এমনও প্রেম হয় পর্ব:-৩৯

0
1197

#এমনও_প্রেম_হয়
#ইয়ানা_রহমান
#পর্ব:-৩৯

লিয়ার ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ। সবগুলি পরীক্ষাই মোটামুটি ভালো হইছে। রেজাল্ট বের হবে দুই মাস পর।

এই দুই মাস সে অলস না থেকে সময়টাকে কাজে লাগাতে চায়। নিজেকে সবসময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখে।

লিয়া গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্সে ভর্তি হলো। নিয়মিত ক্লাস করতে শুরু করলো । ক্লাসের পর বাসায় ইউটিউব দেখে বিভিন্ন টাইপের আধুনিক রান্না শিখতে লাগলো।

শ্বশুর বাড়িতেও শাশুড়ির সাথে রান্নার কাজে হেল্প করতো কিন্তু মূল রান্না শাশুড়ি মা নিজেই করতো।

এখন সে মূল রান্না করার কাজ নিজেই করতে পারে। কারো হেল্প লাগে না। খাবারও হয় খুব টেস্টি।

আয়ুশকে স্কুলে নেয়া আনা করে, পড়তে বসায়, ওর যত্ন নেয়।

ঘর গোছায়, ঘরের অন্যান্য কাজ করে। বাগানের পরিচর্যা করে। নতুন নতুন ফুলের চারা এনে রোপণ করে। সারাক্ষণ নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত রাখে।

ব্যাস্ত থাকলে সময়টা দ্রুত চলে যায়। অবসর সময় কাটতেই চায় না। তখন মনের মধ্যে ভিড় করে নানান প্রশ্ন, পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মিলে না কোন কিছুতে।

অনুভব করে কোথায় যেন একটা ভীষণ রকম শূন্যতা ঘিরে রেখেছে ওকে।

.
দিন শেষে সে ভীষণ একা। কষ্টের একটা বিরাট পাথর বুকে চেপে বসে আছে। উদয়ের কথা সবসময় মনে পড়ে। উদয়ের সাথে কাটানো সময়গুলি খুব মিস করে।

আয়ুশ পেটে আসার পর থেকে মানুষটার আমূল পরিবর্তন হয়েছিলো। কিসে আমার শান্তি, কিসে আমার স্বস্তি সবদিকে তার তীক্ষ্ম দৃষ্টি ছিল। সেই থেকেই দুজনের ভালোলাগা ভালোবাসার সৃষ্টি।

উদয় আমি আপনাকে ছাড়া ভালো নেই। কোথায় চলে গেলেন আপনি? কেন চলে গেলেন আপনি? চলেই যদি যাবেন তবে কেন এসেছিলেন আমার জীবনে? কেনো এতো ভালোবাসলেন তবে?

এতো বড় বিশাল জীবনে কষ্টের ভার আর বয়ে বেড়াতে পারছিনা। আপনার কাছে আমাকে নিয়ে যান।

চারিদিকে শুধু শূন্যতা আর হাহাকার। কবে শেষ হবে আমার এই কষ্টের জীবন। অর্থহীন একটা জীবন টেনে নিয়ে বেড়াচ্ছি। যে জীবনে নেই কোন স্বপ্ন, নেই কোন আশা।
আছে শুধু হতাশা আর দীর্ঘ নিশ্বাস।

.
আজ নাফিসার বিয়ে। নাফিসা আমাকে গায়ে হলুদে আসতে বিশেষভাবে বলেছিল, কিন্তু আমি আসিনি। কারন আমি বিধবা। আমার সাজ পোশাক গায়ে হলুদের জন্য না।

কোথাও শুনেছিলাম বিধবাদের কোন শুভ অনুষ্ঠানে যেতে নেই। তাতে যার অনুষ্ঠান তার অকল্যাণ হয়।

