আমার পুতুল বর লেখিকা : আরশি জান্নাত (ছদ্মনাম) পর্ব : ১৭+১৮

আমার পুতুল বর
লেখিকা : আরশি জান্নাত (ছদ্মনাম)
পর্ব : ১৭+১৮

~ আম্মা আপনি কি বলেছেন বলুন তো !! আর আরিয়া তোর ও কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি?? তুই দেখিস নি সূর্য কবুল বলার পরে কিভাবে রেগে চলে গেছিলো। এখন ও ঘরে চুপ করে বসে আছে। আর তারমধ্যে তোরা প্ল্যান করছিস আজকে আরশি ঐ ঘরে থাকবে? ওদের তো একসাথে থাকার বয়স নয় তাহলে এসব কি কথা? নিজের বাচ্চা মেয়েটার কথা তো ভাব্বি নাকি? ( অহনা)

~ আহা বৌমা তুমি কেনো বুঝছো না? আজ ওদের বিয়ে হয়েছে আজকে অন্তত এক্ সাথে থাকতে হবে। এটাই তো নিয়ম। ( সাজেদা বেগম )

~ কিন্তু মা এই বিয়েটা তো অন্যসব বিয়ের মতো আর সাধারণ নয়। আর আরশি ঐ ঘরে!! না,, না ,, সূর্য বেশ চোটে যাবে। ওর ঘরে ও আরশি কে একদম সহ্য করতে পারে না। রেগে ধমক দিয়ে দিলে আরশিটার কি অবস্হা হবে ভাবতে পারছো?? এই বয়সে ছেলের যা রাগ!!! উফফ আমার ভাবতেই মাথা ভন ভন করছে।( অহনা )

~ আপা তুমি এতো টেনশন করো না তো। আল্লাহ চাইলে সব ঠিক হবে। বিয়েটা যখন হয়েছে তখন এই নিয়ম টা তো মানতেই হবে। ( আরিয়া )

~ আর আমি দাদুভাই কে বুঝিয়ে দিয়ে আসবো। তুমি চিন্তা করো না। এইইই সুজানা !!!! কোথায় গেলি ?? আরশি কে নিয়ে আয়।। ( সাজেদা বেগম )
অহনা সোফায় মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো।

সুজানা আরশি কে নিয়ে এলে সাজেদা বেগম আরশির দিকে এগিয়ে গেলেন।

~ আমার আরশি সোনা এখন শুধু আমার নাতনিই বরং আমার নাতবৌ ও । ( আরশির কপালে চুমু খেয়ে )
তোমার পুতুল বরের কাছে যাবেনা ? চলো। চল দিদিভাই।

সাজেদা বেগম আর সুজানা মিলে আরশি কে সূর্যের ঘরের সামনে আনতেই আরশি প্রশ্ন করলো ,,,
~ আমাকে সুয্যি ভাইয়ার ঘরে কেনো নিয়ে যাচ্ছো ?
~ কারণ আজকে তুই এখানেই থাকবি। ( সুজানা )
~কিন্তু জাদু আপি সুয্যি ভাইয়া তো আমাকে বকবে!!
ঘরে গেলেইতো বকা দেয়। ( মুখ ফুলিয়ে )
~ হাহাহা আজকে কিছু বলবেনা আজকে থেকে তোর অধিকার আছে ঐ ঘরে। চল দিম্মা তোকে দিয়ে আসি।

ওরা সূর্যের ঘরের সামনে এসে ওর দরজায় নক করলো। কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আবারো নক করলো।

সূর্য ব্যালকনিতে দাড়িয়ে ছিলো, দরজায় আঘাতের শব্দ পেয়ে এগিয়ে গেল দরজা খুলতে।
দরজা খুলে দেখলো ওর দিম্মা আর সুজানা দাঁড়িয়ে আছে। কিছু বলবে তার আগেই খেয়াল করলো আরশি ওর দিম্মার পেছনে লুকিয়ে আছে। ও এবার বুঝলো ওদের এখানে আসার কারণ। রেগে ওর দিম্মা কে বললো ,,,

