আমার পুতুল বর লেখিকা : আরশি জান্নাত ( ছদ্মনাম) পর্ব : ১৫+১৬

আমার পুতুল বর
লেখিকা : আরশি জান্নাত ( ছদ্মনাম)
পর্ব : ১৫+১৬

সুজানা আপু !!!
সুজানা এক মনে সূর্যের বলা কথাগুলো ভাবছিলো রিক এর ডাকে চমকে উঠলো।।
~ হা হ্যাঁ বলো।।
~ তোমাকে কি ডিস্টার্ব করলাম??
~ না না আমিতো এমনি বসে ছিলাম।
~ আপু কিছু মনে না করলে আমরা কিছু জানতে চাই। ( রোজ )
~ সূর্য আর আরশির ব্যাপারে??
~ হ্যাঁ ইফ ইউ ক্যান!! দেন প্লিজ উই ওয়ান্ট টু নো!!
~ হ্যাঁ বলবো আজ তোমাদের আর নিজের মধ্যে রাখতে ভালো লাগছে না।
~ আমিও শুনবো। ( ন্যান্সি )
~ তুমি??
~ হ্যাঁ অবাক হচ্ছো কেনো? আমিও কিছু একটা আন্দাজ করেছিলাম ওদের মধ্যে কিছু একটা আছে তাই আমি সবটা জানতে চাই।
~ আর ইউ সিওর?( রিক )
~ ইয়েস।
~ ওকে বলছি। ( সুজানা )

……………………………………………………………………….
সুয্যি ভাইইয়া!!!! আমার পুতুল টা দিয়ে দাও। আর করবো না। সত্যি বলছি।🥺 প্লিজ দাও না। সূর্য উচু করে আরশির পুতুল বউটা কে ধরে রেখেছে। আরশি ছোট হওয়ায় নাগাল পাচ্ছে না। লাফালাফি করছে নাগাল পাওয়ার জন্যে। আরশি কাঁদো কাঁদো চেহারা করে সূর্যের দিকে তাকিয়ে আছে। সূর্যর আরশির কাঁদো কাঁদো মুখটা দেখে বেশ মজা লাগছে। তখনই পেছন থেকে কেউ ওর কান মলে দিলো।
~ আরে আহ্হঃ লাগছে কে? দিম্মা তুমি!!!
~ হ্যাঁরে হতচ্ছাড়া আমি!! কি করছিস তুই? জালাচ্ছিস কেন ওকে?
~ তোমার এই আদরের নাতনি কে জিজ্ঞেস করো আমার ঘরে কি করতে গেছিলো? ( কান টা ছাড়িয়ে হাত দিয়ে ডলে)
~ কেনো তোর ঘরে গেলে কি হবে?
~ আমার জিনিস সব ওলট পালট করে দিয়ে আসে। তারপর আমার দরকারি জিনিস খুঁজে পেতে কষ্ট হয়।
~ ওতো বাচ্চা।।। আজ হোক বা কাল ও তো তোর ঘরেই থাকবে ( কথাটা বলে জিভে কামড় দিলেন )
~ ওয়েট ওয়েট দিম্মা কি বললে তুমি?
~ বলছি আরশি মনি তুমি ওর ঘরে গেছিলে কেনো? দে ওর পুতুল দে!! ( সূর্যের হাত থেকে নিয়ে আরশি কে দিলো ) বলোতো কেনো গেছিলে আমার এই রাগী নাতির ঘরে?
~ সূয্যি ভাইয়ার…
~ ঐটা সূর্য হবে !!! ৪ এ পড়ুয়া মেয়ে এখনো ঠিক করে নাম উচ্চারণ করতে জানেনা।।।
~ 🥺🥺🥺 দিম্মা
~ এই তুই চুপ কর!! তুমি বলো সোনা।
~ সূয্যি ভাইয়ার বারান্দা টা অনেক সুন্দর। ওখানে দোলনা আছে , ফুলের গাছ আছে । আরশির অনেক ভালো লাগে। তাইতো পুতুল নিয়ে খেলতে গেছিলাম। কিন্তু সূয্যি ভাইয়া এসে পড়ায় লুকোতে গিয়ে ধরা পড়ে গেছি ।। তারপর ভাইয়া আমার পুতুল নিয়ে নিয়েছে। 😭
~ আচ্ছা কাদে না ওকে বকে দিবো। সূর্য ( খানিকটা গম্ভীরভাবে) ওকে আর বকবে না তুমি।
~ আমি ওকে বকবো যখনই আমার ঘরে যাবে তখনই।
সূর্য হনহন করে ওর ঘরের দিকে চলে গেল। সুজানা নিচে নামছিল ভাইকে এভাবে যেতে দেখে অবাক হয়ে গেলো।। এই দিম্মা? ভাই এর কি হলো!! ওভাবে চলে গেলো কেনো??
সাজেদা বেগম হাসতে হাসতে ওকে সব খুলে বললেন।
সুজানা ও হেসে উঠলো।
~ সত্যিই ভাই ও না শুধু শুধু আমার কিউটিটাকে বকা বকি করে।
~শোন সুজানা তোর মা বাবা আর আরশির মা বাবাকে একটু আমার ঘরে আসতে বল তো।
~ ঠিক আছে। ( দিম্মা সবাইকে কেনো ডাকছে কে জানে)

