গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_৩২

গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_৩২
#নুসরাত_জাহান_অংকুর

রিহা বেশি দূর যাওয়ার আগেই রেহান ধরে ফেলে। পিছন থেকে উচু করে গাড়ির কাছে নিয়ে আসে। রিহা ত ছটফট করেই যাচ্ছে

রিহাঃ বাচাও এই লোক আমাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে কেউ কি আছ এই অবলা নারি কে

আর কিচু বলার আগেই রেহান ধমক দেয়
রেহান ঃ এই মেয়ে চুপ একটা কথা না অনেক জালিয়েছ আর একটা কথা বললে কিন্ত
মিহাদঃ দোস্ত ছেরে দে বাচ্চা
রিহাঃ আমার বাচ্চা চাই এনে দাও না পিলিগ

রেহান মাথায় হাত দিয়ে পরে আর মিহাদ হেসেই যাচ্ছে

রেহানঃ oi শালা একদম হাসবি না সর আগে বাসাই জেতে দে নাহলে মানসম্মান সব এখানেই ফিনিশ

রেহান রিহাকে জোর করে গারিতে উঠায়। কিন্ত রিহা বকবক করেই যাচ্ছে। রেহান না পেরে উরনা দিয়ে রিহার মুখ বেধে দেয় আর সিট বেল্ট দিয়ে হাত বেধে রাখে

রেহান ঃ এবার কথা বলো দেখি কেমন পার

রিহা শুধু উম্মম উম্মম করছে।

রেহান আরামে গাড়ি চালিয়ে বাসায় যায়। রিহার হাত খুলে কাধে করে রুমে নিয়ে যায়

রেহান ঃ এবার বলো কি বলছিলে?

রিহা মুখের থেকে উরনা সরিয়ে বলে

রিহা ঃ আপনি খুব খারাপ একটা লোক আমার হাত (হাত ধরে) দেখেন লাল হইছে আপনার কি মনে মায়া নেই এত পাসান
রেহান ; চুপ মেরে দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখব বুঝছ
রিহা :না বুঝি নাই বুঝিয়ে বলেন
রেহান : আল্লাহ

বলে বিছানায় শুয়ে পরে।

রিহা : কিহলো আপনি শুয়ে পড়লেন কেনো?
রেহান : তো কি এখন নাচবো
রিহা : সত্যি নাচেন তো একটু দেখি গান দেবো

রেহান বুঝে যায় এর সাথে কথা বলা ফাউ তাই আর তর্ক না করে শুয়ে থাকে

রিহা কি কম রেহান এর বুকের উপর উঠে বসে ।

রেহান : এই কি করছ নামো পরে যাবে তো নামো
রিহা : না আপনি বলছেন নাচবেন তাহলে নেচে দেখান তাড়াতাড়ি
রেহান : উফফ রিহা আমার ভালো লাগছে না নামো
রিহা : না
রেহান : ওকে তাহলে বসে থাকো

কিছুক্ষণ চুপ থেকে রিহা বলে
রিহা : আপনি আমায় ভালোবাসেন না তাই না(কাদো কাদো মুখ করে)

রেহান ভ্রু কুচকে রিহার দিকে তাকিয়ে আছে

রিহা : আপনি অন্তরা আপুকে ভালোবাসেন তাই না আপনাদের তো বিয়ে হওয়ার কথা ছিল
রেহান : তোমাকে এসব কে বলছে
রিহা : আমি জানি
রেহান : কে বলছে সেটা বলো (ধমক দিয়ে)
রিহা : রাইসা খালা মনি
রেহান : ওহ

রিহা নেমে আসতে গেলে রেহান রিহাকে বুকের সাথে চেপে ধরে

রেহান : সব ফাউ কথা ওমন কিছু হইনি আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি আর কাউকে না আমার সাথে তোমার বিয়ে ঠিক ছিল
রিহা : সত্যি ?(খুশি হয়ে)
রেহান : হুম শুধু একটা কথা মনে রাখবে রেহান তার রিহাকে ছাড়া অচল । রেহান শুধু ওর রিহাকে ভালোবাসে আর কাউকে না
রিহা : হি হি হি
তাহলে একটা কিসি করুন

