#আমার_বোনু
#Part_24
#Writer_NOVA
জিবরান ছবিগুলো টেবিলে ছুঁড়ে মারতেই সবার নজর সেদিকে পরলো। ঊষার পাঁচ ভাই ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে তাকালো। জিবরান তাদের দিকে তাকিয়ে বললো,
— আমার দিকে না তাকিয়ে ছবিগুলো দেখুন।
ইশাত একটা ছবি তুলে নিয়ে পূর্বের থেকে দ্বিগুণ কপাল কুঁচকে বিস্মিত কন্ঠে বললো,
— ছবিতে থাকা মেয়েটা তো আমাদের বোনু। ছেলেটা কে?
অরূপ কয়েকটা ছবি নেড়েচেড়ে বললো,
— এই ছবি তুই কোথায় পেলি জিবরান?
জিবরান ছবিগুলোর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে ছিলো। অরূপের প্রশ্ন শুনে এক পলক তাকিয়ে চোখ নামিয়ে ফেললো। অর্ণবের চোখ দিয়ে মনে হচ্ছে আগুন ঝড়ছে। উত্তেজিত গলায় বললো,
— এগুলো তোমায় কে দিয়েছে জিবরান?
জিবরান তার দুলাভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললো,
— প্রেরক বিনীন খামে আমার অফিসে কেউ পাঠিয়েছে।
আদিল এতখন চুপ করে একের পর এক ছবি উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখছিলো। কতগুলো ছবি হাতে নিয়ে পাশের চেয়ারে বসে আরো খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো। ঈশানের মুখের চোয়াল শক্ত হয়ে গেছে। চেচিয়ে বললো,
— এগুলো সব মিথ্যে। আমাদের বোনু এমন নয়।
ইশাত ঈশানের কথার সাথে একমত পোষণ করে জোর গলায় বললো,
— কেউ তোকে ভুল বুঝাচ্ছে। তুই তো জানিস আমাদের বোনু কেমন।
অরূপ মুখটাকে শুকনো করে বললো,
— জিবরান প্লিজ তুই এসব বিশ্বাস করিস না। আমি সিউর ছবিগুলো এডিট করা। কিন্তু ছেলেটা কে ছিলো? মুখে তো মাস্ক পরা।
আদিল এক হাতে ছবি ধরে আরেক হাতে কপাল ধরে চোখ বন্ধ করে কিছু ভাবছিলো। হঠাৎ গম্ভীর গলায় বললো,
— ছবিগুলো এডিট করা নয়। এটা আমাদের বোনু।
আদিলের কথায় সবাই চমকে উঠলো। অর্ণব এগিয়ে এসে আদিলকে বললো,
— তোর মাথা ঠিক আছে? কি বলিস এসব?
আদিল মাথা ঝাঁকিয়ে ছবিগুলো দূরে ছুঁড়ে মেরে বললো,
— ভালো করে ছবিগুলো লক্ষ্য করো। ছবিগুলোর মধ্যে ছেলেটা বোনুকে এক হাতে জড়িয়ে ধরেছে। নয়তো কপালে চুমু খাচ্ছে। কিংবা বোনুর মাথা তার কাঁধে হেলানো।
ঈশান ক্ষিপ্ত কন্ঠে বললো,
— কি বলতে চাইছো তুমি মেজো ভাইয়ু? আমাদের বোনু এমন না। আমরা নিজ হাতে ওকে লালন-পালন করেছি। আমরা তো জানি ও কেমন।
আদিল চেয়ার ছেড়ে উঠে বসে এক হাত পকেটে গুঁজে দিলো। ঈশানের দিকে তাকিয়ে বললো,
— এক্সাক্টলি! আমরা জানি আমাদের বোনু কেমন! আমি সবাইকে বলেছিলাম ছবিগুলো ভালো করে খেয়াল করতে। কেউ কি তা করেছো? জিবরান তুমি দেখেছো?
