চলো ভিজি বৃষ্টিতে পর্ব-২৯

0
836

#চলো_ভিজি_বৃষ্টিতে
#Tanjima_Islam
২৯
.
.
.
.
.
সুমু খুশিতে সায়নকে জড়িয়ে ধরে বলল, ” আমি জানতাম তুমি জব পেয়ে যাবে সায়ন! আব্বু আম্মুকে তোমার কথা বলে তাহলে ভালই করেছি বলো!!

সায়ন চমকে উঠে বলল, ” মানে!? কি বলেছো আংকেল আন্টিকে!!?

সুমু সলজ্জ হেসে বলল, ” আমাদের সম্পর্কের কথা!!

সুমুর কথা শুনে সায়ন কাদোকাদো হয়ে বলল, ” কিন্ত কেন!!!!?

সায়নের রিয়াকশন দেখে সুমু বেশ অবাক হয়ে বলল, ” কেন মানে!? তুমি কি আমাকে বিয়ে করতে চাও না!?

সায়ন আমতা-আমতা করে বলল, ” না আমি তা বলিনি! আমি তো

সায়নকে আর কিছু বলতে না দিয়ে সুমু থমথমে গলায় বলল, ” সায়ন! তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাও কি না!?

সায়ন বুঝতে পেরেছে সুমু বেশ রেগে আছে, এখন সে যাই বলুক সবকিছু সুমুর মাথার ওপর দিয়ে যাবে।

সায়ন সুমুর হাত ধরে শান্ত করতে গেলে সুমু ঝট করে হাত সরিয়ে বলল,” আমাকে টাচ করবেনা! আগে উত্তর দাও!!

সায়ন কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা, সুমু ধৈর্য্য হারিয়ে বলল, ” বুঝেছি! আমি বুঝে গেছি সায়ন!! তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাও না!!!

সুমুর কথা শুনে সায়ন থমকে গেল, সুমু টলমল চোখে তাকিয়ে বলল, ” আমি তোমার থেকে এটা এক্সপেক্ট করিনি সায়ন!

বলেই আর একমুহূর্ত না দাঁড়িয়ে ছুটে বেরিয়ে গেল সুমু, সায়ন হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে সুমুর যাওয়ার পথে। সে তো সুমুকে এভাবে কষ্ট দিতে চায়নি, সে তো শুধু সুমুকেই ভালবাসে!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
মিটিং রুমে ঢুকে দরজা লক করে দিল মিসেস আয়েশা।
মাকে এখানে দেখে আরশি বিরক্ত হয়ে বলল, ” উফফ! এটাই বাকি ছিলো!!

ইকরা উঠে মিসেস আয়েশাকে হাগ করে বলল, ” হ্যালো আন্টি! কেমন আছেন আপনি!?

মিসেস আয়েশা মুচকি হেসে বলল, ” আ’ম ফাইন ডিয়ার! তুমি তেমন আছো!?

ইকরা একটা চেয়ারে মিসেস আয়েশাকে বসতে দিয়ে মন খারাপ করে বলল,” আমি আছি কোনোরকম!

মিসেস আয়েশা ইকরাকে কিছু বলার আগে আরহাম থমথমে গলায় বলল, ” মিসেস আয়েশা! এটা মিটিং রুম কোনো ফ্যামিলি প্রোগ্রাম না!! আর এখানে খুব ইম্পর্ট্যান্ট একটা মিটিং চলছে, তো আপনি এখানে কি করছেন আমি ঠিক বুঝলাম না।

মিসেস আয়েশা স্মিত হেসে বলল, ” আমি জানি এখানে কিসের মিটিং চলছে এবং আমার মনে হল এখানে আমার থাকাটা জরুরি!

