#জীবন_সাথী💜
লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা
১০.
~
ভার্সিটির কেন্টিনে বসে আছে অনু তিহা আর রুমি।এই মুহূর্তে তিহা, অনু আর রুমির উপর প্রচুর বিরক্ত;কারণ অনু রুমিকে কালকের কথা গুলো বলছে যে তিহা যে রিহানকে ভালোবাসে ।রুমি গালে হাত দিয়ে বড় বড় চোখ করে অনুর কথা গুলো গলাধকরণ করছে।আর অনুও অনর্গল বলে যাচ্ছে।কাল কে তিহা ওকে যেটুকু বলেছে অনু শুধু সেইটুকু বলছে না বরং তিহার বলা কথার সাথে আরো মসলা লাগিয়ে তারপর সেটা রুমিকে বলছে।তাই তিহা বেশ বিরক্ত নিয়ে তাদেরকে দেখছে।এই মুহূর্তে তার ইচ্ছে করছে এই দুটোকেই পচা ডিমের সুপ খাওয়াতে।বেশ কিছুক্ষন অনুর বকরবকর শুনার পর তিহা উঠে দাঁড়িয়ে বলে দু হাত দেখিয়ে বলে,
”ব্যাস!অনেক হয়েছে;তুই অনেক বলেছিস অনু।এবার দয়া করে থাম।আর রুমি তোকে বলি এমন ভাবে ওর কথা গুলো শুনছিস যেন ও তোর মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শুনাচ্ছি।যতসব গবেট মার্কা কথাবার্তা।হে আমি রিহানকে ভালোবাসি তার মানে এই না যে এখন এই কথা নিয়ে তোরা এক এক জন হাপিত্যেশ করে মারা যাবি।আমিতো..”
কথাটা শেষ করার আগেই তিহা সামনের দিকে তাকিয়ে থমকে যায় ।হঠাৎ তিহা চুপ হয়ে যাওয়ায় অনু আর রুমি তিহার দৃষ্টি অনুসরণ করে পেছনে তাকিয়ে দেখে তাদের পেছনে কেন্টিনের দরজার সামনে দুপকেটে হাত রেখে রিহান দাঁড়িয়ে আছে।রিহানকে দেখে তারা তিন জনই অবাক হয়।হাত পায়ের ব্যান্ডেজ না থাকলেও মাথায় এখনো ব্যান্ডেজ করা তার।এই অবস্থায় সে ভার্সিটিতে কেন এলো!রিহানের দেখে অনু বিরক্ত হলেও তিহা ভীত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।মনে মনে ভাবছে তার বলা কথাগুলো রিহান শুনে ফেলেনিতো!বেশ কিছুক্ষন দরজার সামনে ওভাবেই দাঁড়িয়ে থেকে রিহান তাদের সামনে আসে তারপর তিহার দিকে একবার তাকিয়ে তার পাশের চেয়ারটা টেনে বসে পড়ে।তিহা খুব অবাক হয়।অনুর পাশে জায়গা রেখেও রিহান তার পাশে বসেছে ব্যাপারটা এই মুহূর্তে তিহাকে বেশ আনন্দ দিচ্ছে।কিন্তু তার এই আনন্দটা বেশিক্ষণ টিকতে না দিয়ে রিহান অনুকে বলে উঠে ,
”কি খবর সুইটহার্ট?”
অনু ব্রু কুঁচকে বলে ,
”তুই এই অবস্থায় ভার্সিটিতে এলি কেন?”
রিহান দুহাত পেছনে নিয়ে চেয়ারের সাথে হেলান দিয়ে বলে ,
”তোকে খুব মিস করছিলাম তাই দেখতে চলে এলাম।”
রিহানের কথা শুনে অনু বিরক্ত হলেও তিহা কষ্ট পেয়েছে।নিজের কষ্টটা কাউকে বুঝতে না দিয়ে তিহা বলে উঠে,
”তোরা বসে কথা বল আমি একটু আসছি ।”
কথাটা বলেই তিহা যেতে নিলেই রিহান তার হাত ধরে ফেলে তারপর ব্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে ,
”কোথায় যাচ্ছিস?”
