গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_৪

গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_৪
#নুসরাত_জাহান_অংকুর

রিহার চিৎকারে রেহান চলে আসে।
রেহান : কিহলো এভাবে চিৎকার করলে কেনো ?

রিহা রাগে ফুঁসছে
রেহান : কি হলো (ভ্রু কুচকে)
রিহা : এটা কি (ফোন দেখিয়ে)
রেহান : ফোন তোমার ফোন
রিহা : সেটা আমিও জানি কিন্ত আপনি এটা কেনো করলেন ?
রেহান : কি করলাম ? (না বুঝার ভান করে)
রিহা : বুঝতে পারছেন না তাই না
রেহান : আরে বলবে ত
রিহা : এটা কি
রেহান : married status কেনো এর মানে তুমি বুঝো না
রিহা: আপনি এটা কেনো দিলেন ? (রেগে)
রেহান : কেনো মানে তোমার বিয়ে হয়েছে তাও আমার সাথে সেটা সবাইকে জানাবো না তাই তো married status দিলাম with me
রিহা: আমি এখুনি এটা চেঞ্জ করবো আপনার জন্য কোনো লোক মেসেজ দেওয়া শুরু করছে
রেহান : দেখি তো কে আমার বউকে ডিস্টার্ব করছে

রিহার হাত থেকে ফোন নিয়ে । রিহা আবার ফোন নিয়ে নেয়।

রিহা : একদম আমার কোনো জিনিসে হাত দিবেন না ফল ভালো হবে না
রেহান : কি করবে তুমি ?
রিহা : শেষ করে দেবো
রেহান : দাও আমি চাই তুমি আমাকে শেষ করে দেয়ে তোমার ভালোবাসায় আমাকে মেরে ফেলো
রিহা : সেটা বলতে হবে না ফাঁক পেলে নিজে থেকে শেষ করে দেবো
রেহান : দাও না প্লিজ দাও জ্বলিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দাও (রিহার কোমর জড়িয়ে)

রিহার মাথায় রাগ ছিল নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে রেহানকে জোরে ধাক্কা দিয়ে চর মারে।

রিহা : আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে ছোয়ার নিজেকে কি ভাবেন খুব বড়ো কিছু ভুলে যাবেন না আপনি কিন্ত মানুষ । মানুষ বললে ভুল হবে অমানুষ নিজের জোর খাটিয়ে অনেক কিছু পেতে পারেন কিন্ত আমাকে পাবেন না আমি আপনার সেই সব মেয়েদের মত না যাদের আপনি কিছু টাকা দিয়ে বিছানায় নিয়ে আসতে পারেন। কি খুব অবাক হচ্ছেন ভাবছেন আমি কি করে জানলাম আমি সব জানি সব কিছু সেই জন্য আমি আপনাকে hate করি yes #মিস্টার_গ্যাংস্টার i hate u। আমি এটা ভেবে পারিনা আপনার মত মানুষকে এই দুনিয়ায় কোনো শাস্তি কেনো দেওয়া হয়না আপনাদের তো মেরে ফেলা উচিত। না জানি আপনাদের মত লোকের ফ্যামিলি কেমণ

রিহার সব কথা রেহান শুনছিল কিন্ত কিছু বলেনি কিন্ত এখন রেহান এর মাথায় আগুন জ্বলে উঠে রিহাকে নিজের সব শক্তি দিয়ে চর মারে। রিহা পরে যেতে নিলে রেহান রিহার চুলের মুঠি ধরে বলে

রেহান : অনেক বলেছিস আমার দিকে আঙুল না তুলে নিজের দিকে তুল আমি যদি খারাপ হয়ে থাকি তুই ও কম ভালো না তুই তো সব জেনেও কিছু জানিস না। ভেবেছিলাম তোকে একটু শান্ত করে সব বলে দেবো কিন্ত না তুই তো আমার ফ্যামিলিকে নিয়ে বলা শুরু করেছিস অনেক সাহস দিয়েছি তাই না আজ তোর সব দেমাক আমি কুমাবো।