~ নাও হোয়াট দিম্মা ? ওকে এখানে কেনো এনেছো?
আরশি সূর্যের রাগী গলা পেয়ে সাজেদা বেগম কে পিছন থেকে আকড়ে ধরলো।

~আহা সূর্য রাগ করছিস কেনো?? আজ তো তোদের ফুল….. না মানে এক সাথে থাকার কথা। তাই ওকে এখানে নিয়ে এসেছি।

~ ইমপসিবল। এই মেয়ে আমার ঘরে!! নেভার ।।
~ ও তোর বিয়ে করা বউ , তোর ঘরেই তো থাকবে তাইনা?

~ দিম্মা তোমরা কি শুরু করেছো টা কি? বিয়ে করতে বলেছো বিয়ে করেছি। তার মানে এই নয় যে এই মেয়েটাকে আমি আমার ঘরে থাকতে দেবো।

~ ভাই তুই প্লিজ একটু শান্ত হ!! দেখ বিয়ে তো হয়ে গেছে এখন তো আর ওর তোর ঘরে থাকতে বাঁধা নেই। প্লিজ আজকের জন্য ওকে তোর ঘরে থাকতে দে। আর এভাবে কথা বলিস না ! ও ভয় পাচ্ছে তোকে।

~ সূর্য তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আরশির দিকে তাকালো। আরশি সাজেদা বেগম এর পিছন থেকে উকি দিয়ে দেখছিলো। সূর্যকে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে তাড়াতাড়ি লুকিয়ে পড়লো।

~ দাদুভাই প্লিজ আর মানা করো না। নিয়ম রীতি তো মানতে হবেই ।

সূর্য বিরক্ত হয়ে দরজা থেকে সরে সোজা ব্যালকনিতে চলে গেল।

~ এই দিম্মা!! ভাই তো কিছু না বলে চলে গেল কি করবো এখন?
~ আরে তুই ওটা শুনিস নি “মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ”
তারমানে আরশিকে আমরা এই ঘরে রেখে যেতে পারবো।
~ ওয়াও চলো। ঘরে ঢুকে,, ধুর!! কোথায় একটু রুমটা ফুলে সাজানো থাকবে তা না ।।
~ তুইও না সুজানা এমনিতেই ঘরে ঢোকা নিয়ে এত ঝামেলা আর তুই রুম সাজানোর কথা বলছিস!!
~ হ্যাঁ সেই। চলো। আরশি রানিকে রেখে যাই।
আরশি কে এনে খাটে বসাতেই বলল,,,
~ আম্মু থাকবে না ??
সাজেদা বেগম আর সুজানা একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছে। সূর্য কথাটা শুনতে পেয়ে এগিয়ে এলো,,
~ হ্যাঁ নিয়ে আয় না , শুধু মা কেনো বাবাকেও নিয়ে আয়।
আরশি চুপ করে গেলো।
~ এই দুটোকে এখানে এনেছিস কেনো? ( পুতুল দুটোর দিকে ইশারা করে )

সুজানা আরশির কাছে গিয়ে বললো,,,

~ আরশি রানী? এখন আর এই পুতুল দুটো দিয়ে কি করবে? এখন তো সত্যিকারে পুতুল বউ আর বর চলে এসছে।। এদের আমায় দে আমি রেখে আসছি।
সুজানা সূর্য কে চোখ টিপ দিলো।

সূর্য চোখ ছোট ছোট করে সুজানার দিকে তাকালো।
সুজানা চোঁখ সরিয়ে নিলো।
~ দে আরশি আমি এদের আমার কাছে রেখে দিবো।

~ না জাদু আপ্পি এরা আমার কাছে থাক প্লিজ।।।।

~ উফফ অসহ্য।

আপু তোরা এখন যা আমাকে রেস্ট নিতে দে।

~ হ্যাঁ সেই ভালো।এই দিদিভাই চলে আয়।
~ আসছি। আরশি রানী কোনো সমস্যা হলে বা ভয় করলে আপ্পি কে ডাকবে ঠিক আছে?
~ আচ্ছা।।।
ওরা চলে যেতেই সূর্য দরজা বন্ধ করে দিলো।