জিবরান ভ্রু এর কাছটা চুলকে স্মিত হাসি দিলো। ওর এমন স্বাভাবিক থাকা আর হাসি দেওয়ায় আদিল ছাড়া সবাই একটু অবাক হলো। জিবরান সেদিকে পাত্তা না দিয়ে নিস্প্রভ গলায় বললো,
— হ্যাঁ মেজো ভাই আমি দেখেছি।
আদিল একগাল হেসে বললো,
— কোন পার্থক্য খুঁজে পেয়েছো?
— হুম পেয়েছি। তাই তো আমি নিশ্চিন্তে আছি।
আদিল এবার সবার দিকে ঘুরে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললো,
— তোমরা পার্থক্য খুজে পাওনি?
বাকি চার ভাই একে অপরের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়ালো। আদিল ঠোঁট হালকা বাঁকিয়ে বললো,
— ভালো করে খুঁজো। তাহলেই পেয়ে যাবে।
সবাই একটা একটা করে ছবি হাতে তুলে নিয়ে সেদিকে নজর দিলো। ঈশান এক ধ্যানে ছবির দিকে তাকিয়ে থেকে চেচিয়ে উঠলো,
— পেয়েছি!
অরূপ উচ্ছল কন্ঠে বললো,
— আমিও পেয়েছি।
অর্ণব কিছু সময় ছবির দিকে তাকিয়ে থেকে বললো,
— আমি তো পার্থক্য খুজে পাচ্ছি না।
ইশাত মুখ মলিন করে বললো,
— আমি খুঁজে পাইনি।
জিবরান চেয়ার টেনে বসে জিজ্ঞেস করলো,
— তা ঈশান কি পার্থক্য খুজে পেলি।
ঈশান বড় করে একটা দম ছাড়লো৷ এতখন তো তার জানই বের হয়ে যাচ্ছিলো। এখন বোনকে নির্দোষ খুঁজে পেয়ে শান্তি লাগছে। শার্টের কলার ঠিক করে বললো,
— হ্যাঁ, এটাই আমার বোনু। তবে ভালো করে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে আমাদের বোনুর সেন্স নেই। ওর অজ্ঞান অবস্থায় কেউ সেই সুযোগ নিয়েছি। প্রতিটা ছবিতে বোনুর মাথা হেলানো ছিলো। আর চোখ বন্ধ ছিলো।
জিবরান একগাল হেসে ঈশানের কাঁধ চাপর মেরে বললো,
— বাহ বাহ ছোট সমোন্ধির তো সেই ট্যালেন্ট! মেজো ভাইয়ু তো সিক্রেট এজেন্সির লোক। তাই একটু সময়ে ধরে ফেলেছে। কিন্তু তোর রাজনৈতিক মেধার তারিফ করতে হয়।
ঈশান ভাব নিয়ে বললো,
— এমনি তো আর রাজনৈতিক নেতা হই নাই বোন জামাই😎।
অর্ণব কিছুটা ভীতসন্ত্রস্ত গলায় বললো,
— এখন এর থেকে উপায় কি আদিল? তা ভেবেছিস?
আদিল, জিবরান একবার একে অপরের দিকে তাকালো। তাদের কপালে চিন্তার ভাজ। বিষয়টা যতটা ইজি মনে হচ্ছে ততটা নয়। সাথে বাকি চার ভাইয়েরও এখন বোনকে নিয়ে ভয় হচ্ছে।
★
— কোন খোঁজ পেলে জিকু?
মাসফি জিকুর দিকে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকালো। জিকু বাইরের দিকে তাকিয়ে কিছু ভাবছিলো। সে মাসফির কথা শুনতে পায়নি। মাসফি এগিয়ে এসে জিকুকে ধাক্কা দিয়ে বললো,
— জিকু আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি।
জিকু আচমকা ধাক্কায় হকচকিয়ে গেলো। আমতাআমতা করে বললো,
— জ্বি বস! কিছু বলছেন?
