#এমনও_প্রেম_হয়
#ইয়ানা_রহমান
#পর্ব:-৪
সারা রাস্তা কান্না করতে করতে বাসায় ফিরলাম। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিনা। কি শুনলাম এটা। জিয়ান কাল কানাডা চলে যাচ্ছে। ওকে হারাবার ভয় আমাকে ভীষণভাবে পেয়ে বসলো।
ঘরে ঢুকে কাধের ব্যাগটা বিছানার উপর ছুড়ে মেরে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে গেলাম।
আমার কান্না করা মুখটা যেনো কেউ দেখতে না পায় তাই দ্রুত ওয়াশরুমে ঢুকে স্কুল ড্রেস সহ ই শাওয়ারের নিচে দাড়িয়ে গেলাম।
জোড়ে পানির ট্যাপ ছেড়ে দিলাম,
জোড়ে শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে শাওয়ারের নিচে বসে দুই হাঁটুতে মাথা রেখে কাদতে থাকলাম।
যতক্ষণ ঠান্ডায় গায়ে কাটা না দিলো ততক্ষণ শাওয়ারের নিচে বসে ভিজলাম আর কাদলাম।
জিয়ানকে আমি পাঁচ ছয় বছর দেখবো না,
মনে হতেই চোখ ছাপিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। চোখের পানির ধারা বাধ মানছে না কিছুতেই।
আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। মেনে নিতে পারছি না।
জিয়ান আমাকে স্কলারশীপের কথা আগেই বলেছিলো, তখন আমি খুব একটা ব্যাপারটা ভাবনাতে আনিনি।
ভেবেছি বাইরের দেশের ভালো কোন ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপ পাওয়া খুব সহজ না।
আর জিয়ান ভালো মানের কোন ভার্সিটি না হলে যাবে না।
তাই খুব একটা গুরুত্ব দেইনি।
সত্যি সত্যি যখন চলে যাচ্ছে, তখন আমার মনে হচ্ছে আমি সব হারিয়ে ফেলতে যাচ্ছি।
আমি থাকবো কেমন করে ওকে ছাড়া। ও যে আমার জীবনের সব।
ভেবেছিলাম পরীক্ষা শেষ হলে ওর সাথে অনেক সময় কাটাবো, কথা বলবো অনেক গল্প করবো ।
অনেকদিন ওর সাথে মন ভরে কথা বলা হয় না।
আম্মু ওয়াশরুমের দরজায় টোকা দিচ্ছে__
এতক্ষণ ভিতরে কি করছিস,
ঠিক আছিস তো তুই?
তুমি যাও মা, আমি আসছি। আমার গোসল করা হয়ে গেছে।
তারাতারি বের হ, আমাদের বেরুতে হবে।
আমি ভেজা কাপড় বদল করে বেরিয়ে এলাম।
কান্না করার কারণে
চোখ খুব লাল হয়ে ফুলে উঠেছে।
আম্মু বললো, চোখের এই অবস্থা কেন? চোখ এতো লাল কেন? কি হইছে চোখে? কান্না করেছিস নাকি?
কিন্তু কেন?
আমি বললাম,
কিছু না মা, চোখে ফেসওয়াশ চলে গেছে।
আম্মু আর কিছু বললো না।
পরীক্ষা কেমন হলো তোর?
খুব ভালো হইছে পরীক্ষা।
কি হইছিল দাদুর আর দাদুর, এখন কি অবস্থা?
দাদু কোথায়?
তাড়াতাড়ি ভাত খেয়ে নে। হসপিটালে যেতে হবে আমাদের।
তোর দাদুকে হসপিটালে ভর্তি করা হইছে।
শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় হসপিটালে ভর্তি করতে হইছে।
আমি আর কিছু বললাম না।
ভাত খেলাম না কারণ আমার পেট ভরা।
আমাকে জিয়ান
পরীক্ষার পর খাইয়ে দিছে।
আম্মু বললো, ভাত খাবি না কেন?
পরীক্ষা শেষ করে সব ফ্রেন্ডসরা মিলে ফাস্ট ফুড খেয়েছি।
অল্প করে একটু ভাত খেয়ে নে।
ভালো লাগেছ না মা, জোর করো না। পরে খাবো।
চলো হসপিটালে যাই।
হসপিটালে গিয়ে দাদুকে দেখলাম।
দেখে কষ্ট লাগলো। দাদুর খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। অক্সিজেন মাস্ক লাগানো আছে।
দাদুর দীর্ঘদিন যাবত ক্যান্সার নামক দুরারোগ্য রোগে ভুগছে।
তার ওপর অ্যাজমার প্রবলেম আছে আগে থেকেই।
দাদুর পাশে কিছুক্ষণ বসে থেকে আম্মুকে বললাম, বাসায় যাবে কখন?
