কাজল নদীর জলে পর্ব-১৩

0
1042

কাজল নদীর জলে
আফিয়া আপ্পিতা

১৩.
বিছানায় এলোমেলো করে রাখা জামাকাপড়ের স্তুপ। সেই স্তুপের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বিছানার কাছে দাঁড়িয়ে আছে সুরলা। চিন্তায় মগ্ন সে। কোন জামাটা পরলে তাকে ভালো লাগবে, কোন জামা পরে সে চয়নের সামনে যাবে ভেবে কূল পাচ্ছে না। চিবার জন্মদিন আর দুইদিন পর। চিবার জন্মদিনটা বেশ ঘটা করেই পালন করা হবে। আমন্ত্রিত অতিথির তালিকা নেহাৎই কম নয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি তালিকার শীর্ষে আছে নিতু এবং তার পরিবার। সুরলাকে নিতুদের পরিবারের সদস্যই ধরা হয় বলতে গেলে। সে হিসেবে চিবা ফোন করে আলাদাভাবে দাওয়াত দেয় সুরলাকে। রেহানা জাহান ও বোনের সাথে কথা বলে নিতুকে খিলগাঁও পাঠানোর জন্য রাজি করিয়েছেন। এতে সুরলা বেজায় খুশি। চয়ন ঢাকায় আসলে সে খিলগাঁও যাবে বলে আগে থেকে ঠিক করা। কী বলে যাবে সে বাহানা খুঁজছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে তার কিছু করা লাগল না, সব আপনা আপনিই হয়ে গেল। মা তাকে আজ সকালে বলেছে যাবার কথা। বলতে দেরি, রুমে এসে ট্রলি বের করে কাপড় গুছানোর জন্য উদ্যত হতে দেরি নেই। এখন কী পরবে না পরবে সেটা নিয়েই বিপাকে পড়েছে। ঘন্টাখানেক ভাবে, সমাধান পায় না।

রাশনাকে ভিডিও কল দিয়ে সব ড্রেস দেখায় এবং পরামর্শ চায়। রাশনা পরামর্শ দেয়, ডার্ক ব্লু বারবি গাউন পড়তে। বার্থডে পার্টিতে বেশ যাবে সেটা।
গাউনটা কয়েকদিন আগেই নিয়েছে সুরলা। পরা হয়নি। সুরলা রাশনার পরামর্শে সহমত প্রকাশ করে। গাউন এবং সেই সাথে যাবতীয় প্রসাধনী নিয়ে নেয়। ঝটপট ব্যাগ গুছিয়ে তৈরি হয়ে রওনা দেয়। সাবিনা ভ্রু কুঁচকে সব দেখেন। তার খটকা লাগে। মেয়ের উচ্ছ্বাস দেখে প্রশ্ন করেন না।