রেহান বলে যাচ্ছে আর এই দিকে রিহা ব্যাথার জন্য কেদে ফেলছে ।

রিহা : ছাড়ুন আমার লাগছে
রেহান : খুব লাগছে তাই অনেক লাগছে আমার ও খুব লেগেছে যখন তুই আমার থেকে দূরে যাওয়ার কথা বলিস ১৩বছর তোর থেকে দূরে থেকে

আর কিছু বলতে পারলো না রিহাকে জোরে ধাক্কা দিয়ে নিজে টেবিলের উপর রাখা সব কিছু ভেঙ্গে ফেলে। রাগে রেহান এর মাথা ফাটছে। অনেক কষ্ট নিজেকে কন্ট্রোল করে পিছনে তাকিয়ে দেখে রিহার মাথা ফেটে রক্ত পরছে রেহান তাড়াতাড়ি রিহার কাছে ছুটে যায়

রেহান : এই রিহা রিহা উঠ জান রক্ত কি করে আসলো জান (মাথায় হাত দিয়ে)

রেহান দেয়ালের দিকে তাকিয়ে দেখে রক্ত লেগে আছে রেহান এর আর বুঝতে বাকি রইলো না যে যখন রেহান রিহাকে ধাক্কা দেয় তখন রিহার মাথা বাড়ি খেয়ে রিহা সেন্স হারায় ।

রেহান তো পাগল এর মত করছে রিহাকে কোলে তুলে বিছানায় শুয়ে দিয়ে ডক্টর ডাকে।

কিছুক্ষণ পর ডক্টর রিহাকে দেখতে থাকে

ডক্টর : বেশি কিছু হইনি মাথায় বাড়ি খেঁয়েছে আর একটু দেরি হলে প্রবলেম হতো আর সাথে সাথে রক্ত বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষতির সম্ভবা নেই
রেহান : ডক্টর ও
ডক্টর : চিন্তা করবেন না একটু পর সেন্স ফিরবে এখন উনাকে একটু রেস্ট করতে দিন আর ২দিন ভিজতে দিবেন না মাথা ।
রেহান : আচ্ছা

ডক্টর চলে যায় রেহান রিহার মাথার কাছে বসে কপালে ভালোবাসা দেয় ।

রেহান : i am sorry জান আমার ভুল সত্যি আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি তুমি তো জানো আমি আমার পরিবারকে কত টুকু ভালোবাসি তুমি ত জেনেও যানো না বিশ্বাস করো আমি তোমাকে হার্ট করতে চাইনা আমি তো

আর কিছু বলার আগেই রেহান এর ফোন বেজে উঠে l রেহান ফোন হাতে নিয়ে দেখে রিহার আব্বু। রেহান ফোন ধরে

রেহান : আসসালামুআলাইকুম
আফজাল : ওয়ালয়কুমসালাম কেমন আছো ?
রেহান : জী আব্বু ভালো আছি আপনি কেমন আছেন ?
আফজাল : এই তো আছি রিহা কেমন আছে ?
রেহান : আব্বু আমার মনে হচ্ছে না ওকে এভাবে জোর করা ঠিক হবে আপনি ওকে আপনার কাছে রাখুন একটু স্বাভাবিক হলে সব বলে দিলে হবে
আফজাল : সেটা অনেক আগে করতে পারতাম কিন্ত ওর ভালোর জন্য তোমার কাছে রেখেছি। এখানে থাকলে ওর ক্ষতি তাইতো তোমাকে বলি ওকে জোর করে বিয়ে করতে
রেহান : কিন্ত আব্বু
আফজাল : এখন যদি তুমি আমার মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে না পারো তাহলে আমি ওকে অন্য কোথাও পাঠাতে বাধ্য হবো
রেহান : আব্বু রিহা আপনার কাছে এতদিন আমানত হিসেবে ছিল যেটা আমি রেখেছিলাম সেটা আপনি ভালো করে জানেন আমি চাইছিলাম সব ঠিক করে রিহাকে আপন করতে কিন্ত আপনার কথাতে রিহাকে জোর করে বিয়ে করতে হয় এখন তো রিহাকে আমি নিজের মতো রাখতে পারছি না ও তো আমার কোনো কথা শুনতে চায় না
আফজাল : ওর আম্মু মারা যাওয়ার পর থেকে ও একটু বেশি জেদী হয়ে গেছে সবই ত তুমি জানো এখন ওকে জোর করে হলেও নিজের কাছে রাখতে হবে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যাবে ।
রেহান : হুম সেটাই যেনো হয়

