#আমি_তোমাকে_ভালোবাসি
#লেখনীতে_সুরঞ্জীতা_সুর
#ত্রয়োদশ_পর্ব
২০.
রাশেদের ঘুম ভাঙ্গলো পরের দিন ভোরে। চোখ মেলে বোঝার চেষ্টা করলো কোথায় আছে সে। তারপরই সব ঘটনা মনে পড়লো আর তার সাথে সাথেই মনে পড়লো চন্দ্রা কী জানে তার কথা? সে কী এসেছে? বাম পাশে তাকাতেই চোখে পড়লো চন্দ্রা এলোমেলো হয়ে টুলে বসে রাশেদের বেডে হাতের উপর হাত রেখে চন্দ্রা ঘুমাচ্ছে। চোখ মুখে ফুটে রয়েছে শুকিয়ে যাওয়া জলের ছাপ। পরিপাটি হয়ে থাকা মেয়েটা তার জন্য এলোমেলো হয়ে গেছে ভাবতেই রাশেদের বুকটা কেমন করে উঠলো। তাকে কী কেউ কল করেছিল? না হলে তো জানার কথা না। সে দুর্বল হাতে চন্দ্রার মাথায় হাত বুলালো। পাতলা ঘুমের অধিকারী মেয়েটি চট করে জেগে উঠলো সেই আলতো স্পর্শে। চোখে মেলে ধরফরিয়ে উঠলো। রাশেদ কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো।
চন্দ্রা কাঁদছে মাথা নিচু করে। রাশেদ আদুরে স্বরে ডাকলো, চন্দ্রাবতী?
চন্দ্রা মাথা তুলে তাকাতেই রাশেদ শুয়ে থেকে দুই হাত বাড়িয়ে দিলো চন্দ্রার দিকে। চন্দ্রা কোন দিকে না তাকিয়ে রাশেদের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লো। বুকে মুখ গুঁজে ফুপিয়ে কাঁদতে লাগলো। সে ভুলে গেল রাশেদ অসুস্থ। রাশেদ দুই হাতে আগলে ধরলো চন্দ্রাকে। এক পৃথিবী সমান ভার বুক ক্রমান্বয়ে হালকা হচ্ছে।
রাশেদ চন্দ্রাকে বললো, এতোটা ভালবাসা কোথায় রেখেছিলে চন্দ্রা? কই আমি তো বুঝতেই পারলাম না?
চন্দ্রা নিঃশব্দে কাঁদছে। রাতের অসম্পূর্ণ কাজটা সে সম্পন্ন করলো। ধীরে ধীরে চন্দ্রা শরীর ছেড়ে দিলো। সমস্ত ভার রাশেদের উপর ছেড়ে দিয়ে সে ঘুমিয়ে গেল। রাশেদ বুঝতে পারলো চন্দ্রা অজ্ঞান হয়ে গেছে। একই রকমভাবে ঘটা দুটো ঘটনা ওর মনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে সেই স্ট্রেস সে নিতে পারে নি।
চন্দ্রা বেডে ঘুমাচ্ছে। রাশেদ পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। কী নিস্পাপ মুখ! কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে চোখমুখের কী অবস্থা করেছে! চুল এলোমেলো, ফ্যাকাসে মুখে শুকনো জলের ছাপ। নিষ্পলকভাবে তাকিয়ে রইলো রাশেদ। কিছুক্ষন পর চন্দ্রা চোখ পিটপিট করে তাকালো। কোথায় আছে বুঝতে একটু সময় লাগলো। মাথায় কারো স্পর্শ পেয়ে পাশে তাকালো। পাশে তাকাতেই দেখলো রাশেদ হাসিমুখে তাকিয়ে আছে তার দিকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই চন্দ্রার চোখ জলে টইটম্বুর হয়ে গেল। গড়িয়ে পড়ার আগেই রাশেদ সযত্নে মুছিয়ে দিল। তারপর বললো, কেমন লাগছে এখন?
চন্দ্রার চোখ আবার ভরে এলো জলে।
আবার কাঁদছো কেন?
আমাকে একটু ধরে উঠে বসাবেন?
রাশেদ চন্দ্রাকে উঠে বসালো তারপর চন্দ্রার থেকে সরে যাওয়ার আগেই চন্দ্রা আরেকবার জড়িয়ে ধরলো রাশেদকে। রাশেদও আগলে নিলো। চন্দ্র কাঁদতে কাঁদতে বললো,
রাশেদ আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। খুব। মনে হচ্ছিল সব শেষ। এমন করাটা কী খুব জরুরি ছিল? কেন না খেয়ে ছিলেন? আপনার কিছু হয়ে গেলে আমার কী হতো একবারও ভেবেছিলেন?
