একগুচ্ছ_ভালোবাসা লেখনীতে : আনিশা সাবিহা (ছদ্মবেশী) পর্ব : ১৭

#একগুচ্ছ_ভালোবাসা
লেখনীতে : আনিশা সাবিহা (ছদ্মবেশী)
পর্ব : ১৭
হাঁটতে নিয়ে পায়ে ব্যাথা পেলাম। থেমে গিয়ে পা উঁচিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম। ব্যাথা একটু কমেছে। পুরোটা কমেনি। ডান পায়ে কম জোর দিয়ে হাঁটার চেষ্টা করলাম। আস্তে আস্তে সিঁড়ি দিয়ে নামতেই আমার ঘুমন্ত চোখে এসে ধরা দিল অনুরাগ, বর্ণদা আর সুনয়না। অনুরাগের মুখটা রাগে লাল হয়ে গেছেন। বর্ণদাও বেশ বিরক্তিকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সুনয়নার দিকে। তার কপালের ভাঁজ দেখ এটা নিশ্চিত সে হালকা রেগে আছে। ব্যাপারটা কি? সকাল সকাল এমন কি হলো?
নিচে নামতেই আমাকে দেখে কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে গেলেন অনুরাগ। আমি আশেপাশে তাকালাম। আমরা চারজন ছাড়া এখানে কেউ নেই। অদ্ভুত! সবাই কি এখনো ঘুমিয়ে আছে? বর্ণদা হুট করে কাতর কন্ঠে বলে উঠল,,,,
–“কিরে নুড়ি! কাটা পা নিয়ে নিচে আসার কি কোনো দরকার ছিল? নিচে এলি কেন?”
আমি অনুরাগের দিকে তাকালাম। ঘুম ঘুম গলায় বললাম,,,,
–“বাড়িতে একজন মানুষ আছে জানো না? তার গলা উপর পর্যন্ত কেন? ফার্মহাউজের আশেপাশে সব বাড়িতে যাবে। আচ্ছা? কি হয়েছে আমায় একটু কেউ বলবে? এতো চেঁচামেচি কেন?”
কথাটা বলে বড়সড় ঘুমের হাই তুললাম আমি। অনুরাগ আমার সামনে এসে দাঁড়াতেই মুখ বন্ধ হয়ে গেল আমার। মুখ বন্ধ করে স্ট্রেট দাঁড়ালাম। উনি তেতে বলে উঠলেন….
–“সুনয়না তোমার আর বর্ণের সাথে বাজে আচরণ করেছে সেটা বলোনি কেন আমায়?”
আমি হতবাক হয়ে চেয়ে থাকলাম। উনাকে কি বলল এই কথাটা? বর্ণদা? বর্ণদার দিকে এক পলক তাকালাম। তারপর উৎসুক হয়ে বললাম,,,
–“কে বলল আপনাকে এটা?”
–“কে বলতে পারে তোমার মনে হয়?”
আমি আবারও বর্ণদার দিকে তাকালাম। হেঁটে এগিয়ে গিয়ে তার সামনে গিয়ে কোমড়ে হাত দিয়ে বললাম,,,
–“বর্ণদা তুমি বলেছো?”