রেহান আজকের ঘটনা বলেনি উনি এমটেই রিহাকে নিয়ে টেনশন করছে এখন আবার এসব বললে আরো টেনশন করবেন।

রেহান কথা বলতে বলতে দেখে রিহা একটু নড়ে উঠছে

রেহান : আচ্ছা আব্বু আমি পরে কথা বলছি একটু পর আমি আপনার ওখানে আসছি
আফজাল : আচ্ছা ভালো থেকো। আল্লাহ হাফেজ
রেহান : আল্লাহ হাফেজ

রেহান কল কেটে দিয়ে রিহার কাছে যায়

রেহান : কিহলো কোথায় ব্যাথা করছে ?

রিহা ইশারা করে বুঝিয়ে দেয় মাথায়
রেহান : কিছু না ঠিক হয়ে যাবে এখন খাবার খেয়ে ওষুধ খেতে হবে
রিহা : না না আমি খাবো না আপনি খুব খারাপ আপনি আমায় মেরেছেন আমি থাকবো না আপনার কাছে
রেহান : i am sorry জান আমি বুঝতে পারিনি আমার ভুল হয়ে গেছে
রিহা : না না
রেহান : এই দেখো কান ধরছি আর হবে না সত্যি বলছি তুমি বলো তোমার ফ্যামিলি নিয়ে যদি আমি কিছু বলতাম তাহলে তোমার কেমন লাগতো জানি খারাপ লাগতো তেমনি আমার ও খারাপ লেগেছে তাই নিজেকে সরি

রিহা ভেবে দেখে সত্যি তো এটা ঠিক হইনি কারোর ফ্যামিলি বেপারে না জেনে কোনো কথা বলতে নেই। রিহা চুপ করে থাকে

রেহান : সরি জান আর হবে না এই দেখো কান উঠবস করছি ।

রিহা এবার হেসে দেয়। রেহান মুগ্ধ হয়ে দেখছে তার পেয়সীর হাসি।

রিহা তুরি বাজিয়ে রেহান কে বলে
রিহা : কি হলো খাবার আনবেন না আমার খুব খুদা লাগছে
রেহান : ওহ হা তুমি থাকো আমি আনছি

রেহান বেরিয়ে যায় একটু পর খাবার হাতে নিয়ে আসে।

রেহান নিজে হাত রিহাকে খাইয়ে দেয় আজ রিহা কোনো কথা বলেনি রেহান ভাবছে রিহা হইতো সব বুঝতে পারছে কিন্ত রেহান তো জানে না ও যে রিহা

খাওয়া শেষে রিহা বলে

রিহা : আমার ঘুম পাচ্ছে আপনি অফিস জান আজ আমি কোথাও যাবো না
রেহান : তুমি ঘুমাও আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি
রিহা : না না আপনি যান আমি থাকতে পারবো
রেহান : না আজ আমি যাবো না তোমার শরীর ভালো না
রিহা : আরে আমি তো ঠিক আছি একটু কেটে গেছে তো
রেহান: কিন্ত

