কৃষ্ণগোলাপ লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা ১৪.

#কৃষ্ণগোলাপ
লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা

১৪.
আজ বুধবার। আগামী শুক্রবারে ঐচ্ছি আর রাফসানের এংগেজমেন্ট। এই নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে ঐচ্ছির বাবা মার। কিন্তু রাফসানের পরিবার নিরব, নিস্তব্ধ। বিয়েতে বাইরের কেউই আসবে না। তাই অযথা এত ঝামেলা করারও কোনো মানে হয়না। তবে রাফসানের বাবা আহমাদুল্লা হোসাইন আজ নিজ হাতে এক গাদা মিষ্টি কিনে ঐচ্ছিদের বাড়িতে গিয়েছে। ঐচ্ছিকে তার ভীষণ পছন্দ। দু ছেলের পর এবার বুঝি পরিবারে একটা মেয়ে আসতে চলেছে। তবে ঐচ্ছি ভয় পায় এই জ্বীনটাকে। ইয়া বড় শরীরে সাদা আল্লাখানা জড়িয়ে যখন তিনি ঐচ্ছির সামনে গিয়ে দাঁড়ান, ঐচ্ছির তখন রীতিমত কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে যায়। উনাকে দেখলে জ্বীন জ্বীন ফিলিংসটা একটু বেশিই কাজ করে তার।

______________

বিকেল থেকে ঘরে দোর দিয়ে বসে আছে। কিছুতেই এই দরজা খুলবে না ঐচ্ছি। তাহেরা বেগম কখন থেকে গলা ফাটিয়ে তাকে ডেকে যাচ্ছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা সে তো দিব্যি কানে ইয়ারফোন গুঁজে গান শোনায় ব্যস্ত। তাহেরা বেগমের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল। নিজের সর্বস্ব শক্তি দিয়ে গলা ফাটিয়ে বলে উঠলেন,

‘আমার সাথে শপিং এ যাবি না তো, ঠিক আছে আমি রাফসানকে কল দিচ্ছি। ওই একমাত্র তোকে সোজা করতে পারবে।’

কথাগুলো কর্ণগুহরে পৌঁছাতেই কান জ্বলে উঠে ঐচ্ছির। উফফ কথায় কথায় খালি ঐ রাফসানকে কেন ডাকে। কান থেকে ইয়ারফোন সরিয়ে মুখ গোমড়া করে বসে। করবে না সে শপিং। এত শপিং করে কি হবে? বিয়েতে যার মত নেই তার আবার এংগেজমেন্ট নিয়ে এত বাড়াবাড়ি কিসের? আবার আসছে এংগেজমেন্টের শপিং করতে,হু। অযথা টাকা খরচ। মুখ ফুলিয়ে ওভাবেই কিছুক্ষণ বসে রইল ঐচ্ছি। হুট করেই বসা থেকে উঠে দাঁড়াল। দারুণ একটা কিছু মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তার। চট জলদি রুমের দরজা খুলে মায়ের সামনে এসে দাঁড়িয়ে খুশি খুশি গলায় বলে উঠে,

‘হ্যাঁ মা রাফসানকে কল দাও। আমি উনার সাথেই শপিং এ যাবো।’

মেয়ের কথা শোনে অবাক না হয়ে পারলেন না তাহেরা বেগম। এই মেয়ে তো গিরিগিটিকেও হার মানাবে। মিনিটে মিনিটে রং বদলায়। মাকে এমন হা করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ঐচ্ছি ব্রু কুঁচকে মায়ের চোখের সামনে হাত নাড়িয়ে বললো,

‘উফফ মা কি এত ভাবছো? কল দাও না। আচ্ছা, দাঁড়াও আমিই কল দিচ্ছি।’

মায়ের রুমে ছুটে যায় ঐচ্ছি। ড্রেসিংটেবিলের উপর থেকে তাহেরা বেগমের মোবাইলটা নিয়ে রাফসানের নাম্বারে কল লাগায়।

‘হ্যালো, কই আপনি?’

