জীবন সাথী💜 পর্ব-২২

0
861

#জীবন_সাথী💜
লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা
২২.
~
পশ্চিমাকাশে সূর্যের তেজটা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।পরিবেশটা এখন ফুর ফুরে বাতাসে পরিপূর্ণ।আধ পাকা একটা রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলছে আরাফের গাড়িটা।রাস্তাটা বেশি ভালো না হওয়ায় খুব ধীরে ধীরে এগুচ্ছে সে।প্রথম দিকে অনু খুব বিরক্ত হলেও এখন তার বেশ লাগছে।গ্রাম্য অঞ্চল বরাবরই খুব পছন্দ তার।মাথাটা জানলার সাথে ঠেকিয়ে এক দৃষ্টিতে বাইরের পরিবেশটা দেখছে সে।এখনো প্রতন্ত গ্রামে আসলে মাটির ঘর দেখা যায়।তবে খুব কম এখন গ্রামেও শহরের মতো বড় বড় দালান কোঠা আছে।বাইরের ফুরফুরে বাতাসটা অনুর চোখে মুখে আছড়ে পড়ছে।অনু চোখ বন্ধ করে জোরে একটা নিশ্বাস নেয়;গ্রাম্য পরিবেশের একটা মিষ্টি ঘ্রান ওর নাকে এসে ঠেকে।অনু চোখ মেলে আড় চোখে একবার আরাফের দিকে তাকায়;আরাফ গ্রামের রাস্তা বলে খুব সতর্কতার সাথে ড্রাইভিং করছে;এখানকার বাচ্চারা যা দুষ্টু হয় না;গাড়ি দেখলে ইচ্ছে করে দৌড়ে রাস্তা পার হতে চায়।তাই এটা ভেবে আরাফ ধীরে ধীরে ড্রাইভ করছে।ড্রাইভিংয়ের মাঝে একবারের জন্যও সে অনুর দিকে তাকায়নি।অনু বার বারই জিজ্ঞেস করছিলো তারা কোথায় যাচ্ছে;কেন যাচ্ছে?কিন্তু আরাফ প্রতিবারই চুপ ছিল।আরাফের এহেন কাজে অনু বেশ বিরক্ত হয়েছে।তবে সে বিরক্তটাও কিছুক্ষন বাদেই কেটে যেত যখন সে দেখতো বাইরের ফুরফুরে বাতাসটা খুব যত্ন সহকারে আরাফের গুছানো চুলগুলোকে কিভাবে অগুছালো করে দিচ্ছে।আরাফ আবার হাত দিয়ে তার চুলগুলো ঠিক করতো কিন্তু পরোক্ষনে আবার বাতাস এসে সেগুলোকে আগের মতো এলোমেলো করে দিতো।অনু বেশ মনোযোগ দিয়ে দেখছিলো আরাফের চুল আর বাইরের বাতাসের মধ্যকার যুদ্ধটা।মাঝে মাঝে মিটি মিটি করে হাসছিলো।কারণ আরাফকে দেখে বেশ বুঝা যাচ্ছিলো যে সে বাতাসের প্রতি ভীষণ বিরক্ত হচ্ছে।কিন্তু কিছু তো করার নেয় বাতাসকে তো আর থামাতে পারবে না।
.
বেশ কিছুটা পথ যাওয়ার পর গাড়িটা থেমে যায়।অনু এবার সতর্ক দৃষ্টিতে আসে পাশে তাকায়।তবে সামনে তাকিয়ে দেখে অনেক বড় একটা বিল।অনু ব্রু কুঁচকে সেই বিলটার দিকে তাকায়।আরাফ এখানে কেন নিয়ে এলো তাকে?কিছুই বুঝতে পারছে না।আরাফ গাড়ি থেকে নেমে অনুর পাশের দরজাটা খুলে দিয়ে বলে,
”নামো!”

