আমার ভিনদেশি তারা পর্ব-৫৭

0
1636

Story – আমার ভিনদেশি তারা
Writer – Nirjara Neera
পর্ব নং – ৫৭
———————————————–
ফুল দিয়ে কার টাকে সাজানো হয়েছে। সবাই আমাকে সেদিকে নিয়ে যাচ্ছে। চারপাশে প্রতিবেশি, আত্মীয় স্বজন সবাই দাড়িয়ে আছে। আম্মার কান্নায় তাদেরও বুক ফেটে কান্না চলে আসছিল। কেউ কেউ আম্মার সাথে কান্নায় সামিল হচ্ছিল আবার কেউ কেউ আঁচলে মুখ চেপে কান্না চাপছিল। কিন্তু আমার কান্না আসছিল না। থম থমে মুখ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে কি মাথায় চেপে বসলো বুঝলাম না। বলে উঠলাম
“আমি যাবো না।”
ঠায় ধরে দাড়িয়ে গেলাম। এদিকে জাওয়াদ হাত টেনে বলতে লাগল
“যাবে না মানে? চলো বলছি!”
“আমি যাবো না।”
আম্মার কান্না থেমে গেছে। চাচী দৌড়ে এসে আমাকে ধাক্কা তে লাগলেন। বললেন
“তাহমিনা জিদ ছাড়ো। যাও! উঠ গাড়িতে।”
“আমি উঠবোনা।”
“তাহমিনা উঠ!”
“নাহ্!”
চাচী আবার ধাক্কাতে লাগলেন।
“তাহমিনা উঠ!”
শব্দ বেশ দূর থেকে থেকে আসছিলো। আমি মাথা নেড়ে বললাম
“আমি যাবো না বলছি!”
“তাহমিনা!”
“একদম যাবোনা!”
“তাহমিনা উঠ!”
ঝট করে চোখ খুলে গেল। শিয়রে চাচী ধাক্কা দিয়ে বলতে লাগল
“কোথায় যাবিনা? কি বলছিস? উঠ জলদি।”
কথা বলতে পারলাম না। থর থর করে শরীর টা কাঁপছে। গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে। মাথা ঝিম ঝিম করছে ভীষণ। হাতের মুটো দুটো বেশ অবশ লাগছে। এটা কি আমার ঘর? আমি কি আমার ঘরেই শুয়ে আছি? এতক্ষন কি আমি স্বপ্ন দেখছিলাম? এত ভয়ানক স্বপ্ন? এতটা বাস্তব? চাচী আবার বললেন
“তাহমিনা উঠ! ভোর হয়ে গেছে সে কবে! উঠে গোসল করে নে। ঘেমে গেছিস অনেক।”
চাচী আলনা তে কিছু কাপড় ভাজ করে রেখে চলে যেতে উদ্যত হয়ে আবার পিছনে তাকালেন। তাকিয়ে বললেন
“কিরে তাহমিনা?”
আমি বহু শক্তি সঞ্চয় করে বললাম
“আ-আমি উঠছি।”
চাচী চলে গেলেন। আমি ধীরে ধীরে উঠে বসলাম। চাচীর কথা ঠিক। আমি সত্যি ঘেমে গেছি। ঘামে পিঠে কাপড় লেপ্টে আছে। খোলা চুল গুলো গলার সাথে লেপ্টে আছে। এত গরম লাগছিল কেন?