মাসফির ভ্রুকুটি কুঁচকে এলো। কপালে তিন ভাজ ফেলে বললো,
— কোথায় ছিলে এতখন? আমি কিছু বলছিলাম।
— সরি বস আমি খেয়াল করিনি।
— তাতো দেখতেই পারছি।
— জ্বি বস এখন বলেন।
— কি ভাবছিলে?
— তেমন কিছু নয় বস।
— ভয় পেয়ো না। বলতে পারো।
জিকু মুখ কুচোমুচো করে বললো,
— সত্যি বলবো?
মাসফি আশ্বাস দিয়ে বললো,
— হুম বলো।
— বস, আপনি তো আরান ভাইকে অনেক বিশ্বাস করেন তাই না?
— হুম তা করি। কেনো?
— আপনার কি মনে হয় আরান ভাই অদিতি আপুর সাথে এমন কাজ করতে পারে? মানে আপুকে ড্রাগ দিতে পারে?
— না, আরান এমন কাজ করতে পারে না।
— তাহলে আপনার সন্দেহ কেন তার বাবার ওপর পরলো না? আপনি বরং এখন আপনার চাচার কথা বিশ্বাস করছেন।এটা কি ঠিক? আমার কি মনে হয় জানেন, সব ঘাপলা আপনার চাচার মধ্যে। আরান ভাই এসব করতে পারে না। তার মাথায় এসব খেলবেই না। তাছাড়া আমি খেয়াল করেছি আরান ভাইয়ের জমি,সম্পত্তি, টাকা কোনটার প্রতি কোন আকাঙ্খা নেই। সে আপনাকে আর অদিতি আপুকে অনেক ভালোবাসে।
মাসফি বাঁকা হাসলো। যার মানে জিকুর বোধগম্য হলো না। মাসফি কিছু সময় মুচকি হেসে বললো,
— তোমায় কে বলেছে আমি আমার চাচাকে কিংবা তার কথাকে বিশ্বাস করেছি?
— না কেউ বলেনি। কিন্তু আমার মনে হয়েছে।
— শুনো জিকু, আমরা সবসময় যা ভাবি তা কিন্তু হয় না। অনেক সময় একের ভেতর অন্য কাহিনি লুকিয়ে থাকে।
— তা আমি জানি বস। কিন্তু আপনি দয়া করে সব খুঁটে নেটে দেখেন। সবকিছু না জেনে কোন একশন নিয়েন না। এতে কিন্তু হীতের বিপরীত হতে পারে।
মাসফি এগিয়ে এসে জিকুর গালে হালকা করে চাপড় দিয়ে বললো,
— তুমি নিশ্চিন্তে থাকো। আমি সবকিছু না জেনে কিছু করবো না।
জিকু এক টুকরো হাসি দিলো। তাতে মাসফি মাথা নাড়ালো। মাসফি কাচের দেয়ালের সামনে গিয়ে এক হাত পকেটে গুঁজে আরেক হাত কাচের দেয়ালে রেখে জিকুকে বললো,
— উত্তরার টেন্ডারের ফাইলটা নিয়ে এসো তো! আমি আবার চেইক দিতে চাই।
— জ্বি বস!
মাসফি পিছন ঘুরে জিকুর দিকে তাকালো। জিকু কিছুটা খুড়িয়ে হাঁটছে। মাসফি কপাল কুঁচকে বললো,
— জিকু তোমার পায়ে কি হয়েছে?
জিকু পেছন ঘুরে তার বসের দিকে তাকালো। তারপর একবার ডান পায়ের কনিষ্ঠ আঙুলের দিকে তাকিয়ে ইতস্তত ভঙ্গিতে বললো,
— টেবিলের পায়ার সাথে বারি খেয়ে কনিষ্ঠ আঙুলে ব্যাথা পেয়েছি বস!
