#চন্দ্রকুঠি
পর্ব (১২)
#নুশরাত জাহান মিষ্টি
রিয়াদ রুমে ডুকে মাধুরি বলে ডাক দেওয়ার পর মাধুরির চোখে মুখে ভয় দেখে বেশ অবাক হলো। মাধুরিকে সত্যিটা বলায় তার চোখে খুশি থাকা উচিত ছিলো। কিন্তু চোখে খুশি নয় বরং ভয় রয়েছে। কেন! রিয়াদ খুব শান্তভাবে বললো,” ভয় পাচ্ছেন কেন আপনি”?
মাধুরি ভয়মিশ্রিত কন্ঠে বললো, ” এখানে ক্যামেরা আছে”।
” কি”?
” এই মূহুর্তে আপনি বা আমি যা বলবো সবি ক্যামেরা রেকর্ড হবে। এই রেকর্ডিং দিয়েই পরে এখানে আসা লোকদের মুখ বন্ধ করা হয়। আমি যতটা জানি তাতে ধনীদের ব্লাকমেইল করে টাকাও নেওয়া হয়”।
রিয়াদের হঠাৎ করে রাতুলের বলা কথাটি মনে পড়লো। রাতুল বলেছিলো,” তুমি হয়তো ভাবছো তুমি তো সত্যিটা সবাইকে বলে দিতে পারো। এটা জেনেও আমরা এত নিশ্চিন্ত কিভাবে? এর উত্তর চন্দ্রকুঠিতে এক রাত কাটালেই পেয়ে যাবে তুমি। তখন চাইলেও তুমি মুখ খুলতে পারবে না”।
রিয়াদ শান্তভাবে বললো, ” আপনি ভয় পাবেন না। আমাকে বলুন ক্যামেরা কোথায় আছে”?
” তা জানি না। আমি শুধু জানি এখানে সব রুমে ক্যামেরা আছে৷ সেদিন রুমে ডুকে সব পর্দা জ্বালিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে ধরা খেয়ে যাই। এরপরি জানতে পারি সব রুমে ক্যামেরা আছে”।
” আমরা এতক্ষন যা বললাম সব ক্যামেরা রেকর্ড হয়েছে তাই তো”?
” হ্যাঁ”।
” তাড়াতাড়ি রুমটা খুঁজুন”।
” মানে….”
” ক্যামেরা খুঁজে বের করতে হবে “।
কথাটি বলে রিয়াদ সাথে সাথে প্রত্যেকটা রুম খুঁজতে লাগলো। রিয়াদের দেখাদেখি মাধুরিও তাই করতে লাগলো। রুমের সব জিনিসপত্র খুঁজেও ক্যামেরা পেলো না। হঠাৎ রিয়াদের চোখ গেলো বিছানার পাশে ছোট্ট টেবিলে একটি ফুলদানি রাখা। কিছু একটা ভেবে ফুলদানিটা হাতে নিলো। কিছু মূহুর্তের মাঝে ফুলদানিটা ফেলে দিলো মেঝেতে। ফুলদানিটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো এবং ক্যামেরাটি সামনে বেরিয়ে এলো। রিয়াদ ক্যামেরাটি হাতে নিয়ে আগে সেটা নষ্ট করলো, তারপর রুমের জানালা ভেঙে নিচে নেমে গেলো।
পিছন দিকে দু’জন বসে বসে ঘুমাচ্ছিলো। হয়তো তাদের এদিকটা পাহারা দিতে বলা হয়েছিলো। রিয়াদ আস্তে করে তাদের সামনে গিয়ে পকেট থেকে রুমালটি বের করে তার ভাজ খুলে দু’জনের নাকের কাছে ধরলো। লোক দু’জন অজ্ঞান হয়ে গেলো। রিয়াদ ভেবেছিলো রুমে মাধুরি নাহয়ে অন্যকেউ হলে তার উপর রুমালটি ব্যবহার করবে। যেহেতু মাধুরি ছিলো সেহেতু রুমালটি অন্য কাজে ব্যবহার করলে। পিছনের দেয়াল টপকে বাহিরে গিয়েই রহিমাকে দেখতে পেলো। রহিমা এখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলো। রিয়াদ ওর হাত থেকে কাপড় গুলো নিয়ে আবার মাধুরির কাছে চলে এলো। তারপর কাপড়গুলো বেঁধে জানালা দিয়ে ফেলে দিলো। তারপর বললো,” এগুলো বেয়ে নিচে নামো। দেয়াল টপকে বাহিরে গেলেই একটি মেয়েকে দেখতে পাবে, তার সাথে চলে যেও। আর হ্যাঁ কাপড়টা আমি ফেলে দিবো নিচে এটাকে সাথে নিয়ে যাবে”।
মাধুরি আচ্ছা বলে খুব সাবধানে নেমে গেলো। মাধুরি রহিমার কাছে পৌঁছেছে খবরটি পেয়ে রিয়াদ নিজের মাথায় আঘাত করে বিছানায় শুয়ে পড়লো।(এগারো পর্ব প্রথমবার পোস্টে যারা পড়েছেন তারা কিছু বুঝবেন না কারন তখন মাঝের অংশ মুছে গিয়ে প্রথম অংশ দু’বার রিপিট হয়েছে যার জন্য শেষটা কেউ বুঝে নাই। যারা বুঝেন নাই তারা আবার এগারো পড়ে এই পর্ব পড়ুন)
অতীত থেকে বের হয়ে আসলো রিয়াদ। মুন এবং মাধুরি গল্প করছে। মুন মাধুরিকে সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
মাধুরি স্বাভাবিক হওয়ার পর মুন খুব ধীরে জিজ্ঞেস করলো, ” তুই ওখানে গেলি কিভাবে”?