অনু একবার আরাফের দিকে তাকায় তারপর নেমে পড়ে।আরাফ গাড়ির দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে অনুর দিকে তাকিয়ে বলে,
”চলো”

বলেই সে হাঁটতে শুরু করলো।অনুও কোনো উপায় না পেয়ে আরাফের পেছন পেছন যেতে থাকে।বেশ কিছুটা পথ হেটে ওরা বিলটার খুব কাছে এসে দাঁড়ায়।এই বিলটা অন্যান্য বিলের তুলনায় অনেকটা বড়।দেখলে মনে হয় ছোট খাটো নদী।বিলটার কিনারায় একটা ডিঙি নৌকা বাঁধা।এত কাছ থেকে বিল আর নৌকাটা দেখা মাত্রই অনুর চোখে মুখে এক অন্যরকম ভয় প্রকাশ পেলো।অনুর মধ্যে অসস্থিরতা বেড়ে চলছে;সে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে নৌকাটির দিকে তাকিয়ে আছে।মনে হচ্ছে এই নৌকাটি এক্ষনি তাকে গিলে খাবে।অনু ভয়ের চোটে আরাফের ডান হাতটা খামচে ধরে।অনুর এমন কাজে আরাফ বেশ অবাক হয়।হঠাৎ কি হলো ওর বুঝতে পারছে না।অনু অস্ফুট শব্দে বলছে;’বাবা আমাকে বাঁচাও;আমি ডুবে যাচ্ছি;বাঁচাও আমাকে বাবা।’ভয়ে এবার রীতিমতো কাঁপছে সে।আরাফ যেন কিছুই বুঝতে পারছে না।অনু হঠাৎ এভাবে অস্থির হয়ে উঠলো কেন।অনুর মুখের দিকে গভীর ভাবে তাকালো আরাফ।তার চোখে মুখে স্পষ্ট ভয় দেখতে পাচ্ছে সে।কিন্তু আরাফ বুঝতে পারছে না এখানে ভয় পাওয়ার মতো কি আছে?কি দেখে অনু এত ভয় পাচ্ছে?আরাফ এক হাতে অনুকে আগলে ধরে তারপর অস্থির কণ্ঠে বলে,

”কি হয়েছে অনু?এমন করছো কেন?”

অনু কিছু বলছে না শুধু জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলছে আর কিছু একটা বিড়বিড় করছে।আরাফ এবার অনুকে তার দিকে ঘুরিয়ে বলে,
”অনু তাকাও আমার দিকে।”

অনু ভয়ার্ত দৃষ্টিতে আরাফের দিকে তাকায়।অনুর এমন দৃষ্টি দেখে আরাফের কেন জানি খুব খারাপ লাগছে।এখানে নিয়ে এসেছিলো অনুকে খুশি করার জন্য।ভেবেছিলো এই প্রকৃতির মাঝে দাঁড়িয়ে আজ সে অনুকে তার মনের কথা বলবে;কিন্তু অনুর এমন পরিবর্তনে যেন আরাফের কি করা উচিত বুঝতে পারছে না।ভয়ে অনুর ঠোঁট গুলো থরথর করে কাঁপছে।আরাফ চোখ গুলো না চাইতেও অনুর সেই কাঁপা ঠোঁট গুলোর উপর পড়লো।কিছু একটা ভেবে আরাফ ছোট্ট করে একটা নিশ্বাস ফেলে অনুকে কোলে তুলে নেয়।অনুর সেদিকে কোনো হুশ নেয়;সে যে আরাফের কোলে সেটা সে ফীল করতে পারছেনা।আরাফ ধীর পায়ে অনুকে তার গাড়ির কাছে নিয়ে গিয়ে গাড়ির সামনের ডিকিটার উপর বসিয়ে দেয়।তারপর অনুর দুগালে আলতো করে হাত রেখে বলে,

”কি হয়েছে তোমার অনু?তুমি এতো ভয় কেন পাচ্ছ?”