আরহাম চায় না সবার সামনে কোনো সিনক্রিয়েট হোক, তাই আর কথা না বাড়িয়ে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করে বলল, ” সো মিটিং স্টার্ট করা যাক।

আরহাম ইশারায় রাফাতকে কিছু বলতেই ডকুমেন্টস গুলো ইকবাল হাসানের দিকে এগিয়ে দিল রাফাত।

ইকবাল হাসান ডকুমেন্টস গুলো চেক করছে, আরহাম তাকে বলল, “আপনি আর আপনার মেয়ে যে কন্ডিশন দিয়েছেন সেই অনুযায়ী ডাবল ক্যাশ পে করছি। সো আই গেস এবার আমাদের শেয়ার ফিরিয়ে দিতে কোনো প্রবলেম নেই আপনার।

মি. ইকবাল হাসান মাথা নাড়িয়ে বলল, ” দেখো আরহাম! আমি আগে বলেছিলাম ডাবল ক্যাশ দিলে শেয়ার ফিরিয়ে দেবো। কিন্ত এখন যদি বলি কোনো ক্যাশ পে করতে হবে না, উল্টো আমি তোমাকে আমার কলিজার টুকরো মেয়েটাকে তোমার হাতে তুলে দিতে চাই!!
.
.
.
কথাটা শোনা মাত্রই মেজাজ খারাপ হয়ে গেল আরহামের।
বুঝতে বাকি নেই ইকরা এই সুযোগের বেশ ভালই ব্যবহার করছে!
কিন্ত ইকরার বাবাও বা কেমন মানুষ! হচ্ছে এখানে বিজনেস মিটিং, আর সে কিনা মেয়ের আবদার রাখতে এমন সব উদ্ভট প্রোপোজাল দিচ্ছে আমাকে!!
ওয়েট, আজ এর একটা হেস্তনেস্ত করেই ছাড়বো!!!

এদিকে মিসেস আয়েশা খুশিতে ডগমগ হয়ে বলল, ” এটাতো খুবই ভালো প্রোপোজাল মি. ইকবাল!

ইকরার গালে হাত বুলিয়ে বলল, ” এছাড়াও আপনার মেয়েকে আমার খুবই পছন্দ, তুমি কি বলো আরহাম!?

মিসেস আয়েশার কথার কোনো উত্তর দিল না আরহাম।
আরশির এখন নিজেরই মাথাটা হাতুড়ি দিয়ে ফাটাতে মন চাচ্ছে।
কোন দুঃখে যে সে মাকে এই মিটিংয়ের ব্যাপারে বলেছিলো! না জানি ভাইয়া তাকে কি না কি ভাববে!!
মা এসেছে তো এসেছে, এখন কথার মধ্যে বাম হাতও ঢুকিয়ে দিচ্ছে!!!
.
.
.
আরহাম মুখে হাসি রেখে দাতে দাত পিষে ইকবাল হাসানকে বলল, ” আপনি আমার গুরুজন এজন্য এখনও আপনার সাথে ভদ্রভাবে কথা বলছি! চুপচাপ সাইন করে দিন, নাহলে আপনার এমন হাল করবো আপনার মেয়েকে আমার হাতে তুলে দেওয়া তো দূর, অন্যকারো হাতে তুলে দেওয়ার অবস্থায়ও থাকবেন না!!!

বলেই গটগট করে মিটিং রুম থেকে বেরিয়ে গেল আরহাম।
রাফাতও বেরিয়ে গেল সাথেসাথে, আরহামকে বেরিয়ে আসতে দেখে এগিয়ে গেল রিয়া।
আরহাম কোনোদিক না তাকিয়ে সোজা অফিস থেকে বেরিয়ে গেল।

আরহামকে দেখে রিয়ার বুঝতে বাকি নেই কোনো একটা ঝামেলা হয়েছে!
রাফাতকে আসতে দেখে রিয়া জিজ্ঞেস করল, ” মি. রাফাত! কি হয়েছে!? আরহাম স্যার এভাবে বেরিয়ে গেল কেন!!?