খালার বাসায় গিয়ে ব্যাগ রেখেই নিতুর সাথে জন্মদিন উপহার সমন্ধীয় আলোচনায় বসে সুরলা। নিতুর উপহার কেনা হয়ে গেছে। সুরলা নিতুকে নিয়ে বেরুবে বলে কিনে নি। বিকেলে দু’জনে গিফট কিনতে বেরিয়ে পড়ে। বাসার গেটেই চিবার সাথে দেখা হয় তাদের। বান্ধবীকে চোখে পড়তেই এগিয়ে আসে চিবা। উৎফুল্লতার সাথে বলে,
“নিতু কোথায় যাচ্ছিস?”
” আপুকে নিয়ে শপিংয়ে যাচ্ছি।” সরে গিয়ে সুরলাকে দেখিয়ে বলে নিতু। চিবার নজরে আসে সুরলা। সুরলা নিতুর পেছনে দাঁড়ানোয় ইতিপূর্বে তাকে চোখে পড়ে নি চিবার। চিবা হেসে বলে,
“কেমন আছো আপু?”
“ভালো। তুমি কেমন আছো?” হেসে উত্তর দেয় সুরলা।
“কতদিন পর দেখছি তোমায়! আজকাল নিতুদের বাসায় আসা কমিয়ে দিয়েছো মনে হয়!”
“ঠিক তা নয়। পড়াশুনার একটু চাপ ছিল তাই মাস খানেক আসা হয় নি। ”
“আমার জন্মদিনে নিতুর সাথে সবার আগে তোমাকে আমাদের বাসায় দেখতে চাই। আমাদের বাসা থেকে একসাথে হলে যাব। তুমি আসবে কিন্তু! ” আমন্ত্রণনামা মনে করিয়ে দেয় চিবা। সুরলা ইতিবাচক জবাব দেয়,
“অবশ্যই আসব। তোমার জন্মদিন উপলক্ষেই এখানে আসা।”
“যাক, জেনে খুশি হলাম।” চিবা খুশি হয়। কিছু একটা ভেবে বলে,
” ফোনে তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করবে ভেবে ও করা হয় নি। আচ্ছা আপু, তুমি লাস্ট যখন এসেছো তখন আন্টি মানে নিতুর মায়ের সাথে কি জগিং-এ বেরিয়েছো?” নিতুকে জিজ্ঞেস করবে বললেও করে নি। এখন সুরলাকে দেখে চয়নের বলা নিতুর ছোটবোনের কথা মনে পড়েছে।

সুরলা ভ্রু কুঁচকে বলে,”হ্যাঁ, এখানে এলেই তো আমি খালামণির সাথে জগিং-এ যাই। কেন!” চয়ন আবার বাসায় কিছু বলে টলে দেয় নি তো! ভাবে সুরলা। চিবা আবারও প্রশ্ন করে,
“জগিং করতে গিয়ে ভাইয়ার সাথে দেখা হয়েছে তোমার?”

“কোন ভাইয়া!” না জানার ভান করে সুরলা। আগ বাড়িয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না।
” চয়ন ভাইয়ার সাথে? ”
সুরলা ঢোক গিলে। এখন কী নিতুর কাছেও ধরা পড়ে যাবে? নিতু শুনেছে মানে পুরো দুনিয়ার মানুষ শুনবে। সুরলা আবার ও না জানার ভান করে। প্রশ্নবোধক চাহনি দিয়ে নিতুর দিকে তাকায়। নিতু ফিসফিস করে বলে,
“তোমার আমার চুল টানাটানিতে পাশের বিল্ডিংয়ের ছাদে থাকা একমাত্র দর্শক ছিল যেই ছেলেটা, তার কথা বলছে চিবা। ওর ভাই চয়ন। ওদের বাসায় ও তো দেখা হয়েছে তোমার সাথে, সিড়ি ঘরে। ভুলে গেলে! ” সুরলাকে মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।

সুরলা মনে মনে হাসে। ভুলে তাকেই যায়, যার বিচরণ মনের ক্যানভাসে দেখা যায় না। যে প্রতিক্ষণ মনের ক্যানভাসে বিচরণ করে তাকে কিভাবে ভুলে যায়! নেহাৎ না জানার ভান করে আছে। নয়তো এই কথাটা বলে দিত নিতুকে। সুরলা খানিক ভাবে। তারপর মনে পড়ার ভান করে বলে,
“ও হ্যাঁ মনে পড়েছে। ওই ছেলেটার সাথে দুই একদিন জগিং করতে গিয়ে দেখা হয়েছে?”
“কথা হয়েছে?” প্রশ্ন করে চিবা।
“টুকটাক।”
” তারমানে ভাইয়া তোমার কথাই বলছিল।”

সুরলা চমকায়। চয়ন তার কথা বাসায় বলেছে! কী বলেছে! নিতুর দিকে তাকায়। নিতু ভ্রু কুঁচকে তার দিকে তাকিয়ে আছে। সুরলা প্রশ্নবোধক চাহনি দিয়ে বলে,
“কী বলেছে!” নিশ্চয়ই ভালো কিছু বলেছে। ভাবে সুরলা। একপ্রকার কৌতুহল কাজ করছে তার মাঝে।

