জীবন সাথী💜 পর্ব-২

0
1992

#জীবন_সাথী💜
লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা
২.
~
সিঁড়ি দিয়ে তাড়াহুড়ো করে উপরে উঠছিলো অনু .সকালে ঘুম থেকে উঠতে লেইট হয়ে যাওয়ায় ভার্সিটিতে আসতেও লেইট হয়ে গিয়েছে তার।তাই এখন এক প্রকার দৌড়েই সে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছে।হঠাৎই তার ওড়নায় পেছন থেকে টান পরায় সে পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখে তার ক্লাসমেট রিহান পেছন থেকে ওর ওড়না এক পাশ ধরে ধরে দাঁড়িয়ে আছে.ওকে দেখেই অনুর মেজাজ বিগড়ে গেল।অনু ব্রু কুঁচকে রিহানকে জিজ্ঞেস করে ,

”কি ব্যাপার তুই এভাবে আমার ওড়না ধরে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?এমনিতেই আমার লেইট হয়ে গিয়েছে এখন তুই আর লেইট করাস না.ওড়না ছাড় আমাকে ক্লাসে যেতে হবে ।

অনুর কোথায় রিহান দাঁত কেলিয়ে হেসে বলে ,
”যদি না ছাড়ি!”

অনু এবার রেগে গিয়ে বললো ,
”দেখ রিহান রোজ রোজ তোর এই ড্রামা আমার অসহ্য লাগে.আর একটাও কথা না বলে আমার ওড়না ছাড় নয়তো ঠাস করে একটা চড় লাগাবো.”

রুহান বাঁকা হেসে বলে ,
”দে না অন্তত চড় খাওয়ার বাহানায় আমার গালে তো তোর হাতের ছোয়া লাগবে আমার জন্য সেটাই অনেক ।”

অনুর এবার বেশ রাগ হচ্ছে তার এই মুহূর্তে এই চিপকুটাকে এক উষ্ঠা দিয়ে উগান্ডা ফেলে দিতে ইচ্ছে করছে.অনু রাগে ধাতে দাঁতে দাঁত চেপে বলে ,
”কি সমস্যা তোর বলতো .সেই ভার্সিটির প্রথম দিন থেকে তুই আমার পেছনে পরে আছিস আর আজ এক বছর ধরে তোকে এত বুঝনোর পরও তুই বুঝছিস না কেন?”

অনুর কথা শুনে রিহান অনুর ওড়নাটা তার ডান হাতে পেচাতে পেচাতে তার কাছে এগিয়ে যায়.তারপর শান্ত দৃষ্টিতে অনুর দিয়ে তাকিয়ে বলে ,
”তুইও কেন বুঝতে পারছিস না অনু আমি তোকে ভীষণ ভালোবাসিরে .কেন আমার ভালোবাসা তুই গ্রহণ করে নিচ্ছিস না বলতো .”

অনুর চোখে মুখে রাগ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে .সে জোরে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করে বলে ,
”দেখ রিহান আমি আগেও বলেছি আর এখনো বলছি আমি তোকে ভালোবাসি না কখোনো বাসবো ও না .এই ১ বছর আমার পেছনে ঘুরে তো কোনো লাভ হয়নি আর সামনেও হবে না .তাই অযথা আমার পেছনে ঘুরে তুই তোর সময় নষ্ট করিস না.”

অনুর কথা শেষ হতেই রিহান অনুর ডান হাতটা নিজের দুহাতের মাঝে জড়িয়ে ধরে বিনয়ের স্বরে বলে ,
”অনু তুই কেন এমন করছিস?কেন আমার ভালোবাসাটা তুই বুঝতে চাইছিস না.কেন বল কেন?”

