এক ফুল সমুদ্র পর্ব-১৩

0
2601

#এক_সমুদ্র_ফুল
#পর্ব_13(#বিবাহ_স্পেশাল_1)🎉
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida


কয়েক বছর পর
এই কয়েক বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে।তবে আমি আর সমুদ্র আরো অনেক ক্লোজ হয়ে গেছি।তবে কেনো জানি সমুদ্রের কথাবার্তায়, চাউনিতে,,স্পর্শে আমি এক অন্য রকম অনুভুতি পাই।উনি এখন যেনো আমাকে অন্য এক নজরে দেখে।যা আমি বুঝতে চেয়েও বুঝতে পারছি না।তাই আমি আর চেষ্টা করতে চাইও নি।সময় ঠিকই আমাকে বুঝিয়ে দিবে।


আজ আমার মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে।আমি তো সেই চিন্তিত।তাই রুমে পায়চারি করছি।আমার রুমে না সমুদ্রের রুমে।দুদিন ধরে চিন্তায় কিছু খাওয়াও হচ্ছে না আমার।মা বাবা সোনালী আপু কেউ আমাকে খাওয়াতে পারছে না।অবশেষে তারা সমুদ্রের কাছে গেলো।সমুদ্র তখন অফিসে ছিলো।ফোন করে ওকে মা ডেকে পাঠালো।যতো কিছুই হোক না কেনো!সমুদ্রের কোনো মাথা ব্যাথা নেই।তবে যখনই আবার আমার কথা উঠে তখন না পারে ও উড়ে আসতে।এখনও তাই করছে মা ফোন করতেই তাকে কড়া গলায় বলে দিয়েছে আমি যেনো ওর রুমে যাই এবং ও না আশা পর্যন্ত যেনো এক পাও রুম থেকে না বের হই।হইলেই আমার পা নাকি ভেঙ্গে ফেলবে।আমি যদিও ওর কোনো কথাই শুনি না।তবুও মাঝে মধ্যে শুনতে হয়।না হলে পিঠে আমার মাইর পরে।তাই আজ যখন ও বলেছে এই কথার অবাধ্য হলে আমার কপালে শনি আছে।তাই আমার রেজাল্টের থেকে ও এসে আমার কি হাল করবে তার চিন্তা হচ্ছে।

ফুল!(সমুদ্র হন্তদন্ত হয়ে রুমে ঢুকে)

উপস্থিত স্যার।(আমি হাত তুলে)

মারবো টেনে এক চড়।কি শুনছি তুই নাকি দুইদিন ধরে কিচ্ছু খাস নি।(সমুদ্র বেডে বসতে বসতে)

কি করবো?তুমি তো দুদিন ধরে বাড়িতেই আসো না।তোমার বিরহে আমার খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছিলো।(আমি নেকামি করে)

সমুদ্র উঠে আমার চুল টেনে ধরে বললো
মা বলছে তোর নাকি টেনশন হচ্ছে।কিন্তু আমার মনে হচ্ছে তুই তো খুব মজাতেই আছিস।

আহহ।ছাড়ো। তুমি কি বুঝবে আমার কষ্ট!তুমি তো সেই একটা ভালো রেজাল্ট করে পাশ করে গেছো।আমার যে কি হবে!আমার তো গণিত নিয়ে এতো চিন্তা হচ্ছে যে আমি ফেইল করবো নিশ্চিত।(আমি মনমরা হয়ে)

কেনো?তুই বললি তোর পরীক্ষা ভালো হয়েছে।(সমুদ্র আমার চুল ছেড়ে)

পরীক্ষা তো ভালোই হয়েছে কিন্তু চিন্তা হচ্ছে অন্য কিছু নিয়ে আমি কি আমার রোল ঠিক মত লিখছি? রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঠিক মত লিখছি?বিষয় কোড ঠিক মত লিখছি? স্যার কি রেগে ছিলো আমার খাতা দেখার সময়? স্যারের কাছে কি ঠিক মত আমার খাতা পৌঁছেছে নাকি রাস্তাতেই উনারা হারিয়ে ফেলেছে? এইসব বিষয় নিয়ে আমার খুব চিন্তা হচ্ছে।(আমি বেডে বসতে বসতে)

হায়।এই পাগল মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাবো আমি(মাথায় হাত দিয়ে)।তোকে এইসব নিয়ে ভাবতে হবে না।তুই বরং খেয়ে দেয়ে তৈরি হ।সামনে কলেজে ভর্তি হতে হবে সেই খেয়াল আছে তোর?(সমুদ্র)

হুম।(আমি)

আচ্ছা আমি খাবার আনছি খেয়ে নে।(সমুদ্র)

