জীবন সাথী💜 পর্ব-১৩

0
1073

#জীবন_সাথী💜
লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা
১৩.
~
পশ্চিমা আকাশের সূর্যটা ডুবি ডুবি।প্রকৃতি যেন নিজেকে তৈরী করে নিচ্ছে রাতের বিদঘুটে অন্ধকারে নিজেকে সাজানোর জন্য।পাখিরা সারাদিনের চঞ্চলতা শেষে নিজেদের নীড়ে ফিরে যাচ্ছে।থেকে থেকে নরম বাতাস গাছের সবুজ পাতা গুলোকে দোলা দিয়ে যাচ্ছে।জানলা দিয়ে প্রকৃতির এই রং দিচ্ছে আর মায়ের মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছে অনু।আর তার মায়ের মুখে এখনো এক কথা কবে তার বাবা ফিরবে!কেন তার বাবা ফিরছে না!অনুও সবসময়য়ের মতো তার মাকে এটা ওটা বুঝিয়ে বলছে।হঠাৎ তার ফোনটা বেজে উঠে;সে পাশ থেকে ফোনটা নিয়ে দেখে আননোন নাম্বার।তাই সে কলটা রিসিভ না করে ফোনটা পাশে রেখে দেয়।ফোনটা আবারো বেজে উঠে;এবার অনু কিছুটা বিরক্ত হয়ে কলটা রিসিভ করে,

”হ্যালো কে বলছেন?”

ওপাশ থেকে কেউ কাঁপাকাঁপা গলায় বলছে ,

”অঅনু মমা কেমন আছিস?”

ওপাশের মানুষটার গলা শুনে অনু থমকে যায়।কেন যেন এই কণ্ঠটা তার কাছে বড্ডো পরিচিত।অনু জিভ দিয়ে হালকা করে তার শুষ্ক ঠোঁটটা ভিজিয়ে জিজ্ঞেস করে,

”কে আপনি?”

”আমি তোর বাবা; মা!”
.
অনু এবার বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ে।সে ঠিক শুনছে তো!হুম ঠিক শুনেছে তার বাবা কল দিয়েছে।হ্যাঁ এটা তার বাবারই গলা।আজ এক বছর পর সে তার বাবার গলা শুনতে পেয়েছে।টুপ করে অনুর চোখ থেকে পানি পড়ে যায়।নিজেকে কোনোরকমে শক্ত করে অনু ভাঙা গলায় বলে ,

”বাবা! বাবা কোথায় আছো তুমি?বলো বাবা আমি এক্ষনি তোমার কাছে যাবো।”

”মারে আমি সিটি শপিং মলের পেছনে যে পরিত্যক্ত বিল্ডিংটা আছে আমি সেখানেই আছি।তুই চলে আয়।তবে একা আসিস তোর মাকে সঙ্গে আনিস না।”

”ঠিক আছে বাবা আমি এক্ষনি আসছি।”
.
কথাটা বলে অনু কলটা কেটে দিয়ে তার মার দিকে তাকায়।রাহেলা বেগম অনুর দিকে কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।তার এই দৃষ্টি যেন অনুকে অনেক প্রশ্ন করে যাচ্ছে।অনু তার মার সামনে বসে তার গালে আলতো করে হাত রেখে বলে ,

”মা আমি বাবাকে আনতে যাচ্ছি।তুমি অপেক্ষা করো।আমার বাবা আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।”

রাহেলা বেগম প্রতিউত্তরে কিছু বলেনি।এতদিন তিনি যার জন্য অপেক্ষা করেছে আজ সেই মানুয়াটা ফিরছে অথচ তিনি আজ নিশ্চুপ।
.
অনু তার মার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তার পার্সটা নিয়ে বেরিয়ে যায়।তার আজ খুব অস্থির অস্থির লাগছে।মনটা বড্ডো আকুতি মিনুতি করছে তার বাবাকে দেখার জন্য।রাস্তায় দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে একটা গাড়ির সন্ধানে।কিন্তু এমন সময় তাদের এদিকে তেমন কোনো গাড়ি থাকে না বিধায়;সে আসে পাশে কোনো গাড়িই দেখছে না।মনের অস্থিরতা যেন বেড়েই চলছে।মনে মনে দোয়া করছে একটা গাড়ির পেয়ে যাওয়ার জন্য।৪,৫ মি.পর সে দূরে একটা রিকশাকে দেখে হাত নাড়িয়ে ইশারা করে,

