গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_২০

গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_২০
#নুসরাত_জাহান_অংকুর(ঠান্ডা পানি)

রেহান রিহার হাত থেকে বালিশ কেরে নেয়।

রেহান : স্বামীর গায়ে কেউ হাত দেয় পাপ লাগবে
রিহা : আর আপনি যে আবোল তাবোল বকছেন তার বেলায়
রেহান : কি বললাম যা সত্যি তাই বলছি
রিহা : হইছে রাখেন আপনার সত্যি আগে আমার কথা শুনেন
রেহান : ওকে ম্যাডাম বলেন
রিহা : আপনার খালা আম্মু দেশে আসছে মানে অন্তরা আপুর আম্মু আর আব্বু
রেহান : এতে তুমি ওতো খুশি কেনো
রিহা : আরে পুরো কথা তো শুনেন অন্তরার আপুর দাদু নাকি অসুস্থ তাই অন্তরা আপুর আব্বু আম্মু ওদের দেশের বাড়ি যাবে সাথে আমাদের ও উফফ কি যে আনন্দ হচ্ছে বলে বুঝাতে পারবো না

রেহান কিছুক্ষণ রিহার দিকে তাকিয়ে বলে

রেহান : তোমার যাওয়া হবে না (গম্ভীর কণ্ঠে)
রিহা : মানে কি ?(অবাক হয়ে)
রেহান : মানে তুমি আর আমি যেতে পারবো না
রিহা : কিন্ত কেনো ?
রেহান : আমার কাজ আছে আর এখন এই করোনার মধ্যে কোথাও যাওয়া ঠিক হবে না
রিহা : আমরা তো দূরত্ব মেনে কাজ করবো
রেহান : তাও হবে না (বিছানা থেকে নামতে নামতে)
রিহা : আমি যাবো মানে যাবো

রেহান ধমক দেয়
রেহান : তোমাকে বলেছি না তুমি যাবে না মানে যাবে না
রিহা : কিসের জন্য আপনার গোলাম আমি যখন যা খুশি তাই বলবেন আর আমি তাই করবো কিছুতেই না আমি যাবো
রেহান : একটা চর দেবো বেআদব মেয়ে সোজা কথা কানে যায় না

রিহার খুব কষ্ট হচ্ছে রেহান সামান্য বিষয় নিয়ে এমন করবে । রিহা কিছু না বলে বিছনায় বসে আছে রেহান ফ্রেশ হতে যায় ।

একটু পর বেরিয়ে দেখে রিহা ঐভাবে বসে আছে

রেহান : চলো খেতে চলো
রিহা….
রেহান : ওতো মন খারাপ এর দরকার নেই অন্য এক সময় যাবো
রিহা…..
রেহান : চলো (রিহার হাত ধরে)

রিহা এবার রেহান এর দিকে তাকায় রিহা চোখ লাল হয়ে আছে চোখে বৃষ্টি পড়বে পড়বে ভাব । রেহান হন্তদন্ত হয়ে

রেহান : রিহা কি হইছে প্লিজ জান এমন পাগলামি করো না দেখি (চোখের পানি মুছে দিয়ে) তুমি ওমন করলে আমার খারাপ লাগে না

রিহা এক ঝটকায় রেহান এর হাত সরিয়ে বলে
রিহা : না লাগে না আপনার আরো খুশি লাগে আমার কষ্ট লাগল তো আপনার খুব ভালো লাগে তাই না সেইজন্য তো আমার জিবন শেষ করতে বিয়ে করছেন আমাকে কষ্ট পেতে দেখলে আপনার খুব ভালো লাগে (চিল্লিয়ে)

রেহান অবাক হয়ে রিহার কথা শুনছে । রেহান এর ভিতর পুড়ে যাচ্ছে রিহার কথা শুনে

রিহা আর কথা না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় রেহান ওখানে বসে ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে আজ যে ওর বড্ড কষ্ট হচ্ছে ভেবেছিল রিহা হইতো সব মেনে নেবে কিন্ত না রিহা আস্তে আস্তে রেহান এর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে রিহা কি আদৌ কখনো রেহানকে ভালোবাসতে পারবে নাকি রিহার মনে অন্য কেউ সব কিছু রেহান এর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে ।

