আমি সেই চারুলতা পর্ব-২০

0
1782

#আমি_সেই_চারুলতা
#Shuvra_Ahmed_Priya
#পর্বঃ২০
_______________________

– কি হইলো?
চারুর কণ্ঠে প্রকাশ পাচ্ছে আকাশসম রাগ আর চোখে টলমল করছে জল। টেবিল থেকে জলভর্তি কাচের গ্লাসটি ছুড়ে পারলো মেঝেতে। গ্লাসটা কয়েক টুকরো হয়ে গেলো। রাগান্বিত ও কান্নারত কণ্ঠেই বললো,
– বস নামক সেই অজ্ঞাত ব্যক্তিটির কথাই তো জিজ্ঞেস করা হলোনা।
হামিদ এক মূহুর্তের জন্য থমকে গেলো। আসলেই তো বসের পরিচয় জানা হয়নি। চারু নাহয় ছোট তার মনে ছিলো না কিন্তু ও কি করে ভুলে গেলো? এই সবকিছুর পেছনেই মাস্টারমাইন্ড কে সেটাই তো মূখ্য বিষয়। হামিদ রাগ সামলানোর চেষ্টা করলো না। আরো একটা পে*রেক নিয়ে সেটা ঠুকে দিলো জামাল হোসেনের হাতে। চিৎকার করে উঠলো জামাল হোসেন। হামিদের এখন বেশ আনন্দ হলো। সে আবারও বেশ কয়েকবার একই কাজ করলো। যা হওয়ার হয়ে গেছে। দোষী এই লোকেরাও কিছু কম ছিলো না। জামাল হোসেনের এই করুণ অবস্থা দেখে ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে আছে সবুজ আলী। তার এই ভয়টাকেও দারুণ উপভোগ করছে হামিদ। হামিদ সিদ্ধান্ত নিলো সে এক পিশাচকে আরো শা*স্তি দেবে এবং অন্য পিশাচের চোখে ভয় দেখবে। হামিদ এইবার যত্ন সহকারে হাতের পেরে*কগুলো খুলে দিলো। একেকটা পে*রেক খোলার সময় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলো পিশাচটি। পে*রেক খোলা শেষ হতেই জামাল হোসেনের হাত র*ক্তে মাখামাখি হয়ে গেলো। হামিদ ভালো করে আবারও সেখানে লবণ মরিচের প্রলেপ লাগালো। কতটা শান্তি লাগছে হামিদ নিজেও হয়তো বর্ণনা করতে অক্ষম। হাতুড়ি টা দিয়ে জামাল হোসেনের হাতের কবজিতে খুব জোরে একটা আঘাত করলো হামিদ। জিহ্বা হীন জামাল হোসেন আবারও চিৎকার করে উঠলো নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে। কণ্ঠনালি অবধি ছিড়ে যাওয়ার যোগান। হামিদ এবার পরপর কয়েকবার দু’হাতে এভাবে আঘাত করে গেলো। করতেই থাকলো। খুব দ্রুত নিজের সর্বশক্তি দিয়ে। মনে হচ্ছে যেনো হামিদ কারো হাতের হাড় নয় লোহার কোনো দেওয়াল ভাঙার প্রচেষ্টায় আছে। হামিদ চারুর দিকে ঈশারা করলো,
– ওই মাইয়াটারে দেখ। ওই মাইয়াটা আমার কলিজা। তার গায়ে একটা আচরও আমি সহ্য করতে পারিনা আর তুই তোর এই জঘন্য হাত দিয়া আমার ফুলের মতো বইনটার জীবন নষ্ট করছোস। তোর এই হাত আইজ আমি কয়েকশো টুকরা করমু।
হামিদ আবারো আঘাত করতে শুধু করলো দুহাতের কবজিতে। এত শান্তি খুব কমই পেয়েছে সে। হামিদ জানে, এইটাই সে হাত যে হাত চারুর জীবন নষ্ট করেছে বারংবার। এইটাই সে হাত যে হাত চারুকে আটকে সবুজ আলীকে ধর্ষ*ণ করার কাজে সাহায্য করেছে। এইটাই সে হাত যে দিনের পর দিন চারুকে কষ্ট দিয়েছে। এইটাই সে হাত যে বস নামক লোকটার কাছে চারুকে পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু নাহ! হামিদ ভুল জানে। এইটা সে হাত নয় যে বসের কাছে চারুকে নিয়ে গেছে বরং এইটা সে হাত যে বসের প্রতি নিজের আনুগত্যের পুরষ্কার স্বরূপ চারুকে গ্রহণ করেছিলো। জামাল হোসেনের অনেক আগেই যে বসের নজর পড়েছিলো চারুর প্রতি।
