আপনিময় তুমি সিজন1 পর্ব-২২

0
2456

#আপনিময়💓তুমি [ An unexpected crazy love ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr [ Mêhèr ]
Part: 22……..

.
.
রাইসা: তুমিও না ও যদি নাই জানে তাহলে বিয়েটা কিভাবে হবে। বর ছাড়া বিয়ে হয়……… [ বলে চলে গেল ]

আর আনহা ওখানেই ধপ করে বসে পড়ল….
,
,
,
,
,

,
,
,
,

রাতে ইহান বাড়ি ফেরে…. ও রুমে ডুকতেই থমকে যায়। গিয়ে দেখে পুরো রুম অন্ধকার। ইহান গিয়ে রুমের লাইট অন করে….. বিছানার দিকে তাকাতেই দেখে আনহা বিছানার উপর গুটিশুটি মেরে কাদছে….. ইহান বুঝতে পারে বিয়ের কথা আনহাকে বলেছে….. ও আর কিছু জিজ্ঞেস না করে ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে…. আয়নার সামনে নিজের চুল গুলো ঠিক করতে থাকে…..

তখনি আনহা গিয়ে ইহানের পাশে দাঁড়ায়….

আনহা: তুই নাকি রাইসাকে বিয়ে করছিস.. [ কান্নার কন্ঠে…. ]

ইহান:…….

আনহা: কিরে কথা বলছিস না যে…. কথাটা কি সত্যি তুই রাইসাকে বিয়ে করছিস….

ইহান: যা বলার রাইসা তো বলেই দিয়েছে আমি কি বলব.….

আনহা: তারমানে রাইসা যা বলেছে সত্যি তুই ওকে……

ইহান: ও অযথা মিথ্যে বলতে যাবে কেন??? আমি বিয়ে করছি এটাই সত্যি….

এবার আর আনহা নিজেকে সামলাতে পারে না। ও হু হু করে কেদেই দেয়। আনহার চোখে পানি দেখে ইহানের বুকের ভিতর মোচর দেয়। ও আনহাকে থামাতে গিয়েও থামায় না। তারপর নিজেকে শক্ত করে…….

আনহা: কেন ইহান??? তুই তো আমাকে ভালোবাসিস তাহলে কেন বিয়ে করবি রাইসাকে…. [ মাথা নিচু করে কাদতে কাদতে ]

আনহার চোখের পানি ইহানের ভিতরটা শেষ করে দিচ্ছে। তারপরেও ইহানের নিজেকে সামলে নেয়…. ইহানের দুচোখের কোনে পানি জমে তাই ও নিজের চোখের পানিটা আনহার অলক্ষে মুছে নেয়……

ইহান: কেন পারিনা… স্ত্রী হিসেবে কি দিয়েছেন আপনি আমাকে??? সামান্য টুকু ভালোবাসা আমি পায়নি আপনার কাছ থেকে। মানছি যা করেছি অন্যায় করেছি কিন্তু তাই বলে আপনি আমাকে একটু ও বুঝবেন না। আমি যাই করেছিলাম আপনাকে নিজের করে রাখার জন্য করেছিলাম।

আনহা:….. [ আনহা শুধুই কাদছে ]

ইহান: কান্না বন্ধ করুন আনহা। অনেক দেরি হয়ে গেছে। এখন আর কিছু করার নেই আমার। সবাই অলরেডি জেনে গেছে এই বিয়ের কথা……

আনহা:….. [ কাদতে কাদতে ]

ইহান: আমি জানি এখন আপনি বলবেন আরেকজনকে বিয়ে করলে আপনাকে ডিবোস দিয়ে দিতে….. তবে তাই হবে…..