রেহান এর মনে পরলো রিহা কি খাইছে সেটা জানা দরকার

রেহান: আচ্ছা রিহা তুমি কি মেলায় কিছু খাইছো মানে কেউ কি কিছু দিয়েছে তোমায়
রিহা : না আমি কিছু খাইনি আপনি তো খাওয়াতে চাইছিলেন কিন্ত আপনি অন্তরা আপুর সাথে ছিলেন
রেহান : সত্যি কিছু খাওনি cold drink
রিহা : না ওহ হা পানি খাইছিলাম
রেহান : কে দিছিলো
রিহা : রাইসা খালামণি
রেহান : আচ্ছা ঠিক আছে তুমি বস আমি তেতুল নিয়ে আসছি অ্যালকোহল আর এসিড বিক্রিয়া করে শেষ হবে

রেহান রিহা কে রেখে তেতুল আনতে যায় এসে দেখে রিহা নাচছে ।

রেহান : রিহা কি করছো তুমি
রিহা : আমার নাচতে ইচ্ছা করছে আমি নাচবো

রেহান রিহাকে কোলে করে ওয়াশরূমে নিয়ে তেতুল গুলা খায়ায়। রিহা একটু খেয়ে বমি করে । রেহান মুখ ধুয়ে আবার একটু খাইয়ে দেয়। রিহা তো খাবেই না

অনেক কষ্ট খাইয়ে রুমে নিয়ে আসে ।

রেহান : একটু ঘুমাও ভালো লাগবে
রিহা : না আমি ঘুমাবো না আপনি আমাকে ওটা খাওয়ালেন কেনো ? why ?
রেহান: তোমার ভালোর জন্য
রিহা : আমার ভালোর জন্য আপনি সব করতে পারবেন ?
রেহান : হুম
রিহা : ওকে তাহলে আমাকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যান আমি আপনি মামনি আর আমাদের
রেহান : কি (ভ্রু কুচকে)
রিহা: আর আমাদের পুচকি (দুই হাতে মুখ ঢেকে)

রেহান হাসছে এই প্রথম রিহাকে লজ্জা পেতে দেখলো । রেহান রিহার মুখ থেকে হাত সরাতেই রিহা বমি করে দেয়।

রেহান রিহার হাত মুখ ধুয়ে নিজে চেঞ্জ করে নেয় । রিহা কে চেঞ্জ করতে গেলে রিহা করবে না অনেক কষ্ট ড্রেস খুলছে কিন্ত পরাতে পারেনি । রিহা ঘুম পরে যায়।

রেহান আর ওকে না জাগিয়ে ওর গায়ে চাদর দিয়ে নিজে ওর পাশে ঘুমিয়ে পরে।

বর্তমান
রেহান : এবার বুঝছো তখন থেকে উল্টা পাল্টা বলছ

রিহা কিছু বলছে না।
রেহান : এভাবে চুপ করে থাকবে আচ্ছা থাক
রিহা : আমার খুদা লাগছে
রেহান : এতো রাতে তো আমাদের জন্য কিছু রাখে নি আচ্ছা দেখছি

রেহান ফ্রেশ হতে যায় আর রিহা খাটের উপরে বসে থাকে। রিহার মাথায় এখন অনেক চিন্তা

রিহা : প্রথমে অন্তরা আপু এখন তো রাইসা খালা মনি। আমি sure রাইসা খালামণি ওই পানিতে কিছু মিশিয়েছে উফফ মাথা ব্যাথা করছে (মাথায় হাত দিয়ে)

আচ্ছা এটা তো হতে পারে অন্য কেউ করছে দোষ রাইসা খালামণি কে দিয়েছে । আমার যতদূর মনে পরে রাইহান না ফাইহান ও তো আমাকে সেন্সলেস করার জন্য গলায় চাপ দেয় তাহলে সব কি রাইহান এর প্ল্যান এবার টা দেখতে হচ্ছে