হামিদ এইবার একটা লোহার রড বের করলো। হাতে একটা কাপড় পেচিয়ে আধা প্রস্তুত সেই বিল্ডিংয়ে লাইটারের সাহায্য আগুন ধরালো। সে আগুনে লাল হয়ে যাওয়ার মতো গরম না হওয়া অবধি গরম করলো রডটাকে। প্রথমেই পিশাচটির পায়ে সেটি লাগালো। শা*স্তির পালা এইবার শুরু হলো সবুজ আলীরও। একইসাথে একইভাবে দুজনকে আঘাত করতে শুরু করলো হামিদ। এরা দুই পিশাচ তো সবসময়ই একইসাথে থাকে তাহলে এদের শাস্তি ভিন্ন হবে কেনো? ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে তাদের সম্পূর্ণ শরীরেই হামিদ রডটিকে লাগিয়ে দিলো। হামিদ যে এতটা নৃশং*স হতে পারে হামিদের নিজেরই সে ধারণা ছিলো না। গল্পের আসল লেখিকা স্নেহা ইসলাম প্রিয়া। হামিদের মাথায় এইবার নতুন এক ভিন্ন পদ্ধতিতে এদের শা*স্তি দেওয়ার কথা মাথায় এলো। ছোটবেলায় একবার উলঙ্গ থাকা অবস্থায় ভুলবশত মরিচের গুড়ো লেগে গিয়েছিলো গোপনাঙ্গে। যেই যন্ত্রণা আজও ভুলে যায়নি হামিদ। পিশাচ দুটো সামনে আছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ লঙ্কা গুড়োও আছে। হামিদ দ্রুত তাদের শরীর থেকে জামাকাপড় খুলে নিলো। চারু এতক্ষণ সমস্ত ঘটনাই প্রত্যক্ষ করছিলো। বেশ শান্তিও পাচ্ছিলো সে। যতটা কষ্ট তারা ওকে দিয়েছিলো তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি কষ্ট হামিদ তাদের শুধে আসলে ফেরত দিচ্ছিলো কিন্তু হঠাৎ করে হামিদের এ আচরণ বুঝতে পারলোনা সে।
– কি করছো তুমি?
– দেখা না কি করি। এমন থেরাপি দিমু, ম*রার আগ পর্যন্ত মনে রাখবো। অবশ্য এরা বাচবোই আর কতক্ষণ?
হামিদ এইবার তাদের গোপ*নাঙ্গে লঙ্কা গুড়ো লাগাতে লাগাতে বললো, ছোটকালে রান্নাঘরে একবার গিয়া আমারও লঙ্কাগুড়া লাগছিলো। বিশ্বাস কর জীবনটা শেষ হইয়া গেছিলো। তহন আমার চাইর বছর। এর পর থেইকা কোনোদিন রান্নাঘরে ঢুকি নাই। একবার ভাব কতটা ব্যথা হইছে যে আমার এহোনো মনে আছে। এমন সিরিয়াস মোমেন্টেও হামিদের কথা শুনে উচ্চস্বরে হেসে উঠলো চারু। তবে লঙ্কাগুড়ো লাগতেই পিশাচ দুটো যন্ত্র*ণায় চিৎকার করছে।
– হাসিস না তো। যার লাগে নাই হে এই যন্ত্রণা বুঝবো না। এই পিশাচ গুলারে জিজ্ঞেস কর কেমন লাগে। অবশ্য এরা তো এহন বোবা হইয়া গেছে।
চারুর চোখমুখ হঠাৎই শক্ত হয়ে উঠলো। সে এগিয়ে গেলো দুটো পিশাচের সামনে। তারা হাত জোর করে চারুর কাছে ক্ষমা চাইলে শুরু করলো। মুখে না বলতে পারলেও তাদের ঈশারা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিলো।
– বাহ! মাফও চাইতে পারিস তোরা? দেখ তো চিনিস নাকি আমাকে? আমি চারুলতা। আমি সেই চারুলতা যে আজ তোদের মৃত্যু নিয়ে তোদের সামনে দাঁড়িয়েছে। আমি সেই চারুলতা যাকে তোরা দুর্বল ভেবে দিনের পর দিন কষ্ট দিয়েছিস। কি ভেবেছিলি আমার কোনো অভিভাবক নেই তাই যা খুশি করা যাবে আমার সাথে? দেখ জানো*যারের বাচ্চা, ভালো করে তাকিয়ে দেখ। আমার অভিভাবক আছে। আর এমন একজন আছে যে হাজার অভিভাবকের দায়িত্ব একা পূরণের ক্ষমতা রাখে। কি কোনো অভিভাবক কি তোদের এইভাবে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখতো? আমি চারুলতা আর আমার ভাই হামিদ! ভালো করে দেখ, চিনতে পারছিস তো নিজের মৃ*ত্যুদুতকে?
ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে আছে দুজন। চোখের সামনে দেখছে নিজেদের মৃ*ত্যুদুতকে। সুন্দরী ভয়ংকরী এই চারুলতাই আজ তাদের মৃ*ত্যুদুত। বারবার প্রাণ ভিক্ষা চাইছে চারুর কাছে কিন্তু চারুর বিন্দুমাত্র মায়া হচ্ছেনা তাদের উপর। আজ এই চারুলতা নিজের তৃপ্তি মিটিয়ে খু*ন করবে এদের। হামিদ এগিয়ে এলো পিশাচ দুটোর দিকে। তারা এখনো চারুর সামনে অনুনয় করতে ব্যস্ত। হামিদ প্রথমে গিয়েই জামাল হোসেনের নক তু*লতে শুরু করলো। জামাল হোসেনের গগনবিদারী চিৎকা*রেও মন গললো না এই দুজন সুন্দর মানুষের। এর জন্যই কি বলে সুন্দর মানুষের হৃদয়ে মায়া কম? নাহ কখনোই না, এরা এই শা*স্তির প্রাপ্য। চারুর এই নক উঠানোর ব্যাপারটা বেশ পছন্দ হলো তাই এইটা সে হামিদকে করতে দিলোনা। নিজেই যত্ন করে হাতের একেকটা নক তুলতে শুরু করলো। তারপর আবার পা। অনেক বেশি কষ্ট দিয়ে। কোনো নক তোলার সময় যদি মনে হয় চিৎকার কম হয়েছে তখন সেখানে লঙ্কা গুড়ো দিয়ে বাকি চিৎকারও আনন্দের সহিত শুনে নেয় চারু। জামাল হোসেন চারুর পায়ে ধরলো। এইটা দুটো কারণে হতে পারে। প্রথমটা ছেড়ে দিতে বলছে আর দ্বিতীয়টা নিজের মৃত্যু কামনা করছে সে। চারু লাথি মেরে পিশাচ টির অপবিত্র হাত সরিয়ে দিলো নিজের পা থেকে।
