#চলো_ভিজি_বৃষ্টিতে
#Tanjima_Islam
১০
.
.
.
.
.
কিচেন থেকে এক এক করে সব ডাইনিং এ সাজাচ্ছে রিয়া।
মনেমনে ভাবছে, ” এই ভরদুপুরে আরহাম কেন আমার বাসায় এলো!? এলো তো এলো, সোজা আমার রুমেই ঢুকে পড়ল!! আসলেই ওর ক্যারেক্টারের প্রবলেম আছে।
পরক্ষণেই আরহামের তার কোমর জড়িয়ে কুচি গুজে দেওয়ার ঘটনা মনে পড়তেই লজ্জায় দু’হাতে মুখ ঢাকল রিয়া!!
এই প্রথম তাকে কেউ এভাবে টাচ করেছে!!!আর টাচ করেছে সেইই, যার ওপর রিয়া অলরেডি ক্রাশড!!!!!
আরহাম যেতে চাইলে মিসেস ইরা বাধা দিয়ে বলল, ” এখন কোথাও যাওয়া চলবেনা। আমাদের সাথে লাঞ্চ করে তারপর যাবে।
আরহাম আর না করতে পারলোনা, যদিও তার এখন যাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই।
আরহাম হেসে বলল, ” ঠিকাছে আম্মু!
আরহামের মুখে আম্মু ডাক শুনে কিছুটা অবাক হল মিসেস ইরা।
আরহাম মাথা চুলকে বলল, ” স্যরি, আপনাকে আম্মু ডাকলাম।
মিসেস ইরার মনে পড়ল, রিয়া বলেছিলো,”
আরহাম ছোট থাকতেই আরহামের মা মারা গেছে!
আরহামের নিষ্পাপ মুখটা দেখে অসম্ভব মায়া হচ্ছে মিসেস ইরার।
আরহামের মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, ” এতে স্যরি বলার কি আছে!? তুমি আমাকে আম্মু ডাকতে পারো, আমার ভালো লাগবে।
আরহামের দুচোখ অজান্তেই জলে ভরে উঠল। আজ কত গুলো বছর পর সে আম্মু ডেকেছে! রিয়ার আম্মুকে দেখেই কেন জানি খুব আপন মনে হয়েছে তার।
আরহাম চোখের জল আড়াল করে বলল, ” ঠিকাছে আম্মু!
.
.
.
.
.
ডাইনিং এ বসে আছে সবাই, আরহামের অপজিটের চেয়ারে বসেছে রিয়া।
তার পাশে বসেছে ফাইয়ায, মিসেস ইরা আরহামের পাশে বসে একে একে সব এগিয়ে দিচ্ছে।
রিয়া আরহামের দিকে মুখ ভেংচি কেটে মনেমনে বলল, ” হুহ! মনে হচ্ছে যেন এ বাড়ির জামাই!! আর আম্মুকে দেখো, সেও যেন জামাইয়ের পাশে বসে জামাই আদর করতেই ব্যস্ত!!!
আরহাম রিয়ার দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে, তা দেখে গা জ্বলে যাচ্ছে রিয়ার।
খেয়ে উঠে রিয়া একে একে প্লেট গুলো নিয়ে কিচেনে যাচ্ছে।
আরহাম মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে দেখছে রিয়াকে।
রিয়ার খোপা বাধা চুল! কোমরে গোজা শাড়ির আচলে!! একদম বউ বউ লাগছে!!!
দুপুর গড়িয়ে বিকেল নেমেছে, ফাইয়ায আর মিসেস ফাতেমা যাওয়ার জন্য রিয়ার বাসা থেকে বেরিয়ে এল।
রিয়ার আম্মু আর রিয়া দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিল তাদের।
ফাইয়ায চলে যাওয়ার আগে রিয়ার কাছে গিয়ে বলল,” আজ তো ঠিকভাবে আমাদের কথাই হলনা। চলো, কাল কোথাও ঘুরতে যাই!
