উড়ো পাতার ঢেউ পর্ব: ২৫

0
569

#উড়ো_পাতার_ঢেউ
#লেখা: ইফরাত মিলি
#পর্ব: ২৫
_________________

রুমের ভিতরের দৃশ্যটা দেখে জুহি আর স্থির রাখতে পারলো না নিজেকে। দরজাটা হাট করে খুলে ভিতরে প্রবেশ করে বললো,
“চলো টিজা, বাসায় যাই।”

ক্যানিয়ল, ইরতিজা দুজনে তাকালো জুহির দিকে। ক্যানিয়ল এখনও ইরতিজার মাথাটা নিজের নিকটে ধরে রেখেছে। ইরতিজা সরে যেতে চাইলে ক্যানিয়ল সরতে দিলো না। সে জুহির দিকে তাকিয়ে বললো,
“তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে আমাদের দেখছিলে প্লে-গার্ল?”

‘প্লে-গার্ল’ কথাটা শুনে জুহির গায়ে আগুন জ্বলে গেল।
“আমি লুকানো ছিলাম না, বুঝেছো? ছাড়ো টিজাকে।”

জুহি কাছে এসে ইরতিজাকে টেনে আনলো ক্যানিয়লের কাছ থেকে। ক্যানিয়লকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ইরতিজাকে নিয়ে বেরিয়ে এলো।

“তোমাদের দুজনের ভিতর অবশ্যই কিছু চলছে টিজা, অবশ্যই কিছু চলছে! তুমি এটা সম্পর্কে আমাকে কিছু না বলে কীভাবে পারলে?”

ইরতিজা চমকালো জুহির কথায়।

“তোমাদের দুজনের মাঝে রিলেশনশিপ চলছে। ইয়েস চলছে। আমি খুবই খারাপ বোধ করছি যে তুমি আমাকে কিছু জানাওনি!”

“তুমি…”

“নো, আমি কিছু শুনতে চাইছি না।”
জুহি কেমন কাঁদো কাঁদো ভাব ধরে ইরতিজাকে রেখে আগে আগে পা চালিয়ে চলে গেল। যে মানুষটাকে তার ভালো লাগতো, যে মানুষটার আকর্ষণ পাওয়ার চেষ্টা করতো, সেই মানুষটা তাকে একটুও পাত্তা দিতো না! অথচ এখন সে অন্য একটা মেয়ের সাথে মেলামেশা করছে এমনভাবে। ব্যাপারটা মেনে নিতে জুহির যেন একটু কষ্টই হচ্ছে।

জুহি আর ইরতিজা বাসায় ফিরলো আলাদা আলাদাভাবে। জুহি ইরতিজাকে রেখে চলে এসেছে। ইরতিজা আসলো এইমাত্র। লিভিংরুমে প্রবেশ করে চোখ পড়লো সর্বপ্রথম সোফার উপর। নওরিন শুয়ে আছে সোফায়। চোখ বন্ধ। কপালের উপর এক হাত ফেলে রেখেছে। কিচেন থেকে ভেসে আসা ক্ষীণ আওয়াজে ইরতিজা সচকিত হয়ে কিচেনের দরজায় তাকালো। মস্তিষ্কে ক্ষণিকের জন্য ঘটে গেল ছোটো একটা বিস্ফোরণ। ক্রন্দনের শব্দ!
ইরতিজা এগিয়ে গেল কিচেনের দিকে। মা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। ইরতিজার বুঝতে বাকি রইল না নওরিনের সাথেই মনোমালিন্য হয়েছে মায়ের। সে জিজ্ঞেস করলো,
“কাঁদছো কেন মা? কী হয়েছে?”