”কই যাইবেন আফা।”

অস্থিরতায় তার গলা শুকিয়ে গিয়েছে।সে ছোট্ট একটা ঢোক গিলে বলে,

”মামা সিটি শপিং মলের সামনে যাবো।”

”আইচ্ছা আফা উঠেন।”
.
আগুনের দাপটে আরাফের নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।ভয়ঙ্কর কালো ধোয়া তার শ্বাসনালিতে চলে যাওয়ায় সে জোরে জোরে কাশতে আরাম্ভ করে।চোখের সামনে সব কিছু ঘোলাটে দেখছে সে।অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে তার দৃষ্টি।আর বোধ হয় বেশিক্ষন এভাবে টিকে থাকতে পারবে না সে।থেকে থেকে জোরে জোরে নিশ্বাস নিয়ে উঠছে ;এই বুঝি তার নিশ্বাস আটকে এলো।এক্ষনি বোধ হয় দম বন্ধ হয়ে মারা যাবে সে।চোখ বন্ধ করলো আরাফ;চোখের সামনে অনুর মুখটা ভেসে উঠলো সাথে ভেসে উঠলো তার স্বার্থপর বাবার মুখটাও।আরাফের কানে হঠাৎ কারো গলার শব্দ ভেসে এলো।সে কোনোরকমে চোখের পাতা খুলে দেখে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা তাদের বিশাল সিঁড়িটা দিয়ে আরাফের বারান্দার খুব কাছে চলে এসেছে।তারা আরাফকে বলছে ,

”আপনি ভয় পাবেন না।আমরা এক্ষনি আপনাকে উদ্ধার করবো।আপনি আমাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিন।”
.
কথা গুলো তার মস্তিষ্ক পর্যন্ত যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু সে অনুযায়ি তার মস্তিষ্কের নিউরন কোষটা কোনো রেসপন্স দিচ্ছে না।আরাফের চোখ বুজে আসছে।সে এইটুকু বুঝতে পারছে তাকে বাঁচানোর সব চেষ্টায় করা হচ্ছে কিন্তু তার শরীরটা যে আর দাঁড়িয়ে থাকার মতো শক্তি পাচ্ছে না।ওপাশ থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা আবারো চিৎকার করে বলে ,

”আগুন বাড়ছে;আপনাকে চেষ্টা করতে হবে।আমরা আপনার খুব কাছাকাছি প্লিজ আপনিও আমাদের এই স্টেজটার উপর আসার চেষ্টা করুন।”
.
আরাফ পিটপিট করে তাকায়।সামনেই বিশাল সিঁড়িটার মাথায় একটা স্টেজ আছে তাকে বাঁচতে হলে বারান্দার এই রেলিং টপকে এই স্টেজের উপর দাঁড়াতে হবে।কিন্তু তার শরীরে যে বিন্দু মাত্র শক্তি নেয়।তার মনে হচ্ছে তার পুরো শরীরটা যেন অবশ হয়ে গেছে।এখন চাইলেও সে তার শরীর নাড়াতে পারছে না।আরাফ চেষ্টা করছে না দেখে নিচ থেকে পি.এ চিৎকার করে বলে ,