★
ঈশান সবেমাত্র চেয়ারে বসেছিলো সভার কাজ বুঝিয়ে দিতে। সামনেই তাদের একটা বিশাল সভা আছে। সেই সভা পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে ঈশানের ওপর। হঠাৎ একটা মেয়ে এসে ঈশানের পায়ে হুমড়ি খেয়ে পরলো।
— আরে করছো কি, করছো কি?
কথাটা বলতে বলতে ঈশান চেয়ার থেকে উঠে দুই কদম পিছিয়ে গেলো। মেয়েটা এগিয়ে এসে ঠিকই ওর পা জড়িয়ে ধরে বসে পরলো। ঈশান ধমকে উঠলো,
— এই মেয়ে পা ছাড়ো!
মেয়েটা পা না ছেড়ে মরা কান্না জুড়ে দিলো। এতে ঈশান চরম বিরক্ত। জোরে এক ধমক বসিয়ে দিলো।
— চুপ করো। কে তুমি?
মেয়েটা এবার নাক টানতে টানতে মাথা উঠালো। মেয়েটার মুখ দৃশ্যমান হতেই ঈশান বিস্মিত হয়ে গেলো। এটা তো সেই মেয়েটা। যে ওর বাইক নিয়ে পালিয়েছিলো। ফ্রড চক্রের প্রধান। ঈশান চোখ দুটো রসগোল্লা করে বললো,
— তুমি!
সাথের থেকে একটা ছেলে ঈশানকে বললো,
— ঈশান ভাই আপনি একে চিনেন? কে উনি?
আরেকজন জিজ্ঞেস করলো,
— ভাই আপনার গার্লফ্রেন্ড নাকি?
ঈশান ধমক দিয়ে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো,
— চুপ, বেশি কথা বলে। তিলকে তাল বানিয়ে ফেললো। যা তো তোরা এখান থেকে।
একজন টিটকারির সুরে বললো,
— হ্যাঁ হ্যাঁ সবাই এখান থেকে চল। ভাই এখন ভাবীর সাথে কথা বলবে।
ঈশান রেগে সামনের চেয়ার উঁচিয়ে একজনকে বারি দিতে নিলে সব দৌড়ে পালালো। ঈশান এক পলক মেয়েটার দিকে তাকিয়ে চোয়াল শক্ত করে ভারী গলায় বললো,
— এই মেয়ে পা ছাড়ো৷ পা ছাড়তে বলছি আমি।
মেয়েটা কান্না জড়ানো কন্ঠে বললো,
— ভাই আমাকে মাফ করে দেন। আমি আপনাকে চিনতে না পেরে এত বড় অপরাধ করেছি।
— অনেক হয়েছে ন্যাকামি। এখন বন্ধ করো। আর কি হয়েছে তাই বলো।আমার পা ছেড়ে কথা বলো। এই মেয়ে কি বলেছি শুনতে পেয়েছো?
ঈশান শেষের কথাটা ধমক মিশ্রিত কন্ঠে বলেছে। তাতে মেয়েটা কেঁপে উঠলো। ভয় পেয়ে পা ছেড়ে দিলো। ঈশান চোখ, মুখ শক্ত করে বললো,
— চোখ মুছে সোজা হয়ে দাঁড়াও।
মেয়েটি সাথে সাথে তাই করলো। নাক টেনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। ঈশান পাশের চেয়ারটা টেনে বসে পরলো। চুলগুলো হাত দিয়ে চিরুনি চালানোর মতো করে পেছনে ঠেলে দিয়ে বললো,
— এবার কি হয়েছে তাই বলো!