রাফাত সব খুলে বলল রিয়াকে, সব শুনে রিয়া হতবিহ্বলের ছুটে বেরিয়ে গেল অফিস থেকে। রাফাতও কি ভেবে ছুটল তার পিছুপিছু।
.
.
.
.
.
আরশি বের হতে গিয়ে মাকে টেনে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে বলল,” তোমার সমস্যা কি হ্যাঁ!? ভাইয়া অন্য কাউকে পছন্দ করে আর তুমি কিনা ঐ ইকরা ডাইনীর সাথে ভাইয়ার বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছো!!

মিসেস আয়েশা ভ্রু কুচকে বলল, ” মানে! আরহাম অন্য কাউকে পছন্দ করে!? আমি তো ভেবেছিলাম আরহাম ইকরাকে

মায়ের বাকি কথা না শুনেই আরশি বিরক্ত হয়ে গটগট করে চলে গেল সেখান থেকে।

ইকবাল হাসান রেগেমেগে মিটিং রুম থেকে বের হতেই মিসেস আয়েশা তাকে ডাকল,” মি. ইকবাল!

ইকবাল হাসান রেগে গিয়ে বলল,” মিসেস আয়েশা যথেষ্ট হয়েছে!! আরহাম যেভাবে সবার সামনে আমাকে ইনসাল্ট করলো, আনবিলিভেবল!! বন্ধুর বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, তার ছেলে কিনা আজ আমাকে এই প্রতিদান দিল!!!

মিসেস আয়েশা বিনয়ের সাথে বলল, “আপনি টেনশন করবেন না, এ ব্যাপারে আরহামকে আমি বুঝিয়ে বলবো। আপনিতো জানেন আরহাম ছোট থেকেই মায়ের স্নেহ মমতা পায়নি, এজন্যই ওর বিহেভিয়ার এতটা রুড হয়ে গেছে। ওকে বুঝিয়ে বললে ও ঠিকই বুঝবে!

ইকবাল হাসান মাথা নাড়িয়ে বলল, ” আপনার যা ইচ্ছে তাই করুন! আমার আর কিচ্ছু বলার নাই!

বলেই দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেলো সে, ইকরা মিটিং রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে।

মিসেস আয়েশা তাকাতেই ইকরা টলমল চোখে তাকিয়ে বলল, ” এখন আপনিই আমার শেষ ভরসা আন্টি! আরহামকে একটু বোঝান, আমি ওকে অনেক ভালোবাসি!!

মিসেস আয়েশা ইকরার গালে হাত বুলিয়ে বলল, ” মন খারাপ করোনা ডিয়ার! আমি দেখছি ব্যাপারটা!!

ইকরা চোখমুখ মুছে বলল, ” আন্টি আরেকটা কথা!

মিসেস আয়েশা ফিরে তাকালো, ইকরা এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল, ” এই অফিসে একজন এমপ্লয়ি আছে নাম “রিয়া”, আগে ওকে কোম্পানি থেকে বের করে দিন।

মিসেস আয়েশা ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল, ” কিন্ত কেন!?

ইকরা কাদোকাদো হয়ে বলল, ” ঐ মেয়েটাই তো আরহামকে আমার থেকে কেড়ে নিচ্ছে আন্টি!

মিসেস আয়েশার বুঝতে বাকি নেই এই মেয়েই সে মেয়ে যাকে আরহাম পছন্দ করে!!
.
.
.
.
.
অফিস থেকে বেরিয়ে সোজা পার্কিং লটের দিকে ছুটল রিয়া, নিশ্চয়ই গাড়ি নিয়ে এখন বের হচ্ছে আরহাম।
কিন্ত সেখানেও আরহামের গাড়ি দেখতে পেলো না সে।
রেগেমেগে অফিস থেকে বেরিয়েছে আরহাম, আল্লাহ না করুক যদি রাস্তায় ওর কোনো বিপদ হয়!!

ভাবতেই বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল রিয়ার, রাফাত ছুটে এসে হাপাতে হাপাতে বলল,” আরহামকে এখন খুজে পাবেনা রিয়া, ও এমনই হুটহাট গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে, কোথায় যায় কেউ জানেনা!