ওকে।
পরেই সমুদ্র খাবার এনে আমাকে খাইয়ে দিল।

কিছুক্ষণ পরেই আমার রেজাল্ট দিলো।আর আমি গোল্ডেন A প্লাস পেলাম।আমি তো খুশিতে নাচতে শুরু করলাম।বাড়ির সবাই খুব খুশি।রাতে আমার পছন্দের সব খাবার রান্না করলো মা।আর আমিও খুব মজা করে খেলাম।সাথে সবাই।


রাতে সমুদ্র বেলকনিতে দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভাবছে
ধীরে ধীরে ফুল যেনো এক পূর্ণাঙ্গ নারী হয়ে উঠছে।আমার ওর প্রতি ভালো লাগা কখন যে ওর ভালোবাসায় পরিণত হয়ে গেলো আমি বুঝতেই পারিনি।এখন বিদেশ থেকে আসার পর পরই আমি ওকে বিয়ে করব।আমার ফুলকে আমি কাছে টেনে নিবো।
ভেবেই সমুদ্র মুচকি হাসি দিলো।

তখনই আরমান দরজায় নক করলো।
আসতে পারি?(আরমান)

বাবা তুমি এত রাতে?(সমুদ্র অবাক হয়ে)

তুই আমাদের কোম্পানিটাকে নিয়ে কি করার চিন্তা করছিস?(আরমান)

হুম।এইটা নিয়ে তোমার সাথে কথা ছিলো আমার।আগে আমাদের প্রোডাক্ট মাত্র দুই একটা দেশে রপ্তানি করা হতো।এখন তা আমি আরো কয়েকটি দেশে রপ্তানি করার চেষ্টা করছি।(সমুদ্র)

আর এই জন্য তোর কি করতে হবে?(আরমান)

আমাকে কয়েক বছরের জন্য বিদেশে যেতে হবে।(সমুদ্র)

কয় বছরের জন্য!(আরমান)

পাঁচ ছয় বছরের জন্য।(সমুদ্র)

সমুদ্রের সাথে আমাদের যেমন সম্পর্ক। ও যদি এক বার আমাদের ছেড়ে চলে যায়।তাহলে ওকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা অসম্ভব।আমি কিছুতেই আমার ছেলেকে হারাতে পারবো না। কিন্তু কিছু ওকে বেধেও রাখতে পারবে না।তাই যাই করি না কেনো কিছুতেই সমুদ্রকে এই পরিবার থেকে আলাদা হতে দেওয়া যাবে না।এই বার দূরে গেলে যেটুকু সম্পর্ক আছে সেটুকুও চলে যাবে।(আরমান মনে মনে)

কি হয়েছে বাবা?(সমুদ্র)

তোর তো আমার পারমিশন লাগবে?(আরমান)

হুম।তুমিই তো সব।তোমার তো পারমিশন লাগবেই।এই জন্যই তো তোমার সাথে কথা বলার জন্য যেতাম।(সমুদ্র)

আর তুই এইজন্যই দুদিন বাড়িতে আছিস নাই?(আরমান)

হুম।আমাদের বিদেশি ক্লাইন্ট যারা তারা এসেছিলো।উনাদের রিসিভ করা,,উনাদের থাকার ব্যবস্থা তারপর উনাদের সাথে মিটিং এ এতো ব্যাস্ত ছিলাম যে আসতেই পারি নি বাসায়।শুধু ফুল খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে ওর জন্য এসেছি।(সমুদ্র)

ও শুধু ফুলের জন্য!(আরমান)

হুম। তা বাবা পারমিশনটা?(সমুদ্র)

আমি কালকে সকালে তোমার সাথে কথা বলবো।
বলেই আরমান সেখানে থেকে চলে গেলো।


রুমে
রাতে শুয়ে শুয়ে আরমান ভাবছে কি করে সমুদ্রকে এই পরিবারের সাথে যুক্ত রাখা যায়।কি করে?অনেক ভাবার পর ওর মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো।

কালকে সকালে আমি যা করার করবো।(আরমান মনে মনে)


সকালে
আরমান সকাল সকাল অফিসে চলে গেলো।আর সমুদ্র ভার্সিটির জন্য তৈরি হয়ে নিচে নেমে মাকে জিজ্ঞেস করল
মা!বাবা কোথায়?(সমুদ্র)

তোর বাবা তো অফিসে সমুদ্র!(আয়শা)

আজ এতো সকালে?(সমুদ্র)

হুম।বললো কি কাজ যেনো আছে?(আয়শা কাজ করতে করতে)

ওহ।আচ্ছা তাহলে আমি যাই।(সমুদ্র)

সাবধানে যাস বাবা।(আয়শা)


