#চলো_ভিজি_বৃষ্টিতে
#Tanjima_Islam
৩২ পর্বের কিছু অংশ যোগ করে দেওয়া হয়েছে
(৩৩)
.
.
.
.
.
আফসা মুহুর্তেই থমকে গেল, শোভন তাকে প্রোপোজ করছে! তাও কিনা চেম্বারে বসে!!
অবশ্য আনরোমান্টিক এই ডাক্তারবাবুর কাছে এর বেশি আর কিই বা এক্সপেক্ট করবে আফসা!!! বিড়বিড় করে বলল, ” আনরোমান্টিক একটা!
শোভন ভ্রু কুচকে বলল, ” কি বললে! মানে ক্লিয়ারলি শুনতে পাইনি!!
আফসা লজ্জায় অন্যদিকে তাকিয়ে বলল,” আগে আমার ঘুমের একটা ব্যবস্থা করুন ডাক্তারবাবু!
শোভন স্মিত হেসে বলল, ” তোমাকে ঘুম পাড়ানোর দায়িত্ব আজ থেকে আমি নিলাম মিস আফসা!
আফসা লজ্জায় আর তাকাতে পারছেনা শোভনের দিকে।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
অফিসে পৌছেই আরশির সেন্সলেস হয়ে পড়ার খবর পেলো আরহাম আর রিয়া।
তারা আসার আগেই আরশিকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, আরহাম আর দেরি না করে বেরিয়ে পড়ল হসপিটালের উদ্দেশ্যে।
রিয়াও বেরিয়ে এলো আরহামের সাথে, তারও ভিষণ টেনশন হচ্ছে আরশির জন্য।
হসপিটালে পৌছে রিয়া দেখল এটা সেই হসপিটাল, যেখানে তাকেও আনা হয়েছিলো সেই এক্সিডেন্টের পর।
ভেতরে ঢুকে আরশিকে খুজতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল আরহাম আর রিয়া।
.
.
.
হসপিটালের বেডে হেলান দিয়ে বসে আছে আরশি, কিছুক্ষণ আগেই জ্ঞান ফিরেছে তার।
পাশেই ডক্টরের সাথে কথা বলছে মিসেস আয়েশা।
ডক্টর আদিত্য বলল,” টেনশনের কিছু নেই, ওনার তো এমনিতেই হাই প্রেশার! হয়তো ঠিকমতো মেডিসিন নেয়নি কদিন, তাই এমন হয়েছে! প্রপার রেস্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবে।
মিসেস আয়েশা জিজ্ঞেস করল, ” তাহলে কি ওকে এখন বাসায় নিয়ে যেতে পারবো!?
ডক্টর আদিত্য হেসে বলল, ” হ্যাঁ অবশ্যই!
বলেই কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল ডক্টর, মিসেস আয়েশা ধীর পায়ে মেয়ের পাশে গিয়ে বসল।
আরশির সেদিকে হুস নেই, সে ভাবছে ফাইয়াযকে নিয়ে। কিভাবে ফাইয়াযকে সব বলবে সে!?
আরহামের ডাকে ভাবনায় ছেদ পড়ল আরশির, রিয়া কেবিনে ঢুকে মিসেস আয়েশাকে সালাম দিয়ে আরশির পাশে গিয়ে বসল।
মিসেস আয়েশাকে দেখেও না দেখে আরশিকে জিজ্ঞেস করল আরহাম,” কি অবস্থা এখন!? ডক্টর কি বলল!?
মিসেস আয়েশা বলল,” টেনশনের কিছুই নেই, ডক্টর বলেছে প্রপার রেস্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবে।
আরহাম বোধহয় মিসেস আয়েশার কথায় ঠিক নিশ্চিন্ত হতে পারছেনা।
আরশি ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে মেকি হেসে বলল, ” আমি ঠিকাছি ভাইয়া! ডক্টর বাসায় গিয়ে রেস্ট নিতে বলেছে!