অনু কিছু বলতে যাবে তার আগেই সেখানে আরাফ চলে আসে। অনু আর রিহানকে এভাবে দেখে তার মাথা রক্ত উঠে যায়।বিশেষ করে রিহানকে অনুর হাত ধরে থাকতে দেখে;আর ওদিকে আরফকে দেখা মাত্র রিহান অনুর হাত ছেড়ে পাশে দাঁড়াতে যাবে তখনি তার হাতে পেঁচিয়ে রাখা অনুর ওড়নাটায় টান পরে; রিহানের হাতে অনুর ওড়না পেঁচানো দেখে রাগে আরাফের শরীর জ্বলে যাচ্ছে .এই মুহূর্তে তার এই রিহান নামক প্রাণীটাকে দুনিয়া থেকে আউট করে দিতে ইচ্ছে করছে ।আরাফ কোনোরকমে নিজের দুহাত মুষ্টিবদ্ধ করে দাঁতে দাঁত চেপে নিজের রাগটা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে।তারপর সে চোখ মুখ শক্ত করে অনুর দিকে তাকিয়ে বলে ,
”এটা কোনো পার্ক না মিস অনু এটা একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।কোথায় কোন কাজ করতে হয় এইটুকু জ্ঞান আপনার থাকা উচিত বলে আমি মনে করি.”

কথাটা বলে আরাফ একবার রিহানের দিকে তাকায় ;কিন্তু এমন ভাবে তাকায় মনে হচ্ছিলো চোখের আগুনেই রিহানকে ভস্ম করে দিবে।তারপর আরাফ ওদের পাশ কাটিয়ে হন হন করে উপরে উঠে যায়।আর অনু আহাম্মকের মতো দাঁড়িয়ে থাকে আর মনে মনে ভাবে,
”নিশ্চই ওই ধলা বিলাই আমাকে খারাপ মেয়ে ভেবেছে .হুম ভাবুক আমার কি কেউ ভাবলেই তো আর আমি খারাপ হয়ে যাচ্ছি না.”

কথা গুলো ভেবে অনু চোখ পাকিয়ে রিহানের দিকে তাকায়। রিহান কেবলা কান্তের মতো হাসি দিয়ে সেখান থেকে কেটে পরে।কারণ সে জানে আর বেশিক্ষন এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে অনু নির্ঘাত তাকে উষ্ঠা মেরে উগান্ডা পাঠিয়ে দিবে।

অনু ছোট্ট একটা নিঃশাস ফেলে তার ক্লাসের দিকে পা বাড়াতেই তার মনে পরে আজকের প্রথম ক্লাসটা আরাফের ।অনু মনে মনে ভাবে ,
”এ খোদা ওই ধলা বিলাইটা কালকের ব্যাপারটার জন্য আবার কোনো রিভেঞ্জ নিবে না তো!আর একটু আগে তো আমাকে কথাও শুনিয়ে গিয়েছে ।এখন ক্লাস এ লেইট করে যাওয়ার জন্য আবার কি করে কে জানে.”

কথা গুলি ভেবে অনু দ্রুত ক্লাসের দিকে পা বাড়ায়।সে তার ক্লাসরুমের সামনে দাঁড়িয়ে দেখে আরাফ হুয়াইট বোর্ডে কিছু একটা লিখছে.অনু আরাফের দিকে তাকিয়ে বলে ,
”মে আই কাম ইন স্যার?”

অনুর কথায় আরাফ কোন প্রকার রেসপন্স না দিয়ে বোর্ডে লিখেই যাচ্ছে.অনু আরাফের দিকে ব্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলে
”স্যার! আসব?”