~ মা আপনি এসব কি বলেছেন? এ কি করে সম্ভব? ( সুরাজ )
~ আম্মা আপনি আবার ভেবে দেখুন এইটা কিন্তূ ঠিক হবে না । ( অহনা )
~ আম্মা আপনি আমাদের মুরুব্বী। আপনার কথার উপর কথা বলা উচিত হবে না। কিন্তু আম্মা কি করবো আমরা আপনি যেটা বলছেন সেটা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। ওরা দুজনেই ছোট এখন। ( আফিফ )
সাজেদা বেগম সবার কথাই শুনছেন কিন্তু আরিয়া কিছু বলছে না শুধু চুপচাপ সবার কথা শুনছে।
~ আরিয়া তুমি কিছু বলবে না? ( সাজেদা বেগম )
~ আম্মা আমি সত্যি কথা বলবো? আসলে আমার এতে কোনো আপত্তি নেই!!!
~ এসব তুমি কি বলছো বলছো? তোমার মাথা ঠিক আছে ( আফিফ )
~ আমার মনে হয় আম্মা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিছু না কিছু ভেবেই নিয়েছেন । তাই আমি আম্মার সাথে একমত । ( আরিয়া )
~ তুইও কি করে এসব বলছিস তোর মেয়েটা ছোটো ?? সেটা ভূলে গেছিস? ( অহনা )
~তোমাদেরকে আমার আরেকটা ব্যাপারে বলার আছে ।।।। ( সবাই সাজেদা বেগমের দিকে তাকালো )
আমি আর বেশিদিন বাঁচবো না।
~ মানে?( আফিফ )
~ কি বলেছেন এসব আম্মা?(অহনা)
~ আম্মা দেখুন আপনি আমাদের রাজি করানোর জন্য যদি এইটা বলে থাকেন তাহলে ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও ঠিক হচ্ছে না । ( সুরাজ )
~ আম্মা প্লিজ এসব মজা করবেন না। ( আরিয়া )
~ সবাই শান্ত হও। আমি কোন মিথ্যে কথা বলছি না এটাই সত্যি।।। তোমরা এতোদিন শুধু আমার হার্টের সমস্যার কথা জানতে। কিন্তু আমার শুধু হার্টেই প্রবলেম নয় বরং ব্রেইন এ ও প্রবলেম আছে। আমার যখন তৃতীয়বারের মতো হার্ট অ্যাটাক হয় তখন মাথায় ও বেশ যন্ত্রনা অনুভব করতাম। তোমরা জানতে এটা। ডাক্তার তখন আমার এমআরআই ও সিটি স্ক্যান করিয়েছিলেন। সেখানে ধরা পড়েছিল আমার ব্রেইনে টিউমার আছে। তখন সেটা খুব ছোটই ছিলো। অপারেশন করানো যেতো। কিন্তু কি বলতো আমার আর বাঁচার ইচ্ছাটা ছিল না। তাই ডাক্তারকে মানা করেছিলাম তোমাদের জানাতে। তোমাদেরকে শুধু বলা হয়েছিলো মেন্টাল প্রেসার এর জন্যে মাথা ব্যাথা হচ্ছিলো। কিন্তূ এক মাস আগে যখন চেকআপ করাতে গিয়েছিলাম তখন জানতে পারি এখন আমার টিউমার লাস্ট স্টেজে। আমি আর বেশি দিন বাঁচবো না। আসলে আরশির মাধ্যমে আমি আমার হারিয়ে যাওয়া মেয়ে জান্নাত কে খুঁজে পেয়েছিলাম। তাই তো ওর নাম রেখেছিলাম আরশি জান্নাত। ওকে আমার থেকে দুরে যেতে দিবনা বলেই এই পদ্ধতি ভেবে রেখেছিলাম। কিন্তু ওইযে ভাগ্য আমার ওর থেকে দূরে যেতেই হবে। মৃত্যু যে দুয়ারে হানা দিচ্ছে।। তাই আমি মারা যাওয়ার আগে আমার ইচ্ছেটা পূরণ করে যেতে চাই।। তোমরা কি বলো?
সবাই স্তব্ধ হয়ে আছে। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে সকলে।

