চলো ভিজি বৃষ্টিতে পর্ব-৯

0
1101

#চলো_ভিজি_বৃষ্টিতে
#Tanjima_Islam

.
.
.
.
.
বুটিক হাউজে নতুন আসা ড্রেস গুলো চেক করছে আফসা।
এক মধ্যবয়সী মহিলা এসে ডাকল, ” এক্সকিউজ মি!

আফসা মিষ্টি হেসে বলল, ” ইয়েস! আপনাকে কি দেখাবো বলুন!!

মহিলা এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল, ” আমাকে কয়েকটা থ্রিপিস আর শাড়ি দেখাও তো।

আফসা লেটেস্ট ডিজাইনের বেশ কয়েকটা থ্রিপিস আর শাড়ি বের করে দেখালো।
মহিলা তারমধ্য থেকে বেছে বেছে দুইটা থ্রিপিস চুজ করেছে।
কিন্ত শাড়ি নিয়ে পড়েছে বিপাকে। একটা বেগুনি আরেকটা কলাপাতা রঙের, কোনটা নেবে ঠিক করতে পারছেনা সে।

আফসানা হেসে বলল, ” আন্টি আপনি নাহয় দুইটাই নিন।

মহিলা স্মিত হেসে বলল, ” এই এক প্রব্লেম আমার, দুইটা ভালো জিনিস দেখলে চুজ করতে পারিনা।
সে জন্য ছোট ছেলেটাকে সাথে আনলাম। আমাকে ওপরে আসতে বলে নিচে ফোনে কথা বলছিলো, কিন্ত এখনও আসার নাম নেই!

বলে পার্স থেকে ফোন করে মহিলা কল দিল তার ছেলেকে।

কল কেটে আফসাকে বলল,” আমার ছেলে আসছে। ও এলেই চুজ করে নেবো।

আফসা মাথা নাড়িয়ে সায় দিয়ে মহিলার জিনিস গুলো একসাইডে রেখে ড্রেস গুলো চেক করতে ব্যস্ত হয়ে গেল।
.
.
.
কিছুক্ষণের মধ্যেই মহিলার ছেলে এসে গেছে, আফসা শাড়ি দুটো তার সামনে রেখে তাকাতেই কিছুটা চমকে উঠল!

ছেলেটাও আফসার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
মহিলা শাড়ি দুটো দেখিয়ে ছেলেকে জিজ্ঞেস করল, ” দ্যাখ তো শোভন! এ দুটোর মধ্যে কোনটা নেবো!?

শোভন শাড়ি দুটো দেখে কলাপাতা রঙেরটায় হাত দিয়ে বলল, ” এটা নাও।

মহিলা বেগুনি শাড়িটা ফেরত দিয়ে বলল, ” তাহলে এটা রেখে দাও। আর এগুলো প্যাক করে দাও।

আফসা শাড়ি থ্রিপিস গুলো নিয়ে অন্য আরেকজনকে বলল,” এগুলো ওনাদের প্যাক করে দাও।

শোভন বিল মিটিয়ে মাকে সাথে নিয়ে চলে গেল!
একটাবার ফিরেও তাকালো না!! ভাবতেই কেন জানি মন খারাপ হয়ে গেল আফসার!! যেন ছেলেটা চিনতেই পারেনি তাকে!!!
বিড়বিড় করে বলল, “ছাগলমার্কা ডাক্তার কোথাকার!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
ঘড়িতে বিকেল চারটা বাজে, রেস্টুরেন্টে মুখোমুখি বসে আছে সুমু আর সায়ন।
আজ তাদের ফার্স্ট ডেট! কিন্ত দুজনে লজ্জায় কেউ কারও দিকে সরাসরি তাকাতেই পারছেনা!

অথচ একদিন আগেও আর সবার মতো স্বাভাবিক ছিলো তারা।
নিরবতা কাটিয়ে সায়ন বলল,” কিছু অর্ডার করি!?

সুমু মাথা নাড়িয়ে সায় দিল, সায়ন ওয়েটার ডেকে বলল, ” আমার জন্য একটা ব্ল্যাক কফি আর থাই স্যুপ।

সুমুকে জিজ্ঞেস করল, ” আর তুমি কি খাবা!?

সুমু বুঝতে পারছেনা এখন কি অর্ডার করবে। বেলা এগারোটা বাজে!
এখন না ভারি খাবার খেতে পারবে, না ব্ল্যাক কফি বা স্যুপের মতো হালকা খাবার খেতে!!

সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে বলল, ” স্যুপ নুডলস।

ওয়েটার অর্ডার নিয়ে চলে গেল, সুমু নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে বলল, ” রিং টা খুব সুন্দর!

সায়ন খুশিতে গদগদ হয়ে জিজ্ঞেস করল, ” তোমার পছন্দ হয়েছে!?

সুমু সলজ্জ হেসে মাথা নাড়িয়ে সায় দিল, সায়নের খুশি আর কে দেখে!

সুমু কিছুক্ষণ চুপ থেকে জিজ্ঞেস করল, ” তো! আমরা বিয়ে করছি কবে!?

সায়ন মাত্র পানির গ্লাসটা মুখে ধরেছিলো, বিয়ের কথা শুনে তার মুখ থেকে সব পানি ছিটকে পড়ল!

পড়লো তো পড়ল, একেবারে সুমুর গায়ে গিয়ে পড়ল!! সেই পানিতে সুমুর হিজাব, বোরকার হাতা অনেকটা ভিজে গেছে!!!

সায়ন তাড়াতাড়ি উঠে টিস্যুর বক্স এগিয়ে দিল সুমুর দিকে।
সুমু একবার সায়নের দিকে তাকিয়ে সোজা উঠে গটগট করে ওয়াসরুমে চলে গেল।

ওয়েটার খাবার সার্ভ করে হাসতে হাসতে বলল, ” গার্লফ্রেন্ড কি রাগ করেছে স্যার!!?

সায়ন চোখ পাকিয়ে তাকালো ওয়েটারের দিকে, ওয়েটার আর কিছু না বলে ভয়ে ভয়ে সেখান থেকে কেটে পড়ল।
.
.
.
ওয়াশরুমে ঢুকে চোখেমুখে পানি দিচ্ছে সুমু, বেসিনের আয়নায় তাকিয়ে বলল, ” হাদারাম! গাধা!! ছাগল!!! পানিতে কি বিষ মেশানো ছিলো! যে এভাবে ছুড়ে মারলি!!

টিস্যু দিয়ে মুছতে মুছতে প্রায় পনেরো মিনিট পর বেরিয়ে এল সুমু।
এসে দেখল সায়ন থাই গ্লাসের বাইরে তাকিয়ে আছে। সামনে খাবার রাখা।

সুমু গলা খাকারি দিয়ে ডাকল, ” সায়ন!

সুমুর গলা পেয়ে সামনে তাকালো সায়ন।

সুমু নিজের পার্স টা নিয়ে বলল, ” কিছু মনে করবেন না, আমাকে যেতে হবে। এখন এভাবে বসে খেতে পারবোনা।

সায়ন খেয়াল করল সুমুর হিজাব বোরকা আসলেই কেমন ভেজা ভেজা লাগছে।
কেউ দেখলে সুমু অস্বস্তি বোধ করবে, সায়ন মাথা নাড়িয়ে বলল, ” ওকে, চলো আমি তোমাকে পৌছে দিই।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
সকালে মায়ের ডাকে ঘুম ভাংলো রিয়ার, আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসল সে।
মিসেস ইরা রুম গোছাতে গোছাতে বলল, ” ওঠ ওঠ, শিগগিরই। এখনও কতকাজ পড়ে আছে!

রিয়া ঘুমুঘুমু চোখে তাকিয়ে বলল, ” তোমার কাজ পড়ে আছে তো আমি কি করবো হা!? আজ আমার অফ ডে, আমি আজ শুধু ঘুমাবো।

মিসেস ইরা বেড ঝাড়তে ঝাড়তে মেয়েকে টেনে নামালো।
রিয়া ব্লানকেট নিয়ে ফ্লোরে বসে বসে বকবক করছে।
মিসেস ইরা বেড গুছিয়ে মেয়েকে ওয়াশরুমে ঢূকিয়ে বলল,” বেলা বারোটা বাজে, একেবারে গোসল করে বের হবি। বেডে ড্রেস বের করে রাখছি।

রিয়া কিছুক্ষণ থম মেরে দাঁড়িয়ে থেকে ওয়াশরুমের দরজা লক করল।
গোসল করে তোয়ালে পেচিয়ে বেরিয়ে দেখল, বেডে কালো আর সোনালি পাড়ের লাল শাড়ি বের করে রাখা!

