জীবন সাথী💜 পর্ব-১৭

0
1235

#জীবন_সাথী💜
লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা
১৭.
~
ঘুম থেকে ধরফরিয়ে উঠে বসে অনু।এটা কি স্বপ্ন দেখলো সে!আরাফ স্যার তাকে প্রপোস করছে।কি অদ্ভুত স্বপ্নরে বাবা!অনু বড় বড় কয়েকটা নিশ্বাস নেয়।মনে মনে ভাবছে;সে আরাফ স্যারকে নিয়ে একটু বেশিই ভাবছে তাই এমন উল্টা পাল্টা স্বপ্ন দেখেছে।অনু ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে আর কিছু না ভেবে ওয়াশরুমে চলে যায়।
.
আনমনেই ভোরের দিকে স্বপ্নের কথা ভাবছে অনু।আচ্ছা আরাফ যদি কখনো সত্যিই তাকে প্রপোস করে!পরক্ষনেই আবার ভাবে;না না আরাফ স্যার তাকে কেন প্রপোস করবে সে তো আর তাকে ভালোবাসে না।এটা শুধুমাত্র তার একটা স্বপ্ন ছিল।এর থেকে বেশি কিছু না।কথা গুলো ভাবছে আর আরাফের জন্য কফি বানাচ্ছে অনু।কফি বানানো শেষে;কফির গ্লাসটা হাতে নিয়ে আনমনেই আরাফের রুমে ঢুকে পরে সে।দরজায় নক করার কথা নিদারুন ভাবে ভুলে গেছে ।রুমে ঢুকেই অনু রীতিমতো শকড;হাত দুটো থর থর করে কাঁপছে সাথে হাতে থাকা কফির গ্লাসটাও।সামনে থাকা মানুষটাকে দেখে তার গলা শুকিয়ে উঠেছে।আরাফের উন্মুক্ত বুক পিঠ থেকে অনু যেন থমকে গিয়েছে।এর থেকে ভয়ানক দৃশ্য মনে হয় আজ পর্যন্ত দেখেনি সে।সবে মাত্র গোসল করে বেরিয়েছে আরাফ।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তার ভেজা চুলগুলো মুজছে;পরনে শুধু ব্লেক কালারের টাউজার;বুকের পশম গুলো এখনো ভিজে লেপ্টে আছে তার গায়ের সঙ্গে;আরাফের ফর্সা গালের চাপ দাড়ি গুলোতে এখনো হালকা হালকা পানি জমে আছে।এই মুহূর্তে আরাফকে অনুর কাছে পৃথিবীর সব থেকে আকর্ষণীয় পুরুষ মনে হচ্ছে।আরাফ নিজের মনের মতো চুল মুছে যাচ্ছে;সে জানেওনা বেচারি অনু যে তাকে দেখে ৩৬০ ডিগ্রি এংগেলে ক্রাশ খেয়েছে।অনু বেশ কিছুক্ষন বোকার মতো আরাফের দিকে তাকিয়ে থেকে কফির গ্লাসটা আস্থে করে বেড কেবিনেটটার উপর রেখে আরাফের রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে চলে আসে।রুমে এসে ধপ করে বিছানায় বসে পড়ে।মনে মনে ভাবে;’কি বডি!বাপরে!”পরক্ষনেই সে আবার মনে মনে বলে;’ছি অনু!তুই এত লুচু হলি কবে থেকে!নিজের স্যারকে এভাবে কেউ দেখে?একটুও লজ্জা সরম নেয়?কথা গুলো ভেবে হুট্ করেই রেগে যায় সে।তার এই হঠাৎ রেগে যাওয়ার কারণ সে নিজেও জানেনা।এই মুহূর্তে মাথা থেকে অন্য সব কিছু বের করে ভার্সিটির জন্য রেডি হতে থাকে সে।
.
.
”তুই নাকি আমাকে ভালোবাসিস তিহা?”

রিহানের প্রশ্নে থমকে যায় তিহা।ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দেয়ার মাঝেই তিহার একটা কল আসে।আর তাই সে একটু বাইরে এসে কলটা রিসিভ করে;কথা বলা শেষে ভেতরে যেতেই পেছন থেকে রিহান প্রশ্ন ছুড়ে।তিহা অবাক চোখে পেছনে ফিরে দেখে রিহান বুকের উপর হাত ভাঁজ করে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।রিহানের প্রশ্নে কি জবাব দিবে তা তার জানা নেয়।সে তো ভাবছে রিহান সব কিছু জানলো কি করে!তাহলে কি অনুই রিহানকে সব বলেছে?তিহাকে চুপ থাকতে দেখে রিহান ধীরে ধীরে তিহার খুব কাছে এসে দাঁড়ায়।রিহানকে নিজের এতটা কাছে দেখে তিহার কিছুটা অস্বস্থি হচ্ছে।জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে তিহা বলে উঠে,

