চলো রোদ্দুরে পর্ব-১০

0
1890

#চলো_রোদ্দুরে
#ফাতেমা_তুজ
#part_10

সকাল আট টা বাজতেই স্কিপিং বন্ধ করে দেয় ভোর। শরীরে আর কুলাচ্ছে না। তিন্নি তো বেশ অনেক আগেই হাঁপিয়ে গেছে। সে এখন রেস্ট নিতে ব্যস্ত। দড়ি টা নিয়ে রেখে দেয়। যাওয়ার পূর্বে তিন্নির পাশে বসে দুই মিনিট জিরিয়ে নেয়।শীত হলে ও শরীর টা ঘামে ভিজে গেছে একদম। বেশ হিউজ এমাউন্ট এর কসরত হয়েছে। তবে অক্টোবরেই শীতের প্রকোপ পুরো দেশে আলোড়ন ফেলেছে। পানির বোতল থেকে পানি নিয়ে ঢক ঢক করে পান করে নেয়। তোয়ালে বারিয়ে দিয়ে তিন্নি বলে
_আপনার দম আছে বলতেই হয়।

_অভ্যাস এটা। ছোট থেকেই দড়ি লাফ খেলেছি প্রচুর। গ্রামে তো এসব ই হয়।

_হুম। আচ্ছা এখন কি নাস্তা করবেন?

_সবাই আসুক তারপর ই করবো। এখন গিয়ে ফ্রেস হয়ে নেই।

_ওকে।

ঘরে ফিরে দু একটা আড়মোড়া ভেঙে নেয়। পা টা ব্যাথা করছে। ওয়াসরুমের দিকে যাবে তখনি চোখে পরে কেবিনেট এর উপর একটা প্যাকেট। কিছু টা অবাক হয় মেয়েটা। তবে আগ্রহ দমাতে না পেরে তৎক্ষনাৎ প্যাকেট টা খুলে ফেলে। ভেতরে কালো কোর্ট পরা একটা লেডি ডল। হাতে একটা ডায়েরীর মতো। বিষয় টা বুঝতে পেরে হেসে ফেলে। এটা যে রাদের কাজ খুব ভালোই বুঝেছে সে। আইনজীবী মেয়ে টা ওকে ওর কর্মের কথা মনে করিয়ে দিবে। রাদের নাম্বারে কল করে। রিসিভ করেই রাদ বলে
_কেমন আছো?

_ভালো, আপনি এসেছিলেন?

_হুম।

_দেখা করলেন না কেন?

_তুমি স্কিপিং করছিলে। তাছাড়া তোমাকে বিরক্ত করতে ইচ্ছে হয় নি।

_আইনজীবী পুতুল টা আপনি দিয়েছেন তাই না।

_হুম। পছন্দ হয় নি?

_খুব পছন্দ হয়েছে। আচ্ছা ডাক্তার সাহেব একটা কথা বলবো?

_হুম বলো। এতো হেজিটেশন করছো কেন?

_আমি যদি না পারি লক্ষ্যে পৌছাতে?

_এমন কেন বলছো ভোর। তুমি পারবে, আর না পারলে ও কোনো সমস্যা নেই। আমি আছি তো, তোমার হাত ধরে একদম রোদ্দুরে পৌছে দিবো।

_পৌছে দিবেন।

কথা টা বলার সময় গলা ধরে আছে ভোরের।কেন এমন হলো জানা নেই ওর। তবে সে দিকে লক্ষ্য করে নি রাদ। সে বক বক করতে ব্যস্ত।

_আরে হ্যাঁ। কাল কে তোমায় কলেজ এ নিয়ে যাবো। এডমিশন টেস্ট এর আগে কিছু ফরমালিটিস আছে। ক্যাম্পাস টা ও ঘুরিয়ে দেখিয়ে নিবো। দেখবে খুব ভালো লাগবে তোমার।

_আচ্ছা।

আইনজীবী পুতুল টার দিকে তাকিয়ে থাকে ভোর। এই পোশাক টা গাঁয়ে দিলে ওকে কেমন দেখাবে?
.

