#গোধূলী_আকাশ_লাজুক_লাজুক (পর্ব-৭)
সিজন ২
লেখক– ইনশিয়াহ্ ইসলাম।
১৪.
পরদিন সকাল বেলা একটা অদ্ভুত কান্ড ঘটে। মেহজার ফুপা কল করে তার ফুপিদের ফেরত যেতে বলেন। চমকের টিচার নাকি জানিয়েছেন চমকের ফেইল এসেছে এক সাবজেক্টে। এখন ফরম ফিল আপ করাবেন না তারা। ফুপি তো চিৎকার চেঁচামেচি করে এক কান্ড করলেন। চমককে বললেন,
-‘বদমাইশ! ফেইল করে এখন বেড়ানো হচ্ছে! বে’য়া’দ’ব মেয়ে! তোর পেছনে এত এত টাকা খরচ করলাম কী এই দিন দেখার জন্য!’
ফুপি সপাং সপাং দুই তিনটা চড় থাপ্পর দিল চমকের গালে, পিঠে। তারপর বেলা এগারোটার মধ্যেই চলে গেলেন। এখন আবার কী করবেন কে জানে! কার হাত পা ধরবেন! অবশ্য মেহজার মনে হয় হয়ে যাবে। কেননা সচিবের মেয়ে বলে কথা!
মেহজার দুঃখী হওয়ার কথা ছিল। সে হয়েওছে তবে তুলনামূলক কম! চমকের ওই গুরুদায়িত্ব থেকে বাঁচার খুশিতেই সে বাকবাকুম করছে।
আজ আর কলেজ যাওয়া হলো না তার! তাই সে মনের আনন্দে গুন গুনিয়ে ছাদে গেল। তাদের ছাদে আবার যেকোনো সময় যাওয়া যায়। তীব্র রোদের জন্য বসার জায়গায় ছাউনি ও আছে। সুইমিংপুলের পাশেই। সে হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘আমরা কেউ বাসায় নেই’ বইটি নিয়ে রওনা হলো ছাদে। বইটা বেশ ভালো লাগে তার। এই নিয়ে কয়েকবার পড়া হয়েছে! তবুও যেন পুরোনো হয়ে যায়না। টগর চরিত্রটা কেন যেন খুবই ভালো লাগে তার। টগর আর রহিমার মা এর আলাপচারিতা সে যতবার পড়ে ততবারই হু হা করে হাসে।
সুইমিংপুলের পাশেই সুন্দর ছাউনি আছে। ভেতরে ফুলের টব দিয়ে ডেকোরেট করা। বিল্ডিং এর মালিক করেছে মূলত। বাবার থেকে শুনেছে মালিকরাও এইখানেই থাকে। আহনাফ মজিদ তার নাম। কোন ফ্লোরে থাকেন সেটা মেহজা জানেনা। সে বেতের সোফায় আরাম করে বসে। আজকে বাতাস হচ্ছে খুব। হয়তো ঝড় আসবে। মেহজা বইয়ে মনোযোগ দিতেই ঝপাং করে পানির শব্দ শুনলো। কেউ পানিতে লাফ দিলে যেমন শব্দ হয়! কৌতূহল বশত মেহজা উঠে বসে। কে নামলো একটা দেখার জন্য সে সামনের দিকে অগ্রসর হয়। সুইমিংপুলের কাছে আসতেই দেখে ইরফান সাঁতার কা’ট’ছে। মেহজা হা করে তাকিয়ে থাকে। ফর্সা শরীরটা পানিতে জ্বলজ্বল করছে। সেদিন দেখেছিল পিঠের অংশ আর আজ বুক পিঠ, হাঁটু পর্যন্ত সব। স্বচ্ছ পানিতে সব স্পষ্ট। মেহজা ঢোক গিলে। তার লজ্জা লাগছে। তবে একটুও নড়ে না। নড়তে হবে যে ভুলেই গেছে। ইরফান এতক্ষণ সামনের দিকে তাকিয়ে ছিল পেছনে ঘুরতেই মেহজাকে দেখে থতমত খেয়ে যায়। তার স্পষ্ট মনে আছে সে এপাশের গেইটটাতে লক করেছে ভেতর থেকে। তবে মেহজা এলো কীভাবে! সে কী তবে আগে থেকেই এখানে ছিল! ইশ! খেয়াল করেও তো দেখার দরকার ছিল? অবশ্য তার লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। সে পুরুষ মানুষ। এই অবস্থায় তারা রাস্তাঘাটেও হাঁটতে পারে। কিন্তু গতদিনের জন্য মেহজার সামনে পড়তে তার অস্বস্তি লাগছে। সে নিজেকে সামলে বলল,
-‘কী ব্যাপার! তুমি এইসময়ে এখানে?’