#চলবে

আমার পুতুল বর
লেখিকা : আরশি জান্নাত (ছদ্মনাম)
পর্ব : ১৬

ড্রইংরুমের সোফায় সকলে থমথমে মুখ নিয়ে বসে আছে। সাজেদা বেগম ও চুপ করে বসে আছেন।

সুজানা কিচ্ছু বুঝতে পারছে না। হঠাৎ কি এমন হলো যে সবাই এমন থম মেরে গেলো? এদের অবস্থা দেখে কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস ও পাচ্ছে না ।
আরশি এক কোনায় পুতুল দুটো হাতে নিয়ে বসে আছে আর একটু পর পর সবার মুখের দিকে তাকাচ্ছে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই সূর্য নিচে নেমে এলো। সবাইকে এরকম দেখে বুঝলো সিরিয়াস কিছু হয়েছে।
~ দিম্মা, ডেকেছিলে??
~ ও হুম; বসো।
সূর্য তার দিম্মার পাশে বসলো। সাজেদা বেগম সকলের দিকে তাকিয়ে সূর্যের হাত দুটো নিজের হাতের মুঠোয় নিলেন ।
~ দাদুভাই তোমাকে কিছু কথা বলবো মনোযোগ দিয়ে শুনবে।
সূর্য মাথা নাড়লো। সাজেদা বেগম দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,,,,
~ তোমার দিম্মা তোমাদের সাথে আর বেশিদিন থাকতে পারবে না। তাকে এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করতে হবে।

অহনা আর আরিয়া ঢুকরে কেঁদে উঠলো। সুজানা আর সূর্য অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।

~ এসব কি বলছো তুমি দিম্মা?( সুজানা )
~ এসবের মানে কি দিম্মা ? ( সূর্য )
~ দাদুভাই , দিদিভাই তোমরা শান্ত হও। আমি বলছি। বউমা, আরু মা তোমরা থামো। আমি কিন্তু কান্নাকাটি করতে একদম নিষেধ করেছি। আসলে দাদুভাই,,, আমার ব্রেইন টিউমার ধরা পড়েছে যা এখন লাস্ট স্টেজে। আমি বেশিদিন বাঁচবো না।
সুজানা কথাটা শুনে ওর দিম্মাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো।
~ দিম্মা এসব কেনো বলছো? কোথায় ছেড়ে যাবে তুমি আমাদেরকে? আমাদের রেখে কোথাও যাবে না তুমি। প্লিজ বলো এসব মিথ্যে। বলোনা প্লিজ বলো।( সাজেদা বেগম কে ঝাঁকিয়ে )
সূর্যের চোখ লাল হয়ে এসেছে। চোখের কোটরে পানি জমেছে। তার দিম্মাকে সে সব থেকে বেশি ভালোবাসে। আজ জানতে পারছে তার সেই প্রিয় মানুষটা তাকে ছেড়ে চলে যাবে। সূর্যর ও ইচ্ছে করছে ওর দিম্মাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদতে কিন্তু এতোটাই অবাক হয়েছে যে নিজের জায়গা থেকে নড়তে পারছে না। আরশি সব না বুঝলেও এটা বুঝলো ওর দিম্মা ওদেরকে ছেড়ে চলে যাবে। তাই সে ও কাদতে শুরু করলো। আরিয়া গিয়ে ওকে বুকে জড়িয়ে নিলো। সেও নিরবে চোখের পানি ফেলছে।
~ দিদিভাই তুমি শান্ত হও। তুমিতো বড়ো হয়ে গেছো তোমার এখন অনেক দায়িত্ব। আমি যাওয়ার পর সবাইকে তুমি দেখে রাখবে। তোমাকে শক্ত হতে হবে। ( সুজানার মাথায় হাত বুলিয়ে )
~ আমি কিচ্ছু জানিনা তুমি কোথাও যাবেনা।
সাজেদা বেগম অহনাকে ইশারা করলেন । অহনা এসে সুজানাকে সামলালো। সুজানা মাকে জড়িয়ে ধরে কাদছে।