”চল রিহান আমাদের সাথে ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দিবি।”

রিহানের দৃষ্টি এখনো তীক্ষ্ণ।তিহার অস্বস্তিটা সে বেশ বুঝতে পারছে।তাই সে থম থেমে গলায় বললো,
”আমি তো তোকে কিছু জিজ্ঞেস করেছিলাম তিহা।কাউকে ভালোবাসলে মনে সাহস রেখে তাকে ভালোবাসার কথাটা বলতে হয়;পেটের মধ্যে চেপে ধরে রাখলে সারাজীবন তা পেটেই থাকবে।মুখে আসবে না বুঝলি?”

কথাটা বলে আর এক মিনিট ও দেরি না করে হন হন করে উল্টো দিকে হাঁটা আরাম্ভ করে রিহান।আর তিহা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছে;এতক্ষন যাবৎ কি হয়ে গেলো!তার কি তবে রিহানকে সরাসরি তার ভালোবাসার কথাটা বলে দেয়া উচিত ছিল!কিন্তু রিহান তো অনুকে ভালোবাসে!তাহলে কেন সে তাকে বলছিলো সাহস করে ভালোবাসার কথা বলার জন্য।রিহানের কর্মকান্ড বরাবরই তিহার মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে আজও তাই।চোখ বন্ধ করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিহা আবার ক্যান্টিনের ভেতরে অনু আর রুমির কাছে যায়।
.
বেশ কিছুক্ষন যাবৎ তারা তিন বান্ধবীই চুপচাপ বসে আছে।কারো মুখেই কোনো কথা নেয়;অনু ভাবছে আজকের সকালের ঘটনাটা।সেই দৃশ্যটা যেন সে কোনোভাবেই ভুলতে পারছে না।আর তিহা ভাবছে একটু আগে রিহানের কথা গুলো।দুই বান্ধবীকে এমন স্তব্ধ দেখে রুমি গালে হাত দিয়ে বসে বিরক্তি নিয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।বেশ কিছুক্ষন এইভাবে বসে থাকার পর রুমি চিল্লিয়ে বলে উঠে,

”এই তোদের কি সমস্যা।মুখে কি গ্যাসট্রিক হইসে যে এমন চুপচাপ বইসা রইসোস।আর আমি আবুলের মতো কতক্ষন ধইরা তোদের দিকে তাকাই আসি।অথচ কারো তো সেদিকে কোনো খেয়ালই নায়।”

রুমির কথায় ধ্যান ভাঙে অনু আর তিহার।তারা একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে ভাবে,সত্যিই তো এতক্ষন ধরে হুদাই কেন তারা নীরবতা পালন করেছে?

অনু এবার সোজা হয়ে বসে বলে,
”আচ্ছা তো আমরা কি তোর জ্বালায় চুপ ও থাকতে পারবো না রুমি?সবসময় কি তোর মতো পকর পকর করেই যেতে হবে নাকি?”

রুমি ব্রু কুঁচকে বলে,
”অ্যা মনে হচ্ছে আমি একাই পক পক করি।আর তোমরা দুজন বসে বসে মুড়ি ভাঁজো!তা দুজন এতক্ষন কোন এলিয়েনের কথা ভাবছিল বলতো আমাকে?”

অনু দাঁত কেলিয়ে বলে,
”তোর জামাই হিরো আলমের কথা ভাবছিলাম।তোর জামাই দিনকে দিন যেসব গান গাইছে না কবে জানি তার এই গানের ভয়ে সাধারণ পাবলিক কুচু গাছের সাথে ফাঁসি ঝুলিয়ে মইরা যায় আল্লাহই জানে।বইন তুই তোর জামাইরে এবার বুঝা আমাদের কানের উপর যেন আর এই অত্যাচার না করে।যেদিকে যাই সেদিকেই তোর জামাইর গান শুনতে শুনতে আমি অতিষ্ট।তুই তোর জামাইরে বল এই গান গুলা জমিয়ে রাখতে বাসর ঘরে তোকে শুনানোর জন্য।আহ্ কি লুমান্তিক হবে না ব্যাপারটা?”