কিছুই তো হয়নি আমার দেখো তাকিয়ে।
সেদিকে কান না দিয়ে চন্দ্রা নিজের মতো বললো, আপনি যখন জ্ঞান ছিলো না জানেন কেমন লাগছিলো আমার? মনে হচ্ছিল আপনি আর উঠবেন না চিরদিনের মতো চলে……..
চন্দ্রার অসম্পূর্ণ কথা রাশেদ শেষ করতে দিলো না।
চন্দ্রা আমার কোন মেজর অ্যাকসিডেন্ট হয়নি। মাথায় চোট পেয়েছি শুধু। বেকায়দায় পড়েছিলাম তাই কেটে গিয়েছে। শুধু এতোটুকু। আর কোন গবেট তোমাকে কল করেছে বলো তো?
জানি না।
একমিনিট তুমি এতো রাতে কীভাবে এসেছো?
মনে নেই।
মনে নেই মানে কী?
দোতলার চাচার সাথে।
তাই বলো। ছিঃ উনি কী ভাববে বলো তো?
কী ভাববে?
ভাববে তুমি এতো ছুটোছুটি করে উনাকে নিয়ে এলে কিন্তু এসে দেখলেন আমি সুস্থ। ছোট্ট একটা চোট পেলাম। আর এই চোট দেখে আমার বউ অজ্ঞান হয়ে গেল।
আপনার কাছে এগুলো মজা লাগছে?
আরে তুমি রাগ করলে নাকি?
রাগের মতো কী কিছু বলছেন না?
না আমি রাগের মতো কিছু বলছি না।
আপনার কোন ধারনা আছে আপনার ফোন থেকে কল যাওয়ার পর আমার কী অবস্থা হয়েছিল?
কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি। তার মানে এই না যে সব ঘটনা শুরু এবং শেষ একই রকমভাবে হবে। এইযে এতোটা স্ট্রেস নিলে এতে ক্ষতিটা কার হলো?
তার মানে আপনি বলছেন আপনার খবর পাওয়ার পর আমার উচিত ছিল বাসায় বসে থাকা।
না আমি সেটা বলিনি। আমার কথার অর্থ হচ্ছে থাক বাদ দাও।
অভিমানী গলায় চন্দ্রা বললো, ছাড়ুন আমাকে।
রাশেদ মৃদু হাসলো তারপর বললো, চন্দ্রাবতী আপনি চেয়ে দেখুন আপনিই আমাকে জরিয়ে রেখেছেন আমি না।
চন্দ্রার হুস ফিরলো। সে ছিটকে সরে গেল। রাশেদ ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেললো। চন্দ্রাকে স্বাভাবিক করতে তার এতো গুলো কথা বলা।
চন্দ্রা?
হুম।
বেশি ভয় পেয়েছিলে?
হুম।
সরি এবার থেকে সবকিছু সময় মতো করবো। ঠিক আছে?
আচ্ছা।
তুমি কী বাসায় বলেছিলে আমার কথা?
চন্দ্রা মিনমিন করে বললো, সরি ভুলে গেছিলাম। এক্ষুনি ফোন করছি।
এই না না। বলার দরকার নেই। ভালো হয়েছে বলো নি। আমি বুঝেছি তুমি ভুলে গিয়েছো না হলে এতোক্ষণে চলে আসতো।
কেন বলবো না?
কারন আমার কিছুই হয়নি। এখন তুমি যদি বলো শুধু শুধু টেনশন করবে ওরা। কান্নাকাটি করবে। তবে মজার ব্যাপার হলো মা আমাকে ফোন করেছিল। আমি ঘুমে থাকায় ধরতে পারি নি। পরে অবশ্য কল ব্যাক করে বলেছি চার্জ ছিল না।
মায়ের মন।
হ্যাঁ সেটাই। তাহলে চলো বাসায় যাই। ছুটি পেয়েছি বুঝলে। বাসায় গিয়ে ঘুম দিব একটা। বেড থেকে উঠতে পারবে নিজে?
হ্যাঁ।
তাহলে উঠো।
চন্দ্রা উঠে দাঁড়ালো। একপা সামনে দিতেই পড়ে যেতে নিলো আর সাথে সাথেই রাশেদ ধরলো।
পারবে না তাহলে বললে কেন পারবে?