”আরাফ বাবা তুই চেষ্টা কর।বাবা তুই হেরে যাস না।তোর পি.এ যে তোর জন্য অপেক্ষা করছে;তোর পি.এর কাছে ফিরে আয় বাবা।”
.
পি.এর কথা শুনে আরাফ তার দিকে একপলক তাকায়।সে ধীরে ধীরে এবার রেলিং এর খুব কাছে গিয়ে তার হাত বাড়িয়ে দেয়।ওপাশ থেকে একজন তার হাত ধরে আর অন্য একজন স্টেজটা যতটা সম্ভব বারান্দার খুব কাছে নিয়ে আসে।আরাফ এক পা তুলতেই সে বেলেন্স হারিয়ে আবার বারান্দায় পড়ে যায়।তা দেখে পারভেজ সাহেব চিৎকার করে উঠে।আগুন আরাফের খুব কাছে।আরাফ বুঝতে পারছে তার আর বাঁচার কোনো উপায় নেয়।তবুও একবার কি ভেবে সে উঠে দাঁড়ায়।সে আবারো চেষ্টা করতে থাকে বারান্দার রেলিং টপকানোর ।ফায়ার সার্ভিসের সিঁড়িটা বারান্দার খুব কাছে নেয়ার পরও এখনো বারান্দা আর সিঁড়িটার মাঝে অনেকটাই ফাঁক।যদি ভুলবশত একবার আরাফের পা স্টেজে না পরে ওই ফাঁকাটার উপর পরে তাহলে সে ৫ তলা থেকে সোজা নিচে গিয়ে পড়বে।আরাফ খুব সাবধানতার সাথে তার একটা একটা পা রেলিং টপকিয়ে স্টেজটার উপর রাখলো।কিন্তু দ্বিতীয় পা টা আনতে নিয়েই তার পা ফসকে যায়;সাথে সাথে সে পড়ে যেতে নিলেই সামনে থাকা ফায়ার ম্যানটা তাকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে তাকে স্টেজটা উপর বসিয়ে দেয়।ধীরে ধীরে সিঁড়িটা নিচে নামতে থাকে।ততক্ষনে সেখানে পুলিশ আর এম্বুলেন্সের গাড়িও চলে আসে।আরাফকে নামিয়েই তারা পি.এ আর আরাফকে এম্বুলেন্সে উঠিয়ে দেয়।পি.একে একজন পুলিশ অফিসার জিজ্ঞেস করে,

”ভেতরে আর কেউ আছে?”

”জ্বি অফিসার আরও ১০ থেকে ১৫ জন আছে ভেতরে।”

পুলিশ পি.এর কথা শুনে অবাক হয়ে বলে ,

”কি বলছেন।এত জন!এইদিকে তো আগুন নিভানোয় যাচ্ছে না।এত জনকে বাঁচানো যাবে তো?”

পুলিশ এবার ফায়ার সার্ভিসের লোকদের তাড়া দিয়ে বলে,

”আপনারা তাড়াতাড়ি আগুন নেভানোর চেষ্টা করুন ভেতরে এখনো আরোও ১০-১৫ জন আছেন।তাদেরকে বাঁচাতে হবে।”

ফায়ার সার্ভিসের লোকেরাও তাদের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছে আগুন নেভাতে।
.
এম্বুলেন্সটা ছাড়ার মূহুর্তে পি.এ সেই পুলিশ অফিসারকে বলে

”অফিসার আমি একটু আগে আপনার ফোন দিয়ে যাকে কল দিয়েছিলাম ও আমার মেয়ে।ও এখানে আসছে।ও আসার পর নাহয় আমরা হসপিটালে যাবো।”

”না না আপনাদের শরীরের কন্ডিশন ভালো না।আপনাদের এক্ষনি ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন।আর আপনি চিন্তা করবেন না আপনার মেয়ে এখানে আসলে তাকে আমরা হসপিটালে পাঠিয়ে দিবো।আপনি নিশ্চিন্তে যান।”

পি.এ ও আর কিছু বলেনি।এম্বুলেন্স দিয়ে হসপিটালের উদ্দেশে চলে যায়।
.
রিকশার ভাড়া মিটিয়ে অনু সেই বিল্ডিংটার সামনে এসে দাঁড়ায়।সে অবাক হয়ে দেখছে সামনের বিল্ডিংটাতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে।সে আশেপাশে তাকিয়ে দেখে সবাই ব্যস্ত আগুন নেভাতে।তার চোখ জোড়া যে তার বাবাকে খুঁজছে।কিন্তু আসে পাশে কোথাও তাকে দেখছে না।হঠাৎ পেছন থেকে কেউ বলে উঠে,

”আপনি কি পারভেজ আহমেদের মেয়ে?”