রিহানের ছোয়ায় তিহা চমকে উঠে।এই প্রথম তাকে কোনো পুরুষ ছুঁয়েছে।তাও আবার সেই মানুষটা যাকে সে ভীষণ ভালোবাসে।তিহাকে চুপ থাকতে দেখে রিহান অনুর দিকে তাকিয়ে বিরক্ত স্বরে বলে,
”তোর এই বান্ধুবীটাকে নিয়ে না তার জামাই দেখবি ব্যাপক সমস্যায় পড়বে।একে তো দেখছি একটা প্রশ্ন করলে ১ ঘন্টা লাগে উত্তর দিতে;”
তারপর তিহার দিকে তাকিয়ে বলে ,
”কিরে এইভাবে হ্যাবলাকান্তের মতো তাকিয়ে আছিস কেন?কিছু বল কোথায় যাচ্ছিলি?”
..
রিহানের কথায় তিহা এবার লজ্জা পেয়ে যায়।সে রিহানের থেকে নিজের হাতটা ছাড়িয়ে আমতা আমতা করে বলে ,
”না মানে লাইব্রেরিতে যাচ্ছিলাম ।”
তিহার কথা রিহান ব্রু কুঁচকায় তারপর বাঁকা হাসি দিয়ে বলে
”এত পড়াশুনা করে কি করবি!বিদ্যাসাগরের বউ হওয়ার ইচ্ছে আছে নাকি?”
.
রিহানের কথায় রুমি দাঁত কেলিয়ে হেসে দিয়ে মুখ ফসকে বলে ফেলে,
”না তবে ওর তোর বউ হওয়ার শখ আছে।”
.
কথাটা বলার সঙ্গে সঙ্গে তিহা আর অনু রুমির দিকে চোখ গরম করে তাকায়।তাদের তাকানোর ধরণ দেখে রুমি ছোট্টো একটা ঢোক গিলে বলে,
”না মানে তিহা ভালোভাবে পড়াশুনা করছে যেন অন্তত তোর মতো জামাই ওর ভাগ্যে না জুটে।”
রুমির কথা শুনে রিহান দাঁতে দাঁত চেপে বলে ,
”কেনো রে আমি কি জামাই হিসেবে খুব খারাপ নাকি?”
রিহানের কথা শুনে অনু হেসে বলে ,
”হুম প্রচন্ড খারাপ।”
রিহান মুখ ঘুরিয়ে বলে ,
”আমার মতো পোলারে জামাই হিসেবে পেতে গেলে ভাগ্য লাগে ভাগ্য যা তোমাগো মতো মাইয়াগোর নায়।আমার বউরে তো আমি রাজরানী বানাই রাখমু।”
.
রিহানের কথায় তিহা মুচকি হাসে।তার এই হাসি আর কারো চোখে না পড়লেও অনুর চোখে ঠিকি পড়েছে।অনু ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে রিহানকে বলে ,
”এই রিহান তুই আজকে বিকেলে ফ্রি আছিস?আমার তোর সাথে কিছু জরুরি কথা আছে।”
রিহান মৃদু হেসে বলে ,
”তোর জন্য এই রিহান অলওয়েজ ফ্রি।”
.
অনুও মুচকি হাসলো।তবে অনুর কথায় তিহা তারদিকে ভীত দৃষ্টিতে তাকায়।অনু রিহানকে কি এমন কথা বলতে চাইছে আবার বলে দিবে না তো যে সে রিহাকে ভালোবাসে?
.
তখন দরজার সামনে দাড়িয়ে তিহার কোনো কথায় রিহান শুনেনি।শুনলে নিশ্চই এতো স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতো না কোনো না কোনো রিয়াক্ট করতোই।
.
