কোনো_এক_শ্রাবণে পর্ব-০২

কোনো_এক_শ্রাবণে

পর্ব-০২

-শাহাজাদী মাহাপারা(জোহুরা খাতুন)

বারান্দা থেকে দেখা যাচ্ছে মেইন গেইটের সামনে একটা কালো রঙের পাজেরো ঢুকলো।নিপা গাড়িটি দেখেই আন্দাজ করে নিলো পাত্র পক্ষ এসেছে।

“বাবা ওরা এসে পরেছে।”
“এসে পরেছে। আসছি।”

শফিক সাহেব রুবাবাকে ইত্তেলা করলেন পাত্র পক্ষের আসার কথা। কলিং বেল টা বেজে উঠলো। শফিক সাহেব এগিয়ে গেলেন সদর দরজার দিকে।

আকাশী রঙা পাঞ্জাবী পরিহিত একজন পুরুষ।চোখে চশমা।গোলগাল চেহারা,চাপদাড়ি, মুচকি হাসি, ছোট ছোট চোখ, চুল গুলো বেশি বড়ও না বেশি ছোটোও না কেমন কবি কবি লাগছে দেখতে।লম্বায় প্রায় ৫ফুট ১০ ইঞ্চি তো হবেই।বয়স আনুমানিক ৩৪ কি ৩৫!হাতে একটা ফাইল।কিন্তু ফাইল কেনো? সে যাই হোক ছেলেটাকে দেখেই শফিক সাহেবের মনে ধরেছে।

“আসসালামুয়ালাইকুম। আমি আসলে….”
“ওয়ালাইকুম আসসালাম।এসো বাবা এসো।বসো বসো। তোমার পরিবারের কেউ আসেনি? তোমার বাবা মা যে বললেন সপরিবারে আসবেন? তাহলে তুমি যে একা এলে?”
“আসলে চাচা…”
“আচ্ছা ঠিকাছে সমস্যা নেই।বৃষ্টির জন্য হয়তো আসেন নি! চলো বাবা খেতে বসে পরি। আমরা তোমাদের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।রুবাবা টেবিল সাজাও।”
“এইতো সাজানো শেষ চলে এসো।”
” চাচা ব্যস্ত হবেন না। আমি আসলে এসেছি…”
“আরে তোমার সাথেতো আমার মেয়েদের পরিচয়ই হয়নি। নিপা…! দোলাকে নিয়ে আয়তো।”

“দেখো বাবা তোমার বাবা আমার অনেক পুরোনো বন্ধু সাইদের ছোট ভাই এত বছর যোগাযোগ না থাকায় আমি তোমাদের পরিবারের কাউকেই খুব একটা চিনি না।তাই তোমাদের সাথে কখনো দেখা হয়নি।যদিও ছবি দিতে চেয়েছিলো। আমিই মানা করেছিলাম।ভেবেছিলাম আমার বাসায় একবার দাওয়াত করবো নাহয় তখনই স্বাক্ষাত হবে।তোমার বড় চাচা আমার বড় মেয়ে দোলার জন্য তোমার সম্বন্ধের কথা বলেছিলেন।তাই আমিও চাইছি তোমরা দেখা করেই তারপর সব ঠিক করো।

হঠাৎ একটা বিকট বাজ পরার শব্দ হলো। শফিক সাহেব “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” পড়লেন।
সাথে পাশে বসা ছেলেটাও।
ড্রয়িং রুমের শেষ প্রান্তে নজর গেলো ছেলেটার
ধূসর রঙের শাড়ি পরা একটা মেয়েকে লেমন কালারের সালওয়ার স্যুট পরা একটা মেয়ে ধরে নিয়ে আসছে। মাথায় আঁচল দিয়ে ঘোমটা দেয়া। চুল গুলো ছেড়ে রেখেছে। আশেপাশের চুলের জন্য মেয়েটার মুখটা ঢেকে আছে আংশিক।

“এ হচ্ছে আমার বড় মেয়ে দোলা। আর ওটা মেঝো মেয়ে নিপা।”
“জ্বি।”
“আচ্ছা চলো এবার খেতে এসো।”
“জ্বি।”

শফিক সাহেব একরকম টেনেই ছেলেটাকে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসালেন। দোলা তার প্লেটে পোলাও বেড়ে দিলো।
“আমি আসলে পোলাও খাইনা।ভাত হবে? সাদা ভাত?”

