চেরি ব্লসমের সাথে এক সন্ধ্যা পর্ব: ০৩

0
1562

#চেরি_ব্লসমের_সাথে_এক_সন্ধ্যা
#লেখা: ইফরাত মিলি
#পর্ব: ০৩
_____________

আকাশে হাজার তারার মেলা। মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। সেই সাথে ঝরছে কিছু চেরি ব্লসমের পাপড়ি। মিতুল একটা চেরি ব্লসম গাছের পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। রেশমী আন্টি ক্যালগারি থেকে বাড়ি ফেরেননি। কালকে ফিরবেন। মিতুলের ভাবনা তা নিয়ে নয়। ও ভাবছে এই ফ্যামিলির মানুষগুলোর কথা। ফ্যামিলির ভিতরে কেবল একজন মানুষকেই নিরহংকারী এবং ভালো মনে হয়েছে ওর কাছে। আর সেই মানুষটি হলো, সাদাত আঙ্কল। বাকি প্রতিটা মানুষের মাঝেই কিছু না কিছু সমস্যা আছেই। বেশি সমস্যা হলো দুই ভাইয়ের মাঝে। এক ভাই তো সকাল বেলা খুব দাপট দেখিয়ে চলে গিয়েছিল অফিস, মিটিংয়ের ছুতো দিয়ে। আরেকজন ভাই কী করলো? গাড়ির ভিতরে বসে যা অপমান করার তা তো করলোই, আবার ঘোরানোর নামেও অষ্টরম্ভা। শুধু রাস্তায় রাস্তায় গাড়ি ড্রাইভ করে গেছে, আর ওকে পাশের সিটে বসিয়ে রেখেছে। সবশেষে যখন বাড়ি ফিরবে তখন বোকার মতো জিজ্ঞেস করেছিল, ‘কোথায় যেতে চাও?’। আচ্ছা এই শহরে কি সে থাকে, না কি ও? তাহলে এটা কেমন ধরনের প্রশ্ন? যেকোনো একটা জায়গায় নিয়ে গেলেই তো হতো। আহাম্মক একটা!

এখানে আসা যে কী পরিমাণ ভুল ছিল সেটা এখন হারে হারে টের পাচ্ছে মিতুল। এই বাড়িতে ওঠা ছিল জীবনের সবথেকে বড়ো একটা ভুল। হোটেল রেখে কেন এই বাড়িতে থাকতে এসেছে? আব্বুর কথাই শোনা উচিত ছিল। আব্বু পই পই করে বলেছিল, ‘এখন কানাডা যাওয়ার কোনো দরকার নেই। বিয়ের পর বরের সাথে যাবে’।
এখানে আসার পর যে অপমান হতে হয়েছে, তা বোধহয় আব্বুর কথা না শোনার শাস্তি!

হাতের বাহুতে হঠাৎ কিছুর আঘাতে ব্যথায় হাত দিয়ে বাহু চেপে ধরলো মিতুল। আঘাতের উৎস খুঁজতে গিয়ে মাটিতে পড়ে থাকা ক্ষুদ্র এক টুকরো গোলাকার, মসৃণ পাথর দেখতে পেল। এখানে পাথর এলো কোত্থেকে? মিতুল এদিক-ওদিক পাথর নিক্ষেপের উৎস খুঁজতে লাগলে, জোহান দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে বললো,
“হেই, আই অ্যাম ইন হিয়‍্যার।”

মিতুল কণ্ঠস্বর অনুসর করে বারান্দায় তাকালো। জোহান হাত দিয়ে ইশারা করে বললো,
“এদিকে এসো।”

মিতুলের রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে এলো। পাথরটা জোহান ছুঁড়ে মেরেছে? আঘাত করে এখন আবার অর্ডারও দিচ্ছে! ওর কথা মতো কেন যাবে বারান্দায়? নিজের দাস মনে করছে?

মিতুলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জোহান হাঁক পেরে বললো,
“কী হলো দাঁড়িয়ে আছো কেন? হারি আপ।”

মিতুল যাবে না যাবে না করেও কী ভেবেই যেন আবার পা বাড়ালো।

জোহান বারান্দার আর্মচেয়ারে আরাম করে বসে আছে। হাতে কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোতল। মাঝে মাঝে সিপ দিচ্ছে বোতলে। মিতুলের মুখ বারান্দায় সদৃশ্যমান হতেই জোহান বললো,
“তোমরা বাংলাদেশের মেয়েরা এত স্লো কেন? নিচ থেকে এখানে আসতে এত সময় লাগে?”

“কেন ডেকেছো আমায়?”

জোহান প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ওর পাশের আর্মচেয়ার দেখিয়ে বললো,
“সিট হিয়্যার।”

মিতুল চুপচাপ বসলো।

জোহান বোতলে সীপ দিয়ে বললো,
“ওখানে ভূতের মতো দাঁড়িয়ে ছিলে কেন?”

