আনকোরা পর্ব-৩৮

0
3168

#আনকোরা
#রূবাইবা_মেহউইশ
৩৮.
ঝুম বৃষ্টির পর প্রকৃতি ধুয়ে মুছে নতুন রুপে সেজেছে। পাতার সবুজ রঙ হয়েছে আরো চকচকে সবুজ। ধূলিমাখা শহর বৃষ্টিস্নানে হয়ে গেছে স্নিগ্ধ, শান্ত। সকালের আকাশে সূর্যের আলো ফিকে ছাইরঙা মেঘের আড়ালে। চৈতী বিছানা থেকে নেমেই প্রথমে বারান্দার দরজায় দাঁড়ালো। তার নিজেরই মনে হলো এ যেন তার রোজকার নিয়ম। ঘুম থেকে উঠেই সে প্রতিদিন এখানটায় দাঁড়িয়ে লনের সামনে থাকা ফুলগাছ গুলোকে দেখে! বারান্দায় দাঁড়িয়ে সে একটু অবাকও হলো দুটো ক্যাকটাসের টব দেখে। একটাতে তিনটে মাঝারি আকৃতির হলদে লালের মিশেলে ফুলও ফুটেছে। বৃষ্টির পানি ফোঁটায় ফোঁটায় পাপড়িতে জমে আছে সেই সাথে পুরো বারান্দা জুড়ে বরফ শীতল বৃষ্টির পানি জমে আছে। এত পরিচিত, এত অভ্যস্ত দৃশ্য কেন লাগছে তার এটা! ঘরে খাটের মাথার দিকের দেয়ালটায় বড় একটা ছবি আছে দিহানের। কাল রাতে চৈতী সেদিকে খেয়াল করেনি। বলা যায় কোনদিকেই তাকায়নি ঘরে ঢুকে সোজা বিছানায় গা এলিয়ে চোখ বুঝেছে। তার মন বলছিলো এখানেই হবে তার প্রশান্তির ঘুমটা; হয়েছেও তাই। কিন্তু এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না কাল রাতে সে এখানে কেন এসেছে? এখন কয়টা বাজে! খেয়াল হতেই চৈতী বারান্দা ছেড়ে ঘরে ঢুকলো। এ ঘরে কোন দেয়াল ঘড়ি চোখে পড়লো না তাই নিজের ফোনে সময় দেখলো ছয়টা বাজে। এত সকালে নিশ্চয়ই সবাই ঘুমাচ্ছে ভেবে সে রুম থেকে বের হলো। অবাক কান্ড! সোফায় বাবা ঘুমাচ্ছে পা জোড়া তাঁর মেঝে ছুঁয়ে। এত লম্বা মানুষটা সারারাত এভাবে পড়েছিলো! এখন খুব খারাপ লাগছে তার রাতে করা আচরণের জন্য। বদ্ধ পাগলের মত সে কোনদিক না দেখেই এখানে এসে ঘুমিয়েছে। বাবার পাশে এসে মাথায় আলতো করে হাত রাখতেই বাবা সজাগ হলেন।

“ঘুম ভেঙে গেছে?”

“স্যরি বাবা। আমার জন্য সারারাত এভাবে,,,”

“ইট’স ওকে”