দোলা ছেলেটার মুখের দিক এক পলক তাকালো। তার ভেতরটা জেনো কেঁপে উঠল হঠাৎ করে।আহারে কি মায়া মাখা চেহারা।হঠাৎই দোলার সায়েমের কথা মনে পড়ে গেল।ইশশ সায়েম ও পোলাও খেতে পছন্দ করতো না।

“জ্বি সাদা ভাত তো নেই। খিচুড়ি আছে খাবেন?
আসলে আমিও পোলাও খাই না তাই আমার জন্য আলাদা করে কিছু রেঁধেছেন মা।”
“জ্বি অবশ্যই। খিচুড়ি হলে তো আরো ভালো।”
বোকামার্কা হাসি দিলো লোকটা।

দোলা পোলাও এর প্লেটটা সরিয়ে অন্য একটা প্লেটে খিচুড়ি বাড়তে লাগলো।এমন সময় কলিংবেলটা আবার বেজে উঠলো।

নসীমা দরজা খুলেই বললো- “আরে ভাইজান আপনি তো ভিজ্জা একেবারে কাউয়া হইয়া গেছেন।দেন দেন ব্যাগটা আমারে দেন।”

নিপা তোয়ালেটা নিয়ে দৌড়ে গিয়ে নাফি কে দিল।নাফি মুখ মুছতে মুছতে ডাইনিং এর দিকে এগুলো।

“আরে জাদিদ! কেমন আছিস? আরে বাহ ! তুই তো দেখছি জামাই আদর নিচ্ছিস ! হা হা।”
“জাদিদ!”( অসফুট স্বরে বলে উঠলেন শফিক সাহেব)
“হ্যাঁ জাদিদ।কেনো তোমাদের তো বলেছিলাম আজ আমার একজন বন্ধু আসবে।”

জাদিদ বললো –
“আমি ক্ষমা চাইছি। আসলে আমি তখন থেকে বলার চেষ্টা করছি আপনারা আমাকে যা ভাবছেন আমি আসলে সে নই।”

শফিক সাহেব গম্ভীর মুখ করে বসে রইলেন।রুবাবা আর নিপা মুখ টিপে হাসছেন। দোলাও লজ্জা পেয়েছে।

নসীমা ডাইনিং রুমে এসে বললো খালুজান আপনের অতিথিরা ফোন করছিলো।তারা আজকে আসতে পারবেনা।আপনের কাছে মাফ চাইছে।

রুবাবা শফিক সাহেবকে মুখ ঝামটা দিয়ে উঠলেন।
“তোমার পরাণের অতিথিরা আগে বলতে পারলো না।এখন আমার এতগুলো রান্না কে খাবে?”
“ফেলে দাও।” অসফুট স্বরে বললেন শফিক সাহেব।
ফোঁস করে নিশ্বাস ছাড়লেন তিনি।

জাদিদ বললো – “চিন্তা করবেন না চাচী আমি খাবো। আর কিছু খাবার প্যাক করে দিবেন বাসায় নিয়ে যাবো। আমার মেয়েটা এগুলো খুব পছন্দ করে।”

দোলা বিস্ময় ভরা দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো জাদিদের দিকে।
নিপা বললো -“আপনার মেয়ে আছে?”
“জ্বি এ বছর ৫ এ পরলো। আসলে আমার ছোট বোনের মেয়ে।”
“আপনি যে বললেন আপনার?”
“আমার বোন ডিভোর্সের পর থেকে আমাদের সাথেই থাকতো মেয়েকে নিয়ে।২ বছর আগে কার এক্সিডেন্টে মারা যায়।তারপর থেকে মেয়েটাকে আমি আর মা ই পালছি।তাই আমার মেয়ে বলেই পরিচয় দেই।”
“ওর বাবা?”
“উনি এখন আর কোনো খোঁজ নেন না।”

