আমার প্রিয় তুমি পর্ব-৩

0
1802

#আমার_প্রিয়_তুমি
#মেহজাবিন_তানিয়া
তৃতীয় পর্ব

৫.

পর পর তিনটি গাড়ি এক সাথে ছুটছে ঢাকার অদূরে অবস্থিত গাজিপুরের ছোট্ট গ্ৰাম শ্রীপুরের দিকে।প্রথম গাড়িতে আছে তারেক ও তুহিন হাওলাদার এবং তাদের সহধর্মিণীগন। দ্বিতীয় গড়িতে রয়েছে তুহিন হাওলাদারের ছেলে সাদিফ হাওলাদার সাদ,তারেক হাওলাদারের ছোট মেয়ে রিমি হাওলাদার এবং সাদিফে কাজিন অনন্ন্যা সে অবস্য পিছনের গাড়িতে আসতে চেয়েছিল কিন্তু সে গাড়িতে নেওয়া হয় নাই তাকে ।সবার শেষের গাড়িতে রয়েছে তারেক হাওলাদারের বড় ছেলে তাজরিয়ান হাওলাদার তানভি যার জন্য আজ ঘটা করে গ্ৰামের বাড়ি যাওয়া । সাথে তার দুই বন্ধুও যাচ্ছে।

হাওলাদার সাহেবের বড় ও তার প্রিয় নাতি তাজরিয়ান হাওলাদার তানভি । নামের মধ্যেই রাজকীয়তা বিদ্যমান।এছাড়া তার কথা ও কাজের মধ্যে অতিমাত্রায় জ্ঞানী ও গম্ভীরতা সম্পূর্ণ ভাব রয়েছে । তবে সে প্রচুর রগচটা মানুষ ও বটে। দেখতেও তেমনি সে- লম্বায় প্রায় ছয় ফুট, ম্যানটেন করা বডি , উজ্জল ফরসা গায়ের রং। সব মিলিয়ে প্রত্যেক মেয়ের স্বপ্নের পুরুষ।

খুব গম্ভীরভাবে সে ড্রাইভিং করছে তার পাশে বসে দুই বন্ধু সারা রাজ্যের কথা বলছে এত দিন পর বন্ধু সাথে ঘুরতে বের হয়েছে কথা তো থাকবেই।সে মাঝে মাঝে শুধু হুম-হা করছে। কিন্তু তার সম্পূর্ণ দেন ড্রাইভিংএর দিকে।

৬.

বিকেলে তিন বান্ধবী মিলে বের হয়েছি।এটা আমাদের প্রতিদিনের কাজ সারা গ্ৰাম ঘুরে বেড়ানো।আমরা তিন বান্ধবী খুব ডানপিটে স্বভাবের । পড়ালেখায় ভালো বলে এই স্বভাব নিয়ে কেউ তেমন একটা কিছু বলে না ।বাবা আগেই বলে দিয়েছে আর যাই করো পড়াশোনায় ফাঁকি দেওয়া যাবে না আর যেখানেই যাও না কেন আসরের পর পরই বাসায় আসতে হবে তাই আমিও বাবা কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি।তবে মা আমার এই স্বভাবে খুবই চিন্তিত। তার মতে মেয়ে মানুষ কেন উরু উরু স্বভাবের হবে । মেয়ে মানুষ হবে ঘরকুনো স্বভাবের , ঘরের কাজে সাহায্য করবে ,নামাজ রোজা আর পড়াশোনা নিয়ে থাকবে ।আর এই নিয়ে বাবা-মার মধ্যে প্রায়ই দন্দ লেগে থাকে।

যাই হোক যেতে যেতে এসে থামলাম হাওলাদার বাড়ির বাগানে ।কি নেই এই বাগানে মাঝে মাঝে ভাবি , দেশি-বিদেশি অনেক ফলের গাছ থেকে শুধু করে,অনেক রকমের ঔষধি গাছও আছে।বাগানের এক পাশে বিশাল বড় পুকুরে শান বাঁধানো ঘাট , তাতে নানা ধরনের মাছ ও রয়েছে। এবং তার অপর পাশেই হাওলাদার বাড়ি । বাড়িটা যে আজ মানুষে ভরপুর তা দূর থেকেই বুঝা যাইতেছে।

পুকুর থেকে একটু দূরে একটা পেয়ারা গাছের নিচে এসে থামলাম দেখি অনেক পেয়ারা ঝুলে আছে গাছে । মেহু বলে উঠলো দেখ দেখ পেয়ারা গুলো বলছে আসো খাও আমাকে।বলেই ফটাফট তিনটা পেয়ারা তুলে নিলো।
আর তাদের এই মহৎ কাজটা দূরের একজনের সরু নজর পরলো।

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here