রিয়া চুল মুছতে মুছতে বেডে বসে শাড়িটা হাতে নিল।
কয়েক মাস আগে তার মা তার জন্য শাড়িটা কিনেছিলো।

কিন্ত আজ হটাৎ কেন পরতে দিল! রিয়া শাড়ি রেখে শর্ট প্লাজো আর লং লেডিস টিশার্ট পরে রুম থেকে বেরিয়ে এল।

মিসেস ইরা কিচেনে ব্যস্ত, রিয়াকে দেখে অবাক হয়ে বলল, ” এসব কি পরেছিস!?

রিয়া হাত-পা ছড়িয়ে সোফায় বসে বলল, ” তো কি পরতাম? শাড়ি!? কি ব্যাপার বলো তো!? আজ হটাৎ শাড়ি পরতে বলছো!!?

মিসেস ইরা ডাইনিং থেকে রিয়ার ব্রেকফাস্ট এনে টি-টেবিলে রাখতে রাখতে বলল, ” কেন আবার!? ফাইয়ায দেশে ফিরেছে সেই খবর আছে তোর!?

রিয়া ধড়ফড়িয়ে উঠে বলল,” ও কি আজ আমাদের বাসায় আসবে!?

মিসেস ইরা মাথা নাড়িয়ে সায় দিয়ে কিচেনে গেল, রিয়া ব্রেকফাস্ট খেতে খেতে বলল, ” তাই তো বলি, হটাৎ শাড়ি কেন!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আরহাম এক্সারসাইজ করছে, আরশি দুই গ্লাস বাদামের শরবত এনে আরহামের পাশে রাখল। একটা গ্লাস নিয়ে খেতে খেতে বলল, ” ভাইয়া! তুই কিন্ত তোর কথা রাখিস নি।

আরহাম ছোট তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বলল, ” মানে!?

আরশি মুখ ভেংচি কেটে বলল, ” রিয়াকে বাসায় আনবি বলেছিলি।

আরহাম বলল, ” ওহ হ্যাঁ, আনবো তো। বাট অফিস টাইমে আনা যায় নাকি!? আর অফিস টাইম শেষ হলেই ও বাসায় চলে যায়।

আরশি আরেক গ্লাস শরবত ভাইয়ের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ” তাহলে আজ আসতে বল, আজ তো শুক্রবার।

আরহাম কিছু একটা ভেবে বলল, ” আচ্ছা, দেখি।

আরশি চোখ পাকিয়ে বলল, ” দেখি না, ওকে যেভাবেই হোক আনবি।

আরহাম হেসে বলল, ” আচ্ছা আচ্ছা, দরকারে রিয়াকে উঠিয়ে আনবো! ঠিকাছে!!

আরশি ভাইয়ের পিঠে আস্তে কিল মেরে বলল, ” মনে থাকে যেন।
.
.
.
ভাইয়ের রুম থেকে বেরিয়ে নিচে নেমে এল আরশি, কিচেনে গিয়ে কেয়া কে বলল,” আজ রিয়া আসবে, রাতের রান্না আমি করবো। তুমি সব রেডি করে রাখো।

কেয়া খুশিতে গদগদ হয়ে বলল,” আজ রিয়া ম্যাম আসবে!? আমি সব রেডি করে রাখছি ম্যাম, আপনি কি রান্না করবেন তাই বলুন! নাকি রেসিপি গুলো স্যারের কাছ থেকে শুনে নেবো।

আরশি মিষ্টি হেসে বলল, ” না থাক, আমিই সব ম্যানেজ করে নেবো।
.
.
.
আরহাম ফোন হাতে নিয়ে বসে আছে, রিয়াকে কল দিয়ে কি বলবে তাই ভাবছে।
সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে কল দিল আরহাম।

গত একঘন্টা ধরে এক শাড়ি নিয়ে বসে আছে রিয়া। কিছুতেই কুচি ঠিক করতে পারছেনা সে।

চোখেমুখে বিরক্তি নিয়ে বিড়বিড় করছে,” এসব বালছাল মানুষ পরে কিভাবে!? সিম্পল গাউন বা ফ্রক পরতাম। তা না, শাড়ি পরো!

ফোনের রিংটোন পেয়ে বিরক্তির চরম শিখরে উঠে গেল রিয়া।
কে কল দিয়েছে না দেখেই রিসিভ করে চেচিয়ে উঠল, ” কোন বান্দর রে!? কল দেওয়ার আর টাইম পাসনি!!?

