাশেও যেতে দেয় না। মাঝেমধ্যে ছোট ফুপি এলে সে তার ফুপিকে জিম্মা করে রান্নাঘরে ঢুকে চা বানায়। আজও খুব ইচ্ছে করছে জুস বানাতে কিন্তু মাকে বললে মা নিশ্চিত বলবে তুই অপেক্ষা কর আমি বানিয়প আনছি। আর ঠিক এ কারণেই সে তার মনের ইচ্ছেটা প্রকাশ করলো না। দুপুরের রোদে গা ঝলসে যাওয়া অবস্থা কিন্তু বাবা বের হচ্ছে কোথাও যাবে বলে। চৈতী ডাকলো, “কোথায় যাবে বাবা?”

“এই তো মা এক বন্ধুর সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকটায়।”

“আমি আসি?”

“আমি তো একটু কাজে যাবো মা। এই গরমে তুমি…” অর্ধেকটা কথা বলেই থেমে গেল চাঁদ খান। মেয়েটা নিজ থেকে বাইরে যেতে চাচ্ছে৷ বলল, “তৈরি হও নিয়ে যাই।”

তৈরি বলতে চৈতী শুধু পরনের শার্ট বদলে একটা লং কূর্তি পরেছে জিন্স প্যান্টের সাথে। মাথার চুলগুলো দেড় ইঞ্চ পরিমাণ লম্বা হয়েছে কিন্তু তার সেদিকে খেয়াল নেই। সুইটি দেখে একটা হিজাব এগিয়ে দিলো, “এটা পেঁচিয়ে নাও মাথায়।”

চৈতীও তা আলগোছে পেঁচিয়ে বাবার সাথে বের হলো। বাবার মত লম্বা, উঁচু একজন মানুষের পাশে চৈতীকেও যথেষ্ট লম্বা লাগছে। কিন্তু মুখটা তার শুকিয়ে একূম বাচ্চাদের মত হয়ে গেছে। বাবা -মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই একটি স্থানে পরিচিত মানুষটির সাথে দেখা করলো। চাঁদ অনেকটা সময় গল্পে ব্যস্ত থাকায় চৈতী হঠাৎ বলল, “আমি একটু এদিকটা ঘুরে আসি?”

চাঁদ ফিরে তাকালেন। চৈতী দোয়েল চত্বরের দিকটা উদ্দেশ্য করে বলছে। নিজের মুঠোফোনটা চৈতীর দিকে বাড়িয়ে দিলেন, “এটা নাও সাথে। তুমি হেঁটে আসো আমি ফোন দিলেই ফিরে আসবে।” চাঁদের বন্ধুও বলল ঘুরে দ্যাখো জায়গাটা। চৈতী বেরিয়ে গেল। হাটতে হাটতে অনেকটা দূর এসেছে। এখানে অনেক মানুষ, রাস্তার দু ধারে বড় বড় গাছ আর মানুষজন ফুটপাতেই বসে আড্ডা দিচ্ছে। অধিকাংশই ক্যাম্পাসের ছেলেমেয়ে। চৈতী হঠাৎ খেয়াল করলো রাস্তার পাশে কালো একটি গাড়ি আর তার দরজা খুলে দাঁড়িয়ে আছে একটি ছেলে। সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট হাতে তার স্টেথোস্কোপ। বাঁকা বিপরীত দিকে থাকায় মুখটা অর্ধেক দেখা যাচ্ছে ছেলেটার। চৈতীর মনে হলো মুখটা খুব পরিচিত, খুব বেশিই চেনা৷ সে আরেকটু এগিয়ে গেল মুখটা দেখতে তখনি ছেলেটা গাড়িতে উঠে বসলো। অতি আগ্রহে চৈতী ডেকে উঠলো, ” এই যে শুনুন!”

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here