আমার_গল্পে_তুমি ৩৮_পর্ব

আমার_গল্পে_তুমি ৩৮_পর্ব
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী(writer)

,
ওদের আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে তাই সবাই এসেই কোনো রকমে কয়টা খায়ে লেপের নিচে চলে গেছে, আজকে আর কোনো আড্ডা দিবে না এমনিতেই শীত তার উপর আবার এতোটা রাস্তা এসে ক্লান্ত হয়ে গেছে,, ইয়ানা শীতে হাতে হাত ঘষতে ঘষতে রুমে এসে দেখলো আর্দ্র খাটের সাথে হেলান দিয়ে আধ শোয়া হয়ে ফোন টিপছে আর লেপ কমর পযন্ত নেওয়া,, এটা গ্রাম বিধায় এখানে বেশির ভাগ মানুষই লেপ ব্যবহার করে,, ইয়ানা ভালোই বুঝতে পেরেছে যে তখনকার ব্যাবহারে আর্দ্র ভীষণ ক্ষেপে আছে,, ইয়ানা আস্তে আস্তে রুমে এসে রুমের দরজা টা ভিতর থেকে আটকে নিঃশব্দে আর্দ্রর দিকে এগিকে গেলো তারপর খাটে উঠে লেপ গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়ল, তাতেও আর্দ্রর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ইয়ানা আর্দ্রর গায়ের সাথে লেগে শুয়ে পড়ল,, তাতেও আর্দ্রর কোনো হেলদুল না পেয়ে ইয়ানা নিজের ঠান্ডা পা আর্দ্রর পায়ের সাথে লাগিয়ে দিলো,, আর্দ্র এবার বিরক্তি নিয়ে ভ্রু কুঁচকে ইয়ানার দিকে তাকিয়ে বলল,, এটা কি করছো?? ভালো করে ঘুমাতে পারছো না??

কীভাবে ঘুমাবো আপনার জন্য তো ঘুমাতেই পারছি না, একজন বসে আছে তো একজন শুয়ে আছে এভাবে ঘুমানো যায়?? বাতাস ঢোকে না? আপনি ও বরং শুয়ে পড়ুন।

নাহ আমি শোবো না আমার মোটেও ঘুম আসছে না,, আর তোমার তো আমার সাথে ঘুমাতে ভালো লাগবে না।

কে বলেছে আপনাকে??

কাউকে বলতে হবে না আমি জানি, আর আসার সময় তো দেখলাম আমার সাথে তোমার যেতে ভালো লাগছে না বলেই তো আমায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলে।

ইয়ানা বুঝতে পেরেছে যে আর্দ্র অনেক বেশিই অভিমান করেছে ইয়ানা একপাশ হয়ে শুয়েই মুচকি হাসলো তারপর একটু নড়েচড়ে শুয়ে বলল,, এতো কথা না বলে শুয়ে পড়ুন তো আমার অনেক শীত লাগছে ,।

আর্দ্র একরাশ অভিমান নিয়েই পাশ ফিরে শুয়ে পড়ল,, আর্দ্র শুয়ে পড়ার পড়েও ইয়ানা নড়াচড়া করতে লাগলো,, আরে এখন তো আমি শুয়ে পড়েছি তার পরেও এমন নড়াচড়া করছো কেনো??

তো কি করবো আমার শীত লাগছে তো আর আপনি ওপাশ ফিরে শুয়েছেন এই জন্য মাঝখান দিয়ে বাতাস ঢুকছে তাই জন্য ঠান্ডা লাগছে এই জন্যই তো আমার ঘুম আসছে না,।

আর্দ্র কিছুক্ষণ ইয়ানার দিকে তাকিয়ে থেকে তারপর আবার ইয়ানার দিকে ফিরে শুয়ে পড়ল, কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর ইয়ানা আবার নড়াচড়া শুরু করে দিলো,, এবার আর্দ্র রেগে বলল,, এসব কি হচ্ছে কি এখন তো আমি তোমার দিকে ফিরে শুয়েছি তারপরেও এভাবে নড়াচড়া করছো কেনো??

