জীবন সাথী💜 পর্ব-১৪

0
1028

#জীবন_সাথী💜
লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা
১৪.
~
অনুর কথা শুনে পারভেজ সাহেব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,

”তুই কি আরাফকে আগে থেকে চিনিস মা?”

অনু বাবার দিকে তাকিয়ে বলে,

”এই কি সেই আরাফ যার কথা ছোট বেলা থেকে তুমি আমাকে বলে এসেছো?”

পারভেজ সাহেব হালকা হেসে বলে ,

”হ্যাঁ রে ওই হলো আরাফ।কিন্তু তুই ওকে কিভাবে চিনিস?”

অনু শান্ত কণ্ঠে বলে ,

”আরাফ স্যার আমাদের ভার্সিটির প্রফেসর।”

”কি বলিস!আরাফ ওর বাবার ভার্সিটিতে প্রফেসর হিসেবে জয়েন করেছে!আমি তো জানতামই না।”

”হুম বাবা ওনাকে তো আমি আরো এক বছর আগে থেকেই চিনি।কিন্তু তখন জানতাম না এই আরাফই তোমার সেই পিচ্চি আরাফ।”
.
কথা গুলো বলে অনু আরাফের বেডের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।ছোট্ট বেলা থেকে তার বাবার মুখে আরাফের অনেক কথা শুনেছে।তার বাবার কথা মতে আরাফ ভীষণ মায়াবী একটা ছেলে।যে কেউ ওকে দেখলে নাকি ওর মায়ায় পড়ে যাবে।বাবার মুখ থেকে আরাফের এত এত গল্প শুনতে শুনতে অনুর মনেও ভীষণ ইচ্ছে জেগেছিলো আরাফকে দেখার।বাবার কথার সাথে মিলিয়ে সে মাঝে মাঝে আরাফকে ইমাজিন করতো।যেই মানুষটাকে দেখার প্রবল ইচ্ছে ছিল সেই মানুষটা আরো ১ বছর আগেই অনুর সামনে চলে এসেছে অথচ সেটা বুঝতে পারেনি।
.
অনু এক দৃষ্টিতে আরাফের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো ভাবছে।ছেলেটাকে দেখে আজ ভীষণ মায়া হচ্ছে তার।আরাফের দু হাত কব্জি পর্যন্ত বেন্ডেজ করা।অক্সিজেন মাস্কে নাক মুখ ঢাকা থাকায় তার মুখটা অস্পষ্ট হয়ে আছে।
.
আরাফকে কিছুক্ষন দেখে অনু আবার তার বাবার সামনে গিয়ে বসে;তারপর স্থির দৃষ্টিতে তার বাবার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে ,

”বাবা ওই বিল্ডিংয়ে আগুন কিভাবে লেগেছিলো।আর স্যারই বা কি করে জানলো তুমি ঐখানে আছো?”
.
অনুর প্রশ্নে পারভেজ সাহেব মনে মনে ভাবে;অনুকে এখনি সব তা বলা যাবে না।নয়তো আরাফকে সে ভুল বুঝবে।ধীরে ধীরে সময়য়ের সাথে সাথে তাকে সবটা বুঝিয়ে বলতে হবে।কথাটা ভেবে তিনি মেকি হাসি দিয়ে বলেন,

”এসব নিয়ে পরে কথা বলি মা!অনেক বড় একটা বিপদ থেকে আল্লাহর দয়ায় বেঁচে ফিরেছি;কিছুটা সময় যাক;আগে সুস্থ হয়ে উঠি তারপর না হয় তোকে সব বলবো!”
.
অনু মনে মনে ভাবলো;সত্যি এখন এই ব্যাপার নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না।তার বাবা এখন মানসিক আর শারীরিক উভয় সমস্যায় জর্জরিত।আগে বাবাকে আর আরাফকে সুস্থ করে তুলতে হবে তারপর সব কিছু জানা যাবে।

”আপনি কি পেশেন্টের বাড়ির লোক ?”