নক উঠানোর পরেই হামিদ একটা ছু*ড়ি তুলে নিলো হাতে। জীবন্ত অবস্থায় হামিদ জামাল হোসেনের পায়ের চামড়া খুলতে শুরু করলো যেভাবে জ*বাই করা গরুর চামড়া খোলা হয়।
– ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং। আমিও করবো।
– না তুই পারবিনা। আমারে করতে দে। দুই নাহয় লবণ লাগানোর কামটা কর।
মনোরমা ছোটবেলায় রেগে গেলেই দুজনকে বলতো, “আইজ আমি তোদের পিঠের চামড়া তুইলা লবণ লাগামু” কিন্তু আসল ব্যাপারটা যে এতটা মজাদার হতে পারে তা কল্পনাও করেনি ওরা দুজন। দুইপায়ের সম্পূর্ণ চামড়া তোলা শেষ হতেই চারু বলে উঠলো,
– এখন থেমে যাও। কিছুক্ষণের মাঝেই ফজরের আজান পড়বে। এর আগেই আমাদের এখান থেকে যেতে হবে।
হামিদ থেমে গেলো। চারু ঠিকই বলেছে। গ্রামে ফজরের আজানের পরপরই মানুষজন উঠে পড়ে। হামিদ ছু*ড়িটা চারুর হাতে তুলে দিলো। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী চারু তাছাড়া তাদের মা*রার আগে আউটবুক থেকে আরো কিছু তথ্য সে সংগ্রহ করেছে। কিভাবে কাটলে এদের মরার সম্ভাবনা কম সেটা চারু জানে। সে অনুযায়ী দুটো কো*প বসিয়ে দিলো চারু। যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠলো দুজনে। চারুর শান্তি হলো না। সে আবারও ছু*ড়ি চালিয়ে দিলো। বের করে আনলো জামাল হোসেনের কলি*জা। কলিজা বের করে আনতেই মৃ*ত্যুর কোলে ঢলে পড়লো জামাল হোসেন। একইভাবে সবুজ আলীর কলিজাও বের করে আনলো। দুটো কলিজা এখন চারুর দুহাতে। তাও কেনো যেনো চারুর তৃপ্তি হচ্ছেনা। চারু বারবার ছু*ড়ির আঘাত করতে শুরু করলো দুজনকে। এলোপাথাড়ি দুজনকেই আঘাত করছে। মনের আশ মিটিয়ে আঘাত করছে। যদিও কিছুটা জীবন বায়ু বেঁচে থাকে তাও এত আঘাতে বেড়িয়ে গেছে। কিন্তু আঘাতে সম্পূর্ণ শরীর ক্ষতবি*ক্ষত করে দেওয়ার পরেও চারুর তৃপ্তি হলো না। চারু কলিজা দুটোর দিকে তাকালো। অদ্ভুত এক নেশা গ্রাস করলো তাকে। সে জামাল হোসেনের কলিজায় একটা কামড় বসিয়ে দিলো। হামিদ স্তব্ধ হয়ে গেলো। এমন কিছুর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলোনা সে। এতটাই অবাক হলো যে চারুকে আটকানোর চিন্তা মাথায়ও এলো না। হামিদের হঠাৎই অনুভব হলো তার বমি আসছে। চারু সম্পূর্ণ দুটো কলিজা খেয়ে হামিদের দিকে তাকিয়ে একটা তৃপ্তির হাসি দিলো। গল্পের আসল লেখিকা স্নেহা ইসলাম প্রিয়া। হামিদ আর নিজেকে সামলাতে পারলো না। কিছুটা দুরেই গিয়েই বমি করতে শুরু করলো সে। চারু পানির বোতল এগিয়ে দিলো তার দিকে। হামিদ ভয়ে ভয়ে নিলো সেটা। চারু হামিদের কাধে হাত রেখে জিজ্ঞেস করলো,
– ঠিক আছো তুমি?
হামিদ একটা শুকনো ঢোক গিলে নিজের কাধ থেকে চারুর হাত সরিয়ে দিলো।
– কি হলো?
– তু তুই ওইটা কি করলি? ক্যামনে কলিজা দুইটা খাইলি?
– কেনো? ডায়নি মনে হচ্ছে নাকি আমাকে? আমার এই কলিজা খাওয়া নিয়ে দুনিয়ার সবাই হয়তো আমাকে ডায়নি ভাববে। ভাবুক, কিচ্ছু যায় আসেনা আমার। কিন্তু তুমি ভেবো না। আমি চারু। দেখো আমার দিকে, আমি সত্যিই চারু।
চারুলতা জড়িয়ে ধরলো হামিদকে। চারুর জড়িয়ে ধরায় হামিদের বুকের মধ্যে আলাদা একটা প্রশান্তি কাজ করলো। নাহ! এ কোনো ডায়নি নয়। হতে পারেনা। এইটা চারু। ছোটবেলায় মায়ের কোলে দেখা ছোট্ট পবিত্র সেই চারু।