শারমিন মেয়ের দিকে তাকালেন। তার চোখে জল। কঠিন গলায় বললেন,
“কোনো প্রশ্ন না করে নিজের রুমে যাও ইরতিজা।”

ইরতিজার হৃদপাহাড় ধ্বসে পড়লো এক অংশ দিয়ে। মা অন্য সবকিছুর সাথে কোমল থাকলেও তার সাথে কখনোই কোমল ছিল না। মায়ের অহেতুক ঘৃণার কারণ হয়ে নিজের প্রতি নিজের বিস্বাদ অনুভব হয় মাঝে মধ্যেই। সে কিছু না বলে বেরিয়ে এলো।
আজাদ চৌধুরী এ সময় বাসায় নেই। তিনি হাঁটতে বের হয়েছেন প্রতিবেশি বন্ধুর সাথে।
ইরতিজা নওরিনের কাছে এসে বললো,
“কী বলেছো তুমি মাকে? মা কাঁদছে কেন? এমন কেন করো তুমি? সব সময় মায়ের সাথে ভালো আচরণ করা যায় না?”

নওরিন কপাল থেকে হাত সরিয়ে চোখ খুলে শক্ত চেহারায় বললো,
“তুমি জাস্ট চুপ করো! কার সাথে কীভাবে কথা বলছো তুমি? আমার বোন সাজার একদম চেষ্টা করো না। তুমি কখনও আমার বোন ছিলে না, আর বোন হয়ে উঠতেও পারবে না!”

কথাটা ইরতিজার চোখে অশ্রু এনে দিলো। সে নওরিনকে বলে উঠলো,
“তুমি খুব খারাপ! যখন ভালো থাকো তখন খুব ভালোই মনে হয় তোমায়। আর যখন খারাপ থাকো তখন এতটা বাজে হয়ে যাও যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না আমি। এমন ধরনের মানুষ ভংয়কর হয়! তুমিও ভংয়কর ব্যতীত কিছু নও।”
কথাগুলো বলে ক্ষণিকের বিরতি নিলো ইরতিজা। তারপর বললো,
“হ্যাঁ, আমি তোমার বোন নই! বোন হয়ে ওঠার প্রয়োজনও নেই। আমি আমার বাবার মেয়ে। আর এই পরিচয়টুকুই আমার সুখী থাকার জন্য যথেষ্ট।”

ইরতিজা নিজের রুমে চলে এলো। দরজা বন্ধ করে দিতেই টপটপ করে কয়েক ফোঁটা অশ্রু গড়ালো চোখ থেকে।

__________________

ক্যানিয়ল পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি এখনও, তবে হসপিটাল থেকে রিলিজ পেয়েছে। হসপিটাল থাকাকালীন সময়টাতে ইরতিজা আরও তিনবার দেখতে গিয়েছিল ক্যানিয়লকে। একবার একা গিয়েছে, একবার রিশনের সাথে গিয়েছে, আর একবার গিয়েছে জুহির সাথে। ক্যানিয়লের সাথে কিছুটা বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এরই মধ্যে। আগে ক্যানিয়লকে যেমন অসহ্য ধরনের লাগতো, এখন আর তেমন লাগে না। তবে ক্যানিয়ল কিন্তু সেই আগের মতোই আছে।
যেদিন ক্যানিয়ল আহত হলো সেদিন সাজিদের থেকে একটা পার্সেল এসেছিল। সেদিন আর সেই পার্সেল খুলে দেখা হয়নি। পরের দিন খুলে দেখেছে। ভিতরে ছিল একটা সবুজ শাড়ি, শাড়ির সাথে মিলিয়ে চুড়ি, আর ছিল ছোটো একটা চিরকুট। চিরকুটে লেখা ছিল–
‘খারাপ মেয়ে,
এই শাড়ি পরে সুন্দর করে সেজে ছবি তুলে পাঠাবেন আমার কাছে। নয়তো শাড়ি পরা খারাপ মেয়েটাকে দেখতে আমি মেয়েটার বাড়ি গিয়ে উপস্থিত হবো স্বয়ং।’