এই জন্য আমি কোথাও যাই না। আমি চাই না আমার অশুভ ছায়া কারো জীবনে পড়ুক।

যদিও জানি এসব কুসংস্কার ,
তারপরও মনের ভিতর একটা খটকা লেগেই থাকে।

আমার জন্য যেনো নাফিসার কোন ক্ষতি না হয়। ও আমার একমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড। আমার জন্য ওর কোন ক্ষতি আমি মেনে নিতে পারবো না।

বিয়েতে এসেছি না পেরে। সম্ভব হলে বিয়েতেও আসতাম না। নাফিসার খুব অনুরোধের জন্য আসতে বাধ্য হয়েছি। তাও এসেছি অনেক দেরিতে। ইচ্ছে করেই দেরিতে এসেছি।

সাদার ভিতর সাদা কাজ করা এটা কাতান শাড়ি সাথে হাই নেক থ্রি কোয়ার্টার হাতার ব্লাউজ পড়েছে। লম্বা চুলে একটা বেণী করা। কানে দুইটা পার্ল টপ দুল, গলায় রেগুলার পড়া একটা স্বর্ণের চিকন চেইন। বাম হাতে একটা ঘড়ি, সাথে সাদা স্টোনের একটা ছোট পার্স, ব্যাস এই ওর সাজ। মুখে কোন ধরনের মেকাপের ছিটে ফোটাও নেই।

.
বরযাত্রী এখনও আসেনি। বেলা তিনটার বেশি বাজে।

নাফিসাকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। লাল বেনারসি আর অনেক গহনায় ওকে রানীর মত লাগছে।

নাফিসা আমাকে ওর কাছেই বসিয়ে রেখেছে। আমি কোন সাজগোজ করিনি কেন, তা নিয়ে একটু বকাঝকা করলো।

বললো তুই একদম বদলে গেছিস , নিজের দিকে মোটেও খেয়াল করিস না। কুড়ি পার হতেই বুড়ি হয়ে গেছিস।

বললো তোর বিধবা হওয়ার পিছনে তোর কোন হাত নেই, সব আল্লাহর ইচ্ছা।

কত বুড়ি বুড়ি বিধবাদের দেখেছি সেজে গুজে লাল শাড়ি পড়ে পার্টিতে যেতে। আর তুই সেই যে সাদায় ডুবেছিস। আর বাকি রংদের সাথে আরি নিয়েছিস নাকি? কোথাও লেখা আছে বিধবাদের রঙিন কিছু পড়তে নেই?
আরে এমন বেরঙ হয়ে ঘুরে বেড়ালে কি হয়?

আরো কত কি বললো। একটু রাগও দেখালো।

নাফিসার মাও আমাকে বুঝালো, যা হয়েছে তাতে তোমার কি দোষ! আল্লাহ যা ভালো মনে করেছেন তাই করেছেন। তুমি কোন কুসংস্কার মনে না রেখে স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে। সবার সাথে মিশবে।

যে ঘটনায় তোমার কোন হাত নেই, তার জন্য নিজেকে অপরাধী ভেবো না। তুমি আমার মেয়ের বিয়েতে এসেছো, এইজন্য আমি খুব খুশি হয়েছি।

.
নাফিসা চারিদিকে চোখ ফিরিয়ে ফিসফিস করে কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো_ জিয়ান ভাই দেশে ফিরে এসেছে, জানিস?

বিদেশে থাকতে ফেইসবুকে আমাকে নক করতো প্রায়ই।

আমার সাথে মাঝে মাঝে অনেক কথা হয়। যা কথা হয় সব তোকে নিয়ে।

তোর কথা জিজ্ঞেস করছিল, তুই কেমন আছিস, কি করছিস এখন, এইসব জিজ্ঞেস করছিলো।

আমি তাকে তোর সব কথা বলেছি। উদয় ভাইয়ার মারা যাওয়ার কথাও বলেছি। শুনে সে খুব আফসোস করেছে।