“ভূতের মতো মানে?”

“তা নয়তো কী? মনে হচ্ছিল একটা পিচ্চি মেয়ে ভূত দাঁড়িয়ে আছে গাছের নিচে। আচ্ছা, তুমি এত খাটো কেন?”

“আমি আল্লাহর সৃষ্টি। তিনি আমায় খাটো বানাবেন কী লম্বা বানাবেন সেটা একান্ত তার মর্জি। এখানে মানবজাতির এত মাথাব্যথা না থাকলেও চলবে।” ফটাফট কথার জবাব দিলো মিতুল।

জোহান কিছু বললো না। শুধু নীরবে চুমুক দিলো বোতলে। কয়েক চুমুকে বোতল প্রায় খালি হয়ে এলো। জোহান হঠাৎ শূণ্য প্রায় বোতলটা মিতুলের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,
“তুমি কি এটা পান করতে চাও?”

মিতুল একবার বোতল, আরেক বার জোহানকে দেখছে। একটা এঁটো খাওয়া জিনিস, যা কি না আবার তলানিতে পড়ে আছে, সেটা খাওয়ার জন্য অফার করছে ওকে? এটাও কি তাদের অপমান করার একটা টেকনিক? টেকনিক কি না জানে না, তবে মিতুল অপমানিত বোধ করছে।

“কী হলো? চাও না এটা?”

“আমি কারো খাওয়া জিনিস খাই না।”

জোহান শব্দ করে হেসে ফেললো।
“কারো খাওয়া জিনিস খাও না? পৃথিবীর সব খাবারই তো মানুষের খাওয়া। তাহলে তুমি কি খাবার না খেয়ে থাকো?”

মিতুলের জবাব দিতে মনে চাইলো না। জবাব দিতে গেলে চরম ঝগড়া বাঁধতে পারে এখানে।

এক চুমুকে বোতলে থাকা তরল বস্তুটুকু শেষ করে উঠে দাঁড়ালো জোহান। চলেই যাচ্ছিল, কিন্তু আবার কী ভেবে যেন থামলো খানিক দূরে গিয়ে। পিছন ফিরে মিতুলকে ডাকলো,
“হেই!”

মিতুল তাকাতেই, ‘ক্যাচ ইট’ বলে হাতের খালি বোতলটা মিতুলের দিকে ছুঁড়ে মারলো।
মিতুল দুই হাতে ক্যাচ ধরলো। যদি না ধরতো তাহলে বোতলটা সোজা ওর মুখ বরাবর এসে লাগতো।
জোহান বললো,
“আমার মনে হয় তোমার ওই বোতলটা খাওয়া উচিত। ওটা খাওয়ার রেকর্ড এখন পর্যন্ত গড়েনি। ওটা কেউ খায় না। ওটাই তোমার জন্য উপযুক্ত খাবার।”

মিতুল অবাক হয়ে বড়ো বড়ো চোখে দেখলো জোহানকে।
জোহান আর দাঁড়ালো না, চলে গেল।
মিতুল অগাধ বিস্ময়ে হাতের বোতলটা দেখলো। হে আল্লাহ! এ কোন অপমানের রাজ্যে এসে পড়েছে? এখানে কেউ তো ওকে মানুষ বলেই ভাবছে না। মিতুল বোতলটা খুব জোরে ফ্লোরে পতিত করলো। কাচের বোতলটা ভেঙ্গে গিয়ে তিন টুকরো হলো।
অপমানে জর্জরিত হয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করলো মিতুল।
প্যাসেজ ওয়ে ধরে হেঁটে নিজের রুমের দিকে আসছে। এখানে আর থাকা সম্ভব নয়। পদে পদে অপমানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এত অপমান সহ্য করে একটা মানুষ থাকে কী করে? মিতুলের শরীর রাগে কাঁপছে, সেই সাথে কান্না পাচ্ছে। এই কানাডার মাটিতে কি অপমান কুঁড়াতে এসেছে? কেন এত অপমান এখানে? রুমের দরজার কাছে আসতেই শুনতে পেল রুমে মোবাইল বাজছে।
মিতুল দ্রুত রুমে ঢুকে মোবাইল রিসিভ করলো। ওপাশের কলারকে মিষ্টি কণ্ঠে বললো,
“হাই মা।”

“এই পাঁচ বার কল দিলাম তোমায় আমি। এতক্ষণ কোথায় ছিলে?”

“আমি? আমি তো বারান্দায় ছিলাম। মোবাইল সাথে নিতে ভুলে গিয়েছিলাম। স্যরি আমি।”

“হয়েছে স্যরি বলতে হবে না। তোমার রেশমী আন্টির কাছে ফোন দিয়ে শুনলাম সে ক্যালগারিতে আছে। তাই তোমাকে নিয়ে চিন্তা হচ্ছিল আমার। কারো সাথে মিস বিহেভ করোনি তো আবার?”