রিয়ার এমন বিহেভিয়ার দেখে ভড়কে গেল আরহাম।
দাতে দাত চেপে বলল, ” ফোনস্ক্রিনে তাকাও, বুঝতে পারবে কোন বান্দর।

আরহামের গলা শুনে রিয়া ঠোঁটে ঠোঁট চেপে বলল, ” উপস! স্যরি!! আপনি!?

আরহাম মাথা দুলিয়ে বলল, ” জ্বি আমি! তা মিস রিয়া!! হটাৎ আপনার মেজাজ এতো হাইপার কেন!!!?

রিয়া শাড়ির কুচি ছেড়ে দিয়ে বেডে বসে বলল, ” হাইপার হবো না তো কি হবো!?লাঞ্চে ফাইয়ায় আর তার আম্মুকে ইনভাইট করেছে আব্বু আম্মু। আমাকে একটা শাড়ি বের করে পরতে দিয়ে গেছে। সেটা নিয়েই ডিগবাজি খাচ্ছি এখনও।

রিয়া শাড়ি পরছে শুনে, আরহামের খুব ইচ্ছে করছে রিয়াকে দেখতে।
শাড়ি পরে রিয়াকে দেখার লোভ সামলাতে পারলোনা আরহাম।

আয়নার সামনে দাড়িয়ে এক হাতে চুল গুলো ওল্টাতে ওল্টাতে বলল, “ওটা তোমার দ্বারা সম্ভব না রিয়া, ওয়েট আমি আসছি।

বলেই কল কেটে দিল আরহাম, রিয়া হ্যালো হ্যালো করেই চলেছে।
কি বলল আরহাম! আসছি মানে!!?
.
.
.
আরহাম অ্যাশ কালারের শার্ট আর কালো কালারের ট্রাউজার্স পরে রুম থেকে বেরিয়ে এলো।
শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে নিচে নেমে দেখল বোন আরশি রান্নাবান্না নিয়ে কেয়ার সাথে কথা বলছে।

আরহাম গাড়ির চাবি নিয়ে বের হতে হতে বলল,” আপু! আমি বাইরে যাচ্ছি

আরশি না তাকিয়েই বলল, ” আচ্ছা, তাড়াতাড়ি ফিরিস।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আরহাম গাড়ি নিয়ে সোজা রিয়ার বাসার সামনে গিয়ে দাড়ালো।
ভেতরে ঢুকে কলিংবেল বাজাতেই হাসিমুখে দরজা খুলে দিল মিসেস ইরা।

আরহামকে দেখে জিজ্ঞেস করল, ” জ্বি, কাকে চাই!?

আরহাম বলল, ” আমি রিয়ার অফিসের বস, আপনি নিশ্চয়ই রিয়ার আম্মু!?

মিসেস ইরা হেসে বলল, ” হ্যাঁ আমিই রিয়ার আম্মু, তুমি তাহলে রিয়ার বস!? এসো ভেতরে এসো।

আরহাম ভেতরে ঢুকে এদিক ওদিক তাকিয়ে রিয়াকে খুজছে।
মিসেস ইরা দরজা লক করে এসে বলল, ” রিয়া রুমে আছে, তুমি বসো আমি ওকে ডেকে দিচ্ছি।

আরহাম বাধা দিয়ে বলল,” না থাক, ওর রুমটা দেখিয়ে দিন, আমি যাই!

মিসেস ইরা ইতস্ততভাবে বলল, “ওর রুমে যাবে!!

আরহাম রিয়ার মাকে আস্বস্ত করে বলল, ” রিয়া জানে আমার আসার কথা।

মিসেস ইরা স্মিত হেসে বলল, ” ওহ, ঠিকাছে যাও। সোজা গিয়ে ওর রুম।

আরহাম আচ্ছা বলে দ্রুত পায়ে রিয়ার রুমের দিকে গেল।
মিসেস ইরা আরহামের যাওয়ার পথে তাকিয়ে বলল, ” বস কখনও এমপ্লয়ির বাসায় এভাবে চলে আসে!? যাইহোক, ছেলেটা বেশ দারুন। যেমন লম্বাচওড়া হ্যান্ডসাম দেখতে, তেমনিই তার আলাপ ব্যবহার!!
.
.
.
রিয়া অনেক কষ্টে শাড়ির কুচি ঠিক করে ধরেছে।
এবার পেটে গুজতে গিয়ে যদি ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে যায়, তো শাড়ি খুলে সোজা মায়ের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে সে।

