গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_১৩

গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_১৩
#নুসরাত_জাহান_অংকুর

রেহান বাইরে যাওয়ার সাথে সাথে রিহা ওর আব্বুকে বলে

রিহা : আব্বু i am sorry
আফজাল : মামনি অভাবে বলতে নেই দোষ আমারই
রিহা : পাপা আমি তোমার কাছে গিয়ে থাকবো(ওর আব্বুর বুকে মাথা দিয়ে)
আফজাল : আচ্ছা ঠিক আছে আমি রেহান এর সাথে কথা বলে দিচ্ছি
রিহা : ওই খাটাস কখনো যেতে দিবে না খুব খারাপ তুমি জানো
আফজাল : নারে তোর বর তুই ভালো জানবি
রিহা : বর না রাক্ষস বর সারাক্ষণ এটা করো ওটা করো মাঝে মাঝে মনে চায় ওকে কুচি কুচি করে কেটে সুপ বানিয়ে খেয়ে ফেলি

রেহান : কাকে খেয়ে ফেলবে হুম (ভিতরে আসতে আসতে)
রিহা : কই না তো

আফজাল সাহেব মেয়ের কাণ্ডে হাসতে হাসতে শেষ ।

রিহা : আব্বু তুমি হেসো না তো
আফজাল : ওকে মামনি
রেহান : রিহা আমাদের আজ বের হতে হবে।
আফজাল : কোথায় যাবে ?
রেহান : আম্মু ফোন করেছিলো আম্মুর শরীর নাকি ভালো না অনেক দিন ওখানে যাইনি আর রিহাকে ও দেখতে চাইছে
রিহা : আপনার আম্মু আছে ?
রেহান : আম্মু ছাড়া দুনিয়াতে আসলাম কি করে আজব প্রশ্ন করো
আফজাল : আচ্ছা তোমরা যাও আমি তোমার আম্মুর সাথে ফোনে কথা বলে নিবানে

রেহান কিছু বলার আগে রিহা বলে

রিহা : আপনার কোনো ভাই বোন নেই ?
রেহান : না কেনো ?
রিহা : তাহলে আমায় তো বোন বানাতে পারতেন

রেহান এর এখন মনে হচ্ছে রিহাকে তুলে আছার মারতে রিহার আব্বু মেয়ের কথায় হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছে না

আফজল : আচ্ছা তোমরা কথা বলো আমি বাইরে আছি

আফজাল সাহেব বাইরে চলে যাওয়ার সাথে সাথে রেহান রিহার গেল চেপে ধরে

রেহান : কি বলছিলে আবার বলো ?

রিহার গাল এতো জোরে চেপে ধরে যে রিহা কথা বলতে পারছে না । রেহান গাল ছেরে দেয় । রিহার গাল তো লাল হয়ে গেছে

রিহা : আপনি একটা রাক্ষস আমর গাল লাল করে দিচ্ছেন

রেহান এর খুব খারাপ লাগলো
রেহান : i am sorry আমি এতো জোরে দিতে চাইনি (রিহার গালে হাত বুলিয়ে)

রিহার রাগ আরো বেড়ে গেলো
রিহা : সরি কিসের সরি আমায় কি পুতুল পাইছেন যখন যা ইচ্ছা তাই করবেন আপনাকে একবার গাল লাল করে দি তাতে তো হবে আপনাকে তো লাঠি মারতে হবে হ্ন তাহলে বুঝবেন কেমন লাগে হ্ন
রেহান : কি তুমি আমাকে লাঠি মারবে ?
রিহা: আপনি আমাকে মারতে পারলে আমি কেনো পারবো না আমার বুঝি ব্যাথা লাগে না

রেহান : আচ্ছা ঠিক আছে আদর করে দিচ্ছি

কথাটা বলে রেহান রিহার গালে ভালোবাসা দেয় । রিহা তো হা

রিহা : এই আপনি বের হন এখান থেকে অসভ্য লোক লজ্জা সরম নেই আমার মান সম্মান সব শেষ করে দিল বের হন এখান থেকে
রেহান : এখন ও ত কিছু করলাম
রিহা : আপনি কি বের হবেন (চোখ গরম করে)
রেহান : ওকে ওকে আমি বিল মিটিয়ে আসছি তুমি রেডী থেকো
রিহা : আপনি যান তো

রেহান উঠে দরজার কাছে গিয়ে বলে

রেহান : এখন যাচ্ছি কিন্ত পরে তো(চোখ মেরে)
রিহা : আপনি যাবেন

রেহান চলে গেলো
রিহা : ফাজিল কোথাকার

রিহার আব্বু আসলো
আফজাল : মামনি তুমি কি হাটতে পারবে
রিহা : হা পাপা পারবো তুমি চিন্তা করো না
আফজাল : আচ্ছা ঠিক আছে আয় রেহান নিচে আছে ।