রিয়া আমতাআমতা করে বলল, ” কাল তো আমার অফিস আছে, আমরা বরং নেক্সট ফ্রাইডে দেখা করি!!
ফাইয়ায হেসে বলল, ” নেক্সট ফ্রাইডে! লাইক সিরিয়াসলি!! রিয়া তুমি আমাদের এক উইক পর দেখা করার কথা বলছো!!!
রিয়া একটু ভেবে বলল, ” আচ্ছা ঠিকাছে, কালই দেখা করবো। বাট অফিস টাইম শেষে!
ফাইয়ায মাথা দুলিয়ে বলল, ” ঠিকাছে সুলতানা!!
ফাইয়াযের কথায় রিয়া হেসে দিল, আরহাম মাত্রই এসে দাড়িয়েছে।
ফাইয়াযের মুখে “সুলতানা” শুনে তাচ্ছিল্যের হাসি দিল আরহাম।
কিন্ত রিয়াকে হাসতে দেখে ভ্রু কুচকে তাকালো সে, এতে এতো সুন্দর করে হাসার কি আছে!?
.
.
.
ফাইয়াযরা চলে গেলে, মিসেস ইরা বাসায় ঢুকে দরজা লক করে দিল।
রিয়া সোফায় বসে পেয়ারা খাচ্ছে, মিসেস ইরাকে দেখে আরহাম বলল, ” যদি কিছু মনে না করেন, রিয়াকে নিয়ে যেতে চাই।
রিয়া তড়িৎ গতিতে আরহামের দিকে তাকালো, কোথায় নিয়ে যাবে তাকে!?
মিসেস ইরা কিছুটা ইতস্ততভাবে বলল, ” ঠিক বুঝিনি, ওকে কোথায় নিয়ে যাবে!?
আরহাম একটু ভাব নিয়ে রিয়াকে জিজ্ঞেস করল, ” রিয়া! তুমি কিছু বলোনি আম্মুকে!? কাল অফিসে একটা ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং আছে, সেটা নিয়েই আমরা ডিসকাস করবো।
রিয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছে, আরহাম তো তাকে কোনো মিটিংয়ের কথা বলেছে বলে মনে পড়ছেনা!
তারচেয়ে বড়কথা আরহাম তার আম্মুকে আম্মু ডাকছে কেন!!?
আরহাম চোখের ইশারায় রিয়াকে কিছু বলছে যার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারছেনা রিয়া। মিসেস ইরা মেয়েকে জিজ্ঞেস করল, ” কই তুই তো কিছু বলিস নি!
রিয়া কিছুটা আচ করতে পেরে আমতাআমতা করে বলল, ” হ্যাঁ হ্যাঁ মিটিং! মিটিং আছে! খুব ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং!! আমাদের তো এটা নিয়ে ডিসকাস করতে হবে!!
আরহাম দুই হাত পকেটে ঢুকিয়ে বলল, ” হুম, সেটাই তো বলছি।
রিয়া জোর করে হেসে বলল, ” আমাকে তো ফাইল গুলোকেও রেডি করতে হবে। তো আমাকে ওনার সাথে যেতে হবে আম্মু।
মিসেস ইরা একবার আরহামের দিকে আবার রিয়ার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, ” কিন্ত কোথায়!?
সাথেসাথেই আরহাম বলল, ” আমার বাসায়।
এদিকে রিয়া বলল, ” অফিসে।
বলে দুজনেই বেকুব বনে গেল, দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে মনেমনে ঝাড়ি দিচ্ছে।
মিসেস ইরা কিছু বুঝতে পারছেনা, বিরক্ত হয়ে বলল, ” মানে কি!!