ইহান এটা বলে চলে যেতে চায়। কিন্তু এইটা শুনে আনহা ইহানকে খুব জোরে জড়িয়ে ধরে……

আনহা: না….. আমি তোকে ছেড়ে যেতে চাই না ইহান। আমি তোর সাথে থাকতে চাই। তোর কাছে থাকতে চাই। তোর ওয়াইফ হিসেবে থাকতে চাই……

ইহান:…… [ আমিও তাই চেয়েছিলাম আনহা। কিন্তু আপনি তা হতে দেননি। আজ আপনার জন্য আমাকে আপনার থেকে দুরে যেতে হচ্ছে। আমি যে অপারগ আনহা। আমি বাধ্য হয়ে এমনটা করছি। এছাড়া আমার হাতে কিছু নেই…. ]

আনহা: প্লিজ ইহান তুই আমাকে ছেড়ে যাস না। আমি আর কোনোদিন তোকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাববো না।

ইহান:……. [ নিজের হাত মুঠো করে দাঁড়িয়ে আছে ]

আনহা: তুই যা বলবি। যেমনটা বলবি। যেভাবে বলবি আমি সবটা করতে রাজি। আমি আর তোর উপর রাগ করব না। নিজের থেকে দুরে সরিয়ে দেব না তোকে। প্লিজ তবুও আমাকে ছেড়ে যাস না।

ইহান:…..

আনহা: আমি জানতে চাই না রাইসার সাথে তোর কি হয়েছে। কেন তুই বিয়ে করবি শুধু জানি প্লিজ আমাকে ছেড়ে যাস না। আমি তোকে ছাড়া নিঃস্ব হয়ে যাব। আমি বাচব না।

ইহান এবার আনহাকে ছাড়িয়ে ওর দুগাল ধরে……

ইহান: আমি আপনার কিছু কখনোই হতে দিব না যতদিন আমি বেচে আছি। একটা আচর ও লাগতে দিব না…..

আনহা অবাক হয়ে ইহানের দিকে তাকিয়ে আছে….

আনহা: তাহলে কেন রাইসাকে বিয়ে করছিস???

ইহান:…….

আনহা: বল…. [ ইহানের শার্টের কলার ধরে ] তুই যদি আমাকে যদি ছেড়ে নাই দিবি তাহলে কেন বিয়ে করছিস….

ইহান: আমি তো আপনাকে আপনি যেতে চাইলেও ছাড়ব না। অনেক কষ্ট করে আপনাকে পেয়েছি। অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছি…. সেটা ছেড়ে দেবার জন্য নয়…..

আনহা: ইহান তুই….

ইহান: আমি বিয়ে করছি। এইটাই শেষ কথা। [ বলে বেড়িয়ে যায়। আর আনহা ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। ]
,
,
,
,

,,
,
,

পরের দিন সকালটা আনহার কাছে বিষাক্ত মনে হচ্ছে। বাড়ির চারদিক খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে…… আনহা এটা দেখে আনহার চোখ বেয়ে পানি পরতে থাকে। হঠাৎ আনহার ইহানের দিকে চোখ যায়। ইহান বাড়ির লোকদের সাথে কিসব কথা বলছে……

হঠাৎ ইহান দেখে আনহা একদৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ মুখ পুরো ফুলে গেছে….. বুঝাই যাচ্ছে কান্না করার ফল। চোখে চোখ পরতেই ইহান অন্য দিকে তাকায়…. আর আনহা এটা দেখে এক দৌড়ে রুমে গিয়ে বিছানায় উপর হয়ে কান্না করে। তখনি রুমে রাইসা আসে…..

রাইসা: আর কতটুকু সময় থাকতে চাও আনহা।

আনহা: মানে….

রাইসা: তোমার কি মনে বিয়ে হলে আমি ইহানকে তোমার সাথে থাকতে দেব। এর চেয়ে তুমি ইহানকে ছেড়ে দেও। ওকে ডিবোস দিয়ে চলে যাও এখান থেকে…..

আনহা: আমি কোথাও যাব না।

রাইসা: আসলেই তুমি পারো। যখন রাখতে চাইত তখন চলে যাওয়ার জন্য পাগল ছিলে আর এখন…..