ওপাশ থেকে তির্যক কন্ঠে কেউ বলে উঠে,

‘আজব মানুষ তো আপনি। হুট করেই কল দিয়ে বলছেন, কই আপনি। আগে একটু সালাম দিয়ে ভালো মন্দের খবর তো নিতে পারেন নাকি? তা না কল দিয়েই এমন কর্কশ কন্ঠে কই আপনি বলে চেচিয়ে উঠেন, যেন মনে হয় আমাকে সামনে পেলে সাথে সাথেই চিবিয়ে খেতেন।’

ঐচ্ছির মেজাজ বিগড়ে যায়। মারাত্মক রকমের ফাজিল এই জ্বীন। ইচ্ছে তো করে সত্যি সত্যিই এই জ্বীন বেটাকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে। ঐচ্ছির রাগ হলেও রাগটা প্রকাশ করলো না। চোখে মুখে মেকি খুশির আভা ফুটিয়ে তুলে আহ্লাদী কন্ঠে বললো,

‘না আসলে আপনাকে খুব মিস করছিলাম।’

বিষম খায় রাফসান। ফোনটা কানের সামনে থেকে নামিয়ে চোখের সামনে ধরে। ভুল কারো সাথে কথা বলছে নাতো। না এই নাম্বার তো ঐচ্ছির আম্মুর। আর অপর পাশের মানুষটা ঐচ্ছি। এতটুকু সিউর সে। তবে ঐচ্ছির এমন ব্যবহারে বেচারা বিস্মিত। কন্ঠে বিস্মিত প্রকাশ করে বললো,

‘আপনি আমাকে মিস করছেন? আদৌ কি কথাটা সত্যি ঐচ্ছি?’

ঐচ্ছি ঠোঁট উল্টে ভেংচি কাটে। খেয়ে দেয়ে তো তার আর কোনো কাজ নেই যে এই বেটাকে মিস করতে যাবে। কিন্তু মনের ভাবটা মনের মাঝেই চেপে রেখে ঐচ্ছি আলতো হাসলো। নরম সুরে বললো,

‘কেন, বিশ্বাস হয় না বুঝি? আচ্ছা যাকগে বাদ দিন সেসব। আপনি কি এখন ফ্রি আছেন?’

‘আমাকে কি আপনার প্রয়োজন?’

রাফসানের স্মিত সুরে ঐচ্ছি খানিকটা বিব্রত হয়। ঠোঁট চেপে ছোট নিশ্বাস ফেলে বললো,

‘জ্বি।’

মৃদু হেসে রাফসান বললো,

‘তা প্রয়োজনের কারণটা জানতে পারি?’

ঐচ্ছি উচ্ছাসিত কন্ঠে বলে উঠে,

‘আপনার সাথে শপিং করবো। আগামী শুক্রবার না আমাদের এংগেজমেন্ট। আমি তো একটুও শপিং করেনি।(একটু থামলো, চোখ ঘুরিয়ে একটু এদিক ওদিক তাকিয়ে অতঃপর বললো) মাকে বলেছি কিন্তু মা তো আমাকে শপিং এ নিয়েই যাচ্ছে না। উনার নাকি অনেক কাজ। আমার সাথে এত শপিংমলে ঘোরার সময় নেই। সায়মাকেও বললাম ও নাকি ওর নানুবাড়িতে। এখন আপনিই বলুন আমি একা একা কি করে শপিং করবো? এটা তো আর যেমন যেমন শপিং না আমার এংগেজমেন্টের শপিং। তাই পাশে কাউকে প্রয়োজন। আপনি যদি একটু আমার সাথে যেতেন..’

ঐচ্ছির অনুনয়। রাফসানের অধর কোণে বাঁকা হাসি। রাফসান ক্ষীণ কন্ঠে বললো,

‘আপনি তৈরি হয়ে আমাকে কল দিয়েন। আমি নিতে আসবো।’

ঐচ্ছি খুশিতে লাফিয়ে উঠে বললো,

‘আচ্ছা ঠিক আছে। রাখছি তাহলে।’

.

আজ বেশ জম্পেশ শপিং হবে। আহা, বিয়েটা বড় ব্যাপার না, বিয়ের শপিংটাই হলো বড় ব্যাপার। আজ তো ঐচ্ছি উরাধুরা শপিং করবে। ঐ জ্বীন বেটার পকেট ফাঁকা করেই ছাড়বে, ইনশাল্লাহ।

.

আয়নায় নিজেকে বেশ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে ঐচ্ছি। দুই ব্রুর মাঝখানে ফাঁকা জায়গাটায় বেশ আরাম করে একটা ছোট্ট কালো বিন্দু বসে আছে। চুলগুলো কিছুটা প্যাঁচানো। অধর জুড়ে ছড়িয়ে আছে হালকা গোলাপী আভা। চোখের নিচটা আজও শূণ্য। কাজল পরা পছন্দ নয় ঐচ্ছির। হাতের কব্জি জুড়ে খিলখিল করে হাসছে এক মুঠো কৃষ্ণ কালো রেশমী চুড়ি। নিজেকে আয়নায় দেখে মুচকি হাসে ঐচ্ছি। মোটেও সে রাফসানের জন্য সাজেনি। সেজেছে তো নিজের স্বার্থে। আহা, ঐচ্ছির এই রুপে আজ ঐ জ্বীন কুপোকাত হবেই হবে। আর তারপর..আর তারপর সে ঐ জ্বীনকে নিজের বসে এনে ইচ্ছে মতো শপিং করতে পারবে। আহা, কি আনন্দ!
ঐচ্ছি শাড়ির আঁচল ঠিক করে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ে। আর এইদিকে ঐচ্ছির মা অবাক হতে হতে অবাক হোল স্কয়ার হয়ে গিয়েছে। মেয়েটার আজ কি হলো কে জানে? নয়তো যাকে এতদিন দুচোখেও সহ্য করতে পারতো না আজ তার জন্যই এত সাজ? স্ট্রেন্জ!