বর্ণদা একেবারে সোজাসাপটা ভাষায় কোনোরকম ভঙ্গিমা না করে বলল,,,
–“হ্যাঁ নুড়ি। আমিই বলেছি। আসলে কি বলতো? সুনয়নার মতো কিছু মেয়ে থাকে যাদের লজ্জাশরম বলে অনুভূতিটা কমই থাকে। থাকলেও একটা সময় পর তারা জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়। ওর নোংরা কথাগুলো সেদিন আমার মাথায় বড় সড় রাগ তুলে দিয়েছিল। ভেবেছিলাম ওকে কিছু বলব। কিন্তু ও তো অনুরাগ ভাইয়ের মেহমান। ওর আগের স্ত্রীর বোন। তাই ভাবলাম কথাটা বলা উচিত অনুরাগ ভাইকে। উনিই যা ব্যবস্থা নেবার নেবেন।”
বর্ণদার কথা শেষ হতেই অনুরাগ বলতে শুরু করলেন,,,
–“অনুশ্রী, কথাগুলো তোমার আগে বলা উচিত ছিল। কেন বলোনি? বর্ণ কথাটা না বললে জানতেই পারতাম না সুনয়নার ব্যবহার বাজে হয়ে যাচ্ছে।”

আমি ভাবলেশহীন হয়ে অনুরাগের উদ্দেশ্যে বললাম,,,
–“জেনে কি এমন করেছেন? চেঁচামেচি ছাড়া? কিছুই তো করতে পারেন নি। আর আমার কথা শোনার সময় আপনার নেই। অবশ্য আপনার কেন ছোট থেকেই আমার কথা শোনার সময় কারোর নেই। তাই বলিনি।” (বর্ণদার দিকে তাকিয়ে)
এতক্ষণ চুপচাপ ছিল সুনয়না। আমার কথা শেষ হতে না হতেই ও আমার দিকে এগিয়ে এসে নিজের চোখজোড়া দিয়ে অগ্নি দৃষ্টি ছুঁড়ে কঠোর গলায় বলে উঠল,,,
–“আচ্ছা অনুরাগদা? ওরা আমার সামনে প্রেম করে বেড়াবে। যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াবে। অথচ আমি কিছু বললেই দোষ হয়ে যাচ্ছে? এ তোমার কেমন বিচার?”
বর্ণদা এবার ভীষণ রেগে গেলো। সুনয়নার নোংরা কথাবার্তা শুনে চোখমুখ ঘৃনায় জড়িয়ে নিলাম। এই মেয়ে তো যা হয় তাই বলে চলেছে। বর্ণদার শ্যামারঙা মুখে স্পষ্ট রাগের ছাপ মুখে উঠেছে। দ্রুত কিছু একটা বলার আগেই অনুরাগ তাকে হাত দিয়ে ইশারা করে থামিয়ে দিলেন। আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। কারণ বর্ণদা সহজে হুটহাট করে রেগে যায় না তবে যদি একবার রেগে যায় তাহলে সে কাউকে মানে না। তাকে শান্ত করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। অনুরাগ জোর গলায় বলে উঠল…..
–“মুখ সামলে কথা বলো সুনয়না। তুমি ভুলে যেও না তুমি কার সামনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছো। এসব নোংরা বলার আগে মুখে বাঁধছে না তোমার? কি বলেছো অনুশ্রী আর অনুরাগ কে? ও যদি চলে যায় তাহলে তুমি আমায় বিয়ে করতে পারবে? এমন চিপ কথাবার্তা কি করে বলতে পারো তুমি? তোমাকে আমি ছোট বোন হিসেবে ভাবতাম। আর তুমি কি না ছিহ!”
কথাটা বলে নিজের হাত দিয়ে কপাল ঘষতে লাগলেন অনুরাগ। বুঝতে পারছি উনি বেজায় রেগে আছেন। বার বার ভয়ে ভয়ে আশেপাশে তাকাচ্ছি আমি। নেত্রা আপুনি বা মা চলে এলে ব্যাপারটা বেশ জটিল হয়ে পড়বে। সিনক্রিয়েট তৈরি হবে বেশি করে। তাই হালকা ভয় করছে আমার। সুনয়না আবারও চেঁচিয়ে বলে উঠল….