‘তোমাকে নিয়ে চিন্তা হচ্ছিল আমার’ বাক্যটা শুনে মিতুল মনে মনে ভীষণ খুশি হয়েছিল। কিন্তু শেষের বাক্যটা ওর খুশি আর ধরে রাখতে পারলো না। মা আসলে ওকে নিয়ে চিন্তিত ছিল না। কারো সাথে মিস বিহেভ করেছে কি না সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিল। মিতুলের সত্যি সত্যি কান্না পাচ্ছে এখন। কেন ওকে ঘিরে চারদিকে এত নির্মমতা?

_______________

মিতুলের যখন ঘুম ভাঙলো তখন এডমন্টনে কেবল ভোর হয়েছে। ভোরের দিকটায় শীতল অনুভব হচ্ছে। মনে হয় যেন শীতকাল চলছে। কিন্তু রোদ উঠে গেলেই দেখা যাবে আসলে শীতকাল নয়, বসন্ত চলছে। গাছে গাছে ফুঁটে থাকা রঙিন ফুলই তার প্রমাণ।
মিতুল ফ্রেশ হয়ে নিচে নামলো। বাড়িটা অদ্ভুত রকমের নীরব এখন। নীরবতার জাল চিরে কিচেন থেকে টুংটাং শব্দ ভেসে আসছে শুধু। ক্যামিলা ব্রেকফাস্ট তৈরিতে ব্যস্ত বোধহয়।
মিতুল দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এলো। ম্যাপল গাছের পিছন থেকে সূর্যটা উঁকি দিচ্ছে। বাতাসের চলাচল স্বাভাবিক। ঝোপের মাঝে ফোঁটা হলুদ ফুলগুলো মিষ্টি সুবাস ছড়াচ্ছে। মিতুল নিঃশ্বাসের সাথে ফুলের সুবাস টেনে নিলো কিছুটা।
সাদাত আঙ্কলকে ছোট্ট গেটটি অতিক্রম করতে দেখা গেল। জগিং করতে করতে এগিয়ে আসছেন উনি। বোধহয় জগিংয়েই বের হয়েছিলেন সকাল সকাল। সাদাত আঙ্কল কাছাকাছি আসলে মিতুলকে ‘গুড মর্নিং’ জানালো। মিতুলও গুড মর্নিং জানালো।
সাদাত আঙ্কল পায়ে মৃদু দৌঁড় অব্যহত রেখেই পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন।
এর একটু সময় পর দেখা গেল জোহানকে। সাদাত আঙ্কলের মতো জগিং করতে করতে এগিয়ে আসছে। পরনে ট্রাউজার এবং টি শার্ট। মিতুল জোহানকে এক নজর দেখে আর তাকালো না ওর দিকে। মাথা নিচু করে ঘাসের দিকে তাকিয়ে রইল।
জোহান মিতুলকে দেখে এক ঝলক হাসলো। নিচু করে রাখা মুখে রাগের ছাপ স্পষ্ট মিতুলের। নাকের ছিদ্র দুটো স্বাভাবিক থেকে কিছুটা বড়ো আকার ধারণ করেছে ওর। জোহান মনে মনে বললো,
“নাক ফুলো মেয়ে তুলতুল!”

জোহান মিতুলের পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার সময় ইচ্ছাকৃত ভাবে মিতুলকে ধাক্কা দিলো। হঠাৎ করে এমন হওয়ায় মিতুল কিছু বুঝে ওঠার আগেই পড়ে গেল মাটিতে।
মিতুলকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েও জোহান একবার পিছন ফিরে দেখলো না। কোনো ভ্রুক্ষেপ ছাড়াই সোজা চলে গেল ঘরে।
মিতুল কোথাও ব্যথা পেল না। কিন্তু জোহানের আচরণ ওর মস্তিষ্কে যন্ত্রণা ধরিয়ে দিলো। কোন সাহসে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো ওকে? ওকে কি মানুষ মনে হয়নি? একটা মশা ভেবে তোয়াক্কা না করে চলে গেছে এভাবে? মিতুলের মুখ রক্তিম হয়ে উঠছে রাগে। মনে মনে খুব বাজে ভাবে গালি দিলো জোহানকে। তারপর উঠে দাঁড়ানোর জন্য উদ্ধুদ্ধ হলে, ওর দিকে বাড়িয়ে দেওয়া একটা হাত চোখে পড়লো। হাতটা অনুসরণ করে মানুষটিকে দেখে অবাক হলো মিতুল। জায়িন!
জায়িন ওর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সেটা বিশ্বাস হচ্ছে না ওর। এই দুই ভাইকে কিছুতেই বিশ্বাস হয় না ওর। এরা ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়। ভালো মানুষের মুখোশ পরে থাকে। আসলে পিছনে অহংকারী শয়তান! মিতুলের মোটেও জায়িনের হাত ধরে উঠে দাঁড়াতে ইচ্ছা হলো না। কিন্তু হাত ধরে উঠে না দাঁড়ালে সেটা অভদ্রতা হবে।
মিতুল জায়িনের হাত ধরেই উঠে দাঁড়ালো। সৌজন্যস্বরূপ ধন্যবাদ জানালো জায়িনকে।
জায়িন প্রতি উত্তরে কিছু না বলে ঘরে চলে গেল।