বাবা মেয়ের কথার মাঝেই ময়না খালা নেমে এসেছে দোতলা থেকে। তিনি এত ভোরে বসার ঘরে দুজন মানুষ দেখে বিষ্ময়ে সামনে এগোতেই চমকে গেলেন চৈতীকে দেখে। দু চোখ ভরা তার জল সে আর কোনদিকে না তাকিয়ে চেঁচিয়ে উঠলো আফা গো! বলেই। দিলশাদকে ডাকা শেষ করে দৌড়ে উঠলো দোতলায়। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মাঝেই এতকিছু ঘটে গেল যে চাঁদ থামানোর সুযোগ পায়নি ময়নাকে। শুধু রাগ নয় আবেগও মানুষকে হিতাহিতজ্ঞানশূন্য করে দেয় তাই যেন প্রকাশ করলো ময়নার চিৎকার। নইলে তার তো অজানা নয় চৈতীর সুস্থতার প্রত্যেকটা পর্যায় সম্পর্কে। চৈতীকে দেখে আসলেই দিশান, তার বাবা আর দিশা প্রত্যেককেই এক একটা খবর সে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জেনে নেয়। এ বাড়ির অন্য সদস্যের মত চৈতীও তারও খুব আপন। ময়নার ডাকাডাকিতে সবাই এসে হাজির হয়েছে নিচ তলার বসার ঘরটিতে। দিহানের বাবা ছাড়া বাকি সবাই চৈতীর দিকো তাকিয়ে আছে। সবার দৃষ্টিতে জিজ্ঞাসা। বাইরের শীতল আবহাওয়া ঘরের ভেতর সকলের মনকেও শীতল করে তুলছে চৈতীকে দেখার পর থেকেই। দিলশাদ এসে চৈতীর হাত ধরতেই চৈতী জিজ্ঞেস করলো, “কেমন আছো ফুপি?”

দিলশাদ জবাব দেওয়ার আগেই দিশান প্রশ্ন করলো, “কখন এসেছেন মামা?”

চাঁদ রাতের ঘটনা বলতেই সবাই অনেকটা আশাবাদী হয়ে চৈতীকে অনেক কথা জিজ্ঞেস করছে। কিন্তু তার জবাবে এতটুকু বোঝা গেল চৈতী অতীত মনে করে এখানে এসে উপস্থিত হয়নি! সকালটা সবার কিছুটা উত্তেজনায় কাটলেও পরের সময়টা কাটলো গম্ভীরতায়। সবাই একসাথে নাশতার পর চাঁদ যখন বলল, “চৈতী চলো বাড়ি ফিরি তোমার আজকে ক্লাস আছে কাল বলছিলে।”

চৈতী তখন জবাব দিলো সে এখান থেকেই যাবে। এখানে সে বেড়াবে কিছুদিন বড় ফুপির কাছে। তারপর যাবে ছোট ফুপির বাসায়। চাঁদ আর জোর করেনি বরং দিলশাদও প্রচণ্ড খুশি সেই সাথে দিশা আর ঐশীও। সেদিন আর ইউনিভার্সিটি যাওয়া হয়নি চৈতীর। সারাদিন ময়না, দিলশাদ আর ঐশীর সাথেই কেটে গেল। দিশার মেয়েকে নিয়ে কত আহ্লাদ করলো আবার বিকেলে দিশা এসে ঘুরতে নিয়ে গেল চৈতীকে। রাতের খাওয়া শেষ করে ঘুমানোর সময় হতেই দেখা দিলো বিপত্তি। দিশা জোর করলো তার সাথে ঘুমাতে চৈতী মানলো না। সে গো ধরে রইলো দিহানের ঘরে ঘুমাবে বলে। দিনের বেলায় চৈতী একবার প্রশ্ন করেছিলো, দিহান ভাই কোথায় গেছে?

ঐশী সামলে নিয়েছিলো তখন মিথ্যে বলে দিহান বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গেছে বলে৷ এরপর আর চৈতী কোন প্রশ্নই করেনি দিহান সম্পর্কিত। বাড়ির সবাই ভীষণ অবাক হয়েছে দিলশাদের পরিবর্তনে। সে একটুও উদাস হয়নি, মন খারাপ করেনি দিহানের নাম ধরে কান্না করেনি।

সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় অভিনব খুব করে চেষ্টা করলো চৈতীকে ভুলে থাকতে। সাধ্যের বাইরে তার এ কাজ কিন্তু সে মানে অভ্যাস মানুষের দাস। সে চেষ্টা করলেই চৈতীকে ভুলে থাকার অভ্যাস তৈরি করতে পারবে যেভাবে করেছিলো চৈতীকে ভালোবাসার অভ্যাস। সবার ভাগ্যে প্রিয় মানুষ প্রাপ্তি লেখা থাকে না এ কথা যে মানুষ যত তাড়াতাড়ি মেনে নিবে ততই তার মঙ্গল। অভিনব কোন টিন এজার নয় তবুও তার সময় লেগে গেল অনেকটা ধরীত্রির এই সামান্য কথাটা মানতে। দেরি হোক বুঝতে পেরেছে এই ঢের। চৈতীকে পাওয়া তার ভাগ্যে নেই তাই বলে তার পাশে থাকবে তাতো হয় না৷ দিনময় ব্যস্ত শিডিউল রেখে তাতে চৈতীকে একপলক দেখার ফাঁক রাখেনি সে। কাউকে ভুলে যাওয়ার প্রথম শর্ত তার দর্শন থেকে বিরত থাকা৷ অনেকেই বলে দূরে থাকলে মনের মানুষকে ভোলা অসম্ভব এটা অভিনব মানে না। এসব শুধু মুভি, সিনামাতেই সম্ভব। বাস্তব তো এই সবচেয়ে আপন মানুষটাও মারা গেলে তাকে ভুলে জীবনে এগিয়ে যাওয়া যায়। হয়তো তার জায়গা অন্যরা দখলে নিতে পারে না কিন্তু তাকে এড়িয়ে সামনে যাওয়াও আটকে থাকে না। তবে দিথিকে কাল সবটা বলে দিতে পেরে স্বস্তি পাচ্ছে৷ মেয়েটা অন্তত তার মোহে জড়ানো থেকে বিরত থাকবে। অভিনব সিদ্ধান্ত বদলেছে নিজেকে বদলাতে হবে। বছর দুই আগেও সে এমন ছিলো না তার জীবন চৈতী নামের কোন মানুষ ছিলো না। মাঝের পুরোটা সময়েও ছিলো না তবে এখন কেন একটা মানুষের জন্য সে এলোমেলো হয়ে যাবে! ম্যাচিউরিটিকে পায়ে ঠেলে ছন্নছাড়া প্রেমিক হওয়া তার স্বভাবে সত্যিই বেমানান। গল্পটা তার নয় তাই সে সামলে গেলেই মঙ্গল। অভিনব ঠিক করেছে মাকে বলবে মেয়ে খুঁজতে সে বিয়ে করবে, সংসার করবে এমনকি সে এই বিদেশেই সেটেল হবে। এমনিতেও মালয়েশিয়া একটি প্রাইভেট হসপিটাল থেকে অফার এসেছে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে।

দিথি বহুবার ফোন করে ক্লান্ত হয়ে গেছে তবুও চৈতীর রিসিভ করার নামগন্ধ নেই। বিরক্ত হয়ে মেসেজ করলো, “কোন জবাব দিলে না কেন?”

চৈতী হালিমের বাটিগুলো ট্রে তে করে নিয়ে গেল দিশানের ঘরে। নিচ তলায় থাকছে দিশান ঐশী তাই দিশাও নিচে এসে ঢুকলো সে ঘরে। দিলশাদ আর ময়নাও এসে উপস্থিত হলো সে ঘরে। দিশানের বাবা আর দিশান দুজনেই অফিসে। মেয়েরা সবাই বসে একসাথে গল্পে আড্ডায় হালিম খাবে ঐশী বলেছে আর তাই তা প্রস্তুত করেছে ময়না৷ সবাই যার যার পেয়ালা হাতে নিয়ে বসতেই চৈতী আজও প্রশ্ন করলো, “দিহান ভাই কবে আসবে?”