রাগ করছেন কেনো,, আমার সত্যি অনেক শীত লাগছে তাই জন্যই তো এমন নড়াচড়া করছি।

আর্দ্র কিছুক্ষণ ইয়ানার দিকে তাকিয়ে থেকে কিছু একটা ভেবে মুচকি হেসে বলল ,, ও আচ্ছা শীত লাগছে তো ঠিক আছে আমি এখনি তোমার শীত কমিয়ে দিচ্ছি , এই বলে আর্দ্র ইয়ানাকে পিছন থেকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো তারপর ইয়ানার গলায় মুখ গুজে শুয়ে পড়ল।

আরে কি করছেন এটা, সরুন আমার উপর থেকে নিজের ওজন সম্পর্কে কোনো ঙ্গান আছে আপনার পাহাড় এর থেকেও বেশি ওজন আমি তো চিরে চেপ্টা হয়ে যাবো উঠুন বলছি।

কেনো তুমি তো এটা চাইছিলো যাতে আমি তোমায় গরম করে দিই তাই জন্যই তো তুমি এমন করছিলে, কি ভেবেছো আমি কিছু বুঝি না হুমম,, এবার দেখো আর তোমার শীত লাগবে না এখন বরং আরো গরম লাগবে,,, এই বলে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।

ম,,মোটেও না আমি এমন কিছুই মনে করেনি৷

হুম তাই নাকি, শোনো আমি ওতোটাও অবুঝ নাহ বুঝলে, আমি বুঝি কে কিসের জন্য কীভাবে ইঙ্গিত করে এখন চুপচাপ শুয়ে থাকো আমারও অনেক শীত লাগছে এখন গা গরম করার অনেক প্রয়োজন,,
,,,,,,
রাত তখন গভীর চারিদিকে সব নির্জন সবাই নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে চারপাশে ঝিঁঝি পোকার ডাক,, ইয়ানা পাশে হাত দিয়ে নিজের কাপড় খুঁজতে ব্যস্ত কিন্তু সেটা পেলে তো, রুমে এতো অন্ধকার যে ভালো করে কিছু দেখাই যাচ্ছে না,, ইয়ানা হাতরাতে হাতরাতে আর্দ্রর মুখের উপর হাত চলে গেলো, আর্দ্রর ঘুম ভেঙ্গে গেলো,, এই মাঝ রাতে কি করছো কি ঘুমাতে দাও তো।

আরে তখন আমার শাড়ি কোথায় রেখেছেন এখন তো খুঁজেই পাচ্ছি না ।

এতোরাতে শাড়ি নিয়ে কি করবে?? সকাল হতে এখনো অনেক বাকি শাড়ি না খুঁজে চুপচাপ শুয়ে পড়ো নয়ত ঠান্ডা লেগে যাবে।

শাড়ি নিয়ে কি করবো জানেন না, রাতে কি করলেন মনে নাই,, আর এখন আমি শাড়ি নিয়ে গোসল করতে যাবো আর আমার সাথে আপনিও যাবেন,, এটা শহর নয় যে রুমের মধ্যে সবকিছু আছে যখন তখন গিয়ে শাওয়ার নিলেই হয়ে গেলো, এটা হলো গ্রাম এখানে মানুষ আযান এর সময় উঠে নামাজ পড়তে যায় আর এখন তো শীতকাল এখন আরো সকালে উঠে কেউ লাঙ্গল নিয়ে মাঠে যাবে তো কেউ হাড়ি নিয়ে রস পাড়তে যাবে, ভালো করে ঘড়িতে তাকিয়ে দেখুন সাড়ে তিনটার বেশি বাজে, একটু পড়েই আযান দিবে আর আযান দিলেই নানু উঠে পড়বে তখন গোসল করবো কোথায়??

কিহ এখানে শাওয়ার নেই?? তাহলে আমি শাওয়ার নিবো কীভাবে??

সেটা আপনার এখন মনে পড়েছে?? চুপচাপ আমার সাথে চলুন বাইরে কল আছে ওখানেই গোসল করতে হবে।

কিহ?? এই মাঝরাতে আমি ওই ঠান্ডা পানিতে গোসল করবো?? নো নেভার, এমনিতেই সেই সন্ধ্যা থেকে কেউ কলে পানি তুলিনি, এখন পানি অনেক নিচে আর নিচের পানি অনেক বেশিই ঠান্ডা আমি গোসল করবো না তুমি যাও।

সেটা তো হচ্ছে না, আমার সাথে আপনাকেও যেতে হবে,, ইয়ানা আর্দ্র কে শোয়া থেকে উঠিয়ে দিলো তারপর গায়ের থেকে লেপটা টেনে সরিয়ে দিয়ে দেখলো আর্দ্রর গায়ের সাথে ইয়ানার শাড়ি জরিয়ে আছে, ইয়ানা ওটা টান দিয়ে নিয়ে বলল,, এই যে আমার শাড়ি নিজে কোলের মধ্যে রেখেছে আর আমি সারা বাড়ি খুঁজে মরছি।

তারপর ইয়ানা আর্দ্র কে নিয়ে চুপিচুপি রুমের বাইরে চলে গেলো, তারপর কলের কাছে এসে বলল আপনি কল চাপ দিয়ে বালতিতে পানি ভরুন আমি রুম থেকে টাওয়াল আনছি,, ওটা আনতে ভুলে গেছি।