আরশি ভয়ে কাচুমাচু হয়ে বসে আছে। সূর্য ওর দিকে তাকিয়ে আছে।

~ আম্মা কি হলো? সূর্য থাকতে দিলো আরশি কে? ( অহনা )
~ না দেবার কি আছে বউ হয় ওর। থাকতে তো দিতেই হতো ।।
~ কিন্তু আম্মা আরশির তো আমাকে ছাড়া ঘুম হবে না। আর তাছাড়া ওর ঘুমানোর স্টাইল ও ঠিক না। ( আরিয়া )
~ আরে বাবা আজকের জন্যে নাহয় ওর বরকেই ওকে সামলাতে দাও।
কথাটা বলে সাজেদা বেগম মুচকি মুচকি হাসতে লাগলেন।

আর বাকিরা অসহায় এর মতো একে ওপরের দিকে তাকাচ্ছে।

সুজানা ভাবছে,, আজকে আরশির উপর দিয়ে আজ না জানি কি ঝড় বয়ে যায়। ভাইয়া ওর সাথে ঠিক করে বিহেভ করবে তো?? আল্লাহ প্লিজ তুমি দেখো, আমার আরশি রানী যেনো এই ঝড়ে উড়ে না যায়।।।😑

#চলবে

আমার পুতুল বর
লেখিকা : আরশি জান্নাত (ছদ্মনাম)
পর্ব: ১৮

~তাকিয়ে কি দেখছিস ঘুমা।
~ আম্মু!
~ কি আম্মু?? ঘুমা আজ তোর আম্মু আসবে না। শুনিস নি তোর জাদু আপ্পি কি বললো?
~ আম্মুকে ছাড়া আমার ঘুম আসবে না। ( কাদো কাদো গলায়)
~ ( বিরক্ত হয়ে ) এতো কথা না বলে ঘুমানোর চেষ্টা কর!! আর একটাও কথা না ।
আরশি অসহায় ভাবে তাকিয়ে গুটিসুটি মেরে শুয়ে পরলো। সূর্যর দিকে একবার তাকিয়ে ওয়াশ রুমে চলে গেল নিজের জামাকাপড় নিয়ে।

আরশি এই শাড়ি আর গহনার জন্য ঠিক করে শুতে পারছে না। শেষে শুয়া থেকে বসে পড়লো।
সূর্য ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে দেখলো আরশি বসে আছে। এক ভ্রু উচুঁ করে,
~ তোকে না ঘুমোতে বললাম? বসে আছিস কেনো? দেখ এই রাত্রি বেলা একদম তামাশা করবি না।
আরশি ওর দিকে ঠোঁট উল্টে তাকিয়ে আছে।
সূর্য বিরক্ত হয়ে এদিক ওদিক তাকালো। তারপর আবার আরশির দিকে তাকালো।
~ কি হয়েছে বলবি তো? এবারে কিন্তু আমার খুব রাগ উঠছে।( ধমকে )
এবারে আরশি ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কেঁদে দিলো। একেবারে হাত-পা ছুঁড়ে কাদঁছে। সূর্য ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো।
~ এই তুই এভাবে কাঁদছিস কেনো? আমাকে দিম্মার কাছে বকা খাওয়াবি নাকি? চুপ!!
আরশির থামার কোনো নাম গন্ধ নেই। সূর্য আর না পেরে ওর কাছে গিয়ে বসলো। আরশি নিজেকে গুটিয়ে নিলো। সূর্য বাকা চোখে তাকালো। একটু নরম কণ্ঠে বললো,,
~ কি হয়েছে কাদছিস কেনো? আম্মুর কাছে যাবি? এর জন্যে কাদছিস নাকি আমি বকা দিয়েছি বলে? আচ্ছা যা! আমি মাফ চাইছি কান্না থামা প্লিজ।
আরশি ঠোঁট ফুলিয়ে বললো,,
~ আমি শুতে পারছি না। এই গুলোতে ব্যাথা পাচ্ছি। অ্যা অ্যা অ্যা ( নিজের গায়ের দিকে ইশারা করে আবার কাদা শুরু করলো )
~উফফ এই মেয়ে এর জন্য কাদছে! দাড়া আমি তোর জামা এনে দিচ্ছি। আর তুই এই গয়না গুলো খুলে ফেল।
~ আমি পারবোনা আপ্পি কে ডেকে দাও আপ্পিই পড়িয়ে দিয়েছে।
~ তোকে! তেরে গেলে, আরশি খাটের কোনায় চলে গেলো। রাত্রের কয়টা বাজে এখন! সবাই ঘুমিয়েছে। অমি যেয়ে এখন জাগাবো? ( বাজখাঁই গলায় )
~ 😭😭😭😭 অ্যা অ্যা অ্যা অ্যা
~ আরে মা আমার চুপ কর 🙏 ! আমি খুলে দিচ্ছি এদিক আয়।
আরশি ধীরে ধীরে এগিয়ে এলো। সূর্য এক এক করে ওর সব গয়না খুলে দিলো। খেয়াল করে দেখলো আরশির গলা, কান আর হাত লাল হয়ে গেছে। নিশ্চই এই গয়না আর চুড়ি গুলোর জন্য।
~ তুই চুপ করে বস আমি তোর জামা নিয়ে আসছি।