আজকাল বড্ড প্যারা দিচ্ছেন ইফতিহার।হাঁপিয়ে উঠেছে রাদ। এতো কাজের চাপ নাকি তাঁকে একা সামলাতে হবে। নিজের গালে থাপ্পড় বসাতে ইচ্ছে হয়। মন চায় চেঁচিয়ে বলতে ‘ মম , ড্যাড কেন আমার আর কোনো ভাই বোন নেই? তোমাদের দেওয়া একশ ফিটের চাপ আমি নিতে পারছি না। হুহ ‘
ফোঁস করে নিশ্বাস ফেলে রাদ। গাঁয়ের শুট টা বিজনেস টাইকুন দের মতো করে কাঁধ এর এক সাইটে ঝুলিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে। রামিসা আসেন খাবার নিয়ে। যদি ও রাদ নাকোচ করে তবে রামিসা ও হার মানার পাত্রী নন। নিজ হাতে খাইয়ে তবেই উঠে। মুখ টা বাংলার পাঁচের মতো করে রেখেছে রাদ। রামিসা বলেন
_মুখ টা এমন কেন বেটা?

_ড্যাড আমার বারো খানা বাজিয়ে দিয়েছে মম। এই টাকা পয়সা আমার চাই না। এতো কাজ কি করে সম্ভব?

_হোয়াই বেটা? কাজ কে দেখে ভয় পাচ্ছো তুমি। এমন শিক্ষা তো আমরা দেই নি।আর রইলো কথা প্রপার্টিজ আর ব্যাংক ব্যালেন্স। লিসেন বেটা টাকা উপার্জন জরুরী তবে সেটার সাথে কিছু লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। তোমার পাপা বছর শেষে 25% গরীব দের দান করে দেন। তুমি তো নিজ চোখে দেখেছো আমাদের হসপাটালে বড় বড় অপারেশন সহ হার্ট এর পেসেন্ট যাঁরা মধ্যবিত্ত এতো টাকা খরচ করা কষ্ট সাধ্য তাঁদের ফ্রি লি ট্রিট করা হয়। আর রোজ কত শত মানুষ বিনা মূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছে। এর মূল অংশ তো আসে হসপিটাল আর বিজনেস থেকেই। ডোনেশন তো বছর শেষে আসে যেটা দিয়ে অন্ধ দের ট্রিট করা হয়। যদি তোমার পাপা এই কাজ গুলো না করতেন তাহলে এতো গুলো মানুষের উপকার হতো কি করে?

_হুহহ বুঝলাম। বাট আম টায়ার্ড মম।

_নতুন কাজের সাথে মানিয়ে নিতে একটু সময় তো লাগবেই।

_ইয়াহ।

রামিসা এগোয়, পিছন থেকে আদুরে গলায় রাদ বলে
_মম

_হ্যাঁ বেটা। কিছু লাগবে তোমার?

_হুম।

_কি?

_তোমাকে।

রাদের কথায় কিছুক্ষণ চমকায়িত হন তিনি। পরিশেষে হেসে উঠেন। বেশ জমিয়ে বসে রাদ। রামিসার কোলে মাথা এলিয়ে ফোন টা সাইলেন্ট করে দেয়। বহু দিন পর মায়ের সঙ্গ চেয়েছে রাদ। যখন খুব বেশি ক্লান্ত হয়, একটু স্বস্তি প্রয়োজন মনে হয় তখনি রামিসার কোলে মাথা রাখে। স্বযত্নে ছেলের মাথায় বিলি কেঁটে দেন তিনি। আর মায়ের নরম হাতের ভালোবাসায় ছেলেটা চোখ বুঁজে নেয়। দরজার কাছে এসে দাঁড়িয়ে যান ইফতিহার। মা ছেলের ভালোবাসা তে ইন্টারফেয়ার একদম ই পছন্দ নয়। তাই মৃদু হেসে চলে যান তিনি। কি মনে করে যেন নিজ রুমের ডোর এর কাছে এসে আবারো ফিরে আসেন। ধীর পায়ে বেডের কাছে এসে ছেলের কপালে চুমু এঁকে দেন, একি ভাবে রামিসার কপালে চুমু দেন। কিছু টা রাগি লুক নিলেই পরক্ষনেই হেসে ফেলেন তিনি।
বলেন
_ছেলেটা জেগে থাকলে ও এমন করতে তুমি?

