#জীবন_সাথী💜
লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা
১২.
~
রেস্টুরেন্টে রিহানের সাথে কথা বলে বাড়ি ফিরছিলো অনু।রিহানকে আজকে সে তিহার ভালোবাসার কথা বলে দিয়েছে।কিন্তু রিহান এই ব্যাপার নিয়ে কিছুই বলেনি তার শুধু একটাই কথা সে অনুকে ভালোবাসে।অনুকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসা তার পক্ষে সম্ভব না।অনুও তাই রাগ দেখিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে।এখন বাড়ির পথে হাটছে আর ভাবছে যে করেই হোক রিহানের মনে তিহার প্রতি ভালোবাসার সৃষ্টি করতেই হবে।
.
আরাফের রহস্যময় হাসি দেখে আনোয়ারের বুঝতে আর বাকি থাকে না যে আগুনটা আরাফই লাগিয়েছে।তিনি আরাফের কলার চেপে শক্ত গলায় বলে,
”এটা কি করেছো তুমি?তুমি আমাকে মিথ্যে বলে নিচে গিয়ে বিল্ডিংয়ে আগুন লাগিয়ে এসেছো!এত সাহস তোমার!তুমি কি ভেবেছো এসব করে তুমি আমার হাত থেকে বেঁচে যাবে।কখনোই না আমি এক্ষনি তোমাকে মারবো।”
আরাফ বাঁকা হেসে বলে ,
”চিন্তা করো না বাবা;ও সরি আপনি তো আমার বাবা না।মি. আনোয়ার মোহাম্মদ চিন্তা করবেন না আর কিছুক্ষনের মধ্যে আমরা সবাই পুড়ে ছাই হয়ে যাবো।আপনার আর কষ্ট করে আমাদের মারতে হবে না।”
.
আরাফের কথা শুনে আনোয়ার সাহেবের মাথায় আগুন জ্বলে উঠে।উনি আরাফকে কিছু বলতে যাবেন তার আগেই পেছন থেকে উনার একজন লোক বলে উঠে ,
”স্যার ১ তলাটা আগুনে পুরোপুরি গ্রাস হয়ে গিয়েছে।এখন আমরা বের হবো কি করে আর এই আগুন এখন উপরের দিকে বাড়ছে।যে করে হোক এখান থেকে আমাদের বেরুতে হবে নয়তো আমরা সবাই পুড়ে ছাই হয়ে যাবো।আপনি কিছু একটা করুন স্যার।”
.
লোকটার কথা শুনে আনোয়ার সাহেব ঘাবড়ে যান।তিনি মনে মনে ভাবেন এখান থেকে আগে বের হতে হবে।তারপর ওদের নিয়ে ভাববে।কথাটা ভেবে উনি উনার ফোনটা বের করে ফায়ার সার্ভিসকে কল লাগানোর জন্য।কিন্তু আরাফ ফোনটা ছো মেরে নিয়ে মাটিতে আছাড় মারে।যার ফলে ফোনটা ভেঙে যায়।আরাফের এহেন কাজে আনোয়ার রাগে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
”এটা কি করলে তুমি?আমার ফোন কেন ভাঙলে আমি ফায়ার সার্ভিসকে কল দিতাম এই আগুন এসে নিভানোর জন্য ।”
আনোয়ারের কথা শুনে পেছন থেকে তার একজন লোক বলে,
”স্যার চিন্তা করবেন না আমি কল দিয়ে দিয়েছি।কিন্তু সমস্যা তো অন্য জায়গায় যেভাবে আগুন ছড়াচ্ছে তাতে করে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসার আগেই না আমরা আগুনে পুড়ে ভস্ম হয়ে যায়।”
আনোয়ার এবার চিন্তিত মুখে বলে ,
”চলো আমাদের নিজেদেরই এখান থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজতে হবে।”
.
কথাটা বলে আনোয়ার সাহেব তার সাঙ্গু পাঙ্গুদের নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যান।যাওয়ার আগে আরাফের দিকে তাকিয়ে বলে যান’এটা তুমি ঠিক করোনি আরাফ।একদমই ঠিক করোনি।’তার কথার বিনিময়ে আরাফ সেই রহস্যময়ী হাসিটা দেয়।
.