মাধুরি মুনের চোখের দিকে তাকালো তারপর বললো,” ওরা আমায় নিয়ে গেছিলো। রাফিকে আটকে রেখে ওরাই এসেছিলো আমায় নিতে”।
” ওখানে নেওয়ার পর কি হয়েছিলো”?
মাধুরি কিছুটা ভয় পেলো। মুন মাধুরিকে জড়িয়ে ধরলো।
” ভয় পাস না আপু। তোর কিছু হবে না। কেউ তোর কোন ক্ষতি করতে পারবে না”।
” যা ক্ষতি করার তা তো ওরা করেই নিয়েছে”।
” ক্ষতি”?
মুন কিছুটা ভয় পেলো। মাধুরির সাথে দু’মাস কি হয়েছে সেটা ভেবেই ভয় পাচ্ছে। মাধুরি কিছু একটা ভেবে কান্না করে দিলো। কান্না করতে করতেই বললো, ” শুনবি কি হয়েছিলো আমার সাথে”?
” হ্যাঁ বল”।
মুন, রিয়াদ, রহিমা একটা কঠিন সত্যি শোনার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে নিলো।
মাধুরি চলে গেলো অতীতে,
রাফিকে আটকে রেখে মাধুরিকে নিজ বাড়ি যেতে বলে ওর হাতে একটি ফোন ধরিয়ে দেওয়ার পর।(প্রথম দিকে এ পর্যন্ত বলা হয়েছিলো)। ফোনে একটি লোক কোথা থেকে কোথায় যেতে হবে সব বলে দিতো। কদমতলী গ্রামের ডোকার পর একজন লোক আমাকে সাথে করে ‘চন্দ্রকুঠি’ নিয়ে যায়। একটা রুমে নিয়ে বসতে বললো। তারপর বললো,” রাফিকে খুব ভালোবাসো তাই তো”?
ভয়ে ভয়ে মাধুরি বললো,” হ্যাঁ”।
” তাহলে চুপচাপ এখন যা বলছি তাই করো”।
” ক কি করবো”?
তারপর লোকটি একটি ছেলেকে নিয়ে এসে রাফির উদ্দেশ্য একটি ভিডিও বানাতে বললো। মাধুরি ভয়ে ভয়ে তাই করলো। তারপর একদিন ওখানেই রাখলো। পরেরদিন ঘরের মধ্যে একটি লোক নিয়ে ডুকলো সে। তারপর তাদের নোংরা নোংরা কথায় বুঝতে পারলাম এই সুন্দর বাড়িটা বাহির থেকে যতটা সুন্দর ভিতরে ততটাই অসুন্দর। হাজার মিনতি, অনুরোধ করেও তাদের আটকাতে পারিনি। এভাবে সাতদিন কেটে গেলো। এই সাতদিন সেই লোকটি আসেনি যে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছিলো। সাতদিন পর সে এলো। আমি তাকে দেখেই রেগে গেলাম এবং উত্তেজিত হয়ে বললাম,” কেন করছেন আমার সাথে এরকম? কি ক্ষতি করেছি আমি আপনার? আপনার কি লজ্জা করে না নিজের মেয়ের মতো একটা মেয়ের জীবন এভাবে নষ্ট করতে”?
লোকটি আমার কথা শুনে বিশ্রিভাবে হাসলো তারপর বললো,” তোর এই পরিনতির জন্য আমি নই তোর মা দ্বায়ী। তোর নিজের মা”।
” কি”?