অনু কথা শুনে রুমি তো রেগে মেগে পুরো বোম্ব হয়ে আছে।রুমি দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
”ওই হারামি দুনিয়াতে কি ছেলের অভাব পড়ছে যে আমারে ওই বদনা মার্ক গায়কটারে বিয়া করতে হইবো।ওই বদনার গান শুনলে মনে হয় এক গ্লাস পানি খাইয়া আত্মহত্যা কইরা মইরা যাই।আর তুই কিনা কস হেতে আমার জামাই হইবো।কেমনে পারলি বান্ধুবী হইয়া আমার জন্য এমন একটা পোলা খুইজা দিতে।ছি!শেইম অন ইউ অনু(ন্যাকামি করে)”

অনু মুখ ভেংচিয়ে বলে,
”অ্যা আসছে ন্যাকামির কুইন ন্যাকামি করতে।কিন্তু আমাদের এই মহারানীর কি হয়েছে বলতো যবে থেকে ফোনে কথা বলে ভেতরে এসেছে তবে থেকে চুপ।তা কে কল দিয়েছিলোরে তোকে?”

অনুর কথায় তিহা হালকা হাসার চেষ্টা করে বলে,

”কই কিছু হয়নি তো।আর তখন আমাকে বড় খালামনি কল দিয়েছিলো এমনি খুঁজে নেয়ার জন্য।”

তিহার কথায় রুমি মুখ বাকিয়ে বলে,
”তাহলে তুই এমন বাংলার পাঁচের মতো মুখ বানিয়ে রাখছিস কেন?কিছু তো একটা হইসে!”

তিহা মাথা নিচে করে আমতা আমতা করে বলে,
”আসলে!রিহান জেনে গিয়েছে আমি যে ওকে লাভ করি”
তারপর তিহা অনু আর রুমিকে একটু আগে যা যা ঘটেছে তা সবটা বলে।সব কিছু শোনার পড়তো অনু আর রুমির মুখ পুরো হা হয়ে আছে।তারাও যে তিহার মতো রিহানের ব্যবহারে চরম লেবেলের অবাক হয়েছে তা তাদের মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে।কিছুক্ষন বাদে অনুর মুখে বিরক্তি ভাব ফুটে উঠে;সে তিহাকে বিরক্তিমাখা কন্ঠে বলে,
”রিহান যখন তোকে সত্যিটা জিজ্ঞেস করলো তখন তুই সবটা বলে দিলেই পারতি।এতো বড় একটা সুযোগ তুই কি করে মিস করলি বলতো?”

তিহা ইনোসেন্ট ফেইস করে বলে,
”জানি না দোস্ত।তখন মাথা কাজ করছিলো না!কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না।কিন্তু আমাকে এটা বল রিহানকে এত কিছু বললোটা কে?তোরা দুজন ছাড়া তো এই কথা কেউ জানে না তাহলে?”

অনু সাবলীল কণ্ঠে বলে,
”আমি!আমি বলেছি রিহানকে তার প্রতি তোর ভালোবাসার কথা।না বলে উপায় ছিল না কারণ আমি জানি তুই মরে গেলে ও কখনো রিহানকে ভালোবাসার কথা বলবি না তাই বাধ্য হয়ে আমিই বলেছি।”

”কি দরকার ছিল বলতো।আমি তো এখন লজ্জায় ওর দিকে আর তাকাতে পারবো না।”

তিহার কথা শুনে রুমি রেগে গিয়ে বলে,
”তোর লজ্জার গুষ্টি কিলাই।এমন একটা ভাব যেন লজ্জাবতী লতিকা।শুন তিহু তোকে আজ হোক কাল হোক রিহানকে সব সত্যিটা বলতেই হবে;নয়তো আমাদের সাথে তোর কাট্টি।কি ঠিক বললাম তো অনু?(অনুর দিকে তাকিয়ে)”

”একদম।অনেক ঢং ঢ্যাং করেছিস আর না এবার সোজা সাপ্টা রিহানকে গিয়ে বলবি;’রিহান আমি তোমাকে ভালোবাসি।’ব্যাস!”

তিহা ছোট্ট একটা ঢোক গিলে বলে,
”কিন্তু দোস্ত রিহান তো তোকে ভালোবাসে।ও কি আমার প্রপোস একসেপ্ট করবে(কাঁদো কাঁদো মুখ ওরে বলে)”