সূর্য আরশির ঘরে যাওয়ার জন্যে দরজা খুলতেই সুজানা হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকে পড়লো। এক দৌড়ে আরশির কাছে গেলো।
~ আরশি রানি!! কি হয়েছে কাদছিস কেনো? ভয় পাচ্ছিস? ভয় বকেছে?? সূর্যের দিকে রাগী চোখে তাকালো।
সূর্য হাবার মতো তাকিয়ে আছে। ও সুজানার কাছে গেলো।

~ শোন হুদাই আমাকে দোষ দিচ্ছিস কেনো!! ও এইসব পড়ে ঘুমোতে পারছিল না তাই এভাবে কাদছে। এন্ড ফর ইওর কাইন্ড ইনফরমেশন আমি ওর ঘর থেকে ওর জন্য জামা আনতেই যাচ্ছিলাম, যাতে তোদের এই ন্যাকারানি তার কান্নাটা অফ করে আমাকে একটু শান্তি দেয়।
সুজানা মুখ ভ্যাংচিয়ে বললো, তো দাঁড়িয়ে আছিস কেন যা না।। দেখছিস না মেয়েটার প্রবলেম হচ্ছে। আবার আরশির দিকে তাকিয়ে ওকে শান্ত করছে।

( গড আই এম জাস্ট ফেড আপ নাও। আর কি কি করতে হবে আমায় কে জানে। দিম্মা আমাকে বেশ ভালো ঝামেলায় ফেলেছে। কথাগুলো বির বির করে বলে আরশির জামা আনতে চলে গেলো। )

সুজানা সেদিকে আড়চোখে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিলো।
~ আহারে বেচারা ভাই আমার!! আরশি রানি একদম কান্না কাটি করবিনা আমি আছি তো ,, হুম?
আরশি মাথা নাড়লো।

সূর্য আরশির ঘরে এসে ওর আলমারি থেকে জামা খুঁজছে।
আরিয়ার মেয়ের জন্য টেনশন হচ্ছিলো তাই ঘুমোতে পারছিলো না। উঠে ডাইনিং এ এসেছিলো। তখন দেখলো আরশির ঘরের আলো জ্বলছে। আরশি এ ঘরে তো তেমন আসে না। আরিয়ার সাথেই ঘুমায়। আর আজকে তো সূর্যর ঘরে ওর থাকার কথা তাহলে কে?
আরিয়া ঘরে গিয়ে দেখলো সূর্য।
~ আরে সূর্য!! তুই এখানে কি করছিস?
~ ওহ মামনি তুমি!! আসলে তোমার মেয়ের ঐ শাড়ি পরে ঘুমোতে কষ্ট হচ্ছে তাই কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। আমি এজন্যই এসেছি ওর জন্য একটা নরমাল জামা নিতে।
~ আরশি কাদঁছে? এমা তুই আমাকে আগে ডাকবি না? দাড়া আমি যাচ্ছি!!
~ আরে মামনি দাড়াও।। আপুই আছে ওর সাথে। তুমি আমাকে ওর জন্যে একটা জামা খুজে দাও প্লিজ আমি বুঝতে পারছি না কি নিবো!!