আরাফ এখনো কোনো রেসপন্স করছে না দেখে অনু বেশ বিরক্ত হচ্ছে।ক্লাসের অন্যান্য স্টুডেন্টরা বুঝতে পারছে না কেন আরাফ কোনো রেসপন্স করছে না।অনু ঘাড়টা একটু এগিয়ে ক্লাসের ভেতর তার বান্ধবী তিহা আর রুমিকে খুজার চেষ্টা করছে;২ সারির ৩ নাম্বার বেঞ্চ থেকে তিহা আর রুমি অনুর দিকে হাত নাড়ায়।ওদের দেখে অনু ইশারা দিয়ে বোঝায় সে বেশ বিরক্ত হচ্ছে ।তিহা আর রুমিও ইশারা করে বলে বিরক্ত না হতে ।পরে না হয় আরাফ স্যার আবার রেগে যেতে পারে।কিছুক্ষন বাদে আরাফ টেবিলের সামনে এসে মার্কার পেনটা টেবিলের উপর রেখে টেবিল থেকে বইটা নিয়ে পড়ানো আরাম্ভ করে।আরাফের এমন কাজে অনু এবার রেগে যায়.’
”কি সমস্যা কি উনার উনি কি আমাকে চোখে দেখছে না !কখন থেকে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি অথচ উনি উনার মতো ক্লাস নিয়েই যাচ্ছেন।হুম যত সব আজাইরা ভাব।আপনার মতো ধলা বিলায়ের অনুমতি আমার প্রয়োজন নেই ।আমি এমনি ক্লাসে ঢুকবো দেখি আমাকে কে আটকায়.”

কথা গুলো মনে মনে ভেবে অনু যেই না ক্লাসের ভেতর প্রবেশ করেছে সঙ্গে সঙ্গে আরাফ চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো ,
”হেই ইউ স্টুপিড গার্ল;হাউ ডেয়ার ইউ.তোমার সাহস কি করে হলো আমার অনুমতি ছাড়া ক্লাসে ঢুকার?”

আরাফের কথা শুনে অনুর ইচ্ছে কচ্ছে টেবিলের উপর থাকা ডাস্টারটা দিয়ে এক বারি মেরে আরাফের মাথা ফাটিয়ে দিতে।বেচারি এতক্ষন যাবৎ আরাফের অনুমতি নিয়েই যাচ্ছে কিন্তু আরাফ তো কোনো কথায় বলেনি আর এখন যখন ও ভেতরে আসতে গেলো তখনি আরাফ রেগে যায়।এটা কেমন ধরণের ব্যবহার!!অনু নিজের রাগকে কন্ট্রোল করে মুখে একটা মেকি হাসি দিয়ে বলে ,
”স্যার আমি অনেক যাবৎ আপনাকে ডাকছিলাম কিন্তু আপনি তো শুনছিলেনই না.ভাবলাম আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়াচ্ছেন তাই আর ডিস্টার্ব না করে ভেতরে চলে আসি এই আরকি।”
কথাটা বলে অনু ২ পা পিছিয়ে ক্লাস রুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আরাফকে বলে ,
”আপনি যদি বলেন তাহলে আমি আবার অনুমতি নিবো।সমস্যা নেয়”

অনুর কাজকর্মে আরাফের ব্রু কুঁচকে আসে.পরক্ষনেই সে ভাবে অনু বড় হয়েছে ঠিকি কিন্তু স্বভাবটা এখনো আগের মতোই রয়ে গেছে .যেমনটা ও ৫ বছর আগেও দেখে গিয়েছিলো.৫ বছর আগের কথা মনে হতেই আরাফের চোয়াল শক্ত হয়ে আসে.ওর রক্তের শিরায় শিরায় আবার সেই তেজ জ্বলে উঠে,

আরাফ কিছু বলছে না দেখে অনু আরাফের উদ্দেশ্যে বলে ,
”স্যার এবার ভেতরে আসি ”

আরাফ ব্রু কুঁচকে অনুর দিকে তাকিয়ে বলে ,
”না বাইরেই থাকো”

অনু এবার ক্ষেপে গিয়ে বলে ,
”বাইরে থাকবো মানে?”