অনু তিহার দিকে তাকিয়ে দেখে সে চিন্তিত মুখে তার দিকে তাকিয়ে আছে।অনু সেটা দেখে মুচকি হেসে হালকা করে চোখের পলক ফেলে তাকে শান্ত হতে বলে।অনুর ইশারায় তিহাও কিছুটা আশস্থ পায়।
.
বেশ কিছুক্ষন কেন্টিনে বসে আড্ডা দিয়ে তারা তাদের ক্লাসে চলে যায়।তবে আজ অনু একটা জিনিস খেয়াল করেছে যে আরাফ আজ ভার্সিটিতে আসেনি।তাদের প্রথম ক্লাসটা আজ অন্য টিচার নিয়েছে।এই এক বছরে এই প্রথম সে আরাফকে ভার্সিটিতে দেখছে না;নয়তো আরাফ আজ অবধি কখনো ভার্সিটিতে আসা মিস দেয়নি।অনু মনে মনে ভাবছে আজ কি হলো স্যারের?কেন এলেন না তিনি?কাল ও উনার আচরণ খুব অদ্ভুত লেগেছে অনুর কাছে।হুট করে অণুদের বাসায় এসে তার বাবার খুঁজ নেয়া আবার হুট করে কিছু না বলে সেখান থেকে চলে যাওয়া।সব কিছু মিলিয়ে অনুর কাছে কেন যেন সব কিছু ঘোলাটে লাগছে।তার এই ছোট্ট মাথা দিয়ে আরাফের এই কর্মকান্ডের সমীকরণ সে কোনোভাবেই মিলাতে পারছে না।তাই সে বিরক্ত হয়ে এসব নিয়ে আর না ভেবে তার ক্লাসে মনোযোগ দেয়।
.
আনোয়ার সাহেবের অফিস রুমে তন্ন তন্ন করে কিছু খুঁজে যাচ্ছে আরাফ।কিন্তু কিছুই পাচ্ছে না।আরাফ এমন কিছু খুঁজছে যাতে করে সে কিছু একটা ক্লু পেতে পারে যে তার বাবা কি করছে কি লুকাচ্ছে তার কাছ থাকে।কিন্তু আধ ঘন্টা যাবৎ খুঁজাখুঁজির পরও আরাফ কিছু না পেয়ে ক্লান্ত হয়ে সোফায় বসে পরে।হাত দুটো মুষ্ঠিবদ্ধ করে তাতে মাথা ঠেকিয়ে আরাফ ভাবতে থাকে কিভাবে এই রহস্যের উন্মোচন করবে সে।কি করে বুঝবে তার বাবার এইসব কিছু করার পেছনে আসল উদ্দেশ্য।এইসব কিছু ভাবতে ভাবতে মাথা উঠতেই আরাফের চোখ যায় সামনে থাকা টেবিলটার নিচের দিকে।সে দেখে টেবিলটার নিচে মোটা করে প্রলেপ দিয়ে সেখানে আলাদা কাঠের আস্তর লাগানো।এটা দেখে সে ব্রু কুঁচকে গভীর দৃষ্টিতে সেটার দিকে তাকায়;তারপর আস্তে করে টেবিলের নিচে ঝুকে বসে সে।আস্তরনের জায়গাটাতে হাত দিয়ে হালকা আঘাত করতেই আরাফের মনে হলো এর ভেতরে কিছু আছে।তাই সে আসে পাশে মাথা ঘুরিয়ে দেখার চেষ্টা করছে যে এটা খুলার কোনো ব্যাবস্থা আছে কিনা।কিন্তু কোনোদিক দিয়ে কোনো খুলার মুখ না পেয়ে আরাফ সজোরে সেটাতে ঘুষি মারে তাতে করে সেই আস্তরনের উপরের অংশটা খুলে পড়ে যায়।এবার আরাফ আরেকটা ঘুষি দিতেই পুরো আস্তরনটাই ভেঙ্গে পড়ে যায় আর তার সাথে সাথে ভেতর থেকে একটা ফাইল আর পেনড্রাইভ আরাফের সামনে এসে পড়ে।আরাফ বেশ অবাক হয়ে ভাবে এর ভেতরে বাবা কিসের ফাইল আর পেনড্রাইভ রেখেছে।