কিহ? এই মাঝ রাতে আমি কল চেপে পানি তুলবো?? আমি জীবনে কল চেপে পানি তুলিনি আমি কীভাবে এতোরাতে পানি তুলবো ,, রেগে বলল আর্দ্র।

ওহ, এতো রাগ করছেন কেনো প্লিজ রাগ করবেন না মাএ তো কয়টা দিন একটু কষ্ট করুন আর কয়দিন পর তো চলেই যাবো প্লিজ।

হয়েছে হয়েছে আর গ্যাস দিতে হবে না,,, হাজার বিরক্তি নিয়ে আর্দ্র কল চাপতে লাগল,, ইয়ানা রুম থেকে টাওয়াল এনে আর্দ্র কে কলের পাশে বসায়ে দিয়ে নিজে কল চেপে বালতি ভরে তারপর আর্দ্র কে মগ দিয়ে বলল গোসল করে নিতে আর্দ্র বিরক্তি নিয়ে ওমনি মাথায় মগ দিয়ে পানি নিতে লাগল তারপর গোসল শেষে ইয়ানা আর্দ্রর মাথা মুছিয়ে দিয়ে বলল রুমে গিয়ে চেঞ্জ করে নিতে আর্দ্র গেলো না,, তোমাকে এখানে এতো রাতে একা রেখে আমি রুমে যাবো তুমি কি পাগল হয়ে গেছো??

তো কি আপনি এই ভিজা কাপড়ে এখানে দাঁড়িয়ে থাকবেন?? এখনি কেমন শীতে কাঁপছেন ,।

তাতে কি তুৃমি যলদি গোসল করো আমি এখানেই আছি,, আর্দ্রকে কোনোমতেও ওখান থেকে সরানো গেলো না অগত্যা ইয়ানা ওভাবেই গোসল করে তারপর দুজনে রুমে গিয়ে চেঞ্জ করে আবার শুয়ে পড়ল।
,,,,,
সকাল হয়ে গেছে কিন্তু এখনো সূর্য মামার দেখা নেই চারিদিকে ঘন কুয়াশায় ঘেরা পাখির কিচিরমিচির আওয়াজে ইয়ানার ঘুম ভেঙ্গে গেলো আড়মোড়া ভেঙে তাকিয়ে দেখলো ও আর্দ্র বুকের উপর শুয়ে আছে আর আর্দ্র ওকে জাপটে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে,, ইয়ানা হাত দিয়ে আর্দ্র কে ডাকতে লাগল আর্দ্র গা হালকা গরম,, এই উঠুন সকাল হয়ে গেছে।

ইয়ানার ডাকে আর্দ্র আরো শক্ত করে ইয়ানাকে জরিয়ে ধরে মৃদ সরে বলল,, এতো সকালে উঠতে হবে না,, গেলো রাতে ওই কলের পানিতে গোসল করে কেমন গলা বেথ্যা হয়ে গেছে মনে হয় ঠান্ডা লেগেছে।

হুমম সেটাই তো দেখছি গা টা কেমন গরম হয়ে আছে,, আচ্ছা আপনার গলা বেথ্যা হয়েছে তাই তো?? তাহলে চলুন আমার সাথে আপনাকে একটা জিনিস খাওয়াবো।

না না আমি কিছুতেই এই ঠান্ডার মধ্যে উঠতে পারবো না, আর মনে তো হচ্ছে বাইরে অনেক কুয়াশা এর মধ্যে আমি কোথাও যাবো না তোমার যেতে হলে যাও।

আমি তো যাবোই সাথে আপনাকেও নিয়ে যাবো চলুন তো,,গ্রামে এসে গ্রামের সকালের দৃশ্য না দেখলে না অনুভব করলে তাহলে গ্রামে আাসার কি লাভ হলো,, তারপর ইয়ানা আর্দ্র কে উঠিয়ে দিলো,, নিজের শীতের কাপড় পরে নিলো আর আর্দ্র একটা মোটা জ্যাকেট আর টুপি পড়ে নিলো ইয়ানা সোয়েটার পড়েছে সাথে উপরে একটা মোটা চাদর ও নিয়েছে।
,,,,,,,,,,,,,,
শিশির ভেজা ঘাসের উপর দিয়ে, কুয়াশা ভেদ করে দুজন কপোত-কপোতী একে অপরের হাত ধরে সামনে হেঁটে যাচ্ছে,, ইয়ানা ওর চাদর দিয়ে আর্দ্র কেও জরিয়ে নিয়েছে,, আজকে এতোই কুয়াশা পড়েছে যে সামনে কি আছে তা ভালো করে দেখাই যাচ্ছে নাহ,, ইয়ানা আর্দ্র কে নিয়ে মাঠের মধ্যে দিয়ে একটা মাটির রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে তার সেই রাস্তার দুপাশে সারি সারি খেঁজুর গাছ , গাছ থেকে মানুষ রস পাড়ছে,, সন্ধ্যায় গাছে হাড়ি পেতে রেখে যায় আর সকালে এসে হাঁড়ি খুলে নিয়ে গিয়ে সেই রস ভালো করে খাওয়ার উপযোগী করে বিক্রি করে আবার পাটালিও বানায়,, ইয়ানা আর আর্দ্র হেঁটে হেঁটে সামনের দিকে যাচ্ছে ,, কি হলো সেই কখন থেকে হেঁটেই যাচ্ছো,, এই সাত সকালে কি আমায় কুয়াশার মধ্যে হাঁটাতে এনেছো যাতে ঠান্ডা আরো বেশি করে লাগে?.