অনু ছোট্ট একটা ঢোক গিলে বলে,
”আমি ডুবে যাচ্ছি আরাফ স্যার।আমাকে বাঁচান।”

অনুর কথায় আরাফ বুঝতে পারে অনুর হিলুসিনেশন হচ্ছে।এখানে কিছু একটা দেখে তার পুরোনো কোনো ভয়ঙ্কর স্মৃতি মনে পরে গিয়েছে।তাই আরাফ অনুকে স্বাভাবিক করার জন্য বলে,
”অনু তুমি ডুবে যাচ্ছ না।দেখো তুমি একদম ঠিক আছো।আমার সাথে আছো;কিচ্ছু হয়নি তোমার।”

অনু এবার আলতো করে আরাফের চোখের দিকে তাকায়।তারপর কাঁপাকাঁপা গলায় বলে,
”স-স্যার আ-আপনি আমাকে এখানে কেন নিয়ে এসেছেন?”

অনুকে কিছুটা স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে দেখে আরাফ সস্থির নিশ্বাস ফেলে তারপর অনুর মাথাটা নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে বলে,
”নিয়ে এসিছিলাম তো তোমাকে নিজের মনের কথা বলার জন্য।কিন্তু তোমার হঠাৎ করে কি হলো বলতো?”

অনু এখনোও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি তাই সে আনমনেই বলে উঠে,
”স্যার আপনি আমাকে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন।আপনি খুব ভালো স্যার।আপনি খুব ভালো।”

অনুর কথা আরাফের বোধগম্য হয়নি।তবুও সে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বলে ,
”আচ্ছা অনু বাদ দাও এসব।চলো এখান থেকে ফিরে যায়।তুমি অসুস্থ হয়ে পড়েছো বাসায় গিয়ে রেস্ট নিলে সব ঠিক হয়ে যাবে।”

কিন্তু অনু যেন আরাফের কথা শুনতেই পেলো না।সে আরাফকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,
”আপনি আমাকে কি বলতে এখানে নিয়ে এসেছেন বলেননি তো?”

আরাফ কিছুটা ইতস্তত হয়ে পড়ে।অনুকে কি এখন এসব বলা ঠিক হবে কিনা ভাবতে থাকে সে।আরাফের ভাবার মাঝে অনু আবারও বলে উঠে,
”বলুন না স্যার কি বলবেন?আমি তো শুনতে চাই।”

অনুর এমন নিস্বঙ্কোচ আবেদন আরাফকে আরো দুটানায় ফেলে দেয়।কি করবে সে?তার কি এখন বলে দেয়া উচিত?অনু কি আদৌ নিজের মাঝে আছে।অনুর মন মস্তিষ্কে এখন কি চলছে আরাফ কিছুই বুঝতে পারছে না।তাও ছোট্ট একটা নিশ্বাস ছেড়ে মনে সাহস জুগিয়ে বলে,
”অনু আমি তোমাকে ভালোবাসি।”

অনু আনমনেই বলে দেয়,
”আমিও”

অনুর কথা শুনেই আরাফ বুঝতে পারে অনু সত্যি সত্যি এখনো বেখেয়ালি হয়ে আছে।স্বজ্ঞানে থাকলে নিশ্চই এ কথা বলতো না।কথা গুলো ভেবে আরাফ একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।তারপর অনুকে নিজের থেকে কিছুটা আলগা করে বলে,

”চলো অনু বাসায় ফিরে যাই।”

অনু কোমল চোখে একবার আরাফের দিকে তাকায়।আরাফের চোখে মুখে হতাশা ছেয়ে আছে।তা দেখে মুচকি হেসে অনু বলে,
”চলুন”
.
সন্ধ্যার কিছুটা আগে বাসায় ফিরে আসে অনু আর আরাফ।কলিং বেল বাজতেই রাহেলা বেগম এসে দরজা খুলেন।দরজা খোলার পর পরই অনু কারোর দিকে না তাকিয়ে সোজা নিজের রুমে চলে যায়।রাহেলা বেগম একবার অনুর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আরাফকে বলে,
”কি হয়েছে ওর বাবা?”