আনোয়ার তার লোকদের নিয়ে বেরিয়ে যেতেই আরাফ দ্রুত তার পি.এর কাছে গিয়ে তার হাত পায়ের বাঁধন খুলে দেয়।পি.এ আরাফকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।আরাফ তাকে সান্তনা দিয়ে বলে ,
”এখন কাঁদার সময় না পি.এ।আগে তোমাকে এখন থেকে বেরুতে হবে।চলো আমার সাথে।”
পারভেজ সাহেব আরাফের কথা শুনে ভয়ে ভয়ে বলে,
”তুই আগুন কেন লাগিয়েছিস আরাফ।এখন তো আমরা সবাই পুড়ে মরবো।”
পারভেজ সাহেবের কথায় আরাফ তার দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,
”না পি.এ আমি থাকতে তোমার কিছু হবে না।আর ওই অন্যায়কারীদেরকে শাস্তি দিতে হতো।জানি আজ মরতে হবে তবে মরতে হলে এদেরকে সাথে নিয়ে মরব।কারণ এরা বেঁচে থাকলে আরো অনেক অন্যায় করবে।না জানি আরো কত মানুষকে স্বার্থের জন্য পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিবে;তাই এদের মতো মানুষ বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো।আর আমার বাবা তাকে তো আর আমি নিচ হাতে মারতে পারবো না;ভীষণ ভালোবাসি যে উনাকে।কিন্তু উনাকে উনার ভুলের জন্য ছাড়ও দিতে পারবো না।তাই এবার মরতে হলে উনাকেও আমার সাথে মরতে হবে।”
আরাফের এমন শক্ত গলার কথা শুনে পারভেজ সাহেব কেঁদে ফেলেন।তিনি মনে মনে ভাবেন’না জানি ছেলেটা মনে মনে কত কষ্ট পাচ্ছে।পাবে নাই বা কেন এত বড় সত্যি শুনার পর কেই বা কষ্ট না পেয়ে থাকতে পারে।অথচ ছেলেটাকে দেখো এতো কষ্ট পাওয়ার পরও কিভাবে নিজেকে শক্ত রেখেছে যেন কিছুই হয়নি।ওর ভেতরটা নিশ্চয় এখন হাহাকার করছে।সব কিছু হারানোর বেদনায় ওর ভেতরটা নিশ্চয় পুড়ে যাচ্ছে।কিন্তু সেটা মুখে প্রকাশ করছে না।’কথা গুলো ভেবে পারভেজ সাহেব মনে মনে বলে ‘আল্লাহ তুমি ওকে সাহায্য করো।’
.
পারভেজ সাহেবের চোখে পানি দেখে আরাফের ও ভীষণ খারাপ লাগছে।তারও যে এখন ভীষণ কান্না পাচ্ছে।ইচ্ছে করছে তার পি.এর কোলে মাথা রেখে অঝোরে কেঁদে তার মনকে হালকা করতে।কিন্তু পরোক্ষনে আরাফ ভাবে না এখন কান্না কাটির সময় না।পি.এ আগে সেইফলি এখান থেকে বের করতে হবে।কথাটা ভেবে সে পি.এর দুহাত ধরে তাকে দাঁড় করিয়ে বলে,
”চলো”
পারভেজ সাহেব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করছে,
”কোথায়?”
.
আরাফ পি.এর গালে হাত রেখে বলে তোমাকে এখান থেকে বের করবো।তুমি আবার তোমার পরিবারের কাছে ফিরে যাবে।তোমার পরিবারও তোমাকে পেয়ে আবার নতুন করে বেঁচে উঠবে।আর তোমার মেয়েও দেখো তার বাবাকে পেয়ে আনন্দে কিভাবে আত্মহারা হয়ে উঠে।অনুর কথা মনে পড়তেই মুচকি হাসে আরাফ।না চাইতেও সে অনুকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছে।কিন্তু আর না যেভাবেই হোক সে তার বাবাকে তার কাছে ফিরিয়ে দিবেই।কথাটা ভেবেই পারভেজ সাহেবকে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
.
বাইরের অবস্থা দেখে পারভেজ সাহেব ঘাবড়ে যায়।আগুন ৩ তলা পর্যন্ত গ্রাস করে নিয়েছে।উনারা আছে বিল্ডিং এর একদম টপ ফ্লোর ৫ তলাতে।পারভেজ সাহেব বেশ বুঝতে পারছেন আজ আর কেউ এখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারবে না।
.
পারভেজ সাহেবের উদ্বিগ্ন মুখ দেখে আরাফ বলে ,
”ভয় পেয়ো না পি.এ।নিজের জান দিয়ে হলেও আজ তোমাকে বাঁচাবো।”
.