_হুম ক্ষতি কি তাঁতে?

_উফফ যাও তো।

আড়চোখে বাবা মায়ের ভালোবাসা দেখে রাদ ও হাসে। পরক্ষণেই আবারো ঘুমে টলে যায়।

পাখির গুঞ্জনে আর থাকা যাচ্ছে না। এমনি তে ও প্রচুর ঘুমিয়েছে রাদ। কাল এতো হিউজ পরিমানে ধকল গেছে যে ঘুম কে সব থেকে বেশি আপন মনে হয়েছে। এক্সারসাইজ করার কথা মাথায় ও আসে নি। তবে রোজ নিয়ম করে এক্সারসাইজ করবেই ছেলে টা। এর পেছনে বিশেষ কারন ও রয়েছে। অষ্টম শ্রেনি তে পড়া কালীন একটা প্রশ্নে ছিলো একজন খেলোয়ার রোজ খেলা করে আর একজন ডাক্তার চেম্বারে বসে রোগী দেখে। কে অধিক ফিট থাকবে। সেই প্রশ্নের উত্তরে ছিলো ডাক্তার দীর্ঘদিন এভাবে থাকলে মুটিয়ে যাবেন ও দ্রুত অসুস্থ হবেন। তারপর থেকে রাদের যে কি হলো মাথায় এমন তেমন ভূত চাপলো যে রোজ এক্সারসাইজ করা শুরু হলো।
তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে মিররে যেতেই ইফতিহারের আগমন। স্বচ্ছ হেসে তিনি বলেন
_গুড মর্নিং মাই বয়।

_গুড মর্নিং ড্যাড।

_মাই চারমিং বয় তোমাকে আজ রাতের মিটিং এ এটেন্ট করতে হবে।

_হোয়াই ড্যাড।

_আমি রেস্ট চাই বেটা। তোমার উপর সমস্ত ভার ছেড়ে দিয়ে আমি আর তোমার মম সেকেন্ড টাইম হানিমুনে যাবো।

_উফ ড্যাড। তুমি আমায় মেরেই দিবে।

_লিসেন রাদ, আজকের মিটিং অনেক বেশি জরুরী।আমি তোমাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো।

_বুঝেছি আমি।

_কোথায় যাচ্ছো রাদ?

কিচেন থেকে বলেন রামিসা। মোর ঘুরিয়ে রামিসার কাছে আসে ওহ। কিছু একটা করতে হবে।স্টিকি রাইস তৈরি করছিলেন তিনি। আদুরে গলায় রাদ বলে
_সুশি বানাও প্লিজ।

_বাট সি ফিস তো বাসায় নেই। আর সুশি তে চিকেন তো খাও না তুমি।

_ডোন্ট ওরি। আমি তো এখন খেতে চাচ্ছি না। লাঞ্চ এ খাবো, আমি বরং প্রন নিয়ে আসি।

_কাঁচা বাজারে যাবে তুমি। তাঁর থেকে ভালো আমি ড্রাইভার কে পাঠিয়ে দেই।

_ মম, আমি কাঁচা বাজারে যাচ্ছি না। শপ থেকে ফ্রোজেন প্রন আর স্যালমন নিয়ে আসবো, আর কিছু লাগবে?