পেছন থেকে কারো গলা শুনে অনু পেছনে ফিরে দেখে একজন ডাক্তার দাঁড়িয়ে আছে।অনু তার প্রশ্নে মাথা ঝাকিয়ে বলে ,

”জ্বি।আমি উনার মেয়ে।”

ডাক্তার এবার পাশের বেডের দিকে তাকিয়ে বলে,

”আর উনার বাড়ির লোক কেউ আসেনি?”

”ডাক্তার আমিই ওর গার্জিয়ান।”
অনুর বাবা ডক্টরকে বলে।অনু তার বাবার কথা শুনে অবাক হয়ে বলে,

”বাবা আরাফ স্যারের বাবাকে তো খবর দেয়া হয়নি।উনাকে কি আমি খবর দিবো যে স্যারের এই অবস্থা?”

অনুর কথা শুনে পারভেজ সাহেব ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে ,

”ওই বিল্ডিংয়ে আরাফের বাবা আনোয়ার ও ছিল।আর ওকে এখনো উদ্ধার করা হয়েছে কিনা জানি না।”
.
অনু তার বাবার কথায় অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকে।তার মাথায় কিছুই ঢুকছে না;সবাই ওই বিল্ডিংয়ে কি করছিলো!আরাফ তো গিয়েছিলো তার বাবাকে বাঁচাতে তাহলে আনোয়ার স্যার সেখানে কেন গিয়েছিলো।কথাগুলো ভাবতেই অনুর কপালে ভাঁজ পরে।
.
পারভেজ সাহেব তার মেয়ের চিন্তিত মুখ দেখে বলে ,

”আমি জানি মা তোর মনে এখন অনেক প্রশ্ন জড় হচ্ছে।চিন্তা করিস না আস্তে আস্তে তুই তোর সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবি।”

বাবার কথা শুনে অনু ছোট্ট করে ‘হুম’ বলে।তারপর আবার ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে বলে ,

”আচ্ছা ডাক্তার!এখন উনাদের দুজনের কন্ডিশন কেমন?”

ডাক্তার আরাফের সেলাইনটা দেখতে দেখতে বলেন ,

”দুজনের কেউই পুরোপুরি সুস্থ না।আপনার বাবার প্রেশার ফলস করছে।যার কারণে উনি খুব দুর্বল হয়ে পড়েছেন।উনাকে এখন পুরোপুরি সেলাইনের উপর রাখতে হবে।আশা করছি ধীরে ধীরে এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে।আর এই যে উনি!(আরাফের দিকে তাকিয়ে) উনার অবস্থা একটু বেশিই খারাপ।শ্বাসনালিতে আগুনের কালো ধুয়া ঢুকে পড়ায় উনার শ্বাস-প্রশ্বাস এ সমস্যা হচ্ছে।তার উপর দু হাতের অনেকটা অংশই পুড়ে গিয়েছে।তবে চিন্তা করবেন না;আমাদের ট্রিটমেন্ট তো চলছেই;Hpoe that খুব শ্রীঘ্রই দুজনেই সুস্থ হয়ে উঠবে।”

কথাটা বলে উনি একজন নার্সকে ডেকে বললেন,

”দুজন পেশেন্টেরই প্রথম সেলাইন শেষ হয়েছে;আপনি আরেকটা নিয়ে আসুন।”

নার্সটা মাথা নাড়িয়ে’জ্বি স্যার’ বলে সেলাইন আনতে চলে গেলো।

অনু আবার ডাক্তার জিজ্ঞেস করে,

”ডাক্তার সাহেব আমি কি উনাদের বাসার খাবার খাওয়াতে পারবো।আই মিন বাসা থেকে খাবার নিয়ে এসে যদি উনাদের খাওয়ানো হয় তাহলে কোনো সমস্যা হবে না তো?”