কথাটা বলেই সে বিল্ডিং এর পেছন দিকের সিঁড়িটা দিয়ে পি.একে নিয়ে নিচে নামতে শুরু করে।ওই দিকটাইও আগুন ছিল তবে সামনের দিকের তুলনায় অনেকটা কম।সিঁড়ি ভেঙে একদম গ্রাউন্ড ফ্লরে নামে তারা।চারদিকে আগুন ধাও ধাও করছে।আরাফের পরনে ছিল একটা টি-শার্ট আর আর তার উপর একটা শার্ট।আরাফ গা থেকে শার্টটা খুলে সেটা দিয়ে পি.একে ঘিরে দিয়ে তার বুকের সাথে ঝাপটে ধরে সেই আগুনের উপর দিয়ে ধীরে ধীরে হেটে সামনের দিকে যাচ্ছে।কিছুটা পথ যাওয়ার পর আরাফ তার পি.একে ছেড়ে দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে বলে ,
”ওই যে দেখো এই দিকে বের হওয়ার রাস্তা।কিন্তু এটা বিল্ডিং এর একদম শেষ মাথায় হওয়ায় এটাকে দেখা যায় না।তুমি এখন এই রাস্তা দিয়ে বের হবে।”
পারভেজ সাহেব অবাক চোখে বলে ,
”কিন্তু আমি এইদিক দিয়ে বের হতে গেলে পাশের আগুনের স্তুপটা আমার উপর এসে পড়বে।”
.
পারভেজ সাহেব যে খুব ভয় পাচ্ছে সেটা আরাফ বেশ বুঝতে পারছে।কারণ আরাফের দেখানো পথে বের হতে গেলেই দরজার পাশে বিশাল স্তুপটা গায়ের উপর এসে পড়বে কারণ এই দরজার সামনে কিছু কাঠ একসাথে রাখা ছিল আর এগুলো এমন ভাবে রাখা যে এই পথে কেউ যাওয়া আসা করলেই পুরো কাঠের স্তুপটা তার গায়ের উপর পড়বে।কিন্তু এর চেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো এই কাঠের স্তুপটা এখন পুরো আগুনে ধাও ধাও করে জ্বলছে।তবে আরাফ আগেই থেকেই সবটা ঠিক করে রেখেছিলো যে সব মেইন দরজা গুলোতে তে সে আগুন লাগিয়ে দিবে যাতে কেউ চাইলেও বের হতে না পারে।আর সে তখনি এই দরজাটাও দেখে গিয়েছিলো সাথে এটাও ভেবে নিয়েছিল যে কিভাবে সে এই রাস্তা দিয়ে পি.একে বের করবে।সে তার ভাবনা মতো তার হাতের শার্টটা দিয়ে সেই কাঠের স্তুপটার উপর রেখে সেটাকে তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে পেছনের দিকে চেপে রাখে যাতে পি.এ এই দরজা দিয়ে বের হওয়ার সময় যেগুলো তার গায়ের উপর এসে না পড়ে।আরাফ এবার চিৎকার করে বলে উঠে ,
”পি.এ বেরিয়ে যাও এখান থেকে।আমি বেশিক্ষন এই স্তুপটাকে ধরে রাখতে পারবো না।তুমি দ্রুত এখন থেকে বেরিয়ে যাও।”
আরাফকে এইভাবে দেখে পারভেজ সাহেব ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যান।তিনি আকুতির কণ্ঠে আরাফকে বলে ,
”বাবা তুই এখান থেকে সরে আয়।তোর হাতটা পুড়ে যাবে।”
আরাফ আবারও চিৎকার করে বলে ,
”আমার যা খুশি হয়ে যাক পি.এ তুমি এখান থেকে প্লিজ জলদি বের হও।”
”না আরাফ আমি তোকে এইভাবে এখানে রেখে বাইরে বেরিয়ে যেতে পারবো না।”
আরাফ এবার কিছুটা রেগে গিয়ে বলে ,
”উফফ পি.এ প্লিজ বুঝার চেষ্টা করো।আমার পক্ষে এই স্তুপটাকে পড়া থেকে বেশিক্ষন আটকে রাখা সম্ভব না।আগুনের তেজ বাড়ছে;প্লিজ তুমি আর কথা না বাড়িয়ে এখন থেকে বেরিয়ে যাও।প্লিজ;”
.
আরাফের কথা শুনে পারভেজ সাহেবের চোখ ভিজে উঠে;ছেলেটা তাকে বাঁচানোর জন্য এতো কিছু করছে।কিন্তু তার মন যে কোনোভাবেই আরাফকে এই মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রেখে যেতে চায়ছে না।
.
পারভেজ সাহেবকে চুপ থাকতে দেখগ আরাফ আবারও বলে উঠে,
”পি.এ প্লিজ তুমি আমাকে নিয়ে ভেবো না ।তুমি বের হওয়ার পর আমিও বের হবো।তাই প্লিজ এখন তুমি বের হয়ে যাও।”
.