‘হ্যালো, আমি রেডি হয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে আছি আপনি চলে আসুন।’

রাফসানের সাথে কথা বলে ফোনটা কাটতেই কোথ থেকে একটা সাদা রঙের গাড়ি ছুটে এসে ঐচ্ছির সামনে ব্রেক কষে। চমকে উঠে ঐচ্ছি। এটা গাড়ি না হেলিকপ্টার? বলতে না বলতেই হাজির। জানলার কাঁচ নামিয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ঐচ্ছির দিকে তাকায় রাফসান। পরক্ষণেই আবার চোখ ঘুরিয়ে নেয়। ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে গাড়ির অপর পাশের দরজাটা খুলে দিয়ে বললো,

‘উঠুন।’

ঐচ্ছি অবাক হয়। এতো সাজগোজ করে আসার পরও এই জ্বীন মহাশয় তো তার দিকে ভালো করে তাকাচ্ছেই না। ব্যাপার কি? তাকে কি দেখতে খারাপ লাগছে? ঐচ্ছির নিজের মাথাটা নুইয়ে নিজেকে একবার দেখে নিয়ে মনে মনে বলে, ‘কই নাতো সব তো ঠিকঠাকই আছে তবে এর কি হলো?’ যেখানে ঐচ্ছি নিজেই নিজেকে আয়নায় দেখে এতবার ক্রাশ খেয়েছে সেখানে তো এই জ্বীন যে কিনা অলরেডি তার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে তার তো মরে যাওয়ার কথা। কিন্তু এই অভদ্র জ্বীনটা তো তার দিকে ভালো করে তাকাচ্ছেই না। রাগে ফুঁসে উঠে ঐচ্ছি। সৌজন্যতার খাতিরেও তো কিছু ভালো ভালো কমপ্লিমেন্ট করতে পারে তা না অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে আছে। চরম লেভেলের অসভ্য একটা। নূন্যতম সামাজিকতা বোধ নেই। গাড়িতে বসেই ঠাস করে দরজাটা আটকে দেয় ঐচ্ছি। কর্কশ কন্ঠে বলে উঠে,

‘চলুন।’

____________

গায়ের সাথে মিশিয়ে বেগুনী রঙের শাড়িটা দেখছে ঐচ্ছি। তার থেকে কিছুটা দূরত্বে রাফসান বসা। হাতে মুঠোফোন নিয়ে কিছু একটা করছে। আয়নায় রাফসানের প্রতিবিম্ব ভাসমান। ঐচ্ছি কপাল কুঁচকে কিছুক্ষণ রাফসানের দিকে চেয়ে রইল, নাক ফুলিয়ে শুকনো কন্ঠে ডেকে উঠলো,

‘রাফসান!’

রাফসান কান অবধি ঐচ্ছির ক্ষীণ কন্ঠস্বর পৌঁছাল না। বেড়াল পায়ে এগিয়ে গেল রাফসানের কাছে। কিছুটা জোরেই ডেকে উঠল,

‘এই যে শুনছেন!’

অক্ষিপল্লব নাড়িয়ে ঐচ্ছির দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসল, কোমল কন্ঠে বললো,

‘জ্বি, বলুন।’

ঐচ্ছি ছোট নিশ্বাস নিয়ে কাট কাট গলায় বললো,

‘শাড়িটা কেমন?’

রাফসান মৃদু হেসে বললো,

‘সুন্দর।’

ঐচ্ছি বিরক্ত হলো। সুন্দর মানে কি? লোকটা কি ভালোভাবে কমপ্লিমেন্টও করতে পারে না? ঐচ্ছির কন্ঠে রাগ নিয়ে বললো,

‘তাহলেই এটাই এংগেজমেন্টের জন্য নিচ্ছি।’