চিবা বলে,
” একদিন জগিং থেকে এসে আমাকে বলে, আমি এত বড় হয়ে ও জগিং করি না। অথচ নিলয়ের ছোটবোন আমার থেকেও ছোট হয়ে প্রতিদিন ভোরে ওঠে জগিংএ যায়। আমার তার থেকে শেখা উচিত। আমি চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম, নিতুর ছোটবোন তো নেই। ভাইয়া কাকে নিতুর ছোটবোন ভাবছে। পরে খেয়াল হল সম্ভবত তোমাকেই নিতুর ছোটবোন ভেবেছে। এখন নিশ্চিত হলাম। নিতুর সেই তথাকথিত ছোট বোন তুমিই ছিলে। ” অকপটে বলে যায় চিবা।

নিতুর ভীষণ হাসি পায়। এটাই শোনার বাকি ছিল! সে হাসি চেপে বলে,
” সুরলা আপুকে দেখতে অনেক পিচ্ছি লাগে তো, তাই হয়তো চয়ন ভাইয়া আপুকে আমাদের ছোটবোন ভেবেছে।”

“আমি যখন ভাইয়াকে বলি, নিতুর ছোটোবোন নেই। তখন ভাইয়া আমার সাথে তর্ক জুড়ে দেয়। বলে আপু নাকি তোদের ছোটোবোন। সর্বোচ্চ সেভেন এইটে পড়ে এমন হবে। সুরলা আপুকে দেখতে তেমনই মনে হয়। আপু তুমি কিছু মনে করো না।” সরল গলায় বলে চিবা।

সুরলার ফুস করে নিঃশ্বাস নেয়। এটাই হবার ছিল! এতদিন ফোনে কথা বলে, ম্যাসেজিং এর মাঝে কম হলেও হাজারবার সুরলা বলেছে তার পড়াশোনা এবং বয়সের কথা, প্রমাণও দেখিয়েছে। চয়ন বিশ্বাস করে না। উলটো প্রতিবারই হেসে জবাব দেয়, “ছোট আছো ছোটোই থাকো, বড়ো হওয়ার চেষ্টা করো না। মানাবে না। তুমি যত যাই বলো আমি বিশ্বাস করব না। ” চয়নকে বিশ্বাস করানো দায়। চয়ন তাকে ছোটো বোনের মতই ট্রিট করে। দুই একদিন তো বলেই দিয়েছে, ‘আমার মাঝে মাঝে আফসোস হয়, কেন তোমার মত একটা পিচ্ছি বোন নেই। থাকলে কত মজা হতো!” চয়নের এই কথা শুনে সুরলা রেগে কল কেটে দিয়েছে প্রতিবারই।

কথায় কথায় অনেকভাবে চয়নকে নিজের মনের কথা বুঝানোর চেষ্টা করেছে। চয়ন উলটো বুঝে সবসময়। চয়নের মনে আলাদা কোন ভাবনা আসে নি এখন অবধি। তা বেশ বুঝতে পারে সুরলা। কবে বুঝবে চয়ন তাকে! ছোটোবোনের অভাব শুধু, বউয়ের অভাব নয়? বোন না ভেবে বউ তো ভাবতে পারে! একরাশ অভিযোগ সুরলার। যা ঘুণাক্ষরেও টের পায় না সুরলা। সুরলার নিরবতা দেখে চিবা মলিন গলায় বলে,

“আপু তুমি কিছু মনে না। প্লিজ! বার্থডে পার্টিতে তো ভাইয়া আসবে না, আসলে পরিচয় করিয়ে দিতে পারতাম সঠিকভাবে। ”

ভাইয়ের না আসার কথা বলতে গিয়ে মুখ মলিন হয় চিবার। সুরলা কৃত্রিম হেসে বলে,
“পরিচয় করিয়ে দেয়া লাগবে না, আমি কিছু মনে করি নি। ”