~আচ্ছা তুই সরে দাঁড়া আমি দিচ্ছি। হ্যা এই নে।
~ ওকে থ্যাংকস মামনি। চলে যেতে নিয়েও ফিরে তাকিয়ে বললো, মামনি তুমি টেনশন করো না আরশি ঠিক আছে। তুমি ঘুমোতে যাও।
~ (হালকা হেসে , সূর্যের কাছে গিয়ে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে ) আচ্ছা বাবা। কিন্তু ও বেশী জ্বালালে আমাকে ডাকিস।
~ হুম।
সূর্য চলে গেলে আরিয়া একটু হেসে ঘরের আলো নিভিয়ে বেরিয়ে এলো।

~আপুই নে ওকে চেঞ্জ করিয়ে দে।
~ জামাটা যখন তুই এনেছিস তখন তুই ই পড়িয়ে দে!! ( দুষ্টুমি করে )
সূর্য দাত কট মট করে তাকালো।
~ আব্ মজা করছি। তুই বাইরে যা।
~ জলদি কর!

সূর্য বাইরে অপেক্ষা করছে। একটু পর সুজানা বেড়িয়ে এলো।
~ যা এবার ঘুমো গিয়ে। আমিও যাচ্ছি।
সূর্য কিছু না বলে ঘরে চলে গেলো।

আরশি ঘুমিয়ে পরেছে। ও বিছানার ওপর পাশে গিয়ে বসলো। কেমন অদ্ভুত লাগছে সব টা। আজ ওদের বিয়ে হয়েছে। ওরা এখন স্বামী- স্ত্রী। ওর পাশে যেই বাচ্চা মেয়েটা শুয়ে আছে সে ওর বিয়ে করা বউ। ভাবতেই অবাক লাগছে। এসব তো হওয়ার কথা ছিলো না। কি থেকে কি হয়ে গেলো। এখন ওর পড়াশোনা নিয়ে ডুবে থাকার কথা আর আরশির দৌড় ঝাঁপ করার সময়। সেখানে ওদের এমন একটা বন্ধনে আবদ্ধ হতে হলো। এই বিয়েটার কি আদৌ কোনো মানে আছে??
আরেকবার আরশির দিকে তাকালো। কাদার ফলে চোঁখ মুখ লাল হয়ে আছে। পুরো ডলের মতো লাগছে। পুতুল দুটোকে চেপে ধরে ঘুমিয়ে আছে। ওর ভাবতেই হাসি পায় এই বয়সে ও মেয়েটা পুতুল খেলে।
আজকে ওর বিয়ে হয়েছে। কিন্তু ও তো বিয়ে মানেই জানে না। ওর কাছে এই বিয়েটা এই পুতুল বিয়ে দেওয়ার মতোই। ওকে তো এটাই বোঝানো হয়েছে যে ও পুতুল বউ আর আমি ওর পুতুল বর ।
সব টা একটা খেলা বানিয়ে দিয়েছে সকলে মিলে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঘুমন্ত আরশির থেকে পুতুল গুলো নিয়ে বেড সাইডে রেখে দিলো। আরশির কাছে গিয়ে ওর লাল হয়ে যাওয়া জায়গা গুলোতে হাত বুলালো। আরশি নড়ে চড়ে সূর্যকে আকড়ে ধরে আবার ঘুমিয়ে গেলো। সূর্য হালকা হেসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,,,
~ গুড নাইট ডল।।।

ওর পাশে শুয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো।
( আমাকে কিছু একটা করতে হবে। এভাবে চলতে দেওয়া যাবে না। আমি আমার বা আরশির কারো জীবনই নষ্ট হতে দিবোনা। এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লো। )

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here