রিহা ওর আব্বুর হাত ধরে নিচে যায় সেখানে অনি আর রেহান দাড়িয়ে আছে । নীলিমা চলে গেছে রিহা যখন সেন্সলেস ছিল তখন দেখে বাসায় গেছে ।

রিহা রেহান এর দিকে তাকাতেই রেহান চোখ মারে

রিহা : অসভ্য লোক (বির বির করে)
আফজাল : কিছু বললি মা
রিহা : না কিছু না

রেহান : রিহা গাড়িতে উঠ অনেক দেরি হয়ে গেছে
আফজাল : যা মা আমি একটু কাজ সামলে তোর sathe দেখা করে আসবো
রিহা : আচ্ছা

রিহা গাড়িতে উঠে । রেহান গাড়ি স্টার্ট করে।

কিছুক্ষণ পর
রিহা : আচ্ছা আপনার আম্মু হটাত কই থেকে আসলো ?
রেহান : তোমার কি মাথার সিট খারাপ হয়ে গেছে আম্মু আবার কই থেকে আসে
রিহা : না মানে এতদিন তো শুনলাম না
রেহান : কখনো জানতে চাইছো
রিহা : না জানতে চাইলে বুঝি বলা যায়না
আচ্ছা আপনার আম্মু আমাদের বিয়েতে কেনো আসলো না আমাকে কি ভালো লাগেনি
রেহান : তেমন কোনো কিছু না আম্মু তোমাকে খুব ভালোবাসি গেলেই বুঝবে আসলে আম্মু তখন একটু দুর্বল ছিল তাই আমি আসতে দেয়নি বিয়ের পরে যাওয়ার কথা ছিল কিন্ত আমি চাইনি আম্মু তোমার পালানোর কথা জানুক
রিহা: আচ্ছা বুঝলাম
রেহান : এখন চুপ করে বস
রিহা : ওকে ওকে

একটু পর
রিহা : আচ্ছা আপনার পরিবারে আর কে কে আছে ?
রেহান : রিহা মায় লাভ একটু চুপ করে বস আমি গাড়ি চালাচ্ছি
রিহা : তো কি হইছে গাড়ি তো হাত দিয়ে চালাচ্ছেন মুখ দিয়ে তো না
রেহান : উফফ তুমি

কথাটা বলে রেহান রিহাকে এক হাত দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আছে । এক হাত দিয়ে রিহাকে জড়িয়ে অন্য হাত দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে

রিহা : আরে ছাড়ুন
রেহান : চুপ কোনো কথা না এখন যা প্রশ্ন আমার মনের কাছে করো

রিহা আর কোনো কথা বলে না চুপ করে রেহান এর বুকে মাথা দিয়ে রাখে । কিছুক্ষণের মধ্যে রিহা ঘুমিয়ে পড়ে । রেহান গাড়ি চালাচ্ছে আর একটু পর পর তার ঘুমন্ত পরিকে দেখছে

কিছুক্ষণের মধ্যে ওরা বাসায় চলে আসে । রেহান গাড়ি থেকে নেমে রিহাকে কোলে করে রুমে গিয়ে শুয়িয়ে দেয়।

রেহান ফ্রেশ হয়ে সর্ভেমেন্ত কে বলে ব্যাগ গুছাতে বলে । রেহান রিহার পাশে শুয়ে পড়ে

কিছুক্ষণ রিহার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে তখনই ফোন বেজে উঠে । রেহান ফোন হাতে নিয়ে বাইরে যায়

রেহান : হা বল
অনি : এখনই বের হবি নাকি ?
রেহান : হুম একটু পর তুই এই দিকটা দেখে রাখিস আমি কিছুদিন পর চলে আসবো
অনি : তোকে চিন্তা করতে হবে না আর বডিগার্ড নিয়ে যাস পাকনামি করতে আবার একা গাড়ি চালাতে যাস না
রেহান : কি বলিস কি পাশে বউ থাকলে রোমান্টিক ওয়েদার আমি কি ওতো পাগল যে কাবাব মে হাড্ডি আনব
অনি : রেহান একটু বুঝ তুই নিজের খেঁয়াল রাখতে পারবি কিন্ত রিহা সে তো মেয়ে শত্রুরা কিন্ত চারিদিকে থাকবেই
রেহান : চিন্তা করিস না পিছনে লোক থাকবে কিন্ত আমাদের গাড়িতে নিলে রিহা জানিস তো সব সময় আমাকে #গ্যাংস্টার গ্যাংস্টার বলে
অনি : ওকে যা ভালো বুঝিস কর

রিহার ঘুম ভাঙতেই রিহা চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে আয়াস দাড়িয়ে আছে ।