–“কেন? অনুশ্রী তো তোমাকে বিয়ে করতে পেরেছিল। আমি কেন আমার পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে পারব না? কেন চান্স পাব না? অনামিকাদির জন্য তো প্রথমবার তোমাকে বিয়ে করতে পারিনি আমি। দ্বিতীয়বার এই মেয়েকে বিয়ে করে তুললে। এখন কি না তুমি নিজ হাতে ওকে তার প্রেমিকের মিলিয়ে দেবে। সিরিয়াসলি! তোমার মতো স্বামী না খুব কমই আছে। বাট আমি এসব কথা বললেই কি আমি চিপ কথাবার্তা বলি? বাজে আচরণ করি?”
কথাটা শেষ হতে না হতে চড় বসানোর আওয়াজ হলো জোরেসোরে। আমি আর বর্ণদা চমকে তাকালাম। সুনয়না গালে হাত দিয়ে আছে। অনুরাগ রাগে লাগাতার ফুঁসছেন। অনুরাগ আঙ্গুল উঁচিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে সুনয়নার উদ্দ্যেশে বললেন,,,
–“এই চড়টা দরকার ছিল তোমার জন্য। যখনই কাউকে চিপ কথাবার্তা বলতে যাবে তখনই এই চড়টার কথা তোমার মনে পড়বে। আমি অনুশ্রীকে কেন বর্ণের সাথে মিলিয়ে দিচ্ছি জানো? কারণ আমি বুঝি ভালোবাসা হারানোর কষ্ট। আর অনুশ্রী তো আমার ভালোবাসে না। তাকে ভালোবাসাহীন জীবনে বেঁধে রাখার মতো অধিকার আমি পাইনি। তাই আমি স্বইচ্ছায় ওকে মিলিয়ে দিচ্ছি। আর একটা কথা অনেক টলারেট করেছি তোমায়। কাল সন্ধ্যায় আমরা এখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেব। তুমি আমাদের সাথে আমার বাড়িতে নয়। নিজের বাড়িতে যাবে। তোমাকে আর দেখতে চাই না আমি।”
কথাটা বলে রাগে দাঁত কিড়মিড় করতে করতে ধুপধাপ করে উঠে গেলেন অনুরাগ। উনার একটা একটা পায়ের ধাপেও যেন ফ্লোর কেঁপে কেঁপে উঠছে। সুনয়নাও আমার দিকে রক্তচক্ষু দিয়ে তাকিয়ে দ্রুত নিজের রুমের দিকে চলে গেল। বাকি রইলাম আমি আর বর্ণদা। আমি ঠাঁই ভাবলেশহীন অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকলাম। কোনো হেলদোল নেই আমার। মাথায় একটা কথা বার বার বাজছে। ‘আর অনুশ্রী তো আমায় ভালোবাসে না’ কথাটার মাঝে গভীর এক ক্ষত অনুভব করছি আমি। উনার এই কথাটা আমার মনটাকে জোরেসোরে আঘাত করছে। আমি কি সত্যিই ভালোবাসি না উনাকে? হয়ত বাসি বা বেসে ফেলেছি। সেটা হয়ত আজীবন অপ্রকাশিত হয়ে থাকবে। কারণ উনার হৃদয়ে শুধু অনামিকার স্থান!
