#কিশোরী_মাফিয়া
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_৫
–ঈদনি আমায় জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে!কিন্তু যখনি আমার নজর তার চেহারার দিকে পড়লো,তখনি বড়সড় একটা শকট খেলাম!তার চেহারার দিকে তাকাতেই দেখতে পেলাম,তার দুই চোখের কোনায় পানি জমে আছে!বেশ অদ্ভুত লাগলো ব্যাপারটা!কারন তার চোখের পানি গুলো আমায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিচ্ছে,যে সে কান্না করেছে!কিন্তু কেন সে কান্না করলো!সে তো গতরাতে বেশ কর্কশ ভাষায় আমার সাথে কথা বলেছে!আর তাছাড়া আমার উপরে তো রিভেঞ্জ ও উঠিয়েছে!তাহলে কান্না করলো কেন!তার তো খুশি হওয়ার কথা!এসব নিয়ে ভাবছিলাম,তখনি ঈদনির চোখের কোনে জমে থাকা এক ফোঁটা পানি তার চোখের কোন ছাড়িয়ে মুখে গড়িয়ে পড়লো!জিনিসটা দেখে ভিতরটা কেমন যেনো কেঁপে উঠলো!
নিজের অজান্তেই ঠোঁটটা তার চোখের সামনে নিয়ে গেলাম।তারপর তার অশ্রু ভরা চোখে আলতো করে একটা চুমু দিলাম।সে ঘুমের মাঝেই কেঁপে উঠলো আমার স্পর্শ পেয়ে।পরপর দুই চোখেই চুমু একে দিলাম।দ্বিতীয় চোখে চুমু দেওয়ার পর সে ঘুম পাতালেই আমায় আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো!ব্যাপারটা বেশ উপভোগ করলাম।আমিও চুপচাপ শুয়ে আছি তার সাথে।তখনি রুমের বাহির থেকে মা এসে ডাকাডাকি শুরু করলো।
–এই আকাশ উঠে বউ মা’কে নিয়ে নিচে আয়।
–আর বিছানায় শুয়ে থাকা হলো না।ঈদনির থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লাম।আর ঈদনিকেও ডেকে দিলাম।সে ঘুম থেকে উঠেই আমার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে!
আমি তার চোখের থেকে নজর সরিয়ে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পাড়লাম।কিছুক্ষণ পর ফ্রেশ হয়ে বের হতেই ঈদনি দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো।আমি আমার মতন রেডি হয়ে বসে আছি।ঈদনিও ওয়ায়রুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বের হলো।পরে তাঁকে বললাম রেডি হয়ে নিতে।সে আমার কথার প্রতিত্তোরে কিছু না বলে চুপচাপ রেডি হয়ে নিলো।তারপর এসে আমার সামনে দাঁড়ালো।ঈদনি চলো এবার নিচে যাওয়া যাক।তখনি সে হুট করে আমার কলারটা চেপে ধরে বলতে লাগলো….
–মানুষ জনের ফর্মালিটিস এর গুষ্টি মারি।তুই তাড়াতাড়ি আগে হসপিটাল যাবি হাত দেখাতে।তোর হাতের কোনো কিছু না হওয়া চাই আমি।
–ঈদনির এই অদ্ভুত আচরণে ভিতরে খুশির জোয়ার বইছে!কারন সে আমায় আঘাত করে নিজেই কষ্ট পাচ্ছে।কিন্তু আমার খুশির প্রভাবটা বাহিরে প্রকাশ করলাম না।তখনি সে আবার বললো..
–কিরে কথা কানে যায়নি তোর?
–আমাকে নিয়ে এতো চিন্তা করার কি আছে?
তুমি নিজেই তো আমায় ছুরি দিয়ে আঘাত করেছো।আবার এখন নিজেই ছটফট করছো আর কষ্ট পাচ্ছো আমার জন্য।
–এই বেটা তোকে কে বলেছে,যে আমি তোর জন্য কষ্ট পাচ্ছি?
–কেউ বলতে হবে নাকি,তোমার আচরণেই তো সব বুঝা যাচ্ছে।
–একদম ভুল ভেবেছিস তুই।কারন আমি কোনো কষ্ট পাচ্ছি না।তবে হ্যা ছটফট করছি।আর তার কারন হলো তোর হাত ঠিক না হলে আবার ছুরি দিয়ে আঘাত করতে পারবো না আমি।তাই আমি ছটফট করছি।সো তুই তাড়াতাড়ি ঠিক হ।
–ঈদনির কথা শুনে চোখ বড় বড় হয়ে গেলো আমার!
মনে মনে ভাবছি,এ কাকে বিয়ে করে আনলাম আমি!যার কাছে কিনা কোনো কদর এই নেই আমার!যে কিনা সব সময় আমায় আঘাত করার চিন্তা ফিকির নিয়ে থাকে!