নিপা প্রশ্ন করলো –
“আপনি বিয়ে করেননি কেনো?”
” জ্বি আসলে কাজের চাপে সময় পাইনি।”

জাদিদের করুণ চেহারা দেখে রুবাবার মায়া লাগলো।দোলা খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো।ওকে হাসতে দেখে জাদিদ মুখ তুলে তাকালো উপরের দিকে। তার সামনে জেনো এক সদ্য ফোটা পবিত্র ফুল। এত স্নিগ্ধ দেখতে মানুষ হয়?
জাদিদের এক মুহূর্তের জন্য হার্ট বিট মিস হলো।

রুবাবা বলে উঠলেন – “অনেক জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে।এবার ছেলেটাকে খেতে দাও।তোমরাও খেতে বসো।”
“আমি চেইঞ্জ করে আসছি মা।”(নাফি)
“হ্যাঁ যাও”

খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষে।জাদিদ হাত ধুতে বেসিনের সামনে গেলো। দোলাও তার পিছু পিছু গেলো।
“বাহিরে এখনো ঝড় হচ্ছে।কখন থামবে কে জানে? বাসায় কি করে যাবো?”
” আপনি বাসায় একটা ফোন করে দিন।”
“জ্বি ঠিক বলেছেন।হাত মুছে জাদিদ ফোন করে জানিয়ে দিলো বাসায় সে ঝড় থামলেই বাসার জন্য রওনা দিবে।”

জাদিদ দোলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। দোলা দু কাপ কফি নিয়ে এসেছে।
“আপনার কোনো সমস্যা হচ্ছে নাতো এ বাসায়?”
“জ্বি না। মুচকি হাসলো জাদিদ।”
“আমি খুবই দুঃখিত।”
” আরে ব্যাপার না।”
“আচ্ছা আপনি কি করেন?”
“জ্বি আমার ছোট একটা কাপড়ের ব্যবসা আছে।কণিকা ইন্ডাস্ট্রিজ।”
“কি বলছেন এটা ছোট? আপনি তাহলে সেই জাদিদ আহসান যার ইন্ডাস্ট্রি এ বছর বেস্ট গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রির এওয়ার্ড পেয়েছে?”
“জ্বি আসলে হ্যাঁ। আপনি তাহলে জানেন?”
“কে না জানে!”
“আপনি কি করেন?”
“আমি টিচার। ভিএনএসসি তে ক্যামিস্ট্রি পড়াই।”
“ওহ।”
“জ্বি আসলে আগে একবার বিয়ে….”

বারান্দায় হঠাৎ নাফির প্রবেশে থেমে গেলো দোলা।
“জাদিদ তুই এখানে? চল তোর না কি নিয়ে জেনো কথা বলার ছিলো?”
“হ্যাঁ আসছি। আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম।”

জাদিদ নাফির পেছন পেছন চলে গেলো।
দোলা আগের মত দাঁড়িয়েই রইলো বারান্দায়। বৃষ্টির ছাট এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে দোলাকে।

___________________________

“ও মাহ !”
“আমি দুঃখিত।সত্যিই দুঃখিত।কোথাও লাগেনিতো আপনার? আসলে তাড়াহুড়োর জন্য এমনটা হয়েছে।”
“একটু দেখে হাটবেন না? এমন শরীর নিয়ে এমনিতেই হাটতে কষ্ট হয়।”
“আমি দুঃখিত ম্যাম।আপনি কি কোথাও যাচ্ছেন? সামনেই আমার গাড়ি পার্ক করা আছে চলুন নামিয়ে দিচ্ছি।”
” না ঠিকাছে আমি যেতে পারবো।”
“চলুন প্লিজ।এমনিতেও সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে এমন শরীরে বেশিক্ষণ বাসার বাহিরে থাকাটা ঠিক না।”
“শুনুন এত ভদ্রতা দেখাতে আসবেননাতো। আমার ভদ্রলোকদের ব্যাপারে এলার্জি আছে।
আর রোজ রোজ তো আপনি আসবেন না নামিয়ে দিতে। তাই একা যাওয়াটাই ভালো।ধন্যবাদ। আসছি।”
“শুনছেন, প্লিজ…..”

