গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_৫
#নুসরাত জাহান অংকুর
অনি: কি হইছে ?
রেহান : রিহা পালাতে চেয়েছিল
অনি: what আর তুই শান্ত ?(ভ্রু কুচকে)
রেহান এবার হেসে দেয়
রেহান : হা হা হা
অনি : কি ব্যাপার এভাবে পাগল এর মত হাসছিস কেনো ?
রেহান : আমার বউ যে এত পাগল আগে জানা ছিল না
অনি : মানে কি করছে ?
রেহান : বাসায় চল দেখতে পাবি
অনি : ওকে দেখি কি দেখবি
রেহান আর অনির্বাণ গাড়ি করে বাসায় পৌছে গেল । রেহান আর অনি ভিতরে গিয়ে দেখে রিহা বিছানায় কাচুমাচু করে বসে আছে আর ওর চারপাশে বডিগার্ড
রেহান : কি হয়েছে ?
রেহান কে দেখে রিহা এবার একটু শান্তি পায় । রিহা রেহানকে জড়িয়ে ধরে ।
রেহান সহ বাকি সবাই অবাক অনি মুচকি হাসছে।
রিহা : আপনি আছেন দেখেন না এরা আমায় মেরে ফেলেছিল আমি থাকবো না এখানে আমি বাসায় যাবো প্লীজ
রেহান : কি হইছে
রিহা : ওই লোকগুলো ভালো না ওরা লাঠি নিয়ে আমায় মারতে চেয়েছিলো আমি থাকব না
রেহান বডিগার্ড দের দিকে তাকায়
একজন :না স্যার আমরা ম্যাডামকে হার্ট করতে চাইনি
অনি : কি হয়েছে সব বলো
একজন বলতে থাকে
একটু আগে রেহান চলে যাওয়ার পর রিহা পালানোর জন্য চেষ্টা করে কিন্ত কিছুতেই উপায় পায় না বাড়ি ভর্তি লোক ।
রিহা : উফফ এতো লোকের মধ্যে আমি পালাবো কি করে কিছু একটা বের করতে হবে (একটু ভেবে )
রিহা ঘরে পাইচারী করছে তখন রিহার চোখে বারান্দা পরে।
রিহা : আরে কি সুন্দর বারান্দা আগে ত দেখি নি খুব সুন্দর করে সাজানো
হটাৎ রিহার মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি আসে। রিহা ঘরে গিয়ে আলমারি খুঁজে কিন্ত কিছু পায়না পরে নিজের ২তো ওরনা নেয় । নিয়ে বারান্দায় এসে বাঁধে তাও ছোটো আবার ঘরে আসে এসে রেহান এর গেঞ্জি আর প্যান্ট নেয় । সেগুলো ভালো করে বেঁধে নিচে নামতে যায় কিন্ত যদি পড়ে যায় সেই ভয়ে আর যায়না
কিছুক্ষণ এভাবে ভেবে শেষে অনেক সাহস নিয়ে নামতে যায় কিন্ত শেষে একজন গার্ড দেখে ফেলে আর সবাই কে ডাকে।
বডিগার্ড রিহা কে জিজ্ঞেস করে রিহা ভয় পেয়ে যায় হাতে লাথি দেখে ।
এখন অনির্বাণ মুচকি হাসছে রেহান রিহাকে সরিয়ে বারান্দায় যায় অনি ও পিছনে পিছন যায়। গিয়ে দেখে রিহার ওরনা আর রেহান এর গেঞ্জি আর প্যান্ট বাধা
অনি : দোস্ত
রেহান : দেখছিস কাজ এতো ফিল্ম খোঁর আমি আগে দেখিনি একদম আগের মত আছে ছোটো বেলায় যেমন উল্টা পাল্টা কাজ করতো আজও করে
কথাটা বলে রেহান হেসে দেয় সাথে অনিও
অনি : এখন কি করবি ?