কেউ এখনো এক চামচ মুখ দেয়নি তার আগেই সবার খাওয়া বন্ধ হয়ে গেল৷ বিশেষ করে দিলশাদের মুখের রং বদলে গেল৷ চৈতী খেয়াল করেনি তা কিন্তু ঐশী খেয়াল করেই সে কথার পরিবর্তন করলো, “জানো চৈতী আমার মনে হয় আমাদের ছেলে হবে কিন্তু তোমার ভাইয়া বলে মেয়ে হবে। আর এ নিয়ে আমরা দুজন বাজি ধরেছি।”

“তাই বুঝি? আমিও বাজি ধরবো ঐশী আপু উপ্স ভাবি।” খিলখিল করে হাসতে লাগলো চৈতী। দিশাও কান্নার ঢোক গিলে মাকে বলল হালিম খেতে। দিলশাদ তখনও স্তব্ধ হয়ে আছে। বাকিরা সবাই আতঙ্ক অনুভব করলো দিলশাদের গুমোট ভাব দেখে। চৈতীর সামনে যদি কিছু বলে ফ্যালে! কিন্তু না তেমন কিছুই হয়নি। পরবর্তী সময়টা গল্প করেই কাটিয়ে দিলো দিহান নামক স্মৃতি নিয়ে কোন সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। চৈতী থেকে গেল সে বাড়িতেই সেখান থেকেই রোজ ইউনিভার্সিটি আসা যাওয়া করতে লাগলো। এরই মাঝে দিথি চৈতীকে অভিনবের ভালোবাসা নিয়ে অনেক কথা বলল শুধু চেপে গেল চৈতীর বিবাহিত হওয়া আর তার বৈধব্যের ঘটনাটা। দিথি বন্ধু হিসেবে মন থেকে শতভাগ পরিষ্কার ছিলো তাই তার ভাবনা চিন্তাও স্পষ্ট ছিলো চৈতীকে নিয়ে। সে আহানাকেও সবটা বলে ঠিক করেছে চৈতীকে অভিনবের প্রতি আকৃষ্ট করার সব রকম চেষ্টা করবে। চৈতীর জীবনে অভিনবই একজন নিখাঁদ মানুষ যে কিনা নিঃস্বার্থভাবে চৈতীকে ভালোবেসে আগলে রাখবে। রোজ ক্লাসের ফাঁকে, ক্যাম্পাসে অথবা কোন রেস্টুরেন্টে বসে তারা কেবল অভিনবের কথাই বলে চৈতীর সামনে। অভিনব কতোটা ভালোবাসে তাকে এর হাজারটা উপামা দাঁড় করায় এতে করে চৈতীর মনে সত্যিই এক আলাদা জায়গা সৃষ্টি হয় চৈতীর মনে। সে ভাবে অভিনবকে নিয়ে কিন্তু অভিনবকে দেখার সুযোগ হয় না এক পলক। অভিনব আশে না ক্যাম্পাসে, চৈতী তার হাসপাতালেও গিয়েছে একদিন বাবার সাথে নিজের বিভিন্ন টেস্ট করাতে। সেখানেও সে বাবাকে লুকিয়ে অভিনবের খোঁজ নেয় কিন্তু কি আশ্চর্য সে কিছুতেই অভিনবের দেখা পায় না। মন গলছে তার সেই গ্যারেজ ম্যাকানিকের জন্য যার মুখটা তার অবচেতন মন ঝাপসাভাবে কল্পনা করে। তার ঘুমন্ত মুখের ওপর ঝুঁকে পড়া অভিনবের মুখটা তার মস্তিষ্কে গাঢ়ভাবে জায়গা করে নিয়েছে। নিজের মনকে মানাতে না পেরেই সে দিথিকে একদিন বলেই ফেলল, “সে যদি আমায় ভালোই বাসে তবে দেখা দেয় না কেন?”

দিথির মনে হলো অভিনব এবার জিতে গেছে। তার ভালোবাসার মানুষটা তার জন্য উতলা হয়ে গেছে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হবে জীবনে! দিথি ছোট করে একটা মেসেজ সেন্ড করলো অভিনবের নম্বরটিতে। ভাগ্যিস লোকটা সেদিন দেখা করার জন্য লোকেশনের সাথে ফোন নম্বরটাও বলেছিলো!