_সয়া সস আছে তাহলে বরং সি উইড নিয়ে এসো। যা আছে তাঁতে হবে না।

_ওকে আমি তাহলে যাচ্ছি।

_আরে নাস্তা টা করে যাও বেটা।

_বাইরে থেকে করে নিবো। আমার জন্য অপেক্ষা করো না।

বাসা থেকে বের হয়েই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। এখন না বের হলে আর সুযোগ ই মিলতো না। দ্রুত গতিতে ড্রাইভ করতে থাকে রাদ। ফোন করে বলে যাতে রেডি হয়ে থাকে ভোর।
ওকে পিক করে সোজা যায় কলেজে। বিশাল মাপের কলেজ টা দেখে শুকনো ঢোক গিলে মেয়েটা। বলে
_এতো বড় কলেজে পড়তে হবে আমায়?

_হুম। ক্যাম্পাস টা অনেক সুন্দর। আসো ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। আর ফর্ম ফিলাপ ও করতে হবে।

_ডাক্তার সাহেব।

_হুম।

_আমার ভয় হচ্ছে। আশে পাশের সবাই কে দেখতেই আন ইজি ফিল করছি।

_কিছু হবে না। আসো আমার সাথে।

পুরো ক্যাম্পাস টা শর্ট কার্ট ঘুরিয়ে নেয় রাদ। এখান কার ব্যবস্থা দেখে কিছু টা হা হয়ে যায় ভোরের মুখ।
তবে আরো বেশি ভয় পায় কলেজের অধ্যক্ষ দের দেখে। একেক জন প্রফেসর যেন একেক টা ডাকু। অন্তত ভোরের কাছে তেমনি মনে হলো। অতিরিক্ত লম্বা একজন কে দেখে তো রাদের হাতা খামচে ধরলো।
_কি হলো?

_আব্দুর রহমান।

_হোয়াট। কে আব্দুর রহমান।

_কাবুলের সেই বন্ধু , ঐ যে প্রবাস বন্ধু।

মেয়েটার কথায় ফিক করে হেসে ফেলে রাদ। আশ্বস্ত করে বলে
_উনি হাইট এ একটু বেশি ই বটে, বাট আব্দুর রহমান এটা মানতে পারছি না। ওনার হাইট 6’3 হলে ও রোগা পাতলা দেহ। আর আব্দুল রহমান ছিলো আস্ত এক কুমড়ো। হোয়াট এভার আর ওনি হলেন ম্যাথ এর প্রফেসার।

_ওহ। আচ্ছা আপনি ও তো লম্বা তাহলে আপনার হাইট কতো?

_কতো মনে হয়?

_উহুহ বুঝতে পারছি না।

_5’9 আসো এবার। আমি 6 ফিট রোগা পাতলা ভূত নই।
বাই দ্যা ওয়ে তুমি কি মুটিয়ে যাচ্ছো?

ছেলেটার কথায় কপালে দু খানা ভাজের সৃষ্টি হচ্ছে। এপাশ ওপাশ ফিরে নিজেকে দেখে নেয়। সব তো ঠিক ই আছে। আর মোটা ও হয় নি। রাদের দিকে প্রশ্ন বিদ্ধ দৃষ্টি তে তাকাতেই হেসে ফেলে রাদ।নিজের বোকামি বুঝতে পেরে গোমড়া হয়ে যায় মুখ। ততক্ষণে লম্বা করে ম্যাথ এর প্রফেসার স্যার সামনে চলে আসেন। রাদের সাথে কুশল বিনিময় করে বলেন
_ওয়াও কতো দিন পর তোমার পদধুলি পরলো আমাদের ক্যাম্পাসে।

_তেমন নয় স্যার। বাট আপনার সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগলো।

_সেই তো গেলে আর এলে না। বাট কোনো দরকারে এসেছিলে কি?