রিহা নিচে এসে নিজেকে স্বাভাবিক করে সবার সাথে বসে

রুসা : কীরে রেহান ভাইয়া কই
রিহা : আমি কি করে বলবো আমি কি সব সময় উনার সাথে থাকি ।
রুসা : তোর কি
অন্তরা : আমি ডেকে আনছি
মাইশা চৌধুরী : অনি বাবা তুই ও আমাদের সাথে যাবি
অনি : কিন্ত
মাইশা চৌধুরী : কোনো কিন্ত না তুই তো আমার ছেলের মত
রিহা : মামনি অনি ভাইয়া তোমাদের কি অনেক পরিচিত
মাইশা চৌধুরী : হা অনি আর রেহান এক সাথে স্কুলে পড়তো সেখান থেকে অনিকে চেনা অনির আব্বু আম্মু নেই দাদীর বাড়ি মানুষ হইছে তাই আমাদের বাসায় প্রায় আসত আর আমি ওদের দুইজন কে এক মনে করতাম । রেহান কি বলে জানিস অনি ও বন্ধু না ওর ভাই
রিহা : আমাকে তো কখনো বলিস নি হারামী (রুসা দিকে তাকিয়ে)
রুসা : তুই তো জানতে চাসনি
রিহা : তোদের বিয়ে হলো কি করে
অনি : রুসাকে আমি কলেজে উঠার পর থেকে চিনি তারপর পরিচয় অ্যান্ড পরে পারিবারিক ভাবে বড়ো আম্মু বিয়ে দিয়েছে (রেহান এর আম্মু)
রিহা : nice love story বট আমি থাকলে আরো ভালো হইতে চুপি চুপি বিয়ে করলো এবার ট্রিট দে
রুসা : তুই ও ত বিয়ে করছিস
রিহা : আমার বিয়েতে যে ওতো খাওয়া খেলি
মাইশা চৌধুরী : অনেক কথা হইছে এখন সবাই চুপ চাপ খেয়ে নাও

সবাই খাওয়া শুরু করে একটু পর রেহান আর অন্তরা আসে।

রেহান এসে রিহার পাশে বসে তার পাশে অন্তরা । আজকে রিহা একদম অল্প খেয়ে উঠে গেলো কিন্ত রেহান কিছু বললো না ।

রিহা বসে বসে টিভি দেখছে মন ভালো করতে তো কিছু একটা করতে হবে তাতে ও শান্তি নেই এই চ্যানেল থেকে ওই চ্যানেল করছে হটাৎ একটা খবর দেখে রিহা স্তব্ধ

এদিকে অন্তরা অনি রুসা রেহান কথা বলে যাচ্ছে রেহান কিছু বলছে না শুধু শুনছে । রিহা বিরক্ত হয়ে বলে

রিহা : উফফ তুমরা চুপ করো তো দেখছ না একটা খবর দেখছি ভালো করে শুনতে দাও
রুসা : কি এমন শুনছিস
রিহা : আরে কাল বড়ো নারী পাচার কারি কে পুলিশ ধরতে পারছে সাথে তার দলবল আর কে জানি তাদের সব ব্যাবসা পুড়িয়ে দিয়েছে
ভালো হইছে এমন মানুষকে যে ধরিয়ে দিয়েছে তাকে তো কাছে পেলে একটা

আর কিছু বলল না
রুসা ,: কি করটিস শুনি ?
রিহা : জানিনা তবে এমন মানুষকে একবার দেখার খুব ইচ্ছা

রিহার কথায় অনি রেহান কে চোখ মারে । রেহান কিছু বলে না ।

অন্তরা : এরা খুব dangerous হয়
রিহা : সেটাই তো ভালো উফফ একটা ফিল আসবে আহা
রুসা : তুই চুপ কর তোর আবার ফিল
রিহা : এখানে আমার কোনো মূল্য নেই থাকবো না

রিহা উঠে উপর ছাদে যায় ।

রুসা : ভাই আপনি বেচে আছেন তো এই মেয়ে যা
অনি : আমি যদি বেচে থাকি রেহান কেনো পারবে না ।

অনি কথায় সবাই হেসে দেয় রুসা তো অনিকে চোখ রাঙিয়ে কিছু একটা বুঝাচ্ছে

অন্তরা : তোমার কি মন খারাপ ?
রেহান : কই না তো
অন্তরা : আমার থেকে লুকিয় না আমি সব বুঝতে পারছি
রেহান : আমরা একটু কাজ আছে আমি আসি

কথাটা বলে রেহান বেরিয়ে যায় ।
রিহা উপরে ছাদে বসে গান শুনছে ছাদে এখন খুব রোদ কিন্ত দোলনার জায়গায় ছায়া
সেখানে বসে গান শুনছে হটাৎ গাড়ির আওয়াজে রিহা কিনারায় যায় । তাকিয়ে দেখে রেহান যাচ্ছে রেহান জানালা দিয়ে রিহার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বেরিয়ে গেলো

রিহা কিছু না বলে আবার গান শুনতে লাগলো একটু পর অন্তরা আসলো ।

রিহা অন্তরার সাথে গল্প করছে। এভাবে সারাদিন চলে গেলো রেহান বাড়ি আসেনি রিহা ও আর খোজ নেইনি