নাফি দৌড়ে গেলো অপরিচিতার দিকে।এমন শরীর নিয়ে এত জোড়ে কেউ হাটে! মেয়েটা অদ্ভুত,না মহিলাটা, না মেয়েটা ! আরে ধুর।

“শুনুন প্লিজ। আপনি প্লিজ চলুন। আমার আপনাকে একা ছাড়তে মন সায় দিচ্ছেনা।প্লিজ।”
“আচ্ছা,ঠিকাছে।চলুন।”

গাড়ির কাছে এসে নাফি দরজা খুললো।মেয়েটা গাড়িতে উঠে বসলে নাফি বললো
“সিট বেল্ট টা লাগিয়ে নিন।”
নাফি অপর পাশে এসে বসেই সিট বেল্ট লাগালো।মেয়েটা চুপ করে বসে আছে।
নাফি কিছু না বলে গাড়ি স্টার্ট দিলো।

“আপনি কোথায় থাকেন? মানে এড্রেস টা?”
“আমি মালিবাগ মোড়ে থাকি। আপনি কোথায় থাকেন?”
“ইস্কাটন।”
“তাহলেতো আপনার উল্টো ঘুরতে হবে।”
“সমস্যা নেই।হাতিরঝিল দিয়ে নিয়ে নিলেই হবে।”
“আচ্ছা ঠিকাছে।”
“আপনার নাম কি? আর এতদূর কি চাকরির জন্য আসেন?”
“জ্বি। আমার নাম ঋতু।”
“ঋতু। মানে ইংরেজিতে সিজন।”
“হুম। শুনুন গাড়িটা একটু সাইড করে পার্ক করুন প্লিজ।”
“কেনো কোনো সমস্যা?”
“ওয়েক!”

নাফি তাড়াতাড়ি গাড়ি পার্ক করতেই ঋতু গাড়ি থেকে এক প্রকার লাফিয়ে নামলো। নাফি গাড়ি থেকে পানির বোতল টা নিয়ে আসতে আসতেই ঋতু বমি করে রাস্তা তলিয়ে ফেললো।

“আপনি ঠিক আছেন?” পানির বোতল টা এগিয়ে দিতে দিতে নাফি বললো।
“আসলে আমার গাড়িতে ওঠার অভ্যাস নেই অনেকদিন ধরে। অনেকদিন বসি নি তো।সামনের সিটে বসায় সিকনেস হচ্ছিলো তাই ভমিট করে ফেলেছি।তাছাড়া গাড়ির এসির স্মেলটাও নিতে পারছিলাম না।দুঃখিত।”
“আরে না, ব্যাপার না।আপনি কি ডাক্তারের কাছে যাবেন?”
“ব্যস্ত হবেন না।এটা এখন স্বাভাবিক।ঠিক হয়ে যাবো।”

“আপনি পিছনের সিটে উঠুন প্লিজ। আমি আর রিস্ক নিতে চাইছিনা।”
” কিসের বমি করে আপনার গাড়ি তলিয়ে দেয়ার!”
কথাটা বলেই ঋতু ঝংকার তুলে হেসে উঠলো।ঋতুর হাসির শব্দ নাফির কানে টেপ রেকর্ডারের মত বেজে বেজে উঠছে। অদ্ভুত অনুভূতি।
“আপনি রোজ এভাবেই যাওয়া আসা করেন?”
“জ্বি।”
“আপনার পরিবার? হাজব্যান্ড?”
“আমার বাসা এসে গিয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।ভালো থাকবেন। আর দোষটা আমার ছিলো।”