মেহজা আমতা আমতা করে বলল,
-‘আমি মাঝে মধ্যেই আসি ছাদে।’
-‘আচ্ছা।’
-‘আমি তাহলে চলে যাচ্ছি ভাইয়া।’
-‘কেন?’
-‘না মানে আপনি তো গোসল করছেন!’
-‘আমি গোসল করতে হলো নিজের ওয়াশরুমেই করব। আমি সুইম করতে এসেছি। তুমি চাইলে থাকতে পারো। তবে এতক্ষণ তো তোমাকে দেখিনি!’
-‘আমি ওদিকে ছিলাম।’
আঙুল দিয়ে ইশারা করে বলল। ইরফান বলল,
-‘ওহ্।’
দুজনেই কী বলবে বুঝে পাচ্ছেনা। ইরফান একটু সামনের দিকে কাঁচের গায়ে ঘেসে হেলান দিয়ে দাঁড়ায়। মেহজা এবার ইরফানের সেই প্রশস্ত বুক আর চওড়া কাঁধ লক্ষ্য করল। সে দৃষ্টি ঘুরিয়ে নেয়। ইরফান বলে,
-‘সুইম করতে জানো!’
মেহজা কী বলবে? সে কী বলে দিবে ‘না আমি ওতো ভালো সাঁতার কা’ট’তে জানিনা। মাঝে মাঝে আমার তো হাঁটু সমান পানিতে পা দিতেও ভয় হয়। কেন না আমি সাঁতার কা’ট’তে পারি তখন যখন টিউব থাকে সাথে।’ তবে ইরফান যদি তার মজা উড়ায়? যদি বলে, ‘এত বড় মেয়ে হয়েছ আর টিউব ছাড়া সাঁতার কা’ট’তে পারো না? সো স্যাড!’ না থাক। সে একটু মিথ্যা বলুক। একটু-ই!
-‘আমি পারি। খুব ভালো সাঁতার কা’ট’তে পারি।’
-‘বাহ্! ভালো তো। মাঝে মাঝে এসে সাঁতার কা’ট’তে পারো।’
-‘আপনার সাথে?’
মেহজা নিজেই নিজের কথাতে অপ্রস্তুত হয়ে যায়। কী বলতে কী বলে ফেলেছে! ইরফান এর ও সেই অবস্থা। সে একটু ইতস্তত হয়ে বলল,
-‘আমার সাথে নয়, আমি সেটা বোঝাই নি। মানে তুমি নিজে একা বা ফ্যামিলি মানে ফিমেইল কারো সাথে!’
-‘জ্বি ভাইয়া বুঝতে পেরেছি।’
দুদিকেই আবারও নিরবতা। মেহজা বারবার ইরফানের দিকে তাকাচ্ছে একটু একটু করে। তাকায় আবার চোখ সরায়! ইরফান কয়েকবার তার এই চোরা দৃষ্টি ধরেছে তবে কিছু বলেনি। সে নিজের মতো সাঁতার কা’ট’ছে। মেহজাকে চলে যেতে বলবে যে সেটাও ভদ্রতার খাতিরে বলতে পারছেনা। অবশেষে মেহজা নিজেই মুখ খুলে।
-‘আমার বাসায় যেতে হবে ভাইয়া। আমি তাহলে যাই!’