আরহাম মাথা দুলিয়ে বলল, ” বেশ! রেডি হয়ে আয় তাহলে!!
.
.
.
.
.
আরহাম গেছে ডক্টরের সাথে কথা বলতে, মিসেস আয়েশা আর রিয়া আরশিকে রেডি করে বের হতেই ডক্টর শোভনের সাথে দেখা হল তাদের।
রিয়া আরশি আর মিসেস আয়েশাকে বলল,” আপনারা যান আমি আসছি।
ডক্টর শোভন এগিয়ে এসে বলল,” কি খবর কেমন আছেন!?
রিয়া স্মিত হেসে বলল, ” এইতো আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনি!?
শোভন হেসে বলল, ” আলহামদুলিল্লাহ ভালো! তা আপনি এখানে!? আবার এক্সিডেন্ট হয়েছে নাকি!?
.
.
.
আরশি আর মিসেস আয়েশার সাথে রিয়াকে না দেখে আরহাম জিজ্ঞেস করল, ” রিয়া কোথায়!?
মিসেস আয়েশা বলল,” আমরা একসাথেই আসছিলাম, হটাৎ একটা ছেলে আসতেই আমাদের বলল একটু পর আসছে। হয়তো ওর পরিচিত কেউ!
আরহাম মনেমনে ভাবল,” কোন ছেলের সাথে দেখা হল! ফাইয়ায নাতো!!
সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে বলল,” আচ্ছা আপুকে নিয়ে কারে বসুন। আমি রিয়াকে নিয়ে আসছি।
.
.
.
রিয়া হেসে বলল, ” না না, আসলে আরহামের বোন হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তাই দেখতে এসেছিলাম।
শোভন ভ্রু কুচকে বলল, ” ওয়েট ওয়েট, আরহাম! মানে উনিই না! যার জন্য মেমোরি লসের ড্রামা করেছিলেন!?
রিয়া স্মিত হেসে বলল, ” হুম, কিন্ত এখন সব ঠিক হয়ে গেছে। ও ওর ভুল বুঝতে পেরেছে! তাই আমিও ওকে মাফ করে দিয়েছি!!
শোভন ভ্রু নাচিয়ে বলল,” বাহ! তাহলে ড্রামাটা কাজে লেগেছে!! বাই দ্যা ওয়ে ট্রিট পাচ্ছি কবে!? আপনাদের প্যাচ আপ এর!?
রিয়া সলজ্জ হেসে বলল, ” পাবেন খুব তাড়াতাড়ি! সাথে আমাকেও কিন্ত ট্রিট দিতে হবে! আপনাদের রিলেশনের!!
শোভন মাথা চুলকে বলল,” ওকে ডান!
.
.
.
শোভন আর রিয়ার কথাবার্তা শুনে থমকে গেছে আরহাম, মাথায় ঘুরছে “মেমোরি লসের ড্রামা “!!!
রিয়া এতদিন ড্রামা করেছে তার সাথে!! তারমানে ও কিছুই ভোলেনি!
আর ভাবতে পারছেনা আরহাম, রাগে ক্ষোভে চোখ জোড়া লাল হয়ে গেছে তার!
হাত মুষ্টিবদ্ধ করে দ্রুত পায়ে হসপিটাল থেকে বেরিয়ে এলো সে!!
রিয়াও শোভনকে বিদায় দিয়ে বেরিয়ে এলো, আরহামের পাশের সিটে এসে বসতেই গাড়ি স্টার্ট করল আরহাম।
পুরো রাস্তা রিয়ার সাথে কথা বলা দূর ফিরেও তাকায়নি সে।
রিয়া বুঝতে পারছেনা আরহামের আবার কি হল। হয়তো আরশির অসুস্থতা নিয়ে একটু টেন্সড, তাই আর বেশি মাথা ঘামালো না রিয়া।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আরশিকে রুমে শুইয়ে রেখে বেরিয়ে এলো আরহাম, মিসেস আয়েশা ভেতরে যেতে চাইলে বলল,” আপু একটু একা থাকতে চাচ্ছে। রেস্ট নিক, পরে দেখা করবেন।
মিসেস আয়েশাও আর কিছু বলল না, তার নজর রিয়ার দিকে।
লম্বা চওড়া উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের মেয়ে রিয়া, তার ঘনকালো লম্বা চুলেই বোধহয় আরহাম বেশি মুগ্ধ হয়েছে!