★★★

চারুর খু*নের বর্ণনা শুনে হিমেলের মুখে দেখা গেলো তৃপ্তির হাসি। সীমার মুখটা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করলেও সেও যে আনন্দিত সেটা তার চেহারাই স্পষ্ট বলে দিচ্ছে। আসলেই এদের সাথে এমনটাই হওয়া উচিত ছিলো। তবে কঠোর মুখে বসে আছে সাজিদ। চারুর কথা শেষ হতেই সে প্রশ্নবাণ নিক্ষেপ করলো চারুর
প্রতি,
– পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখেছি আমি। কই খু*ন তো এমনভাবে হয়নি।
– রিপোর্ট বদলে দিয়েছিলাম।
– অসম্ভব।
– হ্যাঁ ডাক্তারের কাছে থাকা অবস্থায় অসম্ভব কিন্তু থানায় কিছু টাকার বিনিময়ে রিপোর্ট বদলে গিয়েছিলো। গ্রামের পুলিশ স্টেশন বলে কথা।
– রিপোর্ট বদলেছিলেন কেনো?
– যেনো ধরা না পড়ে যাই।
– তাহলে আত্মসমর্পণ করলেন কেনো?
চারু উত্তর দেয়না। সাজিদ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো, বাংলাদেশের আইন ব্যাবস্থা সত্যিই শুধুমাত্র টাকার উপর নির্ভরশীল।

বিঃদ্রঃ গল্পটা ছোট হয়ে গেলো কি? ছোটই পড়েন। বড় করে দিলে ভায়োলেন্সে পড়ে যেতে পারি। তখন ছোট বড় কোনোটাই পড়তে পারবেন না। চিন্তায় আছি খুব। কে জানে কখন ভায়োলেন্সে পড়ে যাই। গল্পের শেষ পর্যায়ে আছি কিন্তু। সবাইকে দেখতে চাই।

#স্নেহা_ইসলাম_প্রিয়া

(কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ)

To Be Continued….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here