উপরে তাকাতেই দেখলাম ফ্যান বন্ধ। তার মানে কারেন্ট নেই। এবার বুঝলাম এত গরম লাগার কারণ। কিন্তু কারেন্ট তো যাওয়ার কথা না। বাড়িতে বাবা সোলার বসিয়েছেন। তাই গ্রামের কোথাও চব্বিশ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলেও জমিদার বাড়িতে সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ থাকবে। কোথাও লাইনে গড়বড় হয়েছে মনে হয়।
উঠে গেলাম বিছানা থেকে। গোসল সেরে চুল মুছতে মুছতে উঠানে দাড়ালাম। কাছেই চাচী মোড়া তে বসে চাল ঝাড়ছেন। ঝাড়ছেন নাকি আমার দিকে নজর রাখছেন বুঝলাম না। আজ বেশ বেলা হয়ে গেছে ঘুম থেকে উঠতে। সকালের রোদ বেশ কড়া হয়ে উঠেছে। আমি চুল মুছতে মুছতে মোড়া টেনে মেহেদি গাছটার নিচে বসলাম। ইতোমধ্যে দু-তিন ভ্যান গাড়ি এসে হাজির। ভ্যান গাড়িতে সব প্যান্ডেলের কাপড়। একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এল। এগুলো আমার বিযের জন্যই আনা হয়েছে। আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম। আজকে আমার মেহেদি রাত। বাবা বাড়িতে নেই। তিনি কোথায় শালিসে গেছেন। তাই তৈয়ব চাচু বেড়িয়ে আসলেন। আমি উঠে গেলাম ওখান থেকে। রান্না ঘরে নাস্তা বানিয়ে আম্মা আমাকে ডাকছেন নাস্তা খাওয়ার জন্য।
রান্না ঘর টা বেশ বড়। একপাশে দু মুখো মাটির চুলো। পাশে ভাতের আলমারী। সাথে র‍্যাক। ওখানে থরে থরে সাজানো মশলার কোটা। তারপাশে উচু একটা চিকন টেবিলে গ্যাসের চুলা রাখা। গ্রামে গ্যাস আসে নি। তবে বাবা মাকে গ্যাসের চুলা, সে সাথে সিলিন্ডার এনে দিয়েছেন। এজন্য রান্নায় ও বেশ সুবিধা।
আমি মোড়ায় বসে পিঠা খেতে লাগলাম। আম্মা চিতই পিঠা বানিয়েছে। পাশে শরীফা খালা বেশ ব্যস্ত। কি কি করছেন বোঝায় যাচ্ছে না।
একটু বেলা বাড়তেই চারদিকে প্যান্ডেল টাঙানো হয়ে গেল। আমি জানালায় দাড়িয়ে দেখতে লাগলাম। অনারম্ভর ভাবে অনুষ্টান হবে। তাই ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন ছাড়া আর কেউ নেই।
.
শরীফা খালা আর মেজ মামী এক সাথে বসে মেহেদি পাতা আর কাঁচা হলুদ বাটছেন। ভোলা নতুন সাদা পাঞ্জাবী পড়ে টই টই করে ঘুরছে আর কাজের লোকদের উপর খবরদারী করছে। উসমান চাচা একটু খানি মেহেদি দাড়িতে লাগানোর আশায় শরীফা খালার আশেপাশে ঘুরছেন। কিন্তু শরীফা খালা ধমকে উঠছেন উসমান চাচা কে। ধমকে উসমান চাচা একদম হতাশ না হয়ে নতুন উদ্যমে খালার মন জয়ের চেষ্টা করছেন। বিরাট বিরাট কালো ডেক আনা হয়েছে। সেগুলো তে রান্নার তোড়জোড় চলছে। আব্বা এখনো আসে নি। বড় মামা কাল রাতেই নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এখনো ফিরে আসেনি।
এসব দেখে নিজের অজান্তে একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো। কিভাবে যেন একটা অশ্রুর ফোটা গাল গড়িয়ে পড়তে লাগল।
“বাদরী!”
“মামা!”
তাড়াতাড়ি চোখ মুছে মামার দিকে ফিরলাম। তিনি হন্তদন্ত হয়ে কোথ থেকে আসছেন। হাতে এক ঝাক ব্যাগ। ঘেমে পাঞ্জাবি বুকে পেটে লেগে গিয়েছে। রোদে পুড়ে চেহারা টা কালচে হয়ে উঠেছে। তিনি আমার দিকে খেয়াল করলেন না। ব্যাগ গুলো বিছানায় রেখে সেগুলো খুলতে খুলতে দ্রুত গলায় বলতে লাগলেন
“মেহেদির তত্ত্ব চলে এসেছে। এখানে তোর গায়ে হলুদের শাড়ি আর গহনা আছে। সব ঠিক আছে কিনা দেখ। তোর পছন্দ হয়েছে কিনা বল। আর কিছু লাগবে? তোর মামী কোথায়?”
একটানে কথা বলে আবার মামী কে ডাকতে লাগলেন।
“সায়রা, সায়রা!”
আমি দেখতে লাগলাম। দু-তিনটা শাড়ি, গহনা, বিভিন্ন কসমেটিকস। কিন্তু আমার একদম ভালো লাগছেনা। তাই স্পর্শ করলাম না। মামা মামী কে ডেকেই আবার বলতে লাগলেন
“সব ঠিক আছে।”
“হুম। সব ঠিক আছে।”
“কি বলিস রে? তুই তো দেখলিই না। সব ঠিক আছে কিভাবে? ভালো করে দেখ।”
“তুমি যখন এনেছো মামা সব ঠিকই থাকবে।”
হয়ত আমার নির্লিপ্ত গলা মামা কে স্পর্শ করল। তিনি এবার আমার দিকে তাকালেন। আমি মাথা নিচু করে হলুদের শাড়ি গুলোর দিকে তাকিয়ে রইলাম। মামা কয়েক সেকেন্ড আমার দিকে তাকিয়ে ডাকলেন
“তাহমিনা!”