”না না তেমন সমস্যা হবে না।তবে চেষ্টা করবেন তরল জাতীয় খাবার খাওয়ানোর।”

অনু হালকা হেসে বললো ঠিক আছে।তারপর বাবার হাতের উপর হাত রেখে বলে,

”বাবা আমি বাসা থেকে তোমাদের জন্য খাবার নিয়ে আসছি।আর আসার সময় মাকেও নিয়ে আসবো।”

অনুর বাবা ঠোঁট দুটো প্রসারিত করে একটা শুকনো হাসি দিয়ে বলে,

”ঠিক আছে মা।”

অনুও হালকা হেসে তার বাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরে,
~
”এই তোমার কি হয়েছে?এইভাবে হসপিটালে পরে আছো কেন?”

অনুর মা রাহেলা বেগম পারভেজ সাহেবের কেবিনে ঢুকেই তাকে উদ্দেশ্য করে এই কথাটা বলেন।পারভেজ সাহেব কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে,

”তেমন কিছু হয়নি।ওই একটু প্রশারটা লো।ডাক্তার বলেছে ঠিক হয়ে যাবে।”

রাহেলা বেগম এবার ক্ষেপে গিয়ে বলেন,

”হুম হবেই তো সারাদিন তো কাঠ ফাটা রোদের মধ্যে বাজারের নামে বাইরে গিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দাও।আমি না করেছিলাম না এত রোদে বাইরে না যেতে অসুস্থ হয়ে পরবে।তখন তো আমার কথা শুনোনি।এখন ভাল লাগছে এইভাবে হসপিটালে পরে থাকতে?”

মাকে এইভাবে ক্ষেপে যেতে দেখে অনু তার মার কাঁধে হাত রেখে বলে ,

”মা কি করছো এটা একটা হসপিটাল।তুমি একটু আস্তে কথা বলো।নয়তো ডাক্তাররা সবাই রেগে যাবেন;আর পেশেন্টেরও এতে অসুবিধা হবে।”
.
অনুর কথা শুনে তিনি আর কিছু না বলে অনুর বাবার পাশে ব্রু কুঁচকে বসলেন।অনুও একটা টুল এনে তাদের পাশে বসে।তারপর শান্ত গলায় তার বাবাকে বলে ,

”বাবা তোমার জন্য খাবার এনেছি।তুমি কি একটু কষ্ট করে উঠে বসবে।”

”আচ্ছা মা দাঁড়া।আমি উঠার চেষ্টা করছি ।”

অনুও তার বাবাকে সাহায্য করে উঠার জন্য।বাবার পেছনে একরা বালিশ রেখে সেটাতে হেলান দিয়ে বসতে বলে অনু।তারপর টিফিন বক্সটা খুলে একে একে সব খাবার বের করে পাশের টেবিলটায় রাখে।এতো খাবার দেখে পারভেজ সাহেব বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে বলে,

”এত খাবার কে খাবে মা?”

”কেন বাবা তুমি আর আরাফ স্যার ওতো আছে।”

”এ তো অনেক খাবার।এত খাবার কে রান্না করেছে বলতো?”
অনু কিছু ওলার আগেই রাহেলা বেগম বলে,

”কে আবার তোমার মেয়ে।নিজের হাতে সব রান্না করেছে আমাকে কিচ্ছু করতে দেয়নি।”

রাহেলা বেগমের কথা শুনে পারভেজ সাহেবে ছলছল নয়নে অনুর দিকে তাকায়।তারপর অনু মাথায় হাত রেখে বলে,

”আমার ছোট্ট প্রিন্সেসটা এত বড় হয়ে গেলো কবে?আমি তো ভাবতেই পারছি এত গুলো রান্না তুই করেছিস?”