অভিনব মাত্রাতিরিক্ত খুশি হতে গিয়েও হতে পারলো না। সত্যিই কি চৈতী তার খোঁজ করছে! কিন্তু এই চৈতীর মনে স্থায়ী চৈতীর বসবাস নেই। যে চৈতী ক্ষণস্থায়ী সে চৈতী তাকে খুঁজছে। কি লাভ এই চৈতীর ভালোবাসায় নিজেকে পেলে? পরমুহূর্তেই মন বলল, “এটাও কি কম সৌভাগ্য! দিহানের অস্তিত্ব ছাপিয়ে অভিনবের নাম তার প্রেয়সীনির মুখে!” ক্ষণিকেরই হোক তবুও তো তার প্রিয় হয়েছে!

অভিনব দিথিকে রিপ্লাই দিলো সে দেখা করবে চৈতীর সাথে। বিশেষ এক মুহুর্তে সে সামনে যাবে নিজ মুখে তার ভালোবাসার কথা জানাবে। এরপর যা হবে সবটাই তার প্রাপ্তির ঝুলিতে সুখ কিংবা দুঃখ হয়ে জমে থাকবে আজীবন৷

অভিনব হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরবে বলে মাত্রই বের হচ্ছিলো। নিজের কেবিনের দরজাটা টেনে খুলতেই সে ধাক্কা খেল কারো সাথে। চোখ তুলে তাকাতেই সারপ্রাইজড হলো মিস্টার আহমেদকে দেখে। লোকটা তার মতই লম্বা চওড়া হওয়ায় দুজনের কপালে কপাল লেগেছে। কপাল ঘষতে ঘষতেই অভিনব প্রশ্ন করলো, “কি করে এলেন এ পথে নিশ্চয়ই পথ ভুলে?”

“একদমই না ডক্টর সাহেব। বন্ধু বলে সম্মোধন করেছিলাম যেদিন সেদিনের পর আর আপনার পথ ভোলা হয়নি।”

“হ্যাঁ শুধু বন্ধুত্বে তুমি, তুই ডাকগুলোই ভুলে বসে আছেন।” হাসতে হাসতে অভিনব জবাব দিলো। ততক্ষণে দুজনেই হাসপাতালের লম্বাটে করিডোরে পা বাড়িয়েছে।

“এটার জন্য আমি একা দায়ী নই।”

“আচ্ছা! মানলাম।”

“এটা নিন” বলেই মিস্টার আহমেদ একটা কার্ড এগিয়ে দিলো অভিনবের দিকে।অভিনব জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতেই সে আবার বলল, “আমার বিয়ের কার্ড। জীবন তো থেমে থাকছে না তাই আর আমিও থামলাম না৷ বোন মেয়ে ঠিক করেছে তাই এবার হ্যাঁ বলেই দিয়েছি।”

“গুড ডিসিশন। ডেট কবেকার! আমি অবশ্যই আসবো বিয়েতে।”

“হুম, আপনাকে তো আসতেই হবে তবে সাথে আরো একজনকে দেখতে চাই।”

অভিনব হালকা হাসি টানলো ঠোঁটে, “তা কি করে সম্ভব!”

“কেন সম্ভব না।আপনিই তো বললেন সে সুস্থ হয়েছে আর সেদিন তো বললেন আপনার সাথে তার কথাও হয়।”

“হ্যাঁ হয়েছিলো কথা। তখন সে জানতো আমি একজন অচেনা মানুষ আর একজন সাধারণ গ্যারেজ মিস্ত্রি। কিন্তু এখন হয়তো সে জানে আমি কে!”

“ওহ। স্যরি আমি আসলে”,,,,

” ডোন্ট সে সামথিং।”

দুজনেই হাসিমুখে কথা শেষ করে বিদায় নিলো।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here