রাতে সবাই খাওয়া শেষ করে ঘরে গিয়ে শুয়ে পরে । রেহান কি কাজে আছে সেই জন্য আর কেউ ওকে বিরক্ত করেনি । সবাই ঘুমিয়ে আছে রিহার চোখে ঘুম নেই রিহা ছাদে দোলনায় বসে গল্প পড়ছে। নিরবে গল্পের বই পড়ার মজাই আলাদা রিহা সেটা উফভোগ করছে ।

রাত ১২তাই রেহান বাসায় আছে একজন সর্ভমানট দরজা খুলে দেয় রেহান ঘরে এসে দেখে রিহা নেই রেহান এর বুক ঢক করে উঠলো রেহান রিহার নাম্বারে ফোন দিয়ে দেখে ফোন ঘরে

রেহান বাইরে এসে দেখে সবার ঘরে দরজা লাগানো কিন্ত রিহা গেলো কোথায় হটাৎ ছাদের কথা মনে হলে রেহান ছাদে গিয়ে দেখে কেউ নেই ফিরে আসতে গেলে দোলনায় চোখ যায় দেখে একটা ছোটো পরি দোলনায় হেলান দিয়ে বই পরছে চারিদিকে মৃদু বাতাস ছোটো পরির চুল গুলো বাতাসের সাথে খেলা করছে চাদের আলোর সাথে জোছনা মুখটা ভালোই ফুটে উঠছে রেহান ধির পায়ে রিহার কাছে যায় । রিহার পাশে বসে বলে

রেহান : এখানে কি করছ ?
রিহা : দেখতে তো পারছেন কি করছি নাকি চোখ গেছে ?
রেহান : এতো রাতে তুমি এখানে বসে বই পড়ছ কেনো ঘর ছিল না
রিহা : এখানে ভালো লাগছে তাই আসছি (বই এর দিকে তাকিয়ে )

রেহান রাগে ফুলের টব ফেলে দেয়।

রিহা : এটা আপনি কি করলেন ?
রেহান : দেখতে তো পাচ্ছ নাকি চোখ গেছে ?
রিহা : এটা ভাঙলেন কিসের জন্য ?
রেহান : ভালো লাগছে তাই ভাঙছি

রিহা বুঝে যায় রেহান খুব রেগে আছে
রিহা : আচ্ছা ঠিক আছে এখন চলুন অনেক রাত হইছে
রেহান : তোমার ইচ্ছা হলে তুমি যাও আমার এখানে থাকতে ভালো লাগছে
রিহা : আর কতক্ষন থাকবেন সেই সকাল থেকে তো বাইরে ছিলেন
রেহান : ইচ্ছা হইছে তাই তুমি ও ত নিজের ইচ্ছায় চলো তাহলে আমি চললে দোষ (রেগে)

রিহার এখন নিজের মাথার চুল ছিরতে ইচ্ছা করছে

রিহা : আমি তো যাচ্ছি না এবার বাদ দিন
রেহান : কিসের জন্য তুমি যাও আমি বারন করছি নাকি যাও যেখানে খুশি এখন আমায় একা থাকতে দাও

রিহা রেগে নিচে যায় । রেহান ওভাবেই বসে আছে একটু পর রেহান নিজের মাথার উপর ঠান্ডা কিছু অনুভব করলো

ভালো করে দেখে রিহা পানি ঢালছে ।

রেহান : what the hell are u doing
রিহা : মাথা গরম কিছু তাই পানি অপস সরি বরফের পানি ঢেলে দিলাম এখন কি মাথা ঠান্ডা হইছে

রেহান রিহার হাত থেকে জগ নিয়ে বাকি পানি রিহার মাথায় ঢেলে দেয়

রেহান : তোমার মাথা ও তো গরম ছিল এখন কি ঠান্ডা হইছে
রিহা : আপনি একটা অসহ্য ।
রেহান : আর তুমি কি তুমি খুব ভালো ।
রিহা : হা ভালই তো আপনার ভাগ্য ভালো আমার মত একটা ভালো মেয়ে পাইছেন
রেহান : এটা আমার দূর্ভাগ্য
রিহা : ওহ আচ্ছা তাহলে এখন কি কোনো কালা চামড়া ভালো লাগছে (রেগে)
রেহান : কি ?
রিহা : কেনো বুঝেন না এখন তো বুঝবেন না

রেহান রিহাকে আর বলতে না দিয়ে কোলে তুলে ঘরে নিয়ে গিয়ে বাথরুমে ফেলে দেয় ।

রেহান : এখন মাথা ঠান্ডা করে আসো কেমন হা হা হা

রিহা রেহানকে যেতে দেয়না রিহা কলার ধরে সাওয়ার অন করে মাথা ডুবিয়ে দেয়।

রিহা : নেন এবার আপনি ইচ্ছা মত মাথা ঠাণ্ডা করুন হি হি হি

চলবে
(আমার খুব খারাপ লাগছে রেসপন্স দেখে আগামী তে রেসপন্স আগের মত না হলে গল্প দেবো না )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here