রিয়া কিছু একটা ভেবে বলল, ” আমি জানি উনি কোথায়!

বলেই দ্রুত পায়ে পার্কিং লট থেকে বেরিয়ে একটা ট্যাক্সি নিয়ে চলে গেল রিয়া।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
সামনে পেশেন্ট বসে আছে, এদিকে শোভন বারবার তার ফোন চেক করছে।
নাহ, আফসা এখনও টেক্সট দিল না! পেশেন্ট বিরক্ত হয়ে বলল, ” ডক্টর! ডক্টর শুনছেন আমার কথা!?

শোভন থতমত খেয়ে বলল, ” হ্যাঁ হ্যাঁ শুনছি তো! এক কাজ করুন, আর কটা দিন দেখুন কি হয়, তারপর আবার আসবেন।

পেশেন্ট বিরক্ত হয়ে বলল, ” আর কটা দিন কি দেখবো ডক্টর!? আমার ছেলে এখানে এডমিট! ওকে কখন রিলিজ দেবেন!?

শোভন কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বিড়বিড় করে বলল, ” ও, তাহলে এটা পেশেন্ট না!
আমতা-আমতা করে হেসে বলল, ” আরে আপনি কেন দেখবেন!? দেখছি তো আমি! আর কটা দিন পর রিলিজ দিয়ে দেবো।

লোকটা আচ্ছা বলে চেম্বার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য উঠে দাড়ালো, প্রায় সাথেসাথেই শোভনের ফোনে টেক্সট এলো!
শোভন খুশিতে হালকা চেচিয়ে উঠলো, ” পাঠিয়েছে!

লোকটা চমকে উঠল শোভনের চেচানো শুনে, শোভন ব্যাপারটা বুঝতে পেরে চুপ মেরে গেল।
লোকটা কিছুক্ষণ শোভনের দিকে তাকিয়ে থেকে বেরিয়ে গেল চেম্বার থেকে।

লোকটা বেরিয়ে যেতেই টেক্সট চেক করল শোভন, আফসা আজ বিকালে দেখা করবে বলেছে!
শোভন একটা স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়ে চেম্বার থেকে বেরিয়ে গেল।
আজ তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে রেডি হতে হবে, আর দেরি করা চলবেনা।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
রিয়া ট্যাক্সি নিয়ে আরহামের রিসোর্টে এসে ঢুকল, হোটেলে ঢুকে খোজ নিতেই তারা জানালো আরহাম সুইমিংপুলে আছে!

রিয়া একটা স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে সুইমিংপুলের দিকে যেতে লাগল।
সে জানতো আরহামকে এখানেই পাওয়া যাবে।

দ্রুত পায়ে সুইমিংপুলের দিকে যেতে যেতে দেখল কেউ একজন পানিতে উল্টো হয়ে ভাসছে!!!
কে লোকটা!? সুইমিংপুলে তো আরহাম আছে বলল, তাহলে কি আরহাম!!!

আরহামের কথা ভাবতেই আঁতকে উঠল রিয়া, আর কিছু ভাবতে পারছেনা সে! ছুটে গিয়ে সুইমিংপুলে ঝাপ দিল রিয়া!!

হটাৎ করে পানিতে ঝাপ দেওয়ার শব্দে চমকে উঠল আরহাম!!
খেয়াল করল, পানিতে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে রিয়া!!! মনেমনে ভাবল,” রিয়া এখানে!? আর পানিতেই বা কি করছে!?

আরহাম সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে তাড়াতাড়ি সাতরে গিয়ে জড়িয়ে ধরল রিয়াকে।

পানি খেয়ে কাশতে লাগল রিয়া, আরহাম এক হাতে রিয়ার কোমর জড়িয়ে অন্য হাত দিয়ে জোরে জোরে রিয়ার পিঠে মালিশ করতে লাগল!