অনু হালকা হেসে বলে,
”দেখ তিহু!রিহান আমাকে ভালোবাসে ঠিক আছে কিন্তু আমি তো আর ওকে ভালোবাসি না।আর ভবিষ্যতেও রিহানকে আমি কোনোদিন ভালোবাসবো না।আর একটা মানুষ কাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায় জানিস যে তাকে ভালোবাসবে।রিহান যখন বুঝতে পারবে যে তুই সত্যি ওকে অনেক ভালোবাসিস;যখন বুঝতে পারবে তোর কাছে গেলে সে ভালোবাসা পাবে তখন দেখিস ও তোর ভালোবাসা গ্রহণ করে নিবে।মানুষ স্বভাবতই ভালোবাসা খুঁজে;যার থেকে ভালোবাসা পায় তাকেই আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়।তাই তোর এখন কাজ হলো নিজের মনের সুপ্ত ভালোবাসাটা রিহানের সামনে প্রকাশ করা।আমার মনে হয় রিহান তোর এই ভালোবাসার মূল্য ঠিক দিবে।”

অনুর সব কথা শুনে তিহা ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে বলে,
”তাই যেন হয় অনু।আর তোরা চিন্তা করিস না আমি খুব তাড়াতাড়িই মনের মধ্যে সাহস জুগিয়ে রিহানকে আমার ভালোবাসার কথাটা বলবোই।শুধু তোরা আমার পাশে থাকিস।”

তিহার কথায় রুমি আর অনু দুপাশ থেকে আলতো করে তিহার মাথার পাশে মাথা ঠেকিয়ে একসাথে বলে,
”আমরা অলওয়েজ তোর পাশে আছি বান্ধবী।☺”
.
.
বিছানায় হেলান দিয়ে বসে বসে বই পড়ছে আরাফ।বই পড়াটা তার শখের একটা জিনিস।তবে এতদিন অফিস আর ভার্সিটির চাপে এই শখটাকে প্রায় ভুলতে বসেছিল সে।কিন্তু আজ আবার হাতের মধ্যে তার প্রিয় শখটা খুঁজে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে তার।
.
”রিহান বাবা আসবো?”
.
রিহান পেছন ঘুরে দেখে দরজার সামনে তার পি.এ দাঁড়ানো।মুখে কেমন একটা বিষন্নের ছাপ।পি.এ দেখে রিহান বইটা পাশে রেখে উঠে দাঁড়ায়;তারপর হালকা হেসে বলে,
”হুম এস না পি.এ।অনুমতি নেয়ার কি আছে।”

পারভেজ সাহেব ভেতরে এসে বিষন্ন মনে বিছানার উপর বসে।তার চোখ মুখে চিন্তার ছাপটা বেশ স্পষ্ট।আরাফও বুঝতে পারে তার পি.এ কোনো ব্যাপার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।তাই সে তার পি.এর পাশে বসে তার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,
”কি হয়েছে পি.এ?তোমার চোখ মুখ এমন দেখাচ্ছে কেন?”

পারভেজ সাহেব ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে আরাফের দিকে তাকিয়ে বলে,
”আরাফ বাসায় পুলিশ আসছে;আমাদের থেকে সেদিনের ঘটনা গুলো জানার জন্য।উনাদের বলেছিলাম আরো কিছুদিন সময় দিতে কিন্তু উনারা রাজি হয় নি বললো যে আমাদের স্টেটমেন্টের উপর ভিত্তি করে উনারা তদন্ত করবেন।তাই এই তদন্তের খাতিরে আমাদের থেকে আজই সবটা জানতে চাইছে।”

কথাটা বলে আবার ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলেন উনি।কিন্তু আরাফ বেশ স্বাভাবিক গলায়ই বলে,
”হুম তো আসুক না।আমি উনাদের সেদিনের ঘটনা সবটা খুলে বলবো।”

আরাফের কথায় ব্রু যুগল কুঁচকে আসে পারভেজ সাহেবের।তিনি গম্ভীর কণ্ঠে বলে,
”একদম না।পুলিশের সামনে তোর কিছু বলার দরকার নেয় যা বলার আমি বলবো।তুই চুপ থাকবি।”
.
পি.এর কথায় আরাফ হালকা হাসে।কিন্তু সে মনে মনে ঠিক করে নেয় পুলিশকে ঠিক কি কি বলবে।আর তারপর তার সাথে কি হবে সেটাও সে জানে।কিন্তু কিছু করার নেয় সত্যিটা তো বলতেই হবে।কথা গুলো ভেবে ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে।

চলবে…
(আল্লাহকে ভয় করো;পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়)

{আসসালামু আলাইকুম।তোমাদের উপর আমি ভীষণ রাগ।তোমাদের যেদিন গঠনমূলক কমেন্টের কথা বলি সেদিন হাতে গুনা কয়েকজন শুধু গঠনমূলক কমেন্ট করো।আর বাকিরা নাইস;নেক্সটই লিখো😓।তাই ভাবতেসি আর গঠনমূলক কমেন্টের কথা বলবোই না।যাও তোমাদের সাথে কাট্টি।😥}

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here