রিয়া গলা খাকারি দিয়ে বলল, ” মানে হল,
রিয়াকে আর কিছু বলতে না দিয়ে আরহাম বলল, ” ওয়েট আমি বলছি, আসলে আজ যেহেতু শুক্রবার আর মিটিং ও কাল সকালে। অফিসে না গিয়ে বাসাতেই কাজ করতে চাচ্ছি। তাই রিয়াকে নিতে এসেছিলাম। এসে দেখি বাসায় গেস্ট এসেছে, তাই ভাবলাম ওনারা চলে গেলে রিয়াকে নিয়ে বের হবো।
মিসেস ইরা মাথা নাড়িয়ে বলল, ” আচ্ছা বুঝেছি। বাট এখন গেলে ও ফিরবে কখন!? সন্ধ্যার পর বাসার বাইরে থাকবে, এ কেমন কথা! আর ওর আব্বু এলে কি বলবো আমি!!?
আরহাম মিসেস ইরাকে আস্বস্ত করে বলল, ” চিন্তা করবেন না আম্মু! রিয়াকে সেইফলি বাসায় দিয়ে যাবো!! বাই দ্যা ওয়ে আংকেল বাসায় ফিরবেন কখন!?
মিসেস ইরা আরহামের কথায় আস্বস্ত হলেও ঠিক নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না।
আরহাম আবার বলল, ” আংকেল বাসায় ফেরার কমপক্ষে এক ঘন্টা আগেই রিয়াকে বাসায় পৌছে দেবো।
মিসেস ইরা মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলল,” ওর আব্বু ফিরবে রাত সাড়ে আটটায়।
আরহামের দিকে তাকিয়ে বলল,” রাত আটটার আগেই ওকে বাসায় এনে দিও।
আরহাম স্মিত হেসে মাথা নাড়িয়ে সায় দিল, রিয়া ভেবে পাচ্ছেনা তার মা কিভাবে আরহামের কথায় রাজি হয়ে গেল!
যে কিনা মেয়েকে সন্ধ্যার পর বাইরে থাকতে দেয়না!! আরহাম কি মা কে বশ করে ফেলেছে!!!?
রিয়া সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে আরহামকে বলল, ” আপনি একটু ওয়েট করুন, আমি রেডি হয়ে আসছি।
আরহাম বাধা দিয়ে বলল, ” আরে না! এখন রেডি হতে গেলে যেতে লেট হবে। আর যেতে লেট হয়ে গেলে ফিরতেও লেট হবে!
মিসেস ইরাও সেইসাথে সায় দিয়ে বলল, ” হ্যাঁ, আরহাম ঠিকই বলছে। তোরা বরং বেরিয়ে পড়, আর তাড়াতাড়ি ফিরে আসিস।
রিয়া একটা ছোট্ট শ্বাস ছেড়ে বলল,” ঠিকাছে আম্মু।
বলেই আরহামের পিছুপিছু বেরিয়ে পড়ল।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আরহাম ড্রাইভ করছে, পাশে বসে আছে রিয়া। আরহাম ড্রাইভ করতে করতে আড়চোখে দেখছে রিয়াকে।
খোপা খুলে চুল ছেড়ে দিয়েছে রিয়া, মাঝেমধ্যে হাত দিয়ে ওল্টাচ্ছে ঘন কালো লম্বা চুল গুলো।
রিয়া খেয়াল করল আরহাম তাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে!
ব্যাপারটা বুঝতে সরাসরি আরহামের দিকে তাকালো রিয়া।
হটাৎ রিয়ার সাথে চোখাচোখি হতেই চোখ সরিয়ে নিল আরহাম।
ভিষণ অস্বস্তি বোধ হচ্ছে তার, না জানি রিয়া তাকে কি ভাবছে!
রিয়া ভ্রু নাচিয়ে বলল, ” ওভাবে না তাকিয়ে সরাসরি তাকান! নাহলে তো ট্যারা হয়ে যাবেন!!
আরহাম গলা খাকারি দিয়ে বলল, ” কই কোথায় তাকালাম!? চোখে কি বেশি দেখো নাকি!?
রিয়া কিছু বলার আগেই গাড়ি থেমে গেল, আরহাম গাড়ি থেকে নেমে বলল,” আপনি কি নামবেন!? নাকি কোলে তুলে নিয়ে যেতে হবে!!?