আনহা:……

রাইসা: দেখ আনহা তোমার ভালোর জন্য বলছি তুমি এখনি ইহানকে ছেড়ে চলে যাও। কারন যে ছেলেকে আমি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছি বলে ও রাজি হয়ে যায় সে তোমার জন্য কি করবে বল।

আনহা:……

রাইসা: ইহানের কাছে তুমি একটা মোহ যেটা এখন ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে…. তাই বলছি সবটা হারিয়ে ফেলার আগে চলে যাও…..

আনহা: আমি ইহানকে ছেড়ে যাব না রাইসা। য়াতে যা হবার হবে….

রাইসা: আমি শুধু আমার কথাটা জানিয়েছি। বাকিটা তোমার উপর….. আর এমনিতেও আজকে আমি আমার বিয়ের শপিং করতে যাচ্ছি ইহানের সাথে। তোমার জন্য কিছু আনতে হবে বলো নিয়ে আসব….

আনহা: লাগবে না…

রাইসা: তোমার ইচ্ছে…… [ বলে বেড়িয়ে যায় ]

আনহা: আমি কিছু চাই না শুধু ইহানকে চাই। আমার অবহেলার পর যখন তুই আমাকে চাইতে পারিস তাহলে আমি কেন তোকে ছেড়ে যাব। আমিও তোকে চাই। তুই আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য রাইসাকে বিয়ে করবি তাইত…. তবে তাই হবে… দেখি কতটা কষ্ট দিতে পারিস। এবার আমিও দেখব….. [ বলেই কান্না শুরু করে ]

ইহান বাইরে দাঁড়িয়ে আনহাকে দেখছিল…. তখনি রাইসা আনহাকে টেনে নিয়ে যায়…

রাইসা: কি দেখছ জান….

ইহান: ভালো লাগছে না আমার…

রাইসা: এইটুকুতে অবস্থা খারাপ.

ইহান: মানে…..

রাইসা: এত ভালোবাসা। কষ্ট যখন দেখতে পারবে না। তাহলে সেটা আগে ভাবা উচিত ছিল।

ইহান: চুপ কর…

রাইসা: আচ্ছা। এখন চলো.।।।

ইহান: কই….

রাইসা: দেখ তুমি কি করবে জানিনা। তবে আমার বিয়েতে আমি কিছু এডজাস্ট করতে পারব না। বিয়েটা ধুমধাম করেই হবে। আর তাই শপিং করতে যাব….

ইহান: আমি যাব না।

রাইসা: ওকে তাহলে আমি…..

ইহান: ওকে যাচ্ছি….. [ কেন যে সেদিন এরকম করলাম আমি। এখন তার মাসুল দিতে হচ্ছে ]

রাইসা: গুড…. 😁😁😁 [ আর দেখছ কি?? অনেক ভাব নিয়েছ। কোনোদিন কথাও বলো নাই। এবার সবকিছুর শোধ তুলব😉😉😉 ]
,
,
,
,

,,
,,
,
তারপর রাইসা ইহানকে নিয়ে শপিং এ যায়। ইহানকে পুরো পাগল বানিয়ে ফেলে। সারাদিন পাগলের মত নাচায় ইহানকে। পুরো দিনটা ইহানের কষ্ট করে কাটে।
,
,
,
আর এদিকে আনহার পুরো দিন ইহানের কথা মনে করে আর চোখের পানি ফেলতে ফেলতে কেটে যায়………

সন্ধার পর রাইসা শপিং শেষ করে… ইহানকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে আসে…. ওরা খাবার অর্ডার দেয়…. খাবার আসলে ওরা খাওয়া শুরু করে কিন্তু ইহানের গলা থেকে নামছে না। কারন ও জানে আনহা কিছুই খায়নি। তখন ইহান রাইসাকে বলে….

ইহান: এসব না করলে কি হত না রাইসা…

এইটা শুনে রাইসার খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। রাইসা খুব রেগে যায়। ]

রাইসা: তা তোমার আগে ভাবা উচিত ছিল😡😡😡 এখন কিছু করার নেই।

ইহান: কিন্তু..

রাইসা: আমি তোমাকে কিছু দেখাতে চাই…. দেখবে…. তারপর আর তোমার কোনো আপত্তি থাকবে না। 😉😉😉

ইহান: কি???