আরহাম রিয়াকে বলল,” আপু রেস্ট নিচ্ছে, চলো আমরা অফিসে যাই।
মনেমনে বলল, ” রিয়ার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলা দরকার! কেন করল সে এমন!! এতো বড় ড্রামা!!! সেদিন ইচ্ছে করেই ফাইয়াযের হাত ধরেছিলো রিয়া!!!! ভাবতেই মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে তার। কিন্ত এখানে সিনক্রিয়েট করা যাবেনা।
রিয়াও হ্যা জানিয়ে বলল,” হুম চলুন। অফিসে অনেক কাজ পেন্ডিং হয়ে আছে।
আরহামের সাথেসাথে রিয়া যেতে গেলে মিসেস আয়েশা ডেকে বলল,” রিয়া! তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো।
আরহাম বুঝতে পারছেনা এই মহিলার আবার রিয়ার সাথে কি কথা!
রিয়া বুঝতে পারল আরশির আম্মু হয়তো আরহামের সামনে বলতে চাচ্ছেনা, কিন্ত কি এমন কথা আছে তার সাথে!
আরহামকে বলল,” আপনি যান আমি এক্ষুনি আসছি।
আরহাম একবার মিসেস আয়েশার দিকে তাকিয়ে দ্রুত পায়ে নেমে গেল।
আরহাম চলে যেতেই রিয়া বলল, ” জ্বি বলুন ম্যাম!
মিসেস আয়েশা স্মিত হেসে বলল, ” আগে আমাকে ম্যাম বলা তো অফ করো!
রিয়া জিজ্ঞাসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,” ঠিক বুঝলাম না।
মিসেস আয়েশা এগিয়ে এসে রিয়ার এক হাত ধরে বলল,” দেখো রিয়া আমি জানি তুমি আরহামকে ভালোবাসো, আরহামও তোমাকে অনেক ভালবাসে। সো আমার কাছে কিছু লুকানোর প্রয়োজন নেই, আর এবার থেকে আমাকে আন্টি ডাকবে। ঠিকাছে!?
মিসেস আয়েশার কথা শুনে রিয়া খুশিতে গদগদ হয়ে বলল,” ঠিকাছে ম্যাম! স্যরি আন্টি!!
মিসেস আয়েশা স্মিত হেসে বলল, ” নাও এবার যাও, আরহাম নিচে ওয়েট করছে।
রিয়া আচ্ছা বলে নেমে এলো, আরহাম ড্রাইভিং সীটে বসে আছে।
রিয়া পাশে বসতে বসতে বলল, ” আন্টি জানে তোমার আর আমার রিলেশনের ব্যাপারে। উনি বেশ খুশি মনে হল।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আরহাম কোনো রিপ্লাই না দিয়েই ড্রাইভ করতে লাগল, অফিসে ঢুকে সোজা টেরেস এ গেল আরহাম।
ভিষণ রাগ হচ্ছে তার, রিয়া কিভাবে এমনটা করল তার সাথে!!!
রিয়া নিজের ডেস্কে বসে কাজ করছে, আর পাঁচদিন পর তার হলুদ তারপর বিয়ে!
ফাইয়াযের সাথে এখনও কথা বলা হয়নি তার। নিজের বাসায়ও কিভাবে জানাবে কিছু বুঝতে পারছেনা রিয়া। ফাইয়াযের সাথে কথা বলে সব ঠিক করতে হবে।
ফোনের রিংটোন পেয়ে ভাবনায় ছেদ পড়ল রিয়ার, ফোন হাতে নিয়ে দেখল আরহাম কল দিচ্ছে!