এতে করে রিয়া যেটুকু পানি খেয়েছে তার অনেক টাই বেরিয়ে এসেছে!!

রিয়া কিছুটা ধাতস্থ হয়ে দেখল আরহাম তাকে জিজ্ঞেস করছে, ” আর ইউ ওকে!?

রিয়া গাল ফুলিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল আরহামকে। নাক টেনে টেনে বলল,” আমি ঠিক নেই! ঠিক নেই আমি!! কেন এমন করেন আমার সাথে !? আপনাকে ওভাবে ভেসে থাকতে দেখে জান বেরিয়ে আসছিলো আমার!!! আর আপনি জিজ্ঞেস করছেন আমি ঠিক আছি কিনা!!

আরহামের ভেতর এতক্ষণ যত অস্থিরতা ছিলো, রিয়ার ছোয়া পেয়ে তা যেন নিমিষেই মিলিয়ে গেল!

রিয়ার সামনে আসা ভেজা চুল গুলো কানে গুজে দিতে দিতে আরহাম বলল, ” ওভাবে বাটারফ্লাই স্টাইলে ভেসে থাকাটা ডিপ্রেশন বা যেকোনো ধরনের টেনশন দূর করে। আমি ছোট থেকেই রিল্যাক্স হওয়ার জন্য এমন করি!

একটু থেমে ভ্রু নাচিয়ে বলল, “বাই দ্যা ওয়ে, তুমি সুইমিং পারোনা আবার আমাকে বাচাতে পানিতে ঝাপ দিয়েছো!

রিয়ার এবার ভিষণ লজ্জা লাগছে, সে সুইমিং পারেনা সেই খোটা দিচ্ছে আরহাম তাকে।

রিয়া আমতা-আমতা করে বলল, ” আমি সুইমিং পারি না কে বলল আপনাকে, আমি গাউন পরেছি তাই সুইম করতে পারছিলাম না হুহ।

আরহাম রিয়াকে আরও কাছে এনে বলল,” বাট তুমি তো ফ্রক পরে আছো! আই ডোন্ট থিংক ফ্রক পরে সুইম করা যায় না!!

রিয়া নিজের দিকে তাকিয়ে দেখল সত্যিই সে গাঢ় বেগুনি রঙের লং ফ্রক পরেছে আজ!

তার থেকেও বড় কথা সে আরহামের সাথে ভিজে একেবারে লেপ্টে আছে!!

লোকটার কি একটুও লাজলজ্জা নেই!! কি সুন্দর
খালি গায়ে শুধু শর্টস পরে দাঁড়িয়ে আছে দেখো!!!

আরহামের উন্মুক্ত বুকের ভেজা পশম গুলোর দিকে তাকালে কেমন যেন ঘোর লেগে যাচ্ছে রিয়ার।

আরহাম ঝট করে রিয়াকে কোলে তুলে নিল, রিয়ার সেদিকে খেয়াল নেই।

সে তো তার প্রিন্স আরহামকে দেখতেই ব্যস্ত!! আরহাম কোনো রূপকথার প্রিন্সের থেকে কোনো অংশেই কম নয়!!!

কিন্ত রিয়াও কি সেই রূপকথার প্রিন্সেস!!!? জানেনা সে, শুধু জানে আরহাম তার, আর তারই থাকবে আজীবন!!!!

.
.
.
.
(চলবে)
বিঃদ্রঃ পুরো একবছর বইখাতার ধারে কাছেও যাইনি😐
এখন এক্সামের আগে বই নিয়ে বসে পুরাই অবস্থা খারাপ আমার🥴
March এ মেবি এক্সাম শুরু হবে, এক্সামের প্যারায় হয়তো গল্প পোস্ট করতে লেট হবে।
বাট ট্রাই করবো পর্ব গুলো বড় করে দেওয়ার😇
& প্লিজ আমার জন্য দোয়া কইরো সবাই, যেন পাশটা করি🙃

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here