চিরকুটটা পড়ে হেসেছিল ইরতিজা। কী কথাবার্তা সাজিদের! ওইদিন আর ‘খারাপ মেয়ে’ কথাটাও খারাপ লাগেনি তার। শাড়ি সে সেদিন পরেনি। আর ছবিও পাঠানো হয়নি। আজ সকালে শাড়িটা পরলো। তবে শাড়ি পরায় সে কাঁচা। ইউটিউব দেখে দেখে খুব সময় নিয়ে শাড়িটা পরিধান করেছে। এখন যাবে এন্ডারসন হাউজে। গতরাতে হঠাৎ আননোন নাম্বার থেকে কল এসেছিল। আলাপের শুরুর দিকে ইরতিজা যখন রং নাম্বার বলে কল কাটতে যাবে তখন ওপাশের মানুষটা বলে ওঠে,
“হেই নীচু মন মানসিকতার মেয়ে, কোনো ভুল নয়, আমি তোমাকেই কল করেছি। তুমি পাকিস্টানি গার্ল। আমি ভালো করেই চিনি তোমায়, ভালো করেই জানি তোমায়। আমি সহজে ভুল করার পাত্র নই।”

ওপাশের মানুষটা ক্যানিয়ল এটা বুঝতে পেরে অবাক হলো ইরতিজা।
“তুমি আমার ফোন নাম্বার পেয়েছো কোথায়? সামুরার কাছ থেকে নিয়েছো?”

“সেটা কি তোমার জানা জরুরি? লিসন, আগামীকাল সকালে ব্রেকফাস্ট রেডি করে এন্ডারসন হাউজে নিয়ে আসবে। আমি ওয়েট করে থাকবো ব্রেকফাস্টের জন্য।”

“আমি কেন নিয়ে যাব? আমাকে কি তোমার মাইনে দিয়ে রাখা সার্ভেন্ট মনে হয়?”

“মনে হয় কি না জানি না। তবে তোমাকে নিয়ে আসতে হবে, নয়তো…”

“নয়তো?”

বাঁকা হাসলো ক্যানিয়ল,
“নয়তো ব্রেকফাস্ট করতে আমি তোমার বাড়িতে চলে যাব।”

কথাটা শুনে গায়ের লোম সব দাঁড়িয়ে গিয়েছিল ইরতিজার। মজা নয়, ক্যানিয়ল যেমন মানুষ তাতে ওকে ঠিক বিশ্বাস করা যায় না। দেখা গেল চলে আসতেও পারে। তাই অবাধ্য হলো না ইরতিজা। সকাল সকাল উঠে সে রান্না করলো বিরিয়ানি। জানে বিরিয়ানি খেতে সমস্যা হবে ক্যানিয়লের। দুই-তিন চামচ খেতে পারবে কি না সেটাই সন্দেহ। কিন্তু সে ইচ্ছাকৃতভাবেই এটা রান্না করেছে।

ইরতিজা একটা ব্যাপার খেয়াল করেছে। সাজিদ, ক্যানিয়ল দুজনই বাড়ি আসার হুমকি দিয়েছে। দুজনের সাথে আজবভাবে মিলে গিয়েছে এই ব্যাপারটা। এটা যেন এক ধরনের ব্ল্যাকমেইল। ইরতিজা একদমই চায় না দুজনের একজনও তার বাড়ি আসুক। তাই শাড়ি পরা ছবি তুলে একটা ছবি পাঠিয়েছে সাজিদকে। কিন্তু সাজিদ ছবিগুলো এখনও দেখেনি, আর কিছু প্রশংসার লাইনও ইনবক্সে আসেনি। ইরতিজা অপেক্ষা করে ছিল সাজিদ কী লিখে পাঠাবে সেটা দেখার জন্য। কিন্তু…
লোকটা কি এখনও ঘুম থেকে ওঠেনি?
সাজিদের ঘুম সম্পর্কে জানে না, তবে জুহির ঘুম দেখে সে প্রচণ্ড বিরক্ত হয়েই বের হলো বাসা থেকে। চেয়েছিল জুহিকে সঙ্গে নিয়ে যাবে। কিন্তু মেয়েটা ঘুমেই কাতর। টানা দশ মিনিট ধরে ডাকাডাকি করেও তুলতে পারেনি ঘুম থেকে। একটু নড়েচড়ে উঠে আবার নিশ্চুপ হয়ে যায়। অগত্যা তার একারই বের হতে হলো। শাড়ি পরে হাতে খাবারের বক্স নিয়ে বের হতে দেখে বাবা-মা উভয়ই এবং নওরিনও প্রশ্ন করলো সে কোথায় যাচ্ছে। ইরতিজা সবাইকে একই উত্তর দিলো,
“ফ্রেন্ডরা মিলে ছোটো গেটটুগেদারের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে যাচ্ছি।”