রেহান : দেখাচ্ছি মজা
রেহান ঘরে এসে বডিগার্ড দের ইশারা করে যেতে বলে । বডিগার্ড চলে যেতেই রেহান গম্ভীর হয়ে রিহার সামনে যায়
রেহান : এসব এর মানে কি (গম্ভীর হয়ে)
রিহা : আমি একটু বাইরে যেতে চাইছিলাম অন্য কিছু না
রেহান : তুমি যে কি করতে চাইছিলে সেটা আমরা সবাই বুঝছি আমাদের দেখে কি বোকা মনে হয়
রিহা : একদম না আমি সত্যি একটু বাইরে যেতে চাইছিলাম (কিউট ফেস করে)
রেহান : আচ্ছা কি করতে যেতে চাইছে শুনি (ভ্রু কুচকে)
রিহা : ওই আমি মানে (কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না )
রেহান : বলো কি
রিহা : আমি ফুসকা খেতে যেতে চাইছিলাম কত দিন খাইনাই
রেহান : what?
অনি তো হেসে দেয়।
রিহা : সত্যি বলছি আর কিছু না
রেহান : তো আমাকে বললে কি হতো আর দরজা দিয়ে গেলে কি হতো
রিহা : এতো প্রশ্ন কেনো করে দুর এখন কি বলি (মনে মনে) আসলে আমি একটু নায়কার পাট নিতে চাইছিলাম তাই আর কি
রেহান : নায়কা?
রিহা : হুম কেনো আমি কি খারাপ দেখতে ?
রেহান সন্দেহ দৃষ্টিতে রিহার দিকে তাকিয়ে আছে । রিহা মনে মনে দোয়া পরছে
রেহান : এই দুপুরে তোমার ফুসকা খেতে ইচ্ছা করলো ?
রিহা : উফফ আপনি এমন প্রশ্ন কেনো করছেন বলুন ত মনে হচ্ছে আমি চোর কিছু চুরি করেছি
রেহান : করেছ তো ?
রিহা : কি ?
রেহান : আমার মন (আনমনে)
অনি কেসে উঠে
অনি : আমি তাহলে এখন আসি
রিহা : না (চিল্লিয়ে)
অনি : কি হলো?
অনি : ভাইয়া আপনি যাবেন না এই লোকটা খুব খারাপ আমি থাকবো না আমাকে নিয়ে যান প্লিজ ভাইয়া । এই লোকটা আমাকে টর্চার করে আমি পুলিশ কেস করবো (কাদ কাদ ফেস করে)
রেহান : হুম তারপর (দুই হাত পকেটে গুজে)
রিহা : তারপর কি আমি কি গল্প বলছি অসহ্য একটা আপনি খুব খারাপ আমায় জোর করে বিয়ে করছেন আর আমার আব্বুকে ও বস করছেন আপনি জাদুকরী আমি থাকবো না (অনির কাছে গিয়ে )
অনি কি বলবে বুঝতে পারছে না রিহা বলে যাচ্ছে রেহান চুপ করে শুনছে ।
রেহান : চুপ আর একটা কথা না অনেকক্ষণ ধরে বক বক করে যাচ্ছ আর একটা কথা বললে তোমায় কুচি কুচি করে খাবো (ধমক দিয়ে)
রিহা : হ্ন আইছে আর আমি মনে হয় চুপ করে দেখবো আমি আপনাকে কিমা বানিয়ে খাবো বেশি করে ঝাল দিয়ে । অসহ্য একটা আমার লাইফ এ এসে সব শেষ করে দিল আপনি কেনো আসছেন আমার লাইফে
রেহান : আমি তোমার লাইফ আসিনি তুমি আসছ তোমার আগে আমি হইছি তুমি তো সেদিনের পুচকি মেয়ে
রিহা : এই একদম পুচকি বলবেন না আমি বড়ো বুঝছেন যত সব ভালো লাগে না। ভাইয়া আপনি উনার কথা শুনবেন না আমি আপনার সাথে যাবো প্লিজ (অনির দিকে তাকিয়ে)
অনি : আচ্ছা ঠিক
অনি কে বলতে না দিয়ে রেহান বলে ।
রেহান : কোথাও যাওয়া হচ্ছে না এখানেই আমার সাথে থাকতে হবে এখান থেকে যাওয়ার কথা ভাবলে ঠাঙ্গ ভেঙ্গে রেখে দেবো (রেগে)
রিহা : তখন আমি হাঁটবো কি করে?