আরাফ বোর্ডে কিছু লিখতে লিখতে বলে ,
”বাইরে থাকবে মানে তুমি ক্লাসের ভেতর আসতে পারবে না বাইরে দাঁড়িয়েই ক্লাস করবে”

আরাফের কথায় অনুর ভীষণ রাগ হচ্ছে.অনু রাগে দাঁতে দাঁত চেপে বলে ,
”কেন স্যার আমি কি এমন করেছি যে আমাকে বাইরে দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হবে”

আরাফ এবার বোর্ডের লেখা থামিয়ে অনুর মুখোমুখি এসে দাঁড়ায় .তারপর ওর চোখের দিকে তাকিয়ে ধীর কন্ঠে বলে
”তুমি যা করেছো তার শাস্তি তো আরো ভয়ঙ্গর হতে চলেছে.রেডি থেকো তার জন্য”

কথাটা শেষ করে আরাফ আবার ক্লাস করাতে মনোযোগ দেয়.আর অনু মনে মনে ভাবছে ,
”স্যার কি কালকের ব্যাপারটা নিয়ে এখনো রেগে আছে.কিন্তু উনি না কাল বললো আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছে.তাহলে আর কিসের শাস্তির কথা বলছেন উনি।নাকি রিহানের সাথে ওই সময় আমাকে ওভাবে দেখে ও উনি রেগে যান।এখন কি সেটার জন্য আমাকে শাস্তি দিবেন!কিন্তু তাও বা কেন আমি যার সাথে মন চাই তার সাথে মিশবো তাতে এই ধলা বিলায়ের কি?হুম !আমিও দেখি এই ধলা বিলাই আমাকে কি শাস্তি দেয়.”

পুরো ক্লাস এইভাবেই অনু বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে.আরাফ ক্লাস থেকে যেতেই সে দৌড়ে ক্লাসে এসে তিহা আর রুমির পাশে বসে পরে;তারপর হাটু ধরে বলে,
”উফফ দোস্ত পা ব্যাথা করছেরে.”

তিহা বলে উঠে ,
”এই অনু আবার কি করলি বলতো স্যার আবার তোর উপর ক্ষেপে গেলেন কেন?”

অনু সোজা হয়ে বসে বলে ,
”আমি কি জানি এই রাক্ষসটার কখন কি হয়.যত্তসব আবাল জনগণ.উফফ বুঝি না এই লোকটার আমার সাথে কি এমন শত্রুতা .হুদাই আমার পেছনে পরে থাকে”।

অনুর কথা শুনে রুমি অনুর হাত ধরে উৎসাহী কণ্ঠে বলে ,
”দোস্ত আমার না মনে হয় ডাল মে কুছ কালা হে।আরাফ স্যারের সব সময় তোর পেছনেই পরে থাকাটা আমার কাছে স্বাভাবিক লাগছে না।কিছু তো একটা ঘাপলা আছে .”

কথাটা বলে রুমি ডান হাতের তর্জনী আঙুলের নখ দাঁত দিয়ে কাটতে থাকে.রুমির কথায় অনু রেগে গিয়ে ওর মাথায় চাটি মেরে বলে ,

”সব তোর দোষ ;না তুই আমাকে তোর ফালতু মার্কা ডেয়ার দিতি না আমাকে আজ এমন ভাবে ফাঁসতে হতো।এখন আসছে বলতে ডাল মে কুছ কালা হে”(ভেঙিয়ে বলে)

রুমি অনুর দিকে ব্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলে ,
”আমি ডেয়ার দিলেই তোকে মানতে হবে কেন শুনি?একবার হারলে কি হতো।বরং হার মেনে নিলেই ভালো হতো এখন আর তোকে আরাফ স্যারের ক্রোধে পড়তে হতো না”

রুমির কথায় অনু চোখ ছোট ছোট করে বলে ,
”কি এত বড় কথা একে তো তুই ভুল করছিস আর এখন আমারে উল্টা কথা শুনাস .খুব না কালকে বলছিলে আমার কথা মতো চলবে আমার দেয়া সব পানিশমেন্ট মাথা পেতে নিবা আর আজকেই সব ফুস হয়ে গেসে তাই না.”

তিহা বলে উঠলো ,
”আরে অনু তুই রাগস কেন .রুমি তো মজা করছিলো.তাই না রুমি বল বল”

রুমিকে গুতা দিয়ে তিহা হুম বলতে বলে .রুমিও বাধ্য মেয়ের মতো বলে ,
”হুম হুম মজা করছিলাম.আর কিছু না.”