কথাটা শুনে সবাই-ই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“এটা আবার কেমন গেট টুগেদার যেখানে খাবার নিয়ে যাচ্ছ?”

“এটা এমনই গেট টুগেদার। যেখানে প্রত্যেকে নিজের ব্রেকফাস্ট নিজে নিয়ে আসবে।”

পরাপর তিন জনকেই এক কথা বলে বুঝিয়ে চলে এসেছে।
এন্ডারসন হাউজে এসে ক্যানিয়লের দেখা পাওয়া গেল না। মি. হেনরি আছে। ইরতিজা মি. হেনরিকে জিজ্ঞেস করলো,
“ক্যানিয়ল নেই? ও তো আমাকে আসতে বলেছিল।”

“আছে, ফরেস্টে।”

ইরতিজা ভ্রু কুঞ্চন করে অবাক চিত্তে বললো,
“ফরেস্ট?”

মি. হেনরি ইরতিজাকে ফরেস্টের পথ দেখিয়ে দিলো। এন্ডারসন হাউজের পিছন দিয়ে বেশ কিছুটা হেঁটে আসার পর একটা ফরেস্ট এরিয়া আছে। ক্যানিয়ল কেমন ধরনের মানুষ সেটাই ভাবছে ইরতিজা। ব্রেকফাস্ট নিয়ে আসতে বলে সে জঙ্গলের ভিতর ঢুকে বসে আছে।
ইরতিজা পা রাখলো ফরেস্ট এরিয়ায়। গাছপালা থাকায় এদিকটা ছায়াছন্ন ঢাকা। কুয়াশা নেই। কুয়াশা থাকলে কখনও ফরেস্ট এরিয়ায় পা রাখতো না সে।
পাখির কলকাকলিতে পরিবেশ মুখরিত। বুনোফুলগুলো খিলখিলিয়ে হাসছে যেন। ইরতিজা আশপাশ দেখতে দেখতে এগিয়ে চলছে। আরেকটু এগিয়ে যেতেই ক্যানিয়লকে চোখে পড়লো। মাদুর বিছিয়ে একটা ওক গাছের নিচে বসে আছে। ওর পাশেই একটা ঝুড়ি রাখা। ঝুড়িতে ফল। হাত বাড়িয়ে আঙুর উঠিয়ে মুখে পুরে নিতে দেখা গেল।
ইরতিজা দূরে থাকাকালীনই ক্যানিয়লকে বললো,
“মানুষকে ব্রেকফাস্ট নিয়ে আসতে বলে তুমি জঙ্গলে এসে বসে রয়েছো কেন? ধ্যান করছো না কি এখানে নিরিবিলিতে?”

