আমার পাপের জীবনি
সত্য ঘটনা অবলম্বনে
Nusrat Haq….
আমি নিজ হাতে আমার বোনের সংসার নষ্ট করেছি। আর এ দায় আমাকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে মৃত্যুর আগ পযন্ত।
আমার ২ টা সন্তান তাও পঙ্গু মানুষে বলে এগুলো নাকি পাপের ফল।
বোনের জামাইকে বিয়ে করার পর ভালো করে ৫ টা বছর ও সংসার করতে পারিনি।
আলসার কিডনী ড্যামেজ হয়ে বিয়ের 6 বছর পরেই আমার স্বামী মারা যায়।
সুখের আশায় বোনের ঘর ভেঙেছি কিন্তু সুখ আমাকে ধরা দিলো না।
চলুন ঘুরে আজ থেকে ২০ বছর আগে…
আমরা ৩ বোন।। অভাবের সংসার ছিলো। বাবা ছোট বেলাই মারা যায়।
তারপর কোন রকমে আমরা বড়ো হয়৷।
আমি ছিলাম সবার ছোট। আমার বড়ো আপার বিয়ে হয় প্রণয় করে।তাও এক শহরের ছেলের সাথে।
খুব ভালো ঘরে বিয়ে হয়। কোন কিছুর অভাব ছিলো না।
আপার বিয়ে হওয়ার পর থেকে আমাদের সব অভাব অনটন কেটে যায়।
আপা আমাদের খুব সাহায্য করতো।
দুলাভাই ও আমাদের খুব সাহায্য করতো।।
যেখানে আমরা বছরের পর বছর ভালো জামা কাপড় পেতাম না। ঠিক মতো ভাত খেতে পেতাম সেই আমরাই মাসে ২ টা করে নতুন জামা নিতাম।
বড়ো আপা বাসায় একা থাকতো। তো আমি আর মেজো বোন গিয়ে গিয়ে থাকতাম৷
মেজো বোন বেশি থাকতো না৷
আমিই বেশি থাকতাম বড়ো আপার কাছে।
আমার আপার বিয়ের ২ বছর পার হয়ে যাচ্ছিলো কিন্তুু কোন বাচ্চা হচ্ছিলো না।
এটা নিয়ে আমরা আম্মা আর মেজো আপা চিন্তা করলে ও আমি কখনও চিন্তা করতাম নাা।
বড়ো আপার সুখের অভাব ছিলো না।
দুলাভাই আপাকে যা চাইতো তা দিতো৷
আমার বয়স তখন ১৭ বছর আর মেজো আপার ১৯ বছর।
বড়ো আপা তখন নিজের গহনা বিক্রি করে মেজো আপার বিয়ে দেয় এক প্রবাসী ছেলের কাছে।
তো মেজো আপার বাসায় আমি তেমন যেতাম না। বড়ো আপার কাছেই থাকতাম। বড় আপার সব কাজই আমি করতাম।
কিন্তুু তখন অবচেতন মন শুধু বড়ো আপার জায়গায় নিজেকে আবিস্কার করতাম।
মাঝে মাঝে ভাবতাম ইশ দুলাভাই যদি আমার বর হতো৷
তাহলে খুব ভালো হতো৷ দুলাভাইকে কেন যেনো আমার খুব ভালো লাগতো।
দুলাভাইকে আমার ভালোবাসা বোঝানোর জন্য ব্যকুল হয়ে উঠি আমি।
আপাদের রেসপন্স এর উপর নির্ভর করবে পরের পর্ব লিখবো কি না।