একটু পর মাইশা চৌধুরী দরজায় টুকা দেয়। রিহা দরজা খুলে দেয়।

মাইশা চৌধুরী : কিহলো ঘুম হলো?
রিহা : হুম মামনি
মাইশা চৌধুরী : ওভাবে না বলে চলে আসা ঠিক হইনি যাই হোক এখন খেয়ে নাও(খাবার এগিয়ে দিয়ে)

রিহা : জী তুমি খেয়েছো?
মাইশা চৌধুরী : হুম রেহান কোথায় ?
রিহা : বাথরুমে
মাইশা চৌধুরী : আচ্ছা আমি যাই
রিহা : হুম

মাইশা চৌধুরী চলে যেতেই রিহা দরজা আটকিয়ে রুমে এসে বসে

রিহা : যাক বাবা খাবার তো পেলাম উনি এখন ও আসছে না কেনো ?

রিহা দরজায় টুকা দেয়
রিহা : কিহলো আপনি কি ওখানে ঘুমালেন খুদা লাগছে তাড়াতাড়ি আসুন
…..
রিহা : আপনি আসবেন না আমি খেয়ে নেব

রেহান এর কোনো সাড়া না পেয়ে রিহা এসে বসে।

একটু পর রেহান গোসল করে চুল মুছতে মুছতে আসলো

রেহান : কিহলো এতো ডাকাডাকি কেনো ?
রিহা : খাবার দিচ্ছে কখন
রেহান : কে আনছে?
রিহা : মামনি তাড়াতাড়ি আসুন

রেহান চুল মুছে রিহার সাথে খেতে বসলো।

খাওয়া শেষে রিহা শুয়ে পরে

রেহান : কিহলো শরীর খারাপ লাগছে ?
রিহা : না মাথা ব্যাথা করছে ?
রেহান : এই ওষুধ খাও ঠিক হইয়ে যাবে

রিহা ওষুধ খেয়ে শুয়ে পরলো। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমের দেশে। সারাদিন বমি শরীর অনেক দূর্বল থাকায় ঘুমিয়ে পড়ে। রেহান রিহার কপালে ভালোবাসা দিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে বসলো।

কিছুক্ষণ পর দরজায় কে নক করলো । রেহান উঠে দরজা খুলে দেখে অনির্বাণ ।

অনি : ওই তোর ফোন কই মিহাদ কখন থেকে ফোন দিচ্ছে
রেহান : আস্তে বল
অনি : হুম চল এখন ডাকছে
রেহান: হুম

রেহান রিহার কাছে গিয়ে গায়ে চাদর দিয়ে অনির সাথে বেরিয়ে যায়।

গাড়িতে
অনি : আমাকে একটু বলবি কি হইছে
রেহান : কি বলবো তুই মনে হয় জানিস না
অনি : হুম কিছু টা কিন্ত আজকের টা ত জানি না
রেহান : অনেক বড়ো একটা রহস্য পাচ্ছি
অনি : কিসের রহস্য
রেহান : তুই তো জানিস রুশ আর রিহা কথা বলছিল অন্তরা রিহাকে ফেলে দিচ্ছে সেটা আমি আড়াল থেকে শুনেছি কিন্ত আমি ভেবেছিলাম হইতো ফাজলামি করে বা অন্য কিছু তাই সেই বেপার তেমন পাত্তা দিই নাই আজ সকালে খালামনির সাথে কথা বলতে যাওয়ার সময় আমি শুনতে পেলাম খালামণি আর অন্তরা কথা বলছে

এদিকে
একটা অন্ধকার ঘরে কেউ একজন চিৎকার করছে তার চিৎকারে ঘর কেপে উঠছে । লোকটার পুরো শরীরে বেলেট দিয়ে কাটা । ব্যাথায় লোকটা চিৎকার করছে

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here