.
লিয়া বললো,
দেশের ছেলে দেশে ফিরে এসেছে, তাতে এতো খুশি হওয়ার কি আছে।

ঘরের ছেলে ঘরে ফিরবে এটাইতো স্বাভাবিক। এক সময় তো দেশে ফিরে আসতোই। বরং আরো অনেক আগেই ফিরে আসার কথা ছিলো।

.
এসেছিলো তো সাত মাস আগে একবার। তার মায়ের অসুখ হয়েছিলো। তাকে দেখতে এসেছিলো। দুই সপ্তাহ থেকে চলে গেছে। গত পরশু আবার দেশে এসেছে। বললো এবার অনেকদিন থাকবে।

.
ভালো, এসব কথা আমাকে বলছিস কেনো। এই খবরে এখন আর আমার প্রয়োজন নেই।

.
আমি বলি কি তুই জিয়ান ভাইয়ের সাথে রিলেশনটা আবার কন্টিনিউ কর। সে তোকে এখনও অনেক ভালোবাসে।

.
নাফিসা তোর মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে।
জিয়ান অবিবাহিত একটা ছেলে আর আমি বিধবা মহিলা। আবার সাথে চার বছরের একটা বাচ্চাও আছে।

কিসের সাথে কি মিলাচ্ছিস। এধরনের বাজে কথা আর বলিস না।

ও আমার প্রথম প্রেম। ওকে আমি সত্যি অনেক ভালোবাসি। আর ভালোবাসি বলেই ওর ভালো চাই। কোনভাবেই ওর জীবনের সাথে আর জড়াবো না। আর সেটা উচিতও হবে না।

ওর সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যত আর আমার জীবনের কোন লক্ষ্যই নেই। অন্ধের মত পথ চলছি। শুধুই নিজেকে ব্যস্ত রাখি অতীত ভুলে থাকতে।

গতকাল ক্লাস থেকে আসার সময় জিয়ানকে আমি রাস্তার মোড়ে দেখেছি , তখন আমি দ্রুত অন্য রাস্তা দিয়ে চলে এসেছি। আমি ওকে দেখেছি কিন্তু ও আমাকে দেখেনি মনে হয়।

ওর ভালো চাই বলে দূরে সরে থাকতে চাই। কোথায় ও আর কোথায় আমি। ওর সাথে আমার যায় না। এখন দুজন সম্পূর্ণই মিস ম্যাচ।

আমি ওর কাছ থেকে বাহানা দিয়ে সরে এলাম। ওর ফটো শুট করছে। আমার জন্য ছবিগুলো নষ্ট হয়ে যাবে তাই সরে এলাম। নতুন বউয়ের পাশে সাদা শাড়ি পরিহিত একজন মানুষ খুবই বেমানান।

বর এসেছে, নাফিসার বর দেখতে বেশ হ্যান্ডসাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই সুন্দরভাবে নাফিসার বিয়ের কাজ সম্পন্ন হলো।
খাওয়া দাওয়ার আচার অনুষ্ঠান শেষে চলে এলো বিদায়ের ক্ষণ।

দূরে দাঁড়িয়ে নাফিসার বিদায় দেয়া দেখলাম। অশ্রুশিক্ত চোখে মনে মনে ওর সুখী জীবনের জন্য অনেক দোয়া করলাম।

.
জিয়ান এর আগেরবার যখন দেশে এসেছে নাফিসার কাছ থেকে লিয়ার সব কথা জেনেছে। খুব আফসোস করেছে সে।

আড়াল থেকেই লিয়াকে দেখেছে সামনে কখনো আসেনি।

এবার আসার পর জিয়ান লিয়াকে কল করলো।

লিয়া ফোন রিসিভ করে, ওপাশে জিয়ানের গলার আওয়াজ শুনে ফোন কেটে দেয়।

কিছুতেই সে জিয়ানের সাথে কথা বলবে না। কথা বললেই দুর্বল হয়ে যাবে। নিজেকে আর ধরে রাখতে পারবে না। ফোন কেটে দিয়ে অনেকক্ষণ কাদলো সে।