আম্মু বললো, কেন?
আমি বললাম,
আমার খুব টায়ার্ড লাগছে।
একটু রেস্ট নিতে চাই। সেই কোন ভোরে উঠে পড়তে বসছিলাম।
দাড়া দেখি কাউকে ম্যানেজ করতে পারি কি না। আমি তো এখন যেতে পারবো না।
ঘণ্টা খানিক পরে আম্মু আমাকে আমার এক কাজিন এর সাথে বাসায় পাঠিয়ে দিলো।
বললো, তোকে খুব টায়ার্ড দেখাচ্ছে বাসায় গিয়ে ভাত খেয়ে একটা লম্বা ঘুম দে। দেখবি ভাল লাগছে।
আমার এখন খুব ঘুম পাচ্ছে।
আর খিদা লাগলে খেয়ে নিব।
আমি বাসায় চলে এলাম।
বাসায় ফিরে জিয়ানকে কল করলাম।
কিন্তু কল রিসিভ করলো না।
আবার কল করলাম। এবারও রিসিভ করলো না।
আমার খুব কান্না পেলো।
অনেকক্ষণ কান্না করছি। চোখের পানি বাঁধ মানছে না।
জিয়ান কি আমাকে এড়িয়ে যেতে চাইছে? কিন্তু কেনো? তাহলে ওকি আর আমাকে ভালোবাসে না?
এই সব নানান বাজে কল্পনা করতে করতে কখন যেনো ঘুমিয়ে পড়েছি। উঠে দেখি রাত হয়ে গেছে। রাত নয়টা বেজে গেছে।
বাসার কাজের বুয়াকে আমি খালা ডাকি।
খালাকে ডেকে বললাম,
খালা আম্মু আব্বু আসেনি এখনও?
না তারা কেউ আহে নাই।
আপনি কিছু খাইবেন ? কিছু আইন্যা দেই, নাকি
ভাত দিমু?
আমি বললাম, না খালা কিছু খাব না। আপনি আমাকে কড়া করে শুধু এক কাপ চা দেন।
ফোন হাতে নিয়ে দেখলাম জিয়ানের কোন কল বা ম্যাসেজ এসেছে কিনা।
নাহ কোন কল বা মেসেজ কিছুই আসেনি।
রাত পার হয়ে সকাল হলো।
এতো সময় পরও জিয়ানের কোন ফোন বা ম্যাসেজ আসেনি।
মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো।
জিয়ান এটা করতে পারলো আমার সাথে। তবে কি ওর ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি সব মিথ্যে ছিলো! মনে কত ধরনের আজেবাজে চিন্তা আসছে।
সকালে নাস্তা খাওয়ার জন্য ছোট ভাই অর্পণ আমাকে ডেকে বললো,
আব্বু নাস্তা নিয়ে টেবিলে বসে আছে।
তাড়াতাড়ি চলো, মা নাশতা খেতে সবাইকে ডাকছে।
খাওয়ার ইচ্ছা মোটেও নেই। এতো পরিমাণ মন খারাপের মাঝে গলা দিয়ে খাবার নামবে না।
কিন্তু কোন উপায় নেই। বাধ্য হয়ে টেবিলে বসেছি সবার সাথে নাস্তা খেতে।
আব্বু বললো, লিয়া তুই হসপিটালে গিয়ে তোর দাদুর পাশে কিছুক্ষন বোস।
আমি অফিসে যাওয়ার সময় তোর দাদুকে দেখে যাবো আর তোকে তার কাছে রেখে যাবো।
তোর মা একটু পরে রান্না করে খাবার নিয়ে যাবে।
পারবি না থাকতে!
আমি বললাম, পারবো_
তাহলে চল, রেডি হয়ে নে।
আমি হসপিটালে দাদুর কাছে চলে গেলাম।
কিন্তু আমার মন পরে রইলো জিয়ানের কাছে।
আমি দাদুর কাছে গিয়ে দেখলাম, দাদু ঘুমাচ্ছে।
আমি দাদুর কেবিনের বারান্দায় বসে জিয়ানের কথা ভাবছি।
কোথায় আপনি?
ফোন ধরছেন না কেন?
আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, খুব চিন্তা হচ্ছে।
আপনি আমার সাথে এটা করতে পারেন না। আমি আপনাকে খুব বিশ্বাস করি।
সাধারণত জিয়ানের সাথে আমার বিকেল ছাড়া কথা হয়নি কখনো।
ফোন দিব কি দিবো না, ইতস্তত করছি।
থাকতে না পেরে ফোন দিয়েই ফেললাম।
কিন্তু এবারও ফোন রিসিভ হলো না।
আমার মন খারাপের পাশাপাশি খুব রাগও হলো।
একটু পর ফোন বেজে উঠলো। স্ক্রিনে ওর নাম্বারটা দেখে মনের ভিতর একটা বিদ্যুৎ খেলে গেল।
চট করে রিসিভ করলাম।
হ্যালো,
ও পাশ থেকে বললো, সরি বাঘিনী,সরি আমার জান, কালকে সারাদিন এতো ব্যস্ত ছিলাম যে দম ফেলার সুযোগও খুব একটা ছিলো না। আর ফোন সাইলেন্ট করা ছিলো। ফোনের রিং টোন শুনতে পাইনি।
তাই তোমার ফোন রিসিভ করতে পারিনি।
এখন বলো কেমন আছো।
আর দাদু কেমন আছেন।
আমি বললাম,
আমি ভালো নেই,
আমি আপনাকে ছাড়া ভালো থাকি কি করে।
আমি কেমন করে আপনাকে ছাড়া এতগুলো বছর থাকবো।
ভেবো না, পড়াশুনা নিয়ে ব্যাস্ত থাকবে।
দেখবে দেখতে দেখতে সময়গুলি কেটে যাবে।
আর প্রতিবছর ভেকেশনে তো আসবোই। তখন দেখা করবো আমরা।
নিজের খেয়াল রাখবে, খাওয়া দাওয়া ঠিকমত করবে, নামাজ পড়ে আমার জন্য দুয়া করবে।
আমি যখন ফিরবো তখন তুমি আরও একটু বড় হবে। এই বাচ্চা বাচ্চা ভাবটা আর থাকবে না।
কলেজে পড়বে। কলেজ দূরে হলে রাস্তায় একা একাই চলাফেরা করতে পারবে।
খুব ইচ্ছে করছিলো যাওয়ার আগে তোমাকে একবার দেখতে। কিন্তু সেটাও সম্ভব না। এখনও কিছু ফর্মালিটিস বাকি সেগুলি সারতে হবে।
আমি যখন ভেকেশনে আসবো তখন আমরা বাইরে মিট করবো।
এমন চুপি চুপি ফোনে কথা বলবো না।
বাইরে বেড়াবো গল্প করবো, রেস্টুরেন্টে খাবো, হাতে হাত, চোখে চোখ রেখে চুটিয়ে প্রেম করবো। মনের ভিতর অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি নিয়ে ফিরে যাবো।
সেই সুন্দর দিনগুলির কথা ভেবে একটু খুশি হও। মনের কষ্ট ঝেড়ে ফেলে দাও।
আমি তোমার মন খারাপ দেখে যেতে চাই না ।
হাসি খুশি আমাকে বিদায় দাও।
যে কাজগুলি বাকি আছে, সেগুলি সেরে তারপর এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরবো। এগারোটায় ফ্লাইট তার অনেক আগেই রিপোর্টিং করতে হবে। তোমার সাথে আজ আর কথা হবে না।
আল্লাহ চাইলে পৌঁছে ফোন দিবো।
আমি কেদে ফেললাম, মুখে কিছুই বলতে পারলাম না।
আমি বুঝলাম ওপাশ থেকে জিয়ানও কাদছে।
খুব কষ্টে বললাম,
ভালো থাকবেন আর আমাকে মনে রাখবেন।
আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসার চেয়েও বেশি ভালোবাসি জিয়ান।
কান্না জড়ানো গলায় বললো,
আমার হরিণীকে ভুলে যাবো, এটা তো অসম্ভব।
আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি হরিণী।
জীবনে যত ঝড় তুফান আসুক আমরা দুজন দুজনার থাকবো।
ওয়াদা করো, তুমি শুধু আমার হয়ে থাকবে। আমার জন্য অপেক্ষা করবে।
আমি ওয়াদা করলাম আমি শুধু আপনার হয়েই থাকবো।
আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি মাই লাভ।
কান্নার মধ্য দিয়ে দুজনে দুজনার থেকে বিদায় নিলাম।
ফোন রেখে অনেকক্ষণ কাদলাম। কত কথা কত অভিযোগ জমিয়ে রেখেছিলাম সেসব কিছুই বলা হলো না।
তারপর বারান্দা থেকে কেবিনে এসে ওয়াশরুমে গিয়ে চোখে মুখে পানি দিলাম।
কেউ যদি আমার এই ফোলা চোখ মুখ দেখে তাহলে প্রবলেম হবে।
নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে।
চোখে মুখে পানি দিয়ে বেরুতেই দরজায় নক করার শব্দ শুনলাম।
দরজা খুলে দিতেই দেখলাম ডক্টর নার্স সবাই দাড়িয়ে আছে।
উনারা ভিতরে এসে দাদুকে দেখলেন। নিজেদের মধ্যে আলাপ করে ফলোআপ লিখে চলে গেলেন।
দুপুরে আম্মু খাবার নিয়ে হসপিটালে এলো।
ডিউটি ডক্টরের সাথে আলাপ করে জেনে নিলো দাদুর বর্তমান অবস্থা।
তারপর আমাকে খেতে দিয়ে দাদুকে খাওয়াতে বসলো।
খাওয়ানোর পর দাদুকে মেডিসিন খাইয়ে দিলো।
আমি পাশের বেডে শুয়ে জিয়ানের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম।
ঘুম ভাঙলো আম্মুর ডাকে।
আম্মু বললো,
বাসায় যাবি না? চল_
তখন সন্ধ্যা গড়িয়ে গেছে।
আমার এক কাজিনকে দাদুর কাছে রেখে আমি আর আম্মু বাসায় ফিরে আসলাম।
কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগছিল তাই গোসল
করলাম।
তাতেও মন শান্ত হচ্ছে না। ভিতরটা মনের কষ্টে পুড়ে যাচ্ছে।
এই কষ্ট কারো সাথে শেয়ার করা যায় না।
জিয়ান আজ চলে গেলো কানাডা।
রাত এগাোটায় বারান্দায় দাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম। যেই প্লেনই আকাশে উড়তে দেখলাম মনে হলো এই প্লেনের ভিতর আমার জিয়ান আছে।
জিয়ান কানাডা পৌঁছে ফোন দিল। শুধু বললো আমি ঠিকমত পৌঁছে গেছি।
আমার জন্য চিন্তা করোনা। তুমি ভালো থেকো মাই লাভ।
পরে আবার কথা বলবো। বলে ফোন কেটে দিলো।
এক সপ্তাহ পর
দাদুর শরীর একটু
ভালো।
দাদুকে বাসায় নিয়ে আসা হলো।
সাতদিন হয়ে গেছে জিয়ান চলে গেছে ।
এরমধ্যে আর কোন ফোন আসেনি ওর।
চরম মনোকষ্টে ছট্ফট্ করে দিনগুলি কাটছে আমার।
ও ফোন কেন দিচ্ছে না। আর তো মন মানে না। কি হল ওর। ও সুস্থ আছে তো?
ওর কিছু হয়নি তো আবার? নানান চিন্তায় অস্থির আমি।
দশ দিনের মাথায় ওর ফোন এলো।
বললো, প্রথমেই সরি বলে নেই দেরিতে ফোন দেয়ার জন্য।
নতুন জায়গা, নতুন মানুষজন, নতুন কালচার,নতুন পরিবেশ এসব মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগছে।
তারপর বলো কেমন আছো তুমি।
আপনি যেমন রেখে গেছেন, তেমনই আছি।
আপনি কেমন আছেন?
আমি ভাল আছি।
এখানে প্রচণ্ড ঠান্ডা । চারিদিকে শুধু বরফ আর বরফ।
ঠান্ডার সাথে মানিয়ে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। ভালো লাগছে না, মনে হচ্ছে না এলেই ভালো হতো।
তবে খুব সুন্দর জায়গা। যদিও কোথাও বের হইনি।
আশপাশ দেখেই বলছি।
তুমি ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করছো তো?
হুম,
আপনিও ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করছেন তো?
হুম, আমিও ঠিক মতোই খাচ্ছি। এতো ঠান্ডায় কিছু খেতে ইচ্ছে করে না।
তবে দেশের খাওয়া মিস করছি।
আপনি দেরিতে ফোন দেয়াতে আমি খুব রাগ করেছি।
আপনি জানেন আমার কতো টেনশন হচ্ছিল। কতো আবোল তাবোল বাজে চিন্তা মাথায় আসছিল।
সরি এগেইন,জান।
রেগুলার ফোন দিতে পারবো না, কারণ পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের সব কাজ আমাকেই করতে হয়। সময় মিলিয়ে উঠতে পারি না। তবে আমি সুযোগ বুঝে ফোন দিবো।
তুমি কোন চিন্তা করবে না।
ভালো থেকো, আমার থেকো আমার ভালোবাসা ।
(চলবে)
(বানানের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)