আরাফ ফাইলটা আর পেনড্রাইভটা নিয়ে টেবিলের নিচ থেকে বের হয়ে এসে সোফায় বসে।তারপর ফাইলটা খুলতেই সে চমকে উঠে।এইটাই তো তার সেই হারানো ফাইল যেখানে তার রাত দিন খেটে তৈরী করা প্রজেক্ট গুলার প্লেনিং রাখা।হাতের পেনড্রাইভটা দেখেও সে চিনতে পারে এটা তারই পেনড্রাইভ।এই গুলোই তো এতো দিন তন্ন তন্ন করে খুজেছিলো সে।এই গুলোর জন্যই তো সে তার বাবার কথা শুনে এক বছর যাবৎ তার পি.এ কে আটকে রেখেছিল।কিন্তু এইসব কিছু তার বাবার কাছে কেন!তাহলে কি বাবাই এগুলো সরিয়ে নাম দিয়েছিলো পি.এর?কিন্তু কেন!বাবা তো খুব ভালো করেই জানতো যে এই ফাইল আর প্রেজেন্টেশন গুলো বানাতে আরাফ কি পরিমান কষ্ট করেছে তারপরও কেন তিনি এমন করলেন।কেন এই গুলো তার কাছে রেখে উনি তাকে মিথ্যা বলেছেন।আজ তাকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে অনেক হয়েছে এই লুকোচুরি খেলা আজ সবকিছু মুখোমুখি হবে।কথাগুলো ভেবেই সে তার বাবাকে কল দেয়।
”হুম বলো আরাফ।”
”কোথায় তুমি বাবা?”
আরাফের কথায় আনোয়ার সাহেব ব্রু কুঁচকে বলে ,
”অযোক্তিক প্রশ্ন করো না আরাফ।তুমি জানো না আমি এইসময় কোথায় থাকি!”
”হুম বাবা জানি তুমি এখন ভার্সিটিতে আছো।আমার তোমার সাথে কিছু কথা ছিল।তুমি কি এখন ফ্রি আছো?”
”ঠিক আছে তুমি ভার্সিটিতে চলে এসো”
”না বাবা আমি ভার্সিটিতে কথা বলে চাইছি না।তুমি কি কফিয়ান কফি শপটায় আসতে পারবে আমি সেখানেই তোমার সাথে কথা বলবো।”
আরাফের বাবা কিছু একটা ভেবে বলে
”ঠিক আছে।তবে বিকেলে ভার্সিটির পরই আমি সেখানে যাবো ।”
”ঠিক আছে।”
.
কথাটা বলেই সে কলটা কেটে দিয়ে মনে মনে বলে;’অনেক হয়েছে বাবা;আজ তোমাকে সব সত্যি কথা আমাকে বলতেই হবে’
.
বিকেলের দিকে কফিয়ান কফি শপটাই বসে অপেক্ষা করছে আরাফ।একবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে তো একবার দরজার দিকে তাকিয়ে দেখছে তার বাবা আসছে কিনা।কিন্তু কিছুক্ষন বাদে দরজা ঠেলে দুজন মানুষ কফি শপটার ভেতরে আসে।যাদের দেখে আরাফের মাথায় ধপ করে আগুন জ্বলে উঠলো;আরাফ অগ্নি দৃষ্টিতে সামনে থাকা মানুষ গুলোকে দেখে যাচ্ছে;আর মনে মনে ভাবছে এই রিহানের বাচ্চার এখনো শিক্ষা হয়নি সে আবার তার প্রাণপাখির দিকে হাত বাড়িয়েছে।কিন্তু এই মুহূর্তে সে নিজেকে শান্ত করে নিচ্ছে সে চাই না অন্য দিকে তার মনোযোগটা যাক।যে জন্যে সে এখানে এসেছে আগে তাকে সেই কাজটা সম্পন্ন করতে হবে তারপর ওদের দুজনকে দেখে নিবে।
.