আরে নাহ,, আর আপনি এভাবে রেগে যাচ্ছেন কেনো,, এই তো চলে এসেছি সামনে তাকান।,, আর্দ্র সামনে তাকিয়ে দেখলো ইয়ানা ওকে একটা ছোট্ট চায়ের দোকানের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে, দোকানে একটা বয়স্ক লোক আর একটা ছোট ছেলে,, বয়স্ক লোকটা দোকানের ভেতরে চাদর মুড়ি দিয়ে বসে আছে আর ছোট ছেলেটা কেটলিতে পানি গরম করছে।

দাদু চিনতে পারছো আমায়?? আমি ইয়ানা আর ছোটো তুই তো দেখি অনেক বড় হয়ে গেছিস তা কিসে পড়িস??

এই তো ইয়ানা আপু আমি এবার ক্লাস ফাইভ এ পড়ি।, এইটা বুঝি আমাগো দুলাভাই , কতদিন পর তুমি এখানে আসলে বসো এখানে আমি বরং তোমাদের গরম গরম দু কাপ চা দিই।

ইয়ানা আর্দ্র কে ধরে জোর করে ওখানে পাতা চরাটে বসায়ে দিলো,,, এখন কি আর ভালো করে চোখে দেখি ভালো মনেও থাকে না, তা তোর বরটা দেখি সাহেবের মতো, বাবা কি লম্বা।

আরে কি যে বলো দাদু তোমার মতো এতো সুন্দর নাহ,, ওদের কথা বলার মাঝেই ছোটো নামের ছেলেটা ওদের কে মাটির কাপে করে দু কাপ চা দিয়ে গেলো,, নিন এটা খেয়ে নিন দেখবেন গলা বেথ্যা একদম ভ্যানিস হয়ে গেছে।

কিহ,, আর ইউ লস্ট ইউর মাইন্ড? আমি এই ছোট্ট মাটির কাপে চা খাবো, এটাও সম্ভব,, কীভাবে খাবো আমি?? এখানে তো ধরার তো কিছু নাই।

আরে আমি যেভাবে ধরে আছি সেভাবে ধরে ঠোঁট লাগিয়ে আলতো করে চুমুক দেন দেখবেন কি মজা,, আর জলদি করুন একটু পরেই সবাই এখানে চলে আসবে চা খেতে নিন খান খান।

ইয়ানাকে দেখে দেখে আর্দ্র ও ইয়ানার মতো করে ধরে চায়ে চুমুক দিলো আর চুমুক দিয়েই চোখ বন্ধ করে নিলো,, সত্যি শহরের চায়ের থেকে গ্রামের চা অনেক আলাদা আর অনেক মজা এই কনকনে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে এই চা খাওয়ার মজাই আলাদা।

চলবে,,,,,,???

( এই কয়দিন না দেওয়ার জন্য দুঃখিত আসোলে বাড়িতে মেহমান এসেছে তাই দিতে পারিনি,, আর একটা কথা সবাই হয়ত বলবে যে এই সময় ও এমন গ্রাম কোথাও আছে নাকি,, আমি বলবো আছে কেননা আমি আমার আম্মুর মামাত বোনের শশুর বাড়ি গিছিলাম ওনার আবার গ্রামে বিয়ে হয়েছে, তো আমি সেখানে গিয়ে দেখেছি গ্রাম কাকে বলে,, ওখানে এখনো ঘোড়ার গাড়ি,, মহিষের গাড়ি চলে কিন্তু গরুর গাড়ি চলে না, ওটা আমি নিজের মন থেকে দিছি ওনার শশুরের ভাইরা এখনো হাঁড়ি নিয়ে খেজুরের রস পারতে যায় শীতের সময় আমি অবশ্য খাইনি ভালো লাগে না ,,, আর হ্যাঁ গ্রামের নামটা হলো মালেট)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here