ইরফান পানিতে একটা ডুব দিয়ে বলল,
-‘আচ্ছা যাও।’
মেহজা চলে আসতেই টাইলসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে পানিতে পা পিছলে ধরাম করে পুলে পড়ে গেল। পড়তে পড়তেই বলল,
-‘ভাইয়া আমি টিউব ছাড়া ভালো সাঁতার কা’ট’তে পারিনা!’
১৫.
মেহজা ভিজে জামাকাপড় নিয়ে বসে আছে। তখন যখন সে পানিতে পড়ে গেছিল ইরফান বেশ চমকে গিয়েছিল। তবে দেরি করেনি দ্রুত মেহজাকে টেনে তুলে আনে। মেহজা কী গর্দভের মতোন ঝাপটে ধরেছিল লোকটাকে! ভাবতেই তো লজ্জা লাগছে। ইরফান দাঁড়িয়ে আছে গেইটের ওই পাশে। সুইমিংপুল এড়িয়া একটা লোহার গেইট এর দ্বারা বদ্ধ থাকে। মেহজা যতবার এসেছে ততবার খোলাই পেয়েছে। তবে এখন সেটা টেনে দেওয়া। ভেতর থেকে লক করা। ইরফানের তোয়ালে মেহজার গায়ে। সে মাথা নামিয়ে চুপচাপ বসে আছে। ইরফান কাউকে কল করেছিল সামনে গিয়ে। হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে কারো জন্য অপেক্ষা করছে। মেহজার সর্দি লেগে গেছে। সেই কখন থেকে হাঁচি দিচ্ছে। চোখ মুখ কেমন লাল হয়ে আছে। ইরফান মেহজার মুখের দিকেই তাকিয়ে আছে। যেহেতু অনেক বাতাস হচ্ছে সেই বাতাসের জোরে ঠান্ডাও বেশ লাগছে। মেহজা ঠকঠক করে কাঁপছে। ইরফান সেদিকেই তাকিয়ে আছে। ভালো লাগছে তাকিয়ে থাকতে। কেন? তা সে জানেনা। ঠাসঠাস শব্দ হলো গেইটের মধ্যে। ইরফান বুঝল কে এসেছে। সে লক খুলে দিল। ওমনি হুড়মুড় করে প্রবেশ করল ইরা আপু। তিনি ইরফানকে পাত্তা না দিয়েই মেহজার কাছে গেল। মেহজার অবস্থা দেখে তার খুব মায়া হলো। মেহজাকে বলল,
-‘এমন হলো কীভাবে!’
যদিও প্রশ্নটা মেহজাকে করা হয়েছিল তবে তাকিয়ে ছিল ইরফানের দিকে। বোনের চোখের ভাষা খুব একটা ভালো ছিল যে সেটাও না। সে বলে,
-‘ওর পা স্লিপ কেটে পড়ে গেছে।’
-‘সেটা আমি ওর থেকেই জানবো। তোমাকে আর কিছু বলতে হবে না।’
-‘আপু আমি পা পিছলেই পড়েছি।’
-‘আচ্ছা। ঠিক আছে। তবে তোমার তো সর্দি লেগে গেছে।’
-‘হুম।’
-‘ইয়াজ তুই বাসায় যা। আমি আছি ওর কাছে।’
ইরফান দাঁড়ায় না। সে নিচে চলে গেল তার বাথরোব গায়ে দিয়েই। ইরা বলল,
-‘বাসায় চলো। আমি তোমাকে নিয়ে যাই।’
-‘আপু!’
মেহজা ইরার হাত চেপে ধরে। ইরা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালে মেহজা বলে,
-‘আম্মুকে বলবেন না উনি যে ছিল।’
-‘উনি?’