জিয়ান প্রতিদিন লিয়াকে ফোন দেয়_
কিন্তু লিয়া কোনদিন জিয়ানের ফোন রিসিভ করে নি।

জিয়ান তখন অন্য নাম্বার দিয়ে কল দেয়_

লিয়া রিসিভ করে, যখন দেখলো কলটা জিয়ানের তখনই কল কেটে দেয়।

তাই জিয়ান আর কোনভাবেই লিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে পারে না। জিয়ান খুব হতাশ হয়।

জিয়ান আর লিয়াকে কখনো কল করেনি।

ও বুঝে যায়, লিয়া ওর সাথে কথা বলতে চায় না। আর কোন যোগাযোগ রাখতে চায় না।

তাই জিয়ানও আর যোগাযোগ করার চেষ্টা করেনি।

.
একদিন রাতে লিয়ার আব্বু মিজান সাহেব খাবার টেবিলে বসে সবার সাথে খাবার খেতে খেতে লিয়াকে বললো, আমি তোর বিয়ের কথা ভাবছি। আমি আবার তোর বিয়ে দিবো।

একটা ভালো ঘর থেকে প্রস্তাব এসেছে। আর প্রস্তাবটা আমার পছন্দ হইছে।

আমি ওদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে ওদের সাথে সমন্ধ করবো বলে কথা দিয়েছি।

আমি ওদেরকে তোর সম্পর্কে সব বলেছি। কোন কথা গোপন করিনি। সব শুনে ওরা অমত করেনি।

এব্যাপারে তোর কিছু বলার আছে?

.
আমি বললাম, বিয়ে করাটা কি খুব জরুরী আব্বু?

আমি কি তোমাদের কাছে এতোই বোঝা হয়ে গেছি। সেজন্যই কি আমাকে তাড়াতে চাইছো?

আমাকে দুর করতে পারলেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বলেই কেঁদে ফেললো।

আমি যেমন আছি তেমনই থাকতে চাই। আমি দ্বিতীয়বার আর বিয়ে করতে চাই না।

.
আমাকে ভুল বুঝিস না। আমার সন্তানেরা কখনোই আমার বোঝা না। আমি তোদের সবাইকে খুব ভালোবাসি। তোদের ভালো চাই। তোদের লাইফ সিকিউর করে যেতে চাই। আমি চাই আমি বেচেঁ থাকা অবস্থায় তোর একটা উত্তম ব্যবস্থা করতে।

আমি দুনিয়া থেকে চলে গেলে তোকে কে দেখবে? তোকে একজন সৎপাত্রের হাতে তুলে দিয়ে যেতে পারলে আমি মরেও শান্তি পাবো।

আমার কথাটা রাখ, প্রস্তাবটা খুব ভালো। আমার খুব পছন্দ হয়েছে ছেলের ফ্যামিলি আর ছেলেকে।

.
আমাকে একটু সময় দাও ভেবে দেখার জন্য প্লিজ।

লিয়া নিজের বিয়ের কথা শুনে রাগে দুঃখে কাদঁছে আর ঘরময় পায়চারী করছে। আব্বুর কথা শুনলেও বিপদ না শুনলেও বিপদ। আমি এখন কি করবো?

এর মধ্যেই জিয়ানের কল এলো। লিয়া নাম্বারটা চিনে তাই কল কেটে দিলো। বারবার কল করতে থাকলো। লিয়া রেগে গিয়ে ফোনটা সুইচড অফ করে দিলো।

.
লিয়া তৎক্ষণাৎ ওর আব্বুকে জানিয়ে দিলো সে বিয়েতে রাজি। বললো,
আমি তোমার কথার অবাধ্য হবো না। কিন্তু আমার ছেলের কি হবে আব্বু?
আয়ুশকে কি ওরা মেনে নিবে?