রাইসা: Look……..

এবার ইহানের মেজাজ খুব খারাপ হয়ে গেল….

ইহান: আমি আসছি……..😡😡😡

…………….

রাইসা: বায় বায়।।। [ আনহা বেবি তোমার কপালে আজ দুঃখ আছে.।।😘😘😘 ],
,
,
,
,

,
,
,
,
,
ইহান প্রচন্ড রেগে বাড়ি যায়। ও বুঝতে পারছে না কার উপর রাগ করবে। আনহার উপর নাকি যা দেখেছে শুনেছে তার উপর। ও বাসায় গিয়ে দেখে আনহা ঘড় অন্ধকার করে ঘুমিয়ে আছে….

ইহান দরজা আটকে আনহাকে টেনে তোলে ঘুম থেকে। হঠাৎ ঘুমের মধ্যে এরকম হওয়ার কারনে আনহার পুরো শরীর কাপতে থাকে।

আনহা: ইহান…..

আর কিছু বলার আগে ইহান নিজের শরীরের সর্ব শক্তি দিয়ে আনহাকে একটা থাপ্পড় মারে….. যার কারনে ও ব্যলেন্স নিতে না পেরে বিছানায় পরে গেল।

ঘটনা বুঝতে বেশ সময় লাগল আনহার। হ্যা ইহান আনহাকে মেরেছে। এই প্রথম মারল সে আনহাকে। আনহা কিছুই বুঝতে পারল না ইহান কেন এমন করল…. শুধু বুঝল ইহান আনহাকে মারল…..

আনহা: ইহান….. তুই আমাকে??? [ গালে হাত দিয়ে টপটপ পানি পরছে ]

ইহান: এই প্রথম হাসবেন্ড হিসেবে আমি আপনাকে মেরেছি…. না মারতে বাধ্য হয়েছি। অনেক ইচ্ছে ছিল তাই না আমাকে ডির্বোস দিয়ে আমার বেবিকে নিয়ে চলে যাওয়ার আফসোস তা আর হল না। আমার বেবিকেও মারলেন আর নিজেও…..

আনহা: এসব অনেক পুরোনো…..

ইহান: চুপ একদম চুপ। খালি একটা কথা শুনে রাখুন আপনি মরলেও আমি আপনাকে ছাড়ব না। এই বিয়েটা আমি অবশ্যই করব তাও আপনার চোখের সামনে আর আপনি কিছুই করতে পারবেন না।

আনহা নিচের দিকে তাকিয়ে কাদছে….

ইহান: এখন থেকে না আপনি না আমাকে পাবেন আর না আমার থেকে দুরে যেতে পারবেন….

আনহা:……

ইহান: কাল আপনি তো বলেছেন আমার সাথে থাকতে চান আপনি। আমি যা বলব তাই করবেন। হুমম তাই এখন থেকে আমি যা বলব তাই করবেন….

আনহা: আমি করেছি কি ইহান… [ কাদতে কাদতে ]

ইহান: সেদিন আপনার অসুস্থতার সুযোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু আজকে নিজের অধিকার নেব……

আনহা ইহানের কথা কিছুই বুঝতে পারছে না।

আনহা: কি বলতে চাইছিস…..

ইহান আনহাকে আর কিছু বলার সুযোগ দেয় না। তার আগেই নিজের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় আনহার উপর। আনহাকে নিজের মধ্যে টেনে নেয় ইহান। আনহা এবার আর ইহানকে ফিরিয়ে দেয় না। আনহার সন্মতিতে আনহাকে নিজের অস্তিত্বের সাথে জড়িয়ে নেয় ইহান।
,

,
,
,
,
,
,
,
,
সকালে ঘুম থেকে উঠে ইহান একভাবে আনহার দিকে তাকিয়ে থাকে। এই মায়াবি মুখের পিছনে কতটা রাগ অভিমান জমে আছে তা এতদিন ইহান বুঝতেই পারেনি। ইহান আনহার কপালে আলত করে ঠোঁট ছোয়ায়…. তারপর ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে যায়। ঘুম থেকে উঠে আনহা ইহানকে খুজে না পেয়ে কান্না করে দেয়। কাল রাতে ইহান কেন তাকে মারল,,, কেন এমন করল কিছুই বুঝতে পারছে না……

ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নেয়। নিজেকে রেডি করে আয়নাতে নিজেকে কয়েকবার দেখে নেয়। নিজেকে যেন চিন্তে অবাক লাগছে আনহার কাছে। আনহা নিজের মনে রুম থেকে বেড়িয়ে আসে…….