অনু পেছনে ঘুরে দেখে একজন মধ্যবয়স্ক পুলিশ অফিসার দাঁড়ানো।অনু তার প্রশ্নে মাথা নেড়ে বলে ,

”জ্বি আমি পারভেজ আহমেদের মেয়ে।কিন্তু আমার বাবা কোথায়?”

”আপনার বাবা হসপিটালে।আপনি আমাদের সাথে চলুন আমাদের গাড়ি আপনাকে হসপিটালে পৌঁছে দিবে।”
.
হসপিটালের কথা শুনে অনুর সারাশরীরে অজানা ভয় এসে ভর করে।তার বাবার কিছু হলো না তো!ঠিক আছেন তো উনি!তাদের কাছে ফিরে এসে আবার হারিয়ে যাবে না তো?নানা ধরণের আজগুবি চিন্তা ভাবনা অনুর মাথায় ঘুরছে।অনুকে ভীত দেখে পুলিশ অফিসার তাকে আশ্বস্ত দিয়ে বলে,

”চিন্তা করবেন না আপনার বাবা ঠিক আছে।আপনি চলুন আমাদের সাথে।”

অনু ধীর পায়ে পুলিশের গাড়িতে গিয়ে বসলে সেটা হসপিটালের দিকে চলে যায়।
.
হসপিটালে পাশা পাশি বেডে রাখা হয়েছে আরাফ আর অনুর বাবাকে।আরাফের জ্ঞান নেয়।আগুনের কালো ধোয়া শ্বাসনালিতে প্রবেশ করায় তার শ্বাস কষ্ট হচ্ছিলো তাই তাকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে।আরাফের হাত দুটো বেন্ডেজ করা তখন পি.একে বাঁচানোর জন্য কাঠের স্তুপটায় হাত দেয়ার কারণে তার হাতের অনেকটা অংশই পুড়ে গিয়েছে।অনুর বাবার হাতেও সেলাইন চলছে।তিনি মাথাটা কাত করে আরাফকে দেখছে।ভীষণ মায়া হচ্ছে তার আরাফের জন্য।কতটা ধকল গিয়েছে আজ তার উপর দিয়ে মানসিক শারীরিক কষ্ট আরাফকে যেন আজ একবারে দুর্বল করে দিয়েছে ।পি.এ মনে মনে দোয়া করছে সে যেন এই এত বড় আঘাতটা কাটিয়ে উঠতে পারে।কথাটা ভেবে তিনি মাথাটা উল্টো পাশে ঘুরাতেই কেউ ডেকে উঠে,

”বাবা!!”

পারভেজ সাহেব দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে তার প্রিন্সেস দাঁড়িয়ে আছে।চোখ থেকে অঝোর ধারায় পানি পড়ছে তার।তার মেয়েকে এইভাবে কাঁদতে দেখে পারভেজ সাহেবও চোখের পানি আটকাতে পারেনি।অনু ধীর পায়ে তার বাবার সামনে এসে বসে;তারপর এক দৃষ্টিতে কিছুক্ষন তার দিকে তাকিয়ে থেকে তার বুকে পরে ঠুকরে কেঁদে উঠে।আজ যে সে আনন্দের অশ্রু বিসর্জন করছে ।আজ এক বছর পর সে তার বাবার বুকে মাথা রাখতে পেরেছে।আজ যে তার চোখের পানি কোনো বাধায় মানবে না।এত দিনের জমানো কষ্ট আজ একসাথে বেরিয়ে আসবে।

পারভেজ সাহেব অনুর মাথায় হালকা করে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,

”কেমন আছিস মা?”