আরাফ চিন্তিত মুখে বল,
”আমিও বুঝতে পারছি না আন্টি।তবে আমার আপনাদের কাছে কিছু জানার আছে।আমি আগে ফ্রেশ হয়ে আসি তারপর না হয় বলবো।”

অনুর মা বুঝতে পারে কিছু একটা হয়েছে।তাই সে আরাফকে বলে,
”আচ্ছা যাও আগে ফ্রেশ হয়ে এসো।তারপর না হয় সবটা শুনা যাবে।”

আরাফ সেখান থেকে নিজের রুমে চলে আসে।অনুর ব্যবহারটা আরাফকে খুব ভাবাচ্ছে।অনুর ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক না।নিশ্চই এর পেছনে কোনো কারণ আছে।আর এর কারণটা এক মাত্র পি.এ আর আন্টিই বলতে পারবে।কথা গুলো ভেবে আলমারি থেকে টাওয়ালটা নিয়ে আরাফ ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ে।
.
সন্ধ্যা ৬:৩০,
পারভেজ সাহেব আর রাহেলা বেগমের মুখোমুখি বসে আছে আরাফ।তাদের তিনজনের চোখে মুখে চিন্তিত ভাবটা সুস্পষ্ট।অনু এখানে নেয়;সে তার নিজের রুমে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে।পারভেজ সাহেব চায়ের কাপে একটা চুমুক দিয়ে সেটা পাশে রাখে।তারপর আরাফের দিকে তাকিয়ে উদ্বিগ্ন গলায় বলে,

”কি হয়েছে আরাফ?”

”পি.এ আমি তোমাকে বলেছিলাম না আমি অনুকে নিয়ে আজ একটু বাইরে যাবো;যাতে করে ও একটু রিফ্রেশমেন্ট পায়।তো সে জন্য আমি ওকে একটা বিলের কাছে নিয়ে যায়।ভেবেছিলাম এত দিন তো সবাই খুব প্রেসারের মধ্যে ছিলাম;অনুও তো এই ১ বছর কম টেনশন করেনি তাই ওর একটু রিফ্রেশমেন্টের প্রয়োজন;আর সেখানে পরিবেশটাও ভীষণ সুন্দর।চারদিকে গাছপালা আর তার মাঝখানে বিশাল একটা বিল।নিজের মনকে ফ্রেশ করার জন্য এর থেকে ভালো জায়গা বোধ হয় আর হয় না।কিন্তু সেখানে তো ঘটলো অন্য কিছু।অনু বিল আর নৌকা দেখে..”

আরাফের মুখে কথা কেড়ে নিয়ে পারভেজ সাহেব বলে উঠে,
”কি ভয় পেয়েছে তাই তো?”

আরাফ অবাক হয়ে বলে,
”হুম ভয় পেয়েছে;অনেক ভয় পেয়েছিলো।কিন্তু কেন পি.এ?বিল আর নৌকা দেখে অনু ভয় কেন পেলো?”