বলেই ঋতু গটগট করে হেটে সামনের বাসার গেইটে ঢুকে গেলো।২ তলার বাড়ি।

——————————————————————

মা,
কেমন আছো তুমি? আমি ভালো আছি।বেঁচে আছি।দোলা আপা, নাফি ভাইয়া,নিপা আপা কেমন আছে? বাবা কেমন আছে মা? তোমরা কি আমায় এখন মনে করো? তোমরা কি আমায় আগের মত ভালোবাসো? কেনো আমায় দূরে সরিয়ে দিলে মা? একবার ভাবলে না আমি কি করে বাঁচবো তোমাদের ছাড়া? এই দূর দুনিয়ায় আমার আর থাকতে মন চায় না মা।তোমরা এত নিষ্ঠুর কি করে হলে মা? কেনো আমায় এখানে পাঠালে একলা? ফোনও দাওনা। এর চেয়ে হয়তো মরে যাওয়া ভলো ছিলো।আচ্ছা আমি কি খুব বড় দোষ করে ফেলেছিলাম? আমি ক্ষমা চাইছি মা।নিয়ে যাও আমায় প্লিজ।

[ স্মরণ ভাইয়া আমায় খুব আদর করে মা।তোমাদের অভাব বুঝতে দিতে চায়না।কিন্তু আমি তবুও তোমাদের মিস করি। স্মরণ ভাইয়া আমায় একটা মেয়ে কুকুর কিনে দিয়েছে।দেশে ফিরলে ওর জন্যও একটা বর খুঁজতে হবে। আমি কুকুরটার নামও রেখেছি টয়া।খুব সুন্দরী।মেলেসার মতই দেখতে।মেলেসা কেমন আছে?তোমায় খুব ভালোবাসি মা।]

ইতি
মাহাপারা।

চিঠিটা আবার খাম বন্দী করলেন রুবাবা।দোলা আর নিপার চোখে পানি।

“ছোটো কে কবে দেখবো মা?”
“ও অনার্স শেষ হলেই চলে আসবে নিপু।কাঁদিস না।”
” আমার খুব কষ্ট হচ্ছে দোলাপা। খুব কষ্ট হচ্ছে।”
নিপা রুবাবার রুম থেকে বের হয়ে ছাদের উদ্দেশ্যে যেতে লাগলো।মন খারাপ হলেই ছাদে চলে যায় নিপা। আকাশের দিকে চেয়ে রয় ঘন্টার পর ঘন্টা।

“দোলা তুই তোর ঘরে যা।দোলা মায়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে উঠে গেলো।”
দোলা জানে মা এখন কাদঁবে।
নিজের রুমে এসে দরজায় ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করছে –

“কেনো? তুই কেনো?? তোরতো পুরো একটা জীবন বাকি ছোটো। কেনো তোর সাথেই এমনটা হলো?
আমার যদি ক্ষমতা থাকতো তোর সব কষ্ট নিজের মাঝে নিয়ে নিতাম ছোটো।যলদি ফিরে আয় ছোটো।”

——————————————————————

নাফি বিছানায় এপাশ ওপাশ করছে গত ১ঘন্টা যাবত ভোর হতে চললো।এখনো ঘুম পাচ্ছে না।চোখ বন্ধ করলেই এক নারী অবয়ব আর সেই ঝংকার তোলা হাসি।নাহ এভাবে ঘুমানো হবে না।

খোঁজ নিতে হবে মেয়েটা সম্পর্কে।কিন্তু সেতো বিবাহিতা।সন্তান সম্ভবা।কি করে কি করবে নাফি?
কিন্তু মন যে মানছে না। আচ্ছা একটা খোঁজ তো নেয়াই যায়।এতে দোষের কিছু নেই।
ভাবতে ভাবতেই নাফির চোখ ভার হয়ে এলো।

চলবে…!

©Shahazadi Mahapara’s Inscription

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here