রেহান : হাটতে হবে না আমি কোলে নিয়ে ঘুরবো
রিহা : সখ কত আইছে আমি থাকবো না আপনার সাথে হ্ন
রেহান : রিহা (জোরে)
অনি : আহা রেহান বাদ দে বাচ্চা মানুষ
রিহা : রিহা রিহা রিহা আমি জানি আমার নাম রিহা ওতো বলার কি আছে আর আপনার ধমকে আমি ভয় পাইনা হ্ন
রিহা ফোন নিয়ে ঘরের বাইরে চলে গেলো ।
অনি হেসে দেয়।
অনি : রেহান আমার কিন্ত রিহাকে সেই লাগছে বিশেষ করে ওর কথা বলার স্টাইল যেভাবে তোর মুখের উপর কথা বলছিল আমরা কখনো তো পারিনি (হেসে)
রেহান : আমার দর্বলতা রিহা আর ওই একমাত্র যে আমার মুখের উপর কথা বলতে পারে । জানিস যেদিন ও প্রথম এই পৃথিবীতে আসছে সবার আগে আমি ওকে কোলে নিয়েছিলাম একটা ছোটো পরি
অনি : সেই পরি এখন তোর ঘরে
রেহান : অনেক সাধনার পর আমি ওকে পেয়েছি।
অনি : রিহা কি সব জানে ?
রেহান : না সময় হলে বলে দেবো এখন বললে ওর আমার দুইজনের ক্ষতি
অনি : কষ্ট দিস না মাথা দেখলাম তো অনেক কেটে গেছে একটু দেখিস
রেহান : হুম
২জন অনেকক্ষণ গল্প করলো।
রিহা অন্য ঘরে এসে মোবাইল নিয়ে ওর ফ্রেন্ড কে ফোন দিচ্ছে কিন্ত ধরছে না । অনেকক্ষণ দেওয়ার পর ফোন ধরে
রিহা : ওই পেত্নী মরছিলি নাকি এতো সময় লাগে ফোন দিতে কতক্ষন ধরে কল করছি কানে যায় না কোন boyfriend এর সাথে কথা বলছিলি হা ?
রুশা : আরে বইন আমার থাম এতো বলিস কি করে ?
রিহা : ওই সাকচুন্নী একদম উল্টা পাল্টা বলবি না তোর জন্য আজ আমার এই অবস্থা
রুশ: আমি কি করলাম ?
রিহা : তোর জন্য তো আমাকে ওই #গ্যাংস্টার কে বিয়ে করতে হইছে
রুশ : কি গ্যাংস্টার গ্যাংস্টার করছিস রেহান ভাইয়া একটা ভালো ছেলে সেটা সবাই জানে
রিহা : কচু জানে তুই ও ওদের দলে থাক আমার কারোর লাগবে না আমি একাই পারবো হ্ন আর তোদের রেহান কে তো আমি দেখে নিব
বলে রুশ কে কিছু বলতে না দিয়ে কেটে দেয়।
রেহান আর অনি অনেকক্ষণ গল্প করে খাওয়া শেষ করে অনি চলে যায় । রেহান রিহাকে খুঁজছে কিন্ত পায় না । শেষে একটা রুমের দরজা বন্ধ দেখে বুঝতে পারে
রেহান : রিহা অপন ডা দোর (দরজায় বাড়ি দিয়ে)
নো রেসপন্স
রেহান : রিহা দরজা খুলো আমাকে যদি ভাঙতে হয় তোমার কপালে কিন্ত অনেক দুঃখ আছে ।
অনেকক্ষণ ধাক্কা ধাক্কি করে রিহার কোনো সাড়া না পেয়ে রেহান অনেক ভয় পেয়ে যায় যদি রিহা কিছু করে বসে ।
রেহান উপায় না পেয়ে দরজা ভেংগে । দরজা ভেঙ্গে ভিতরে গিয়ে রেহান অবাক
চলবে
(অনেক কষ্ট করে লিখছি। লিখার কোনো ইচ্ছা ছিল না এখন আমার ঘুমানোর কথা কিন্ত আমি গল্প লিখে দিছি। কেমন হলো জানাবেন
হ্যাপী রিডিং)