” অবাক হচ্ছিস। তোর এই পরিনতি তোর মায়ের জন্য। তোর মায়ের জেদ, তেজের জন্য। জেলের অন্ধকারে থেকেও তার তেজ কমেনি। আমি তাকে জেল থেকে বের করতে চেয়েছিলাম আর সে আমার মুখে থু থু মারলো। এটা তোর মায়ের অহংকারের শাস্তি। তোর মা অহংকার না করলে তুই সুস্থ আর সুন্দর জীবন কাটাতি আজ”।
তারপর দু’মাস অন্ধকারেই কেটে গেলো। পালিয়ে যাবো এরও উপায় ছিলো না। কারন সবসময় রুমেই তালাবদ্ধ থাকতাম।(অতীত শেষ)
মাধুরি নিজের অন্ধকার জীবনটা মনে করে আবার কান্নায় ভেঙে পড়লো। মুন এবং রহিমা অনেক বুঝিয়ে ওকে ঘুম পড়িয়ে দিলো। রিয়াদ সবকিছু শুনে কিছু একটা ভাবলো তারপর মুনকে ওপাশের রুমে ডাকলো।
মুন রিয়াদের কাছে যাওয়ার পর,
” এখন কি করা উচিত তোমার”?
” জানি না”।
” তুমি না জানলেও আমি কিন্তু জানি”।
” কি”?
” এখন তোমার নিজের বাবার কাছে গিয়ে সত্যিটা জানা উচিত”।
” আমি তো বললাম আপনার কথা না শুনে যাবো না”।
” এখন আমি আমার কথা না বললেও তুমি যেতে বাধ্য”।
” বাধ্য মানে? আমি আমার আপুকে ফিরে পেয়েছি তাতেই আমি খুশি। এখানে আর কোন বাধ্যবাধকতা নাই”।
” তাই”?
” হ্যাঁ।
রিয়াদ মুচকি হেঁসে বললো, ” তোমার আপুর এই পরিস্থিতি তোমার জন্য হয়েছে এটা একবারো তোমার মাাথায় আসেনি বলছো”?
কথাটি বলে রিয়াদ এক রহস্যময় হাঁসি দিলো। মুন নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে বললো,” মানে”?
” তোমার মুখটা সত্যি সত্যি তো সার্জারী করা না। এটা তুমিও জানো আমিও জানি। তুমি চাইলেও অস্বীকার করতে পারবে না তুমি দেখতে চন্দ্রর মতো। চন্দ্রও এক সময় জেলে ছিলো। তার স্বামীর নাম আরিফ। হোক সেটা তালুকদার নয়তো হাওলাদার। আর….”
” চুপ করো”।
মুনের চিৎকার শুনে রিয়াদ থেমে গেলো। মুন কাঁদতে কাঁদতে মেঝেতে বসে পড়লো। রিয়াদ মুনকে কাঁদতে দেখে বিচলিত হলো। কোনকিছু না ভেবেই গিয়ে জড়িয়ে ধরলো।
” দেখো তুমি কেঁদো না। সবকিছুই তো শুধু মনে হওয়া। আমরা তো শিউর নই তাই না। দেখো আমি শুধু অপরাধীদের শাস্তি চাই। এজন্য তোমার বাবার থেকে সত্যিটা জানা জরুরি। আমি এজন্যই তোমাকে চাপ দিয়েছি, বিশ্বাস করো তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি”।
” অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আপনি এতটা…..”।
মুনকে কথাটি শেষ করতে না দিয়ে রিয়াদ বললো,” আমার এই মূহুর্তে ওদের শাস্তি দেওয়াটাই একমাত্র লক্ষ্য। আমি যা ভাবছি তা সত্যি হলে ‘চন্দ্রকুঠি’ অন্ধকারে সেও হারিয়ে গেছে। হয়তো আমি তাকে কখনো ফিরে পাবো না। কিন্তু তার অপরাধীদের শাস্তি আমি দেবোই”।
রিয়াদের চোখে মুখে রাগ ফুটে উঠলো। রিয়াদের কথা সম্পূর্ণ বুঝতে না পারলেও কিছুটা বুঝলো মুন। মুন রিয়াদের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। রিয়াদ মুনকে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললো,
” আগে তোমার বাবার সাথে কথা বলবো তারপর তোমাকে সব বলবো। ভেবো না আমি তোমার শত্রু নই”।
” আমি আপনাকে শত্রু কখন ভাবলাম”?
” এখন না ভাবলেও প্রথমদিকে বোধহয় ভাবতে”।
” একদমি না। শত্রু ভাবতাম না। শুধু পুরোপুরি বিশ্বাস করতাম না”।
রিয়াদ এবার মুখটা সিরিয়াস করে বললো,” তারমানে এতটা রাস্তা বিশ্বাস ছাড়া একজনের সাথে পাড়ি দিলে। তোমাকে তো বাহবা দিতেই হয়। তোমার যায়গা অন্যকেউ থাকলে এতক্ষনে….”।
কথা শেষ করতে না দিয়ে মুন বললো,” বাজে কথা রাখুন। আমাদের অনেক কাজ আছে, তাই চলুন”।
রিয়াদ চুপ করে গেলো। সত্যি এখন তাদের অনেক কাজ। মুন রহিমাকে মাধুরির দেখাশোনার জন্য থাকতে বলে রিয়াদের সাথে বেরিয়ে গেলো। মনেমনে রহিমার মতো একজন মানুষের সাথে সাক্ষাৎ হওয়ায় বেশ খুশি হলো মুন৷ রহিমা বিনা স্বার্থে তার আর মাধুরির জন্য কতকিছু করছে। আজকের পৃথিবীতে এরকম কেউ করে কারো জন্য!