-‘আপনার ভাই।’
ইরার এত হাসি পেয়েছিল কথাটা শুনে! কী ভাবে বলছে উনি, আপনার ভাই। মনে হয় ভাইয়ের নতুন বউ ভাইয়ের কথা বলছে এমন করে। সে কোনোমতে হাসিটা চেপে রেখে বলল,
-‘না না বলব না।’
-‘আম্মু যদি বলে আমাকে কে তুলেছে তাহলে কী বলবেন!’
-‘বলব যে আমিই তোমার হাত ধরে টেনে উঠাইছি। তুমি ওয়াল ঘেসে পড়ে গিয়েছিলে সাইডে হওয়াতে আমি টেনেই তুলতে পেরেছি।’
-‘এটাই ভালো হয়।’
মেহজাকে ইরা বাসায় দিয়ে গেলে মেহজার মা মেয়ের অবস্থা দেখে আর কোনো কিছু ভাবল না, জিজ্ঞেসও করল না। মেয়ে যে তার বেঁচে ফিরেছে সেটাই অনেক! ইরাকে বসিয়ে চা খাওয়ায় গল্প করে। ইরাও তার সঙ্গ উপভোগ করেছে ভালো। ইরা যাওয়ার আগে তাকে বলে গেলেন,
-‘আমাদের বাসায় যাবেন আন্টি। আপনি নাকি একবারও যান নাই।’
-‘সময় হয়? বড়টা তো শান্ত। ছোট দুইটার জ্বালায় কী আর বাঁচি? এরা কোনো কাজ তো করেই না উল্টো কাজ কীভাবে বাড়াতে হয় সেই ধান্দায় থাকে।’
-‘সমস্যা নেই। বিয়ে হলে ঠিক হয়ে যাবে।’
-‘বিয়ে হবে কীনা সেই সন্দেহ আছে। এই মেয়ে যে উড়নচন্ডী!’
-‘হবে হবে। দেখা গেল আপনার মেয়ের অনেক ভালো জায়গায় বিয়ে হবে। তা আন্টি মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্ল্যান আছে!’
এই কথা শুনে মেহজার মা সাবিনা বেগম একটু নরম হলেন। বললেন,
-‘না। মেয়ে তো ছোট। আর তাছাড়া আমার এই একটাই মেয়ে। দূরে পাঠালে থাকব কীভাবে! বিয়ের কথা এখন আমরা ভাবিনা। তবে প্রস্তাব আসে। ওর বাবা মানা করে দেয়।’
-‘কাছে থেকে আসলেও মানা করবেন?’
এবারে সাবিনা বেগম সন্দেহি দৃষ্টিতে তাকায়। ইরা হেসে ফেলে।
———————-
রাতে খাবার খেতে যখন বসল ইরা সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল,
-‘আজকে ইয়াজের বিয়ের কথা পাঁকা করে এসেছি।’
ইরফান ভ্রু কুঁচকে তাকায়। বাকি সবাই আগ্রহী দৃষ্টিতে তাকালেও ইরফানের আগ্রহ দেখা গেল না। মা-বোনদের মশকরায় সে অভ্যস্ত। ইরা বলল,
-‘কীরে! বিয়ে করবি না? কত বয়স হলো! আমার মা আর কয়দিন একা থাকবে?’
-‘ইকরা আপু আছে তো!’
-‘ইকরার তো আগামী দুই মাসের মধ্যেই বিয়ে। তখন তো ও চলে যাবে।’
-‘আসা যাওয়া তো থাকবেই সবার।’
-‘আসা যাওয়া থাকা আর থেকে যাওয়া এক হলো? বিয়েটা এবার করে নে!’
-‘আমার বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লাগছ কেন?’