“হেই তুলতুল!” দূর থেকে জোহানের কণ্ঠস্বর ভেসে আসে কানে।
মিতুল তীব্র আক্রোশের সাথে তাকালো জোহানের দিকে। জোহান দোতলার বারান্দায় রেলিং ঘেঁষে দাঁড়ানো। মিতুলকে দেখে হাসছে।

“তোমরা বাংলাদেশি মেয়েরা তো দেখছি হালকা বাতাসে আকাশে উড়ো। একটু ধাক্কাতে কেউ এইভাবে পড়ে যায়?” জোহানের হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার মতো অবস্থা।

মিতুলের কান থেকে উত্তাপ বের হচ্ছে রাগে। কথায় কথায় বাংলাদেশি মেয়ে বলে হেয় করে কথা বলা যেন জোহানের নেশা হয়ে গেছে। কীসে এই নেশা ছাড়বে ওর? দুই গালে কয়েকটা থাপ্পড় পড়লেই এই নেশা বাপ বাপ করে কেটে যাবে। মিতুল পারলে এখনই জোহানের গাল থাপড়ে লাল করে দেয়। কিন্তু সেটা বোধহয় এই ইহজনমে পারবে না!
মিতুল অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে কটমট করে বললো,
“তোকে আমি পুকুরে চুবিয়ে মারবো বদমাইশ!”

“হোয়াট?” জোহান মিতুলের কথা স্পষ্ট ভাবে শুনতে পেল না।
“হোয়াট ডিড ইউ সে? ডিড ইউ স্পিক বেঙ্গলি এ্যাগেন?”

মিতুল রক্তচক্ষুতে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। তারপর হনহন করে ঘরে ঢুকে সোজা নিজের রুমে চলে আসে।

_______________

মিতুল ঠিক করেছে আজকে একা একাই বাইরে বের হবে। ও তো আর ছোট বাচ্চা নয় যে বাইরে বের হলে হারিয়ে যাবে। তাছাড়া একা বের হলে যে আনন্দটুকু উপভোগ করা যায়, সেটা অন্য কারো সাথে বের হলে পাওয়া যায় না। হ্যাঁ, ও একাই বের হবে। এটা কালকেও ভাবা উচিত ছিল। কেন একজন লোক নিয়ে বাইরে বের হতে হবে? তাও আবার এই অহংকারী ফ্যামিলির!

ঠক ঠক করে দরজা নক করার শব্দ হলো। দরজা নক করছে কে? ক্যামিলা? মিতুল জানালার কাছের টুল ছেড়ে দরজা খুললো। দরজা খানিক খুলতেই জোহানের মুখ দেখা গেল।
মিতুল খোলা দরজাটা আবার বন্ধ করার জন্য উদ্যত হলো, কিন্তু পারল না। জোহান হাত দিয়ে টেনে ধরলো দরজাটা। জোহানের প্রতি রাগ যাও একটু কমে এসেছিল, তাও আবার বেড়ে গেল।
জোহানের কণ্ঠে থাকা তার সবসময়ের বিরক্ত সুরে বললো,
“শোনো, বেশি স্মার্ট সাজার চেষ্টা করো না। আগেই বলেছি তোমরা বাংলাদেশি মেয়েরা হলে আনস্মার্ট। যা একটু স্মার্ট সাজার চেষ্টা করো, ওগুলো সব উপরে উপরে। ওগুলো কোনো কাজের নয়। দশ মিনিট…না পাঁচ মিনিট। পাঁচ মিনিট সময় দিচ্ছি তোমায়। এর মধ্যেই গ্যারেজে উপস্থিত থাকবে। নয়তো রুমে এসে তুলে নিয়ে যাব তোমায়। আর আমার যদি এখানে দ্বিতীয় বার আসার প্রয়োজন পড়েই, তাহলে কিন্তু শুধু তুলে নিয়ে যাব না, মেরে হাড্ডিও ভেঙে দেবো। সো বি কেয়ারফুল। অ্যান্ড বি এ গুড গার্ল, ও কে?”

জোহান নিজের হাসি মুখখানা দেখালো একবার।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here