গাড়িতে
বাবা হটাৎ আজ এতো সকালে উঠে অফিসে গেলো কেনো?না যতক্ষণ না পর্যন্ত জানবো ততক্ষণ আমার শান্তি হবে না।আজ আর ভার্সিটিতে যাবো না।আগে অফিসে যাবো।নাইলে আমি শান্তি পাবো না।(সমুদ্র মনে মনে)

ড্রাইভার অফিসে চলো।(সমুদ্র)

জ্বি স্যার।
বলেই ড্রাইভার অফিসের দিকে চলতে শুরু করলো।


অফিসে
বাবা তুমি আমায় কিছু না বলেই চলে এলে কেনো?(সমুদ্র হন্তদন্ত হয়ে আরমানের কেবিনে ঢুকে)

মি: সমুদ্র শিকদার।বসের কেবিনে ঢুকতে পারমিশন লাগে এটা কি আপনি জানেন না?(আরমান চেয়ারে বসে)

হোয়াট!বাবা কি বলছো?(সমুদ্র অবাক হয়ে)

অফিসে আমি আপনার বাবা নই মি: শিকদার।(আরমান)

সরি স্যার।(সমুদ্র দাত চেপে)

যাইহোক।আমি আপনার প্রেজেন্টেশন দেখছিলাম।আমাদের কোম্পানি নিয়ে আপনার প্লানকে আমি সাধু বাদ জানাই।তবে আমি আপনাকে পারমিশন দিতে পারবো না!(আরমান)

কেনো বাবা?সরি স্যার।কেনো স্যার।আমি তো অনেক কষ্ট করে সব কিছু ঠিক করেছি।এখন শুধু আমার আপনার পারমিশন এর দরকার।আর এটা তো আমাদের সরি আপনার কোম্পানীর জন্য ভালো।(সমুদ্র আরমানকে বুঝানোর চেষ্টা করে)

আমি জানি ভালো।তবে আমি পারমিশন দিতে পারবো না।(আরমান কড়া গলায়)

কেনো?এই প্রজেক্ট আমার কাছে সব এর জন্য আমি সব করতে পারি।(সমুদ্র)

সব করতে পারেন?(আরমান)

বলেই দেখুন স্যার আমি সব করতে রাজি আছি।(সমুদ্র)

আমার একটা মেয়ে আছে ফুল।আপনাকে ওকে বিয়ে করতে হবে।(আরমান)

হোয়াট রাবিশ বাবা।ফুলকে?ওকে বিয়ে?ওর কি বিয়ে বয়স হয়েছে?ও এখনও বাচ্চা।ও এখন সংসার করবে কি করে? ও তো সংসারের স ও বুঝে না।(সমুদ্র রেগে টেবিলে বারি মেরে)

তোমাকে সংসার করতে কে বলেছে?তুমি শুধু ওকে বিয়ে করবে।ওকে বিয়ে করে তুমি বিদেশ চলে যাবে আর ও দেশে থাকবে।পড়ে যদি তুমি দেশে আসো তাহলে ঘর সংসার হবে।(আরমান)

আমি এইবার বুঝতে পেরেছি বাবা।তুমি কেনো এমন করছো?তুমি মনে করছো আমি ফিরে আসবো না!তাই তো?কিন্তু বাবা আমি প্রমিজ করছি আমি ফিরে আসবো।তবুও তুমি ফুলের জীবনকে নিয়ে ছিনিমিনি খেল না।(সমুদ্র মাথা নিচু করে)

সমুদ্র তোমার উপর আমার বিশ্বাস আছে।কিন্তু তবুও আমি আমার কথায় উটোল থাকবো।(আরমান)

বাবা।(সমুদ্র চিৎকার করে)

এখন বলো তুমি কি চাও?আমার পারমিশন তুমি তখনই পাবে যখন তুমি ফুলকে বিয়ে করবে।(আরমান)

ফুল যদি রাজি না হয় তুমি কি ওকে জোর করবে?(সমুদ্র)

না করবো না।তবে আমার বিশ্বাস ফুল আমার কথা মানবে।ফুল যদি আমার কথায় রাজি হয় তবে তুমি রাজি হবে তো?(আরমান)

ফুল যদি রাজি হয় তবে আমিও রাজি।(সমুদ্র মাথা নিচু করে)

এই প্রজেক্ট আমার কাছে অনেক ইম্পর্ট্যান্ট!(সমুদ্র মনে মনে)

ঠিক আছে আমি আজই ফুলের সাথে কথা বলবো।তুমি এখন আসতে পারো।(আরমান)

সমুদ্র আর কিছু না বলেই চলে গেলো কেবিন থেকে।

আমি জানি সমুদ্র তুই কি ভাবছিস?কিন্তু আমি কিছুতেই তোর প্রচেষ্টা সফল হতে দেব না।(আরমান মনে মনে)