বাবার কথায় অনুর মুখে হাসি ফুটে উঠে।সে উৎফুল্ল হয়ে বলে,

”হ্যাঁ বাবা।তুমি যাওয়ার পর মা অসুস্থ হয়ে পরে তাই মার পক্ষে তো আর রান্নাবান্না করা সম্ভব ছিল না তাই আমিই তখন সব কিছু শিখেনেই।”
.
অনুর কথা শুনে পারভেজ সাহেবের চোখ থেকে টুপ করে পানি পড়ে কিন্তু কেউ দেখার আগেই তিনি তা হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে মুছে ফেলে।এই তার ছোট্ট মেয়েটা।যে কিনা রান্নার ভয়ে রান্না ঘরের আসে পাশে দিয়েও যেত না সে আজ এত রান্না পারে।পারভেজ সাহেবের মনে আছে একবার অনু ফুটন্ত তেলে চিপস বাজতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলেছিলো।সে যে কি কান্না!আর তখন থেকেই ওর মনে রান্নার প্রতি ভয় জন্মে গিয়েছিলো।কিন্তু সেই মেয়ে পরিস্থিতির স্বীকারে পরে এখন পুরো রান্নাটাকেই আয়ত্ত করে নিয়েছে”
কথাগুলো ভেবেই হালকা হাসেন তিনি,
.
নিচ হাতে তার বাবাকে খাইয়ে দেয় অনু।পারভেজ সাহেবের যেন আজ সুখের শেষ ছিল।না চাইতেও গাল বেয়ে পানি পড়ছিলো তার।মেয়েদের এই অল্প অল্প ভালোবাসাতেই যে বাবাদের সমস্ত খুশি নিহিত।পারভেজ সাহেবকে খাওয়ানো শেষে অনু পাশের বেডে আরাফের দিকে তাকায় তারপর সে তার বাবাকে বলে,

”বাবা স্যারের এখনো জ্ঞান ফিরছে না কেন?”

পারভেজ সাহেবও চিন্তিত মুখে বলে,

”কি জানি মা ডাক্তার তো বলেছিলো আর কিছুক্ষনের মাঝে আরাফের জ্ঞান ফিরবে।কিন্তু এখনো কেন ফিরছে না তাইতো বুঝতে পারছি না।”

অনু আর তার বাবার কথা শুনে রাহেলা বেগম ব্রু কুঁচকে পাশের বেডের দিকে তাকায়।তারপর পারভেজ সাহেবকে জিজ্ঞেস করে,

”এই ছেলেটা কে?”

পারভেজ সাহেব থমথমে গলায় বলে,

”আরাফ!মনে আছে আরাফের কথা?আমাকে যে পি.এ বলে ডাকতো।”

রাহেলা বেগম হেসে বলো,

”কি বলো সেই ছোট্ট আরাফ আজ কত বড় হয়েছে।”

তারপর আবার হঠাৎ মুখটা মলিন করে বলে,

”কিন্তু ওর কি হয়েছে?”

”আমাকে বাঁচাতে গিয়েই ওর এই হাল হয়েছে।”

রাহেলা বেগম ব্রু কুঁচকে বলে,

”মানে?”

”না কিছু না!আসলে একটা দুর্ঘটনায় ওর এই অবস্থা হয়!”