কথাগুলো বলার সময় আরাফের চোখ টলমল করছিলো।আগুনের দাপটে আরাফের হাত খুব জ্বলছে।তবুও সে সর্বস্য শক্তি দিয়ে সেটাকে আটকে রেখেছে।আরাফের জোরাজোরিতে পারভেজ সাহেব আর থাকতে না পেরে বেরিয়ে পরে বিল্ডিং থেকে।সঙ্গে সঙ্গে আরাফও সরে আসে সেই স্তুপটা ছেড়ে দিয়ে;আর সেই পুরো স্তুপটা এখন দরজার সামনে পড়ে যাই যার ফলে এখন আর এই দরজা দিয়ে কেউ বের হতে পারবে না।এই অবস্থা দেখে বাইরে থেকে পারভেজ সাহেব চিৎকার করে বলে ,
”আরাফ এখন তুই কিভাবে বের হবি?তুই বেরিয়ে আয় বাবা আমি তোর জন্য অপেক্ষা করছি।”
আরাফ তার পি.এর ভয়ার্ত কণ্ঠের চিৎকার শুনে মুচকি হেসে বলে ,
”পি.এ তুমি তোমার পরিবারের কাছে ফিরে যাও;তারা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।আর পারলে তোমার এই অধম ছেলেটাকে ক্ষমা করে দিও।”
.
কথাটা বলেই আরাফ আর এক মুহূর্তও সেখানে দাঁড়িয়ে না থেকে সিঁড়ি বেয়ে আবার ৫ তলায় উঠে পরে।যেই রুমে তাদের আটকে রাখা হয়ে ছিল আরাফ সেই রুমের বারান্দায় গিয়ে টলমল নয়নে আকাশের দিকে তাকায়।তারপর মনে মনে বলে,
”আমার মনের অব্যক্ত কথা গুলো আর হয়তো তোমাকে বলার সুযোগ পাবো না অনু।তবে এইটুকু ভেবে ভালো লাগছে যে আজ তুমি তোমার বাবাকে আবার ফিরে পাবে।নিশ্চয় আজ তুমি ভীষণ খুশি হবে ।বাবাকে পেয়ে তাকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে নিশ্চয় খুব কাঁদবে তাই না।(তারপর ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে)ভালো থেকো অনু।”
.
কথা গুলো বলতেই আরাফের চোখ থেকে দু ফুটো পানি গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে।
.
আরাফ বুঝতে পারছে আগুন তার কাছাকাছি।মৃত্যু তার সন্নিকটে।হঠাৎ সে নিচে তাকিয়ে দেখে তার পি.এ নিচ থেকে অসহায়ের মতো তার দিকে তাকিয়ে আছে।যেন তিনি তার দৃষ্টি দিয়ে এটা বুঝাচ্ছেন যে তিনি আরাফকে কতটা ভালোবাসেন।আরাফের রুমও ততক্ষনে আগুনের দহনের কবলে চলে যায়।সে এক পলক সেই রুমের দিকে তাকিয়ে আবার সামনে থাকা তার পি.এর দিকে তাকায়।তারও যে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে;ইচ্ছে করছে বাঁচতে;তার পি.এর জন্য বাঁচতে;অনুর জন্য বাঁচতে।কিন্তু তা তো সম্ভব নয়।মৃত্যু যে তার ঘনিয়ে এসেছে।তখনি সে দেখে নিচে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চলে এসেছে।আরাফ ঠোঁট দুটো প্রসারিত করে হেসে বলে ,
”হায়রে বাংলাদেশ!রোগী মারা যাওয়ার পরই ডাক্তার আসে।”
চলবে…
(আল্লাহকে ভয় করো.পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়)
{আসসালামু আলাইকুম!কাল তোমরা অনেকেই বলেছিলে বোনাস পার্ট দিতে।কিন্তু আমি চেষ্টা করেও সেটা পারিনি।কারণ রমজান মাসে একদিনে দুই পর্ব লেখা আমার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠেনি ।তাই আমি দুঃখিত।তবে আমার মনটাও ভীষণ খারাপ গল্পটার রেসপন্স কমে যাচ্ছে।তোমাদের কি আর ভালো লাগছে না গল্পটা?কমেন্টে প্লিজ জানিও ভালো লাগা বা না লাগার কারণটা।আর এখন যদি সত্যিই আরাফ মারা যায় তাহলে তোমাদের কেমন লাগবে সেটাও লিখো কমেন্টে😌একজন ছোট্ট লেখিকা হিসেবে তোমাদের সবার ভালোবাসা কামনা করছি😍}