রেহান বলার আগে আবাব্র রেহান এর ফোন বেজে উঠে রেহান বিরক্ত নিয়ে ফোন ধরে

কিছুক্ষণ কথা বলে
রেহান : আমি আসছি

রেহান কল কেটে দিয়ে রিহার দিকে তাকিয়ে বলে।

রেহান : সরি জান আমাকে যেতে হবে খুব দরকার কিছুক্ষণ পর চলে এসব
রিহা : সমস্যা নেই আপনি যান
রেহান : কোনো দরকার পড়লে আমাকে ফোন করবে
রিহা : ওকে সাবধানে যাবেন

রেহান মুচকি হেসে বেরিয়ে যায় । এদিকে রিহা ডেভিল স্মাইল দিচ্ছে ।

রেহান বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ।

কিছুক্ষণ পর একটা বাড়ির সামনে চলে আসে ভিতরে ঢুকেই নিজের গেট আপ চেঞ্জ করে ফেলে । পুরু গ্যাংস্টার দের মত পোশাক। রেহান চেঁয়ারে বাধা একটা লোকের সামনে বসে

রেহান : কীরে একে দিয়ে কি সত্যি বের করতে পারছিস ?
একজন : না বস
রেহান : এই টুকু কাজ করতে আমাকে লাগে যা গরম লোহা নিয়ে আয়

রেহান এর কথা মত লোকটা গরম লোহা নিয়ে আসে রেহান সেটা কভার দিয়ে হাতে নিয়ে বাধা লোকটার সামনে ধরে

রেহান : এখন ও সময় আছে সত্যিটা বল
লোকটা : না আমি কিছু জানিনা

রেহান আর কথা না বাড়িয়ে লোকটার পায়ে গরম লোহা ধরে লোকটার চিৎকারে পুরু বাড়ি কেপে উঠে

লোকটা : না না আমি সব বলছি সব স্বীকার করব (হাপিয়ে)
রেহান : আগে বললে এতো কষ্ট পেতে হতো না । এই বাকিটা তোরা দেখে নে

রেহান নিজের ড্রেস চেঞ্জ করছিলো তখনই অনির্বাণ আসে (রেহানের বেষ্ট ফ্রেন্ড )

অনির্বাণ : কি বেপার নতুন বিয়ে করে মানুষ ঘর থেকে বের হয় না আর তুই এখানে

রেহান মুচকি হেসে জবাব দেয়

রেহান : আমার লাইফ যে অন্য রকম সেটা তো তুই জানিস
অনি: হুম কিন্ত রিহা কি সব সত্যি জানে
রেহান : না তেমন অবস্থা হইনি কি করে বলবো যা তেরা মেয়ে
অনি : হা হা হা
রেহান : তোর হাসি পাচ্ছে আর আমার কান্না পাচ্ছে একদিন আমার অবস্থা অন্য রকম করছে কাল বলছে ওকে বোন ভাবতে

অনির্বাণ তো এবার জোরে হেসে দেয়

অনি : সত্যি রিহা একটু অন্য রকম
রেহান : একটু না অনেকটা । আজ যা করেছে অনি : কি হলো

রেহান আজকের সব কথা বলে অনি শুনে বলে

অনি : তোর ওর গায়ে হাত দেওয়া ঠিক হইনি বাচ্চা মানুষ তার উপর আবার তুই তো জানিস রেহান : রাগ হয়ে গিয়েছিলো নিজেকে ঠিক রখতে পারিনি
অনি : আচ্ছা ঠিক আছে চল রিহাকে দেখে আসি
রেহান : আচ্ছা চল

রেহান আর অনি গাড়িতে উঠে বসে কিছু দুর যেতেই রেহান এর ফোন আসে রেহান ধরতেই

রেহান : what?(চিল্লিয়ে) কি করে you স্টুপিড আমি আসছি
অনি : কি হলো ?
রেহান : অনেক বড়ো কাহিনী ঘটেছে

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here