পারভেজ সাহেব ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে,
”আসলে অনুর বয়স যখন ৭ বছর তখন আমরা একবার নৌকা ভ্রমণ করি।তখন সময়টা ছিল বিকেল;নদীতে স্রোতও ছিল খুব;এতো স্রোত দেখে প্রথমে আমি রাজি হয়নি।কিন্তু অনু এত বায়না শুরু করলো যে রাজি না হয়ে পারলাম না।কিন্তু কে জানতো ওই নৌকা ভ্রমণ অনুর জীবনে শেষ নৌকা ভ্রমণ হবে।সেদিন নৌকাটা মাঝ নদীতে গিয়ে ঢেউয়ের কবলে আটকে পড়ে;মাঝি ঢেউ পার করে এগুতে পারছিলো না।এতো বড় বড় ঢেউতে মনে হচ্ছিলো নৌকাটা যেকোনো সময় ডুবে যাবে।আর হলোও তাই।মাঝি বেলেন্স রাখতে পারলো না আর নৌকাটা উল্টে গেলো।সে যে কি ভয়ঙ্কর অবস্থা।আমি সাঁতার জানলেও রাহেলা আর অনু সাঁতার জানতো না।নদীর এই গভীরতায় আর তার উপর এতো বড় বড় ঢেউয়ের কারণে আমার পক্ষ্যে দুজনকে ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।নৌকার মাঝিও সাঁতার জানে কিন্তু সে আমাদের সাহায্য না করে নিজের জান নিয়ে সাঁতরে সেখান থেকে পার হওয়ার চেষ্টা করছিলো।এইদিকে অনু ভয়ে আমাকে আষ্টে-পিষ্ঠে জড়িয়ে ধরে।আমার মনে হচ্ছিলো আর বোধ হয় এভাবে থাকতে পারবো না এক্ষনি তলিয়ে যাবো।রাহেলা তখন আমার দিকে করুন চোখে তাকিয়ে বলে,
‘তুমি আমাকে ছেড়ে দিয়ে অনুকে নিয়ে সাঁতরে পার হও।অনুটা ভয়ে কাঁদছে।ওকে নিয়ে তুমি যাও’
সেদিন রাহেলার কথা শুনে নিজেকে বড্ডো অসহায় লাগছিলো।কি করবো বুঝতে পারছিলাম না।আর অনুও তখন ভয়ে চিৎকার করে কাঁদছিলো।বার বার বলছিলো বাবা আমাকে বাঁচাও;আমি ডুবে যাচ্ছি বাবা বাঁচাও!মনে হচ্ছিলো তিনটা প্রাণ এখানেই আজ শেষ হয়ে যাবে।বড় একটা ঢেউ আসে আমি তাল সামলাতে পারেনি আর সাথে সাথে অনু আমার থেকে কিছুটা দূরে সরে যায়।মেয়েটা তখন অনেক নাকানি চুবানি খেয়েছিলো পানিতে।কিন্তু আল্লাহর সহায় তখনি সেখানে একটা স্পিড বোট ছুটে আসে।আর সেখানে থেকে দুজন লাফিয়ে পানিতে নেমে আমাদের উদ্ধার করে।সেই যে দুর্ঘটনাটা অনু এখনো ভুলতে পারেনি।এখনো নৌকা আর পানি দেখে সে ভাবে সেদিনের মতো ডুবে যাবে।আর এই জন্যই বোধ হয় আজ ও রিএক্ট করেছিল।মেয়েটার এই ভয়টা আমরা কেউ এখনো দূর করতে পারেনি।জানি না কখনো পারবো কিনা!”

এইটুকু বলে অনুর বাবা ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।আর তার কথা শুনে আরাফ খুব বিষণ্ণ হয়ে পড়ে।নিয়ে গিয়েছিলো অনুর মন ভালো করার জন্য।অথচ সে নিজের অজান্তেই আবারো অনুকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছে।

চলবে…
(আল্লাহকে ভয় করো;পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়)

{আসসালামু আলাইকুম।আজকের পর্বটা ছোট হওয়ার জন্য আমি দুঃখিত😥।তবে আরাফ তো অনুকে তার মনের কথা বলে দিয়েছে।তো পাঠকগণ তোমাদের কি মনে হয় অনু কি অসচেতন মনে বলে ফেলেছিলো ”আমিও” নাকি সে জেনে বুঝে শয়তানি করার জন্য ইচ্ছে করেই বলেছে।কোনটা? অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে।আর একটা কথা তোমরা কি চাও গল্পটা তাড়াতাড়ি শেষ করে দেই নাকি চাও আরো বড় হোক।কোনটা?এটাও কমেন্টে জানিও।ধন্যবাদ❤}

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here