অনু মাথাটা তুলে সোজা হয়ে বসে তারপর অশ্রুসিক্ত নয়নে বলে ,

”তোমাকে ছাড়া তোমার মেয়ে কি করে ভালো থাকতে পারে বলো?একটুও ভালো ছিলাম না বাবা;না আমি,না মা!মা তো রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পরে তুমি হারিয়ে যাওয়ার পর।এখনো শুধু এক কথায় বলে তুমি নাকি বাজারে গিয়েছো;বার বার আমাকে প্রশ্নে করে তোর বাবা কখন আসবে?এখনো আসছে না কেন?তুমি হারিয়ে যাওয়ার পর মা অনেক বেশি ভেঙে পরে বাবা।”
.
পারভেজ সাহেব জানে রাহেলার অবস্থা।তিনিও তো সেদিন দেখেছিলেন তাকে।তবে সেদিনের কথাটা অনুকে তিনি এখন বলতে যাচ্ছে না।তাই চুপ করেই তিনি তার মেয়ের কথা শুনে যাচ্ছেন।

অনু আবার প্রশ্ন করে,

”তুমি এতো দিন কোথায় ছিলে বাবা?”
.
অনুর প্রশ্নে পারভেজ সাহেব অপ্রস্তুত হয়ে পরে।কি উত্তর দিবে এই প্রশ্নের।পারভেজ সাহেব কোনো ভাবেই চায় না অনুর কাছে এটা বলতে যে এতো দিন তাকে আরাফ আটকে রেখেছিলো আর তারপর তার বাবা।আরাফের কোনো দোষ নেয়;সে ইচ্ছে করে কিছুই করেনি;তাই তার উপর পারভেজ সাহেবের কোনো অভিযোগ নেয়।তাই তিনি গম্ভীর গলায় বলে,

”কিছু খারাপ লোক আমাকে আটকে রেখেছিলোরে মা।”

অনু করুন চোখে জিজ্ঞেস করে,

”কেন বাবা?”

পারভেজ সাহেব ছোট্ট একটা নিশ্বাস ছেড়ে বলে,

”কারণ আমি ওই লোক গুলোর খারাপ কাজের কথা জেনে গিয়েছিলাম তাই ওদের সাবধান করেছিলাম যেন এইসব অন্যায় কাজ বন্ধ করে নাহলে আমি সব কিছু পুলিশকে বলে দিবো।আর ওরা সেই ভয়ে আমাকে এত দিন আটকে রেখেছিলো।আজ যদি আরাফ না থাকতো তবে তো তোর বাবা আর কোনো দিন তোর কাছে ফিরে আসতে পারতো না।নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছেলেটা আমাকে বাঁচিয়েছে আর এখন দেখ নিজে কিভাবে নিস্তেজ হয়ে বেডে পড়ে আছে।”
.
বাবার কথায় অনু অবাক হয়ে পাশের বেডটাতে তাকায়।এতক্ষন বাবাকে নিয়ে বিজি থাকায় পাশের বেডে যে কেউ আছে সেটা সে খেয়ালই করেনি।কিছুক্ষন সেই বেডের মানুষটার দিকে তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে অনু বলে উঠে,

”আরাফ স্যার!!”

চলবে…
(আল্লাহকে ভয় করো;পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়)

{আসসালামু আলাইকুম!সত্যি বলতে আরাফের প্রতি তোমাদের ভালোবাসা দেখে আমি সত্যিই অভিভূত।তোমরা সবাই বলেছো আরাফ যাতে না মারা যায়।কেউ কেউ তো রীতিমতো আমাকে হুমকি দিয়েছে আরাফকে মারলে নাকি আমাকেও খুন করবে😂যাকগে ভালো লাগলো তোমাদের এতো ভালোবাসা পেয়ে।আর তোমাদের এতো এতো ভালোবাসায় আরাফও বেঁচে গিয়েছে।গল্পের রহস্য গুলো সবটাই তোমাদের কাছে ক্লিয়ার।এবার গল্পটা অন্য দিকে ঘুরবে।আশা করছি সামনেও তোমাদের আরো ভালোবাসা পাবো।আর হ্যাঁ তোমাদের কথা মতো আরাফকে বাঁচিয়ে দেয়ায় এখন একটা করে গঠনমূলক কমেন্ট করো কেমন!ধন্যবাদ}

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here