রিয়ার রুমের দরজা ভেজানো ছিলো, আরহাম দরজায় নক করতেই রিয়া বলল, ” এতক্ষণে তোমার আসার টাইম হল আম্মু!!? এই জিনিসটাকে নিয়ে যে আমি কি ঝামেলায় পড়ছিলাম

বাকিটা বলার আগেই আরহাম রুমে ঢুকে দরজা লক করে দিল।
দরজা লক করার শব্দে চমকে পেছনে ফিরল রিয়া।

আরহামকে দেখে থমকে গেল সে, হাতের মুঠোয় ধরে রাখা কুচি গুলো সব খুলে পড়ল! কিন্ত রিয়ার সেদিকে খেয়াল নেই!! সে তো নেশাভরা চোখে আরহামকে দেখতে ব্যস্ত!!!

শার্টের ওপরের বোতাম কয়টা খোলা থাকায় আরহামের বুকের পশম গুলো দেখা যাচ্ছে!

শার্টের হাতা ফোল্ড করে রাখা!! ফর্সা হাতে পশম গুলো যেন রিয়াকে টানছে!!!

এদিকে রিয়াকে আধখোলা শাড়ি পরা অবস্থায় দেখে আরহামের কেমন যেন নেশা ধরে যাচ্ছে!

ধীর পায়ে রিয়ার সামনে গিয়ে শাড়ির কুচি গুলো ধরল আরহাম।
রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে কুচি ঠিক করে রিয়ার হাতে ধরিয়ে বলল,” গুজে নাও।

কথাটা বোধহয় রিয়া ঠিক শুনতে পায়নি, জিজ্ঞেস করল, ” হা!?

আরহাম একবার কুচির দিকে তাকিয়ে রিয়ার দিকে তাকালো।
বাম হাত দিয়ে রিয়ার কোমর জড়িয়ে ধরে ডান হাত দিয়ে কুচি গুলো গুজে দিল!

পেটে আরহামের হাতের ছোয়া পেয়ে কেপে উঠল রিয়া।
মুহুর্তেই এক ঝটকায় আরহামকে সরিয়ে দিয়ে বলল, ” কি করছেন এসব!?

আরহাম বাকা হেসে বলল, ” তোমাকে বললাম গুজে নাও, নিলেনা তাই আমিই গুজে দিলাম।

রিয়া দাত কিড়মিড়িয়ে কিছু বলার আগেই মায়ের ডাক পেয়ে চুপ হয়ে গেল।
জোরে বলে উঠল, ” আসছি আম্মু!

আরহামের দিকে চোখ পাকিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল রিয়া। পিছুপিছু আরহামও গেল।
.
.
.
রিয়া ড্রয়িংরুমে এসে দেখল ফাইয়ায আর তার আম্মু মিসেস ফাতেমা সোফায় বসে আছে।
রিয়া সালাম দিয়ে মিসেস ফাতেমার পাশে গিয়ে বসল।

মিসেস ইরা আরহামকে বসিয়ে বলল, ” ভাবি! এ হচ্ছে আরহাম, রিয়ার অফিসের বস।

আরহাম সালাম দিল, ফাইয়ায হ্যান্ডশেক করে বলল, ” নাইস টু মিট ইউ মি. আরহাম

আরহাম হ্যান্ডশেক করে বলল, ” নাইস টু মিট ইউ মি. ফাইয়ায।

ফাইয়ায কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ” আপনি আমার নাম জানেন!?

আরহাম রিয়ার দিকে একবার তাকিয়ে বলল, ” রিয়ার কাছে শুনেছি।

ফাইয়ায মাথা নাড়িয়ে বলল, ” ও আচ্ছা।

মিসেস ফাতেমা হেসে বলল, “তো আরহাম! আমাদের রিয়া মা অফিসে কাজ কেমন করছে!?

মিসেস ফাতেমার মুখে ” রিয়ামা” শুনে আরহামের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল।
এখনও বিয়ে হয়নি কিছুনা, এখনই ডাকছে,” রিয়ামা”!!
কিন্ত মুখে বলল, ” হুম, ভালোই।
.
.
.
.
.
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here