–এই তুই কি এতো ভাবছিস হ্যাঁ?
–নাহ কিছু না।চলো নিচে যাবো।
–হুম চল।
–ঈদনিকে নিয়ে নিচে চলে এলাম।বাড়িতে অনেক লোকজন এসেছে নতুন বউ দেখতে।সবাই অনেক খুশি ঈদনির উপরে।কারন তাঁদের মনের মতন মেয়ে পেয়েছে তারা।সবাই ঈদনিকে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে।আর আমি এক জায়গায় বসে কল্পনার জগতে পাড়ি জমিয়েছি।যে আমি আকাশ বাহিরের মানুষের জন্য জমের চাইতেও কম না।মানুষ আমার আসল পরিচয় জানলেই কপালে হাত তুলে সালাম দেয়।সেই আকাশকে কিনা এই মেয়ে যখন তখন চাকু দিয়ে আঘাত করছে।সেই আকাশের সাথেই কিনা এই মেয়ে কর্কশ ভাষায় কথাবার্তা বলছে।ভাবতেও অবাক লাগে নিজের কাছে,যে কি থেকে কি হয়ে যাচ্ছি আমি!তবে হ্যাঁ অন্যদিকে ঠিক আছি আমি।কারন রাজত্ব সবার সাথে করা গেলেও ঘরের মামুষের সাথে করা যায় না।তাও যদি হয় আবার ভালোবাসার মানুষ।হুম আমি মেয়েটার সাথে কখনোই নিজের জোর খাটাবো না।তাঁকে ভালোবাসা দিয়ে আপন করে নেওয়ার চেষ্টা করবো।তখনি দিয়া এসে চিমটি দিলো….
–কিরে ভাইয়া কি এতো ভাবছিস?
–আরেহ এমনেই কিছু না।
–তা তো দেখতেই পাচ্ছি।অবশ্যই তুই ভাবির কথা ভাবছিস।
–আরে নাহ।
–তুই না বললেই কি আমি বিশ্বাস করবো না।শোন আমিও কিন্তু তোর বোন।মনে রাখিস তোর রগ কিন্তু আমি চিনি।
–হুম অনেক পেকে গেছিস তুই।
–বয়স হয়েছো তো পাকবো না।
আচ্ছা বাদ দে এখন এসব কথা।চল নাস্তা করবি।
–দিয়ার সাথে নাস্তা করতে চলে গেলাম।অনেক মানুষ একই টেবিলে নাস্তা করতে বসেছে।আমি আমার বা,হাতটা লুকিয়ে রেখেছি।কারন গতকাল রাতে ঈদনি অঘটন ঘটিয়েছে।নাস্তার পালা শেষ করে চিন্তা করলাম হসপিটাল যাবো।তখনি মা,আমার তিনার রুমে দেখা করতে বললো।তাই মায়ের রুমে চলে গেলাম।মা,আগ থেকেই আমার জন্য অপেক্ষা করছে।হুম মা,বলো কেনো ডেকেছো।
–আকাশ তোকে একটা জিনিস করতে হবে।
–কি করতে হবে মা?
–ঈদনিকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিতে হবে।কারন দেখ বাবা,আমাদের পরিবারের সবাই কিন্তু মোটামুটি শিক্ষিত।কিন্তু ঈদনি আমাদের পরিবার থেকে অনেকটা পিছনে।এই কয়দিনে মানুষজন আমায় বেশ কয়বার ঈদনির বিষয়ে জিগ্যেস করেছে।আমি তাঁদেরকে জওয়াব দিয়েছি যে সে ক্লাস টেনে পরিক্ষা দিবে এবার।
–ঠিক আছে মা আমি তাঁকে নিয়ে গিয়ে দিয়ার স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিব।
–হুম তাড়াতাড়ি করিস।কারন পরিক্ষার কিন্তু আর বেশিদিন নেই।
–হুম।
মায়ের রুম থেকে কথা বলা শেষ করে হসপিটালে চলে আসলাম।হাতে আবারো দুই সেলাই পড়েছে।হসপিটাল থেকে ফিরে বাসায় চলে আসলাম।পরেরদিন সকাল বেলায় ঈদনিকে বললাম রেডি হতে।কিন্তু সে আমার কথার গুরুত্ব না দিয়ে চুপচাপ বিছানায় বসে আছে।
কি হলো ঈদনি আমার কথা শুনতে পাওনি তুমি?তোমায় না আমি রেডি হতে বলেছি।
–কেন আমার রেডি হওয়া দিয়ে তোর কাজ কি?
–তোমায় নিয়ে গিয়ে দিয়ার স্কুলে এডমিশন করাবো।সো তাড়াতাড়ি রেডি হও।
.