সাজেদা বেগম সূর্যর দিকে তাকালেন। ওর মনের অবস্থা তিনি বেশ বুঝতে পারছেন তাই ওর কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলেন। সূর্যের চোখের কোটরে জমে থাকা পানি দুচোখ বেয়ে গড়িয়ে পরলো।
~ দাদুভাই তুমি আমার দেখা সব থেকে স্ট্রং ছেলে। তোমার বয়সি ছেলেরা এতোটা স্ট্রং হয় না। সবসময় এমন স্ট্রং থাকবে। নিজের বুক থেকে সূর্যের মাথা তুলে,,,,,
~ তুমি তোমার দিম্মাকে খুব ভালোবাসো তাই না?
সূর্য মাথা নাড়লো।
~ আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি। আমার যাওয়ার আগে একটা শেষ ইচ্ছে আছে আর আমার সেই ইচ্ছাটা একমাত্র তুমিই পূরণ করতে পারবে। করবে তো?
সূর্য তাকিয়ে আছে । কিছুক্ষন পর বললো ,,, করবো।
~ (হাত বাড়িয়ে ) প্রমিস?
~ প্রমিস।
~ আমি চাই তুমি আরশি মনিকে বিয়ে করো । সেটা কালকেই ।
সূর্য হতভম্ব হয়ে ওর দিম্মার দিকে তাকালো। সুজানা ও অবাক হয়ে গেলো। একবার দিম্মার দিকে তো আরেকবার মা বাবা বাকি সকলের দিকে তাকাচ্ছে।
কি সব বলছে দিম্মা ভাই আর আরশি রানির বিয়ে??

~ এসব কি বলছো তুমি দিম্মা? বিয়ে! আরশি কে? কি করে সম্ভব?
~ কেনো নয় দাদুভাই?
~ দিম্মা আমি আরশি দুজনেই ছোটো। আর বিয়ে এখন? বাবা মা !! তোমরা কিছু বলছো না কেনো?
কেউ কোনো কথা বললো না। সূর্য সবাইকে দেখে আবার সাজেদা বেগমের দিকে তাকালো।

~ তাহলে সবাই সবটা আগে থেকে জানতে? কি করে এমন কিছু ভাবতে পারো তোমরা??
~ দাদুভাই তুমি আমার কথা শোনো। এটা সম্পূর্ণ আমার ইচ্ছে বলতে গেলে শেষ ইচ্ছে। তোমার কাছে আমি কোনদিন কিছু চাইনি মারা যাওয়ার আগে এই একটা জিনিস চাইছি ।তুমি দিবেনা ,আমার কথা রাখবে না তুমি? তো একটু আগে প্রমিস করলে!!!

সূর্য লাল চোখ নিয়ে ওর দিম্মার দিকে তাকিয়ে আছে।

এরকম একটা কথা শুনার জন্য ও প্রস্তুত ছিলো না।
সবে দশম শ্রেণীতে পড়ে । বিয়ের মতো এতো বড় আর গুরুত্বপুর্ন বন্ধনে আবদ্ধ হতে বলা হচ্ছে। তাও আবার একটা ফোরে পড়া বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করতে বলা হচ্ছে!!! ও কি করবে ? একদিকে দিম্মা কে করা প্রমিস এর মূল্য আরেকদিকে নিজের ইচ্ছে অনিচ্ছের মূল্য। কোনটাকে বেছে নিবে ও??
…………………………………………………………………………

~ মা আমাকে এভাবে সাজাচ্ছো কেনো?? ঠিক আমার পুতুল বউটার মতো করে !!!

আরিয়া কিছু বলছেনা। চুপ করে আরশিকে শাড়ি পড়াচ্ছে। সুজানা পাশে দাড়িয়ে আরশি কে চুড়ি পড়াতে পড়াতে বললো,,,,
~ আজ আরশির বিয়ে।। তার জন্য একটা সত্যি কারের পুতুল বর আসবে।।
~ পুতুল বর !! সত্যিকারের?? মানে?
~ মানে নিচে তোমার জন্য তোমার পুতুল বর অপেক্ষা করছে, তার পুতুল বউ এর জন্য।( আরশির দু গাল টিপে দিয়ে )
আরশি ড্যাব ড্যাব করে সুজানার দিকে তাকিয়ে আছে।

সূর্য বিরক্তি নিয়ে সোফায় বসে আছে। তাকে সাদা পাঞ্জাবি পড়ানো হয়েছে। ওতো এটাই ভেবে পাচ্ছে না যেই বিয়েতে ওর কোনো আগ্রহ নেই সেই বিয়েতে এতো সাজ গোজের কি আছে কে জানে??

কিছুক্ষণের মধ্যে কাজী চলে এলো। আরশি কে অহনা, আরিয়া আর সুজানা মিলে নিচে নিয়ে এলো। সূর্য একবারের জন্যও তাকালো না। কিন্তু আরশি তাকিয়ে আছে। সুজানা ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো,, ঐ দেখো তোমার পুতুল বর ( সূর্যর দিকে ইশারা করে )
আরশি অবাক হয়ে গেলো।

নিয়ম রীতি মেনে ওদের বিয়েটা হয়ে গেলো। তিন কবুল পরে বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনে আজ তারা আবদ্ধ হলো। কিন্তু এর পরিণতি ঠিক কি হবে তা সকলের কাছে অজানা।।।।।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here