রিহা কিছু বলতে যাবে তার আগে আয়াস বলে

আয়াস : কেমন আছো ? শুনলাম তুমি নাকি অসুস্থ
রিহা : আপনি এখানে কেনো যান বেরিয়ে যান
আয়াস : আচ্ছা যাচ্ছি আমি শুধু তোমাকে দেখতে এসেছিলাম আর কিছু না
রিহা : মানে কি আপনি কেনো আমায় দেখতে আসলেন ?(অবাক হয়ে)
আয়াস : সেটা না হয় অজানা থাক

কথাটা বলে আয়াস একটা রহস্য জনিত হাসি দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায় ।

রিহা : আজব তো এ আমার বাসায় কি করছে রেহান যদি দেখে

কথাটা ভেবে রিহা উঠে নিচে যায় আয়াস মাইনদরজা দিয়ে বের হচ্ছে আর রেহান রান্না ঘর থেকে আসছে আর একটুর জন্য ওর একজন আরেকজনকে দেখতে পাইনি

রিহা : এই লোকটাকে আমি পরে দেখে নেবো আজ চলে না গেলে একে বুঝতাম আমি কি জিনিষ কত বড়ো সাহস আমার বাড়ি চলে আসছে লোকটার মতিগতি ঠিক লাগছে না (মনে মনে(

রেহান : কিহলো কি ভাবছো ?

রেহান এর কথায় রিহা কেপে উঠে
রিহা : না কিছু না খাবার আনছেন দেন আমার খুদা লাগছে

কথাটা বলে রিহা রেহান এর হাত থেকে খাবার নিয়ে খেতে লাগে

রেহান : আরে আস্তে
রিহা : আমার খুদা লাগছে
রেহান একজায়গায় বসে খাও

রিহা সোফায় বসে পড়ে।রেহান রিহার দিকে হা করে তকিয়ে আছে

রিহা : অভাবে কি দেখছেন নজর দেবেন না পারলে নিজে খেয়ে নেন
রেহান : তোমাকে খাবো
রিহা : আমি কি খাওয়ার জিনিস
রেহান : হা আমার খাওয়ার জিনিস
রিহা : ফালতু কথা বাদ দিয়ে কখন বের হবো সেটা বলেন
রেহান : ওহ হা তুমি খেয়ে রেডী হয়ে নাও আমরা একটু পর বের হবে দেরি হলে রাত হয়ে যাবে
রিহা : আচ্ছা

রেহান উপরে রেডী হতে যায় রিহা খেয়ে রেডী হয়ে নেয়।

রেহান : তুমি রেডী ?
রিহা : wait আগে ফ্রেন্ড দের সাথে কথা বলে নি
রেহান : সেটা তো গাড়িতে ও বলতে পারবে
রিহা : উফফ দাড়ান তো

রিহা ওর ফ্রেন্ড গ্রুপে কল করে সবাই কে জানিয়ে দেয় ।

রেহান : রিহা তাড়াতাড়ি করো (বিরক্তি নিয়ে)
রিহা : উফফ হইছে এতো ডাকেন কেনো ছাগলের মত
রেহান : কি আমি ছাগল
রিহা : চুপ যান তো আগে কইটা সেলফি তুলে নি
রেহান : সেলফি কিসের জন্য
রিহা : উফফ আপনি বুঝবেন না

রেহান এর অসহ্য লাগছে রিহা তো পিক তুলেই যাচ্ছে ।

অনেকক্ষণ পর
রেহান : এবার কি হলো ?
রিহা : হুম আপনার সাথে তো তুলাই হলো না আসেন

রিহা রেহান এর সাথে কিছু পিক তুললো

রেহান : এবার যাওয়া যাক
রিহা : হুম

দুইজন গাড়িতে উঠলো রিহা তো বক বক করেই যাচ্ছে ।

হটাৎ
রিহা : এই দাড়ান
রেহান : কিহলো ?
রিহা : আইস ক্রিম নিয়ে আসেন
রেহান : আল্লাহ এই মেয়ে কে নিয়ে আমি কই যাবো
রিহা : কই যাবো মানে আপনি কি ঠিকানা ভুলে গেছেন ?
রেহান : চুপ করো আমি আনছি
রিহা : ওকে

রেহান আইস ক্রিম চকোলেট চিপস আরো অনেক কিছু নিয়ে আসে যাতে রিহা এইগুলো খায় রেহান এর মাথা না হি হি হি

রিহা এসব খাচ্ছে আর সেলফি তুলছে। রেহান মুচকি মুচকি আসছে

রিহা : আমি চালাবো ?
রেহান : না
রিহা : একটু চালাই
রেহান : না বললাম তো

রিহা আবার চকোলেট খেতে লাগলো

একটু পর রিহা তো অবাক রেহান রিহাকে এক হাত দিয়ে তুলে নিজের সীটে বসিয়ে রেহান রিহার সীটে বসে

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here