“হুম, তবে তুমি এসে ধ্যানে ব্যাঘাত ঘটিয়েছো। শাস্তি স্বরূপ…” ক্যানিয়ল পিছন ঘুরে ইরতিজার দিকে ফল কাটার ছুরিটা তাক করে বললো,
“এটা দিয়ে কে/টে ফেলবো তোমাকে।”

ইরতিজা ভয় পেল না। আগে ক্যানিয়লকে ভয় লাগলেও এখন লাগে না। সে এগিয়ে এলো। ক্যানিয়লের হাত থেকে ছুরিটা নিয়ে বললো,
“তুমিও সাবধানে থাকবে, কারণ তোমাকেও যেকোনো সময় মে’রে বসতে পারি।”

ক্যানিয়ল ঠোঁটের বাম কোণ টেনে অদ্ভুতভাবে হাসলো। ইরতিজা বসলো মাদুরের উপর। খাবারের বক্সটাও রাখলো। মি. হেনরি তাকে বলেছে ক্যানিয়ল এখানে বসে খাওয়ার প্ল্যান করেছে। তাই আগে ভাগেই রেডি-সেডি হয়ে বসে ছিল ক্যানিয়ল। তবে ইরতিজা বিরক্ত। বাড়ি থাকতে এই জঙ্গলের ভিতর বসে খেতে হবে কেন?
ক্যানিয়ল হঠাৎ ইরতিজার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো,
“তুমি একটু-আধটু আমার সাথে থাকতে থাকতে বুদ্ধিমতি হয়ে যাচ্ছ ইজা।”
ক্যানিয়লের ঠোঁটে হাসি লেগে রয়েছে। হাসিটা এখন আর অদ্ভুত নেই, সরল।

ক্যানিয়ল এতক্ষণ ইরতিজাকে ভালো করে খেয়াল করেনি। শুধু মাথায় একটা সুন্দর হিজাব পরিধান করে আছে এটাই খেয়াল করেছিল। আজকে হিজাব পরিধানের স্টাইলটা সাধারণ হিজাব পরার থেকে ভিন্ন। ক্যানিয়ল ইরতিজার ড্রেসের দিকে লক্ষ করে চমকালো,
“এটা কী? তুমি এ কেমন অদ্ভুত পোশাক পরেছো ইজা?”

ইরতিজা মনে মনে আহত হলো। সে এত শখ করে পরলো আর ক্যানিয়ল এরকম করে বলছে কেন?

“ভালো লাগছে না দেখতে?”

ক্যানিয়ল নাক ছিটকানোভাবে বললো,
“অদ্ভুত লাগছে তোমায়। এখনই খুলে ফেলো এই পোশাক।”

ইরতিজার ভিতরটা ছ‍্যাঁত করে উঠলো। চোখ কপালে তার। এখনই খুলে ফেলো মানে? সে গমগম কণ্ঠে বললো,
“কী বলছো তুমি?”

“আমিও কি অদ্ভুত কিছু বলেছি?”
ক্যানিয়ল খেয়াল করলো ইরতিজার গায়ে শীত পোশাক নেই।

“তোমার শীত লাগছে না?”

ইরতিজা গায়ের কোট এন্ডারসন হাউজে রেখে এসেছে। শাড়ির সাথে কোট পরলে শাড়ির আসল সৌন্দর্যটা ক্ষুণ্ণ হবে বলে মনে হলো তার। তাই রেখে এসেছে। কিছুটা শীত শীত লাগছে, কিন্তু বললো,
“না, লাগছে না।”

“লাগলে বললেও লাভ হতো না। ভেবো না যে শীত লাগছে বললে আমি নিজের জ্যাকেট খুলে দিতাম তোমায়।”

ইরতিজা কিছু বলতে চাইলে তার আগেই ফোন বেজে উঠলো ক্যানিয়লের। ক্যানিয়ল হাত উঁচিয়ে থামিয়ে দিলো ওকে। মি. হেনরির কল। রিসিভ করে বললো,
“কল দিচ্ছ কেন?”

“মিস বেলা লিমাস এসেছেন হাউজে। আর তিনি তোমার বেডরুমের দিকেই গেলেন।”

ক্যানিয়লের শান্ত চোখ দুটোয় বিস্ফোরণ ঘটলো।
“হোয়াট?”

(চলবে)

গ্রুপ লিংক―
https://facebook.com/groups/3087162301558677/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here