মেয়েটা শুকনো ঢোক গিলে ইতস্তত গলায় বললো,
— আমায় মাফ করে দিবেন বড় ভাই। আমি যদি জানতাম আপনি বড় রাজনৈতিক নেতা। তাহলে কখনও আপনার বাইক চুরি করতাম না।
ঈশান গম্ভীর কন্ঠে বললো,
— ভুমিকা ছেড়ে আসল কাহিনিতে আসো।
মেয়েটা ভীত গলায় বললো,
— আপনার বাইকটা নিয়ে আজ পাশেই একটা গ্যারেজে বিক্রি করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আপনার বাইকের নাম্বার প্লট দেখে যখন রেজিষ্ট্রেশন দেখলো তখুনি চিনে গেলো। এখন তারা বাইকও আটকে রেখেছে। আর আমার দলের লোকদেরও। বলেছে আমাদের নাকি পুলিশে দিবে। এখন এর থেকে একমাত্র আপনি আমাদের বাঁচাতে পারেন। আপনি যদি গিয়ে বলেন আমার দলের লোকদের ছেড়ে দিতে। তাহলেই ছেড়ে দিবে। নয়তো না। আপনাকে সেই কখন থেকে খুঁজে যাচ্ছি। অবশেষে পেলাম। এখন প্লিজ আপনার বাইক আপনি নিয়ে যান। আর আমার দলের লোকদের ছেড়ে দিতে বলুন। আমি কথা দিচ্ছি আর কখনো এমন কাজ করবো না। এসব ধান্দা ছেড়ে দিবো।
ঈশান ওর কথা শুনে হো হো করে হেসে উঠলো। এতে মেয়েটা কিছুটা বিরক্ত হলেও মুখে প্রকাশ করলো না। এতে হাসির কি হলো? সে কি কোন জোকস বলেছে নাকি? মিনিট দুই যাওয়ার পর যখন ঈশানের হাসি থামলো না। তখন মেয়েটি কোমড়ে দুই হাত রেখে হালকা তেজি স্বরে বললো,
— এমন ভেটকাইতেছেন কেন?
ঈশান পেট ধরে হাসি থামালো। তারপর মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে বললো,
— হাসছি তোমার কাহিনি দেখে! তুমি আমার বাইকটা এত ধান্দা করে নিয়েও কোন কিছু করতে পারলে না। সেই আমাকে খুঁজে নিজে থেকে বাইকের খোঁজ দিলে তাই হাসছি। আমি জানতাম এমনটাই হবে। তুমি যদি বাইকটা এখানে বিক্রি করতে আসো তাহলে সেটা আমি পাবো। আর অন্য কোথাও বিক্রি করলে তা আমি হারাবো। তবে বাইক যে ফেরত পাবো তা আমি কল্পনাও করিনি। ভেবেছি এটা তো আমার এলাকার বাহির থেকে ধান্দা হয়েছে তা আর ফেরত পাবো না।
— জ্বি বুঝতে পারছি। এখন দয়া করে আমার দলের লোকদের ছেড়ে দিতে সাহায্য করুন।
— করতে পারি তবে এক শর্তে!
মেয়েটি কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
— কি শর্ত?
— তোমরা আর এই ধান্দা করতে পারবে না।
— হ্যাঁ তাতো বললামই।
— শুধু মুখে মুখে বললে হবে না। কাজেও করে দেখাতে হবে।
মেয়েটির মুখ মলিন হয়ে গেলো। মাথা নিচু করে দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো। নিচুস্বরে বললো,
— ধান্দা না করলে খাবো কি? কে কাজ দিবে আমায়?
ঈশান এক নজর মেয়েটার দিকে তাকিয়ে চট করে উত্তর দিলো।
— আমি দিবো। তবে তোমরা এসব কাজ আর করতে পারবে না।
মেয়েটা অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে ঈশানের দিকে তাকালো। ঈশান মুচকি হেসে বললো,
— ওহ হ্যাঁ তোমার নামটাই তো জানা হলো না। কি নাম তোমার?
মেয়েটি কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,
— নু -নুহা!
ঈশান ঠোঁট বাঁকিয়ে একটু হেসে বললো,
— বাহ চমৎকার নাম! তা মিস নুহা চলুন আপনার লোকদের ছাড়িয়ে আনতে যাই।
~~~তাকে বিশ্বাস করেন না। যে আপনার বিশ্বাসের বিন্দুমাত্র মূল্যও দিবে না🖤।
#চলবে