রুমির কথা শুনে অনু ভাব নিয়ে বলে ,
”ঠিক আছে ঠিক আছে মাফ কইরা দিলাম .তবে দ্বিতীয় বার আর এমন করলে নো মাফ .বুঝছিস?’

দুজনে একসাথে বলে ,
”হুম.”

তিন বান্ধবী কেন্টিনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো তখনি একজন সিনিয়র ভাই এসে কেন্টিনের সবার উদ্দেশ্যে বলে ,

”এটেনশন এভরিওয়ান!তোমাদের সবাইকে একটা দুঃসংবাদ দেয়ার আছে .সেটা হলো আমাদের ভার্সিটির এইবার অনার্স ২ বর্ষের একজন ছাত্র নাম রিহান আহমেদ সে কিছুক্ষন আগে হসপিটালে ভর্তি হয়েছে।তাকে কেউ খুব মারাত্মক ভাবে মেরেছে ।তবে সেই অপরাধি কে এখনো তা জানা যায়নি।তবে পুলিশ কমপ্লেইন করা হয়েছে।পুলিশ অফিসাররা বলেছে রিহানের জ্ঞান ফিরলে ওর মুখ থেকেই সব কিছু শুনবে।আর আমাদের ভার্সিটির পক্ষ থেকে সবাই ওর সুস্থতা কামনা করছি।আর তোমরাও সবাই ওর জন্য দোআ করো যেন সে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারে.”

কথাগুলো বলে সেই সিনিয়র ভাইটা কেন্টিন থেকে চলে যায়।আর এই সব কথা শুনে অনু স্তব্ধ পুরো হয়ে আছে।সে ভাবতেই পারছে না কিছুক্ষন আগেও না ছেলেটা একদম সুস্থ ছিল আর এই কিছু সময়য়ের ব্যবধানে রিহান এখন হস্পিটালাইজড।কথাটা যেন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না অনু।যতই রিহানের উপর অনু রাগ দেখাক না কেন তবে অনু জানে রিহান ওকে সত্যিই খুব ভালোবাসে।সেই প্রথম দিন থেকে রিহান অনুকে ভার্সিটির সব ব্যাপারে অনেক সাহায্য করে এসেছে.অনুকে ভালোবাসার কথা বলায় অনু ওকে অনেক অপমান করেছিল কিন্তু রিহান কোনোকিছুই গায়ে মাখেনি সেই অনুর পিছু পিছু ঘুরে।আজ কেন জানি ওর ভীষণ মায়া হচ্ছে রিহানের জন্য।কারা মারলো ওকে আর কেন!

অনু কথাগুলো ভেবেই উঠে দাঁড়িয়ে বলে ,
”চল তিহা .রুমি আমরা হসপিটালে যাবো রিহানকে দেখতে.”
কথাটা বলেই অনু সোজা সামনের দিকে হাঁটা আরাম্ভ করে.আর তিহা আর রুমি একজন অন্যজনের মুখের দিকে তাকিয়ে অনুর পিছু পিছু হাঁটতে শুরু করে,
চলবে,,
(আল্লাহকে ভয় করো,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়)
{দু একজন বাদে তোমরা সবাই শুধু নেক্সট আর নাইস কমেন্ট করো।এত নেক্সট আর নাইস দেখতে দেখতে আমি এখন চোখে অন্ধকার দেখছি।এখন আমার গঠনমূলক কমেন্ট চাই ।আর তা না হলে তিহা আর রুমিকে না তোমাদের ধরে ওই চায়ের দোকানের টাকলা মামার সাথে বিয়ে দিয়ে দিবো যাতে করে বিয়ের পর তার টাকের মধ্যে তবলা বাজাতে পারো।সো যারা টাকলা মামার বউ হতে চাও না তারা অবশ্যই গঠনমূলক কমেন্ট করবে.ওকে😊}

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here