উত্তরণ পর্ব-৩২

0
644

#উত্তরণ
পর্ব_৩২

হিয়া আর আরোহী দুজনেই চমকে পেছন ফেরে, দরজার কাছে উজান দাঁড়িয়ে, দুই হাত পকেটে. আরোহী উজানকে দেখা মাত্র তার সিনিয়র কে স্যালুট করে, উজান যথোচিত উত্তর দেয়. তারপর আরোহী বলে۔۔

আরোহী: Sorry Sir…

উজান: You may leave Officer..

আরোহী: Yes Sir…

আরোহী হিয়াকে চোখের ভাষায় বিদায় জানিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়.

হিয়া: আপনি এখন এখানে ?

উজান: এটা আপনার বাড়ি না মিস মিত্র যে এখানে আসার আগে আমাকে আপনার পার্মিসন নিতে হবে.

হিয়া: 🙄 কিছু বলবেন?

উজান: না, তেমন কিছু না. দেখতে এলাম সব ঠিক আছে কিনা۔۔۔ (একটু থেমে) খেয়েছেন?

হিয়া বেজার মুখে: হুম۔۔😞

উজান: এখানে আপনাকে আপাতত কিছুদিন থাকতে হবে.

হিয়া: 😕 কতদিন?

উজান: সেটা বলতে পারছিনা. সময় হলেই আপনি বাড়ি যেতে পারবেন. আপনাকে শুধু শুধু আটকে রাখার কোনো ইচ্ছে আমাদের নেই.

হিয়া: OK. But what about my office?

উজান: সেসব নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবেনা, অফিসে আপনার লিভ অপ্রুভ হয়ে গেছে.

হিয়া: 😒 ভুলে গিয়েছিলাম যে সর্বত্র আপনাদের লোক আছে.

উজান: What??

হিয়া: Nothing..

উজান: এই কি হয়েছে বলুন তো? তখন থেকে দেখছি অদ্ভুত অদ্ভুত এক্সপ্রেশন দিয়ে যাচ্ছেন۔۔

হিয়া: আরোহী কে ওভাবে না বললেই পারতেন.

উজান: মানে? আমি আমার অফিসারদের সাথে কিভাবে কথা বলবো সেটা এখন আপনি ঠিক করে দেবেন?

হিয়া: দেখুন এখানে এসে আরোহীকেই তো পেলাম একটু কথা বলার জন্য, তাকেও আপনি বকে ঝোকে তাড়িয়ে দিলেন.

উজান: ও۔۔۔۔۔আরোহীর সাথে আপনার গল্প করা হলোনা বলে বলছেন? গল্প একটু জমিয়ে রাখুন মিস মিত্র, কারণ আপনাকে অনেক দিন থাকতে হতে পারে. শেষে একই গল্প করতে বিরক্ত লাগবে.

হিয়া: সেসব নিয়ে আপনার না ভাবলেও চলবে. আমার কাছে গল্প করার আনলিমিটেড টপিক আছে. By the way আপনি কি আর কিছু বলবেন? আমার ভীষণ ঘুম পাচ্ছে۔۔۔ (হিয়া বিরক্ত হয়ে মুখ ঘুরিয়ে নেয়)

উজান: এখনো ঘুম পাচ্ছে? আর কত ঘুমোবেন আপনি?

হিয়া সোজা উজানের সামনে এসে দাঁড়ায়. চোখে চোখ রেখে বলে۔۔

হিয়া: সেটা ক্লোরোফর্মের ডোজ ঠিক করার আগে ভাবতে হতো.

উজান: Really? এক্ষুনি দুঃখ করছিলেন আরোহীর সাথে গল্প হলোনা বলে আর এখন বলছেন ঘুম পাচ্ছে? আমি আসাই বিরক্ত হয়েছেন বললেই পারেন, চলে যাচ্ছি۔۔

উজানের অভিমান স্পটত ওর গলার স্বরে ফুটে ওঠে, উজান চলে যাবার উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়. হিয়া প্রমাদ গোনে۔۔

হিয়া: শুনুন না۔۔۔

উজান: দরকার নেই۔۔

হিয়া: আপনার দরকারের কথা কে বলেছে? আমি তো আমার দরকারে ডাকছি.

উজান কোনো উত্তর না দিয়ে দরজার দিকে এগোয়. হিয়া দৌড়ে উজানের সামনে এসে ওর রাস্তা আগলে দাঁড়ায়.

হিয়া: আপনি এতো একগুঁয়ে কেন বলুনতো?

উজান একবার রাগত দৃষ্টিতে হিয়ার দিকে তাকায়, তারপর কোনো কথা না বলে আবার হিয়া পাস কাটিয়ে যেতে উদ্যত হলে হিয়া দুঃখী দুঃখী মুখ করে বলে۔۔۔

হিয়া: How rude you are…

এবার উজান ভীষণ রেগে দাঁড়িয়ে যায়.

উজান: আজ পর্যন্ত তো আমার সম্পর্কে একটাও ভালো কথা শুনলাম না আমি আপনার মুখে. পৃথিবীর যত খারাপ বিশেষণ সব আমার জন্য তুলে রেখেছেন.

হিয়া: আচ্ছা আপনি বলুন একটাও ভুল? আপনি বদমেজাজি, বদরাগী, খিটখিটে, একগুঁয়ে, রুড নন?

উজান: আরেক টা বাদ গেলো۔۔۔۔বদ্ধ উন্মাদ۔۔

হিয়া জিভ কেটে মাথা চুলকােয়۔۔

উজান: যাকে নিয়ে এতো প্রবলেম তার তো থাকাই উচিৎ না, তাই না? এই মিশন টা শেষ হলে এমনিই আমি চলে যাবো, চিন্তা করবেন না.

উজান দৃঢ়তার সাথে কথাগুলো বললেও প্রতিটা শব্দের সাথে অভিমানের উপস্থিতি স্পষ্ট…

দেখা যাক এই খুনশুঁটি মান-অভিমান কিভাবে–নতুন সম্পর্কের পরিণতি পায়–!

(পাঠকগণ অবশ্যই কমেন্ট করবেন😊😊–আর কপিবাজ মহান মানুষজন আপানাদের সাদর আমন্ত্রণ রইলো কপি করার জন্য–🥴🥴)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here