আকাশের কথা শুনে ঈদনি এক লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নেমে গেলো!পরে সে ব্যাগ থেকে কাপড় বের করে চটজলদি ওয়াশরুম থেকে গিয়ে রেডি হয়ে আসলো।আকাশ ঈদনির আচরণে বেশ হতবাক!
তখনি ঈদনি এসে আকাশকে বলে…
–চলেন আমি রেডি।
–আচ্ছা ঈদনি তোমার এই অদ্ভুত আচরণের মানেটা আমি বুঝলাম না!আমার কোনো আদেশ পালন করা তো দূরের কথা,তুমি তো আমার কথার এই ঠিকঠাক উত্তর দাও না।কিন্তু এখন কি এমন হলো যে লাফিয়ে রেডি হয়ে গেলে?
–কারন আমার স্বপ্ন আমি অনেক পড়ালেখা করবো।কিন্তু কপাল খারাপ দেখে তা আর হয়ে উঠেনি।কিন্তু এখন সেই অপরচুনিটিটা এসেছে।তাই আরকি চটজলদি রেডি হয়ে আসলাম।
–তার মানে তোমারো পড়ালেখা করার ইচ্ছে আছে?
–হুম।
–ঠিক আছে চলো।
তারপর ঈদনিকে নিয়ে গিয়ে দিয়ার স্কুলে দশম শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দিলাম।মেয়েটার চোখে মুখে খুশির জোয়ার বইছে।কিন্তু সমস্ত প্যারা আমার সহ্য করতে হয়েছে।কারন নবম শ্রেণি বাদ দিয়ে দশম শ্রেণিতে কেউ কাউকে হুট করে ভর্তি করাবে না।কিন্তু প্রিন্সিপাল আমায় খুব ভালো করে চিনে।অনেক ভালো সম্পর্কও রয়েছে আমার পরিবারের সাথে।আর সেই সম্পর্কটা বাবার মাধ্যমে হয়েছে।তাই তিনি প্রথমে আপত্তি করলেও পরে আর করেনি।ঈদনিকে এডমিশন করিয়ে এনে বাসায় নামিয়ে দিলাম।পরে আবার গাড়ি নিয়ে অফিসের জন্য রওয়ানা হলাম।কারন অফিসে আজ বহুদিন ধরে যাওয়া হচ্ছে না।আজ একটু গিয়ে অফিসের হাবভাব দেখে আসি।অফিসে আসতেই দেখি বিশাল এক সমস্যা হয়ে আছে অফিসে।কারন কিছুদিন ধরে নাকি ম্যানাজার অফিসে আসছে না।তাই সবার কাজের বারোটা বেজে আছে!তাই বাসায় ফোন দিয়ে অফিসে আছি সেই খবর জানিয়ে দিলাম।তারপর
নিজেই সবার সমস্যা সমাধান করে দিলাম।বিকাল হয়ে গিয়েছে সব কিছু গুছিয়ে দিতে দিতে।অফিস ছুটির সময় চলে এসেছে।সবাই যে যার মতন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।আমিও গাড়ি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছি।কিন্তু একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম,যে আমার পিছন পিছন একটা গাড়ি আসছে।সে বেশ কিছুক্ষণ ধরে আমার পিছু নিয়েছে!আমি গাড়ি এক সাইড করে রাস্তায় পাশে দাঁড়ালাম।আমার দাঁড়িয়ে পড়া দেখে সেই গাড়িটা ইউ টান নিয়ে উল্টো রাস্তা ধরে চলে গেলো।তারপর আমি আবার গাড়ি স্টার্ট করে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।তখনি পকেটে থাকা ফোনটা বেজে উঠলো।গাড়ির গতি কমিয়ে দিয়ে পকেট থেকে ফোনটা বের করলাম।রকি ভাই ফোন দিয়েছে।হ্যাঁ রকি ভাই কি খবর?
–এই তো আলহামদুলিল্লাহ।আপনার কি খবর?
–আমারো চলছে আলহামদুলিল্লাহ।
–ভাই একটা বেড নিউজ আছে আপনার জন্য।
–কি বেড নিউজ?
–আন্ডারওয়ার্ল্ডের অনেক কয়জন মাফিয়া মিলে আপানাকে এবং আপনার সমস্ত ছেলেপেলেকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে।কিন্তু কারা এর পিছনে আছে তা আমি জানি না।
–রকি ভাইয়ের কথা শুনে মাথায় পুরো বাজ পড়লো মতন অবস্থা!কিন্তু কেন রকি ভাই?
আমি তো আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে যুক্ত নেই।তাহলে কিসের শত্রুতা আমার সাথে?
–সেটাই তো বড় সমস্যা,যে আপনি আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে যুক্ত নেই।তাই তো সবাই আপনার পিছনে লেগেছে।
–কিন্তু কেন?