-‘একমাত্র ভাই আমাদের! আবার কবে আসব কে জানে? বাঁচা মরার কথাও তো বলা যায় না। আমি চাই আমার দেশে থাকাকালীন যেন তোর বিয়ে হয়।’
-‘আই আম নট ইন্টারেস্টেড।’
-‘সেটা চার বছর আগে থেকেই বলে আসছিস। এই তোর কোনো সমস্যা আছে নাকি! আমাদের বলতে পারিস লজ্জা কীসের!’
ভাগ্যিস বাবা নেই খাবার টেবিলে। তিনি আটটায় খেয়ে দশটায় ঘুমিয়ে পড়েন। অপ্রীতিকর অবস্থা থেকে সে বেঁচে গেল। তবে খুব একটা লাভের লাভ হলো না। হাসনা হাসছে ইকরা আর ইনায়া হাসছে। কী একটা অবস্থা। ইরফান দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
-‘স্টপ ইট গাইজ! হাসছ কেন তোমরা?’
ইকরা বলল,
-‘কীরে! সমস্যা আছে? থাকলে বল। আমার একটা ভালো ডাক্তার ফ্রেন্ড আছে। এই টপিকে তার আইডিয়া ভালো। সলিউশন দিতে পারবে।’
-‘সে ডাক্তারটা কে? তোমার বয়ফ্রেন্ড নয় তো?’
ইকরা রেগে গেল। বলল,
-‘ও আমার ফিয়ন্সে। বয়ফ্রেন্ড বলিস কেন?’
-‘আগে তো সেটাই ছিল তাই বললাম।’
ইরফান খাওয়া শেষ করে উঠে গেল। এই তিন বোন তাকে ভীষণ জ্বালায়। ভীষণ!
১৬.
মেহজার সেদিনের পর সর্দির সাথে সাথে আরেকটা নতুন অসুখ হলো। সে ইরফানের প্রতি দুর্বলতা অনুভব করে। ইরফানকে দেখলে তার বুক কাঁপে। তাকে দেখলে তাকিয়ে থাকতেই ইচ্ছা করে। কতবার চোরা চোখে তাকিয়েছে! আসতে যেতে তাকে যতবারই দেখে বুকের ভেতর ধুম ধাম আন্দোলন চলে। ইমা ম্যাম তো চলে গেছেন আরো আগেই। মেহজা ও আর সে বাসায় যায়না। তবে ইরা আর মাহিমা বেগম একদিন এসেছিল। তার মায়ের সাথে গল্প গুজব করে আবার চলে গেছে। মেহজাকে বলেছে যেতে তবে প্রতিবারই ইরফানের কথা ভেবে লজ্জায় তার যাওয়া হয় না। ইদানীং বাসা থেকে বের হলে টুকটাক সাজ গোজ করে। বলা তো যায় না কখন দেখা হয়ে যায় ইরফানের সাথে! একদিন লিফটে দেখা হয়েছিল। ইরফানের পারফিউমের সেই মা’তা’ল করা ঘ্রাণে মেহজার জ্ঞান হারানোর মত অবস্থাও হয়। ইরফান যখন তাকে দেখে মৃদু হাসে সেই হাসি মেহজার বুকে কাঁমড় বসায়। কী সব উল্টো পাল্টা অনুভতি! মেহজার সারাক্ষণ ইরফানের কথা মনে পড়ে। শুধু ইরফানকে ভাবে। এরই মধ্যে পরীক্ষা শুরু হলো। খুব কষ্টে নিজের মনকে বুঝিয়ে সে পরীক্ষা দিল। এখন সে মুক্ত। তবে মুক্ত হলেও যে ইরফানকে সবসময় দেখতে পায় তা কিন্তু না। অনা আর প্রথিকে যখন এইসব জানায় তারা বলে,
-‘ইউ আর ম্যাডলি ইন লাভ উইদ হিম!’
কথাটা শুনে মেহজার মেরুদন্ড বেয়ে শীতল স্রোত বইতে থাকে। সত্যিই! কই সে তো জানেনা? হঠাৎ, কখন, কীভাবে হয়ে গেল?
#চলবে।