রিয়া মুখ ভেংচি কেটে গাড়ি থেকে নেমে দাড়ালো।
বাড়ির ভেতর যেতে যেতে বলল, ” আচ্ছা, আপনি আমার আম্মুকে আম্মু ডাকছিলেন কেন!?
আরহাম কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,” আম্মুকে আম্মু ডাকবো নাতো কি ডাকবো!?
রিয়া ভ্রু কুচকে তাকালো, আরহাম বাকা হেসে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকল।
রিয়ার মাথায় কিছুই ঢুকছেনা, মাথায় কি তার আসলেই গোবর!!!
.
.
.
.
.
আরশি কিচেনে রান্নায় ব্যস্ত, কেয়া তাকে হেল্প করছে।
ভাইয়ের গলা পেয়ে কিচেন থেকে বেরিয়ে এল আরশি।
ভাইয়ের পিছুপিছু রিয়াকে আসতে দেখে খুশিতে গদগদ হয়ে বলল, ” তুমি এসেছো!? তোমার জন্যই ওয়েট করছিলাম।
রিয়া অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ” আমার জন্য!? কিন্ত কেন!!?
রিয়ার কথা শুনে আরশি কিছুটা ভড়কে গেল, আরহাম কথা ঘোরানোর জন্য রিয়াকে বলল, ” রিয়া! তুমি নিশ্চয়ই ফ্রেশ হবে!? উপরে আমার রুমে গিয়ে ফ্রেশ হও, আমি এসে একসাথে কাজ করবো।
রিয়া মাথা নাড়িয়ে সায় দিয়ে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেল।
আরশি ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল, ” কি ব্যাপার বল তো! রিয়াকে কি বলে নিয়ে এসেছিস তুই!?
আরহাম মাথা চুলকে বলল, ” ব্যাপার স্যাপার আবার কি! অফিসের কিছু কাজ আছে তাই এনেছি, রাত আটটার আগেই ওকে বাসায় পৌছে দিতে হবে। সো, রান্না কম্পিলিট করে ডাকিস।
বলেই একরকম ছুটে পালালো আরহাম! ভাইয়ের মতিগতি ঠিক বুঝতে পারছেনা আরশি!!
ও কি তাহলে সব ভুলে রিয়াকে আপন করে নিতে চাইছে!!!
তাহলে তো খুব ভাল হয়। এমনিতেও রিয়াকে শাড়ি পরা দেখে বউ বউ লাগছে, আরশির তো ইচ্ছে করছিলো এখনই “ভাবি” ডাকতে!
.
.
.
.
.
রিয়া ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখল আরহাম হাতপা ছড়িয়ে বেডে শুয়ে আছে!
রিয়া তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বলল, ” তো আপনি কি এভাবে শুয়ে শুয়ে কাজ করবেন স্যার!?
আরহাম উঠে আধশোয়া হয়ে বলল,” বাসায় যেহেতু আছি, শুয়ে-বসে যেভাবে ইচ্ছে কাজ করা যায়! চাইলে তুমিও শুয়ে পড়তে পারো!!
রিয়া খেয়াল করল আরহামের চোখেমুখে দুষ্টুমি খেলা করছে!
রিয়া মুচকি হেসে বলল, ” দরকার নেই, আমি বসেই কাজ করবো।
আরহাম সোফার দিকে তাকিয়ে বলল, ” ওখানে আমার ল্যাপটপ রাখা আছে, নিয়ে এসো তো।
রিয়া তোয়ালে রেখে ল্যাপটপ নিয়ে এগিয়ে দিল আরহামকে।
বেডের পাশের সিংগেল সোফায় বসে বলল, ” তো কি কাজ বলুন! কাল কিসের মিটিং আছে আমাদের!?