আমার কাঁধে কেউ হাত রেখে ঝাঁকাতেই নিজের ভাবনার জগত থেকে বেরিয়ে হকচকিয়ে উঠে তাকালাম। বর্ণদা আমাকে প্রশ্ন ছুঁড়ে মারল।
–“কি হয়েছে নুড়ি? এভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? তোকে কতবার করে ডাকলাম একবারের জন্যও জবাব দিলি না।”
–“না আসলে কিছু না। আচ্ছা বাড়ির বাকি সবাই কোথায় গো? এতো চিৎকার চেঁচামেচি হলো কেউ তো এলো না! ” (তার দিকে তাকিয়ে)
–“আরে সবাই তো বাইরে। বসে বসে আড্ডা দিতে ব্যস্ত।”
আমি তার থেকে নজর সরিয়ে একমনে বললাম,,,
–“ওহ আচ্ছা।”

দুপুর বেলা অদ্রিজার গায়ে তেল মালিশ করে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি আমি। এই মেয়েটা যে বড় হয়ে প্রচন্ড মাপের চঞ্চল হবে সেটা সম্পর্কে আমি নিশ্চিত। একবার পা চালায় তো একবার হাত চালায়। যেন বক্সিং করছে। আমাকে ঠিক করে ওর গায়ে তেল মাখাতেও দিচ্ছে না। একটু জোরে হাত চেপে ধরলেই শব্দ করে কেঁদে উঠছে। অতি আদরে দুষ্টু হয়ে যাচ্ছে মেয়েটা। আমি অনেক কষ্টে ধীরে ধীরে ওর গায়ে তেল মাখাচ্ছি। হঠাৎই কোথা থেকে যেন দ্রুত দরজা খুলে দাঁড়ালেন অনুরাগ। উনার আগমনে উনার চোখমুখ দেখে চোখমুখ কুঁচকে নিলাম আমি। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। মুখে এক অজানা আতঙ্ক। তেলের বোতলের ছিপি লাগিয়ে। দাঁড়িয়ে সরু গলায় উনার উদ্দেশ্যে বললাম,,
–“কি হয়েছে আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেন? ঘামছেন কেন?”
উনি থতমত খেয়ে নিজের হাতের পিঠ দিয়ে কপালের ঘাম মুছে নিয়ে দীর্ঘ নিশ্বাস মোটা গলায় বললেন,,,,
–“না এমনি। আসলে তোমাকে একটা জিনিস দেওয়ার আছে। গিফট হিসেবেও ধরতে পারো।”
আমি চোখ ছোট ছোট করে তাকালাম। কিসের গিফট সেটা ভেবে পাচ্ছি না আমি। আর গিফট কেউ এভাবে আতঙ্কিত মুখে দেয় সেটা জানা ছিল না আমার। তীক্ষ্ণ গলায় বললাম,,,
–“কি গিফট? এমন কি গিফট যেটা দিতে আপনার ঘাম ছুটে যাচ্ছে?”
উনি কিছু না বলে পেছনে থাকা ডান হাতটা সামনে এনে ধরলেন। আমাকে এগিয়ে দিলেন। আমার দৃষ্টি আরো তীক্ষ্ণত্ব হলো। উনার হাত কাঁপছে। এক নজরে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন উনি। আমি হাত বাড়িয়ে উনার থেকে খামটা নিলাম। আস্তে আস্তে খামটা খুলে একটা কাগজ আবিষ্কার করলাম। উনার দিকে তাকাতেই উনি আবেগি চোখে আমায় কাগজটা খুলতে বললেন ইশারা করে। একটু একটু করে কাগজ খুললাম। অনেক লিখা সেই কাগজে। মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করতেই আমার পৃথিবী উলটপালট হয়ে যেতে শুরু করল। কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম….
–“ডি…ডিভোর্সের এপ্লি….কেশন!”
উনি গলা খাঁকারি দিয়ে বেশ ভারাক্রান্ত গলায় বলে উঠলেন….
–“হ্যাঁ। ডিভোর্সের এপ্লিকেশন। এটাই তোমার গিফট অনুশ্রী!”
আমার কিছু কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। রাগ, অভিমান, কষ্ট সব একসাথে জমা হলো। চিৎকার করে কেঁদে দিয়ে লোকটার গলা টিপে ধরতে ইচ্ছে করছে কোনো এক অজানা অভিমানের তরে। আমাকে চুপ দেখে উনি আটকা আটকা গলায় বলে উঠলেন,,,
–“খু…খুশি হওনি? আই থিংক এটা তো…তোমার লাইফের বেস্ট গিফট। এপ্লিকেশন দিতে আরো দেরি হতো। আমার পরিচিত লোক কে দিয়ে কাজ করাচ্ছি। আ..আমার মনে হয় ডিভোর্সের লেটার টাও খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাব।”
আমি উনার দিকে তাকিয়ে জোর করে হাসলাম। জোর গলায় বললাম,,,
–“হ্যাঁ। আমি অনেক খুশি। সব থেকে খুশির দিন আমার। দেখুন না খুশিতে আমার চোখে পানি টলমল করছে।”
–“কিন্তু আমার কেন মনে হচ্ছে তোমার এই পানি অন্য কারণে?”