কি ব্যাপার উনি হটাৎ কল দিচ্ছে!! চেয়ার ছেড়ে উঠে আরহামের রুমে গেল রিয়া, আরহাম তো রুমে নেই!!! তাহলে!!!
সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে আবার ফোনটা বেজে উঠল, কল রিসিভ করতেই আরহাম বলল,” এক্ষুনি টেরেস এ এসো।
বলেই কল কেটে দিল আরহাম, রিয়া ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
হটাৎ কি হয়েছে আরহামের! হসপিটালে যাওয়ার আগে পর্যন্তও তো ঠিকই ছিলো।
হটাৎ মনে হল, হয়তো আরহাম কোনো সারপ্রাইজের প্ল্যান করেছে তার জন্য!!
ভাবতেই খুশিতে নাচতে নাচতে টেরেস এ গেল রিয়া।
.
.
.
গিয়ে দেখল আরহাম উল্টো দিকে ফিরে ব্যস্ত শহরকে দেখছে।
রিয়া দ্রুত পায়ে এগিয়ে গিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরল আরহামকে।
আরহাম না তাকিয়েই বলল, ” ডক্টর শোভন আর তোমার বলা সব কথা আমি শুনেছি রিয়া!
আরহামের কথা শুনে চমকে উঠল রিয়া, আরহাম সব শুনে ফেলেছে!!
আরহাম পেছন ফিরে তাকাতেই রিয়া আরও ভয় পেয়ে গেল।
আরহামের ফর্সা চোখমুখ টকটকে লাল হয়ে গেছে!!! মনে হচ্ছে যেন চোখ দিয়ে রিয়াকে আস্ত গিলে খাবে আরহাম!!!!
রিয়া এক পা দু পা করে পেছাতে লাগল, আরহাম হাত মুষ্টিবদ্ধ করে এগোতে লাগল রিয়ার দিকে।
পেছাতে পেছাতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে রিয়ার, আরহামও এগোতে এগোতে একেবারে রিয়ার কাছে চলে গেছে!
আরহামের এই রাগের সাথে পরিচিত না রিয়া, ছোট থেকেই বাবা-মা কেউই তার সাথে কখনও চোখ রাঙিয়ে কথা বলেনি।
আরহামের এতো রাগী চেহারা দেখে রিয়া শুকনো ঢোক গিলছে বারবার!
এদিক ওদিক তাকিয়ে পাশ কাটিয়ে বেরোতে গেলেই আরহাম সজোরে দেওয়ালে হাত রাখল!!
রিয়ার এবার প্রাণ যায়যায় অবস্থা!!! অন্যপাশ দিয়ে বেরোতে গেলেই আরহাম সে পাশেও হাত রেখে আটকালো রিয়াকে।
রিয়ার এবার কান্না পাচ্ছে, আরহাম রিয়ার কান্না দেখে নিজেকে শান্ত রেখে বলল, ” কেন রিয়া!? কেন এতো বড় ড্রামা করলে!!?
রিয়া কাদোকাদো হয়ে কিছু বলার আগেই আরহাম দাতে দাত পিষে বলল,” কি হল! কিছু বলছো না কেন!!!!?