আরহাম কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা, আমতাআমতা করে বলল, “ওহ হ্যাঁ, বলতে ভুলে গেছিলাম। আপু তোমাকে ডেকে দিতে বলেছিলো। গিয়ে দেখো তো কেন ডাকছে!?
.
.
.
রিয়া আচ্ছা বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেল, সিড়ি বেয়ে নামতে নামতে বলল, ” আশ্চর্য মানুষ তো! অফিসের কাজ আছে বলে নিয়ে আসলো, এখন বলে তার বোন ডাকছে!!
রিয়া নিচে নামতেই কেয়া তাকে আগাগোড়া দেখে বলল, ” মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ! ওসব ফ্রক ট্রকের চেয়ে শাড়িতেই তো আপনাকে বেশি সুন্দর লাগে ম্যাম!!
রিয়া জোর করে হেসে বলল, ” থ্যাংকস, বাই দ্যা ওয়ে। আরশি আপু কোথায়!?
কেয়া কিচেন দেখিয়ে বলল, ” ম্যাম কিচেনে।
রিয়া আচ্ছা বলে কিচেনে যেতে লাগল, মনেমনে ভাবছে, ” আজ সবার হয়েছে টা কি!? আম্মু আমাকে আরহামের সাথে পাঠিয়ে দিল! আরহাম আম্মুকে আম্মু ডাকছে!! আর আমার সাথেও কেমন যেন করছে!! আর এই মেইড, আমাকে শাড়িতে মানায় নাকি ফ্রকে, তাতে তার কি!!!? উফফ আমি পাগল হয়ে যাবো।
কিচেনে ঢুকে দেখল প্রায় পাঁচ পদের রান্না করা হয়েছে!
সেগুলো একে একে ডাইনিং এ নিয়ে সাজাচ্ছে কেয়া!!
আরশি রিয়াকে দেখে বলল, ” আরে তুমি এখানে! ভালো হয়েছে এসেছো, কেয়াকে এখনই ডাকতে পাঠাতাম।
রিয়া স্মিত হাসল, ডাইনিং এ যেতে যেতে জিজ্ঞেস করল, ” আজ কি বাসায় কোনো গেস্ট আসবে!? এতো আয়োজন!!?
আরশি হেসে বলল, ” গেস্ট তো তুমি!
সাথেসাথেই ঠোঁটে ঠোঁট চেপে বলল, ” না মানে, গেস্ট কিসের! শুনলাম তুমি আসবে, তাই একটু রান্না করলাম এই আর কি।
রিয়ার মনে হচ্ছে এবার তার মাথার তার ছিড়ে যাবে! এসব কি হচ্ছে তার সাথে!!
.
.
.
আরহামকে ডেকে এনেছে কেয়া, সবাই খেতে বসেছে।
ডিনারে খাসির বিরিয়ানি, সরষে ইলিশ, বাগদাচিংড়ী ভুনা, বেগুন ভাজি আর গাজরের হালুয়া।
কেয়া সার্ভ করছে, রিয়ার প্লেটে এমন ভাবে ঢালছে যেন, পারলে পুরো বাটিটাই ঢেলে দেয়।
রিয়া বাধা দিয়ে বলল, ” আর দিয়েন না প্লিজ, নাহলে শিওর আমার পেট ফেটে যাবে!
আরশি মন খারাপ করে বলল, ” কেন!? রান্না ভালো হয়নি!?
রিয়া হেসে বলল, ” না না আপু! রান্না অনেক টেস্টি হয়েছে!! আর রান্না গুলাও সব আমার ফেভারিট, বাট আমি আসলে নিজের বাসা ছাড়া অন্য কোথাও গিয়ে খেতে পারিনা তো, তাই আর কি।
আরশি ভ্রু নাচিয়ে বলল,” এখন থেকে অভ্যেস করে নাও, নাহলে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে কি না খেয়ে থাকবে নাকি!?
শ্বশুরবাড়ির কথা শুনে ভিষম খেলো আরহাম, রিয়াও বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে।
.
.
.
.
.
(চলবে)