_জি স্যার। ওহ হলো ভোর, ফার্স্ট ইয়ারে এডমিশন করাবো।

_ওহহ আই সি। যেহেতু আরো কয়েক মাস আগে এডমিশন টেস্ট হয়ে গেছে তাই ওকে পার্সোনালি কিছু প্রশ্ন করা হবে সাথে রাইটিং টেস্ট।

_আমি জানি সেটা।

_ওকে তাহলে আসো আমি সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।

ম্যাথ প্রফেসার চলে যান। এতোক্ষন রাদ এর সাথে চিপকে ছিলো মেয়েটা। কিছু টা দূরে সরে গিয়ে মাথা নত করে ফেলে। কিছু একটা ওকে সংকোচে ফেলেছে দেখে রাদ বলে
_কিছু বলতে চাও তুমি?

_হুমম।

_বলো কি বলবে।

_আমি তো দু ব্যাচ পিছিয়ে গেছি। সবাই আমার উপর হাসবে তাই না? আমি তো সবার বড় হয়ে গেলাম।

_এর জন্য মুড অফ।

বাচ্চা দের মতো মাথা কাত করে ভোর। কিছু টা দীর্ঘশ্বাস মেশানো সুরেই রাদ বলে
_ প্রথমতো এটা সম্পূর্ন ভেলুলেস কথা। আর তাছাড়া এখানে যাঁরা ফার্স্ট ইয়ারের স্টুডেন্টস তাঁরা কেউ ই তোমার থেকে ছোট নয়। বরং বেশির ভাগ ই বড় হবে।

_কি করে?

_ক্লাস টপকানোর দিক থেকে গ্রাম এগিয়ে আছেই বটে। চার বছর হলেই কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে গ্রামের বাচ্চা দের স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ক্লাস ওয়ান টা বোধহয় যেমন তেমন ভাবেই যায়। সবাই বাচ্চাদের পড়াশোনায় ফোকাস করে না। শুধু গন্ডি পেরোলেই হয়। বাট শহরের ক্ষেত্রে হয় কি বিশেষ করে এসব একটু নামি দামি কলেজের প্রায় সব স্টুডেন্ট এর পেরেন্স রা জব করে। তাঁরা বাসায় টিউটর রেখে পড়ায় আর তারপর কেজি স্কুলে পড়ায়। এতে করে হয় কি গ্রামের তুলনায় শহরের স্টুডেন্টস দের বয়স টা একটু বেশি ই হয়ে যায়। তো লজ্জা পাওয়ার মতো কিছু নেই। বুঝেছো?

_হুমম।

ফর্ম ফিলাপ শেষে এক্সামের ডেট দিয়ে দেয়। মাঝে রয়েছে আর পাঁচ দিন। বেশ মনোযোগী হয়ে পড়তে হবে। ক্যাম্পাসের চার পাশে স্ট্রিট ফুড এর স্ট্রল রয়েছে।সেখান থেকে ভেলপুরি খায় রাদ আর ভোর। ফুচকা খাওয়া হলে ও ভেলপুরি খাওয়া হয় নি মেয়েটার। নাচোস কিনেছে মাত্র, তখনি ফোন টা টং করে বেজে উঠে। ফোনে ইফতিহারের নাম টা দেখেই আত্মায় পানি শেষ। অনেক টা লেট হয়ে গেছে। অলমোস্ট 11 টা। তাছাড়া ইফতিহারের সাথে ম্যাথ প্রফেসার এর বেশ ভালো সম্পর্ক ই বটে। ওনাকে তো ভোর এর বিষয় টা আড়াল করার কথা বলা ও হয় নি।

আজ আর রক্ষা নেই। মাথায় হাত দেয় রাদ। আনমনেই বলে উঠে ‘ আজ তুই গেলি রাদ। তোর লুকিয়ে রাখা ভোর কে দু চোখ মেলে দেখবে সবাই। তোর রক্ষা নাই। সর্বশান্ত হয়ে রাস্তায় পরে থাকবি। ‘

নাচোস হাতে নিয়ে ছেলেটার মুখের দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে থাকে ভোর। ওহ বুঝতে পারে না রাদ কেন তিতা করলার মতো মুখ কুঁচকে আছে ?

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন। কতো বড় পার্ট দিয়েছি সবাই বেশি বেশি কমেন্ট করো।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here