–কারন অনেকেই চায়,যে আপনার দেশে হস্তক্ষেপ করতে।কিন্তু আপনি থাকলে সেটা কখনোই সম্ভব নয়।
কারন আপনি কোনোকিছুতে না থাকলেও আপনি তাতে বাঁধা দিবেন,আর এটা সবাই জেনে গেছে।তাই আপনাকে শেষ করে দেওয়ার চক্র করেছে তারা।
–ভাই আন্ডারওয়ার্ল্ডের মধ্যে শুধু আপনার সাথেই সম্পর্ক রেয়েছে আমার।তাছাড়া তাঁদের আগা মাথাও কিছু জানি না আমি।তাহলে আন্ডারওয়ার্ল্ডের লোকেরাই কেন আমার পিছনে লাগলো?
–ভাই সেটা আমারো অজানা।তবে যতদূর জানি এর পিছনে অন্য কেউ রয়েছে।আর সেই অন্যকেউ টাই আন্ডারওয়ার্ল্ডের লোকদের টাকা খাইয়ে এসব করছে।
তবে আমি সঠিক বলতে পারবো না,যে কে সে।
–ঠিক আছে রকি ভাই আমিও দেখছি কার এতো ক্ষমতা যে আমায় মারবে।হ্যাঁ তারা মাফিয়া হতে পারে,কিন্তু আমার দেশে এসে আমার উপরেই বাহাদুরি করবে সেই ক্ষমতা তাঁদের নেই।
–তা হয়তো নেই।কিন্তু তারা সর্বচ্চ চেষ্টা করবে।সো আপনি একটু সাবধানে থাকেন।আর কোনো ধরনের সমস্যা হলে আমায় জানাবেন।আমি পাকিস্তান থেকেই আপনাকে সাহায্য করবো।
–ধন্যবাদ রকি ভাই।
–হুম ভাই ভালো থাকেন।
–আপনিও।
রকি ভাইয়ের সাথে কথা শেষ করে জোরে গাড়ি টেনে বাসায় চলে আসলাম।মাথা পুরো জ্যাম খেয়ে আছে রকি ভাইয়ের কথা শোনার পর থেকে!চুপচাপ রুমে চলে আসলাম।রুমে এসে দেখি ঈদনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছিলো।সে আমায় দেখতে পেয়ে চিরুনিটা ফিক্কা দিয়ে আমার গায়ে মেলা মারলো।পরে সে তেড়েফুঁড়ে এসে আমার চুল টেনে ধরলো!এই ঈদনি কি করছো কি তুমি?
–তুই এতোটা সময় কোথায় ছিলি?
–অফিসে গিয়েছিলাম।
–এখন কিসের তোর অফিস হ্যাঁ?তুই যে বিয়ে করেছিস সেটা কি তোর মাথায় নেই?
–হ্যাঁ আছে।আর তুমি আমার চুল ছাড়ো।
–না আমি ছাড়বো না।কারন তুই আমায় রেখে এতোটা সময় অফিসে কি করছিলি?
–আরেহ আজিব তো!কি শুরু করলে তুমি হ্যাঁ?
তোমার সাথে আমার কিসের কি যে বাড়িতে পড়ে থাকতে হবে আমার?তুমি তো আমায় স্বামী হিসেবেই মানো না।তাহলে এতোটা হাইপার হচ্ছো কেন এই বিষয় নিয়ে?
–কারন আমার একা থাকতে বোরিং লাগে।
–তুমি একা কোথায়?বাসায় তো সবাই আছে।
–নাহ তা আছে।কিন্তু কথাবার্তা তো তোর সাথেই বেশি হয় আমার।আর তোর সাথেই বেশি মিশেছি আমি।সো তোকেই আমার কাছে থাকতে হবে সব সময়।আমি তোকে স্বামী হিসেবে মানি আর না মানি,তুই সব সময় আমার চোখের সামনেই থাকবি।
–হ্যাঁ আমার তো আর কাজ নেই,যে সারাদিন তোমায় নিয়ে পড়ে থাকবো।
.
আকাশের কথায় ঈদনি অনেক রেগে যায়।তাই সে আকাশের চুল ছেড়ে দিয়ে আকাশকে সজোড়ে একটা ধাক্কা মারে।যার ফলে আকাশ বিছানার উপরে গিয়ে আছড়ে পড়ে।আর ঈদনি গিয়ে আকাশের গায়ের উপরে উঠে বসে।পরে সে আকাশের ঠোঁটের মধ্যে জোরে একটা কামড় বসিয়ে দেয়!যার ফলে আকাশের ঠোঁটে প্রচন্ড লাগে!কিন্তু সে কোনো ধরনের রিয়েক্ট না করে ঈদনির দিকে চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে থাকে!কারন সে কোনোদিন ও কল্পনা করেনি,যে ঈদনি তার এমন জায়গায় কামড় বসাবে!
চলবে?
ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।