সিরিয়াস মুহুর্তে মামা কখনোই বাদরী ডাকেন না। তিনি হয়ত কিছু একটা বুঝতে পারছেন। তাই জবাব না পেয়ে জোর গলায় আবার ডাকলেন
“তাহমিনা!”
“হাহ্!”
ছল ছল করা চোখে আমার দিকে তাকালাম। আমি যেন বলতে চাইছিলাম অনেক কিছুই। কিন্তু কিছুই যেন মুখ দিয়ে বেরুচ্ছে না। মামা আরেকটু কাছে এগিয়ে এসে বললেন
“কি হয়েছে তোর?”
“মা-মামা! কি-কিছু হয়নি।”
“তাহলে মুখটা অমন কেন তোর? এতো কালো করে রেখেছিস কেন?”
জোর করে একটু হেসে বললাম
“তোমাদের ছেড়ে যেতে হবে। তাই একটু মন খারাপ।”
“মিথ্যা কথা! তাহমিনা কি হয়েছে আমাকে বল।”
“না মা-মামা! কি-কিছুই হয় নি!”
“তাহলে কাঁদছিস কেন?”
“বলেছি তো। তোমাদের ছেড়ে যাব তাই।”
“তাহমিনা!”
মামা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার চোখের দিকে তাকালেন। যেন চোখে তাকিয়েই মনের সব কথা পড়ে ফেলছেন। উনার তীক্ষ্ণ দৃষ্টির সামনে আমি দুর্বল হয়ে পড়লাম। উনি আরো কাছে এগিয়ে এসে আমাকে ধরলেন। আমার মনে হল আমি এখুনি কেঁদে দিব। মামা প্রায় ফিস ফিস করে বললেন
“কিছু কি হয়েছে? হলে আমাকে বল!”
“মামাহ্!”
“হুম বল!”
আমি একটা ঢোক গিললাম। একহাতে উনার পাঞ্জাবি শক্ত করে ধরলাম।
“আ-আমি…!”
আবার ঢোক গিললাম। অনুভব করলাম শরীর টা মৃদু কাঁপছে। দুর্বল লাগছে ভীষণ। শক্তি গুলো যেন কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে।
“মা-মামাহ! আ-আমি… একটা ছেলে কে পছন্দ করি!”
শেষ লাইন একটানে বলেই মাথা নিচু করে ফেললাম। নজর মেলানোর সাহস হচ্ছে না।
“বলিস কিরে?”
মামা হতবাক হয়ে থমকে গেলেন। বেশ কয়েক সেকেন্ড চুপ থাকলেন। তারপর ধীরে ধীরে বললেন
“ছেলের নাম কি? কোথায় থাকে?”
মাথা না তুলে জবাব দিলাম
“নাম লিও। কানাডা থাকে মামা। আমার ক্লাস মেট।”
“বিদেশী?”
“হুম!”
“আগে বলিস নি কেন?”
এবার আমি মাথা তুললাম। পলক না ফেলে মামার দিকে তাকিয়ে বললাম
“কিভাবে বলতাম মামা? আব্বা আমি আসছি পর্যন্ত আমার কথা শোনা দূরের কথা, আমার দিকে তাকাচ্ছেও না। আর বড় মামা আমার কথা বুঝবে বলে তোমার মনে হয়? আর মা? মা তো আগের মত শক্তও নেই। দেখ নি! বাবার কথার উপর একটা কথাও তিনি বলেন নি।”
মামা আস্তে করে বলল
“আমাকেও বলতে পারতি!”
আমি ফিস ফিস শব্দে বললাম
“মামা! ওরা আমাকে নজর বন্দি করে রেখেছে। ফোন, ভিসা, টাকা সব নিয়ে গেছে। ঘর থেকে বের হলেই পিছু পিছু একজন না একজন আছেই। আর তোমাকে তো সেদিনের বিয়ের কথার পর আর দেখলামই না। কি করে বলতাম মামা? সবাই যেভাবে আমার বিয়ের পিছে লেগেছে, সেটা দেখলেই আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। অন্তত একটা বার জিজ্ঞেস করতে পারতো যে, আমি বিয়েতে রাজি কিনা? কিন্তু না! আমার কথার কোনো গুরুত্বই নেই মামা! মিথ্যা কথা বলে আমাকে এনে ওরা বিয়ে পড়িয়ে দিচ্ছে। বিয়ে পড়িয়ে দেবে জানলে আমি ওখান থেকে আসতাম না।”
মামা বাক রুদ্ধ হয়ে গেলেন। আমি একটু নিঃশ্বাস নিয়ে ছল ছল চোখে নিচের বাম হাত টা একটু উপরে তুলে লিওর দেয়া আংটি টা দেখিয়ে বলতে লাগলাম
“মামা দেখো! লিও আমাকে এটা দিয়েছে। আমাদের এনগেজমেন্ট হয়েছে।”
মামা একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন আংটির দিকে। আমি আর নিজেকে থামাতে পারলাম না। গাল বেয়ে কয়েক ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। কণ্ঠ রোধ হয়ে আসতে লাগল। থেমে থেমে বললাম
“আ-আমি এখন কি-কি করব মামা? সব তো শে-শেষ হয়ে যাচ্ছে।”
মামা আমার মাথায় হাত দিলেন। তারপর ধীরে ধীরে বুলিয়ে বললেন
“তুই কাঁদিস না। দেখি আমি কি করতে পারি!”