________
মুন এবং তার বাবা মুখোমুখি বসে আছে। আরিফ সাহেব জানতেন এরকম একটা দিন আসবে।
মুন ও আরিফ সাহেবের থেকে কিছুটা দূরে রিয়াদ এবং আরিফ সাহেবের বন্ধু দাঁড়িয়ে আছেন। সবাই নিরব। নিরবতা ভেঙে আরিফ সাহেব বললেন,” কি জানতে চাও”?
” আমার মায়ের নাম কি”?
” সেটা তুমি জানো”।
” যেটা জানি সেটা কি আদো সত্যি”?
” সত্যি”।
” তাই? আচ্ছা তাহলে বলো তো মাধুরি কে? সে কি সত্যি আমার নিজের বোন”?
” নিজের বোনকে নিয়েও আজ এত সন্দেহ”?
” সন্দেহও নয় সত্যি। মাধুরি আপু আমার বোন নয় এটা আমি জেনে গেছি”।
” তুমি ভুল জেনেছো”।
আরিফ সাহেবের এরকম সরল স্বীকারোক্তিতে মুন কনফিউজড হয়ে পড়েছে। মুন তো নিশ্চিত নয়, শুধু মনে হওয়ার উপর নির্ভর করে এসব বলছে। মুনকে ভাবনায় দেখে রিয়াদ বললো,” মুন”।
রিয়াদের ডাকে মুন রিয়াদের দিকে তাকালো। রিয়াদ ইশারায় এসব বিশ্বাস করতে বারণ করলো, সাথে প্রশ্ন করা চালিয়ে যাওয়ার কথা বললো৷ মুন রিয়াদের ইশারা বুঝতে পেরে একবার ভেবে নিলো কি বলবে! ঠিক কি বললে আরিফ সাহেব সত্যিটা বলতে পারেন! মুন ভেবে নিলো ঠিক কি বললে বাবা সত্যি না বলে থাকতে পারবে না। মুন তৎক্ষনাৎ বলে উঠলো, ” মাধুরি আপু তোমার মেয়ে নয় তাই না বাবা”?
মুনের কথা আরিফ সাহেব কিছু বলে ওঠার আগেই মুন আবার বললো,” মাধুরি তোমার মেয়ে নয় বলেই নিজের মেয়ের যায়গা ওকে অন্ধকার জীবনে পাঠালে তাই তো”?
মুনের কথায় আরিফ সাহেব চমকে উঠলেন। তার চোখে পানি স্পষ্ট দেখতে পেলো মুন৷ আরিফ সাহেব চুপ করে রইলেন। তাকে চুপ দেখে তার বন্ধু বললেন,” তুমি ভুল ভাবছো মুন। আরিফ নিজের মেয়ের জন্য পরের মেয়েকে বিপদে ফেলেনি বরং পরের বিপদে পরায় নিজের মেয়েকে এগিয়ে দিয়েছে”।
আরিফ সাহেব তার বন্ধুকে চুপ করতে বললেন কিন্তু তিনি চুপ করলেন না বরং বললেন,” না আরিফ সত্যিটা মুনের জানার সময় এসে গেছে। তাই বলছি চুপচাপ সব বলে দে”।
আরিফ সাহেব আবারো চুপ করে গেলেন। তার বন্ধু আবারো বললো,” তুমি হয়তো জানো না মুন তুমি ‘চন্দ্রকুঠির’ ব্যপারে জানতে পেরেছো তোমার বাবার জন্য। আরিফ নিজ হাতে মাধুরি ফোন তোমার ব্যাগে রেখেছিলো”।
কথাটা শুনে মুন এবং রিয়াদ দু’জনেই বেশ চমকালো। এবার আর আরিফ সাহেব চুপ রইলেন না তিনি বললেন,” আমিই বলছি সব”।
আরিফ সাহেব সব বলবেন এটা শুনে মুন খুশি হলো। তবে তার খুশিটা কতক্ষন থাকবে তা সে জানে না। কারন তার বাবা এখন কি বলতে চলেছেন সে সম্পর্কে ওদের কোন ধারনাই নেই।
চলবে,,
[ আজকের পর্বে কোথা থেকে কই গেছি নিজেই ঠিক পাইনা। কি কমু। যাই হোক ভুলক্রুটি ক্ষমা করবেন]