রিহান আর অনু আরাফকে কফি শপে দেখতে পায়নি।তারা তাদের মতো করে একটা টেবিলের দুপাশের চেয়ারে দুজন বসে পড়ে।আরাফও এখন আর ওদের দিকে মনোযোগ না দিয়ে তার বাবার জন্য অপেক্ষা করছে।কিছুক্ষন বাদে আরাফের বাবাও কফি শপে এসে আরাফের মুখোমুখি চেয়ারটায় বসে।তারপর একবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আরাফকে বলে,
”তো কি কথা বলতে চাও বলো?”
আরাফ কিছুক্ষন তার বাবার দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে তার হাতে থাকা ফাইল আর পেনড্রাইভটা তার বাবার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে ,
”এগুলো তোমার কাছে কি করছে বাবা?”
আরাফের বাবা ফাইল আর পেনড্রাইভটার দিকে তাকিয়ে ব্রু কুঁচকে বললেন ,
”কি এগুলো?”(এমন একটা ভাব যেন তিনি এগুলো প্রথম দেখছেন )
আরাফ শান্ত গলায় বলে ,
”এই গুলো আমার সেই ফাইল আর পেনড্রাইভ যা আমি এক বছর যাবৎ খুঁজে যাচ্ছি।আর যার জন্য আমি একজন নিরপরাধ মানুষকে দিনরাত কষ্ট দিয়েছে।”
আরাফের বাবা এবার ঘাবড়ে যায়।তিনি তার গলার টাইটাকে হালকা লুস করে নিজেকে শান্ত করে বলে ,
”এগুলো তুমি কোথায় পেয়েছো ?”
”তোমার টেবিলের নিচ থেকে।তোমার টেবিলের নিচে একটা আস্তরণের ভেতর এগুলো ছিল।”
আরাফের বাবা জিভ দিয়ে তার ঠোঁট ভিজিয়ে বলে ,
”এ এ গুগুলো আমার টেবিলের নিচে কি করে এলো ?”
আরাফ এবার চেয়ারের সাথে হেলান দিয়ে শান্ত দৃষ্টিতে তার বাবার দিকে তাকিয়ে বললো ,
”আমিও তো সেটাই বলছি।কি করে এলো তোমার কাছে এই জিনিগুলি?তুমি না বলেছিলে এগুলো অন্য কেউ সরিয়েছে আর সেই লোকটাকে এক বছর যাবৎ আমার কাছে আটকেও রেখেছিলে।কিন্তু আমি তো আজ তোমার টেবিলে নিচ হেকে এগুলো পেলাম!এখন তুমি কি বলবে বাবা?”
.
আরাফের কথায় আনোয়ার সাহেব ভয় পেয়ে যায়।তিনি ভাবতে থাকেন এবার কি তার আসল রূপ দেখে ফেলবে আরাফ!জেনে যাবে সব সত্যিটা।কি করে এবার সে আরাফকে বুঝাবে।আরাফ যে এখন আর তার কোনো কথায় বিলিভ করবে না তা বেশ বুঝতে পারছেন তিনি।এবার বুঝি তাকে সব সত্যি আরাফকে বলতেই হবে ।আর সব কিছু শুনার পর যদি আরাফ তার কোনো কাজে বাধা দেয় তবে তাকেও শেষ করে দিবেন তিনি।কথাগুলো ভেবে মনে মনে হাসলেন আনোয়ার সাহেব।
.
চলবে..
(আল্লাহকে ভয় করো.পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়)
{পরের পর্বে সমস্ত রহস্য ক্লিয়ার হয়ে যাবে।}