বুঝতে পারি নি।
আচ্ছা চলো।
বাসায় এসে কিছুক্ষণ পর চন্দ্রা বিশ্রাম নিয়ে উঠেপড়ে লাগলো খাবার বানাতে। রাশেদ বড়সড় একটা ধমক দিলো। কিন্তু চন্দ্রা ধমক খেয়েও রান্নাঘরে চলে গেল। তার ভাষ্যমতে সে সুস্থ। কিছুই হয়নি তার। রাশেদ অনেকক্ষণ না খেয়ে কিছু একটা করে দিতে হবে। সে চট করে চা করলো। কাপে ঢালার সময় ফুরফুরে মেজাজে টুকুকে বললো, এই টুকু চা খাবি? দুধ চা করেছি।
টুকু অবাক হয়ে গেল। আপা তাকে চা খেতে বলছে তাও দুধ চা। টুকুর খুবই প্রিয় দুধ চা। কিন্তু আপা সব সময় দেয় না মাঝেমধ্যে। বলে, টুকু এতটুকু বয়সে দুধ চা বেশি খেতে নেই।
আপার কথা টুকু খুব মানে। তাই আপাও টুকুকে আদর করে। এই তো কাল রাতে এত ঝামেলার মধ্যেও টুকুকে ঘুম থেকে তুলে হাত ধরে দোতলায় দিয়ে এলো। তাদেরকে বলে এসেছে যতক্ষণ না সে আসবে তাকে যেন ওদের ঘরে রাখে। যদি এতো রাতে টুকু ভয় পায় ঘুম থেকে উঠে। তাই তো সে তাকে ওদের ঘরে দিয়ে এলো। যদিও টুকু ওসবে ভয়টয় পায় না। চন্দ্রা ছোট্ট একটা মগে টুকুকে চা দিল। সাথে বিস্কিট দিলো তারপর বললো, টুকু বেশি ক্ষিদে পেয়েছে? এটা খেয়ে একটু অপেক্ষা কর আপা এক্ষুনি কিছু একটা বানিয়ে দিচ্ছি।
টুকু মাথা নাড়লো। যদিও তার ক্ষিদে তেমন একটা পায়নি। চন্দ্রা হেসে টুকুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চলে গেল।
রাশেদকে চা দেওয়ার সময় রাশেদ আবার বললো, চন্দ্রা বাইরে থেকে নিয়ে আসি কিছু। তুমি অসুস্থ।
না আমি সুস্থ।
ডক্টর আমি না তুমি?
যেই হোক কিন্তু তো শরীরটা আমার। আমি জানি আমি সুস্থ।
রাশেদ আর কিছু বললো না। এই মেয়ে যে সময় বিশেষে খুবই ত্যাড়া তা সে খুব ভালো করে বুঝতে পারছে। হঠাৎ করে ঘরের কলিং বেল বাজলো। চন্দ্রা ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখলো শাহাবুদ্দিন সাহেব দাঁড়িয়ে তারপাশে উনাদের বাসার কাজের মেয়ে। হাতে ট্রে নিয়ে দাঁড়িয়ে। চন্দ্রা উনাদের ভেতরে আসতে বললো।
শাহাবুদ্দিন সাহেব ঘরে ঢুকেই বললো, দেখলাম একটু আগে হাসপাতাল থেকে এসেছো। রাশেদ কেমন আছে এখন?
জ্বি ভালো।
তোমার অবস্থা দেখে তো আমি ভয় পেয়েছিলাম।
চন্দ্রা কিছুটা লজ্জা পেল। ও কী সত্যিই বেশি বেশি করছিল? কী জানি কী রকম রিয়েক্ট করেছিল তার কিছুই তো মনে পড়ছে না। চন্দ্রা চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। শাহাবুদ্দিন সাহেব বকবক করতে লাগলো। রাশেদ বাইরে কথা শুনে বের হয়ে এলো। শাহাবুদ্দিন সাহেব তাকে দেখে বললো, কেমন আছো রাশেদ?