রুমের বাইরে পা রাখতে আনহার দুনিয়াটা থমকে যায়। ও কল্পনা থেকে বাস্তবে ফিরে আসে। কাল রাতের পর আনহা এমন কিছু দেখবে তা যেন আনহার কল্পনার বাইরে চলে গেছে৷৷

চারদিকে বিয়ের তরজোর চলছে। নিচের দিকে তাকাতেই ইহানের দিকে চোখ যায় আনহার। ওর দিকে তাকিয়েই চোখে জল চলে আসে আনহার… ইহান সাজসজ্জার লোকজনদের সাথে কথা বলছে……

হঠাৎ করেই ইহানের আনহার দিকে চোখ যায়। কেমন একটা অনুভুতিহীন চোখে তাকিয়ে আছে আনহা। ইহান অপলকভাবে আনহার দিকে তাকিয়ে আছে। আর আনহার অশ্রুসিক্ত চোখে জল গড়িয়ে পরছে…….

তখনি ইহানের কাল রাতের কথা মনে পরে। রাতের কথা ভেবেই ইহানের রাগটা বেড়ে যায়। ইহান তখনি মুখ ফিরিয়ে নেয় আনহার কাছ থেকে। আর আনহা এটা দেখে হাত দিয়ে মুখ চেপে রুমে গিয়ে অঝোরে কান্না করে দেয়…..

আনহা: তোর কোনো চাওয়াই তো অপুর্ন্য রাখিনি তাহলে…. [ কথাগুলো ভেবেই কান্নার বেগটা বেড়ে যায়। ],
,
,

,,

,
,
,
,সারাদিন এভাবেই কেটে যায় আনহার। রুম থেকে একবারের জন্য বের হয়নি। ওভাবেই কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে গেছে আনহা……
,
,

,
,এদিকে সন্ধার পর বাসায় মেহমানদের আসা শুরু হয়ে যায়৷ ধুমধাম ভাবে বিয়ের উৎসব পালন করা হচ্ছে…. কিছুক্ষন পর বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হবে। আনহা কাছ থেকে তার ইহান হাড়িয়ে যাবে।
,
,
,
,
,

,
,,
,
,

তারপর ইহান আনহার রুমে আসে……. এসে দেখে আনহা ঘুমোচ্ছে……খুব মায়া লাগছে ইহানের কিন্তু ইহান যে নিরুপায়। ইহান বেশ কড়া গলায় আনহাকে ডাকে….. আর তাতে আনহা ধরফরিয়ে উঠে….. ইহান অন্য দিকে তাকিয়ে গলা ঝারতেই আনহা নিজেকে ঠিক করে নেয়। ইহানকে দেখে নিজের অজান্তেই আনহার চোখে পানি আসে….

আনহা: ক- ক- কি হয়েছে??? [ নজর আড়াল করে ]

ইহান: আমার কিছু কাজ আছে আপনার সাথে??

[ আনহা খেয়াল করে দেখল ইহানের হাতে কিছু আছে। ইহান তা আনিহার দিকে বাড়িয়ে দেয়….

আনহা: এগুলো কি??? [ অবাক হয়ে ]

ইহান: এগুলো….. [ বাকা হেশে ] নিজেই দেখুন…..

আনহা: কিন্তু……….

,
,
,

,
,

,
,
,
,

,
,
,
,
,
বাকিটা পরের পর্বে জানবেন ]
সরি এতদিন পর গল্প দেওয়ার জন্য। আশা করি আপনাদের আর বিব্রত করব না।😁😁😁

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here