রাফসান ব্রু কুঁচকে শাড়িটার দিকে তাকাল। তারপর সে বসা থেকে উঠে দাঁড়াল। শাড়ির কর্নারটার কাছে গিয়ে এলোমেলো হয়ে থাকা শাড়িগুলো দেখতে লাগল। ঐচ্ছি সরু চোখে রাফসানকে দেখছে। মার্কেটে আসার পর থেকে ঐচ্ছিই এই দোকান সেই দোকান ঘুরে এটা ওটা পছন্দ করছে। রাফসান শুধু নাম মাত্র তার পাশে আছে। এই এখন সে উঠে গিয়ে শাড়িতে হাত লাগাল। অনেক ঘেটে একটা শাড়ি হাতে নিল রাফসান। জামদানি শাড়ি। নীল আর কালো রঙ মিশ্রণের। ঐচ্ছির কাছে এসে বললো,

‘এটা দেখতে পারেন।’

শাড়িটা হাতে নিয়ে ঐচ্ছি বিমূঢ় সুরে বললো,

‘কিন্তু এটা তো জামদানী। আর আমার জামদানী পছন্দ না।’

রাফসান স্মিত সুরে বললো,

‘ওহহ, সমস্যা নেই। তাহলে আপনার যেটা পছন্দ সেটাই নিন।’

ঐচ্ছি উৎফুল্ল কন্ঠে বললো,

‘তাহলে এই বেগুনীটা নেই?’

রাফসান মৃদু হেসে বললো,

‘ঠিক আছে।’

ঐচ্ছি কাউন্টারের কাছে গেল। পছন্দের শাড়িটা কাউন্টারের লোকটার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,

‘এটা প্যাক করে দিন।’

ঐচ্ছি পার্স থেকে টাকা বের করতেই রাফসান এসে কাউন্টারে টাকা দিয়ে দেয়। ঐচ্ছি মনে মনে হাসলো। কিন্তু বাইরে দিয়ে খুব দুঃখি দুঃখি একটা ভাব নিয়ে রাফসানকে বললো,

‘এটা কি করলেন রাফসান। টাকাটা তো আমি দিচ্ছিলাম।’

রাফসান কাউন্টার থেকে প্যাক করা ব্যাগটা হাতে নিতে নিতে বললো,

‘পাগল নাকি! আপনি কেন টাকা দিতে যাবেন? চলুন।’

ঠোঁট চেপে হেসে রাফসানের পেছন পেছন হাঁটা ধরল ঐচ্ছি। লিফট দিয়ে উঠে গেল শপিং কমপ্লেক্সের চার তলায়। লিফটের দরজাটা খুলতেই চমকে যায় ঐচ্ছি। বড় বড় চোখ করে সামনে তাকায়। লিফটের দরজার সামনে দাঁড়ানো অপর পাশের মানুষটি তখন উচ্ছাসিত কন্ঠে বলে উঠে,

‘আরে ঐচ্ছি তুই এখানে? শপিং করতে এসেছিস নাকি? আমাকে কেন বলিসনি তাহলে আমিও আসতাম।’

ঐচ্ছি চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে আসে। যেন এক্ষুণি সে কেঁদে ফেলবে। এই সামুর বাচ্চা সামু সবসময় এমন করে। ভুল সময়ে ভুল জায়গায় এন্ট্রি নেয়। ঐচ্ছি অসহায় দৃষ্টিতে রাফসানের দিকে তাকায়। ঐচ্ছি হতভম্ব। রাফসান ঠোঁট টিপে হাসছে। তার মানে সে আগে থেকেই বুঝে গিয়েছে যে ঐচ্ছি সব মিথ্যে বলেছে। ঐচ্ছির এবার আরো কান্না পায়। নিজের হাতে নিজের মান সম্মানকে কোরবানি করেছে সে। ভীষণ রকম লজ্জা পেয়ে লিফট থেকে একপ্রকার ছুটে বেরিয়ে যায় সে। রাফসান বিস্মিত চোখে চেয়ে থেকে হুট করেই হাসিতে ফেটে পড়ে। বেচারি ঐচ্ছি! লজ্জায় এখন মুখ লুকানোর জায়গা পাচ্ছে না।

চলবে..

(গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। ভূত, ভ্যাম্পায়ার কিংবা জ্বীনের গল্পগুলো কাল্পনিকই হয়। তাই সেটা বাস্তবের সাথে মিলে না। আর এই গল্পটাকেও আপনারা বাস্তবের সাথে মিলাতে যাবেন না। বাস্তবে কখনো জ্বীন আর মানুষের বিয়ে হয়না। যারা বাস্তববাদী তাদের কাছে এই গল্পটা নিছকই একটা হাস্যকর বিষয় ছাড়া আর কিছুই মনে হবে না। বলতে পারেন একপ্রকার ফ্যান্টাসি থেকেই আমি এই গল্পটা লিখছি। এছাড়া আর কিছুই না। আশা করি আমার কথাগুলো আপনারা বুঝতে পেরেছেন।❤আসসালামু আলাইকুম)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here