পারভেজ সাহেব রাহেলা বেগমকে সত্যিটা বলেননি।তিনিও তো অসুস্থ।সবটা শুনার পর যদি কিভাবে রিয়েক্ট করবে কি জানি।এই ভেবে তিনি আর কিছু না বলে অন্য ভাবে কথা ঘুরান।
.
অনুর বাবা মা নিজেদের মধ্যে কথা বলছে।আর অনু ধীর পায়ে গিয়ে আরাফের সামনে দাঁড়ায়।হালকার করে আরাফের বেন্ডেজ করা হাতে তার হাত রাখে।অনু বুঝতে পারছে আজ আরাফের জন্য তার মনে এক অন্য রকম অনুভূতি জন্মেছে।আরাফ নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার বাবাকে বাঁচিয়েছে;এতে করে যে অনু সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে তার কাছে।অনুর চোখ গুলো ছলছল করছে।মনে প্রাণে দোয়া করছে আরাফের তাড়াতাড়ি জ্ঞান ফেরার জন্য।আরাফের সাথে আগে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছে সেসব কথা ভেবে না চাইতেও তার চোখ থেকে পানি পড়ে যায়।অনুর কাছে আজ আরাফকে অন্য মানুষ লাগছে।মনে হচ্ছে না এই তার ভার্সিটির আরাফ স্যার যার প্রতি ভীষণ বিরক্ত সে।তার কাছে মনে হচ্ছে এই আরাফই হলো সেই আরাফ যাকে নিয়ে অনু অনেক স্বপ্ন দেখেছে।বাবার মুখে আরাফের কথা শুনতে শুনতে আরাফকে না দেখেও এক অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করতো তার প্রতি।সব সময় চাইতো আরাফের সাথে যেন তার দেখা হয়।তার বাবাকেও অনেক বার বলেছিলো আরাফের সাথে দেখা করিয়ে দেয়ার জন্য।কিন্তু পারভেজ সাহেব আনোয়ারের ভয়ে রাজি হতে পারেনি।কিন্তু তার সেই কল্পনার প্রিয় মানুষটা যে আরো এক বছর আগেই তার সামনে চলে এসেছিলো অথচ সে বুঝতে পারেনি।কি অদ্ভুত!যাকে দেখার জন্য এতো ছটফট করেছে তাকে সামনে রেখেও তাকে চিনতে পারেনি অনু।
.
কথা গুলো ভেবে ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে অনু।তারপর হঠাৎ সে দেখে আরাফের চোখ গুলো পিটপিট করছে।তারমানে আরাফের জ্ঞান ফিরেছে।তা দেখে অনুর মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠে।
.
ধীরে ধীরে চোখ খুলে আরাফ।চোখের সামনে সবটা ঝাপসা দেখছে সে।প্রায় ২মি. পর তার চোখের সামনের সবকিছু ক্লিয়ার হয়।আরাফ এবার মাথাটা হালকা কাত করে অনুর দিকে তাকায়।অনুও অপলক চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে।আরাফের এই শান্ত চোখের দৃষ্টি কেন যেন অনুকে ভীষণ কষ্ট দিচ্ছে।কিছুক্ষন অনুর দিকে তাকিয়ে আরাফ আবার মাথাটা সোজা করে।তার দৃষ্টি এখন সামনে স্বচ্ছ দেয়ালটাতে স্থির।

”বাবা স্যারের জ্ঞান ফিরেছে।”

অনুর কথায় অনুর বাবা মা আরাফের দিকে তাকায়।কিন্তু আরাফের সেদিকে খেয়াল নেয়।অনু বলে,

”বাবা আমি ডক্টরকে ডেকে নিয়ে আসি।”

”আচ্ছা যা মা।”

অনু চলে যেতে পারভেজ সাহেব অস্ফুট শব্দে ডেকে উঠে,

”আরাফ!”

আরাফ মাথা ঘুরিয়ে তার দিকে তাকায়।পারভেজ সাহেবের চোখের কোণে পানি জমে।তিনি জানেন শরীরের চেয়ে আরাফের মনটা আরাফকে ভীষণ কষ্ট দিচ্ছে।শরীরের যন্ত্রণার তো ওষুধ থাকে কিন্তু মনের যন্ত্রণার কোনো ওষুধ হয় না।এই যন্ত্রনাটাই মানুষকে বড্ডো বেশি নাজেহাল করে তুলে।আরাফের মনের ভেতর কি তুফান চলছে তা বাইরে থেকে কেউ বলতে পারবে না।একজনের মনের অবস্থা আরেকজন কোনো ভাবেই বুঝতে পারে না।হোকনা সে তার যতই আপন কেউ।যার যার কষ্ট তার তার নিজেকে একাই ভোগ করতে হয়;মানুষ তো নাম মাত্র পাশে থাকে।আরাফেরও এখন ভীষণ কষ্ট হচ্ছে আর সেটা তার শান্ত দৃষ্টির চাহনিতে বুঝা যাচ্ছে।

চলবে…
(আল্লাহকে ভয় করো;পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়)
{প্লিজ নাইস নেক্সট না লিখে গঠনমূলক কমেন্ট করো😥}

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here