এদিকে নিতুর পেটে হাসির দলেরা কিলবিল করছে। যেকোন মুহুর্তে বেরিয়ে আসবে। এখানে হাসা যাবে না। চুল টানাটানির সিন রিপিট হবে। তাই প্রসঙ্গ পালটায়,
“তা চিবা, তুই কোথায় যাচ্ছিস?”
চিবা উত্তর দেয়,
“তোদের বাসায় যাচ্ছি।”
“আমাদের বাসায়!”
“তোর একটা হেল্প লাগব আমার। তাই তোদের বাসায় যাচ্ছি।”
“কী হেল্প।”
“বাসায় চল, তারপর বলছি।”
“চল তবে।” বাসার দিকে ফেরে নিতু। চিবা বাধা দিয়ে বলে,
“এখন তোদের বাসায় যাব না। তুই বরং আমাদের বাসায় চল।”
“শপিং থেকে ফিরে যাই?”
“না এখনি চল।” তাড়া দেয় চিবা। সুরলা আপত্তি জানায়।
“শপিং থেকে ফেরার পথে যাবে নিতু। এখন একটু যেতে হবে আমাদের। কিছু মনে করো না।” কৃত্রিম হাসি দিয়ে বলে সুরলা। সুরলার কথার উপরে কথা বাড়ায় না চিবা। যেতে দেয় তাদের। নিজের বাসার দিকে হাটা ধরে। চিবার দৃষ্টির আড়াল হতেই হাসিতে পেটে পড়ে নিতু। হাসতে হাসতে রাস্তার ধারে বসে পড়ে। বলে,
“এখন পারলে চট্রগ্রাম গিয়ে চয়ন ভাইয়ার চুল ছিঁড়ে আসো।” সুরলা রেগে তাকায়। নিতুর হাসির গতি বাড়ে। পথচারীরা আড়চোখে তাকায় সেদিকে। তাও নিতুর হাসি থামেনা। ধমক দিয়ে নিতুর হাসি থামায় সুরলা। শপিংয়ে শেষে বাসায় ফিরে সবাইকে বলে আরেক ধপা হাসে।

দুদিন পর সন্ধ্যায়,
ডার্ক ব্লু গাউন এর সাথে ভারী মেক আপ নিয়ে তৈরি হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখছে সুরলা। একটু পরেই তারা সবাই হলের উদ্দেশ্যে বের হবে। চিবার জন্মদিন পার্টির ভেন্যু হচ্ছে ফরচুন কনভেনসন হল। চিবার অনুরোধে নিতু এবং সুরলাকে তাদের বাসা থেকে তার সাথে হলে যাবার কথা থাকলে ও সুরলার তৈরি হতে দেরি হওয়ায় তা আর হয়ে ওঠে না। তারা সরাসরি হলে যাবে। সুরলা জন্মের পর থেকে এতটা সাজে নি বোধহয়,যতটা আজ সেজেছে। নিতু, নিতিকার সাজ সেই কখন শেষ। সবাই বসার ঘরে অপেক্ষা করছে সুরলার। সুরলা নিতিকার ঘরে দরজা বন্ধ করে সাজতে বসেছে। নিজেকে আরেকবার আয়না দেখে ফোন আর পার্স নিয়ে রুম থেকে বের হয় সুরলা। বসার ঘরে গিয়ে বলে,
“আমি রেড়ি, চলো এবার।”

সবার নজরে আসে সুরলা । বিস্মিত চাহনি ফেলে সবাই। সুরলাকে এত সাজতে দেখেনি যে তারা! চেনাই যাচ্ছে না, চেহারা পালটে গিয়েছে যেন। নিতু অবাক কন্ঠে বলে,
“আপু তোমাকে তো চেনাই যাচ্ছে না।”
“সুন্দর লাগছে না?”
নিতুর জবাব দেবার আগে রেহানা এসে দোয়া পড়ে ফুঁ দেন। বলে,
“ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে তো। কারো নজর না লাগে।”
নীলয় বলে,
“তোমাকে বারবি ডলের মত লাগছে আপু।”