.
ওরা মানুক আর না মানুক আয়ুশকে অন্য কোন বাড়িতে আমি দিবো না বললো আফরোজা। ওকে আমিই লালন পালন করবো।

আয়ুশ আমাদের কাছেই থাকবে।

.
আয়ুশকে ছাড়া আমি থাকবো কিভাবে আব্বু? ওকে ছাড়া আমার খুব কষ্ট হবে।

.
আয়ুশকে আমরা তোর মতই ভালোবাসি। আমাদের কাছে ওর কোন কষ্ট হবে না। ও ভালোই থাকবে।

.
লিয়া ওর আব্বুর মুখের ওপর আর কোন কথা বলতে পারেনি।

.
লিয়া ভাবলো এক দিকে ভালোই হয়েছে জিয়ানকে দূরে সরাতে এর চাইতে ভালো আর কোন পথ নেই।

কোনভাবেই আর জিয়ানকে ওর জীবনের সাথে জড়াবে না।

তাই লিয়া বললো, তোমার মতের বাইরে আমার কোন মত নেই। তোমাদের ইচ্ছাই আমার ইচ্ছা। তুমি যা ভালো মনে করো তাই করো।

.
মিজান সাহেব রিয়াকে ডেকে বললো, দেখ লিয়াকে ও আমার কতোটা বাধ্য সন্তান। তুইও আমার বাধ্য হবি এটাই আমি চেয়েছিলাম।

সন্তানরা বাবা মায়ের বাধ্য হবে, এটাই সব বাবা মা চায়। আর বাবা মা সবসময় সন্তানের ভালোই চায়। সবসময় সন্তানের মঙ্গল কামনা করে।

.
লিয়ার বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়ে গেছে। অল্প দিন বাকি বিয়ের। খুব ধুমধাম করে লিয়ার বিয়ের ব্যাবস্থা করলেন মিজান সাহেব।

.
লিয়া চেয়েছিল ঘরোয়াভাবে খুব সাধারণ ভাবেই বিয়েটা হোক। কিন্তু ওর আব্বু সে কথা শোনেনি।

.
মিজান সাহেবের কথার বাইরে যাবার সাহস কারো নেই ।
খুব ধুমধাম করে লিয়ার বিয়ে হয়ে গেলো।

আয়ুশকে বুকে জড়িয়ে ধরে খুব কাদলো লিয়া। এই বাচ্চাটাকে দুনিয়ার আলো দেখানোর জন্য কত কষ্ট সহ্য করেছে ও। এখন সেই বাচ্চার কাছ থেকে দূরে যেতে হবে। এটাই ওর ভাগ্যের লিখন। ছেলেকে বুকে নিয়ে কেদে যাচ্ছে।

.
ওর আম্মু আফরোজা বললো তুই কান্না বন্ধ কর। আমার কাছে আয়ুশ ভালো থাকবে। আমি ওকে খুব আদর করে রাখবো। আর তুই তো খুব বেশি দূরে যাচ্ছিস না। ঢাকাতেই থাকবি। যখন মন চায় চলে আসবি।

আবার আয়ুশকে নিয়েও তোকে মাঝে মাঝে দেখিয়ে আনবো।

.
আম্মুকে জড়িয়ে ধরে ও অনেকক্ষণ কান্না করলো। বললো, আমার আয়ুশকে দেখে রেখো আম্মু।

ওতো এখনও অনেক ছোট। বড় দুর্ভাগা আমার ছেলেটা। ওর বাবাও চলে গেছে পরপারে, আর আজ ওর মাও দুর হয়ে গেলো ওর জীবন থেকে।

মা মেয়ে দুজনেই জড়াজড়ি করে কাদতে লাগলো।

মিজান সাহেব এসে লিয়াকে অনেক বুঝিয়ে কান্না থামিয়ে গাড়িতে তুলে দিলো। কান্না ভেজা চোখে মেয়েকে বিদায় দিলেন।

কিন্তু মনে মনে একটা বিরাট স্বস্তি পেলো। বর্নহীন জীবন থেকে ফিরিয়ে এনে মেয়ের জীবনে রং ভরিয়ে দিতে পেরেছে।

(বানানের ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন)

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here