আমি হাতের পিঠ দিয়ে চোখের পানি মুখে আবারও হাসলাম। মলিন গলায় বললাম….
–“আপনার মনে হলে তো কিছু করার নেই অনুরাগ।”
উনি উপরের ঠোঁট দিয়ে নিচের ঠোঁট ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। হাত পা কাঁপছে উনার। আশেপাশে তাকাচ্ছেন উনি। আমাকে কোনোমতে বলে উঠলেন,,,
–“দুপুর তো অনেকটাই হলো। তুমি অদ্রিজাকে কাপড় পরিয়ে নিচে নিয়ে এসো। আমার বেশ খিদে পেয়েছে।”
কথাটা বলে দরজার দিকে এগোতে লাগলেন উনি। আমিও পিছন ফিরলাম। হঠাৎই আবারও উনি বললেন,,,
–“আর মাত্র কয়েকটা দিন। কয়েকটা দিনই তোমাকে আমার মেয়ের খেয়ালটুকু রাখতে হবে। একটু সহ্য করতে পারবে আই হোপ!”
দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়লাম উনার কথা শুনে। উনার মেয়ে? তার মানে উনি এখনো আমাকে অদ্রিজার মা বলে ভাবতেই পারেননি। ভাবার কথাও নয় অবশ্য। কারণ বাচ্চাটা তো অনামিকার স্মৃতি! ডিভোর্স এপ্লিকেশন হাত থেকে ইচ্ছে করে ফেলে দিলাম। পেপারটা দেখে কেমন জানি রাগ লাগছে। টলতে টলতে এসে ধপ করে বসে পড়লাম বিছানায়। বিছানায় মাথা ঠেকিয়ে হাত পা ছড়িয়ে রইলাম। চোখ দিয়ে বেয়ে পানি পড়ছে। অদ্রিজা হামাগুড়ি দিয়ে এসে আমার সামনে বসে হেলে তাকালো। আমি মাথা উঠিয়ে ওকে বুকে জড়িয়ে নিলাম। ইচ্ছেমতো চুমু খেয়ে নিলাম মেয়েটাকে। কারণ ওকে ছোঁয়ার অধিকার হয়তবা হারিয়ে ফেলতে বসেছি।

করিডোরের শেষ প্রান্তে খোলামেলা বারান্দার এক হাতে রেলিং ধরে আরেক হাতে সিগারেট ধরিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে অনুরাগ। আজ আবারও হয়ত নিজের ভালোবাসা হারিয়ে সে ছারখার হয়ে যেতে বসেছিল। আবারও আজ নিয়তি তার সাথে এমন খেলা খেলল যে তার অস্তিত্ব, তিল তিল করে নিজ মনে গড়া #একগুচ্ছ_ভালোবাসা কেও হারিয়ে ফেলতে বসেছে। অবশ্য একদিকে সে খুশি। নিজের প্রিয় মানুষকে খুশি দেখলে সবারই ভালো লাগে। সেই ক্ষেত্রে বেজায় খুশি ও। তবে নিজের অস্তিত্ত্বকে সে কি করে হারিয়ে যেতে দেবে? এতোদিনে কি অনুশ্রীর মনে একটু খানিও জায়গা হয়নি তার জন্য? হয়ত হয়নি। হারিয়ে যাক অস্তিত্ব। যা হারানোর হারিয়ে যাক। সে ক্লান্ত। বড়ই ক্লান্ত!

চলবে…..🍀🍀
বি.দ্র. ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here