কেবিন থেকে বেরিয়ে
যে করেই হোক।আমি ফুলকে রাজি হতে দেবো না।আমি জানি ফুল আমার কথা ফেলতে পারবে না।আমি বললে ও ঠিক শুনবে।তবে এক্ষুনি আমাকে বাড়িতে যেতে হবে।
বলেই সমুদ্র বেরিয়ে গেলো।


বাড়িতে
আমি আমার রুমে বসে বসে গিফট গুলো দেখছি।
সবাই আমার জন্য অনেক গিফট এনেছে।কারণ আমি পরীক্ষায় এতো ভালো রেজাল্ট করছি।আমি আমার গিফট দেখছি তখনই হন্তদন্ত হয়ে সমুদ্র আমার রুমে ঢুকলো

ফুল।(সমুদ্র)

সমুদ্র?তুমি?তোমার তো এখন ভার্সিটিতে থাকার কথা।(আমি অবাক হয়ে)

হুম।তোর সাথে আমি কথা আছে!(সমুদ্র আমার কাছে এসে)

ওইসব ছাড়ো।দেখো সাগর ভাইয়া আমার জন্য কত্তো গিফট পাঠিয়েছে।আর সব চেয়ে বড় কথা।সোনালী আপু আমার জন্য এই কলেজ গুলো পছন্দ করছে।আমি না ডিসাইড করতে পারছি না।তুমি একটু হেল্প করবে প্লিজ।কোনটা ভালো হবে আমার জন্য।(আমি ওকে গিফট গুলো দেখিয়ে)

ফুল।আমার কথা শোন।
বলেই সমুদ্র গিফট গুলো আমার কাছ থেকে নিয়ে আমাকে ধরে বেডে বসালো।

ফুল।এখন আমি তোকে কিছু কথা বলবো।তুই প্রমিজ কর আমার কথা শুনবি?(সমুদ্র চিন্তিত হয়ে)

কি কথা?(আমি অবাক হয়ে)

পরেই সমুদ্র ওর আর বাবার মধ্যে হাওয়ার কথা গুলো আমাকে বললো।আমি ওর কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম।

এখন তুমি কি করতে চাইছো?(আমি ভয়ে ভয়ে)

তুই কিন্তু বাবার কথায় রাজি হবি না।(সমুদ্র)

কিন্তু আমি তো বাবার কোনো কথাই ফেলেনি।(আমি মাথা নিচু করে)

এখন ফেলতে হবে ফুল।এইটা তোর ভালোর জন্য।উনি যা করছে তা কিন্তু ভুল।তুই কিন্তু কিছুতেই বাবার কথায় রাজি হবি না।ফুল,,ভুলেও কিন্তু তুই আমার কথার অবাধ্য হবি না।হলে কিন্তু আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।(সমুদ্র রক্ত চুক্ষু দেখিয়ে)

আমি শুধু উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।এখন আমি কি করবো বুঝতে পারছি না?আমি উনার কথার অবাধ্য হতে পারবো না।কিন্তু আমি বাবার কথা ফেলতেও পারবো না।তাহলে এখন আমি কি করবো? কার কথা শুনবো?কি করবো আমি?সবাই তো আমার আপনজন।আমি একজনকে সুখী করে আরেকজনকে দুঃখী করতে পারবো না।আমি চাই সবাই খুশিতেই থাকুক।কিন্তু এখন আমি কি করবো?

কি হলো ফুল?কি ভাবছিস?(সমুদ্র আমাকে ঝাঁকিয়ে)

কিছু না।(আমি)

ফুল তুই প্রমিজ করছিস তো?(সমুদ্র)

আমি চুপ করে রইলাম।

ফুল দেখ যতক্ষণ না পর্যন্ত তুই আমাকে প্রমিজ করছিস ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কিন্তু এখান থেকে যাবো না বলে দিলাম।(সমুদ্র)

আমি কি করে প্রমিজ করবো?(আমি নিচের দিকে তাকিয়ে)

তাহলে কি তুই বাবার কথায় রাজি হয়ে যাবি?(সমুদ্র আমার বাহু চেপে ধরে)

আহ্।সমুদ্র আমার লাগছে।(আমি ব্যাথার কুকড়ে উঠলাম)

লাগুক।আগে বল তুই আমার কথা শুনবি!প্রমিজ কর আমাকে!(সমুদ্র আরো জোড়ে চেপে ধরে)

ঠিক আছে।(আমি কাদতে কাদতে)

হুম।
বলেই সমুদ্র আমাকে ছেড়ে সেখান থেকে চলে গেলো।আমি বেডে বসে বসে কাদতে লাগলাম।


চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here