সুরলা হাসে। যাক, খারাপ লাগছে না। নিতিকা বাঁকা চোখে তাকায় সুরলার দিকে। কিছু বলে না। পার্টিতে যায় সবাই। সুরলা চারপাশ চোখ বুলিয়ে চয়নকে খুঁজে। কাল রাতে যখন চয়নের সাথে কথা হয়েছে তখন চয়ন বলে, রাত বারোটায় এসে চিবাকে উইশ করবে। রাতে এলে এখন পার্টিতে থাকার কথা। কিন্তু চোখে পড়ছে কেন! সুরলা চয়নকে কল দেয়। ফোন রিং হয়, কিন্তু রিসিভ হয় না। চয়ন কি তবে আসে নি? তার এত সাজসজ্জা তবে কার জন্য! মলিন মুখে একটা চেয়ারে বসে সুরলা। সময় বাড়ে কিন্তু চয়নের দেখা পায় না। রাত আটটা নাগাদ কেক আনা হয়। চিবা তার মা আর ভাই চরণকে নিয়ে যখনই কেক কাটতে যাবে তখন একটা কথা ভেসে আসে সবার কানে।
” কী হচ্ছে এখানে!” সবাই থেমে যায়। বাক্যের উৎসহ খুঁজে এদিক ওদিক তাকিয়ে। সমাধান হয়ে ধূসর রঙের শার্টের উপর কালো ব্লেজার পরনের চয়ন ভীড় ঠেলে বোনের দিকে এগুয় ধীর পায়ে। চয়নকে দেখতেই চিবা চিৎকার দিয়ে লাফিয়ে ওঠে। ভাইকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়। চয়ন বোনকে আগলে হেসে বলে,
” এমনিতে তোকে পেত্মীর মত লাগে, মেক আপ মাখিয়ে কাঁদলে আরো বাজে লাগবে। শেষে সবাই ভয়ে পালাবে।”

চিবা ভাইকে ছেড়ে ভেজা গলায় বলে,
” জানো তোমায় কত মিস করছিলাম!”
“অনেকদিন কেক খাই না, তাই চলে এলাম কেক খেতে। তুই আবার ভাবিস না তোকে সারপ্রাইজ দিতে এসেছি। ” চিবা হাসে সে জানে তার ভাই তাকে সারপ্রাইজ দিতেই এসেছে। কিন্তু স্বীকার করবে না। তার জাত যাবে যে! সে হেসে বলে,
“বুঝতে পেরেছি তুমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা এসেছো এক টুকরো কেক খেতে। চলো কেক কাটি।”

মা ভাইয়ের সাথে কুশল বিনিময় করে চয়ন বোনের সাথে দাঁড়ায়। চয়নকে দেখেই লাফিয়ে ওঠেছে সুরলা। মুখে মলিনতা সরে গিয়ে উৎফুল্লতা দেখা দিয়েছে। ধীর পায়ে এগুয় স্টেজের দিকে। যেখানে চিবারা কেক কাটছে। তার স্থির দৃষ্টি চয়নের দিকে। ঠোঁটের কোণে হাসি নিয়ে তাকিয়ে আছে। কেক কাটা হয়। উপহার পর্ব শেষে ডিনারের আগে সবাই যে যার মত খোশগল্পে মত্ত হয়। সুরলা তার নিতু আর চিবার সাথে বসে গল্প করছে। চয়ন চরণের সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। এক পর্যায়ে চরণের কলে এসে সে অন্যদিকে চলে যায়। চয়ন একা হয়। সুরলা ওয়াশরুমের কথা বলে এগুয় সেদিকে। চয়নের কাছে গিয়ে কোন ভণিতা ছাড়াই বলে দেয়,

“শুনুন, আপনি ট্রান্সপার নিয়ে ঢাকা চলে আসুন। বিয়ের পর আপনাকে ছাড়া আমি থাকতে পারব না।”

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here