এ বলে মামা দ্রুত পায়ে বেড়িয়ে গেল। আর পিছনে ফিরেও তাকালেন না।
.
বিকেল বেলা আমাকে কাঁচা হলুদ সারা গায়ে মাখিয়ে সাত পুকুরের পানি দিয়ে গোসল করানো হলো। করানো শেষে কাপড় পাল্টানোর জন্য আমার রুমে নিয়ে আসা হলো। চাচী চুল মুছে দিচ্ছেন শুকানোর জন্য। মামী লাল পেড়ে সাদা শাড়ি টা পড়িয়ে দিচ্ছেন। পড়িয়ে দিতে দিতে কাকে গালি দিচ্ছেন। যতটুক বুঝলাম ব্যাগে শাড়ির সাথে লাল ব্লাউজ পাঠানো হয়নি। তাই চাচীর কাছ থেকে তার নতুন লাল ব্লাউজ টা নিয়ে আসা হয়েছে। মা এসে কয়েক বার দেখে গেলেন। ফুপির মেয়েটা আর পাশের বাড়ির আরেকটা মেয়ে আমাদের বাগান গাঁদা ফুল পর্যাপ্ত পাই নি। তাই মা আরেক বাড়ি থেকে সাদা বেলি ফুল আনিয়েছে। বিছানার কোনায় বসে বসে দুজনে সুই দিয়ে মালা, বালা, কান ফুল এগুলো বানাচ্ছে। দুই বার গোসল করে আমার যাচ্ছে তাই অবস্থা। মনে হচ্ছে সর্দি ধরে যাবে। কারণ এত তাজা বেলি ফুল গুলো। পুরো ঘর নিশ্চয় মৌ মৌ করছে। অথচ আমি তেমন গন্ধ পাচ্ছি না সেগুলোর। বার বার নাক টানছি। চুল মুছে চাচী সেগুলো ফ্যানের বাতাসে এলিয়ে দিলেন দ্রুত শুকানোর জন্য। এরপর বড় মামীর ডাকে বেড়িয়ে গেলেন। মামীর শাড়ি পড়ানো শেষ। তিনি আমার খোঁপার জন্য ক্লিপ খুজতে লাগলেন। ফুপির মেয়েটা চিকন তারের গোল চাকতি বানিয়ে এর মধ্যে বেলি ফুল গুলো গেঁথে আমার মাথায় বসিয়ে বার বার চেক করছে ফিট হচ্ছে কিনা। আমি বেশ বিরক্ত। বাইরে থেকে ভীষণ শোরগোলের আওয়াজ আসছে। মনে হয় কিছু নিয়ে ঝগড়া লেগেছে। সকাল থেকেই এই এক অবস্থা। ফুপির মেয়েটা আবার ফুলের তাজ টা মাথায় বসালো। বসিয়ে বলল
“বাহ্! এবার বেশ ঠিকঠাক হয়েছে।”
আমি তীক্ষ্ণ চোখে ওর দিকে তাকালাম। বাইরে শোরগোল বেড়ে যাচ্ছে। সেদিকে আমার মন নেই। ফুলের তাজ টা মাথা থেকে নিতে যাব এমন সময় একটা ডাক শুনলাম। আমার হৃদপিন্ড টা ধক করে উঠল। আবার শুনলাম। আর থাকলাম না। তাজ মাথায় দ্রুত পায়ে বিছানা থেকে নেমে গেলাম। পিছন থেকে মামী ডাকছেন। কিন্তু সেগুলো আমার কানে গেল না।
.
(চলবে)
.
এই যে আপনারা! একটু এদিকে আসেন। শেষ পর্ব দেওয়া যায় কিনা বলেছিলাম দেবো বলিনি। আর যারা যারা আমার উপর চিল্লায়ছেন তারা সবাই এক একটা চিল্লানি তুলে নিবেন। মনে রাখবেন একটা চিল্লানিও যেন না থাকে। কি মনে থাকবে তো? (Just kidding. Happy reading)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here