রিয়া আর নিজেকে সামলাতে পারলোনা, চেচিয়ে উঠলো, ” হ্যাঁ করেছি ড্রামা! তোমাকে ভোলার জন্য করেছি! লাইফে প্রথম কাউকে এতো ভালোবাসলাম, আর সে কিনা তুচ্ছ একটা ঘটনা নিয়ে আমার ফিলিংস নিয়ে খেলল!! মানতে পারছিলাম না, সহ্য হচ্ছিলোনা আমার!! যতটা ভালবেসেছিলাম তার থেকেও হাজার গুনে বেশি ঘৃণা করতে চেয়েছিলাম তোমাকে।
বলেই কাদতে লাগল রিয়া, আরহামের চোখ জোড়ায় পানি টলমল করছে।
সেদিন এতটাই কষ্ট দিয়েছিলাম রিয়াকে! যে ও আমাকে ওর লাইফ থেকেই মুছে ফেলতে চাচ্ছিলো!! অবশ্য ও ঠিকই তো করেছে! না বুঝেই অনেক কষ্ট দিয়েছি রিয়াকে!!
একটু থেমে আবার বলল রিয়া,” পারিনি! এতো বড় ড্রামা করেও ভুলতে পারিনি তোমাকে! কিভাবে পারতাম! আমার সবটা জুড়ে যে শুধুই তুমি!! অনেক ভালবাসি তোমাকে!!!
বলতে বলতে ফ্লোরে বসে পড়ল রিয়া, আরহাম প্রশান্তির হাসি দিয়ে নিচু হয়ে বলল,” অনেক শাস্তি দিয়েছো, আর দিয়োনা প্লিজ! আই প্রমিজ আর কোনোদিন তোমাকে কষ্ট পেতে দেবোনা!!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে ফাইয়ায, ঘড়িতে বিকাল সাড়ে চারটা বাজে!
অথচ আরশি এখনও এলোনা, কল দিচ্ছে তাও রিসিভ করছেনা আরশি!!
হটাৎ ফোনের রিংটোন পেয়ে তাড়াতাড়ি হাতে নিয়ে দেখল রিয়া কল দিচ্ছে!
রিয়ার সাথে কথা বলা দরকার, কিন্ত কি বলবে সে!! সব শুনে রিয়া কেমন রিয়াক্ট করবে!!
রিয়াকে ভালবাসে সে, কিন্ত অ্যাজ এ ফ্রেন্ড!!! আজ সে বুঝতে পারছে রিয়ার প্রতি তার ফিলিংস আসলে প্রেম ছিলনা, ছিল বন্ধুত্বের ফিলিংস!!!
“প্রেম” তো এক অজানা সুখের অনুভূতি যার অর্থ আরশিকে পেয়ে বুঝেছে ফাইয়ায!!!
কল রিসিভ করতেই রিয়া স্মিত হেসে বলল, ” কেমন আছো!?
ফাইয়ায একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “আছি ভালো তুমি কেমন আছো!?
রিয়া হাতের তালুতে কপাল ঘষতে ঘষতে বলল, ” আমিও আছি ভালো। আচ্ছা ফাইয়ায, তোমার সাথে কিছু দরকারি কথা আছে।
ফাইয়ায সেইসাথে সাথে বলে উঠল, ” আমারও কিছু বলার আছে রিয়া!
রিয়া কিছুটা অবাক হলেও বলল,” ওকে, চলো কোথাও দেখা করি।
ফাইয়ায একটু ভেবে বলল, ” এখন দেখা করি চলো।
রিয়া বলল,” না আজ না, কাল আমার অফ ডে। কাল দেখা করি!?
ফাইয়ায মাথা দুলিয়ে বলল, ” ওকে, তুমি টাইম আর লোকেশন টেক্সট করে দিও।
- রিয়া আচ্ছা বলে কল কেটে দিল, ফাইয়াযের কন্ঠ শুনে কেমন যেন অস্থির মনে হচ্ছিলো।
ফাইয়ায কি কিছু নিয়ে টেনশন করছে!? আমার আর আরহামের ব্যাপারটা জেনে গেছে নাকি! উফফ আর ভাবতে পারছিনা!!
.
.
.
.
.
(চলবে)
বিঃদ্রঃ গল্পটা শেষের পথে, জানাবেন গল্পটা কেমন লাগছে। আর খুব শীঘ্রই #howlingseason2 নিয়ে হাজির হবো😇