জ্বি চাচা ভালো।
রেষ্টে থাকো কয়েকদিন তাহলে আরো ভালো হয়ে যাবে।
জ্বি আচ্ছা।
আমার একটা কাজ পড়ে গিয়েছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই হাসপাতাল থেকে চলে এসেছিলাম তোমার জ্ঞান এসেছে জেনে। রাগ করো না।
না না রাগ করবো কেন? আপনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এতো রাতে চন্দ্রাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
আরেহ তেমন কিছুই করিনি। ওর অবস্থা দেখলে যে কেউ এমনটা করতো। কান্নাকাটি করে বিধস্ত দেখাচ্ছিলো।
রাশেদ আড়চোখে চন্দ্রার দিকে তাকালো। সে যে লজ্জা পাচ্ছে তার চোখমুখ দেখলে যে কেউ বলে দিবে।
হটাৎ কিছু পরলো এই ভঙ্গিতে শাহাবুদ্দিন সাহেব বললো, রাশেদ কথায় কথায় ভুলে গিয়েছিলাম। তোমাদের জন্য খাবার এনেছি। খেয়ে নিও। দুপুরে আর রাতেও পাঠাবো।
চাচা এসবের কোন দরকার ছিলো না। আমরা বাইরে থেকেই আনতে পারতাম।
তা পারতে কিন্তু এখন যখন এনেছি খেয়ে নাও। দুপুরে আর রাতেও পাঠাবো। এটা নিয়ে আর কোন কথা আমি শুনতে চাইছি না।
তারপর আর কিছু বলার থাকে না। শাহাবুদ্দিন সাহেব বিদায় নিলো আর টেবিলে রেখে গেল ঝালঝাল মুরগীর মাংস আর পরোটা। দেখেই ক্ষিদে পেয়ে যাচ্ছে। চন্দ্রা কিছুটা স্বস্তি পেল। তার শরীর খুবই দুর্বল লাগছিলো। কীভাবে খাবার বানাবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিল। রাশেদ বাইরের খাবার পছন্দ করে না। হয়তো চন্দ্রার কথা ভেবে বাইরে থেকে খাবার আনাতো কিন্তু সেটা সে তৃপ্তিতে খেতে পারতো না। কিন্তু এখন নিশ্চিন্ত লাগছে।
চন্দ্রা কিছুটা আনমনে রাশেদকে বললো, রাশেদ বসে পড়ো৷ ক্ষিদে পেয়েছে বোধহয়। টুকু তুইও আয়।
বলে সে কিছুটা হতভম্ব হয়ে গেল। একটু আগে কী রাশেদকে তুমি করে বলেছে ও? রাশেদ চন্দ্রার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ছিলো। চন্দ্রা আমতা আমতা করে বললো, মানে বসে পড়ুন। ক্ষিদে পেয়েছে না?
রাশেদ হেসে বললো, তুমিটাই ভালো লাগছিল। বউ বউ লাগছিল।
চন্দ্রা চট করে উত্তর দিলো, বউকে বউ লাগবে না তো কী লাগবে বোন?
ছিঃ কী বলো এইসব। পাপ হবে পাপ।
হয়েছে বসুন।
তারপর টুকুকে উদ্দেশ্য করে বললো, টুকু কী হচ্ছে? আপা ডাকছি না।
আইতাছি আফা।
ঝড়ের বেগে দৌড়ে এলো টুকু। সে টেবিলের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো, আফা আফনে কী ম্যাজিক জানেন?
কেন?
ওত তাড়াতাড়ি রানলেন কীভাবে?
টুকুর কথায় চন্দ্রা ফিক করে হাসলো। টুকু এখন অল্পস্বল্প শুদ্ধ বলে। তবে তা সে তার কথার মাঝখানে ঢুকিয়ে দেয়। পুরো বাক্য শুদ্ধভাবে বলতে পারে না। মাঝে মাঝে এতো হাসি উঠে।
হ্যাঁ ম্যাজিক জানি। তুই শিখবি?
জ্বে আফা।
টুকুকে খাবার দিতে দিতে চন্দ্রা বললো, আফা কী? আপা বল।
আপা।
এইতো ঠিক হয়েছে। গুড।
রাশেদ পাশে বসে তাকিয়ে রইলো চন্দ্রা আর টুকুর দিকে। দুইজনের কথোপকথনের খুবই ইন্টারেস্টিং। চন্দ্রাকে আজ কোন অজানা কারণে খুবই খুশি দেখাচ্ছে। কিন্তু কেন তা ঠিক সে বুঝতে পারছে না।
চলবে…..
সবাই এতো এতো মিস করেছেন জেনে ভালো লাগছে আবার খারাপও লাগছে।
আসলে এই কয়দিন গল্প না দেওয়ার কারন ছিল অনেকগুলো। যার মধ্যে অন্যতম কারন হচ্ছে আমি লিখতে পারছিলাম না। গল্পের এমন এক জায়গায় আটকে ছিলাম যে চেয়েও এগিয়ে নিতে পারছিলাম না। অবশেষে পারলাম লিখতে। তারপরের কারনটা ছিল আমার স্কুলে রিইউনিয়ন ছিল। স্কুলে আলপনা দিতে গিয়েছিলাম। দুইদিন আলপনা দিয়েছি স্কুল ক্যাম্পাস আর স্কুলের রাস্তায়। শুক্রবার ছিল মেইন প্রোগ্রাম। সারাদিন স্কুলে ছিলাম। পুরনো সব বান্ধবীদের সাথে চার বছর পর দেখা। তারপর আসলো শনিবার যারা দূর থেকে প্রোগ্রামে এসেছিল তারা বাসায় এসে দেখা করে গেছে। ওইদিনও ব্যস্ত ছিলাম। তাই এতো দেরি হলো। ফাইনালি পরশু আপলোড করলাম।
গল্প না দিতে পারলে আমার নিজেরই খারাপ লাগে। একদিন পরপর দিলেও খারাপ লাগে। তারপরও কিছু করার নেই। কারন একদিনে আমি সম্পূর্ণ পর্ব লিখতে পারি না। তাই আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।